#হৃদমাঝারে_শুধুই_তুই
#লেখনীতে:মিথিলা মাশরেকা
পর্ব-১০
বাসার মধ্যেও কোনো এক বৈদ্যুতিক খাম্বার সাথে ধাক্কা লাগলো আমার।অতিরিক্ত লম্বা বলে সে মানুষটাকে খাম্বা বলাই চলে।আর তার স্পর্শে শরীরে বৈদ্যুতিক শিহরন বয়ে যাওয়া,যদিও নিতান্তই সেটা আমার অনুভুতি।সে অনুভুতিকে যথাসম্ভব ইগ্নোর করে রাগ দেখাতে মনকে উস্কালাম।আর তাই চোখদুটোও রাগী চাওনি নিয়ে তাকালো আরমানের দিকে।
-উফ্!!!ওভাবে কেউ তাকায়?শেইমলেস মেয়ে একটা!
আরমানের কথায় আমার মুখ আপনাআপনি হা হয়ে গেলো।বলে কি এ?সকালে ব্রেকফাস্ট টেবিলের পর আর রুম থেকে বাইরেই বেরোই নি আমি।ভাবলাম এতোক্ষনে হয়তো এ আপদ বিদেয় হয়েছে,থাকার কারন সুযোগ কোনোটাই নেই।তাই গোসল সেরে মাথা মুছতে মুছতে রিল্যাক্সে ড্রইংরুমে আসছিলাম।রাহাত সোফায় বসে পাজল ঘুরাচ্ছিলো।ওর পিছন দিয়ে যাওয়ার সময় একহাতে টাওয়েল দিয়ে চুজ মুচছিলাম,অন্যহাতে ওর মাথায় একটা চাটি মেরে দিলাম।সামনে তাকানোর আগেই কারো সাথে ধাক্কা লাগে আমার।
বেহায়া মানুষটা জিন্স আর গায়ে শুধুমাত্র চিকন স্লিভস্ পরে মাথা মুছতে মুছতে সামনে উপস্থিত।চুলগুলো ভেজা,এলোমেলো একদম,ছোট ছোট দাড়িগুলোও ভেজা,ফর্সা হাতের কালো লোমগুলো হাতে লেপ্টে গেছে।গায়ের রঙটা ফর্সা বলে এভাবে লজ্জা বিসর্জন দিয়ে উদোম গায়ে অন্য একজনের বাসায় ঘোরার মানে কি?
-এইযে মিস্টার?আপনি নিজেই একটা শেইমলেস লোক।দেখে চলতে পারেন না?গায়ে পরছেন কেনো আমার?
উনি অন্যদিক তাকিয়ে হেয়ালি করে বললেন,
-নিজেও যে চোখ উল্টে আসছিলো,তা স্বীকার করবে না কোনোমতেই।সরো সামনে থেকে।
আমি ওনার সামনে তুড়ি বাজিয়ে বললাম,
-ও হ্যালো?আমার মামা বাসা এটা!সো আপনি আমাকে সাইড দিয়ে চলবেন,বুঝেছেন?
লোকটা জবাব না দিয়ে চুপচাপ পাশ কাটিয়ে চলেই যাচ্ছিলো।একবার তাকালোও না,আবার কিছু বললোও না?উত্তর না পাওয়ায় একটু রাগ হলো আমার।চেচিয়ে বললাম,
-আপনি এখনো যাননি এ বাসা থেকে?
উনি একটা জোরে শ্বাস ফেলে পিছন ফিরে তাকালেন।দাত কেলিয়ে বললেন,
-না।সারপ্রাইজ!
তোর সারপ্রাইজের কাথায় আগুন!জ্বালা একটা!রাহাত মাথা উচিয়ে বললো,
-মিথি আপু,পাঁচদিন হলো এসে কতো জ্বালাইছো আমাকে।আরমান ভাইয়া সকাল থেকেই কতো মজা করছে আমার সাথে।এখন আবার ভাইয়াকেও জ্বালাচ্ছো?
সরু চোখে ওর দিকে তাকালাম।বললাম,
-মামী কই?পড়াশোনা বাদ দিয়ে অন্যের হয়ে শুধু সাফাই গাওয়া না?
-পড়াশোনা করেছি আমি,আর আম্মু ছাদে গেছে জামাকাপড় মেলতে।ওয়াশ ডে আজ!সময় লাগবে।
ও মাথা ঘুরিয়ে আবারো পাজল মেলাতে লাগলো।আমি আরমানের দিকে তাকিয়ে বললাম,
-অন্যের বাসায় এভাবে পরে আছেন কেনো?আর এভাবে নির্লজ্জের মতো খালি গায়েই ঘুরছেন কেনো?
উনি কিছুটা ঝুকে বললেন,
-তোমাকে আমার জিম করা বাইসেপস্ দেখাবো বলে!দেখলে না,কেমন চোখ আটকে গেছিলো তোমার?
-ইহ্!আসছে।জিম করা বাইসেপস!
মুখ ভেঙচিয়ে চলে আসছিলাম।উনি পিছন থেকে ঠান্ডা গলায় বললেন,
-তোমাকে ছেড়ে আর একমুহুর্তের দুরুত্বও সহ্য হয় না।তাই পরে আছি।
রোবটের মতো ওয়ান এইটি ডিগ্রি এঙ্গেলে ঘুরে দাড়ালাম।ভ্রুকুচকে তাকালাম ওনার দিকে।নাহ্,ওনার কথায় এভাবে দুর্বল হওয়া চলবে না,হচ্ছি যে সেটাও প্রকাশ করা যাবে না।না জানি কোথা থেকে কোথায় গড়ায় এই কথা!কিন্তু কেমন যেনো মনে হয় ওনার কাছে কিছুই লুকাতে পারি না আমি।ওনার কথাতে বারবার আটকে যাই।
-কি গো?এভাবেই দেখে যাবে?আমার লজ্জা করে তো,নাকি?
আবারো রাগে গায়ে আগুন ধরে গেলো আমার।লোকটা সুযোগ পেলেই এমন করবে আমার সাথে।মুখ খোলার আগেই আরমান এদিক ওদিক তাকিয়ে হাতের তোয়ালেটা গলায় ঝুলালেন।হুট করে আমার কোমড় জরিয়ে ধরে বললেন,
-আমাকে তো গিলেই নিলে!এবার লেট মি এন্জয় ইউর আফটার শাওয়ার লুক!
আমার চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম।এতোবড় সাহস এর?আমার মামাবাসায় দাড়িয়ে,আমাকে এভাবে জরিয়ে ধরে ফ্লার্ট করছে এ?যেখানে আমার মামা একজন পুলিশ।অবশ্য এ সময় মামা বাসায় নেই।মামীও ছাদে।আদিব ভাইয়াকে দেখছি না,আর রাহাত?সে চোখে হাত দিয়ে বললো,
-আমি কিছু দেখিনি !কাউকে কিচ্ছুটি বলবো না!
একবার ওর দিকেও তাকালাম।আরমান একহাতে রাহাতের চুলগুলো এলোমেলো করে দিয়ে বললেন,
-দ্যাটস্ লাইক মাই শালাবাবু!
দাতে দাত চেপে নড়াচড়া করতে করতে বলতে লাগলাম,
-লিভ মি,এন্ড মাইন্ড ইউর ল্যাঙ্গুয়েজ!!!
কথাটা যেনো হাওয়াতেই ভাসলো।কারো কানে যায়নি।আরমান একহাতে জরিয়ে রেখেছেন আমাকে।ধাক্কাচ্ছি ইচ্ছামতো।আমি স্বীকার না করলেও ভালোমতোই জানি আসলেই জিমড্ বডি তার,একচুলও হেলাতে পারছি না।উনি ওনার খালি হাত দিতে আমার সামনে ইশারা করে বললেন,
-ছাড়াতে পারবে না।গায়ের জোরটাকে নিষ্ফল জায়গায় খাটিও না।তোমার এই মামাতো ভাই বেশ লোভী।আইসক্রিম,চকলেট,ভিডিও গেইমস্ এর নাম শুনলেই লোভে ওর চোখ চকচক করে ওঠে।যা বলি,তাই করে।তোমার কি চাই বলোতো?সব দিবো।বিনিময়ে শুধু তিনটা ওয়ার্ড বলবা।
-ছাড়ুন আমাকে!এখুনি বলে দিচ্ছি।
উনি তাচ্ছিল্যে হেসে বললেন,
-আমি কি দেখতে অতোটাই বোকা?নাকি সেরকম কোনো বোকামি করেছি তোমার সামনে?
বিরক্তি নিয়ে বললাম,
-অসভ্য,নির্লজ্জ,গায়েপরা!!!
উনি হো হো করে হেসে বললেন,
-আই নিউ!তুমি ছেড়ে দিলে এই তিনটা ওয়ার্ডই বলতে!
আমি ওনার থেকে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা বাদ দিয়ে বিরক্তি নিয়ে দাড়িয়ে রইলাম।উনি সেই খালি হাতেই আমার সামনের কিছু চুল কানে গুজে দিয়ে ঠান্ডা গলায় বললেন,
-এমনিতেও কাছে থেকে দুরে থাকার কষ্টটা সহ্য হচ্ছে না আমার।তার উপর তুমি এমন ভেজা চুল নিয়ে সামনে আসলে আমার,ছুয়ে দিলে আমাকে।সবটা দিয়ে নিজেকে কন্ট্রোল করে পাশ কাটিয়ে চলেও যাচ্ছিলাম,তাও যেতে দিলে না।নাও আই হ্যাভ নো কন্ট্রোল ওভার মাইসেল্ফ!ইটস্ টোটালি ইউর ফল্ট!!!
আবারো বড়বড় চোখ করে তাকালাম ওনার দিকে।এ লোকটারও ভেজা চুল।উনিও সবেমাত্র গোসল করেছেন।ঠোটে বাকা হাসিটা আর নেই এখন।আর চোখ!এতো গভীর আর ঘোর লাগা চাওনি যেনো তাতে আমার মরন লেখা।চোখ নামিয়ে নিলাম।শরীরটা মৃদ্যু কাপছে আমার।উনি ওনার মুখটা একদম আমার কাছে এনেছেন বুঝতে পারছি।চাচ্ছি তাকে সরিয়ে দিতে,পারছি না।উনার দাড়িতে খোচা লাগলো চোখে।চোখ পিটপিট করে খুলছি আর সাথে সাথে আবারো খিচে বন্ধ করে নিচ্ছি।
-গালে তোমার ভেজা চোখের পাপড়ির স্পর্শ যে আরো ব্যাকুলতা বাড়িয়ে দিচ্ছে মিথি!
এবার জোরেসড়ে ধাক্কা লাগিয়ে দিলাম আমি আরমানকে।কথাগুলো বলার সময়টাতে কোমড়ে তার মোড়ানো হাতকে কিছুটা আলগা মনে হয়েছিলো আমার।উনি পিছিয়ে গেলেন কিছুটা।আমি নিচদিক তাকিয়ে জোরে জোরে শ্বাস ফেলছি।কি হচ্ছিলো এতোক্ষন ভাবতেও হতভম্ভ হয়ে যাচ্ছি আমি।কিছু বলার জন্য চোখ তুলে তাকালাম।আরমানকে আবারো তার টেডিস্মাইল ঠোটে ঝুলিয়ে দু পা এগোতে দেখে থতমত খেয়ে গেলাম।উনি এগোতেই,,,
-মিথি,আরমান,রাহাত!ডাইনিংয়ে এসে বসো।আমি খাবার দিচ্ছি।
মামীর আওয়াজে দরজার দিকে তাকালাম,সে আচলে কপালের ঘাম মুছতে মুছতে বালতি হাতে ভেতরে ঢুকছে।তারপর চোখ আরমানের দিকে গেলো।উনি কিছুটা রাগ বিরক্তি নিয়ে আড়চোখে তাকিয়ে আছেন মামীর দিকে।যেনো তার কতো জরুরি কোনো কাজে বাধা দিয়েছে সে!
আমি তাড়াতাড়ি এগিয়ে গেলাম মামীর দিকে।মামী আমার দিকে তাকিয়ে ড্রয়িংরুমে চোখ বুলালো।রাহাতকে চোখ ধরে রাখতে দেখে আমাকে বললো,
-এ আবার কি নতুন নাটক শুরু করেছে?
কি বলবো?জিভ দিয়ে ঠোট ভিজিয়ে নিয়ে বলতে গিয়েও আমতা আমতা করতে লাগলাম।আরমান হেসে বললেন,
-আন্টি,আমি আর রাহাত লুকোচুরি খেলছিলাম।
কথাটা বলে রাহাতের কাছে সোফায় বসে ওর হাত নামিয়ে দিয়ে বললেন,
-রাইট রাহাত?
রাহাত উপরে নিচে ঘাড় দুলিয়ে হ্যাঁ বললো।মামি হেসে বললো,
-বেশ ভাব করে নিয়েছো দেখছি রাহাতের সাথে আরমান?
-প্রেমিকার ছোট ভাইবোনের সাথে ভাব করার ফায়দা তুম কেয়া জানো রামেশ বাবু!
আরমানের বিরবিরিয়ে বলা কথাটা আমার কান অবদি ঠিকই পৌছালো।ভয় নিয়ে পাশে তাকিয়ে দেখি মামী জুতোর শেলফে জুতো তুলতে ব্যস্ত।তারমানে কানে যায় নি তার।উফ্!ভয় পেয়ে গিয়েছি আমি।আরমানের দিকে দেখলাম সে ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে মোবাইল গুতাচ্ছে পায়ের উপর পা তুলে।মামী আবারো বললো,
-এই বাদরটাকে একটু বুঝিও তো আরমান।তোমার সাথে থেকে যেনো তোমার মতো একটু বুদ্ধি হয় ওর।
আমি অবাক হয়ে বললাম,
-তোমার সাথে থেকে মানে?এ যায় নি কেনো এখনো?
মামী একবার আরমানের দিকে সংকোচ নিয়ে তাকালো।মেকি হাসি দিয়ে বললো,
-ইয়ে আরমান,তুমি ঠিকমতো রেডি হয়ে ডাইনিংয়ে এসে বসো কেমন?
আরমান ঘাড় নেড়ে উঠে চলে গেলেন।মামী আমার হাত ধরে কিচেনে নিয়ে এসে বললো,
-মিথি?ওভাবে বলতে হয় কাউকে?কতোবড় হেল্প করেছে বলোতো ও তোমাকে!
-তোহ?একবেলা তো গেলালে তার বিনিময়ে।ব্রেকফাস্ট করলো না?আর কি?
-উফ্!তোমাকে নিয়ে না!সকাল থেকে তো রুম থেকেই বেরোও নি,জানবেই বা কি করে।যাই হোক,ও দুটোদিন এখানেই থাকবে।
চেচিয়ে বললাম,
-মানেহ্?
-আরে আরে এভাবে চেচাচ্ছো কেনো?যেনো তোমার কয় জন্মের শত্রুকে বাসায় রাখছি।ওকে চেনো তুমি?
-না।এজন্যই তো বলছি অপরিচিত লোক এ বাসায় থাকবে কেনো?
-আরমান পেশায় সাংবাদিক।এখানে এসেছে ওর কোনো এক আর্টিকেল কভার করতে।দিন দুই লাগবে আরো।আর তারপর,,,
-তো এসব দিয়ে কি?বায়ো চাইনি এর।একে তাড়াও।স্ট্রেন্জারদের এভাবে,,,
-আরে স্ট্রেন্জার কেনো হবে? ঢাকার টপ বিজনেজ হোল্ডার,জামান ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক,আফরোজ জামান আর আমার বান্ধবীর ছেলে ও।
-মানে?ত্ তোমার বান্ধবীর ছেলে এ?
-হুম।বাবার অফিসের কাজ ভালোলাগে না নাকি ওর।সবটা ওই আদিব ছেলেটা নাকি সামলায়।চাকরিসুত্রে এসেছে এখানে,শখ করে তাবুতে ছিলো।সকালে ওর আম্মুর সাথে যখন কথা বলছিলো তখনই পরিচয়টা হয়।জুলেখা বললো,শামীমা রে,ছেলেটা কিসব ছাইপাস খাচ্ছে না খাচ্ছে ওখানে,তোর ওখানেই যখন গেছে,আর দুটো দিন তোর বাসাতেই আটকে দে কোনোভাবে।আমার কলেজের খুব ভালো বান্ধবী ও।ইনফ্যাক্ট,যোগাযোগটা এখনও অবদি আছে আমাদের।আমিতো ওকে বকেও দিলাম এ নিয়ে যে আরমান এখানে তা আগে কেনো জানায়নি আমাকে,বললো আরমানই নাকি মানা করেছে।ছেলেটা এতো ভালো,উপকার করেছে আমাদের,বাসায় এক্সট্রা দুটো রুম।তোমার মামাও বললো ওকে এখানেই রাখতে।তাই ওকে রিকুয়েস্ট করলাম।এন্ড গেস হোয়াট?ফরচুনেটলি ও রাজি হয়ে গেছে।
মাথায় হাত দিয়ে বেসিনের পাশটার উচু জায়গায় বসে পরলাম।মামীর মুখে ফরচুনেটলি কথা শুনে ইচ্ছা করছিলো ডিকশনারিতে ঢুকে এই শব্দটাকে গায়েব করে দেই।বেছে বেছে আমার মামীরই বান্ধবীর ছেলে হতে হবে একে?এ বাসাতে এক্সট্রা রুম থাকতে হবে?মামারও রাজি হতে হবে?তো আব মেরা কেয়া হোগা?
মামী বললো,
-কি হয়েছে মিথি?
অসহায়ভাবে তাকালাম মামীর দিকে।নিরস গলায় বললাম,
-কিছুনা।
-বেশ!ওকে জ্বালিও আই মিন ঝগড়া করো না ওর সাথে কেমন?আর ও কোনো কিছু বললে,একটু ম্যানেজ করে নিও?বোঝোই তো,পুরোনো বান্ধবীর কাছে আমার ইমেজের প্রশ্ন এটা!
গরগর করে বলে দিয়ে মামী খাবার সার্ভ করতে লেগে গেলেন।এই ছিলো তোর মনে?এভাবে ফ্যামিলি মেম্বারশিপ আদায় করলো আরমান?যেহেতু আমি নিজেও এ বাসার গেস্ট,এ বাসায় কর্তৃত্ব ফলাতে পারি না আমি।মামাও অলরেডি মত দিয়ে দিয়েছেন।আর মামী,সে কি কি বললো?ঝগড়া?জ্বালানো?আমি জ্বালাই?আমি ঝগড়া করি?ম্যানেজ করতে?যাতে সে তার খেয়ালখুশিমতো আমাকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে?
ঘাড় ঘুরিয়ে দরজা দিয়ে অসহায়ভাবে বাইরে তাকালাম একবার।সোজাসুজি ডাইনিংয়ে থাকা ফ্রিজটার কাছে দাড়িয়ে আরমান।এখনো ফুল জামাকাপড় পরেন নি উনি।ওভাবেই স্লিভস্ গেন্জি পরা অবস্থায় একহাত বুকে গুজে আরেকহাতের কনুই তাতে ঠেকিয়ে আঙুল দিয়ে নিজের ঠোটের নিচে স্লাইড করাচ্ছেন আর মুচকি হাসছেন।একটা ভয়ার্ত নিশ্বাস দুম করে ভিতর থেকে বেরোতে বেরোতে যেনো বললো,
-তুই শেষ মিথি!তুই শেষ!!!
#চলবে….