#হৃদমাঝারে_শুধুই_তুই
#লেখনীতে:মিথিলা মাশরেকা
পর্ব-১৭
মাথাটা এতো ভারী লাগছে কেনো?তাহলে শরীরটাই বা এতো হালকা কেনো লাগছে?বসে তো আছি সোফাতেই! এমন কেনো মনে হচ্ছে হাওয়ায় ভাসছি?আর চোখ?এটা খোলা রাখতে এতো বেশি শক্তি প্রয়োগ করতে হচ্ছে কেনো?সবটা ঝাপসা দেখছি কেনো?তবে ব্যাপারটা বেশ লাগছে।এন্জয় করছি।আধ খোলা চোখে সামনের টি টেবিলের দিকে তাকালাম।ওখানে রাখা কাচের সাদা বোতলটা একদম খালি দেখাচ্ছে না?হাত দিয়ে দু চোখ ডলে আবারো তাকালাম বোতলটার দিকে।নাহ্!এটাতো পুরোই খালি।কিন্তু আমি তো শুধু রাগের বশে,পিপাসায় দু ঢোকই খেয়েছিলাম।বাকিটুকো কে খেলো তবে?
বোতলটা হাতে নিয়ে উঠে দাড়ালাম।ও মা!এবার মনে হচ্ছে আমি মাটির উপর দিয়ে হাটছি!বাহ্!তারমানে আমার নেশা হয়েছে!বেশ কেরামতি দেখিয়েছো তুমি বোতল রাজন!এই একটা এক্সপেরিয়েন্স নিতে বিদঘুটে স্বাদের টাইগার,স্পিড সব খেয়েছি।কাজে দেয়নি।আজ তো রাগের বশে কামালই হো গ্যায়া!!!
“মাতাল হয়ে হিস্…..
হুশশশশ্!ওসব বলতে নেই আমার!তাহলে কি গান গাইবো?ঠোট উল্টে আবারো টি টেবিলের উপরই বসে পরলাম।ওখানে থাকা কলমদানিটা ঠুস করে নিচে পরে যেতেই ঠোটে আঙুল দিলাম।ধুর!আওয়াজ করা যাবে না তো!মামা,মামী জেগে গেলে সর্বনাশ!কাউকে আসতে না দেখে টেবিল থেকে নামলাম।বোতলটা মাথায় ধরে ঘুরতে ঘুরতে অক্ষয়ের ” চার গ্যায়ি হ্যায় মুঝে ” গানটা গাইতে ঘুরে ঘুরে নাচ শুরু করে দিয়েছি।হঠাৎই কারো সাথে ধাক্কা লাগলো।পরেই যাচ্ছিলাম আমি।সামনের জন কোমড় জরিয়ে ধরে ফেললো আমাকে।পিটপিট করে তাকিয়ে সামনের মানুষটাকে দেখে ভয় পেয়ে গিয়ে বললাম,
-জ্ জুড়ওয়া টু!
-হোয়াট?
-দ্ দু দুটো আরমান!!!
আরমান কপাল কুচকে বললেন,
-কিহ্?কিসব বলছো তুমি মিথি?আর হাতে এটা কি..সের বো..তল?
আমি ডানহাতে ওনার গলা জরিয়ে রেখেছি,আর বা হাতে বোতলটা ঝুলছে।আরমান বোতলটা দেখে কথা বলতে বলতেই আটকে গেলেন।আমার হাত থেকে নিয়ে শুকে করুনভাবে বললেন,
-সেরেছে!
আমি বা হাতটা তুলে তার বুকের কাছের পান্জাবিটা খামচে ধরে চোখ পাকিয়ে বললাম,
-কি সেরেছে?হ্যাঁ?বলুন?কি সেরেছে?
-তুমি তো…
-থামুন!সেরেছেন তো আপনি!একটার জ্বালাই সহ্য করতে পারছি না,দু দুটো এসে জুটলো আবার!
উনি একটু অবাক হলেন।আবার ঠোট টিপে হেসে বললেন,
-আমি জ্বালাই তোমাকে?
-তাইতো।জ্বালানই তো!
আরমান একদম ইনোসেন্ট ফেইস বানিয়ে বললেন,
-তা এই ভদ্র ছেলেটা কিভাবে কিভাবে জ্বালায় তোমাকে?
-ইহ্!ভদ্র না ছাই!হুটহাট স্পর্শ করেন আমাকে,জরিয়ে ধরেন,কাছে চলে আসেন,কোলেও তুলে নেন,ভালোবাসি ভালোবাসি বলেন। এসব কি হ্যাঁ?এসব কি?দম বন্ধ হয়ে আসে আমার,হৃদপিন্ড লাফালাফি করে আপনার এসব ব্যবহারে!
-রিয়েলি?তোমার এমন ফিল হয়?
-হু!
-তো এখন…
-হুশ্!আগে বলুন এই ডাবল রোলের ক্যারেক্টর কই থেকে ধরে আনছেন?একদম আপনার কার্বন কপি!
উনি শব্দ করে হেসে দিলেন।বললেন,
-দেখো তো,কোনটা আসল লাগে তোমার?
আমি হাত তুলে ওনার ডানপাশের রোলটার গাল ছুইয়ে দিলাম।গালের খোচা দাড়িতে হাত লাগতেই বুঝলাম।তারপর বামপাশের রোলটাকে ধরার জন্য যেইনা হাত বাড়িয়েছি,
-ইয়া খোদা!এখানে তো কেউই নেই।আরমান!ওখানে নিশ্চয়ই জ্বীন আছে।আমি দেখতে পাচ্ছি,ছুতে পারছি না।আল্লাহ গোওওও এটা..!!!
উনি আমার মুখ চেপে ধরে বললেন,
-আরে আরে,চেচাচ্ছো কেনো?
-উম ম্ ম্ উম!!!
উনি হাত সরিয়ে নিলেন।আমি কাদোকাদো গলায় বললাম,
-আপনি পঁচা।আমি আপনার ভালোর জন্য কিনা জ্বীনের হদিশ দিলাম,আপনি আমারি মুখ আটকে দিচ্ছেন?
-জ্বীনটা কি আমার মতো দেখতে?
-হুবহু!
-তারজন্যে ওর লাইফে তোমার মতো পরী এসেছে।কি বলো?
-নোপ!পরী না আমি।পরী কি করে হবো?সেরকম কোনো অলৌকিক ক্ষমতা নেইই আমার।
-আছে তো!
-আছে???
উনি কিছুটা ফিসফিসিয়ে বললেন,
-হুম।কি বলোতো?ইশতিয়াক আরমানকে নিজের নেশায় আসক্ত করে নিয়েছো তুমি!এর থেকে বড় সুপারন্যচারাল পাওয়ার আর কি হতে পারে?
-বলছেন?
-হুম।
-আচ্ছা।আমি পরী!কিন্তু…
-কিন্তু কি?
-আমার ডানা কই?
আরমানের চেহারায় আবার বিরক্তি।বললেন,
-কেটে দিয়েছি।যাতে উড়ে দুরে না সরে যাও।
ন্যাকিস্বরে কাদতে কাদতে বললাম,
-না না।কেনো ডানা কেটে দিলেন আপনি?আমার ডানা চাই!
উনি কিছুটা ব্যস্ত হয়ে বললেন,
-কাদছো কেনো?কাল সকাল হলেই আবার গজাবে তো!
-তাই???
-হুম।
-তাহলে ঠিক আছে।কিন্তু…
-আবার কি?
-শুনেছি পরীর বর নাকি ভ্যাম্পায়ার হয়?তাহলে ভ্যাম্পায়ারও আছে?
উনি আমার ডানহাতের তর্জনী আঙুলের ডগায় একটু ধীরে কামড় বসিয়ে দিলেন।আমি আহ্ শব্দ করতেই উনি বললেন,
-হুম আছে।বুঝেছো?
আমি মাথা উপরেনিচে দোলালাম।উনি আবারো হাসলেন।বললেন,
-পুরো বোতল খেয়ে নিলে?
-বিশ্বাস করুন,সবটা খেতে চাইনি।রাগে দু বার মুখে নিয়েছিলাম।বাকিগুলো কই গেছে আমি জানি না।
-হ্যাঁ হ্যাঁ।বাকিটার খবর রাখতে তো সে অবদি হুশ থাকা জরুরি।
-হুশটা কোথায় গেলো?
-ইয়া আল্লাহ!শেষে কিনা দেশী ভাঙ?
অবাক হয়ে বললাম,
-ভাঙ মানে?
-বোতলে থাকা বস্তুটার নাম।
-ইন্টারেস্টিং নাম।ভাঙ!এটা কোন ভাষার?
-স্থানীয় ভাষা,আর খাটিবাংলায় একে মদ বলে,মদ!
-কিইইই?আমি মদ খেয়েছি?
-জ্বী।আপনি মদ গিলেছেন!এতো শখ ছিলো নেশা করার আমাকে বলতে পারতে,ইম্পোর্টেডগুলো এনে দিতাম।তারপর দুজনে মিলে একসাথে…
সোজা হয়ে দাড়িয়ে রাগী চোখে তাকালাম ওনার দিকে।এখনো ঢুলছি বলে উনি কোমড়টা জরিয়েই রেখেছেন।বললাম,
-তারপর?
আরমান ভ্রুকুচকে তাকালেন আমার দিকে।বিরক্তি নিয়ে বললেন,
-ফরগেট ইট!কাজটার জন্য আফসোস হচ্ছে না?
-না।বেশ করেছি।
-এমনভাবে বলতেছো যেনো পবিত্র পানীয় রুহ আফজা খাইছো?
-সবকিছুরই অভিজ্ঞতা থাকা দরকার।আর ওইটা,ওই রুহ আফজা তো আরো পচা খেতে।খাইনা আমি।
উনি কপাল চাপড়িয়ে জোরে শ্বাস নিলেন।তারপর একটু বাকা হেসে বললেন,
-এবার যদি আমি এই মাতাল মেয়ের সুযোগ নেই?
আমি মুচকি হেসে আঙুলে ওনার হলুদ পান্জাবিতে আকিবুকি করতে করতে বললাম,
-তা তো আপনি করবেনই না।
-কেনো?
-কারন আপনি তো ভালোমানুষ।
-আর?
ওনার হাত ছাড়িয়ে আবারো সোজা হয়ে দাড়াতে দাড়াতে বললাম,
-আর এই ভালোমানুষটাকে আমি…
কথা শেষ হওয়ার আগেই তার বুকে গিয়ে পরলাম।উনি একহাতে আমাকে জরিয়ে আরেকহাতে আমার চুলগুলো আলতোভাবে মুঠো করে বললেন,
-ভালোবাসো এই ভালোমানুষটাকে?
মাথা থেকে ওনার হাত সরিয়ে দিয়ে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে বললাম,
-কচু!বয়েই গেছে ভালোবাসতে।বলতে চাচ্ছিলাম ভালোমানুষকে বিশ্বাস করি।
উনি ছোট করে একটা শ্বাস ফেলে বিরবিরিয়ে বললেন,
-শুনেছিলাম নেশা হলে মানুষ সত্য বলে।তুমিও সত্যই বললে।তারমানে তোমার মন এখনো তোমাকে জানান দেয়নি,তুমি ভালোবাসো আমাকে।
-কিসব আবোলতাবোল বকছেন আপনি।আপনার এবার সত্যিই নেশা চড়ে গেছে দেখছি!
আরমান আমাকে ছেড়ে কোমড়ে হাত দিয়ে দাড়ালেন।তৎক্ষনাৎ নিচে মেঝেতে পরে গেলাম আমি।ডানহাতে বামহাতের কবজি ধরে ন্যাকিস্বরে বললাম,
-পচা লোক একটা!আমাকে ফেলে দিলো!
উনি হাটু ভাজ করে আমার সামনে বসে বললেন,
-এবার বলো?কার নেশা হয়েছে?
-কার আবার?আপনার!আপনাকে না রুম অবদি দিয়ে আসলাম আমি,নিজে তো যেতে পারছিলেন না।
-শোধ উঠাচ্ছো?আমাকে দিয়েও অমন করাবে?
-তা কখন বললাম।ছোবেন না আমাকে!
আরমান একটু হেসে আমাকে কোলে তুলে নিলেন।কিছুটা উত্তেজিত হয়ে বললাম,
-আরে আরে,নামান!আমি কি আপনাকে কোলে করে নিয়ে গিয়েছিলাম নাকি?আবার কোনদিন আপনি এর পে ব্যাক চাইবেন!আমি আপনার মতো খাম্বাকে কোলে নিতে পারবো?তাছাড়া আমার অস্বস্তিও হচ্ছে।দেখুন দেখুন!হার্টবিটও বেড়ে গেছে।আপনি ছুয়েছেন কেনো আম্ …
উনি রুমের বিছানায় বসিয়ে দিলেন আমাকে।কোমড়ে হাত দিয়ে দাড়িয়ে বললেন,
-জাতে মাতাল,তালে ঠিক!মাতলামোও করবে,ছুতে গেলেও দোষ!
-মানে?
উনি একটু ধমকে বললেন,
-মানে একটা কথা না বলে ঠোটে আঙুল দিয়ে চুপ করে বসে থাকো।
আমি ঠোটে আঙুল দিয়ে বসে রইলাম।আরমান বেরিয়ে গেলেন।দুমিনিট পর গ্লাসে পানি হাতে রুমে ঢুকে এগিয়ে দিয়ে বললেন,
-চুপচাপ এটা শেষ করো।
বামহাতের আঙুল ঠোটে ধরে ডানহাত দিয়ে গ্লাসটা নিলাম।ঠোটের কাছে ধরে খাওয়ার চেষ্টা করলাম,কিন্তু আঙুলে বাধা পরলো।আরমান বিরক্তি নিয়ে আঙুল সরিয়ে দিলো আমার সামনে বসেই।গ্লাসের পানি একচুমুক খেতেই বুঝলাম ওটা লেবুর রস আর লবনের গোডাউন।নাক ছিটকে গ্লাসটা পাশের টেবিলে রেখে দিয়ে বললাম,
-ইয়াক!এসব মানুষ খায়?খাবো না আমি এটা!
আরমান শান্তভাবে গ্লাসটা হাতে নিয়ে আবারো এগিয়ে দিয়ে বললো,
-খেয়ে নাও,নইলে হ্যাংওভার কাটবে না।
আড়মুড়িয়ে বললাম,
-না কাটলো!বেশ লাগছে।জানেন?মনে হচ্ছে হাওয়াতে ভাসছি!
-হুম জানি।এবার এটা খেয়ে গ্রাভিটিকে সম্মান প্রদর্শন করে মাটিতে আসো।
-মানে?
-এখন এর মানে তো মাথায় ঢুকবেই না।এনিওয়েজ,কাল তো বেরোতে হবে।অনেকটা জার্নি।আজ এভাবে…
আমি বাবু হয়ে বসে ছিলাম।নড়েচড়ে ওনার দিকে একটু এগিয়ে গিয়ে বললাম,
-আমি চলে গেলে আপনার কষ্ট হবে?
উনি মুচকি হেসে বললেন,
-না।
-জানতাম!এইতো ভালোবাসা!সব আপেক্ষিক!একদম আইনস্টাইনের থিওরির মতো!আপনারটাই বা ব্যতিক্রম হবে কেনো?ওদিকে আসিক!শেষমেষ শিমুলকে বিয়েই করে নিলো!কি ভালোবাসা!
উনি আমার দিকে কিছুটা ঝুকে বললেন,
-হঠাৎ বিয়ের কথা বললে যে?
-ওখানে তো এমনটাই হলো,না?আপনার কাছে জাস্ট বললাম।এক্সপেক্টেশন ভেবে একদম ভুল করবেন না।
-তবে কি এক্সপেক্ট করছিলে?এটা?যে তুমি গেলে আমার কষ্ট হওয়া উচিত?
-তাইতো!
উনি গ্লাসটা হাতে ঘুরাতে ঘুরাতে নিচদিক তাকিয়ে একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললেন,
-আসলে কি বলোতো?আমাদের মাঝের দুরুত্বটা আমার ভালোবাসায় কোনোদিনও এতোটুকো খুত ধরাতে পারবে না।ইনফ্যাক্ট এ বাসায় আসার আগেও আমি একমুহুর্তের জন্যও ভাবতাম না তুমি আমার কাছে নেই।না ভবিষ্যতে ভাববো।এমন ভাবার কোনো সুযোগও রাখবো না আমি।সবসময় এতোটাই কাছে রাখবো তোমাকে যে এসব ভাবনা মাথাতেই আসবে না।না দুরে থাকার যন্ত্রনা অনুভব হবে।
তারপর একটু চুপ থাকলেন উনি।আমি হা করে তাকিয়ে আছি ওনার দিকে।আচমকাই উনি আমার দু গালে হাত রেখে কিছুটা ব্যস্ত হয়ে বললেন,
-কি করে?কি করে বুঝাই তোকে বল যামীনি?এ হৃদমাঝারে শুধুই তুই !তোকে আলাদা করে দুরে ভাবার কোনো উপায় নেই আমার!কবে বুঝবি তুই?কবে আপন করে নিবি তুই আমাকে?কবে বলনা?কবে?
এতোগুলো কথার কিছুই বুঝলাম না আমি।শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ছিলাম।ওনার হাত সরিয়ে দিয়ে অন্যদিকে তাকালাম।অভিমানী গলায় বললাম,
-একেতো বললেন কষ্ট হবে না,আবার এখন তুই তুকারি করছেন?
উনি আমার থুতনি ধরে তার দিকে ফেরালেন।হেসে বললেন,
-ভালোবেসে তুই বলে ফেলেছি।
হাত সরিয়ে দিয়ে চুপ রইলাম।উনি আবারো ঘোরালেন তার দিক।বললেন,
-আচ্ছা?কষ্ট হবে কেনো?যদি আমিও তোমার সাথেই থাকি?
অবাক হয়ে বললাম,
-মানেএএএ?
আবারো তার মুচকি হাসি!বললেন,
-ওটা সারপ্রাইজ!আগে এইটা শেষ করো।
বলেই আমার হা হয়ে থাকা মুখে লেবুপানি পুরে দিয়ে নাক চেপে ধরলেন।দুই তিনঢোক খেয়ে আর পারলাম না গিলতে।বাকিটা পুরো আরমানের গায়ে ফেলে দিয়েছি।টলোমলো চোখে আরমানকে দেখলাম।উনি বুকের কাছে পান্জাবিটা আঙুল দিয়ে উচিয়ে ধরে দেখছেন।ভয়ে নিজেকে একটু গুটিয়ে নিলাম।কিন্তু এবার বমিও আসছে।উনি পান্জাবি ছেড়ে তাড়াহুড়ো করে আমাকে ধরে নিয়ে ওয়াশরুমের দিকে ছুটলেন।
ওয়াশরুম থেকে এনে আরমান বেডে শুইয়ে দিলেন আমাকে।শরীরটা দুর্বল তবে হালকা লাগছিলো।চোখটা অর্ধখোলা অবস্থায় দেখলাম আরমান আমার মাথায় হাত বুলিয়ে,গায়ে চাদর জরিয়ে দিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলেন।চোখটা বন্ধ করে নিলাম।একটুপর কপালে কারো স্পর্শ পেয়ে আবারো চোখ খুললাম।আরমান সম্পুর্ন খালি গায়ে আমার উপর ঝুকে আছেন!ফর্সা শরীরটা চোখে পরছে।হাতে পান্জাবিটা ঝোলানো।পাশ ফিরে তার দিকেই শুয়ে ধীর গলায় বললাম,
-অসভ্য,নির্লজ্জ,গায়েপরা!!!
আরমান মৃদ্যু হেসে দরজা লাগিয়ে বেরিয়ে গেলেন।ঘুম পাচ্ছিলো প্রচুর!ঘুমিয়েও গেলাম তখন তখনই!!!
#চলবে…