অপ্রকাশিত_ভালোবাসা পর্ব :৩

অপ্রকাশিত_ভালোবাসা
পর্ব :৩
#লেখক :ঐশি
এটা কি তাহলে কোনো মানুষ নাকি তাসফিয়ার বলা সে কোনো অদৃশ্য ছায়া ,,,,।চিন্তা করে কোনো সমীকরন দাড়া করাতে ই পারছি না ।আমার সাথে খারাপ কিছু হলেই সে এভাবে মরে যাচ্ছে কেনো ?আর কেনো ই বা এসব হচ্ছে ?
সারা রাত পুলিশ এর টহল ছিলো ।কোনো কিছু ই ঘটেনি কিন্তু ঘটলো এর পরের দিন ।যখন সকাল হলো সবে মাত্র ঘুম থেকে উঠেছি নাস্তা করবো এমন সময় দরজায় কলিংবেল ।আমি ভাবছি কে এলো এ সময় ?পুলিশ ই বা আসতে দিলো কি করে,,।দরজা খুলতে দেখলাম তাসফিয়ার আম্মু ।আমি অবাক হয়েছি কিন্তু তাসফিয়া একটুও অবাক হয়নি মনে হয় ও জানতো যে এমন কিছু একটা ঘটবে ।আমি কোনো কথা বলিনি এবং তাসফিয়াও না।তাসফিয়ার মা এসেই কান্না শুরু করলো ।তাসফিয়াও কান্না করছে অনবরত ।আমি এসব না ভেবে তাসফিয়ার মা কে প্রশ্ন করলাম,,,
–আপনি না হারিয়ে গিয়েছিলেন ?কোথায় ?আর ফিরে এলেন কিভাবে ?
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**

–সে একটা কাহিনী ,,,তার আগে আমার একটু বিশ্রা্ম লাগবে ।
আমি খাবার এর সব ব্যবস্থা ই করে রেখেছি ।এভাবেই দুপুর হলো ।আমি এই কাহিনীর সবটা ই জানতে চাই তা না হলে কোনো কিছু ই করা সম্ভব না ।তিনি বলতে শুরু করলেন,,,
–যেদিন আমার বিয়ে সেদিন তুমি তাসফিয়াকে নিয়ে গিয়েছিলে ।তারপর যখন আমার ফোন আনতে রুম এ আসি ঠিক তখন ই সারা ঘর এর লাইট বন্ধ হয়ে যায় ।আমি কিছু বলার আগেই কোনো কিছুর গন্ধে মাটিতে পরে যাই ।তারপর মনে হলো ঘুমিয়ে পড়ছি ।যখন ঘুম ভাঙলো তখন দেখি চারদিক অন্ধকার কেউ নেই ।একজন মানুষ এর ছায়া দেখলাম দেয়ালে কিন্তু তাকে দেখা যাচ্ছে না ।তিনি বলতে শুরু করলেন তাসফিয়াকে ছেড়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা ঠিক না ।যদি করিও তাহলে আমাকে মেরে ফেলবে ।আমি চুপ ছিলাম একদম ।যখন তাসফিয়ার কান্না দেখলাম এবং ও যে অসুস্থ হলো তা সব দেখে আমার মন মানুষিকতা পাল্টে গেলো ।কিন্তু কিছু ই বলতে পারছিলাম না ।এক সময় ছায়ার মতো কেউ একজন বলে উঠলো সন্তান যখন পথের কাটা তাহলে তাসফিয়াকে মেরে ফেলি ?তখন চিৎকার করে বললাম না ,?ওই একদিন সারাটা সময় কান্না করেছি ।এরপর আর কথা হয়নি ছায়ার মানুষের সাথে আমি ভেবেছি হয়তো তাসফিয়াকে মেরে ফেলেছে ।কালকে রাতে ওই এক ই বিকট গন্ধ ছড়ানো হয় আমি আবার ঘুমিয়ে পড়ি উঠে দেখি বাসায় ।হাতে তোমার বাসার ঠিকানা লিখা যে তাসফিয়া এখানেই আছে ।আমি উঠে এক দৌড়ে আসলাম ভাবলাম যে তাসফিয়া আর নেই ,,।কিন্তু আমি আমার মেয়েকে খুজে পেয়েছি ।
–বুঝলেন তো মেয়েটা কত ভালোবাসে আপনাকে ?
–হ্যা,তোমাকে অনেক ধন্যবাদ ।আমার মেয়েটাকে অনেক দেখে রেখেছো ।না হয় কোনো না কোনো খারাপ মানুষ এর হাতেও পড়তে পারতো ।আল্লাহ রক্ষা করেছে ।তা তুমি কে ?
–আমি যে ই হই আপনার মেয়েকে নিয়ে যান,,
আমার কিছু ই ভালো লাগছে না ।কে এই মানুষ যে এমন কাজ করছে ।আমার জীবন টা একদম শেষ করে ফেলছে ।আমি আর পেরে উঠতে পারছি না ।তাসফিয়া তার আম্মুর সাথে চলে গেছে ।আমি একা ই এই হোটেল এ থাকছি ।পুলিশ চারদিকে টহল দিচ্ছে ,আমি শুধু এই সব কিছুর সমাধান চাচ্ছি কারন আমার জন্যই হয়তো এই মানুষ গুলোর প্রান গিয়েছে ।এটার সমাধান আমাকেই বের করতে হবে ।পুলিশ কে আমার সব কথা খুলে বললাম কিন্তু অফিসার আমার কোনো কথা ই বিশ্বাস করতে রাজি না ।তারা এটা নিয়ে হাসা হাসি করে
।তারপর প্রমান সহ হাতে নাতে ধরবো বলে তাদের কে বললাম ।প্লেন ও ঠিক করে ফেললাম ।কোথায় কি করতে হবে সব বলে দিলো পুলিশ ।সেদিন রাতে এক পুলিশ ছদ্য বেশ এ রুম এ আসে ।তার সাথে ছোট্ট একটা পয়েন্ট নিয়ে ঝগড়া বাধিয়ে ফেলি ।এখন আমি নিশ্চিত যে এই লোক আর বাচঁবেনা কারন আমার সাথে যে ই খারাপ করে সে ই মারা যায়।ভেবেছিলাম এতে হয়তো কাজ হবে ।সারা রাত ভাবলাম কে হতে পারে ।কিন্তু পরের দিন যখন পুলিশের কিছু ই হলো না তখন বুঝলাম আসলে এসব কিছু ই না ।পুলিশ আমার কথা কে একদম হাসি দিয়ে উরিয়ে দিয়েছে ।তারা এক প্রকার পাগলও বলছে আমাকে ।এই হোটেল পাল্টে রিসোর্ট এ উঠবো ভাবছি কিন্তু এই পুলিশ রা নানা রকম সমস্যা করছে আমাকে ।অনেক কষ্টে সিলভার কেসেল রিসোর্ট এ চলে এলাম ।এর পাশেই পুলিশ এর থানা ।ভালো ই হলো আমার ।আমি এখন অন্য কিছু ভাবছি কারন আমার সাথে খারাপ কিছু করলে সে তো মরে যাওয়ার কথা মরলো না কেনো ? সমাধান আমাকেই বের করতে হবে ।এসব চিন্তা করছি আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখছি তাকিয়ে ।দুপুর এ গোসল করে কাপর বারান্দায় শোকাতে দিয়েছিলাম ।যখন বারান্দায় গেলাম তখন ই ঘরে একটা শব্দ হলো ।ফ্লোরে একটা কলম পড়ে আছে ।কলম টা হাতে নিয়ে তুললাম ,তার ভিতর থেকে বড় একটা কাগজ পেলাম মুচরানো ।আমি ভেবেছিলাম এটা কোনো পিচ্চি হয়তো ফেলে গেছে ।কিন্তু কাগজ খুলে যা লিখা ছিলো তা আমাকে অবাক এর শেষ প্রান্তে নিয়ে গেলো।লিখা ছিলো,,
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


–তুমি চাইলে ওই পুলিশকেও মেরে দিতে পারি ।কিন্তু পুলিশ এর ১ মাস এর একটা বাচ্চা আছে তাই কিছু ই করিনি ।তবে তুমি মনে করলে শেষ করে দিবো ।আর উরনা ছাড়া বারান্দায় যেয়ো না ।তোমার খারাপ হবে ।
এবার সত্যি ই অনেক ভয় পেলাম ।সে রাতে সব কিছু লাগিয়ে ঘুমিয়েছি ।সকাল এ তাসফিয়ার আম্মু আর তাসফিয়াকে আসতে বলেছি ।কারন এখানে আমার কেউ নেই ।সারাদিন তাসফিয়াকে নিয়ে ঘুরলাম ।তার আম্মুকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছি ।রাতে বসে আছি আমি আর তাসফিয়া ।তাসফিয়াকে ঘরে রেখে রান্না ঘরে যাবো এমন সময় একটা কি যেনো অতিদ্রুত চলে গেলো মনে হলো ।কি যে চলে গেলো বুঝতেই পারলাম না এটা কি ছিলো ?এভাবেই দশ দিন পার হয়ে যায় ।আমি আগের মতো ই স্বাভাবিক হয়ে উঠি ।বিকেল এ যখন একা একা পার্কে গেলাম নৌকায় ঘুরতে ।তখন ই কিছু বখাটে ছেলেরা বাজে কথা বলছিলো ।কথার উওর দিতেই বলা শুরু করলো,,
–চিনোস আমি কেডা ?এই এলাকার এমপির চাচাতো ভাই ।ভাব কম দেখাবি বুঝছস ?একদম চিরে খেয়ে ফেলবো ?
আমি কিছুই বলিনি জানি এর পরিনাম খারাপ হবে ।এরপর দিন আর বাসা থেকে বের হয়নি ।রিসোর্ট এর কেয়ার টেকার এর কাছে শুনেছি ওই এমপির চাচাতো ভাই নাকি খুন হয়েছে ।সাথে ওই চেলা পেলা গুলোও ।আমি জানি এসব এর পিছনে শুধু আমার রাগ থাকার কারন ।এখানের স্থানীয় পুলিশ অফিসার আমাকে নানা রকম কথা শুনিয়েছে ।কারন এই সব মৃত্যুর জন্য নাকি আমি ই দায়ী ।কিন্তু কেউ আমাকে থানা পর্যন্ত নিতে পারছে না কারন কেউ একজন এর মাধ্যমে তারা জেনেছে আমাকে কিছু করলেই তাদের নানা রকম সমস্যায় পড়তে হবে ।এভাবেই দিন কাটতে থাকলো আমার ।চারদিকে পুলিশের সিকিউরিটি থাকতো আমার। একদিন পার্কে বসে ছিলাম হঠাৎ একটা ছেলে এসে আমাকে এক গুচ্ছ ফুল দিয়ে কোনো কিছু না বলে চলে গেলো ।এতো ডাকলাম শুনলো ই না ।আমি ভাবলাম হয়তো এই ছেলেটাও শেষ হবে কিন্তু না তার কিছু ই হলো না ।এভাবে তিন দিন হলো ছেলেটা রোজ ফুল দিয়ে কোনো কথা না বলে চলে যেতো ।আমি এই তিন দিন মনে অনেক সাহস পেয়েছি কারন এর আগে যে ই আমাকে কটু কথা বলেছে সে ই শেষ ।এক সময় ছেলেটার সাথে একদিন কথা বললাম ।এর পর দীর্ঘ দুই মাস পর ছেলেটা আমাকে প্রপোজ করলো ।আমিও না করিনি কারন একমাত্র এই ছেলে ছাড়া়া আমার আর কেউ ই নাই ।
এভাবেই এলো পহেলা বৈশাখ ।সেদিন ই ফারদিন এর সাথে দেখা করতে যাবো তার হাত ধরে আজ ই প্রথম হাটবো ।সুন্দর করে সাজলাম যখন বের হবো ঠিক তখন ই আমার ঘাড়ে কিছু একটা গেথে গেলো মনে হলো ।সেটা খুলে সামনে আনতেই দেখলাম কলম এর কালি থাকে যে পাইপ এ সেই পাইপ এর মাথায় সুই এর মতো চুকা যা আমার ঘাড়ে গিথে ছিলো ।এই পাইপে কিছু একটা তরল পদার্থ ছিলো ।কিন্তু কিছু বলার আগে ই আমি ঙ্গান হারাই ।আমি যখন জেগে উঠি সামনে তাকাতেই দেখি একটা বিশাল বড় ছায়া ।তখন ই শুনতে পেলাম,,,
–কত গুলো খুন করেছি জানি না ।তবে সবার শেষ এ তো আমাকে যেতে ই হবে ।আর পাচঁ মিনিট পরে জানতে পারবে আমি কে ,,,,।আমি সব কিছুর সমাধান দিয়েই আমি চলে যাবো ।
চলবে….
.

#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here