#প্রেমময় প্রহর (deewana 2)
Urme prema (sajiana monir)
পর্ব :১৬
মাত্রই বাড়ির সামনে গাড়ি থেমেছে সায়রী চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গাড়ি থেকে সবটা দেখছে পুরো বাড়ি মরিচ বাতিতে ঝলমল করছে রাতের অন্ধকারে ও যেন দিনের মত আলোকিত হয়ে আছে ।
গাড়ি দেখতেই একদল মেয়ে বাড়ির দরজা থেকে দৌড় দিয়ে আসে গাড়ির কাছে সবার মুখই বেশ হাসি উজ্জল ।সায়রী এত অচেনা লোকজন দেখে বেশ ঘাবড়িয়ে গেছে পাশ থেকে আদিল তা বুঝতে পেরে সায়রী কাধেঁ ভরসার হাত রাখে তাতে যেন সায়রী বেশ খানিকটা সাহস পায় বড় একটা শ্বাস নিয়ে গাড়ির থেকে নামার জন্য পা বাড়ায় ।বাড়ির দরজা থেকে মিষ্টি মুখ করে আদিলের মা সায়রীকে ঘরে তুলে ।
সায়রীর সবার মাঝে নার্ভাস হচ্ছে বার বার নিজের উড়না নিয়ে টানাটানি করছে চারদিকে কিছু মেয়েরা সায়রীকে ঘিরে বসে আছে বিভিন্ন কথা বলাবলি করছে কিন্তু সায়রীর তার দিকে কোন খেয়াল নেই !
তার বাড়ির কথা খুব মনে পড়ছে ।আদিলকে দরজার সামনে দাড়িয়ে থাকতে দেখেই মেয়েগুলো হুরহুর করে বেরিয়ে যেতে লাগে যাওয়ার সময় সায়রীর কানে ফিসফিসিয়ে কিছু বলে গেল যা শুনে সায়রী লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে ।
মেয়েগুলো চলে যেতেই আদিল ধপ করে দরজা বন্ধ করে দেয় সায়রী তা দেখে কিছুটা লজ্জা লাগছে আবার কিছুটা নার্ভাস হচ্ছে এটা প্রত্যেকটা মেয়ের জন্যই খুবই কঠিন সময় প্রত্যেকটা মেয়েরই এসময়ে এমন অনুভূতি হয় মনে অজানা ভয় লজ্জা কাজ করে ।আদিল সায়রীর সামনে বসতেই সায়রী নিজে কিছুটা ঠি ক ঠাক হয়ে বসে আদিলের চোখে কেমন যেন এক আখাংকা কাজ করছে তা সায়রীর ছোট ছোট চোখ করে দেখছে সায়রীর ভয়টা যেন আরো বেড়ে গেল ।
আদিল সায়রীর দিকে তাকিয়ে আছে ঘোর লাগা চোখে তা দেখে সায়রী চোখ নামিয়ে ফেলে ।আদিল মাতাল কন্ঠে বলে
-“আমার কিছু চাই “
তা শুনে সায়রী নিচু কন্ঠে বলে
-“কি চাই আপনার ?”
-“দিবে তো ?”
-“আমি আমার সাদ্যমত চেষ্টা করবো !”
-“সারাজীবন আমার পাশে ছায়ার মত রবে তো !
যত ঝড়ঝপট্টাই হোক ছেড়ে যাবেনা তো ।আমার পরিবারকে প্রতি নিজের পরিবার ভেবে আপন করে নিবে তো ।”
সায়রী অবাক চোখে তাকিয়ে বলে
-“এই কথা রাখার জন্য বলছিলেন ?”
আদিল শান্ত চোখে তাকিয়ে বলে
-“হুম ! তুমি কি ভাবছিলে ?”
সায়রী মাথা নিচু করে বলে
-“কিছুনা !”
আদিল চোখ টি প মেরে বলে
-”অন্যকিছু ?”
সায়রি লজ্জায় আদিলের বুকে মাথা লুকিয়ে বলে
-“উহু “
আদিল সায়রীর মাথায় হাত রেখে বলে
-“আমি আমার বউয়ের মন বুঝি তোমার সব মানিয়ে নিতে সময় লাগবে তো !
টেক ইউর টাইম লাভ ।”
সায়রি অবাক চোখে মাথা তুলে তাকায় তার মনে একটাই প্রশ্ন সত্যি কি এমন মানুষ ও আছে ?
যে নিজের স্ত্রীকে এতটা সম্মান করতে জানে এতটা বুঝতে পারে !
হঠাৎ সায়রীর ধ্যান ভাঙ্গিয়ে আদিল বলতে লাগে
-“তুমি তো আমার কথার উত্তর দিলেনা ?”
সায়রী আবার আদিলের বুকে মাথা রেখে বলে
-“হুম আমি সর্বদা আপনার সাথে আপনার ছায়া হয়ে থাকবো !”
আদিল আর দেরি না করে নিজের বুকে সায়রীকে জরিয়ে নেয় ।
জানালা বেদ করে সকালের আবছা রোদ সায়রার চোখের উপর পড়ছে চোখে রোদ পড়তেই সায়রা বিরক্ত নিয়ে কপাল কুচকিঁয়ে নেয় । বাতাসে জানালার পর্দা গুলো নোড়ছে আর সেই সুযোগে ভিতরে আবছা রোদ আসছে সায়রা মুখে বার বার আলো পড়ছে এক সময় সায়রা বিরক্ত হয়ে চোখ দুটো ডোলতে ডোলতে মেলে তাকায় ।
চারপাশে তাকিয়ে দেখে সকাল হয়ে গেছে সকাল বললে ভুল হবে প্রায় দুপুর হয়ে আসছে !
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ১০:৩০ বাজে সায়রা আর কোন দিকে খেয়াল না করে নিজের জামা কাপড় ঠি ক ঠাক করে তারাতারি উঠে পড়ে বিছানা থেকে ফ্রেশ হতে চলে যায় ।খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ফ্রেশ হয়ে তয়লা দিয়ে চুল মুছতে মুছতে বাহিরে আসে সে !
বেডের সামনে এসে দেখে আরসাল এখনো ঘুমে পুরোপুরি মগ্ন যেন কত বছর পর শান্তির ঘুম ঘুমোচ্ছে ।সায়রা কিছুটা নিচু হয়ে আরসালকে দেখছে কতটা শান্ত আর নিষ্পাপ লাগছে ।মনে হচ্ছে দুনিয়ার সব মায়া তার উপর ডেলে দিয়েছে উপরওয়ালা !
এই লোকের প্রত্যেকটা জিনিস ই সবার চেয়ে আলাদা একদম অন্যরকম প্রত্যেকটা লুকেই তাকে এতটা কেন ভালো লাগে ?
ইসসস এই লোক কি তাকে পাগল করে দিবে !
এতটা সুন্দর কেন এই লোক ।
ইচ্ছে করে সারাবেলা তার মাঝে ডুবে থাকতে ।
এমন হাজারটা কথা ভাবছে সায়রা ।
কিছুসময় পরই সায়রা দ্বিধায় পড়ে আর তা হলো আরসালকে কি করে ঘুম থেকে তুলবে ?
আচ্ছা সে কি নামে ডাকবে !
ও গো শুনছো ? নাকি এই যে উঠুন ?
নাকি কিছু না বলে বোবার মত শুধু টেনে তুলে উঠাবে
আচ্ছা কি বললে সে খুশি হবে ?
কি বলে উনাকে সম্মধন করবে !
এমন হাজার চিন্তা তার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে ।
না আর পারছেনা সায়রা তাই অবশেষে সকল চিন্তা বাদ দিয়ে আরসালের মাথার কাছে বসে নিচু হয়ে নিজের দুগালে হাত রেখে আরসালের চোখের দিকে গভীর ভাবে তাকিয়ে আছে কখন সে চোখ খুলবে ।
এভাবে দু মিনিট যেতে না যেতেই হুট করে আরসাল তাকে বুকে জরিয়ে নেয় সায়রা বিষন ভয় পেয়ে যায় হঠাৎ এমন কিছু হওয়ায় তার চোখ জোড়া রসগোল্লার মত গোল গোল বড় হয়ে যায়।আরসাল নিজের বুকের মধ্যে টেনে রেখেছে তার ঠোঁটের কোনে মুগ্ধ করা হাসি ।ঘুম থেকে উঠার কারনে চোখ গুলো কিছুটা ফোলা ফোলা ।ঠোঁটের নিচের তিলটা এত সুন্দর লাগছে যে শুধু দেখতেই ইচ্ছে করছে ।
সায়রার মনে বরাবরের মত একটাই প্রশ্ন -” ইশশশশ এই লোকটা এত সুন্দর কেন ?”
রিতীমত সায়রার শ্বাসনিশ্বাস উঠানামা করছে এক অস্থিরতা তার ভিতর কাজ করছে ।অদ্ভুদ অসয্য ভালোলাগার অনুভূতি এটা । যা না কোন শব্দে প্রকাশ করা যাবে না কোন ভাষায় !
আরসাল সায়রাকে নিজের বুকের সাথে জরিয়ে নিয়ে বলে
-“গুডমর্নিং রূপমোহিনী !”
সায়রার হালকা আওয়াজে উত্তর
-“গুডমর্নিং “
মাথা উচুঁ করে আরসালের দিকে তাকাতে পারছেনা লজ্জায় নিচের দিকে তার চোখ ।আরসাল সায়রার দিকে একমনে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে আজ তার রূপমোহিনীকে একদম নতুন বউ লাগছে ।চুল থেকে টপ টপ করে পড়া পানি আরসালের বুকে পড়ছে ঠোঁট জোড়া রক্ত জবার মত টকটক করছে একদম অদ্ভুদ সুন্দর লাগছে মায়াবী পুতুল চোখের মায়ায় আরসালের নেশা ধরে যাচ্ছে ।
এমন একটা সকালের জন্যে কতই না অপেক্ষা করেছে এই সকালটা যেন তার জীবনের সব চেয়ে সুন্দর সকাল ।আরসাল নিজের প্রত্যেকটা সকাল এমন মধুময় চায় ।
সায়রা আরসালকে এই ভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে হালকা আওয়াজে বলে
-“অনেক বেলা হয়েছে উঠুন
নিচে সবাই কি ভাববে !”
আরসাল সায়রার কোলে মাথা রেখে লম্বা হয়ে শুয়ে পড়ে চোখ বন্ধ করে বাকাঁ হেসে বলে
-“কি আর ভাববে ?
আমরা স্বামী স্ত্রী এক সাথে আছি নিজেদের প্রাইভের্ট টাইম স্পেন্ড করছি !”
-“আপনার কি মুখে কিছু বাজে না ?”
-“মুখে এত বাজা বাজির কি আছে যা সত্যি তা বলছি ।”
-“আ..আ..আপনি না “
আরসাল চোখ খুলে সায়রার দিকে তাকিয়ে বলে
-“আ..আ..আমি কি ?”
-“একটা অসভ্য ।”
-“এই অসভ্য হওয়ার পিছনে তোমারই অবদান রয়েছে !”
-“বুঝেছি !
এবার তো আমাকে যেতে দিন ।”
-“উমম এক শর্তে যেতে দিবো !”
সায়রা কপাল কুচঁকিয়ে বলে
-“কি শর্ত ?”
-“আমাকে কিস করতে হবে !”
সায়রা আরসালের কথা শুনে চোখ বড় বড় করে বলে
-“আমি পারবোনা !”
-“তাহলে আমিও এখান থেকে উঠছিনা !”
-“আরসাল প্লিজ এমন করবেনা !”
-“সরি ডার্লিং কিস না করতে আমি ছাড়ছিনা !”
সায়রা ছোট ছোট চোখ করে বলে
-“করতেই হবে ?”
-“হুমমমম !”
সায়রা আরসালের গালে টুপ করে চুমু দিয়ে বলতে লাগে
-“এই যে করেছি এবার তো ছাড়ুন !”
-“সায়রা এটা চিটিং !”
-“কিসের চিটিং আপনি কিস করতে বলেছেন আমি কিস করেছি আপনি তো আর কিছু বলেননি তাই না !
আপনি প্রমিজ করেছেন এবার আপনার প্রমিজ আপনাকে রাখতে হবে !”
আরসাল মন খারাপ করে উঠে বসে সায়রা সেই সুযোগে আরসালের গাল টেনে দৌড় দেয় আরসাল সায়রার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগে ।
নিচে এসে সায়রা সরাসরি কিচেন রুমের দিকে পা বাড়ায় সেখানে যেতেই দেখে রিদ্ধি আগের থেকে সেখানে রয়েছে সায়রা যেয়ে রিদ্ধির পাশে দাড়ায় ।রিদ্ধি ঘাড় ঘুরিয়ে পাশ ফিরে সায়রার দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসতে লাগে সায়রা তা না বুঝে চোখ দুটো খিচেঁ ছোট ছোট করে নিজেকে ভালো করে খুটিয়ে দেখতে লাগে কিন্তু না কিছুই সে পেল না !
তাই শেষে রিদ্ধিকে প্রশ্ন করেই বসে
-“দি তুমি এমন হাসছো কেন ?”
রিদ্ধি হাসি আটকানোর চেষ্টা করে সায়রার দিকে পুরোপুরি ঘুরে উত্তর দেয়
-“কই না তো ?”
সায়রা হালকা জোরে আওয়াজে বলে
-“আমি একটু আগে ঠি ক দেখেছি তুমি হাসছিলে !”
-“আচ্ছা তুই এসব ছাড় এবার বল কাল রাতে কি হয়েছিলো ভাইয়া কি বললো !
তোদের মধ্যে কিছু হয়েছে ?”
সায়রা লজ্জায় মাথা নিচু করে বলে
-“ওহ দি তুমিও না !
কি যে বলো ।”
-“ও আমি বললেই দোষ তাই না ?
তোর গলার নিচে দাগটা স্পষ্ট সব কিছু প্রমান করে দিচ্ছে !”
সায়রা লজ্জায় পড়ে যায় তারাতারি করে গলার নিচের দাগটা ঢাকতে ব্যস্থ হয়ে পড়ে ।
রিদ্ধি মুচকি হেসে সায়রা কাধেঁ হাত রেখে বলে
-“হ্যা রে তোর আর ভাইয়ার মাঝে সব ঠি ক আছে তো ?”
সায়রা ঘাড় ঘুরিয়ে মুচকি হেসে উত্তর দেয়
-“হ্যা দি সব ঠি ক আছে ।”
রিদ্ধি মুচকি হেসে বলে
-“আমি চাই সবসময় যেন সব ঠি র থাকে আর তুই যেন এ ভাবেই হাসি খুশি থাকিস ।
জীবনের সব সুখ যেন পাস যা সবার জীবনে থাকেনা ।”
শেষের কথাটা বলতেই রিদ্ধির চেহারায় উদাসিনতা ফুটে উঠে যা সায়রার চোখের আড়াল হয় না ।এই উদাসিনতার কারনটাও খুজেঁ পায়না সে !
আজকাল নিহাল কেমন যেন সারাদিন চিন্তায় ডুবে থাকে খাওয়া দাওয়া ঘুম দুনিয়ার অন্যসব খেয়াল সব যেন একদমই ছেড়ে দিয়েছে এসব কিছু ঠি ক নিহালের মায়ের চোখে পড়েছে হঠাৎ ছেলের এমন পরিবর্তনে নিজে বেশ ঘাবড়িয়ে গেছে ।মায়ের মন তো ঠি ক সবটা ধরতে পারে ।এইতো এতসময় ধরে রুমে এসেছে কিন্তু নিহালের যেন কোন খেয়ালই নেই এখনো কল্পনা জগৎ এ ডুবে আছে !
নিহালের মা ছেলের মাথার কাছে বসে মাথায় হাত রাখতেই নিহাল কেপেঁ উঠে পাশ ফিরে মা কে দেখে সস্থির নিশ্বাস ছেড়ে বলে
-“আরে মা তুমি ?
কিছু বলবে !”
রাহেলা বেগম চিন্তিত স্বরে বলে
-“হ্যা রে বাবা তোর কি হয়েছে আজ কাল কেমন যেন উদাসিন হয়ে থাকিস ।
কিছু কি হয়েছে ?”
-“না মা তেমন কিছুনা !”
-“কাউ কে তি তোর পছন্দ ?
যদি কেউ পছন্দের থাকে তাহলে আমাদের বল আমি আর তোর বাবা মেয়ের বাড়িতে বিয়ের প্রস্থাব নিয়ে যাই ।”
নিহাল সোজা হয়ে উঠে বসে বলে
-“ওহ মা আমি এখনো ছোট নেই যে সব তোমরা এনে দিবে আমি চাই তাকে নিজ থেকে রাজি করিয়ে তার সম্মতি নিয়ে কথা সামনে আগাতে ।
সময় হলে আমি বলবো তোমারা তখন তার বাড়ির লোকেদের সাথে কথা বলে নিও !”
রাহিলা বেগম ছেলের কথা শুনে উৎসুক হয়ে বলে
-“হ্যা রে বাবা মেয়েটা কে ?”
নিহাল আমতা আমতা করে বলে
-“রিদ্ধি ভাবীর ছোট বোন মুন !”
রাহেলা বেগম খুশি হয়ে বলে
-“মুন ! মেয়েটাকে আমার বেশ পছন্দ সায়রীর বিয়েতে দেখেছি খুব মিষ্টি দেখতে ।তিনটা বোন যেন একদম মোমের পুতুল আমার খুব ভালো লাগে !”
রাহেলা বেগম তারাতারি নিজের স্বামীর কাছে গেলেন এই খবর দিতে ।
পশ্চিমা আকাশে সূর্য ডলে পড়েছে সন্ধ্যা নামার পথে পুরো বাড়ির সবাই খুব ব্যস্থ তোড়জোড় করে রেডি হচ্ছে কারন সন্ধ্যার পর সায়রীর বিয়ে ।মুনতাহা বেগম এদিক থেকে ঐদিক দৌড়াদৌড়ি করছে আর সবাইকে তাড়া দিচ্ছে তাড়াতাড়ি বের হবার জন্য !
সায়রাও রেডি হয়ে গহনা সেটআপ করছে সকালেই মুনতাহা বেগম গহনা গুলো দিয়ে গেছে আর কড়া নির্দেশ দিয়ে গেছে যে আজকের অনুষ্টানে এসব পড়তে হবে !আরসাল বেডে হেলান দিয়ে সায়রার দিকে তাকিয়ে আছে সায়রার প্রত্যেকটা কাজ গভীর ভাবে লক্ষ করছে ।
আজ দুজন মেচিং করে একই কালারের ড্রেস পড়েছে সায়রার ব্লু ফ্লফি গ্রাউন পড়েছে আর আরসাল ব্লু স্যুট
সায়রা কানের দুল লাগাতে লাগাতে আরসালের সামনে এসে বলে
-“এভাবে তাকিয়ে না থেকে একটু হেল্প করেন না !”
-“আমি তো তোমাকে হেল্প করার জন্য মন প্রান উজার করে বসে আছি !
বল ডার্লিং কি করতে হবে ?”
সায়রা কানের দুল সামনে ধরে বলতে লাগে
-“এটা পড়িয়ে দিতে হবে !”
-“ব্যাস এতটুকুই ?”
-“আমিতো ভাবছিলাম আর কি কি হেল্প করতে হবে !”
আরসাল শয়তানি বাকাঁ হেসে বলে ।সায়রা আরসালের বুকের উপর বারি মেরে বলতে লাগে
-“আপনিও না একটা অসভ্য !”
-“এর পেছনেও তোমার অবদান !”
-“হয়েছে হয়েছে এখন হেল্প করবেন নাকি আমি রিদ্ধি দীর কাছে যাবো ?”
-“আমি থাকতে রিদ্ধি কেন হেল্প করবে !
আমি করে দিচ্ছি এক মিনিট ।”
আরসাল সায়রার কানের দুল পড়িয়ে দিতে লাগে ।
আদিলদের বাড়ি খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে পুরো হল রুমে অনেক লোক জনে ভরা সবাই যার যার মত ব্যস্থ সায়রী স্টেজে বসে আছে পাশেই আদিল সবাই তাদের কাপল ফটো তুলছে ।হঠাৎ সায়রী বাড়ির গেটের দিকে তাকাতেই চোখ জোড়া খুশিতে ভরে উঠে তার বাড়ির লোকেদের দেখে ।সায়রীর ইচ্ছে করছে স্টেজ থেকে উঠে বাড়ির লোকেদের কাছে ছুটে যেতে কিন্তু নতুন বউ বলে তা পারছে না !
আরসালরা সবাই এক এক স্টেজে যেয়ে সায়রীর সাথে দেখা করে আসে ।পুরো অনুষ্টানে আদিলের ফুপি আর তার ফুফাতো ভাইকে দেখা যায়নি তারা কাল আরসালের থ্রেডে সেখান থেকেই চলে গেছে আর বাড়িতে আসেনি ।
পুরো অনুষ্টান আরসাল সায়রাকে নিজের খুব কাছাকাছি রেখেছে এক সেকেন্ডের জন্যও চোখের আড়াল হতে দেয়নি সায়রাকে ।পার্টিতে সবাই তাদের দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে আর তাদের জুটির বেশ প্রশংসা করছে ।
অনুষ্টান শেষ হতেই নিয়ম অনুযায়ী সায়রী আদিল কে আরসালদের বাড়ি তে নিয়ে যাওয়া হয় ।তাই সবাই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে পড়ে ।
আরসাল গাড়ি চালাচ্ছে আর সায়রা তার পাশের সিটে বসা তার কাধে মাথা দিয়ে রেখেছে খুব সুন্দর মুহূর্ত আকাশে পুরো চাদঁ দেখা যাচ্ছে আর এই চাদেঁর আলোয় চারদিক আলোকীত হয়ে আছে ।
সায়রা চোখ বন্ধ করে সময়টাকে অনুভব করছে ।ইচ্ছে করছে সারাজীবনের জন্য সময়টাকে ধরে রাখতে ।
চলবে….❤️