Addiction পর্ব ৮

#Addiction

Partঃ 8

Megh La

-মা আন্টিটা খুপ পঁচা আমাদের নানার বাসায় পাঠয়ে দিচ্ছে মা।
-না বাবা এভাবে বলতে নেই। ওই আন্টি না বাবা আমাদের ভাগ্য আমাদের ওখানে পাঠাচ্ছে তুমি চিন্তা করো না খুব জলদি ফিরে আসবো।

(-কি বলোতো মায়া মা আমাকে মিথ্যা বললেন এই প্রথম । আমি তো ছোট ছিলাম বুঝতে পারিনি আমার জন্য কি অপেক্ষা করছে।
-তার পর। (নীলের দিকে তাকিয়ে)
-মা আমাকে নিয়ে নানার বাসায় এলেন নানা আামাদের দেখেই মাকে বেরিয়ে যেতে বলে। কিন্তু মা নানাকে একটু কথা বলতে চেয়েছিলো। হাজার হোক মেয়েতো নানা মাকে একটা সুযোগ দেন৷ তার কথা explain এর)
আতিত,

-বাবা তোমার আমার পরে তো অনেক রাগ অভিমান, অভিযোগ ,আছে তোমার আমি বুঝি বাবা কিন্তু আমার ছেলে টাকে তুমি ফিরিয়ে দিও না। ওকে দেখার দায়িত্বটা নেও না বাবা।
– তুই ভুল করেছিস কিন্তু বাচ্চা ছেলেটার দোষ দেখছি না। শুধুমাত্র ওর জন্য তোকে এ বাসায় জায়গা দিলাম।
-ওর খেয়াল রেখ বাবা।

-মায়ের মুখ থেকে শোনা আমার শেষ কথাটা মা দৌড় দিলেন আমি মায়ের পেছন পেছন যাচ্ছি হটাৎ করে মা ছাদে গেলেন আর লফ দিলেন। আমি মায়ের কাছে যেতে নিলে নানাজান আমাকে ধরে বসে। মাকে জলদি হসপিটালে আানা হয়। কিন্তু মা মাথায় এতটা আঘাত খায় যে কোমায় চলে যায়। ডক্টর বলেছিলেন মাকে হয়তো এভাবেই সারা জীবন কাটাতে হবে। নানাজান সে দিন ডাক ছেড়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিল।মা মারা যাবার ২ দিন পরে বাবও মারা যান আমি বুঝতে পারিনি কেন মারা গেলেন তিনি। তার পর আমি বুঝতে পারলাম ওই মহিলা ওর জন্য আমি আামার সব হারিয়েছি আনাথ হয়েছি আমি। জানো মায়া তার পর থেকে নানাজান আমাকে মানুষ করেন। কখনো কিছুতে কমতি দেয় নি। কিন্তু কপালতো আমারই আামার বিজনেস টপে ওঠার ১ বছর পর নানাজানও আমাকে ছেড়ে চলে জান এই এতো বড়ো পৃথিবীতে আমি একা।
তখন তোমাকে খুজি আমি অনেক কষ্ট তোমাকে বার করি। এবং তোমার উপর নজর রাখি ২৪ ঘন্টা। বাঁচবো না আমি তোমাকে ছাড়া৷ মরে যাবো।
সবথেকে বেশি অবাক হবে মহিলাটির কে সেটা শুনে।

– সে,,,ই মহি,,,,,লাটি,,,,,,, ক,,,কে ছি,,,ছিলো।
-তোমার মা।
-কি কখনো না আপনি মিথ্যা বলছেন। নীল। আমার মা কখনো এটা করতে পারে না।
-আমাকে বিশ্বাস না হলে নিজের মাকেই জিজ্ঞেস করো মায়া আরু আপনার কে হয় এটা বলে।
( মায়ার পৃথিবী উল্টে যাচ্ছে কি হচ্ছে এসব নীলের মা বাবার এই আবস্থার জন্য ওর মা দায় না না এ কেমন করে সম্ভব। মায়ার মাথায় অনেক চাপ পরার কারনে মায়া সেন্স হারায়।)

চোখ খুলে নিজেকে নীলের রুমে আবিষ্কার করে মায়া সামনে নীল বসে আছে।
-ঠিক আছো তুমি।
-জী।
-খাবারটা খেয়ে নেও।
-আমি আম্মুর কাছে যাবো।
-কি ( মায়ার দিকে রাগি মুডে তাকিয়ে)
– মানে আপনি মিথ্যা বলছেন আমি মায়ের কাছে সব জানতে চায়। ।
-সব হবে আগে খেয়ে নাও৷ ।
-আমি খাবো না।
-কি?
-আপনার মতো একটা মিথ্যাবাদির কছে আমি খাবো না। থাকবো না এখনে মায়ের কাছে জাবো। (চিল্লিয়ে) ।
মায়ার কথা শুনে রাগের চরম শিমা পেরোলো নীল৷ মায়াকে খাট থেকে টেনে নিচে ফেলে দিলো। তাতে বেশ ব্যাথা পেল মায়া।
-তোর কি মনে হয় আামার অসুস্থ মাকে নিয়ে আমি মিথ্যা বলছি। আরে মিথ্যা তো তোর মা আমার জীবন টাকে করে দিছে। মায়া আমাকে আর রাগাস না তুই চুপচাপ খেয়ে নে নাহলে কি করবো আমি নিজেও জানি না৷
-খাবোনা খাবোনা খাবোনা কি করবেন আপনি মারবেন মারেন না মারেন এভাবে প্রতিদিন মরা থেকে এক বারে মরা ভালো।
নীল মায়াকে তুলে ৩ টা তিব্র চড় মারলো যেটা মায়া নিতে না পেরে মাঝেতে পরে গেল। মায়ার শরীর এমনি ভালো যাচ্ছে না এই মানসিক, শারীরিক টর্চার সে আর নিতে পারছে না।
-খুব মরার সখ না। মৃত্যু যন্ত্রণা কি তা সম্পর্কে কোন ধারনা আছে তোর। তুই এখনি খাবি।
নীল মায়াকে তুলে ওর দুহাত বেধে খাবার মুখে দিয়ে ঠেসে ধরলো। মায়াকে খুবই কষ্ট দিয়ে খাবার গুলো খাইয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল নীল। মায়া ওখানে বসেই কাঁদছে ।
এটা কেমন জীবন। আচ্ছা সত্যি কি মা। না না আমার মা এমন না৷ আম্মু আমাকে তোমার কোলে একটু যায়গা দিবে গো। আমিযে আর পারছিনা। আমার কষ্ট হয়ে গেছে আমাকে নিয়ে নেও আল্লাহ। মায়ার চোখ বুজে এলো।

ওদিকে নীল,
– নাহ রাগের মাথায় মেয়েটাকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেললাম। আমার রাগটা কেন কথা শুনে না৷ (নীল কিছু ভাবলো। ) মায়া তোমার সামনে শুধু এখন সত্যিটা আসবে। আর কষ্ট পেতে দেবনা তোমায়।
নীল রুমে এসে দেখে মায়ার হাতের বাধনটা সেভাবে আছে। বাচ্চা মেয়েটা খাটে আধশোয়া আবস্থাতে পরে আছে।
নীল গিয়ে মায়ার হাতের বাধন খুলে দিয়ে মায়াকে জরিয়ে ঘুমিয়ে পরে৷
সকালে,
মায়া নিজেকে নীলের বুকে আবিষ্কার করে। কিন্তু ও তো একা ছিলো তাহলে। কালকে রাতের কথা মনে পরতে মায়া নড়ে উঠে উঠবার জন্য। নীলের ঘুম ভেঙে যায়।
– কি হলো তুমি নরছো কেন?
-ছাড়ুন আমাকে৷
-হুম আমার ঘুমটা শেষ হলে।
-একটা মানুষ এটতা বহু রুপি কিভাবে হতে পারে৷
– আমি সব পারি মায়ার গলায় কিস করে।
মায়া নীলের এমন কান্ডে জমে যাচ্ছে।
-বলছি খুদা পেয়েছে৷
– এই তোমার সমস্যা কি আমি রোমাঞ্চ করতে আসলে তোমার খুদা পায়। (বিরক্ত শুরে)
-পেলে কি করবো. (ভেংচি দিয়ে)
নীল উঠে মায়াকে এই বাথরুমে যেতে বলে নিজে আন্য বাথরুমে চলে যায়।
ফ্রেশ হয়ে নীল মায়াকে নিয়ে টেবিলে এসপ খাবার খাইয়ে দিতে যাবে,
-আমি খেতে পারবো।
-(নীল বুঝতে পারলো মায়া কেন রেগে আছে। ) ঠিক আছে নেও।
-জান তুমি আমাকে মিথ্যাবাদি বলছো তো আজকে রাতে একটা পার্টি হবে সেখানে সব ক্লিয়ার করে দিবো আমি৷
-কি ভাবে?
-সেটা রাতে দেখতে পাবে।

চলবে,
(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here