প্রতিদিন রাতে আমার স্বামীর কাছ থেকে আমাকে বৈধভাবে ধর্ষণের স্বীকার হতে হয়। বিয়ের পর থেকে না চাইলেও প্রতিরাতে বিছানায় যেতে হয়। আমি হলাম তার ভোগের সামগ্রী।
মাত্র সতেরো বছর বয়সে আমাকে বিয়ের পিরিতে বসতে হয়েছে। আমি এ বিয়েতে রাজি ছিলাম না তবুও বাবা, চাচারা মিলে আমাকে জোড় করে বিয়ে দিয়েছে। কত কেঁদেছি, পা পর্যন্ত ধরেছি কারও পাথর মন গলাতে পারিনি। কত করে বলেছি আমি পড়াশুনা করতে চাই, নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই কিন্তু কেউ আমার কথার মূল্য দেয়নি।
তাদের একটাই কথা মাইয়া ম্যাইসের এত পড়ালেখা করতে নাই। বিয়ে দিমু স্বামীর লগে সংসার করবা, বাচ্চাকাচ্চা পালবা, এইডাই তোমাগো কাজ। আমাদের বংশে মাইয়্যাগো আঠারো বছর হবার আগেই বিয়া দিয়া দেয়। বুড়ি কইরা মাইয়্যা বিয়ে দেয় না। দেখ নাই তোমার ফুফুদের, বোনদের ষোলো বছর হবার আগেই বিয়ে দিয়েছি।
আমি জান্নাত ইন্টার প্রথমবর্ষে পড়ি। গ্রামের একান্নবর্তী পরিবারে আমার জন্ম। আমার পরিবারে মেয়েদের কোন মূল্য নেই দাদা, বাবা, চাচারা যা বলবে তাই মেনে নিতে হবে এটাই হলো একান্নবর্তী পরিবারের নিয়ম।
নিজের সবকিছু বিসর্জন দিয়ে আমার চেয়ে দ্বিগুণ বয়সী মানুষের সাথে বিয়ে দিয়েছে। বাবার একটাই কথাই ছিল টাকার কাছে বয়সটা কোন ফ্যক্ট না। টাকা হলেই সব কিছু মানিয়ে নেয়া যায়। ছেলে জনতা ব্যাংকের ক্যাশিয়ার সরকারী চাকরী এমন ছেলে সব সময় পাওয়া যায় না। আজ হোক কাল হোক পরের ঘরে তো যেতেই হবে সারাজীবন তো আর বাবার ঘরে থাকা যাবে না।
আমি আমার বাবার কথাশুনে অবাক হয়ে যাই। বাবা একজন স্কুলের প্রধাণ শিক্ষক হয়ে তার তো এমন কথাটা শোভা পায় না। মেয়েরা হলো মা-বাবার বোঝা।কথায় আছে না, কোলার গরু ঝোলারে দেয় এমনি আমারেও বুড়া লোকের কাছে বিয়ে দিয়েছে। আমি এই বিয়েতে একদম খুশি না। লোকটিকে কেমন কেমন দেখায়!
বিয়ের আগেরদিন দাদী আমাকে শিখিয়ে দিয়েছিল বাসর রাতে কীভাবে কী করতে হবে..? শুনে মেজাজ গরম হয়ে গেছিল তবুও কিছু করার নেই মুখ বুঝে সবকিছু হজম করলাম।
বিয়ে করে আমাকে নিয়ে যায় শ্বশুড়বাড়ি। ঘর ভর্তি অনেক মেহমান। সবাই হাসহাসি করছে কিন্তু আমার মনের মধ্যে বিন্দুমাত্র আনন্দ নেই। কয়েকজন মিলে আমাকে একটা রুমে নিয়ে যায়। রুমে ঢুকে দেখি বিছানাটা ফুল দিয়ে সাজিয়ে রেখেছে। বুঝতে পারলাম এটাই বুঝি বাসর ঘর! এটা বাসর ঘর ভাববেই বুকটা হাহাকার করে উঠে।
বিছানায় বসে আছি একাকী চিন্তা ভাবনায় কিন্তু কার জন্য বসে আছি..? ভালো লাগছে না কিছুই।
প্রতিটা মেয়ের স্বপ্ন থাকে এই বাসর রাতকে ঘিরে। হাজারো স্বপ্ন থাকে মনের ভেতরে। কারও স্বপ্ন পূর্ণত্য পায় আবার কারও স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। সারাদিন জার্নি করে আসাতে খুব ক্লান্ত লাগছে আমার। মাথাটার বা পাশে চিনচিন করে ব্যথা করছে। চোখে প্রচন্ড ঘুম পেয়েছে ঘুমাতে পারলে ভালো লাগত।
হঠ্যাৎ দরজা খোলার শব্দে বুঝতে পারলাম আমার স্বামী রুমে এসেছে। বুকের ভেতরে আচমকাই ভয় কাজ করছে। মনটা ছটফট করছে তার আগমনে।
রুমের লাইট জ্বালিয়ে সে টেবিলের কাছে গিয়ে গ্লাসে ঢেকে রাখা গরম দুধটা ঢকঢক করে অর্ধেকটা খেয়ে নিয়ে বাকী দুধটা গ্লাসে করে বিছানার উপরে এসে আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
– দুধটা খেয়ে নাও।
দুধের গ্লাসটা হাতে নিয়ে ঢকঢক করে নাক বন্ধ করে খেয়ে নিলাম।
দুধের গ্লাসটা আমার হাত থেকে নিয়ে টেবিলের উপরে রাখল। আমি সেই সুযোগে দাদীর কথা মতো বিছানা দিয়ে নেমে তার পায়ে সালাম করলাম। আমাকে তুলে বিছানায় বসিয়ে তিনি বলল,
– জান্নাত তুমি পড়াশুনা করে এসব সালাম করার রীতিনীতি চেইঞ্জ করতে পারলে না..? আমার সাথে চলাফেরা করতে হলে এসব গ্রামের চালচলন করা যাবে না। তোমাকে স্মার্টভাবে চলতে হবে। তুমি শুধু আমাকে খুশি রাখবে আর আমি তোমার সমস্ত চাহিদা পূরণ করব। জানো জান্নাত একটা মেয়ে পারে একজন পুরুষের সমস্ত চাহিদা পূরণ করে তাকে সব সময় নিজের করে আগলে রাখতে। পুরুষদের তো একটাই চাহিদা ওটা পূরণ করতে পারলে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্ত্রী হতে পারবে তুমি..?
বাসর রাতে স্বামী নামক মানুষটির কাছ থেকে এমন কথা শুনে আমার এতটাই খারাপ লাগছিল যেটা কল্পনার বাহিরে। ইচ্ছা করছিল এখনি একে ডিভোর্স দিয়ে চলে যাই কিন্তু আমাদের সমাজ বলে একটা কথা আছে যার কারণে মুখ বুঝে মেনে নিতে হবে।
আমার সাথে আজকেই প্রথম তিনি কথা বলেছেন আর প্রথম দিনেই তিনি বলে দিচ্ছেন তার চাহিদা পূরণ করতে হবে। ভালোবাসা কী বাজারের পন্য যে টাকা হলেই কেনা যায়..? স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালোবাসা আল্লাহর দান। একজন স্ত্রী তার সব কিছু উজার করে তার স্বামীকে ভালোবাসতে চেষ্টা করে। কিন্তু এটা কী শুনছি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না।
– জান্নাত চুপ করে আছ কেন..? কিছু বলছ না যে..? রাত অনেক হয়েছে চলো শুয়ে পড়ি।
– হুম।
– তুমি কী এত ভারী শাড়ি আর গহনা পড়ে ঘুমাবে..? তাইলে তো আমার ঝামেলা হবে।
– কিসের ঝামেলা…?
– বাহ্ রে আজকে তো আমাদের বাসর রাত সেটা কী তুমি ভুলে গেছ..?
– না।
সোহান আমার হাতে একটা শপিং ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে বলল,
– এটার ভেতরে দু’পিচ একটা নাইটি আর পিল আছে। শাড়ীটা চেইঞ্জ করে এটা পরে এসো আর ওষুধটা খেয়ে নাও।
আমি জব নিয়েছি মাত্র ৫ বছর তাই এত তাড়াতাড়ি বাচ্চা নিতে চাচ্ছি না।
প্যাকেটটা খুলে নাইটিটা হাতে নিতেই কেমন জানি লাগছে আমার। কোনদিন এমন পোশাক পড়িনি।
তার উপরে পিল দেখে মেজাজ গরম হয়ে গেল।
– কী হলো, এমনভাবে তাকিয়ে আছ কেন..? পরে নাও।
লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে অবশেষে শাড়ি খুলতেই সোহান বড়বড় চোখ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এদিকে আমার তো লজ্জায় চোখ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পালা!
সোহান এসে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলল,
ওয়াও জান্নাত! কী ফিগার তোমার..?
কী স্লীম তোমার পেটে..? আমি তো পাগল হয়ে যাচ্ছি। ইচ্ছা করছে পেটের উপরে কিস করি।
আমি হাত দিয়ে ব্লাউজের হুক খুলতে নিলে সোহান বাধ সাধলো। না জান্নাত আমি খুলব।
সোহান ব্লাউজের হুক খুলতেই আমি পুরো স্তব্দ হয়ে যাই। একে একে শরীরের সমস্ত কাপড় খুলে ফেলে আমার দিকে তাকিয়ে আছে সোহান। বিষয়টা আমার কাছে একদমই ভালো লাগছে না। একজন স্বামীর বাসর রাতেই স্ত্রীর দিকে এতটা কুনজরে তাকানোটা মানায় না!
#স্বামী
#লেখনীতেঃ_নুসরাত_জাহান
#পর্বঃ_২
সোহান আমার আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে। মনে হচ্ছে আমাকে ছিঁড়ে খাবে। প্রথম রাতেই এই মানুষটার প্রতি আমার ঘৃণা জন্মে গেল। তার চোখের দিকে তাকাতেই মেজাজ গরম হয়ে যাচ্ছে। দাঁতে দাঁত কেটে স্তব্দ হয়ে তাকিয়ে আছি।
সোহান আমাকে ছেড়ে বিছানার উপরে যায়।
নাইটি পরে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছি সে বালিশের উপরে হাত রেখে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে।
আমার হাত ধরে বলল, দাঁড়িয়ে কেন..? আমার কাছে আসো। আজ আমাদের বাসর রাত। স্বামী-স্ত্রীর শ্রেষ্ঠ রাত এটা! যাকে আমি স্মরণীয় করে রাখতে চাই।
আমার হাত ধরে নিজের কাছে টেনে নিল। আমার ঘাড় থেকে চুলগুলো সরিয়ে আলতো করে চুমু দেয়। এক পর্যায়ে বালিশের উপরে শুইয়ে দেয়। তারপর আস্তে করে পেটের উপরে চুমু দিতেই আমি চুমুর স্পর্শে কেঁপে উঠি।
সোহান আমাকে বলল,
– জান্নাত আমি কী আজকে তোমার সাথে ফিজিক্যালে এটাচড হতে পারি..? যদি তুমি অনুমতি দিতে..?
তার কথা শুনে আমি তো পুরো অবাক! এতক্ষণ যে মানুষটা তার নিজের মতো করে চুমু খাচ্ছিল হঠ্যাৎ করে সে অনুমতি চাইছে।
– জান্নাত বলো না কেন..?
– আপনি আমার স্বামী, আপনি চাইলে তো আমার সাথে ফিজিক্যালে এটাচড হতেই পারেন। এতে অনুমতির কিছু নেই।
– তাহলে তোমার সমস্যা তো নেই।
– নাহ্।
তারপর সোহান আমার মাঝে ডুব দিল আর আমিও তার মাঝে। কিন্তু আমাকে পেয়ে সোহান এত পরিমাণে আকৃষ্ট হয়েছিল যেন সেই রাতের জন্য নিজেকে ভুলে গিয়েছিল। তখন আমি উপলদ্ধি করছিলাম সোহানের ছোঁয়ায় কোন ভালোবাসা ছিল না ছিল শুধু চাহিদা মেটানোর। নিজের চাহিদা মেটানোর জন্য মরিয়া হয়ে গেছিল। বারবার আমার সাথে…!
ফাস্ট টাইম ছিল বলে আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল কিন্তু সেদিকে সোহানের কোন খেয়ালই ছিল না। মূহুর্তের ভেতরে স্বামী নামটার প্রতি অধিক থেকে অধিকর ঘৃণা জন্ম হয়ে গেছিল।
সোহানের চাহিদা মিটে গেলে আমাকে ছেড়ে দিয়ে ক্লান্ত হয়ে ওপর পাশ হয়ে শুয়ে পড়ে।
সারারাত এক ফোঁটাও ঘুমাতে পারিনি। বুকের কষ্টগুলো মাটিতে চাপা দিয়ে লাগেজ খুলে কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে ঝরণার পানি ছেড়ে দিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে কাঁদতে লাগলাম।
দীর্ঘ এক ঘন্টা পানির নিচে দাঁড়িয়ে থেকে চুলগুলো টাওয়াল দিয়ে পেঁচিয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসলাম।
রুমে এসে দেখি সোহান বালিশের ভেতরে মুখ গুঁজে ঘুমুচ্ছে।
আস্তে আস্তে রুমে ঢুকে ড্রেসিন টেবিলের সামনে বসে চুলগুলো আনমনে আঁচড়াচ্ছি।
দরজায় ঠকঠক শব্দে সোহান আড়মোড়া দিয়ে উঠে দরজাটা খুলে দিল।
সোহানের বড় বোন এসে বলল,
– তোর সাথে দেখা করতে নিলয় এসেছে।
– তুমি ওকে বসতে বলো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
আপু চলে গেলে সোহান ওয়াশরুমে ঢুকে শাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে এসে ড্রইং রুমে গেল।
– কেমন আছিস নিলয়..?
– এই তো ভালোই। তুই যে বিয়ে করছিস আমাকে একটু জানালিও না..! তুই এত হারামী কবে থেকে হইলি…?
– নিলয় প্লিজ আমার কথাটা আগে শোন, তারপর তোর যা ইচ্ছা বলিস।
মুখটা বাঁকা করে নিলয় বলল,
– হ্যাঁ বল কী বলবি..?
– বিয়েটা হঠ্যাৎ করে হয়েছে ইভেন আমি নিজেও জানতাম না। বিয়ের দিন জানতে পারি। তাই তোকে জানাতে পারিনি। এখন তুই বল, এখানে আমার দোষ কোথায়…?
– হুম তা অবশ্য ঠিক। হঠাৎ করে হলে জানানো সম্ভব হয় না এটাই স্বাভাবিক।
– এখন বল তুই কী খাবি..? গরম না ঠান্ডা..?
– আমি কিচ্ছু খাব না, মাত্রই নাস্তা করে চলে এসেছি বিকালে আবার জরুরি কাজে ঢাকার বাহিরে যেতে হবে।
– আন্টি, আংকেল কেমন আছেন.?
– মা ভালো আছেন তবে বাবার শরীরটা একটু খারাপ। বয়স হয়েছে তো শরীরে রোগ জমে গেছে। আমার কাজ শেষ করে ঢাকায় ফিরে বাবাকে আগে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব।
– তাই কর।
– শোন ভাবীকে একটু নিয়ে আয় তো! দেখা করে চলে যাব।
– ঠিকাছে দুইটা মিনিট অপেক্ষা কর আমি গিয়ে নিয়ে আসছি।
রুমে গিয়ে বলল,
– আমার সাথে একটু আসো তো..? আমার বন্ধু তোমাকে দেখতে এসেছে।
আমি মাথায় ঘোমটা দিয়ে বিছানা দিয়ে নামতে যাবো তখনি সোহান বলল,
– জান্নাত তুমি এত বড় ঘোমটা টেনে আমার বন্ধুর সামনে যাবে..? কী বলবে ও বলতো..? ভাববে আমি কত স্মার্ট আর বউটা পুরাই… আর কিছু বলল না।
– মাথায় ঘোমটা দিয়ে পরপুরুষের সামনে যাওয়টা আজকাল রীতি হতে পারে কিন্তু ইসলামে মেয়েদের পর্দা করা ফরজ! এখন আপনি যখন বলছেন তাহলে মাথায় ঘোমটা খুলেই যাব কারণ স্বামীর আদেশ তো আর ফেলে দেওয়া যাবে না বলেই আমি সামনের দিকে পা বাঁড়ালাম। আমার পিছনে সোহান আসতে লাগল।
আমি গেস্ট রুমে ঢুকতেই সোহানের বন্ধু নিলয় দাঁড়িয়ে যায়।
সোহান নিলয়ের কাঁধে হাত রেখে বলল,
– তুই দাঁড়িয়ে গেলি কেন..? কোন সমস্যা হয়েছে নাকি..?
– নাহ্ সমস্যা হয়নি। এই বুঝি আমার ভাবীজি।
– হ্যাঁ এই তো ভাবী। জান্নাত এই হলো আমার বেস্ট বন্ধু নিলয়।
– আসসালামু আলাইকুম।
– ওয়ালাইকুম আসসালাম।
– ভাবী নতুন পরিবেশে রাতে ভালো ঘুম হয়েছ তো..? আমার বন্ধুটা কতটা স্মার্ট তবুও গ্রামের মেয়েকে বিয়ে করেছে। তবে আপনার মতো এত সুন্দরী মেয়ে পেলে যে কেউ বিয়ে করবে ইভেন আমি হলেও করব। সুন্দরী মেয়ে সব ছেলেরাই পছন্দ করে।
– আসলে নতুন পরিবেশে কখনও মা-বাবাকে ছেড়ে কোথাও রাত্রিযাপন করিনি তাই রাতে ঘুমটা ভালো হয়নি। সকাল থেকেই কিছুটা মাথা ব্যথা করছে।
– ভাবী আপনার চুলগুলো তো সব ভিজে চুপচাপ করছে সকালে গোসল করেছেন বুঝি!
নিলয়ের কথাগুলো শুনে একদম ভালো লাগছে না। কী ধরণের কথা বলছে সে..? আর আমার স্বামী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথাগুলো শুনছে আর হাসছে। দাঁতে দাঁত কেটে নরম গলায় বললাম,
– গতকালকে সারাদিন জার্নি করে আসাতে খুব ক্লান্ত ছিলাম। তার উপরে অনেক গরম তাই সকালবেলায় গোসলটা সেরে নিলাম।
– ওহ্ আচ্ছা ভাবী। আমি ভাবলাম অন্য কিছু..! সোহানকে হালকাভাবে ধাক্কা মেরে বলল,
– কী শালা বাসর রাতে কিছু করিসনি..?
– আচ্ছা আপনারা কথা বলেন আমি রুমে যাচ্ছি মাথা ব্যথা করছে।
হাঁটছি আর ইচ্ছামতো গালি দিচ্ছি। এটা কী বন্ধু নাকি অন্য কিছু। আগে জানতাম মেয়েদের নাকি লজ্জা শরম কম তাই দুইটা বান্ধবী একসাথে হলে পরে হাজারও রকমের কথা নিয়ে আলাপ আলোচনা করে কিন্তু এখনে তো দেখছি উল্টা।
শরীরটা বড্ড খারাপ লাগছে তার উপরে গতকালকে কিছু না খাওয়ার কারণে পেটের মধ্যে ইঁদুর দৌঁড়াচ্ছে।
নিলয় সোহানকে বলল,
– তোর বউটা তো একদম কঁচি। বয়স তো মনে হয় ১৭ কী ১৮ হবে..? এত পিচ্চি মাইয়া তোর ওয়েট সামলাতে পারবে..?
সোহান হাসল,
– হাসিস কেন বল আমাকে..?
– জান্নাত পিচ্চি হলেও খুবই সেক্সি। গতকালকে প্রথমদিনেই আমার মন ভরিয়ে দিয়েছে।
– কী বলিস.? কথাটা সত্যি!
– একদম। আমি নিজেও অবাক হয়ে গেছিলাম যে আমার ওয়েট মেয়েটা সহ্য করতে পারবে কিনা! প্রথমবার একটু সমস্যা হলেও পরে সব ঠিকঠাক ছিল।
– কয়েকবার মানে কী..? বাসর রাতেই এত.?
– এই শালা তুই কী আমার পরীক্ষা নিতে আসছিস…? তোর না কাজ আছে যা বাসায় গিয়ে সেগুলো কর। আমি জান্নাতের কাছে যাবো।
– এখন তো তুই বিয়ে করেছিস তাই সেখানে তো আর যাবি না!
– এখনো শিউর না। দেখা যাক সামনে কী হয় বলে সোহান বসা ছেড়ে উঠে চলে গেল।
চলবে…..
#