#এক_ফ্রেমে_তুমি_আমি
#পর্বঃ১০
#Arshi_Ayat
আয়রা তাড়াতাড়ি করে সায়ান্ত ওপর থেকে উঠে গেলো।তারপর সায়ান্ত উঠে দাড়াতেই আয়রা মাথা নিচু করে বলল”সরি।”
“ইট’স ওকে।”
তারপর দুজন দু দিকে চলে গেলো।অনেক্ষণ ঘোরাঘুরি করে সবাই লাঞ্চ সেরে নিলো।লাঞ্চ সেরে সবাই ব্যাগপ্যাক শুরু করলো।একটু পরই ওরা আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে ফিরবে।সবাই রেডি হয়ে আস্তে আস্তে বাসে ওঠা শুরু করলো।মিম বাসে উঠে সামনের দিকের জানালার সাইডে বসলো।কোথা থেকে যেনো নিরবও এসে ওর পাশে বসে পড়লো।নিরব মিমের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিলো।মিমও হেসে বাইরে তাকালো।সায়ান্ত আর সাজিদ একসাথে বসলো।তাদের বিপরীত পাশে বসলো রিয়া আর আয়রা।নিলয় বসলো একবারে পিছনে। ইতিমধ্যে বাস চলতে শুরু করেছে।সবাই মিলে বাসে হৈ-হুল্লোড় করছে। কিন্তু আয়রা চুপচাপ জনালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে।শরীরটা ভালো লাগছে না আজ।ভীষণ করে মায়ের কাছে যেতে ইচ্ছে করছে।সায়ান্তও আয়রার ব্যাপারটা লক্ষ করলো কিন্তু কিছু বলল না।
আসতে রাত বারোটা বেজেছে।মেয়েরা মেয়েদের হলে আর ছেলেরা ছেলেদের হলে চলপ গেছে।আর বাকি যারা আছে তারা নিজনিজ বাসায় চলে গেছে।কাল ভার্সিটি অফ।তাই আজ সবাই সেই লেভেলের ঘুম দিবে।কাল ঘুম থেকে না উঠলেও সমস্যা নেই।মিম,রিয়া আর আয়রা ও গিয়ে ধড়াম করে বেডে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।ওদিকে নিরবদের ও একই অবস্থা।
পরেরদিন ছুটি বলে সবাই জমপেশ ঘুম দিয়ে উঠলো।তারপর বিকেলে মিম গেলো পড়াতে।আয়রা গেলো নোটস আনতে আর রিয়া এসাইনমেন্ট করতে বসলো।এদিকে সায়ান্ত গেলো বোনের বাসায়।নিরব এমনিতেই রাস্তা দিয়ে হাটছিলো।নিলয় আর সাজিদ এখনো ঘুমাচ্ছে।
আয়রা নোটস নিয়ে বেরোতেই দেখলো নির্জন দাড়িয়ে আছে।আয়রা চলে যেতে চাইলে ও পথ আটকে দাড়ায় তারপর বলে”আয়রা প্লিজ আমাকে কষ্ট দিও না।”
“আপনার জন্য তো হিয়া কষ্ট পাবে।”
“হিয়াকে আমি ভালোবাসি না।”
“আর আমি আপনাকে ভালোবাসি না।”
“আয়রা তুমি না আমাকে অনেক ভালোবাসতে?এখন কোথায় তোমার ভালোবাসা?”
“হ্যাঁ বাসতাম তবে আমি যাকে ভালোবাসতাম সে শুধুই নির্জন ছিলো।কিন্তু এখন আমার সামনে যে দাড়িয়ে আছে সে শুধু নির্জন না সে এখন হিয়ার স্বামী নির্জন।আর এই নির্জন কে আমি ভালোবাসি না।”
“আমি তো বললাম আমি হিয়াকে ডিবোর্স দিবো।”
নির্জনের কথা শুনে আয়রার মাথায় চড়াৎ করে রাগ উঠে গেলো।আয়রা নির্জনের কলার ধরে বলল”আরে আপনি কি বুঝবেন একটা মেয়ের কষ্ট।বিয়ের পর প্রতিটা মেয়ে চায় তার স্বামী যেনো সবসময় তাকে ভালোবাসে।তাকে কেয়ার করে।তার ইচ্ছে গুলো পূরণ করে।কোনো মেয়েই চায় না তার স্বামী অন্য মেয়ের প্রতি আকৃষ্ট হোক।কিন্তু আপনি কি করছেন?নিজের স্ত্রীকে এভাবে কষ্ট দিচ্ছেন।তার ভালোবাসার মূল্য দিচ্ছেন না।কিন্তু এমন একদিন আসবে তার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য আপনি কেঁদে মরবেন।তাই এখনো সময় আছে শুধরে নিন নিজেকে।হিয়া আপনাকে প্রচুর ভালোবাসে তার কাছে যান।আর মনে রাখবেন মেয়েরা আর যাই হোক ভালোবাসার মানুষের ভাগ কাউকে দেয় না।”
আয়রা এইকথা গুলো বলে নির্জনের কলার ছেড়ে দিয়ে চলে গেলো।নির্জন শুধু ওর যাওয়ার দিকে চেয়ে বলল”তোমাকে তো আমি হাসিল করবোই।শুধু অপেক্ষা করো কিছুদিন।”
১৩.
প্রতিদিনের মতো আজ ও নিরব মিমকে পিছন থেকে ডাক দেয় আর মিম দাড়ায় নিরব ওর পাশে আসতেই মিম বলল”আচ্ছা আপনি কি আমাকে ফলো করেন?”
“না তো।”
“তাহলে এই যে প্রতিদিন আপনার সাথে দেখা হয় কেনো?”
“আসলে আমিও এইসময় হাটতে বের হই।আর আপনিও পড়িও বাসায় যান। তাই আপনাকে দেখলে ডাক দেই।”
“ডাক দেন কেনো?” 🤨
“চুমকি চলেছে একা পথে সঙ্গী হলে দোষ কি তাতে?” নিরব এটা বলেই হাসলো।
মিম ওর দিকে তাকিয়ে বলল”বেশ ভালোই কথা জানেন।যেকোনো মেয়েই পটে যাবে।”
“কিন্তু আমি যাকে চাই সে তো পটে না।”
“আপনি এতো ভালো ফ্লাট করতে পারেন জানতাম না।”
“আমিও জানতাম না।তুমি বলাতেই জানলাম।আসলে ভার্সিটিতে কখনো ফ্লাট করি নি তো তাই।”
মিম আর কিছু বলল না শুধু মুচকি হাসলো।নিরব ফুচকার দোকানের সামনে থেমে গিয়ে বলল”ফুচকা খাবে?”
মিম মাথা নেড়ে না বলল।নিরব জিগ্যেস করলো”কেনো?”
“আমি ফুচকা খাই না।পারলে ঝালমুড়ি এনে দিন।”
নিরব দৌড়ে গিয়ে এক প্যাকেট ঝালমুড়ি এনে মিমের হাতে দিলো।মিম হাতে নিয়ে বলল”আপনার জন্য আনেন নি কেনো?”
“ঝালমুড়ি ওয়ালার প্যাকেট শেষ হয়ে গিয়েছিলো এইজন্য আনি নি।”
বলেই নিরব মুখ টিপে হাসলো।মিম এটা লক্ষ করে মনেমনে বলল”এই ছেলে কি ডিরেক্টলি কিছুই বলতে পারে না?পুরাই সেয়ানা।হুহ্ যতোই সেয়ানাগিরি করো যতোদিন না ডিরেক্ট বলবে ততোদিন আমি ধরা দেবো না।কিন্তু এখন একটু ঝালমুড়ি শেয়ার করাই যায়।”
তাই মিম ঝালমুড়ির প্যাকেটটা বাড়িয়ে দিয়ে বলল”আচ্ছা তাহলে ঝালমুড়ি শেয়ার করি।”
নিরব তো এটাই চেয়েছিলো।তাই আর না করে নি দাত কেলিয়ে খাওয়া শুরু করলো।হঠাৎ ওদের সামনে দিয়ে একজোড়া প্রেমিক যুগল যাচ্ছিলো।যেতে যেতে মেয়েটা মিম আর নিরবকে দেখিয়ে ছেলেটাকে বলল”দেখেছো।কতো রোমান্টিক দুজনে শেয়ার করে খাচ্ছে।আর তুমি ঝালমুড়ি কেনো একটা চকলেট কিনেও শেয়ার করো না গপাগপ খেয়ে ফেলো।ওদের দেখে একটু শেখো।”
মিম আর নিরবের পেট ফেটে হাসি আসছিলো কিন্তু হাসলো না।একটু দূরে গিয়ে দুজনই ইচ্ছামতো হাসতে লাগলো।
.
.
.
.
.
নিলয় ঘুম থেকে উঠে দুকাপ কফি বানালো।তারপর আয়রাদের ঘরে নক দিতেই রিয়া দরজা খুললো।নিলয় মাথা চুলকে বলল”ইয়ে মানে নিরব আর সায়ান্ত দুজনই বাসায় নেঔ আর সাজিদ ঘুমাচ্ছে।তাই বোরিং লাগছে। তুমি যদি ফ্রি থাকো তাহলে একটু ছাদে আসবে কফি খেতে খেতে গল্প করবো।”
রিয়া কিছু একটা ভেবে বলল”আপনি যান আমি আসছি।”
“ওকে।” বলেই নিলয় কফি নিয়ে ছাদে চলে গেলো।তারপর দুজনই কফি খেতে খেতে বকবক শুরু করলো।
.
.
.
.
.
আয়রা বাসায় এসে লিফটে ঢুকতেই সায়ান্তকে দেখলো।সায়ান্ত আয়রাকে দেখে লিফটের দেয়ালে সেটে রইলো।কারণ এর আগের বার আয়রা ওর শার্টে খুব বাজে ভাবে চুইংগাম লাগিয়েছিলো।আর এদিকে আয়রাও লিফটের দেয়ালে সেটে রইলো কারণ ও ভাবছে সায়ান্ত যদি সেদিনের বদলা নেওয়ার জন্য পিছনে চুইংগাম লাগিয়ে দেয়!এই জন্য সতর্কতা অবলম্বন করছে।লিফট থামতেই দুজনে একসাথে বের হতে গিয়ে কপালে ঠাশ করে বাড়ি খায়।
#এক_ফ্রেমে_তুমি_আমি
#পর্বঃ১১
#Arshi_Ayat
“সমস্যা কই আপনার আমার মাথায় বাড়ি দিলেন কেনো?” আয়রা সায়ান্ত রেগে কথাটা বলল।
“এই শোনো তোমার মাথায় বাড়ি দিতে আমার বয়েই গেছে।আর আমি বাড়িটা ইচ্ছে করে খাই নি।দুজনে একসাথে বের হতে গিয়ে লেগে গেছে।”
আয়রা আর কিছু বলল না মুখ বাকিয়ে দরজা নক করতেই মিম খুললো তারপর ঘরে ঢুকে গেলো।আর সায়ান্তও ঘরে চলে গেলো।ঘরে গিয়ে দেখলো তিনজনের মুখই থমথমে সায়ান্ত খাটে বসে বলল”কি রে সবাই এভাবে বসে আছিস কেনো?”
“সাজিদের এক্সের বিয়ে কালকে।বেচারা প্রচুর কষ্ট পাচ্ছে।” নিরব বলল।
সায়ান্ত উঠে গিয়ে সাজিদের পাশে বসে বলল”আরে বেটা এইজন্য কষ্ট পাওয়া লাগে?যে যাওয়ার সে যাবেই।তার জন্য মন খারাপ করা মানায় না।তুই তার চেয়ে বরং কাল ওর বিয়েতে যা।ইচ্ছেমতো খেয়ে আসবি।দেখিয়ে দিবি তুই ভালো আছিস।আর তোর এই লুক দেখে ও জ্বলবে।সাজিদ কিছু না বলে মাথা নাড়লো।
১৪.
নিরব পরেরদিন ভার্সিটিতে গিয়ে মিমকে পেলো না।আয়রাকে জিগ্যেস করতেই আয়রা বলল ও নাকি গ্রামের বাড়ি গিয়েছে।ওর বাবা মা জরুরি কাজে ডেকেছে।নিরব আয়রার কথা শুনে উদাস হয়ে চলে গেলো।
রাত আট টার সময় নিরব রা সবাই মিলে পড়ছে।হঠাৎ দরজায় নক পড়ায় সায়ান্ত উঠে গিয়ে দরজা খুলতেই দেখলো আয়রা আর রিয়া দাড়িয়ে আছে।সায়ান্ত আয়রাকে দেখেই বলল”কি চাই?”
“আমি আপনার সাথে কথা বলতে আসি নি।নিরব ভাইয়াকে ডেকে দিন।ওনার সাথে কথা আছে।”
সায়ান্তর নিরবকে ডাকার প্রয়োজন পড়ে নি।নিরব আগেই চলে এসেছে।ও এসে বলল”হ্যাঁ আয়রা বলো।”
“ভাইয়া মিম ফোন দিয়েছিলো।বলল ওর বিয়ের কথাবার্তা চলছে আপনাকে জানাতে।”
আয়রার কথা শুনে নিরব চমকে উঠে বলল”কিহ!”
“জ্বি ভাইয়া।মিম আপনাকে ভালোবাসে।আই থিংক আপনিও বাসেন।এখন কিছু একটা করুন।ও অনেক কাঁদছে।”
দরজার কাছে ওদের চারজনের কথা শুনে ভেতর থেকে সাজিদ আর নিলয় ও আসলো।তারপর ওরা সবটা শুনে নিরবকে স্বান্তনা দিলো।সায়ান্ত নিরবকে ভেতরে নিয়ে গিয়ে আবার দরজার সামনে এসে আয়রাকে বলল”শোনো আমাদের উচিত মিমের বাসায় যাওয়া এবং ওদের বিষয়টা মিমের বাবাকে বলা।”
আয়রা আর রিয়া সম্মতি দিলো।তারপর সায়ান্ত একটা ফোন দিয়ে মাইক্রোর ব্যাবস্থা করলো।কাল তারা সবাই রাঙামাটির উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
সকাল আট টার দিকে সবাই রওনা হলো।নিরব চুপচাপ বসে আছে।টেনশনে অবস্থা খারাপ।কিভাবে মিমের বাবা মা কে রাজি করাবে।ওনারা কি রাজি হবেন?এখনো তো ওর কোনে চাকরি নেই!এগুলো ভেবে ভেবে পাগল হয়ে যাচ্ছে নিরব।সাজিদ আর নিলয় যথেষ্ট চেষ্টা করছে নিরবকে কুল রাখার কিন্তু সে ভেতরে ভেতরে প্রচুর টেনশন করছে
মোটামুটি আট নয় ঘন্টা লেগেছে রাঙামাটি পৌঁছাতে। রাঙামাটি পৌঁছে আয়রা মিমকে ফোন দিলো।মিম রিসিভ করতেই আয়রা বলল”দোস্ত আমরা তো রাঙামাটি আছি।এখন তোদের বাসায় কিভাবে পৌঁছাবো?”
মিম আয়রার কথা শুনে লাফিয়ে উঠে বলল”কি বলছিস?”
“হ্যাঁ তোর আশিকও আছে।তুই এখন বল কিভাবে আসবো।”
“আচ্ছা আচ্ছা ঠিকাছে আমি কাউকে পাঠাচ্ছি।”
“আচ্ছা।”
আয়রা ফোন রেখে দিলো।তারপর ওরা কলাতলী এসে মাইক্রো থেকে নামলো।কোথা থেকে যেনো দৌড়ে মিম এসে আয়রা কে জড়িয়ে ধরলো।তারপর বলল”কাউকে পাই নি।তাই নিজেই নিতে এলাম।চল একটু হাটলেই আমার বাসা।”
আয়রা হেসে বলল”হুম বাসায়তো যাবোই তার আগে দেখ সবাই চলে এসেছে তোর বাবা মাকে বোঝাতে।”
তারপর নিরবের দিকে তাকিয়ে বলল”আমাদের দুলাভাই ও এসেছে।”
মিম আয়রার কথা শুনে লজ্জা পেলো।আয়রা থামতেই নিলয় বলল”তলে তলে এতো কিছু ঘটে গেছে শালায় আমাদের বলেও নি।দাড়া ঢাকায় ফিরে তোরে রিমান্ডে নিবো।”
সাজিদও তাল মিলিয়ে বলল”একটানা পাঁচদিনের রিমান্ডে নিবো শালারে।”
“আর আমিতো ওরে উল্টো ঝুলিয়ে পিটাবো।শালা এখন যদি না জানতাম তাহলে তো বিয়ে করে বাচ্চা পয়দা করে তারপরে বলতো।”
সায়ান্তর কথা শুনে সবাই হেসে দিলো।তারপর সবাই কথা বলতে বলতে মিমদের বাসায় পৌছে গেলো।মিম ঘরে ঢুকে মা কে দেখতে পেয়ে বলল”মা ওরা ফ্রেন্ড এখানে দুইদিন থাকবে।”
ওর মা হালকা হেসে বলল”যা তোর বন্ধুদের উপরের ঘরগুলোতে নিয়ে যা।আর তুই তৈরি হয়ে নে।দুপুরে তোকে দেখতে আসবে তো।”
মিমের মায়ের কথা শুনে নিরবের মুখ কালো হয়ে গেলো।সায়ান্ত এটা দেখে ইশারা করলো কিচ্ছু হবে না চিন্তা করিস না।মিমিও মুখ কালো করে ওদের ওপরে নিয়ে চলল।তারপর ওদের রুম দেখিয়ে নিচে চলে যেতে নিলেই নিরব বলল”মিম একটু শোনো।”
মিম রুমে আসতেই নিরব ওকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে বলল”এতোদিন ইনডিরেক্টলি বলতাম কিন্তু আজ ডিরেক্ট বললাম আই লাভ ইউ।তুমি কি আমার বাবুদের মা হবে?”
মিম কিছুই বলল না।নিরবকে ধাক্কা দিয়ে হেসে দৌড়ে বেরিয়ে গেলো।নিরবও হেসে দিলো।
১৫.
মিম সেজেগুজে বসে আছে পাত্রপক্ষের সামনে।ওপর থেকে নিরব ওর দিকে তাকিয়ে আছে।একটু পর ছেলেটা আর ও ছাদে গেলো আলাদ ভাবে কথা বলতে।ছেলেটা মিমকে বলল”হাই আমি আসিফ।”
“আপনি যেই হোন আমার বিয়েতে মত নেই।”
“কেনো?”
মিম কিছু বলার আগেই পিছন থেকে নিরব বলল”তোকে তো বলল ওর মত নেই।তারপর আবার কৈফিয়ত দিতে হবে কেনো?ওর যেহেতু মত নেই সেহেতু তুই এখনো এখানে দাড়িয়ে আছিস কেনো?”
ছেলেটি নিরবকে দেখে বলল”আপনি কে?”
“ওর হবু বর।”
“মানে?” ছেলেটা ভ্রু কুচকে বলল।
এবার আর নিরব কিছু বলল না।সায়ান্ত বলল”মানে বুঝো না দুদু খাও?”
সায়ান্ত কথা শুনে মিম মিটমিট করে হাসলো।আর আয়রা মনে মনে বলল’কি অসভ্য ছেলেরে বাবা!কি বলে মুখেও আটকায় না।
চলবে…
(ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।),
চলবে….