#Marriage_With_Benefits
#Part_25
Writer::Sanjida Nahar Shaanj
.
.
আমি আয়ুশ এর এই আচরণ দেখে খুবই অবাক হয়ে গেলাম।এই ছেলে কি চায়?ভাবীকে প্রপোজ করছে?(আমি মনে মনে)
এই এ তোকে কেনো প্রপোজ করছে?তুই না ওর ভাবী?(ডালিয়া আমার কানের কাছে ফিসফিস করে)
আমিও তো এতদিন এটাই জেনে এসেছি।যে আমি ওর ভাবী হই।এই ছেলের কি ভীমরতি হলো নাকি?(আমি মনে মনে)
কি হলো?তুমি আমার গার্লফ্রেন্ড হবে তো?(আয়ুশ)
এই ছেলে।কি হচ্ছে কি এইসব?তুমি জানো আমি কি হই তোমার।তবুও এই সব শুরু করলে কেনো?(আমি ওর কাছে আস্তে আস্তে কথাগুলো বললাম)
আশপাশ তাকিয়ে দেখো।আস্থা রানী।(আয়ুশ)
আমি চারপাশ তাকিয়ে দেখি মেয়েরা খুব ভয়ঙ্কভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
খাইছে!এই ছেলের এই প্ল্যান।আমাকে ওর গার্লফ্রেন্ড বলে দিবে আর ওর এই সব মেয়ে ভক্তরা আমাকে জ্বালিয়ে খাবে।ওদের চোখ দেখেই মনে হচ্ছে ওদের হার্ট বিট আয়ুশ আমাকে প্রপোজ করাতে উনারা খুব ক্ষিপ্ত আমার উপর।আর ক্ষিপ্ততা দিয়েই আয়ুশ আমাকে মাধ দিতে চায়।বলতে হবে প্ল্যানটা খুব ভালো।খুব ভালো করেই আমাকে ফাঁসিয়েছে।মানতে হবে দেবরের কুবুদ্ধি অনেক।কিন্তু আমিও কম যাই না।তুমি আমায় নিয়ে খেলবে আর আমি তোমাকে খেলতে দিবো এইটা তো হবে না।আমি আস্থা সব পরিস্থিতির জন্য আস্থার সঙ্গে প্রস্তুত।
আমিও ওর হাত থেকে গোলাপের তোড়াটা নিলাম।
আয়ুশ খুব অবাক হলো। ও ভেবেছিল আমি সবার সামনে স্বীকার করবো আমি বিবাহিত।আর এই কলেজের নিয়ম অনুযায়ী বিবাহিতরা স্কলারশিপ পাবে না।আর আমি বিবাহিত এটা লুকিয়ে স্কলারশিপ নেওয়ার কারণে এই কলেজে থেকে বের পর্যন্ত করে দিতে পারে।আর আমাকে আবারও মি:কোবরার সাহায্য নিতে হবে আর যা আমি একদমই চাই না আমি যথা সম্ভব নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই।আর কতদিন মি:কোবরা আমার সাথে থাকবে আমাদের এই marriage with benefits এক দিন না একদিন শেষ হবে।অন্যদিকে তোড়াটা নিলে এই মেয়েরা ভার্সিটিতে আমার জীবন হারাম করে দিবে।মত কথা দুইদিকে আমাকে ফাসালো।কিন্তু এখন আমার ভার্সিটিতে থাকাটা সবচেয়ে বেশি গুরত্বপূর্ণ।আমি আয়ুশ এর কানের কাছে ফিসফিস করে বললাম
খেলতে চাও না আমার সাথে?তাহলে আমিও প্রস্তুত।নিলাম তোমার ফুলের তোড়াটা।
আয়ুশ উঠে হাসতে হাসতে বললো
এই বার।এই কলেজের অর্ধেকের বেশি মেয়েরা তোমার কি হাল করে তুমি শুধু দেখবে।
তাই নাকি!চৌধুরীদের ঘুম হারাম করে দিতে পারি আমি আর এদের সামলাতে পারবো না।এইটা ভাবলে কি করে?(আমি)
দেখা যাক।
বলেই আয়ুশ সেখান থেকে চলে গেলো।
আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।
কিরে তুই কিছু বললি না কেনো?(ডালিয়া)
বলার কিছু ছিলো না।আমি ভাবতে পারি নি।আয়ুশ এমন কিছু করবে।ও যা করলো আমার চিন্তা ভাবনার বাহিরে।বলতে হবে খুব কঠিন একটা পরিস্থিতি ছিলো।(আমি)
কিন্তু এখন কি করবি তুই?(ডালিয়া)
ক্লাস করবো।আর শুন এখন আর কিছু জিজ্ঞেস করিস না।আমি যা বলার সময় হলেই তোকে বলবো।আর হা এইসব আভিকে বলার কোনো দরকার নেই।
বলেই আমি আর ডালিয়া ক্লাস করতে গেলাম।ভার্সিটি ছুটির সময় মেয়েরা দলবেধে আমার জন্য গেটে অপেক্ষা করছিলো। তা দেখে আমি পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসলাম।ডালিয়াকে গাড়িতে উঠিয়ে দিলাম।কথামত আভি আসলো আমাকে রিসিভ করতে।
আজ কি কিছু হয়েছে?(আভি)
কেনো?কি হবে?(আমি জোর পূর্বক হাসি দিয়ে)
না।সব মেয়েরা গেটের সামনে কারো জন্য অপেক্ষা করছিলো।(আভি)
কারো জন্য না।আমার জন্য।(আমি হতাশা নিয়ে)
কি বললে?(আভি)
কিছু না।আপনি গাড়ি চালান তো।(আমি)
আভি গাড়ি চালাতে মনোযোগ দিলো।
আভিকে কিছুতেই আজ আয়ুশ যা করেছে টা জানতে দেওয়া যাবে না।এমনি ওদের ভাইদের সম্পর্ক ঠিক নেই।এইসব ওদের সম্পর্ক আরো নষ্ট করে দিবে।আর আমি তা কিছুতেই হতে দিতে পারবো না।(আমি মনে মনে)
চলো।তোমার অফিস চলে আসছি।(আভি)
হুম। চলো।(আমি)
কি চলো?আমি কোথায় যাবো।(আভি)
আমার সাথে।আজ আমার জন্য একটা ইম্পর্ট্যান্ট দিন।(আমি)
আচ্ছা।তুমি যাও আমি গাড়ি পার্ক করে আসছি।(আভি)
আচ্ছা।
বলেই আমি কলি আন্টি আর জিসান আংকেলের কেবিনে চলে গেলাম।
।
।
কেবিনে তুমি চলে এসেছ?
বলেই কলি আন্টি আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
আমিও উনাকে জড়িয়ে ধরলাম।
অনেক দিন পরে আছে।এখন পেপার গুলোতে সাইন করে দাও তো মা।(জিসান)
আসলে আমার স্বামী আমার সাথে এসেছে।ওকে একটু আসতে দিন।(আমি)
বাহ!আমার মেয়ের জামাইও আছে।খুব ভালো তো!(কলি)
আমি উনার কথা শুনে মুচকি হাসি দিলাম।
কিন্তু অনেকক্ষন অপেক্ষা করার পরও কেনো জানি আভি আসলো না।
আচ্ছা। ও হয়তো কথাও ফেঁসে গেছে।আসতে দেরি হবে।তুমি বরং সাইনটা করে ফেলো।(জিসান)
আমিও ভাবলাম। সাইনটা করেই ফেলি এতে আর তেমন কি?
ভেবেই সাইন করে ফেললাম।
এখন থেকে তুমি আমাদের মেয়ে!(কলি)
থ্যাংকস আন্টি।(আমি)
কিসের আঙ্কেল আর আন্টি এখন আমরা তোমার বাবা মা।(জিসান)
হুম।বাবা।
আমি আজ জীবনের প্রথম কেঁদে উঠলাম।আর এইটা কষ্টের কান্না না খুশির কান্না।মানুষ অনেক খুশিতে যে কান্না করে আজ তার টের পেলাম আমি।কারণ আমি আজ খুব খুশি আজ আমি আমার বাবা মা পেয়েছি।অনেক প্রত্যাশিত একটা পরিবার পেয়েছি।অনেক মানুষ মা বাবার মর্যাদা বুঝে না।কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমি বলবো আজ আমার জন্য আমার পরিবার কি!
আমি কলি আন্টিকে জরিয়ে ধরে কান্না করছি।উনিও আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছে।বাবা আমাদের শান্ত করার চেষ্টা করছে।
আরে এখন সময় সেলিব্রেট করার। সেলিব্রেট করো।(জিসান)
আমি কালকে গিয়েই আবার অনাথ আশ্রমের বাচ্চাদের খাইয়ে আসবো।তুমি তার ব্যবস্থা করো।(কলি)
আচ্ছা।(জিসান)
আমরা এখানে নিজেদের খুশি সেলিব্রেট করছি তখনই আভি কেবিনে ঢুকলো।
আস্থা তোমার হলো?
আভি দরজার খুলতে খুলতে বললো।ভিতরে ঢুকেই দেখলো কলি আর জিসান।আভি ওদের দেখেই অবাক।
অন্যদিকে কলি আর জিসান ও আভিকে দেখে অবাক।
আমি আভির হাত ধরে বললাম
মা বাবা।ওই আমার স্বামী।
উনাদের মুখ কেমন যেনো কালো হয়ে গেলো।আভি আমার স্বামী এইটা শুনে।
।
।
আভি আর আমি বাসায় যাচ্ছি।
আভি তোমাকে খুব চিন্তিত মনে হচ্ছে!বাবা মা তোমাকে একা কি বলেছে?(আমি)
কিছু না।উনারা শুধু এইটুকু বলেছে যে উনারা অনেক খুশি তুমি আমার স্ত্রী তাই!(আভি জোরপূর্বক হাসি দিয়ে)
তাহলে উনি আমার সামনেও বলতে পারতো।আমাকে কেনো অন্য জায়গাতে বসিয়ে মা বাবা তোমাকে একা কথা গুলো বললো?(আমি)
আরে ঐযে দেখো না।বিয়ে আগে কেমন শশুর শাশুড়ী মেয়ের জামাইএর ক্লাস নেয় তেমনি উনারা আমার ক্লাস নিলো এই আর কি?(আভি মুচকি হেসে)
কেনো জানি আমার আভির কথা বিশ্বাস হলো না।তবুও আমি কিছু মনে করলাম না।
।
।
বাসায় এসে খাবার দাবার খেয়ে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম।আভি বেডে বসে লেপটপে কাজ করছে।
কিছুক্ষণ পর আস্থা ঘুমিয়ে পানি হয়ে গেছে।আভি মনোযোগ দিয়ে কাজ করছে।ঘুমন্ত অবস্থায় আস্থা কোলবালিশ লাথি দিয়ে ফেলে দিলো।আভি তখন বিছানায় আধ শোয়া অবস্থায় ছিলো।তখনই আস্থা ওকে আস্টেপিস্টে জড়িয়ে ধরলো।
আভি মুচকি হেসে
শুরু হয়ে গেলো এই মেয়ের ঘুমন্ত দুষ্টামি।আভি আস্থার মুখ থেকে চুল গুলো আলতো করে সরিয়ে দিলো।পরেই একাধারে আস্থার ঘুমন্ত চেহারা দেখতে লাগলো।
পরেই ওকে সাইড করে রেখে বিছানা থেকে উঠে বেলকনিতে গিয়ে কলি আর জিসানের কথা ভাবতে লাগলো।
।
।
কেবিনে
আস্থাকে বাহিরে রেখে কলি আর জিসান আভির সাথে কথা বলছে।
আভি কি হচ্ছে এই সব?(কলি)
কি আন্টি!(আভি নিচের দিকে তাকিয়ে)
তুমি নাকি ওকে বিয়ে করেছ?(জিসান)
হুম।আমি ওর স্বামী।(আভি)
ও কি তুলির ব্যাপারে জানে?(কলি)
আভি চুপ।
আমি জানতাম।আভি আমি এইটা তোমার থেকে আশা করি নি!(কলি)
আভি চুপ।
তুমি কি চাইছো?তুমি কি ওকে কোনো ভেবে ব্যবহার করতে চাও?তোমার কোনো বদলা নিতে?(জিসান)
আভি চুপ।
দেখো আভি চুপ করে থেকো না।আর শোনো তুমি যদি ওকে ব্যবহার করতে চাও তোমার কোনো বেনিফিটস্ এর জন্য তাহলে কিন্তু আমরা তোমাকে ছাড় দিবো না।(জিসান)
কারণ ও এখন আমাদের মেয়ে ওকে আমরা দত্তক নিয়েছি!(কলি)
ও কিন্তু আমার স্ত্রীও আন্টি।(আভি)
স্ত্রী তাই না?তুমি ওকে ডিভোর্স দাও। এক্ষুনি।(জিসান)
আভির ডিভোর্সের কথা শুনে অনেক রেগে গেল।
আঙ্কেল।আমি কিছুতেই ওকে ডিভোর্স দিবো না। ও আমার স্ত্রী আর আমার স্ত্রীই থাকবে তা আপনি আর যাই করুন না কেনো?আর আমি চাইলে আপনাদের থেকে আস্থাকে আলাদা করতে পারি কিন্তু আমি তা করবো না।কারণ আমি আস্থাকে বাবা মা না থাকার কারনে অনেক কষ্ট পেতে দেখেছি।আর আমি ওকে এই কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে দিবো না।আর আমি যেই কারণেই ওকে বিয়ে করি না কেনো তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ও এখন আমার স্ত্রী।আমাদের কেউই আলাদা করতে পারবে না।যতক্ষণ না পর্যন্ত আমি চাইছি ততক্ষণ পর্যন্ত আস্থা আমার…শুধু আমার।(আভি)
বাহ।খুব ভালো লাগলো কথা গুলো।কিন্তু মনে রেখো আমাদের কাছ থেকে আস্থাকে আলাদা করার ক্ষমতা যেমন তোমার আছে।তেমনি তোমার থেকে আস্থাকে আলাদা করার শক্তিও আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন।যেইদিন আস্থা তোমাকে ছাড়তে চাইবে সেইদিন ওর এই বাবা তোমার থেকে ওকে আলাদা করতে পিছু পা হবে না।(জিসান)
তা যখন আস্থা চাইবে।কিন্তু আমি এইটা চাওয়ার সুযোগ দিবো না।
আভি আর কিছু না বলে বেরিয়ে যেতে লাগলো তখনই পিছন থেকে কলি বলে উঠলো
আস্থা তুলি না।এইটা মনে রেখো।কখনও ওকে তুলি ভেবে ভুল করো না।আর যদি কোনো দিন এই ভুল করো তাহলে বুঝবে সেই দিন আস্থা তোমার জীবন থেকে চলে গেছে।আমরা কেউই আস্থাকে তুলির ব্যাপারে বলবো না।যতক্ষণ না পর্যন্ত তুমি কিছু বলছো।কারণ আমিও দেখতে চাই তুমি কি করে আস্থাকে আটকাও।
।
।
বর্তমান
আভি জানালার দিকে তাকিয়ে আছে।আজ আকাশের চাঁদটা খুব বড়ো মনে হচ্ছে।চারদিকে চাঁদ নিজের আলো ছড়িয়ে পুরো পৃথিবীটাকে আলোকিত করছে।যদি এই চাঁদের একটু আলো দিয়ে নিজের মনটাকে আলোকিত করতে পারতাম।কতই না ভালো হতো!
চন্দ্র বিলাশ করতে করতে আভি আস্থার দিকে তাকালো
আস্থার ঘুমন্ত মুখখানা উপর আলো পড়তেই কি সুন্দর আলোকিত হয়ে গেলো মুখটা।আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে শুধু ওর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি।তুলির মুখে কখনও এমন পবিত্রতা ছিলো না।যেমনটা আস্থার মুখের মধ্যে আছে।ওর চেহারায় তাকাতেই এক আলাদা আনন্দ খুঁজে পাই।মনের মধ্যে এক প্রশান্তি অনুভব হয়।আচ্ছা কোনো দিন যদি আস্থা তুলির ব্যাপারে জানে তাহলে কি ও আমাকে ছেড়ে চলে যাবে?আমি যদি তুলিকে ছেড়ে আস্থাকে ভালোবাসি তাহলে কি ও রাগ করবে?আমি জানি এই marriage with benefits একদিন ঠিক শেষ হয়ে যাবে।তখন আস্থা আমাকে ছেড়ে চলে যাবে আমি তো আর ওকে আটকে রাখতে পারবো না।কিন্তু ও চলে যাবে কথা ভাবতেই আমার বুক কেপে উঠে।আমি কি শেষমেশ ওকে ভালোবাসে ফেললাম?(আভি আস্থার চেহারার দিকে তাকিয়ে)
কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর আভি আস্থার মাথার পাশে বসে ওর মাথায় আলতো করে হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।
আমি চাইনা তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাও।আমি জানি না এইটা ভালোবাসা নাকি!তবে এইটা বলতে পারি তুমি আমার অভ্যাস হয়ে গেছো।তুমি পারবে না তুলিকে ভুলিয়ে আমার জীবনে নতুন করে ভালোবাসার ফুল ফোঁটাতে।আমি ভালোবাসতে চাই আবার।কাউকে মন প্রাণ উজাড় করে ভালোবাসতে চাই আমি।হবে কি তুমি আমার সেই মানুষ!আস্থা আই রিয়েলি নীড হেল্প।আমি পুরোনো ব্যাথা থেকে বেরিয়ে আসতে চাই তোমার হাত ধরে।(আভি আস্থার কপালে হাত বুলিয়ে)
অন্যদিকে ঘুমন্ত আস্থা ঠাস করে আভির গালে একটা কষে চড় মেরে বসলো
দূর মশা কানের কাছে এসে ভনভন করছে!একটু শান্তি মতো ঘুমাতেও দিবে না।
বলেই আস্থা আবার ঘুমে মগ্ন হয়ে গেলো।
আভি গালে হাত বুলাতে বুলাতে বললো
এই মেয়েকে নিয়ে আর পারি না।কি মেয়ে ঘুমের মধ্যেও মারপিট ঝগড়া করে।পুরো রোমান্টিক মুহুর্তটাকে কমেডি বানিয়ে দিলো।আর কি বললো আমি মশা?ভনভন করছি! হায় আমার ইমোশনাল কথার কোনো মূল্যই নেই। যাই হোক।আমার কিউট বউ ঘুমিয়ে আছে এতেই আমার শান্তি।আর আমি জানি আস্থাই পারবে আমাকে আমার অতীত ভুলিয়ে দিতে।
বলেই আভি আস্থাকে বুকে আস্টেপিস্টে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লো।
।
।#Marriage_With_Benefits
#Part_26
Writer::Sanjida Nahar Shaanj
.
.
কয়েকদিন পর
এই কয়দিন আমি এক প্রকার যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে গেছি।এই দাদু তো এই আভি আবার এই আয়ুশ তো এই আরশি।আর আমার চাচী শাশুড়ি তো আছেনই।আয়ুশ সেই আগের মত ভার্সিটিতে আমাকে রাগিং করতে চলে আসে।আমিও কম যাই না যখন থেকে ও আমাকে ওর গার্লফ্রেন্ড বলে পরিচয় সেই থেকে মেয়েরা আমার উপর একের পর এক হামলা করেই যাচ্ছে কিন্তু আমি আয়ুশ এর নাম নিয়ে সব কয়টাকে শিক্ষা দিচ্ছি।মাঝে মাঝে আয়ুশ এর নাম করে আলতু ফালতু কাজ করে বসে যার জের আয়ুশকে টানতে হয়।আমার আর কি যেহেতু আমাকে গার্লফ্রেন্ড বানানোর শখ আছে একে বারে শখ মিটিয়ে দিবো তোর।কারণ আমিও তোর ভাবি বয়সে বড় না হতে পারি সম্পর্কে ঠিকই তোমার থেকে যথেষ্ট বড়ো।আর তুমিও দেখবে ভাবির উপর নজর দেয়ার ফল।।একে তো এমন হয়েছে সারা কলেজ পড়াশুনা বাদ দিয়ে আমাদের ঝগড়া দেখেছে।এমন কি প্রফেসররাও আমাদের ঝগড়া দেখে মজা পায়।এই ঝগড়ার কারণে আমি অনেক পরিচিতি লাভ করেছি।
আরশি দশটার আগে বাসায় থাকে ঠিকই কিন্তু ওর বেহায়াপনা ঠিক সেই আগের মতই আছে।ওর সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারলাম এইটুকু বয়সে অনেক ছেলের সাথে সম্পর্ক আছে।নিজের চরিত্রও একটা প্লেগার্ল বানিয়ে ফেলেছে।অথচ এইটা নিয়ে ওর মা বা ভাইয়ের কোনো মাথা ব্যাথা নেই।টাকা গুলো যেনো পানির মতো খরচ করে।একে ঠিক পথে আনতে আমার ঘাম বেরিয়ে যাবে তা আমি ঠিকই বুঝতে পারছি।
তবে এই কয়দিনে মনে হচ্ছে আভি আর আমাকে আগের মত বকে না।আমার সাথে খুনসুটি ঝগড়া ব্যতীত আর কোনো ঝগড়া হয় না।তবে দাদুর সাথে সেই লাগে।ওদের থামানোই যায় না। আশ্চর্য ব্যাপার হলো দাদু আমাকে তাড়ানোর জন্য কিছুই করছে না।কি চায় দাদু তাই এখন আমার কাছে রহস্যময় হয়ে উঠছে।
অন্যদিকে আমার নতুন মা বাবা কয়েক মাসের জন্য বিদেশ চলে গেলো।মার নাকি কি থেরাপি নিতে হবে।না নিলে মার শরীর খুব খারাপ হয়ে যায়।মা থেরাপি নিতে চাননি তাই এইবার আগের থেকে বেশি শরীর খারাপ হয়ে গেছে।এইজন্যই মেয়ের মতো শাসন করে থেরাপি নিতে পাঠালাম।সাথে বাবাও গেছে।
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠলাম।সব সময়ই আভি আগে কি করে উঠে পড়ে জানি না।আজও আভিই আগে ঘুম থেকে উঠে ওয়াশ রুমে যায়।অন্যদিকে আমি বেলকনিতে দাড়িয়ে আকাশ দেখছি। বর্ষাকাল শুরু হতে চলেছে।কয়েকদিন পরেই বর্ষার আগমন।তাই আকাশ কেমন যেনো একটু মেঘলা।তবে ঠান্ডা বাতাস সকালের পরিবেশ খুব সুন্দর করে তুলছে।তাই কেনো জানি বাগানে হাঁটতে মন চাচ্ছে।আর আসার পর থেকেই বাগানে হাঁটার সময় পাইনি।তাই চলে গেলাম বাগানে হাঁটতে।
আমি বাগানে হাঁটছি আর বিভিন্ন ফুলের সুগন্ধ ফুলের সুবাস নিচ্ছি।তখনই খেয়াল করলাম একছোটো পুকুর পাড়ে বসার মত জায়গা করা হয়েছে আর সেখানে দাদু একা বসে আছে।আমার কেনো জানি দাদুর কাছে ইচ্ছে করলো।
দাদু!(আমি দাদুর কাছে গিয়ে)
দাদু আমার দিকে তাকালো
তুমি,,?
হুম।
তুমি এখানে কি করছো?(দাদু)
এমনি হাঁটতে আসলাম।(আমি)
ওহ।আচ্ছা বসো।
উনি সরে আমাকে উনার পাশে বসতে বললো।আমিও গিয়ে উনার পাশেই বসলাম।
দাদু আপনি রোজ সকালে এখানে আসেন?(আমি)
হুম।কিন্তু তুমি কি রোজ সকালেই হাঁটতে আসো?(দাদু)
নাহ।আজ আবহাওয়া অনেক ভালো তাই ভাবলাম।একটু হাটাহাটি করি।(আমি পানিতে পা ডুবিয়ে বসে)
ওহ।(দাদু)
আচ্ছা দাদু।যদি কিছু মনে না করেন একটা প্রশ্ন করি?।(আমি)
হুম।করো।(দাদু)
আচ্ছা আপনি কি আমাকে আভির জীবন থেকে তাড়াতে চান না?(আমি কৌতূহল নিয়ে)
কেনো?তুমি তো ওকে এক কোটি পাঁচশো টাকার বিনিময়ে কিনে নিয়েছো।এই দেখো তোমার দেয়া সেই পাঁচশো টাকা।যা আমি এখনও নিজের কাছে রেখেছি।(দাদু তার পকেট থেকে আমার পাঁচশো টাকার নোট বের করে)
কিন্তু আপনি তো আমাকে পছন্দ করেন না।তাই আমাকে তাড়াতে কি কিছু করবেন না?(আমি)
আমাকে কি তোমার ছবির ভিলেন মনে হয়?(দাদু ভ্রু কুঁচকে)
শুধু আপনাকে না…আপনার পুরো পরিবারকে আমার ভিলেন মনে হয়।(আমি নিরাশ হয়ে)
উনি আমার কথা শুনে হেসে দিলো।এই প্রথম আমি দাদুকে হাসতে দেখলাম।কেনো জানি মনে হচ্ছে উনি অনেক দিন পর প্রাণ খুলে হাসলো।
তুমি আমার পুরো পরিবারকে এক টেবিলে বসিয়ে খাইয়েছো।যদিও এখনও আয়ুশ আর আরশি বাদ।তবুও আমি জানি ওই দুটো কেও তুমি ঠিক করতে পারবে।আর আভি তোমাকে আমাকে ঠিক করার জন্য এনেছে তাই না??কিন্তু আভি জানে না ও যাকে আমার জন্য এনেছে সেই ওকে ঠিক করবে।(দাদু)
আমি দাদুর কথা কিছুই বুঝলাম না।উনি কি বলতে চাইছেন?তাহলে কি উনি জানে আভি আর বিয়েটা শুধু একটা নাটক।আভি আমাকে দাদুর জন্য আনছে!কিন্তু উনি এইসব কি করে জানে?এই সবের মাস্টার মাইন্ড কি উনি?(আমি অবাক চোখে দাদুর দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে ভাবছি)
দাদু আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো
আরে তুমি চিন্তা করোনা।যা করছো করতে থাকো যতক্ষণ না পর্যন্ত সব কিছু ঠিক চলছে।আর শুনো নিজের মনকে শক্ত করো।মন ভাঙার সময়ও আসবে।
বলেই দাদু চলে গেলো।
আমি পুকুর পাড়ে।বসেই দাদুর বলা কথা গুলো ভাবছি।কি বলে গেলো উনি।মন ভাঙার সময়ও চলে আসবে মানে?আভি আর দাদুকে কি করছে!আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিনা।খুঁজে বের করতে হবে আসল খেলা কে খেলছে আভি না দাদু?
।
।
হানিমুনের দিন
আমরা প্যাকিং করে সব কিছু গাড়িতে তুললাম।
দাদুর কথা মত রোহান চাচু সব কিছু করেছেন।একদম ফাইভ স্টার হোটেলে রুম বুক করার থেকে সব কিছু ফার্স্ট ক্লাস।আভি বলেছিলো ফ্লাইটে যেতে কিন্তু আমিই না করে দিয়েছি।আমার দূরে লং জার্নি করতে খুব ভালো লাগে।আর আভিও আর আমাকে কিছু বললো না।সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমরা বের হলাম।
।
।
অন্যদিকে
আয়ুশ নিজের রুমের সব ভেঙ্গে চুড়ে শেষ করে দিচ্ছে।নিজের ফার্নিচার থেকে শুরু করে মোবাইল ফোন সব কিছু গুঁড়ো করে দিচ্ছে।কেনো করছে তা ও নিজেই জানে না।কিন্তু এখন কেনো জানি আস্থার সাথে আভিকে দেখলেই আয়ুশ এর রাগ হয়। তা কেনো হয় টা আয়ুশ নিজেও জানে না।
আয়ুশ কি হলো তোমার?(ঈশানি)
মম। জাস্ট লিভ মি আলোন।(আয়ুশ চিৎকার করে)
ঈশানি ছেলের এই অবস্থা দেখে বুঝতে পারলো কি হয়েছে!
আস্থা।এই হানিমুন সুখের দিন খুব জলদি শেষ হতে চলেছে তোমার।(ঈশানি মনে মনে)
।
।
আমরা যাচ্ছি মাঠ,ঘাট,পথ, প্রান্তর সব পেরিয়ে যাচ্ছি।খুব সুন্দর এই জার্নিটা।খুব ভালো লাগছে আমার।
আস্থা আস্থা।(আভি)
আমি একমনে বাহিরের দৃশ্য উপভোগ করছিলাম।তখনই হটাৎ আভি ডাক দিলো।
কি হয়েছে?(আমি আভির দিকে ফিরে)
কিছু খেয়ে নাও।দুপুর হয়ে গেছে।এখনও কিছু খাওয়া নি!(আভি)
তুমিও তো কিছু খাও নি!(আমি)
আমি তো ড্রাইভ করছি পরে খেয়ে নিবো।তুমি এখন খেয়ে নাও।(আভি ড্রাইভ করতে করতে)
আমি গাড়ির পিছনে রাখা একটা ব্যাগ থেকে টিফিন বক্সটা বের করলাম।মিস:সাবিনা আমাদের জন্য খাবার প্যাক করে দিয়েছেন।আভির রাস্তার খাবার খেলে ফুড পয়জনিং হয়।তাই উনি স্পেশাল ভাবে আমাদের জন্য রান্না করে দিয়েছে যাতে আমাদের কোনো সমস্যা না হয়।
আমি টিফিন বক্স খুলেই দেখলাম।ওইটাতে নুডুলস, পাস্তা,,রুটি আর ভাজি আছে।আমি নুডলসের বাটিটা খুলে চামচ নিয়ে আভির উদ্দেশ্য দিলাম
কি হলো?আমাকে কেনো দিলে?তুমি খাও(আভি ড্রাইভ করতে করতে)
না।আমি খাবো না।আগে আমার স্বামী তারপর আমি।(আমি ছন্দ মিলিয়ে)
বাহ।কবে থেকে আবার স্বামী ভক্ত হয়ে গেলে তুমি?(আভি ড্রাইভ করতে করতে)
কি করবো বলুন?হানিমুনের যাচ্ছি স্বামী ভক্ত না হলে বুঝি হয়!(আমি দুষ্টামি করে)
বাহ।মিসেস আভি চৌধূরী তো খুব ভালো মাখন মারা শিখে গেছে।(আভি)
মাখন মারা!আপনি আবার কবে থেকে আমার কথা বলতে শুরু করলেন?(আমি অবাক হয়ে)
কি করবো বলো?হানিমুনে যাচ্ছি বউয়ের সম্পর্কে না জানলে কি হয়?(আভি ও আমার মত করে)
আমি আভির কথা শুনে হাসছি।এখন আভি আর আমার উপর রাগ করে না।খুব কেয়ার করে আমার খুব ভালো লাগে।আমার সাথে হাসি মজা করে,,দুষ্টামি করে যেনো এই এক নতুন আভি।
কি হলো?কি ভাবছো?আমাকে না খাইয়ে দাও?কই দাও।ক্ষুদা লাগছে।(আভি ড্রাইভ করতে করতে)
ও হ্যা।দাড়ান।
বলেই আমি আভিকে খাইয়ে দিতে লাগলাম।
আভিও একদম বাচ্চাদের মত খাচ্ছে।
বাবু খুব মজা তাই না?(আমি টিটকারি করে)
হ্যা।বাবু বউয়ের হাতে খাচ্ছি তো তাই একটু বেশিই মজা।(আভি)
আমি উনার কথা শুনে হাসলাম।এইভাবে হাসি ঠাট্টা করতে করতে আমরা আমাদের ফাইভ স্টার হোটেলে পৌঁছে গেলাম।হোটেলের মালিকের সাথে দাদুর খুব ভালো সম্পর্ক বলে উনারা খুব ভালো ভাবেই আমাদের অ্যাপায়ন করেছেন।
আভি সারাক্ষণ ড্রাইভ করাতে খুব ক্লান্ত তাই এসেই ফ্রেশ হয়েই ঘুমিয়ে পড়েছে।
আমি ফ্রেশ হয়ে এসে দেখলাম উনি ঘুমিয়ে পানি হয়ে গেছে।
ইস।আজ ড্রাইভ করে আসাতে একদম ক্লান্ত হয়ে গেছে।ভুলটা আমারই ছিলো আমিই লং ড্রাইভ করে আসতে চেয়েছি।তবে যায় হোক।উনাকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে খুব ভালো লাগে।উনাকে আর বিরক্ত করবো না।আর যেহেতু এই রুমে সোফা আছে সোজা গিয়ে আমিও সোফায় শুয়ে পড়ি।
রাতে ডিনার না করেই আমি আর আভি ঘুমিয়ে পড়লাম।
।
।
অর্ধেক রাতে
দূর।কি হলো ঘুম আসছে না কেনো?(আভি ঘুম থেকে উঠে)
মাথা চুলকাতে চুলকাতে
খুব ঘুমে ধরছে।কিন্তু শান্তির ঘুম হচ্ছে না কেনো?বাসায় তো খুব ভালো ঘুম হয় তাহলে এখন ঘুম কই চলে গেলো?আস্থা কই?
বলেই আভি বিছানায় আস্থাকে খুঁজতে লাগলো।কিন্তু আস্থাকে বিছানায় পেলো না।
কি হলো? কই গেলো মেয়েটা?(আভি)
অন্ধকারে খোজার চেষ্টা করেও আস্থাকে না পেয়ে আভি গিয়ে লাইট অন করলো।লাইট অন করতেই দেখে আস্থা সোফায় ঘুমে ব্যাস্ত।
দূর এই মেয়ের কি আর কোনো জায়গা পায় নি যে সোফায় ঘুমে ব্যাস্ত হয়ে আছে। দাড়া তোকে এখনই বেডে নিয়ে ঘুমাচ্ছি।বলেই আস্থাকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শুয়ে দিলো।পরেই লাইট অফ করে আস্থার পাশে এসে আস্থাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়ল।
খুব ভোরে আভির চোখ খুললে আভি বুঝতে পারলো আস্থাকে না জড়িয়ে ঘুমালে ওর ঘুম ভালো হয় না।আস্থাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমানো ওয়ে অভ্যাস হয়ে গেছে।
আস্থা এই আস্থা।(আভি)
কি হলো?এখনও তো সূর্য উঠে নি!(আমি চোখ কচলে)
আরে এই জন্যই তো ডাক দিছি।ভোরের সূর্যোদয় দেখবে না?(আভি)
হ্যা।আমি দেখবো।
বলেই এক লাফে উঠে বসলাম।
তাহলে চলো তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নাও।(আভি)
ওয়েট।আমি এখনি তৈরি হচ্ছি।
বলেই কাপড় চোপড় নিয়ে ওয়াশ রুমে দৌড় দিলাম।
আভি হাসতে হাসতে
এই মেয়ে একদম বাচ্চাদের মতো এক্সসাইটেড হয়ে গেল।ও যে ঘুমিয়েছে সোফায় আর উঠলো বেড থেকে এইটার ব্যাপারে ওর খবরই নেই।
চলুন চলুন আমি তৈরি।(আমি ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে)
হুম।(আভি)
পরেই আমি আর আভি সূর্যোদয় দেখার জন্য বেরিয়ে পড়লাম।
।
।
সেখানে
গিয়ে দেখলাম আমাদের মত অনেক কাপল।তারা এক অপরের হাত ধরে এসেছে সূর্যোদয় দেখতে।আমি হাঁটছি তখনই আভি আমার হাত ধরলো।আমি অবাক চোখে ওর দিকে তাকাতেই ও আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে বললো
সবাই তো এখানে কাপল নকল আর আসল কি।আমরা যেহেতু এখানে এসেছি সেহেতু তুমি পুরো এনজয় করবে।
সত্যি!(আমি অনেক এক্সসাইটেড হয়ে)
হুম।(আভি হাসি দিয়ে)
ইয়েস।
বলেই আমি লাফ দিয়ে উঠি।
।
।
আমি আর আভি বসে আছি একটু পরই সূর্যোদয় হবে।
এক্সকিউজ মি।(একজন লোক হাতে ক্যামেরা নিয়ে)
জ্বি।(আভি)
আপনারা যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আমি কি আপনাদের কাপল পিক তুলে দিতে পারি?(লোকটা)
আভি আর আমি একে অপরের দিকে তাকালাম।
কতো টাকা লাগবে?(আভি)
টাকা লাগবে না।আমি শুধু প্র্যাকটিসের জন্য আপনাদের ছবি তুলবো!আসলে কিছু দিন পর ওই হোটেলে(হাত দিয়ে দেখি) এক বিয়ের কাপল পিক তুলার জন্য আমাকে ভাড়া করা হয়েছে।আর তারই প্রাকটিস করতে চাই।অন্যদের থেকে আপনাদের জুটি আমার খুব ভালো লাগলো তাই আপনাদের সাথে কথা বলতে আসলাম যদি আপনারা কিছু মনে না করেন?(লোকটা)
কি বলো?(আভি)
উনাকে হেল্প করাই যায়!(আমি)
আমরা রাজি।(আভি)
তাহলে এক কাজ করুন আপনাদের হোটেলের অ্যাড্রেস দিয়ে যান।আমি আপনাদের ছবি তোলার পর তা পাঠিয়ে দিবো!(লোকটা)
ঠিক আছে।
পরেই আভি লোকটাকে আমাদের হোটেল আর রুম নম্বর টা বলে দিলো।
লোকটা আভি আর আমার কাপল পিক তুলছে।আমি আর আভি সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ভাবে দাড়িয়ে ছবি তুলছি।আমার খুব ভালো লাগে ছবি তুলতে।
।
।
অন্যদিকে আভি
এই মেয়ে ছবি তুলতে এতো ভালোবাসে জানতে রোজ ছবি তুলে দিতাম।মনে হচ্ছে ও খুব মজা পাচ্ছে ছবি তুলতে।আর সূর্যের প্রথম কিরণ যখন ওর হাসি মুখখানাতে পড়লো আমি শুধু তাকিয়েই রইলাম।কি প্রানবন্ত হাসি ওর মুখে।নিষ্পাপ চেহারা।মন চায় শুধু তাকিয়েই থাকি।(আভি আস্থার দিকে তাকিয়ে আছে)
আমি ছবি তোলা শেষ করে সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে খেলছি তখনই দেখলাম আভি আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আভি আভি!(আমি ইশারা করে)
আভি এক ধ্যানে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।আর তা দেখেই আমি উনার দিকে পানি ছুড়ে মারলাম।
।
।
চলবে