#বলব_কবে_ভালোবাসি
#পর্ব_০৮
#Marufa_Yasmin
আরু হা করে দরজার দিকে তাকিয়ে আছে কে এনি?আবার বললেন
” এই মেয়ে এত সাহস কেনো তোমার ঠাঠিযে চর দিলে লাইনে চলে আসবে ঠিক। ”
আরুর রাগ যেনো আকাশ ঠেকল।চেঁচিয়ে বলল
” ming your languages কাকে কি বলছেন? আর আপনি কে হ্যা আমাকে এইসব বলার? ”
মহিলা ভেতরে ঢুকে এসে বললেন
” আমি কে তুমি জানবে না।দীপ্ত, বৌদি তোমরা কিছু বলো এই মেয়েকে। ”
দীপ্ত শান্ত ভাবে বলল
” পিসি মনি তুমি আরুর সাথে এভাবে কথা বলতে পারো না। ”
” বাহ বিয়ে হতে না হতেই বউ এর আঁচল ধরে ফেললি। ”
”দুর্গা তুই আবার ঝামেলা করতে এসে পড়লি? ”
সামনে তাকিয়ে দেখে আরু দীপ্তর ঠাম্মি রাগি দৃষ্টিতে দূর্গা দেবীর দিকে তাকিয়ে আছে।
দুর্গা দেবী কঠিন গলায় বললেন
” বাড়ির বউ স্কুলে যাবে সেটা কি ভালো দেখায়?”
দীপ্ত কিছু না বলে আরুর উদ্দেশ্য বলল
” আরু স্কুলের জন্য রেডি হয়ে যাও। ”
আরু ছুটে স্কুলের শাড়িটা পরে এলো আর ব্যাগ নিয়ে।বাইরে চলে যায়।দেখে দীপ্ত বড়ো একটা গাড়িতে বসে আছে।আরু ভুরু কুঁচকে বলল
” এই আপনি না কালকে আমাকে বললেন যে আপনাদের মতো আমারা ওত ধনী না আমরা তাহলে গাড়ি কোথায় পেলেন? ”
” আজব তো কথার কথা সবাই বলে আপনার কি সাধারণ বুদ্ধি নেয়।আমার এত বড়ো বাড়ি এত গুলো গাড়ি দেখার পর ও আপনি আমার কথায় বিশ্বাস করলেন তাহলে আমার কি দোষ উঠে আসুন।”
আরু ভ্যাবাচেকা খেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
” আরে উঠে আসুন দেরি হয়ে গেছে আলরেডি।”
” হুম ”
আরু উঠে বসে।
দীপ্ত ড্রাইভ করছে।কিছুক্ষন পর আরুর স্কুলের সামনে এসে গাড়ি দাঁড় করালো।আরু গাড়ি থেকে নেমে আস্তে আস্তে স্কুলের মাঠের দিকে যেতে নেয় তখন পেছন থেকে দীপ্ত বলে উঠে
” মাঠে নয় ক্লাসে যান। ”
আরু রাগে গজগজ করতে করতে পেছন ফিরে বলল
” আমি ক্লাসে যাবো কি সর্গে যাবো সেটা আমার ব্যাপার।আপনার কি?”
” আরু প্লিজ এখানে এমন কিছু করতে আমাকে বাধ্য করো না ।”
আরু দীপ্তর কথা বেশ বুঝতে পারে।শান্ত গলায় বলল
” ফ্রেন্ডরা সব মাঠে বসে আছে আমি কথা বলেই ক্লাসে চলে যাবো। ”
” ওকে এক মিনিট ।”
আরু ছুটে মাঠে যায়।আরু কে আসতে দেখে ওর সব ফ্রেন্ডরা জড়িয়ে ধরে আরু লাফাতে লাফাতে রাহুল রাজ এদের ও জড়িয়ে ধরে।আর দূর থেকে দীপ্ত এইসব দেখছে আর আরুর উপর রাগছে।
মনে মনে বলছে
” বিকালে বাড়ি ফেরো তারপর দেখাবো তোমাকে দীপ্তর অসল রুপ কি। ”
দীপ্ত ফোনটা বের করে কাউকে কল করে বলল
” স্কুলের সামনে সব সময়ই থাকবে আর দেখবে আরু কি কি করছে a to z সব খবর চাই। বুঝেছো?আর আরু জেনো বুঝতে না পারে।”
দীপ্ত ফোনটা পকেটে ভরে গাড়িতে উঠে বসে।
__________
আরু ভুলে গেছে দীপ্ত ওকে এক মিনিট বলেছিল।বন্ধুদের সাথে বেশ হাসাহাসি করছে এর মাঝেই রাহুল বলে উঠে
” আরু প্লিজ এইবার অন্তত পাশ কর তোর জন্য আমাদের এই গ্যাংটা কে ও ফেল করতে হয়।এইবার যদি ফেল করি নিজে থেকে তাহলে বাড়ির লোক আর আস্ত রাখবে না। ”
আরু বিরক্ত হয়ে বলল
” কি করবো পড়া মাথায় ঢুকে না যে।আরে হৃদ কোথায়? ”
”এই তো আমি এখানে ”আরু পেছন ঘুরে দেখে হৃদ আরু হৃদ কে দেখা মাত্র জমিয়ে ধরে।তারপর ছেড়ে বলল
” বস ”
সবাই মিলে গল্প শুরু করে আর ট্রপিক হচ্ছে আরুর বিয়ে।মিষ্টি বারবার হৃদ এর দিকে তাকাচ্ছে। হৃদ কারো দিকে তাকাচ্ছে না আরু বলে উঠে
” হৃদ আমার প্রিয় গানটা করে শোনা প্লিজ।”
হৃদ মুচকি হেসে আরু কথা মতো গান ধরলো ।
বলবো কবে তাকে ডেকে
আমি তোমাকে ভালোবাসি,
করেছে পাগল আমাকে
ওগো তোমার ওই মিষ্টি হাসি।
কবে জানবে তুমি, কবে বলবো আমি
কেউ আছে গো তোমার আশায় ..
যার ছবি এই মন এঁকে যায়
যার কথা ভেবে দিন কেটে যায়,
সেকি জানে শুধু তাকে
ভালোবাসে আমার হৃদয়।
যার ছবি এই মন এঁকে যায়।।
মায়াবী ওইই দুটি চোখে
সে যখনই আমায় দেখে,
পড়েনা চোখেতে পলক
আর আসেনা কথা মুখে।
তার চলে যাওয়া, ফিরে একটু চাওয়া
এই বুকেতে ঝড় তুলে যায়..
যার ছবি এই মন এঁকে যায়
যার কথা ভেবে দিন কেটে যায়,
সেকি জানে শুধু তাকে
ভালোবাসে আমার হৃদয়।
যার ছবি এই মন এঁকে যায়।।
যার ছবি এই মন এঁকে যায়,
যার কথা ভেবে দিন কেটে যায়।
যার ছবি এই মন এঁকে যায়
যার কথা ভেবে দিন কেটে যায়,
সেকি জানে শুধু তাকে
ভালোবাসে আমার হৃদয়।
যার ছবি এই মন এঁকে যায়।।
হৃদ তার গানের মাঝে সব সময়ই নিজের কথা গুলো ফুটিয়ে তুলত কিন্তু আরু বুঝতেই পারত না।
বাকি
( গল্পের রেসপন্স কমে যাচ্ছে আপনাদের গল্প ভালো লাগছে না বুঝতে পারছি।)