বলব_কবে_ভালোবাসি পর্ব ৯

#বলব_কবে_ভালোবাসি
#পর্ব_০৯এক্সট্রা
#Marufa_Yasmin

দীপ্ত আরুর ঠোঁট নিজের ঠোঁটে আঁকড়ে ধরে আছে।আরুর ছাড়ানোর চেষ্টা করে চলেছে কিন্তু কোনো ফল হচ্ছে না ।উলটে দীপ্ত কামড় খেতে হচ্ছে।আরুর চোখে জল ছলছল করছে।কিছুক্ষন পর আরু কে ছেড়ে দিয়ে দীপ্ত ঠোটা মুছে বলল

” আমার সাথে তর্ক করছেন না দয়া করে।আর হ্যা অন্য কোনো ছেলেকে জড়িয়ে ধরার কথা মাথায় ও আনবেন না।না হলে আমি কি করতে পারি তা এতখন যা হলো বুঝতে পারছেন। ”

আরু কাঁদছে।দীপ্ত রুম থেকে বেরিয়েছে চলে যায়।আরু বিছানায় বসে পড়ে।কিছুক্ষণ আগের কথা ভাবছে।

স্কুলে সবার সাথে আড্ডা দিতে দিতে সময় কখন পার হয়ে গেছে খেয়াল নেয় ক্লাস 12 কে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা কিছু বলে না।তারা কেউ ক্লাস করে কেউ করে না।আরু ফোনটা বেজে উঠে ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখে দীপ্ত।আরু ফোনটা তুলে কানে লাগিয়ে বলল

” বলুন? ”

” কোথায় আপনি? ”

”ক্লাসে বসে আছি ।”

” ওকে আমি নিতে আসছি। ”

” কোনো দরকার নেই। ”

”দরকার আছে ”কথাটা আরুর পেছন থেকে এলো আরু পেছনে ঘুরে দেখে দীপ্ত রাগি লুক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।আরু তাড়াতাড়ি করে উঠে দাঁড়ায়।
আমতা আমতা করে বলে

” আপনি? ”

” আপনি আমাকে মিথ্যা বললেন ।”

” মানে এ ,,,,

” কিছু বলতে হবে না চুপ ।”
দীপ্ত আরু কে কোলে তুলে নেয়।আরু বলে উঠে
” কি করেছেন ছাড়ুন আমাকে প্লিজ সবাই দেখছে প্লিজ ছাড়ুন।”

দীপ্ত আরুর কোনো কথা কানে নিচ্ছে না।মাঠে উপস্থিত থাকা ছাত্র ছাত্রীরা সিস বাজাচ্ছে।অন্য দিকে হৃদ এর বুকটা চিরে যাচ্ছে।মিষ্টি হঠাত হৃদ এর হাতটা ধরে বসে।হৃদ অবাক হয়ে যায়।সঙ্গে সঙ্গে মিষ্টির হাতটা সরিয়ে দেয়।তারপর সেখান থেকে চলে যায়।

দীপ্ত আরু কে বাড়ি এনে রুমের মধ্যে ঢুকে ঠাস করে চর বসিয়ে বলল

” ক্লাসে না গিয়ে আড্ডা দিচ্ছেলে?ছেলেদের কে জড়িয়ে ধরা? ছেলেদের গায়ে পরা? ”

আরু জিব বের করে মনে মনে বলল
” আরু তুই একটা ইডিযেট।তখন যে দীপ্ত পেছনে ছিল সেটা ভুলে রাহুল রাজ কে জড়িয়ে ধরার কি ছিলো এবার ঠেলা সামলা।বেটা অনেক রেগে আছে রে হে ভগবান বাঁচাও। ”

আরু কে চুপ করে থাকতে দেখে দীপ্ত বলল
” কি হল কথা কানে যাচ্ছে না? তুমি কি ভুলে যাচ্ছ তোমার বিয়ে হয়েছে? ”

আরু সাহস জাগিয়ে বলল
” এ এ মানে আপনি আমার সাথে এভাবে কথা বলতে পারেন না ।আপনাকে আমি বর বলে মনে করি না আপনি একটা ………..

আর বলতে পারলো না দীপ্ত আরুর ঠোঁট আঁকড়ে ধরে নিল।

____________
আরু বিছানায় বসে আছে আর মিটমিট হাসছে।

” আমার বরটা তো হেব্বি রোমান্টিক । এইরকম সাইকো তো চেয়েছিলাম।বর রে বর তোকে আমি ছাড়ছি না। বাট কি জোরে ঠোঁটে কামড়ে দিল শয়তান একটা। ”

আরু কথা গুলো বেশ জোরে বলে দীপ্ত দরজায় ঢুকতে সবটা শুনে ফেলে।দীপ্ত গম্ভীর ভাবে ঢুকে বলে

” এখনো ফ্রেশ হওনি? যাও ফ্রেশ হয়ে এসো ।”

আরু ঢোক গিলে তাড়াতাড়ি করে টি সার্ট আর একটা জিন্স প্যান্ট বের করে বাথরুমে ঢুকে যায়।মনে মনে দীপ্ত কে ধুয়ে দিচ্ছে সামনে কেনো জেনো সাহসের হচ্ছে না।
কিছুক্ষন পর আরু বেরিয়ে আসে সাদা টি সার্ট আর জিন্স প্যান্ট খোলা চুল নিয়ে বেরিয়ে আসতে দেখে দীপ্ত হা ।আরু দীপ্ত কে তাকিয়ে থাকতে দেখে লজ্জা পেয়ে যায়।আরু কাঁসি দিয়ে বলল

” ও ভাবে তাকিয়ে থাকবেন না আমি জানি আমি সুন্দরী।”

দীপ্ত আরুর কথায় হা হু করে হেসে দেয় আরুর রাগ লাগে খুব।রাগে গজগজ করতে করতে দীপ্ত কে কিল ঘুষি মারতে লাগে ।

_______________

ভিক্টোরিয়ার সামনে দাঁড়িয়ে আছে মিষ্টি।রাত সাতটা বাজে ভিক্টোরিয়ার রুপ আরু ফুটে উঠেছে।
আলোতে ঝলমল করছে কলকাতা শহর।বড়ো বড়ো গাড়ির ভিড়।বড়ো বড়ো বাড়ি।আর ভিক্টোরিয়ার দৃশ্য আরো সুন্দর করে তুলে কলকাতা শহর কে । মিষ্টি সাদা একটা চুড়িদার পরে দাঁড়িযে আছে হাতে কত গুলো লাল গোলাপ।
হৃদ এর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে।বার বার হাতের ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে।এর মাঝেই হৃদ এসে পেছন থেকে বলল

” কেনো ডাকলি বল?”

মিষ্টি পেছন ঘুরে তাকিয়ে দেখে হৃদ তার সামনে দাঁড়িয়ে মিস্টি জেনো চোখের পলক ফেলতে পারছে না ইচ্ছে করছে এইভাবেই হৃদ কে দেখতে।হৃদ মিষ্টি কে ঝাঁকিয়ে বলল

” কি হলো বল।”

হৃদ এর কথায় ধ্যান ফিরে মিষ্টির।ঝট করে পেছন ঘুরে যায়।চোখটা বন্ধ করে নেয়।তারপর বলতে শুরু করে ।

” হৃদ তোকে নিজের মনের কিছু কথা বলতে চাই আজ যার জন্য আমি তোকে এখানে ডেকেছি।”

” হুম বল।”

” জানি না এটাকে কি বলে তবে তোকে যখন নিজের আশেপাশে দেখি মনে হয় পৃথিবীর সব চেয়ে সুখি মানুষ আমি তোকে কষ্ট পেতে দেখলে নিজের অজান্তেই চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ে।হয়তো এটাকেই ভালোবাসা বলে।আমি তোকে ভালোবাসি হৃদ। তুই তোর রুক্মিনি বানাবি আমাকে ।আমি তোকে আমার কৃষ্ণ করতে চাই।”

কথা গুলো বলে মিষ্টি হৃদ দিকে ঘুরে গোলাপ গুলো এগিয়ে দেয়।হৃদ স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।হৃদ তাচ্ছিল্য হেসে বলল

” তোর প্রস্তাব তুই ফিরিয়ে নে।আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি বাড়ি যা তোর পরিবার চিন্তা করবে আসি আমি। ”

হৃদ চলে যায়।মিষ্টি চোখের জল ছেড়ে সেখানে দাঁড়িয়ে আছে।

___________

একঘন্টা থেকে দীপ্ত আরু কে বই এর সামনে বসিয়ে রেখেছে।দীপ্তর হাতে একটা বড়ো স্কেল কাঠের।আরুর এত বছরের জীবনে কোনোদিন একঘন্টা বই এর সামনে থাকেনি।আরু কাঁদোকাঁদো ফেস নিয়ে দীপ্তর দিকে তাকিয়ে আছে।দীপ্ত রেগে এক স্কেল এর বারি দিলো আরুর হাতে।

” কখন থেকে দেখছি পড়া করছো না।আজ যদি এই ইতিহাস এর পরা না পাই তবে তুমি বুঝতে পারবে আমি কি।”

আরু এবার কেঁদে দেয়।বাচ্চাদের মতো কাঁদছে।দীপ্তর মা আরুর কান্না শুনে ছুটে আসে।

” দীপ্ত কি হয়েছে ওর কাঁদছে কেনো?”

আরু ছুটে গিয়ে প্রতিমা দেবী কে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলল

” আন্টি আপনার ছেলে পচা আমাকে মেরেছে এঈ দেখুন লাল হয়ে গেছে।”

প্রতিমা দেবী আরুর হাতটা দেখে সত্যিই অনেক লাল হয়ে গেছে।
প্রতিমা দেবী দীপ্ত কে খুব বকে তারপর আরু কে নিয়ে বাইরে চলে যায়।
আরু কেঁদেই যাচ্ছে প্রতিমা দেবী আরু কে টেবিল ভর্তি চকলেট দিয়েছে জেনেও আরু চুপ করে ঠাম্মি ও আরু কে চুপ করাচ্ছে।

দীপ্তর ফোন বেজে ওঠে।দীপ্ত ফোনটা তুলে বলল
” যে সব করালি আমাকে দিযে তার জন্য তোর তো কোনো লাভই হলো না উল্টে ……….

বাকি

( আপনাদের জন্য এক্সট্রা পার্টটা দিলাম আজকের পার্টটা ছোট হয়েছিল তাই। )

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here