#প্রেমাসক্তি
#পর্ব__১২
#অদ্রিতা_জান্নাত
খাটের মাঝখানে এলোমেলো হয়ে শুয়ে আছে ইশিতা ৷ পুরো রুম এলোমেলো সঙ্গে ও নিজেও এলোমেলো ৷ হাতের ফোনটা শক্ত করে ধরে শুয়ে আছে ৷ সারা রাত ঘুমায় নি ৷ চোখের নিচটা কালো হয়ে আছে ৷ চোখ, মুখও ফোলা লাগছে অনেকটা ৷ বেলকনির থেকে ঠান্ডা বাতাস এসে ওকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে ৷ ও একটু নড়েচড়ে আবার ঘুমিয়ে পরছে ৷ হঠাৎ করেই হাতে থাকা ফোনটা বেজে উঠলো ৷ ধরফরিয়ে উঠে বসলো ৷ ঘুম ঘুম চোখে চারপাশে একবার চোখ বুলিয়ে মোবাইলের দিকে তাকালো ৷ চোখ কচলে মোবাইলটা রিসিভ করে ভাঙ্গা গলায় বললো,,,,,, “হ্যালো!”
ওপাশ থেকে কোনো রূপ আওয়াজ পেলাম না ৷ কানের থেকে ফোন সরিয়ে স্ক্রিনে তাকাতেই ইশানের নাম্বার ভেসে উঠলো ৷ জোরে একটা শ্বাস নিয়ে বলতে লাগলাম,,,,,,,,,
ইশিতা : আমি তো বেকার ৷ তো আমাকে ফোন দিয়েছো কেন? আমার সঙ্গে কথা বলে তো তোমার বিরক্ত লাগে ৷ সো ফোন রাখো এখন ৷
ওপাশ থেকে এবারও কোনো উত্তর পেলাম না ৷ শুধু ঘন ঘন নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছি ৷ আমি আবার বললাম,,,,,,
ইশিতা : ঠিক আছে আমিই রাখছি ৷
বলেই কাটতে গেলে ওপাশ থেকে ইশান বলে উঠলো,,,,,,,, “ইশিতা!”
আমি ফোন কাটতে পারলাম না ৷ সেই একই ভাবে ধরে বললাম,,,,,,,,
ইশিতা : কি বলবে বলো ৷
ইশান : এভাবে কেন কথা বলছো? তুমি কি আমাকে বুঝতে পারছো না? কতটা কষ্ট হচ্ছে আমার ৷ বাড়ির বাহিরে আসো ৷ তোমাকে নিয়ে বাড়িতে যাবো ৷
ইশিতা : তুমি কোথায় এখন?
ইশান : আমি তোমার বাড়ির সামনের রাস্তায় আছি ৷ চলে আসো প্লিজ ৷
ইশিতা : ইশান বাড়িতে ফিরে যাও তুমি ৷ আমি যেতে পারবো না ৷
ইশান : কেন আসতে চাইছো না? কেন ওই নড়কে থাকতে চাইছো? তুমি ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে আসো ৷ আমরা অনেক দূরে চলে যাবো ৷
ইশিতা : জেদ করো না ৷ তুমি তোমার বাড়ি চলে যাও ৷ আমি আমার জন্য তোমার পরিবারের ক্ষতি করতে পারবো না ৷
ইশান : মানে?
ইশিতা : কিছু না ৷ প্লিজ চলে যাও ৷ পালাতে পারবো না আমি ৷ আমার কিছু করার নেই ৷ তুমি এই বাড়িতে আসার কোনো প্রকার চেষ্টাও করবে না ৷ ফিরে যাও ৷
ইশান : ইশিতা কি বলছো তুমি এগুলা? পাগল হয়ে গেছো? তুমি কি ভালোবাসো না আমাকে?
ইশিতা : তোমাকে যেমন ভালোবাসি তেমন আমি আমার পরিবারের সবাইকেও ভালোবাসি ৷ ওদের কথার অবাধ্য হয়ে তোমার সাথে যেতে পারবো না আমি ৷ আর দূরত্ব ভালোবাসা কমায় না বরং বাড়ায় ৷ কাছে থাকলে সহজেই সেই ভালোবাসা পাওয়া যায় ৷ দূরে থাকলে সেটা অনেক কঠিন হয় আর কষ্ট বাড়ায় ৷ আর এই কষ্টের মাধ্যমেই ভালোবাসাটা আরো মজবুত হয় ৷ তুমি চলে যাও ৷ ভাগ্যে থাকলে তোমার কাছে আবার ফিরবো আমি ৷
ইশান কিছু বললো না চুপ করে রইলো ৷ সেটা দেখে আমি বললাম,,,,,,,,,
ইশিতা : নিরবতা সম্মতির লক্ষন ৷ ভাগ্যের উপর আস্থা রাখো ৷ আর বাড়িতে যাও ৷ ফ্রেশ হয়ে খেয়ে ব্যথার ওষুধ খেয়ে নিও ৷ আমার জন্য নিজের শরীরকে কষ্ট দিও না প্লিজ ৷ নিজের যত্ন করবা ৷ সবার খেয়াল রেখো ৷ শুনছো নাকি?
ইশান : হুম ৷
ইশিতা : কথা বলো ৷ হুম বললে হবে?
ইশান : অপেক্ষা করবো তোমার জন্য ৷ দেখি কত কষ্ট দিতে পারো ৷ যখন ইচ্ছা আমার কাছে আসতে পারো ৷ নিরাশ করো না আমাকে ৷
আমি চুপ হয়ে গেলাম ৷
ইশান : বাড়িতে যাচ্ছি কোনো দরকার লাগলে বলো ৷ আর তুমিও নিজের খেয়াল রেখো ৷ রাখছি ৷
আমি আর কিছু বললাম না ৷ ফোন রেখে দিলাম ৷ আর কিছু শোনার মতো শক্তি নেই আমার মধ্যে ৷ উঠে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম ৷ মাথা ব্যথা করছে প্রচন্ড ৷ নিজেকে পাগল পাগল লাগছে ৷ দরজা নক করার আওয়াজে উঠে গিয়ে দরজা খুলে দিলাম ৷ আম্মু রুমে এলো একটা প্লেট হাতে নিয়ে ৷ আমাকে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে বললো,,,,,,,,
—- তোকে এরকম দেখাচ্ছে কেন? শরীর খারাপ করছে?
ইশিতা : ওই আর কি তেমন কিছু না ৷
—- নে খেয়ে নে কাল রাতে কিছু খাস নি তো ৷ হা কর ৷
ইশিতা : ভালো লাগছে না আম্মু ৷ খাবো না এখন ৷
—- আরে কাল তো কিছু খেলি না ৷ আর এখনও না করছিস?
ইশিতা : উফ ছাড়ো তো ভালো লাগে না ৷
এই বলে প্লেটটা নিয়ে পাশের টেবিলে রেখে দিলাম ৷ তারপর আম্মুর কোলে মাথা রেখে বললাম,,,,,,,,,
ইশিতা : নাও তো মাথাটা একটু টিপে দাও ৷ প্রচুর ব্যাথা করছে ৷
—- দাঁড়া মলম এনে লাগিয়ে দিচ্ছি ৷
ইশিতা : উহু তুমি যেও না ৷ টিপে দিলেই হবে ৷
আম্মু হালকা হেসে আস্তে আস্তে টিপে দিতে লাগল ৷ আমি চোখ বন্ধ করে রেখেছি ৷ চোখের কোণের পানি চিকচিক করছে ৷
তখন রুমে ইতি ঢুকে রুমের দরজা লাগিয়ে দিল ৷ ইশিতার কাছে এসে ওর হাত ধরে ওকে ডাক দিয়ে বললো,,,,,, “বোন?”
ইশিতা চোখ বন্ধ রেখেই বললো,,,,, “কি?”
ইতি : বাপি বাহিরে গিয়েছে তুই ইশানের কাছে যা ৷
ইতির কথা শুনে ইশিতা চোখ খুলে বলতে লাগলো,,,,,,
ইশিতা : পাগল হয়ে গিয়েছিস? দেখ আমি এক কাজ বারবার করলে বাপি বড় কিছু একটা করে ফেলবে ৷ আর আমি তোদের বিপদে রেখে যেতে পারবো না ৷ পালিয়ে যায় ভিতুরা ৷ চোররা পালিয়ে পালিয়ে থাকে ৷ আমি কোনটা যে খালি পালাবো? ভাগ্যে যেটা থাকবে সেটাই হবে ৷ তাই আর এসব কথা বলিস না আমাকে ৷ যতদিন থাকতে পারি তোদের সাথে থেকে নি ৷
ইতি : ইশিতা…
ইশিতা : এই বিষয়টা অফ রাখ ৷ দেখা যাক কি হয়? আম্মু একটু মলম লাগিয়ে দাও ৷ প্রচুর ব্যথা করছে ৷
আপু আর কিছু বলতে গেলে আম্মু হাত দিয়ে থামিয়ে বললো,,,,,,
—- হয়েছে আর বলিস না ৷ মলমটা একটু নিয়ে আয় যা ৷
ইতি : আচ্ছা ৷
আপু আমার ভালোর জন্য বলছে সেটা আমি জানি ৷ ও ভয় পাচ্ছে যদি বাপি আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলে তবে? হয়তো সবার মুখ দেখে বিয়েটাও করে নিব আমি ৷ কিন্তু সেই দিনই হবে আমার জীবনের শেষ দিন ৷ দেখি বাপি আর কি করতে পারে ৷
ইশিতার মা ইশিতার মাথায় মলম লাগিয়ে দিয়ে হাত বুলাতে থাকলো ৷ ততোক্ষনে ইশিতার চোখ লেগে গিয়েছে ৷ ইতি ওর মাকে বলতে লাগলো,,,,,,,
ইতি : দেখেছো? একদিনে মেয়েটার চেহারার কি হাল হয়েছে? ওই লোকটার কি একটুও দয়া মায়া হয় না? কেউ নিজের মেয়েকে এভাবে কষ্ট দেয় কি করে?
—- আমার সেই আগের ইশিতা এক মূহুর্তেই হারিয়ে গেলো রে ৷ আগেরবার যখন পালিয়ে গিয়েছিল তখনো তো কতটা হাসি খুশি ছিল ৷ এই কয়েকদিনে কি হয়ে গেল রে মা?
ইতি : আমি আর সহ্য করতে পারছি না আম্মু ৷ ওকে বোঝাও তুমি ৷ কেন ও আমার কথা শুনছে না আম্মু?
—- অহংকারের শাস্তি পাবে একদিন ৷ তোর বাবার এই অহংকার একদিন ধুলোয় মিশে যাবে ৷ সেদিনের অপেক্ষাতেই চেয়ে আছি আমি ৷ আমার ইশিতার মতো… তুই, রিফা (ইশিতার ফুপ্পি) আরও অনেকেই তো কষ্ট পেয়েছে ৷ আর কত? এসব শেষ হবে একদিন ৷ সেই দিন আমি তোর বাবাকে কয়েকটা কথা শুনিয়ে দিব ৷ তাহলেই শান্তি পাবো ৷
ইশিতার মা আর ইতি ইশিতার দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ফেলতে লাগলেন অন্যদিকে দরজা আড়ালে দাঁড়িয়ে একজন নিজের চোখ মুছে নিয়ে হাত শক্ত করে মুঠো করে বলতে লাগলেন,,,,,,,,,,,
—- তোমার এই খ্যাতি, যশ, প্রতিপত্তি আর কয়দিন থাকে সেটা আমিও দেখবো আরমান চৌধুরি ৷ তোমাকে আমি রাস্তার ভিখারী করে ছাড়বো ৷ আমাদের কষ্ট দেয়ার ফল তুমি পাবে ৷ শুধু সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করো ৷
বলেই চলে গেলেন তিনি ৷
________________________________
বেলকনিতে দাঁড়িয়ে একের পর এক সিগেরেটের প্যাক শেষ করছে ইশান ৷ রাগে চোখ মুখ লাল হয়ে আছে ৷ পারলে ও ইশিতার বাবাকে মেরে ফেলতো নিজে ৷ সাহস হয় কি করে ওদের আলাদা করার ৷ শুধু ইশিতার জন্য ও এখনো কিছু করছে না ৷ হাত মুঠো করে সেই হাত দিয়ে দেয়ালে একটা ঘুষি মারলো ৷ রাগে ওর হাত পা কাঁপছে ৷ কি করবে নিজেই বুঝতেছে না ৷ পিছন থেকে কারো আওয়াজ শুনে পিছনে ঘুরে তাকালো ৷ ইশানের বাবা হাতে হাত গুজে দাঁড়িয়ে আছেন ৷ ইশানের কাছে এসে বলতে লাগলেন,,,,,,,,,
—- তুই ওই মেয়েটার জন্য নিজেকে কষ্ট দিচ্ছিস? যেই মেয়েটার কাছে তোর কোনো মূল্য নেই ৷ সেই মেয়েটার জন্য কেন কষ্ট পাচ্ছিস?
ইশান মুখ ঘুরিয়ে বললো,,,,,,,,
ইশান : ইশিতার সম্পর্কে আর কিছু বলো না পাপা ৷
—- কেন বলবো না? ওই বাড়ির সবাই এমনই ৷ তুই কেন কষ্ট পাচ্ছিস? ভুলে যা ওকে ৷ আমি ওই মেয়ের কথা আর এই বাড়িতে শুনতে চাই না ৷
ইশান : পাপা তোমার কি হয়েছে বলো তো? কেন ইশিতাকে তুমি অপচ্ছন্দ করো? ও দেখতে খারাপ? ওর চরিত্র খারাপ? ওর ব্যবহার খারাপ? কোনটা?পাপা বলো কীসের জন্য ওকে তোমার পচ্ছন্দ না ৷ ওর ফ্যামিলীকে কি করে চিনো তুমি? বলো প্লিজ ৷
—- সে সব কথা তোমাকে বলতে আমি বাধ্য নই ৷ নিচে আসো খাবে ৷ খাবে না এই কথাটা শুনতে চাই না আমি ৷ তাই তাড়াতাড়ি চলে আসো ৷
বলেই তিনি মুখ ঘুরিয়ে নিচে চলে গেলেন ৷ ইশান অসহায় চোখে তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো ৷ তারপর ও নিজেও রুম থেকে বেরিয়ে গেল ৷ ওর বাবার রুমের কাছে গেলে একটা কথা শুনেই থেমে গেলো ইশান ৷ রুমের দিকে এগিয়ে গিয়ে দেখে ওর বাবা ওর মায়ের ছবি হাতে নিয়ে একা একাই কথা বলছে ৷ তার গলাটা ভেজা মনে হলো ইশানের কাছে ৷ আরেকটু এগিয়ে যেতেই ওর বাবার বলা কথাগুলো শুনতে পায় ৷ সেগুলো শুনে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো ও ৷ নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না ৷ ওখান থেকে দৌঁড়ে নিজের রুমে চলে গেল ৷ তারপর ইশান নিজের ফোন হাতে নিয়ে ইশিতাকে কল দিল ৷
________________________________
মুখের উপর তরল কিছুর স্পর্শ পেয়ে চোখ মেলে তাকালাম ৷ হালকা ঘুম চলে এসেছিল ৷ চোখ খুলে দেখি ফুপ্পি কাঁদছে ৷ আমি উঠে বসলাম ৷ চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে বলতে লাগলাম,,,,,,,,
ইশিতা : কাঁদছো কেন? বলো না বাপি কিছু বলেছে?
—- না রে মা কি বলবে? কিছু বলে নি ৷ তোর মাথা ব্যাথা কমেছে?
ইশিতা : হুম ৷
—- আচ্ছা আয় খেয়ে নিবি ৷
আমি বিছানা থেকে নেমে বললাম,,,,,,
ইশিতা : উহু পরে খাবো ৷
—- না করলে গালের মধ্যে ঠাস করে একটা থাপ্পর দিব ৷ বস এখানে না হলে মাইর খাবি কিন্তু ৷
ইশিতা : উফফফওও!!
রিফা টান দিয়ে ইশিতাকে বসিয়ে দিল ৷ তারপর জোর করে ওকে খাওয়াতে লাগলো ৷ ইশিতাও গিলছে ৷ ওকে খাওয়াতে খাওয়াতে রিফা বলে উঠলো,,,,,,,,,,,
—- তো ইশানের সাথে কথা বলেছিস?
ইশিতা : হুমম ৷
—- তো কি বলেছে?
ইশিতা : ওই আর কি যা বলে ৷
—- আমাকে বলা যাবে না বুঝি?
ইশিতা : না সেরকম কিছু না ৷
—- আচ্ছা নে হা কর ৷
তখনি ওর ফোনটা বেজে উঠলো ৷ মুখে খাবার নিয়ে ফোন হাতে নিয়ে দেখে ইশান ফোন করেছে ৷ রিসিভ করে কানে ধরে বললো,,,,,,,,” হুম বলো”
ওপাশ থেকে ইশান বলতে লাগলো,,,,,,
ইশান : ইশিতা তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে ৷
ইশিতা : কি?
ইশান : এভাবে বলা যাবে না ৷ দেখা করতে পারবে?
ইশিতা : আমি কীভাবে…
ইশিতা কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেল ৷ রিফা ওর দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে ৷ ওর ফুপ্পির সামনে ওর কথা বলতে অসুবিধা হচ্ছে ৷ ইশান আবার বললো,,,,,,
ইশান : কি হলো বলো?
ইশিতা ছোট্ট করে বললো,,,,,,,,,
ইশিতা : না ৷
ইশান : একটাবার প্লিজ ৷ তোমার সাথে দরকারি কথা আছে ৷ প্লিজ ইশিতা না বলো না ৷
ফোন কানে নিয়ে চুপ করে রইলাম ৷ সেটা দেখে ফুপ্পি বলতে লাগলো,,,,,,
—- কি হয়েছে ইশু? চুপ করে আছিস যে?
ইশিতা : কিছু না ৷ আমি আর খাবো না ৷ একটু কথা বলে আসছি ৷
বলেই ইশিতা বেলকনির দিকে চলে গেল ৷ সেটা দেখে ওর ফুপ্পি মুচকি হেসে কিছু একটা ভেবে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন ৷
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,