না চাইলেও তুই আমার পর্ব ৩+৪

#না_চাইলেও_তুই_আমার
[ সিজান ৩ ]
#লেখিকা_সারজীন_ইসলাম
#পর্ব- ০৩
—-” এখন যদি আমি তোর ফেভারিট সিঙ্গার নওশীন তোহার সাথে দেখা করিয়ে দেই। তাহলে তোর অনুভূতি কেমন হবে?”

টিয়ার কথা শুনে চোখ বড় বড় করে ওর দিকে তাকায় অনন্যা‌। নওশীন তোহার অন্ধ ভক্ত হলো অনন্যা। নওশিন তোহা এমন কোন গান নেই যা অনন্যা বারবার না শুনেছে। আর তার সাথে কি-না দেখা করিয়ে দেওয়ার কথা বলছে টিয়া? হয়তো সকালবেলা ওর সাথে মজা করছে টিয়া। না হলে এই অজপাড়াগায় নওশীন তোহা আসবে কোথা থেকে? অনন্যা মৃদু স্বরে বলল,

—-” দেখ সকাল সকাল মজা করিস না।”

টিয়া হালকা হেসে বলল,

—-” মজা করবো কেন? সত্যি বলছি, নওশীন তোহা হলো জুঁই আপুর মামাতো বোন। তার বিয়ে উপলক্ষে নওশীন আপু কাল রাতে এখানে এসেছে।”

টিয়ার কথা শুনে অনন্যা অবাক গলায় বলল,

—-” সত্যি বলছিস তুই?”

টিয়া মাথা দুলিয়ে হ্যাঁ সম্মতি জানালে অনন্যা উত্তেজিত হয়ে টিয়ার হাত ধরে বলল,

—-” কোথায় সে চল না আমাকে তার সাথে পরিচয় করিয়ে দিবি?”

টিয়া মুখ গোমরা করে বলল,

—-” আমি তার সাথে তোর দেখা করিয়ে দিতে পারি কিন্তু সে তোর সাথে কথা বলবে কি-না তা আমি জানিনা!”

অনন্যা চোখ গুলো ছোট ছোট করে বলল,

—-” কেন কথা বলবে না আমার সাথে?”

টিয়া মৃদু স্বরে বলল,

—-” উনি সব সময় গম্ভীর হয়ে থাকেন। খুব একটা কারো সাথে কথা বলে না। আমার অনেক কাজিনরা তার পিঠ পিছনে অহংকারী, দেমাগি বলে ডাকে। সবার ধারণা সে অহংকার করে কারো সাথে কথা বলে না।”

অনন্যা কিছু একটা ভেবে মৃদু হেসে বলল,

—-” আমার মত একটা কিউট মেয়ের সাথে কথা না বলে থাকতেই পারবে না তুই দেখিস?”

টিয়া অনন্যার দিকে তাকিয়ে বলল,

—-” না তার সাথে কথা বলার দরকার নেই। শুধু দেখেই আমার সাথে চলে আসবি। তোর সাথে যদি খারাপ ব্যবহার করে আর তা যদি মিরান ভাইয়া জানতে পারে….

টিয়াকে কথা সম্পূর্ণ করতে না দিয়ে অনন্যা বলল,

—-” এত চিন্তা করছিস কেন? আমি তো আছি চল।”

অনন্যার কথামতো টিয়া অনন্যা কে সিঙ্গার নওশীন তোহার রুমের সামনে নিয়ে আসে। দোতলার একেবারে শেষের দিকের রুমটা। টিয়া একবার বাইরে থেকে রুমের ভিতরে উঁকি দিয়ে দেখে। অনন্যা তা তোয়াক্কা না করে হনহনিয়ে রুমের ভিতরে ঢুকে যায়। তা দেখে টিয়া মৃদু চিৎকার করে বলল,

—-” এই মিরু তুই কোথায় যাচ্ছিস?”

অনন্যা সেদিকে কর্ণপাত না করে রুমে ঢুকে সবকিছুতে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছে। একবার এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে একটা মেয়ের ফোনে কথা বলছে। বেশ কিছুক্ষণ পর ফোন রেখে পিছন ফিরে তাকায় মেয়ে টা। নওশীন তোহা তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে ভাবতেও স্বপ্নের মত লাগছে অনন্যার। তোহা অনন্যার দিকে তাকিয়ে ঠোঁটে হাসি টেনে বলল,

—-” কিছু বলবে আমায়?”

অনন্যা নিজেকে সামলে নিয়ে মৃদুস্বরে বলল,

—-” আমি ভাবতে পারছি না তুমি আই মিন আপনি আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। আমি আপনার খুব বড় একজন ফ্যান। আমার কাছে সবকিছু কেমন যেন স্বপ্নের মত লাগছে।”

তোহা ঠোঁটের হাসি আরেকটু প্রসারিত করে বলল,

—-” স্বপ্ন কেন হবে? আমি তো তোমার জন্য দাঁড়িয়ে আছি। এরপরও যদি বিশ্বাস না হয় ছুঁয়ে দেখতে পারো আমায়!”

অনন্যা আর কালবিলম্ব না করে তোহা কে জড়িয়ে ধরে কয়েক মুহুর্তের মাঝে আবার তোহা কে ছেড়ে দিয়ে বলল,

—-” সরি সরি আসলে উত্তেজনায় আপনাকে জড়িয়ে ধরেছি। আই এম এক্সট্রিমলি সরি।”

তোহা হালকা হেসে বলল,

—-” দূর বোকা মেয়ে এতে সরি বলার কী আছে? আমি কিছু মনে করিনি। আর আমার মনে হয় তুমি আপনি তে কমফর্টেবল না। তুমি চাইলে আমাকে তুমি করে বলতে পারো।”

অনন্যা ঠোঁট হাসি ফুটিয়ে বলল,

—-” ঠিক আছে এখন থেকে আমি তুমি করে বললো। এখন যাই আপু তোমার সাথে আবার পরে আড্ডা দেবো।”

তোহা চোখ গুলো ছোট ছোট করে বলল,

—-” সে কী তোমার সাথে এখনো ভালো করে আলাপই কী হলো না আর এখনই চলে যাবে?”

অনন্যা মৃদু স্বরে বলল,

—-” এখন আমাকে যেতে হবে। ভাইয়া হয়তো এতক্ষণে মর্নিং ওয়ার্ক থেকে ফিরে এসেছে। তোমার সাথে না হয় কিছুক্ষণ পরে এসে আড্ডা দেবো।”

তোহা কিছু একটা ভেবে মৃদু হেসে বলল,

—-” ঠিক আছে তুমি যাও আমিও আসছি।”

অনন্যা তোহার সাথে কথা বলে খুশি মনে রুম থেকে বের হচ্ছিলো তখন টিয়া অনন্যার হাত ধরে বলল,

—-” তোকে আমি বারণ করেছিলাম তারপরও গেলি কেন ওখানে?”

অনন্যা টিয়ার কথার উত্তর না দিয়ে চোখ গরম করে ওর দিকে তাকিয়ে বলল,

—-” তুই আমাকে তখন মিথ্যে কথা বললি কেন?”

টিয়া অবাক হয়ে বলল,

—-” মিথ্যে? আমি আবার কখন তোকে মিথ্যে কথা বললাম?”

অনন্যা মুখ বাঁকা করে বলল,

—-” কেন কিছুক্ষণ আগে তুই তো বলেছিলি তোহা আপু সব সময় গম্ভীর হয়ে থাকে। কারো সাথে কথা বলে না। অহংকার, দেমাগি আরো কত কী বলেছিলি!”

টিয়া মৃদু স্বরে বলল,

—-” মিথ্যে কথা বললাম? আমরা যা জানি তাই তো তোকে বললাম!”

অনন্যা ঠোট চেপে বলল,

—-” তোরা ভুল জানিস। তোহা আপু খুব মিষ্টি একটা মেয়ে। আমার সাথে এতক্ষণ কী সুন্দর করে হেসে কথা বলছো। তোরা কী না তার নামে এসব কথা বলছিস?”

টিয়া অবাক হয়ে বলল,

—-” কী বলছিস এসব তুই? তোহা আপু?”

অনন্যা টিয়াকে পাত্তা না দিয়ে বলল,

—-” না তার ভূত আমার সাথে কথা বলছে। এখন চল আগে ব্রেকফাস্ট করে নেই। ওদিকে হয়তো ভাইয়া আমার জন্য অপেক্ষা করছে।”

অনন্যা টিয়ার উত্তরের অপেক্ষা না করে হাত ধরে টেনে নিয়ে যায় নীচতলায়।

______________________________

গোধূলি লগ্নের শেষভাগে মিরান প্রকৃতির সঙ্গে একাকী কিছু সময় কাটাবে বলে বেরিয়ে পড়েছে। গ্রামের সৌন্দর্য এমনিতেই চোখ ধাঁধানো তারপরে শীতের সময় যেন সেই সৌন্দর্য আরো চার গুণ বৃদ্ধি পায়। মিরান ক্যামেরা হাতে কিছুদূর হেঁটে এসে চারো দিকে তাকায়। মাঠে মাঠে সরিষা ফুল। হলুদে হলুদে মাতিয়ে তুলছে পরিবেশ। কিছুক্ষণ এই সৌন্দর্য উপভোগ করে মিরান ক্যামেরায় মনোনিবেশ করে এমন সৌন্দর্যময় পরিবেশের কিছু ছবি ক্যামেরাবন্দি করার জন্য। কয়েকটা ছবি তুলতে না তুলতে কারো কথা শুনে। অপরিচিত ব্যক্তি ধীর গলায় বলল,

—-” শুধু কী প্রকৃতির ছবি ক্যামেরাবন্দি করবেন? না কী কোন রমণীর ছবিও ক্যামেরাবন্দি করবেন?”

মিরান ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে তাকায়। তা ঠিক পিছনে একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পোশাক আশাক দেখে মনে হচ্ছে না গ্রামের মেয়ে, পোশাকের ধরন বলে দিচ্ছে শহরের কোন আধুনিক মেয়ে। মুখটা কেমন চেনা চেনা মনে হচ্ছে মিরানের কাছে। মিরান কপাল খানিকটা কুঁচকে বলল,

—-” জ্বি, আমাকে কিছু বলছেন?”

মেয়েটার মিরানের দিকে দু’কদম এগিয়ে এসে বলল,

—-” এখানে তো আপনি ছাড়া আর কেউ নেই? সুতরাং কথাটা আপনাকে বলা হয়েছে।”

মিরান একবার আশেপাশে তাকিয়ে পরে খানিক চুপ থেকে বলল,

—-” দুঃখিত, আমি অপরিচিত কারো ছবি তুলি না।”

মেয়েটার চোখগুলো ছোট ছোট করে বলল,

—-” অপরিচিত?”

মিরান মেয়েটার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে একটু উচু গলায় বলল,

—-” এক মিনিট এক মিনিট আপনি সেলিব্রেটি নওশীন তোহা না?”

মেয়েটা হালকা হেসে বলল,

—-” আপনি চেনেন না কী সেলিব্রেটি নওশীন তোহাকে?”

মিরান মেয়েটার উপর থেকে চোখ সরিয়ে নিয়ে বলল,

—-” না, আমি তাকে চিনব কী করে? কিন্তু আমার বোনের দৌলতে তার দু-একটা গানের ভিডিও আমাকে দেখতে হয়েছে এই যা।”

মেয়েটার মুখ কালো করে ছোট করে বলল,

—-” ওহ।”

মিরান মেয়েটার দিকে আবারও তাকিয়ে বলল,

—-” বললেন না যে আপনি সেই সেলেব্রিটি কী না?”

মেয়েটার মিরানের দিকে তাকিয়ে স্মিত হেসে বলল,

—-” জ্বী, আমি সেই আপনার অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি।”

মিরান কিছুক্ষণ তোহার দিকে তাকিয়ে থাকে বিস্ময় গলায় বলল,

—-” আপনি এই অজপাড়াগায়ে? কোন কনসার্ট আছে না কী?”

তোহা মিরানের চোখের দিকে তাকিয়ে বলল,

—-” জুঁই আমার ফুফাতো বোন। তার বিয়ের জন্য আমার এখানে আসে।”

মিরান আবারো বিস্ময় গলায় বলল,

—-” আপনি জুঁইয়ের মামাতো বোন। কিন্তু আপনার সম্পর্কে তো কখনো কারো কাছে কিছু শুনিনি?”

তোহা মৃদু স্বরে বলল,

—-” সে কথা তো আমি জানি না।”

মিরান তোহায় দিকে তাকিয়ে বলল,

—-” আপনি কী এখানে থাকবেন না কী বাড়ি ফিরবেন? সন্ধ্যা তো হয়ে এলো।”

তোহা সরু চোখে তাকিয়ে বলল,

—-” চলুন আপনার সাথে হাঁটার সুযোগ এত সহজে ছাড়া যাবেনা।”

মিরান অবাক হয়ে বলল,

—-” মানে?”

তোহা কথা ঘুরিয়ে বলল,

—-” কিছু না চলুন হাঁটা যাক।”

মিরান আর কথা না বাড়িয়ে তোহার সাথে পা মিলিয়ে হাঁটা শুরু করে।

#চলবে…..
না_চাইলেও_তুই_আমার
[ সিজান ৩ ]
#লেখিকা_সারজীন_ইসলাম
#পর্ব- ০৪
সন্ধ্যার পর থেকেই জমজমাট পরিবেশ। জমজমাট পরিবেশ হবেই না কেন? বিয়ে বাড়ি বলে কথা। মিরান রেডি হয়ে পায়জামা-পাঞ্জাবি পড়ে নিচে নামে। নিচে নেমে চারদিকে চোখ বুলিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়ে শান্তর এক কাজিন কে মিরান মৃদু স্বরে বলল,

—-” ভাইয়া তুমি শান্ত কে দেখেছো?”

ছেলেটা মিরানের দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে বলল,

—-” শান্ত ভাইয়া সে তো একটু বেরিয়েছে। গায়ে হলুদের মিষ্টি শর্ট পড়েছে তাই ভাইয়া গেছে মিষ্টি আনতে। আমাকে বলেছে তুমি তাকে খোঁজ করলে তোমাকে জানাতে।”

মিরান মৃদু হেসে বলল,

—-” থ্যাংক ইউ ভাইয়া। আচ্ছা ভাইয়া তুমি থাকো আমি একটু আশপাশটা ঘুরে দেখি।”

ছেলেটা মৃদু স্বরে বলল,

—-” আচ্ছা ভাইয়া আমিও যাই আমার ওদিকে কাজ আছে।”

মিরান কিছুক্ষণ আশেপাশে ঘুরে দেখে। এর মধ্যে গায়ে হলুদের তত্ত্ব নিয়ে চলে আসে ছেলের বাড়ির লোকজন। অনন্যা, টিয়া আর অন্যান্য মেয়েরা স্টেজে পাশে বসে আড্ডা দিচ্ছে। মিরান ঘুরতে ঘুরতে একটু সাইটে এলে পিছন থেকে কেউ একজন বলল,

—-” হেই হ্যান্ডসাম এখানে একা একা কী করছো?”

মিরান পিছন ফিরে তাকায়। একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে তার সামনে। মিরান কপাল ভাঁজ করে বলল,

—-” আমাকে কিছু বলছেন?”

মেয়েটা মিরানের দিকে তাকিয়ে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল,

—-” হাই, আমি আশা বরের চাচাতো বোন।

মিরান হাতে না মিলিয়ে ঠোঁটে হাসি টেনে বলল,

—-” আমি মিরান, মিরান চৌধুরী। আমি কনের চাচাতো ভাইয়ের বন্ধু।”

আশা মৃদু স্বরে বলল,

—-” গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে না থেকে এখানে একা একা কী করছো?”

মিরান ধীর গলায় বলল,

—-” ছিলাম এতক্ষণ ওখানে, মাত্র এলাম এদিকে একটু ঘুরে দেখার জন্য।”

আশা মিরানের দিকে তাকিয়ে বলল,

—-” আমি এসে আবার বিরক্ত করলাম না তো?”

মিরান হালকা হেসে বলল,

—-” আরে না না বিরক্ত করবেন কেন? তাছাড়া ভালোই লাগছে আপনার সাথে কথা বলতে।”

আশা হেসে দিয়ে বলল,

—-” আমার সাথে কথা বলছো ভালো কথা কিন্তু গার্লফ্রেন্ড যদি দেখে ফেলে তাহলে কী হবে?”

মিরান ঠোঁটের হাসি প্রসারিত করে বলল,

—-” আরে না না আমার কোন গার্লফ্রেন্ড নেই। তাই এ নিয়ে আমার কোন ঝামেলাও নেই।”

আশা মিরানের দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে বলল,

—-” তাহলে আপনি সিঙ্গেল? আপনার কোন গার্লফ্রেন্ড নেই?”

মিরান বিরক্ত হয়ে বলল,

—-” আরে হ্যাঁ রে বাবা।”

আশা আর কিছু বলার আগেই অনন্যা এসে মিরানের হাত ধরে টেনে নিয়ে যায়। মিরান ওখান থেকে চলে গেলে, আশার কাছে আরো একটা মেয়ে এসে বলল,

—-” কী রে এই ছেলেটা কে পটিয়ে ফেললি না কী?”

আশা মুখ গোমরা করে বলল,

—-” পটাতে পারলাম আর কই তার আগেই তো চলে গেলো?”

মেয়েটার মুখ বেজার করে বলল,

—-” সো স্যাড‌।”

আশা মেয়েটার দিকে তাকিয়ে মৃদু স্বরে বলল,

—-” তবে চিন্তা করিস না এই বিয়ের অনুষ্ঠানের মধ্যে ছেলেটাকে আমি পটিয়ে ফেলবো।”

এইটুকু বলে দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে হাসতে শুরু করে।

______________________________

আশা খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাগানের সামনে দিয়ে ফোনে কথা বলতে বলতে যাচ্ছিলো তখন কেউ আশার মুখ চেপে আড়ালে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সে ব্যক্তি আশার মুখ ছেড়ে দেয়। আশা জোরে নিঃশ্বাস নিতে নিতে রাগি চোখে সেই ব্যক্তির দিকে তাকায় মুহূর্তেই চোখ বড় বড় করে বলল,

—-” নওশীন তোহা!”

তোহা রক্তচোখের আশার দিকে তাকিয়ে বলল,

—-” তোর সাহস কী করে হয় আমার জানের দিকে চোখ দেওয়ার?”

আশা কিছু বুঝতে না পেরে বলল,

—-” মানে…. কী বলছেন আপনি?”

তোহা আশার মুখ টিপে ধরে বলল,

—-” কিছু বুঝতে পারছিনা তুই? কিছুক্ষণ আগে যে ছেলেটা কে পটানোর কথা বলছিলি তার কথা বলছি? তোর সাহস কী করে হয় আমার জানের দিকে চোখ দেওয়ার?”

আশা আতঙ্কিত কন্ঠে বলল,

—-” মিরানের কথা বলছেন আপনি?”

তোহা আশার মুখ ছেড়ে দিয়ে রাগি গলায় বলল,

—-” হ্যাঁ মিরান, আমার মিরানের কথা বলছি। প্রথম ভুল দেখে তোকে ক্ষমা করে দিয়েছি। দ্বিতীয়বার যদি ওর আশেপাশেও দেখি তাহলে তোর কী অবস্থা হবে তা কল্পনাও করতে পারি না।”

আশা ভয়ে ভয়ে বলল,

—-” না না আমি আর তার সাথে কথা বলবো না। আমি আর কখনো তার সামনেই যাবো না।”

তোহা চোখের ইশারায় আশা কে চলে যেতে বলে। আশা তোহা ভয়ে তাড়াতাড়ি ওখান থেকে চলে যায়।তোহা নিজেকে সামলে নিয়ে রাগি গলায় বলল,

—-” মিরান, আমার মিরান। ওর দিকে যে তাকাবে তাকে আমি শেষ করে দেবো। একদম শেষ করে দেবো!”

#চলবে…..

(আজকে ছোট পর্ব দেওয়া হয়েছে ব্যস্ততার কারণে কিন্তু কালকে বড় পর্ব দেওয়ার চেষ্টা করবো।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here