না_চাইলেও_তুই_আমার পর্ব ৩৬ রোমান্টিক গল্প/sweet love story golper thikana

#না_চাইলেও_তুই_আমার
[ সিজান ৩ ]
#লেখিকা_সারজীন_ইসলাম
#পর্ব- ৩৬
তোহা হাতের লাঠি নিয়ে রেগে ফোঁস ফোঁস করছে। উদ্দেশ্য একটাই হাতে লাঠি দিয়ে মিরানের মাথা ফাটাবে। এই অপরাধের জন্য যদি তাকে জেলেও যেতে হয় তবুও সে পিছ পা হবে না বলে মনস্থির করেছে। আর মিরান? সে তোমার থেকে তিন হাত দূরে কান ধরে দাঁড়িয়ে। মাঝে মাঝে ইনোসেন্ট ফেস করে বলছে, ‘এবারের মত ক্ষমা করে দাও আর কখনো এমন করব না।’ যতবার মিরান এই কথাটা বলেছে ততবার তোহা লাঠি হাতে নিয়ে তেড়ে গিয়ে বলছে, ক্ষমা? তাও আবার তোকে? তুই আমাকে চুরি করে বিয়ে করেছিস, তোকে আমি কখনো ক্ষমা করব না।’ মিরান তোহাকে রেগে থাকতে দেখে নিষ্পাপ বালকের মতো মাঝ রাস্তায় কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকে। বারবার ঘাড় ঘুরিয়ে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছে মিরান, কেউ দেখছে কিনা? তাহলে লজ্জার আর শেষ থাকবে না। এত রাতে দুই একটা গাড়ি ঘোড়া ছাড়া কিছুই দেখতে পায়না মিরান। রাত তো আর কম হলো না রাত আড়াইটার বেশি বাজে। কিছুক্ষণ আগে কত কষ্ট করে তোহাকে বিয়ের জন্য রাজি করিয়ে ছিল।

সবাই শত বার বোঝানোর পরেও তোহা কিছুতেই মিরান কে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিল না। পরে মিরান রেগে গিয়ে সবার সামনে বলে বসে, ‘ তোহা আজ ওকে বিয়ে করবে না করে ও আজকের মধ্যে মিরানের বান্ধবীদের মধ্যে কাউকে বিয়ে করে নিবে। ব্যস এই কথা কাল হয়ে দাঁড়ায় মিরান জন্য। তোহা রেগে গিয়ে কাজীকে ওদের বিয়ে পড়াতে বলে। বিয়ে পড়ানো শেষ হলে তোহা বড়দের কাছ থেকে দোয়া নিয়ে, আর এক মিনিটও ওখানের না দাঁড়িয়ে বাড়ির সবার সামনে দিয়ে মিরানের শার্টের কলার টেনে নিয়ে যায়। তোহার বাবা-মা হাজার ডাকলেও তোহা তা কানে তোলেনি। নিজের গাড়ি ড্রাইভ করে নির্জন রাস্তায় নিয়ে আসে মিরান কে। রাস্তার আবছা অন্ধকারের মধ্যে অনেক খোঁজাখুঁজি করে একটা লাঠি খুঁজে বের করেছে সোডিয়াম লাইটের আলোর সাহায্যে তোহা। মিরান বেশ কয়েকবার সরি বলেছে তোহাকে কিন্তু তোহা তো কোন কথাই কানের তুলছে না।

রাত তো অর্ধেকের বেশি পার হয়ে গেছে, বাকি যে সময়টুকু আছে এভাবে মাঝরাস্তায় কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকবে মিরান? মনে হয় তাই থাকতে হবে। কিন্তু তোহার যেহেতু রেগে আছে ওর কারনে তাই ওকে তোহার রাগ ভাঙ্গাতে হবে। মিরান কান ধরা অবস্থায় আশেপাশে তাকায়। ধুর কিছুই নেই। আর থাকবেই বা কি করে কেউ কি এত রাতে ওর জন্য দোকানপাট খুলে বসে আছে। আজ কি এমন হতো যদি দুই একটা দোকানপাট খোলা রাখতো। অন্তত এই মহারানীর রাগ তো ভাঙ্গানোর যেত। এইসব হাবিজাবি ভেবে আর কাজ নাই, এবার যা করার ওকেই করতে হবে। মাঠে নেমে পড় মিরান এবার। মিরান তোহার দিকে এক পা এগিয়ে গিয়ে কান ধরা অবস্থায় ইনোসেন্ট ফেস করে বলল,

—-” সরি তো, আর কখনো কাউকে কিডন্যাপ করবো না।”

তোহা রেগে ফোঁস ফোঁস করতে হাতে থাকা লাঠিটা নাড়িয়ে নাড়িয়ে বলল,

—-” কেন আর কিডন্যাপ করবি না? আরো কিডন্যাপ করবি তারপরে তোর নাম ডক্টর মিরানের জায়গায় বিখ্যাত কিডনাপার মিরান হয়ে যাবে।”

মিরান হেঁটে তোহার সামনে দাঁড়িয়, তোহার দুই গালে দুই হাত রেখে কপালে কপালে ঠেকিয়ে স্লো ভয়েসে বলল,

—-” সরি তোহা, আর কখনো এমন করব না। সকালবেলার শান্তর কাছ থেকে তোমার বিয়ের কথা শুনে মাথা খারাপ হয়ে গেছিল। তাইতো তোমার সঙ্গে এমন ভিলেনের মতো আচরণ করেছি। তোমাকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে। আমি যা করেছি সব তোমাকে নিজের করে পাওয়ার জন্য করেছি। প্লিজ আর রাগ করে থেকো না আমার উপর।”

তোহার হাতে থাকা লাঠিটা পড়ে যায়। চারপাশে পিন পিনে নীরবতার মাঝে কোন কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ পেয়ে মিরান চোখ তুলে তোহার দিকে তাকায়। আচমকা তোহা মিরান কে জড়িয়ে ধরে হুঁ হুঁ করে কেঁদে দেয়। মিরান তোহার কান্না দেখে ঘাবড়ে গিয়ে বলল,

—-” এই তোহা, তোহা পাখি কি হয়েছে তোমার কান্না করছো কেন? তুমি কি আমাকে তোমার স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারছো না? তাই যদি হবে আমি তোমাকে প্রমিস করছি, আমি তোমার মতের বিরুদ্ধে কিছু করবোনা। এমনকি তুমি যদি চাও আমাদের বিচ্ছেদ….

মিরান কথা সম্পূর্ণ করতে না দিয়ে তোহা মিরানের মুখে হাতে ফুঁপিয়ে কান্না করতে করতে বলল,

—-” খবরদার, আর কখনো যেন তোমার মুখে আমাদের বিচ্ছেদের কথা না শুনি। তাহলে কিন্তু আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না।”

মিরান তোহার হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে মৃদু স্বরে বলল,

—-” তাহলে কান্না করছো কেন তুমি?”

তোহা মিরানের দিকে তাকিয়ে ধীর গলায় বলল,

—-” তুমি যখন কাজী অফিসে বললে আমি তোমাকে বিয়ে না করলে তুমি তোমার বান্ধবীদের মধ্যে কাউকে বিয়ে করে নিবে তখন আমার খুব রাগ হয় তোমার উপর। তাই তো তখন তোমাকে…..

তোহাকে বলতে না দিয়ে মিরান বলল,

—-” তাই তো আমাকে তুমি বিয়ে করে নিয়েছো তাই তো?”

তোহা মাথা নাড়িয়ে বলল,

—-” হুম।”

তোহা এইটুকু বলে থামে। নিঃশ্বাস নিতে আবার বলল,

—-” তুমি দুইদিন আগে মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে যা নয় তাই বলে অপমান করলে আমাকে। তখন আমি মনে মনে খুব কষ্ট পাই। যাকে আমি এত ভালবাসলাম সেই কিনা আমাকে বুঝলো না। তোমার ওপর জন্ম নেয় আমার চাপা অভিমান। সেদিন বাড়ী ফিরে তোমার উপর অভিমান করে বাবাকে বলি তার বন্ধুর ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ে ঠিক করতে। রাতে শান্ত ভাইয়া ফোন করে আমার হালচাল জানার জন্য। ভাইয়া সব শুনে আমাকে বল এত তাড়াতাড়ি ভেঙ্গে না পড়তে। সেই রাতেই আমরা প্লান করি তোমাকে আমার গুরুত্বটা বোঝাবো। পরের দিন সকালবেলা প্লান মতাবেক শান্ত ভাইয়া চলে যায় তোমাদের বাড়িতে আমার বিয়ে কথা জানাতে। আমার বিয়ের কথা শুনে তুমি যে আমাকে ভালোবাসো তা তুমি বলে দাও। এরপরই শুরু হয় তোমার পাগলামি। কিন্তু তুমি যে আমাকে কিডন্যাপ করে বিয়ে করে ফেলবে তো আমি ভাবতে পারিনি।”

তোহার কথা শুনে মিরান হো হো করে হেসে দেয়। তোহা চোখ ছোট ছোট করে মিরানের দিকে তাকিয়ে বলল,

—-” তুমি পাগলের মত এইভাবে হাসছো কেন?”

মিরান হাসি থামিয়ে বলল,

—-” আমি তোমাদের প্লানের কথা আগে থেকেই জানতাম।”

তোহা অবাক গলায় বলল,

—-” কী? কিভাবে জানতে তুমি এসব কথা?”

মিরান মৃদু স্বরে বলল,

—-” সকালে তুমি যখন আমার ফোন রিসিভ করছিলে না তখন আমি তুলিকে ফোন করি। ওর কাছ থেকে তোমার খবরা খবর নেই। তুমি কখন কি করছো সব টাইম টু টাইম আমাকে ইনফর্ম করেছে তুলি। তুমি যখন ফোনে শান্তর সাথে কোন প্ল্যান এর বিষয়ে কথা বলছিলে সে কথা তুলি আমাকে জানায়। তখন আমার কেমন একটা সন্দেহ হয়। সন্দেহ বসে বিয়ের প্ল্যান করি। আর….

মিরান কে কথা সম্পূর্ণ করতে না দিয়ে তোহা মিরান কে মারতে শুরু করে। মারতে মারতে বলল,

—-” তার মানে এই সবকিছু প্ল্যান ছিল। আমার আগেই সন্দেহ হয়েছিল তোর উপর।”

মিরান তোহার হাত মার খেতে খেতে বলল,

—-” উফ আর কত মারবে লাকছে তো আমার।”

তোহা মিরানের পায়ে পারা দিয়ে বলল,

—-” বেশ হয়েছে, এবার বুঝ মজা।”

মিরান পা ধরে লাফাতে লাফাতে বলল,

—-” গেলাম রে আমার পা কাজকে শেষ।”

______________________________

তোহা মিরানের বুকে চুপ করে আছে। মিরান অনেক কষ্টের শান্ত করেছে তোহা কে। মিরান গাড়ির সঙ্গে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ কি মনে করে মিরান তোহা কে বুক থেকে তুলে বলল,

—-” এক মিনিট দাঁড়াও আমি এক্ষুনি আসছি।”

তোহা চোখ গুলো ছোট ছোট বলল,

—-” এই কোথায় যাচ্ছ তুমি?”

মিরান উত্তর না দিয়ে গাড়ির দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে পরে। কিছুক্ষণ পরে গাড়ি থেকে নেমে আসে মিরান। তোহা আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে মিরানের দিকে। মিরান তোহার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লো। কিছুক্ষণ চুপ থেকে একটা আংটি তোহার সামনে ধরে বলল,

—-” তুমি হয়তো মিরুর কাছ থেকে জানতে পারো আমি সেলিব্রেটিদের তেমন একটা পছন্দ করতাম না। আমার মনে হতো তারা শুধু নিজেদের নিয়েই মেতে থাকে কিন্তু তা না তুমি আমার ধারণা বদলে দিয়েছো। তোমার সীমাহীন ভালোবাসা বদলে দিয়েছে আমায়। বদলে দিয়েছে আমার পাথরের মতো মন কে। তুমি যখন আমাকে প্রথম প্রপোজ করলে এরপর থেকে তোমার কথা ভাবতে ভাবতে একটু একটু করে তোমাকে ভালোবেসে ফেলি। কিন্তু আমার যে একটা অতীত আছে সে এই কথা মনে পড়ে তোমাকে ভালোবাসা সত্ত্বেও তোমার থেকে দূরে পালিয়ে বেরিয়েছে। সকালবেলা শান্ত যখন বলল তুমি আমার অতীত জেনে আমাকে ভালোবেসেছো, তখন আমি বুঝতে পারলাম আমি ঠিক কত বড় একটা ভুল করেছি। তুমি কি পারবে আমার সেই ভুল টা ক্ষমা করে দিয়ে নতুন করে আমার সঙ্গে সংসার শুরু করতে? আমি জানি তুমি আমার অর্ধাঙ্গিনী তাও বলছি পারবে আমার সঙ্গে পা মিলিয়ে হাঁটতে? দেবে কি তোমার হাতটা ধরার অধিকার সারা জীবনের জন্য?”

মানুষ অতিরিক্ত খুশিতে কথা বলতে ভুলে যায়। তোহার অবস্থাও ঠিক তাই। কি বলবে বুঝতে পারছে না চোখ দুটো ছল ছল করছে। মিরান অধীর আগ্রহে উত্তরের আশায় বসে আছে। তোহা আলতো করে চোখের ইশারায় হ্যাঁ জানায়। কাঁপা কাঁপা হাতটা এগিয়ে দেয় মিরানের দিকে। মিরান অফুরন্ত খুশি মনে তোহার হাতে আন্টি টা পরিয়ে দিয়ে তোহা কে জড়িয়ে ধরে স্লো ভয়েসে বলল,

—-” ভালোবাসি তোহার পাখি।”

তোহা মিরানের শক্ত করে জড়িয়ে ধরে হুঁ হুঁ করে কেঁদে দিয়ে বলল,

—-” ভালোবাসি, ভালোবাসি অনেক বেশি ভালোবাসি জান তোমাকে।”

মিরান তোহার কথা শুনে মুচকি হাসে। আজার থামাবে না মেয়েটার কান্না। আজ কাদুক যতখুশি কাঁদতে পারে। আজকের পরে আর কখনো কাঁদতে দেবে না ওকে।

______________________________

গাড়ির জানলা টোকা দেওয়ার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায় মিরানের। পিট পিটে করে তাকায়। তোহা ওর বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে। দেখতে কেমন বাচ্চা বাচ্চা লাগছে। মিরান তোহার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে। কালকে রাতে আর ওরা বাড়িতে ফেরেনি গাড়ির মধ্যে বসে গল্প করতে করতে দুজনেই ঘুমিয়ে পড়েছিলো। ঘাড় ঘুরিয়ে জানলার দিকে তাকায়। একজন পুলিশ কর্মকর্তা দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু পুলিশ এখানে দাঁড়িয়ে আছে কেন? মিরান তোহা কে বুকের উপর থেকে আস্তে করে সরিয়ে দিয়ে দরজা খুলে বের হয়। মিরান কে দেখে পুলিশ কর্মকর্তা বলল,

—-” মাঝরাস্তায় কী গাড়ি পার্ক করার জায়গা?”

মিরান ওর চোখ মুখ পরিষ্কার করতে করতে বলল,

—-” সরি আমি এখনই গাড়িটা সরিয়ে নিচ্ছি।”

পুলিশ কর্মকর্তা তাড়া দিয়ে বলল,

—-” তাড়াতাড়ি করুন না হলে একটু পরই জ্যামে আটকে যাবে।”

এরমধ্যে তোহা গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে মিরানের এক হাত জড়িয়ে ধরে কাঁধে মাথা রেখে ঘুম ঘুম কন্ঠে বলল,

—-” তুমি এখানে কি করছো? তুমি গাড়ির ভিতরে চলো আমি তোমার বুকে মাথা রেখে আবার ঘুমাবো।”

মিরান তোহার মুখের উপর পড়ে থাকা ছোট ছোট চুল গুলো যত্ন করে সরিয়ে দিয়ে বলল,

—-” সরি পাখি আমি বুঝতে পারিনি তোমার ঘুম ভেঙে যাবে।”

পুলিশ কর্মকর্তা অবাক চোখে তাকিয়ে আছে তোহার দিকে। কিছুক্ষণ চুপ থেকে উত্তেজিত গলায় বলল,

—-” সিঙ্গার নওশীন তোহা!”

তোহা মিরানের কাঁধে মাথা রাখা অবস্থায় পুলিশ কর্মকর্তার দিকে তাকায়। হঠাৎ করে সামনে পুলিশ দেখতে পেয়ে কাঁধে মাথা রাখা অবস্থায় তোহা মিরানের দিকে তাকিয়ে বলল,

—-” উনি এখানে কি করছেন?”

মিরান মৃদু স্বরে বলল,

—-” কিছু না তুমি গাড়িতে গিয়ে বসো আমি আসছি।”

পুলিশ কর্মকর্তা অবাক গলায় বলল,

—-” ম্যাডাম আপনার না কালকে রাতে বিয়ে হয়েছে? আপনি এখানে কি করছেন?”

তোহা চোখ বড় বড় পুলিশ কর্মকর্তারা দিকে তাকায়। একথা তো তার জানার কথা নয়। তিনি একথা জানলো কি করে? মিরান পুলিশ কর্মকর্তার দিকে সন্দেহের চোখে তাকিয়ে বলল,

—-” আপনি একথা জানেন কিভাবে?”

পুলিশ কর্মকর্তা মিরানের দিকে তাকিয়ে বলল,

—-” কোথা থেকে আবার সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তো একটাই খবর সিঙ্গার নওশিন তোহা গোপনে বিয়ে করে নিয়েছে। সাক্ষী হিসেবে ছিল শুধু বর-কনের বাবা-মা।”

চলবে…..

আজকে আমার এক পাঠক আমাকে রিকোয়েস্ট করেছে আর গল্পটা এক পর্ব বেশি লেখার জন্য। তার রিকোয়েস্ট রাখার জন্য আর এক পর্ব লিখবো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here