গল্পঃ #Mr_Devil
(A psycho love story)
লেখিকা : নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_১০
মুনের চিৎকারে রোদ ভ্রু কুচকে মুনের দিকে তাকায়
রোদ: কি হলো অভাবে চিৎকার দিলে কেনো ?
মুন: ফুসকা খাবো
রোদ: কি ? ( অবাক হয়ে)
মুন: হা আমি ফুসকা খাবো প্লিজ চলুন না প্লিজ
রোদ: একটা চর দিয়ে সব দাত ফেলে দেবো এভাবে কেউ গাড়ি থামাতে বলে যদি কিছু একটা হয়ে যেত তখন ( রেগে)
মুন….
রোদ: কোনো ফুসকা খাওয়া হচ্ছে না চুপচাপ বসো
রোদ গাড়ি স্টার্ট দিলো মুন চুপ করে বসে আছে
কিছুক্ষণ পর রোদ একটা রেস্টরেন্টে নেমে মুনের হাত ধরে বাইরে এনে ভিতরে যায়। মুন চুপ করে আছে
একটু পর ফুসকা আসে মুন ফুসকা দেখে বলে
মুন: এটা মনে হয় ভুল করে চলে আসছে
রোদ: না এটা তোমার জন্য যত পারো খাও
মুন: সত্যি
মুন খাওয়া শুরু করলো
বেশকিছুক্ষণ খাওয়ার পর
রোদ: কিহলো ঝাল লাগছে
মুনের ঠোঁট মুখ তো লাল হয়ে আছে ।
মুন কিছু না বলে রোদের কফি নিয়ে খাওয়া শুরু করে
রোদ: এখন ঝাল কূমেছে?
মুন: হুম
রোদ: চলো
রোদ বিল মুটিয়ে মুনকে নিয়ে গাড়িতে উঠলো
মুনের এখন ও ঠোঁট জ্বলছে
রোদ গাড়ি স্টার্ট দিয়ে মুনের দিকে চকোলেট এগিয়ে দিলো
রোদ: নাও ঝাল কুমে যাবে
মুন বসে বসে চকোলেট খাচ্ছে
বেশ কিছুক্ষণ পর রোদ আর মুন পৌঁছে যায়
মুন: এটা কার বাড়ি?
রোদ: আমার ফ্রেন্ড এর বাড়ি চলো ভিতরে চলো অনেক দেরি হইছে
মুন আর কথা না বাড়িয়ে রোদের হাত ধরে ভিতরে গেলো । ভিতরে গিয়ে রাজ কে দেখতে পেলো আরো অনেক কাপল আছে সবাই রোদের সাথে পড়তো কেউ কেউ সিঙ্গেল আছে ।
রাজ: তাহলে এতক্ষণে আসার টাইম হলো?
রোদ: অফিসে ছিলাম আর ঢাকার রাস্তা তো জানিস কত জামে
রাজ: হইছে আর বাহানা দিতে হবে না দেখ আমাদের ব্যাচ এর সবাই আসছে
রোদ মুনের হাত ধরে সবার সাথে কথা বলছে ।
রাজ : রোদ চল তোদের রুম দেখিয়ে দি রেস্ট করে নিচে আয়
রোদ: হুম চল
রাজ রোদ আর মুনকে নিয়ে উপরে একটা রুমে গেলো
মুন বিছানায় চুপ করে শুয়ে আছে রোদ ফ্রেশ হয়ে এসে মুনের পাশে বসলো।
রোদ: শরীর খারাপ লাগছে কি ?
মুন: না এমনি ঘুম পাচ্ছে ( চোখ বন্ধ করে)
রোদ: দুপুর না ঘুমালে এখন আবার কিসের ঘুম
মুন: একটু ঘূমাইছিলাম
রোদ: আর ঘুমাতে হবে না চলো সবার সাথে আড্ডা দিবে আগে ফ্রেশ হয়ে নাও দেখবে শরীর ভালো লাগবে
মুন : হুম
মুন উঠে ফ্রেশ হতে গেলো রোদ বিছানায় বসে ফোন টিপতে লাগলো
মুন: চলুন নিচে যাই
রোদ: হুম
রোদ আর মুন নিচে গিয়ে
রাজ: এই তোরা এখানে কি করছিস যা ছাদে যা আজ আমরা ওখানে আড্ডা দিবো চল
মুন: আগে তো জানতাম আমার বর পাগল এখন ত দেখছি উনার ফ্রেন্ডরা ও পাগল এই ঠান্ডায় কেউ ছাদে যায় পাগল হয়ে গেছে ( বিড়বিড় করে)
মুন ছাদে গিয়ে অবাক ছাদের মেঝেতে কার্পেটে সবাই বসে আছে আর উপর দিয়ে ছাদ দেওয়া যাতে কুয়াশা পড়তে না পারে । মুন আর রোদ ও একপাশে সবার সাথে বসে পরলো
সবাই অন্টাকসনি খেলছে একজন গান গাবে তার শেষের অক্ষর দিয়ে অন্যরা গাইবে । এক এক করে সবার পালা চলছে
খেলার মাঝে মুন খেঁয়াল করলো ওর দিকে একটা মেয়ে খাইয়া ফালামু লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে । মুন ব্যাপারটা বুঝলো না
খেলার এভাবে চলছে রোদ মুনের হাত শক্ত করে ধরে আছে । এখন রোদের পালা
কে দিয়ে গাইতে হবে
রোদ একটু ভেবে গাইতে শুরু করলো
কেনো রোদের মত হাসলে না , আমায় ভালো বাসলে না আমার কাছে দিন ফুরালেও আসলে না ,
এই মনকে মনের ( বাকিটা নিজে শুনে নিবেন খুব সুন্দর একটা গান)
একেক করে সবার পালা চলছে তখনই রাজ আর ওর wife সবার জন্য নাস্তা নিয়ে আসলো।
সবাই খাচ্ছে আর সবাই তার লাভ স্টোরি শুনাচছিল মুন এখন ও দেখছে যে মেয়েটা ওর দিকে কেমন করে তাকিয়ে আছে ।
রানী : মুন এই দিকে একটু আসো না ( রাজের বউ)
মুন রোদের দিকে তাকালো রোদ যেতে বললো মুন ওর রানীর কাছে দাড়াল সেদিন রানী আর মুনের অনেক ভালো সম্পর্ক হয়েছিল।
মুন: জী আপু
রানী: এই নাস্তা গুলো সাজাতে সাহায্য করো তো একা পারছি না
মুন: আচ্ছা ঠিক আছে
মুন সাহায্য করছে আর পিছনে তাকিয়ে দেখে রোদের পাশে একটা মেয়ে বসে আছে মুন একবার তাকিয়ে আর তাকালো না
নিজের কাজে মন দিল
।
।
।
মুন উঠে যাওয়ার সাথে সাথে ওই মেয়েটা এসে বসে
তানিয়া: রোদ কেমন আছো?( মেয়েটা)
রোদ : হুম ভালো
তানিয়া: ওহ ভালো আমায় তো তুমি ভুলেই গেছ ( গাল ফুলিয়ে)
রোদ: মনে রাখার মত কি তুমি তেমন কেউ
তানিয়া: এভাবে বলছো কেনও আমরা তো ফ্রেন্ড ছিলাম এতো দিন পর দেখা কোথায় একটু ভালো করে কথা বলবে টা না
রোদ: তানিয়া এখানে সবাই আড্ডা দেওয়ার জন্য বসে আছি একজন আড্ডা দেওয়ার জন্য না
তানিয়া: তুমি একটু ও বদলালে না
রোদের হাত জড়িয়ে
রোদ কিছু বলতে যাবে তার আগে মুন রোদের হাত ধরে । রোদ পিছনে তাকিয়ে দেখে মুন দাড়িয়ে আছে
মুন: আমার সাথে একটু চলুন তো রানী আপু নিচে গেছে আমি একা পারছি না
রোদ বলার আগে তানিয়া বলে
তানিয়া: অফও তুমি না কেমন একটা চিপকে টাইপের মেয়ে একটু ও কি বরকে একা ছাড়া যায়
মুন: যাবে না কেনো নিশ্চয় যাবে কিন্ত এখন আমার উনাকে দরকার আর উনি আসতে বাধ্য ৩কবুল পড়ে বিয়ে করেছি এটা তো মিথ্যে হতে পারে না আপনি একটু বসুন রোদ আসছে ( মেকি হাসি দিয়ে)
রোদ উঠে নাস্তার ওখানে গিয়ে গুছাতে লাগলো
মুন একটা ছুরি নিয়ে রোদের দিকে ধরলো
মুন: ওই মেয়েটা কে? ও আপনার হাত ধরে কেনো বসে ছিল আপনি কিছু বললেন না কেনো আমি একটু চোখের আড়াল হইছি ওমনি আপনি লুচিগিরি শুরু তাই না( রেগে)
রোদ: what লুচিগিরি কি সব বলছো আর আমি ওকে ইচ্ছা করে হাত ধরতে দিনাই ও নিজে ধরছে এটা আমার কি দোষ আমি কি ওকে বলেছিলাম ধরতে আজব
মুন: সব ছেলেদের চেনা আছে
রোদ মুনের কোমর জড়িয়ে নিজের আরো কাছে টেনে বললো
রোদ: তোমার তো দেখি আজকাল আমাকে নিয়ে খুব চিন্তা , দিন দিন সাহস খুব বেড়েছে তাই না কিন্ত তোমার এই সাহস টা আমার খুব ভালো লাগছে তোমার আমার উপর সব কিছু করার অধিকার আছে কিন্ত আমার করার অবাধ্য হলে ফল তোমার জন্য ভালো হবে না
মুন: আপনি না একটা জাতা
রোদ: যাই হইনা কেনো সব তোমার এখন তাড়াতাড়ি করো
একটু পর রানী আর রাজ আসলো
রানী : মুন এই নাও এটা গায়ে জড়িয়ে নাও তোমার তো শীত লাগছে ( চাদর দিয়ে)
মুন: আরে না না আপু কোনো দরকার ছিল না
রানী: নিতে বলছি নাও
মুন চাদরটা গায়ে দিয়ে খাবার সব রেডী করা শেষ
।
।
।
সবাই বসে বসে খাচ্ছে আজকে রাতে সবাই এখানে থাকবে
অনেক রাত পর্যন্ত সবাই গল্প করে যে যার মতো বিছানা রেডী করছে
মুন আর রানি সবার জন্য চাদর আনতে গেছে ।
রোদের বিছানা রাজ করে দেছে রোদ শুয়ে পড়ে । রোদের পাশে তানিয়া বিছানা করছে
মুন আর রানি এসে সবাইকে চাদর দিচ্ছে
রানী : মুন আমার কিন্ত মোটেও এই মেয়ে কে ঠিক মনে হচ্ছে না রোদ ভাইয়া এমনি ভালো কিন্ত কখন কি হয়ে যায় একটু সাবধানে থেকো
মুন মাথা নেড়ে রোদের কাছে গিয়ে গায়ে চাদর জড়িয়ে রোদের বুকে শুয়ে পড়ে ।
তানিয়া তো রাগে জ্বলছে
তানিয়া: এটা তো একজনের ঘুমানোর জায়গা
মুন কম্বল থেকে একটু মাথা বের করে বলে।
মুন: আপু আমাদের একটু জায়গা হলে চলবে বেশি লাগে না আপনি তো সিঙ্গেল তাই বুঝছেন না
রোদ মুনকে বুকের সাথে জড়িয়ে নিলো । এমন ভাবে জড়িয়েছে মনে হচ্ছে একটাই দেহ ।
তানিয়া: এই মেয়ে আমাকে একটা চাদর এনে দেবে
রানী: ওর নাম মুন বুঝেছ আর ওই দিকে দেখো চাদর আছে তুমি নিয়ে এসো
তানিয়া উঠে যেতেই রানী রাজ্যে টেনে তানিয়ার জায়গায় শুয়ে পরে।
তানিয়া ফিরে এসে বেকুব হয়ে দাড়িয়ে আছে
রাজ : সরি তানিয়া কিছু মনে করিস না আসলে জানিস ত রোদ আমার কতো পুরানো ফ্রেন্ড ওর সাথে অনেক কথা জমে আছে তুই একটু আমার জায়গায় গিয়ে শুয়ে পর
তানিয়া রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে চলে গেলো।
রোদ আর মুন শুয়ে আছে একে উপর কে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে
।
।
।
মাঝরাতে
রাজ রোদের গা থেকে কম্বল টেনে নেয়
রোদ: ওই হারামী কি করছিস শীত লাগে না তোর টা কই?
রাজ: দেখতে পারছিস না উনি তো একা নিয়ে নেছে আমি কি গাই দেবো।
রোদ: তাই বলে তুই আমার টা নিবি
মুন একটু নড়ে চড়ে উঠে
রোদ: দেখ মুনের শীত লাগছে সালা আর একটা নিয়ে আয় আমাদের টা দে
রাজ: ভাই রোদের দেখে হিংসা হচ্ছে কিভাবে শুয়ে আছিস আর আমার উনি শুধু ঝগড়া করতে পারে
রানী: এই কি বললে তুমি আমি ঝগড়া করি
রাজ : আরে না
রানী: না কি আর তুমি ওদের চাদর নিলে কেনো দেখো মেয়েটা কিভাবে রোদের কাছে লুকিয়ে যাচ্ছে চাদর দাও আগে দাও বলছি
রাজ চাদর রোদ দের গায়ে জড়িয়ে দিলো
রানী: এবার বলো কি বলছিলে আমি ঝগড়া করি সবার কাছে আমার বদনাম করছো তোমার আজকে হচ্ছে
২জন মিলে ঝগড়া করছে আর রোদ মিটমিট করে হাসছে
হটাৎ রোদের মুনের দিকে চোখ যায় । চুপটি করে রোদের বুকে শুয়ে আছে এদের ঝগড়া যেনো উনি অন্য দেশে আছে । রোদ মুনের সামনে পড়ে থাকা চুলগুলো সরিয়ে দেয়।
রোদ: কি শান্তিতে ঘুমাচ্ছে এতো ঘুম কই পায় । এই মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলে যেনো হাজার বছর পার হয়ে যাবে । খুব ভালোবাসি আমার মুনকে বড্ড ভালোবাসি। কখনো হারাতে দেবো না কখনোই না
রোদ মুনের কপালে চুমু দিয়ে নিজের ও ঘুমের দেশে চলে গেলো
।
।
।
সকালে
মুনের ঘুম ভেংগে তাকিয়ে দেখে সবাই ঘুমাচ্ছে
মুন রোদের দিকে তাকিয়ে দেখে কেমন বাচ্চাদের মত ঘুমিয়ে আছে
মুন: উফফ আপনি এত কিউট কেনো ঘুমের ঘোরে কি সুন্দর লাগে আর জেগে থাকলে পুরাই #ডেভিল_হাসব্যান্ড
মুন রোদের দাড়ি ধরে টানছে চুল ধরে টানছে
রোদ বিরক্তি ফেস করে মুনের হাত সরিয়ে দিচ্ছে ।
মুন আবার টানছে
রোদ: উফফ সকাল সকাল কি করছো ঘুমাতে দাও প্লীজ
মুন: সকাল হয়ে গেছে উঠুন
রোদ: উফ মুন তোমার ঘুম ভাঙ্গল আমার ঘুমের বারোটা বাজাও কিন্ত আমার ঘুম ভাঙলে কি আমি তোমাকে উঠাই একটু ঘুমাতে দাও
মুন: ওকে আপনি ঘুমান আমি আমার কাজ
রোদ মুনকে এমন ভাবে জড়িয়ে ধরেছে যেনো মুন একটু ও নরতে না পারে
মুন কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি করে শেষে না পেরে চুপ করে শুয়ে থাকে
অনেকক্ষণ শুয়ে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে পড়ে
যখন ঘুম ভাঙলো তাকিয়ে দেখে ও বিছানায় শুয়ে আছে পাশে রোদ নেই
মুন ফ্রেশ হয়ে বাইরে এসে ওর চোখ কপালে
গল্পঃ #Mr_Devil
(A Psycho love story)
লেখিকা : নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_১১
মুন তাকিয়ে দেখে তানিয়া রোদের বুকের কি করছে
মুনের তো রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে মুন কিছু না বলে চলে গেলো
রোদ: থাক তোমাকে আর মুছতে হবে না এবার থেকে দেখে শুনে চলবে
বলে রোদ বেরিয়ে গেলো
একটু আগে
রোদ ঘুম থেকে উঠে মুনকে নিয়ে নিচে এসে শুয়িয়ে দিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে যায় তখন তানিয়া জুস রোদের ড্রেসে ফেলে দেয়। তানিয়া তাড়াতাড়ি করে মুছে ফেলে
।
।
।
মুন রানীর কাছে যায়
রানী: আরে মুন কখন ঘুম ভাঙলো?
মুন: এই তো আপু একটু আগে
রানী: কি ব্যাপার তোমার মুখ দেখে তো ঠিক মনে হচ্ছে না কিছু কি হইছে
মুন: আরে না আপু আমি ঠিক আছি
রানী: আপু বলছো আবার মিথ্যে বলছো। রোদের সাথে কিছু হইছে
মুন: না আপু
রানী: দেখো মুন ভালোবাসায় বিশ্বাস থাকা সব থেকে জরুরি যেই ভালোবাসার বিশ্বাস নেই সেই ভালোবাসা টিকে না । বিয়ে হলো ভালোবাসার অটুট বন্ধন । সেই সম্পর্ক টাকে কিছুর জন্য ভাঙ্গতে দিও না রোদ
আর কিছু বলার আগে রাজ ডাক দিল
রানী: তুমি বসো আমি আসছি
মুন: ঠিকই তো আমি উনকে ভুল বুঝছি উনি যদি অন্য কাউকে ভালোবাসত তাহলে আমায় কেনো বিয়ে করলো আমার মনের ভুল তানিয়া এমনি গায়ে পরা মেয়ে । আমার রোদের কাছে যাওয়া দরকার । চোখে চোখে রাখতে হবে
মুন গিয়ে দেখে রোদ ড্রেস খুলছে
রোদ মুনকে দেখে একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলে
রোদ: কখন উঠলে ?
মুন: একটু আগে। আপনার শার্টে কি লেগেছে ? ( ভ্রু কুচকে)
রোদ: আরে জুস পরেছে
মুন: হা জুস তো হেটে হেটে আপনার আছে আসছে ( শার্ট বের করতে করতে)
রোদ: এখানে এসে বুঝা গেলো সব মেয়েদের হিংসা হয়
মুন: বেশি কথা না বলে শার্ট টা পড়ে আসুন
রোদ কিছু বলতে যাবে তখনই তানিয়া হুড়মুড়িয়ে ভিতরে ঢুকে
রোদ খালি গায়ে দাড়িয়ে ছিল তানিয়াকে দেখে রোদ শার্ট টা নিয়ে চলে যায় । তানিয়া তো কেমন ঘোর লাগা দৃষ্টিতে রোদের দিকে তাকিয়ে আছে যা দেখে মুনের গা জ্বলছে
তানিয়া: বাবা এতক্ষণ তো মুনের সামনে খালি গায়ে ছিলে আমি আসতে এতো লজ্জা
মুন: সেটা যদি আপনি বুঝতেন তাহলে এই প্রশ্ন করতেন না আপু আমি আর আপনি কি এক হলাম। আমি উনার স্ত্রী আর আপনি একটা বাইরের মানুষ । আমি উনাকে যেভাবে খুশি দেখতে পারি কিন্ত আপনি পারেন না
তানিয়া: আরে আমি তো
রোদ: তুই তো কি আর এভাবে কারোর রুমে নক না করে কেউ আসে ( বারান্দা থেকে আসতে আসতে)
তানিয়া: আমি তো তোমার কাছে একটু কাজে এসেছিলাম সরি তুমি আমার সাথে একটু চলো
রোদ বলার আগেই মুন বলে
মুন: সরি আপু উনি এখন যেতে পারবে না এটা স্বামী স্ত্রীর একান্ত সময় আর আমি এই সময়ের ভাগ কাউকে দিতে পারবো না আপনি এখন আসতে পারেন
তানিয়া দাড়িয়ে আছে
রোদ: কি হলো আমার স্ত্রী কি বলেছে শুনতে পাসনি
তানিয়া চলে গেলে মুন দরজা লাগিয়ে দেয় ।
তানিয়া : আমাকে অপমান করা দেখে নেবো ( রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে)
(লেখিকা: আরে ভাই সেই ধরে কি কাঠের চশমা পরে দেখছিলি নাকি এখন ও দেখবি । । বেশি নাটক করলে জুন আন্টির মতো স্রিময়ীর দিয়ে মার খাওয়াবো হ্ন)
মুন দরজা লাগিয়ে রোদের কাছে গেলো
রোদ মুনকে জড়িয়ে ধরলো। মুন সরে আসলো।
রোদ: কি হলো ( ভ্রু কুঁচকে)
মুন: কিছু না আমার সারী চুজ করে দিন কোনটা পড়বো (শাড়ি দেখিয়ে)
রোদ: শাড়ি পরতে হবে না অন্য কিছু পরো
মুন: ওকে তো আপনি দেখিয়ে দিন
রোদ অনেকক্ষণ দেখে একটা মিষ্টি কালারের গাউন মুনের হাতে ধরিয়ে দিল
মুন মুচকি হেসে ড্রেসটা নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো ।
আধাঘন্টা পর
মুন শাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে এসে দেখে রোদ ফোন টিপছে মুন আয়নায় দাড়িয়ে চুল মুছছে ।
চুলের পানি রোদের চোখে মুখে লাগাতে রোদ মুন দিকে তাকিয়ে আর চোখ সরাতে পারে না । ভিজে চুল গালে মুখে টুপটাপ পানি লাগাতে মুনকে এক অন্য রকম লাগছে ।
রোদ ধির পায়ে মুনের কাছে গিয়ে দাড়ায় ।মুন আয়নায় রোদকে দেখে যে রোদ ওর দিকে কেমন ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ।
রোদ মুনকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে কিছু বলার আগেই
রাজ : এই রোদ তাড়াতাড়ি বের হ অনেক কাজ আছে ( দরজায় ধাক্কা দিতে দিতে)
রোদ আর মুন নিজেকে ঠিক করে
রোদ: তুমি রেডী হয়ে নিচে আসো আমি যাচ্ছি।
মুন মাথা নাড়ালো । রোদ গিয়ে দরজা খুলে রাজের সাথে গেলো ।
মুন নিজেকে রেডী করছে
( আমি গল্পে একটু রোমান্স দি টা সব অন্যের কাছ থেকে শুনে নিজের এখনও এক্সপেরিন্স হয়নি হি হি । তবে ভেজা চুলে মেয়েদের সত্যি সুন্দর লাগে আমি আয়নায় নিজে নিজেকে দেখে ক্রাশ খাই জামাই তো হার্ট অ্যাটাকে মরবে । না না জামাই মরলে আমার cocolate কে দেবে । ধুর আমার জামাই কই যে ভাবছি । বাই দা রাস্তা আমি কিন্ত লেখিকা সাথে সাথে পাঠিকা)
।
।
।
অনেকক্ষণ পর মুন রেডী হয়ে বাইরে যায়।
রানী: আরে মুন তুমি তো রেডী আসো খেয়ে নিবে সকাল থেকে তো কিছু খাওনি
মুন: না উনি আমি একটু দেখে আসি উনি কোথায়
রানী: আচ্ছা ঠিক আছে যাও
মুন রোদ কে খুঁজতে লাগলো কিন্ত রোদকে দেখা যাচ্ছে না ।
মুন এদিকে সেদিক খুঁজছে তখনই ওর সামনে একটা ছেলে এসে দেরায়
ছেলেটা: হে কিউটি পাই হোয়াটস আপ ? আমি রাহুল
মুন এড়িয়ে যেতে গেলে রাহুল আবার মুনের সামনে দাড়ায়
রাহুল: কি হলো কথা না বলে চলে যাচ্ছ কেনো?
মুন: আমার কাজ কাছে প্লিজ সরে জান
রাহুল: আরে এতো কিসের কাজ আমাকে একটু টাইম দাও
মুন এড়িয়ে চলতে গেলে ছেলেটা মুনের ওরনা ধরে টান দেয়
রাহুল: আরে নিজের নাম টা তো বলবে
মুন পিছনে ফিরে ঠাসসসস
রাহুল গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে
মুন: পেয়েচেন উত্তর
রাহুল : তোর তেজ তো আমি কমাছি
রাহুল তেরে এসে যেই মুনের গায়ে হাত দিতে যাবে ওমনি রোদ সামনে এসে দাঁড়ায় । রোদকে দেখে মুন একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ছারে
রোদের চোখ অনেক লাল হয়ে আছে ।
রোদ: তুই কার গায়ে হাত তুলতে যাচ্ছিল তুই জানিস ও কে । আমার কলিজা তুই আমার কলিজায় হাত দিতে গিয়েছিলি
রোদ মারতে গেলে রাজ এসে রোদকে আটকে দেয়
রাজ: রোদ প্লিজ শান্ত হ আমি দেখছি ব্যাপারটা
রোদ কে তো আটকানো যাচ্ছে না শেষে রোদ কিছু একটা ভেবে মুনের হাত ধরে ঘরে যায় ।
রোদ মুনকে ঘরে নিয়ে এসে মুনের গালে একটা চর বসিয়ে দেয়
রোদ: কি দরকার ছিল বাইরে বের হাওয়ার আর যখন বের হলে রানীর কাছে থাকতে কি হচ্ছিল তোমার ( চিৎকার করে)
মুন: আমি তো আপনাকে খুঁজতে গিয়েছিলাম
রোদ: কেনো আমি কি হারিয়ে যেতাম নাকি এবার থেকে আমাকে ছাড়া এক পা ও নড়বে না আজ যদি আমি ওই সময় না যেতাম তাহলে কি হতো তোমার কোনো idea আছে স্টুপিড
রানী: রোদ দরজা খুলো ( দরজায় টোকা দিতে দিতে)
রোদ নিজের রাগটা একটু কূমিয়ে দরজা খুলে দিল
রানী আর রাজ ভিতরে ঢুকে পরলো।
রানী: অনেক হইছে রাগারাগি এবার কিছু খেয়ে নাও মেয়ে টা কিছু খায়নি । খাবার নিয়ে এসেছি
রাজ: তুমি খাবার টেবিলে রেখে দাও
রোদ: আজ রাতে যেনো কাজটা হয়ে যায়
রাজ: চিন্তা করিস না সব ঠিক মত হবে
রাজ আর রানি বেরিয়ে গেলো।
রোদ মুনের দিকে এসে খাবার মুখে তুলে দিলো ।
মুন চুপচাপ খেয়ে যাচ্ছে ।
মুন: আপনি খাবেন না আপনি ও তো খাননি
রোদ কিছু বললো না । মুন রোদের সামনে খাবার তুললো
২জন খেয়ে বসে আছে ।
রোদ: চলো বাইরে চলো
রোদ মুনের হাত ধরে বেরিয়ে যাচ্ছিলো । হটাৎ একটু থেমে যায়
মুন: কি হলো
রোদ কিছু না বলে মুনের চর মারা যায়গায় একটা চুমু খেয়ে নিল। মুন কিছু বললো না
রোদ মুনের হাত ধরে বাইরে বেরিয়ে দেখে সব গেস্ট আসতে শুরু করেছে সবাই সবার কাজে ব্যাস্ত ।
রোদ মুনের হাত ধরে ওর সব কাজ করছে । তানিয়া তো সেজে খুঁজে পটের বিবি হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে মুখে তো মনে হয় এটা ময়দা সুজি কিছু বাদ রাখেনি ।
তানিয়া রোদের কাছে এসে বলে
তানিয়া: রোদ আমাকে কেমন লাগছে
রোদ একবার তাকিয়ে অন্য দিকে ফিরে তাকালো ।
মুন মিট মিট করে হেসে যাচ্ছে ।
তানিয়া কিছুক্ষণ রাগী ভাবে তাকিয়ে চলে গেলো।
রোদ এখন ও মুনের হাত ধরে সাজানোর দিকটা দেখছে । মুনের কেমন অসস্তি হচ্ছে ।
মুন রোদের শার্ট ধরে টান দেয়
রোদ: কিহলো
মুন: রোদ আমি রানী আপুর কাছে যাই ?
রোদ: না তুমি এখানে থাকবে একটা পা ও নরবে না
রোদ আবার ওর কাজে করতে লাগলো
বেশ কিছুক্ষণ পর রোদ মুনকে নিয়ে রানীর রুমে যায় রানী বসে বসে সাজছে ।
রোদ: রানী একটু মুনকে দেখে রখবে আমি যাবো আর আসবো আসলে অনেক কাজ আছে তো
রানী: আরে তুমি চিন্তা করো না ও তো মার ছোটো বোন তুমি যাও
রোদ মুনের দিকে তাকিয়ে
রোদ: রানীর সাথে থাকবে অন্য কোথাও যাবে না কেমন আমি যদি শুনি তাহলে তো
মুন: না না আমি কোথাও যাবো না
রোদ চলে গেলো মুন রানীর কাছে গিয়ে ওর সাথে গল্প করতে লাগলো
।
।
।
বেশ কিছুক্ষণ পর রোদ কাজ করছে আর একটু পর পর মুনকে দেখে যাচ্ছে।
রানী: মুন পার্লার থেকে আমাকে সাজাতে এসে গেছে তুই ও আমার সাথে সেজে নে
মুন: না আপু আমি সাজবো না তুমি সাজো বেশি সাজ আমার পছন্দ না
রানী: আরে সমস্যা নেই সিম্পল সাজ কেমন আর কোনো কথা না
মুন আর কিছু বলল না পার্লারের লোকেরা রানী কে সাজাচ্ছে
রানীর সাজানো কমপ্লিট । রানী একবার মুনের দিকে তাকিয়ে একটা ব্যাগ দিয়ে বললো
রানী: মুন এটা পরে আয়
মুন: আপু আমি ড্রেস এনেছিলাম
রানী: কোনো কথা না এটা তোমার উনি দেছে তাই কথা না বলে পরে আসো
মুন আর কিছু না বলে প্যাকেট নিয়ে ওয়াশরুমে গেলো
একটু পর বেরিয়ে আসলো
মুনকে বিনা সাজে একদম পরীর মত লাগছে পিংক কালারের একটা লেহেঙ্গা তার উপর পাথর বসানো একদম অন্য রকম লাগছে
রানী: তোকে আর সাজতে হবে না এভাবে দেখেই রোদ পাগল হয়ে যাবে
মুন শুধু মুচকি হাসলো
রানী: তোকে পার্লারের লোক দিয়ে সাজতে হবে না আমি তোকে সাজিয়ে দেবো
রানী মুনকে সাজাতে লাগলো একদম সিম্পল করে
মুন সাজানো শেষ
রানী: তোকে কি লাগছে মুন চোখ সরানো যাচ্ছে না
।
।
।
সবার রেডী হতে হতে বিকেল হতে গেলো
রানীকে নিচে নিয়ে যাওয়া হবে। মুন আর একটা মেয়ে রানীকে নিয়ে নিচে নামছে
সবাই উপরে তাকিয়ে আছে
রোদ উপরে তাকিয়ে একদম হা
রানীর পাশে মনে হচ্ছে একটা পরী আসছে
রোদ তো হা করে তাকিয়ে আছে। মুন স্ট্রিজে নিয়ে রানীকে বসিয়ে এদিক সেদিক তাকাতে লাগল ।
একটু পর মুন একজনকে দেখে হা করে আছে মুন ওই অবস্থায় নামতে গিয়ে পড়ে যেতে নিল তখনই
চলবে
চলবে
(