Mr Devil part 12+13

গল্পঃ #Mr_Devil
(A Psycho love story)
লেখিকা : নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_১২

মুন তাকিয়ে দেখে রোদ ওকে ধরে আছে

রোদ: দেখে চলতে পারো না আর একটু হলে পরে যেতে তখন কি হতো ( দাত দাত চেপে)

মুন: বুঝি না এই খাটাস সব সময় এমন করে কেনো ইচ্ছে করে গরম পানিতে চুবিয়ে রাখি ( মনে মনে)

(পাগল মেয়ে তো জানে না বেচে ফিরলে যে রোদ ওর ১৪টা বাজাবে হি হি )

রোদ: কি হলো কি ভাবছো ?
মুন: না কিছু না

রানী: এই মুন এদিকে আয়
মুন: জী আপু আসছি । আমি আপুর কাছে যাচ্ছি ( রোদের দিকে তাকিয়ে)
রোদ: যাও আর সাবধানে

মুন মাথা নেড়ে রানীর কাছে গেলো।

রানী মুনকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে । আর রোদ মুনকে দেখছে মুন ও আড়চোখে রোদকে দেখছে।

তানিয়া পটের বিবি সেজে রোদের সামনে ঘুরঘুর করছে কিন্ত রোদ পাত্তা দিচ্ছে না এড়িয়ে চলছে ।

সবাই অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যাস্ত মুন রানীর কাছ থেকে রোদের পাশে এসে দাড়ালো ।রোদ মুনের হাত ধরে আছে ।

তানিয়া রোদের সাথে ছবি তুলতে আসলে রোদ মুনকে নিয়ে অন্য জায়গায় দাড়িয়ে যায় ।

তানিয়া: উফফ এই মেয়েটার জন্য আমার কিছু হচ্ছে না মন চাচ্ছে

তানিয়া রেগে চলে যায় ।

রোদ ওর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে মুনকে নিয়ে ।

শান্ত : কি রে রোদ তুই নাঁচবি না ?
রোদ: হুম কাপল ড্যান্স শুরু হোক।
শান্ত: আচ্ছা আজ কাপল ড্যান্স প্রতিযোগিতা হলে কেমন হয়?
রাজ: খারাপ হয় না মোটামুটি চলে।
রোদ: ফাউ ফাউ তোরা হারতে কেনো চাস
শান্ত: হ্ন দেখা যাবে কে হারে আর কে জিতে
রোদ: তোরা নাচ আমি পারবো না তোদের হারা মুখ দেখতে ।
সবাই: মানে কি তুই পার্টিসিপিট নিবি না
রোদ: না( মুন দিকে তাকিয়ে )

সবাই এক এক করে তাদের better half কে নিয়ে অংশগ্রহণ করলো

রোদ: তুমি এখানে দাড়াও আমি একটু আসছি
মুন: বেরসিক জামাই ( মনে মনে)

রোদ চলে গেলো সাথে সাথে সব লাইট অফ হয়ে মিউজিক লাইট জ্বলে উঠলো।

হটাৎ মুনকে পিছন থেকে কেউ জড়িয়ে ধরলো মুনের বুঝতে বাকি নেই এটা কে
মুন: আপনি
রোদ: হুম চলো আমার ড্যান্স করবো ।
মুন: কিন্ত আপনি তো
রোদ: কোনো কথা না

রোদ মুনকে নিয়ে স্ট্রেজ উঠলো

Tujhko main rakh loon wahan
Jaha pe kahin hai mera yaqin
Main jo tera na hua kisi ka nahin
Kisi ka nahin
Le jayein jane kaha
Hawayein hawayein
Le ja hai tujhe kaha
Hawayein hawayein
Begani hain ye baghi
Hawayein hawayein


( বাকিটা নিজে শুনে নেন)

রোদ আর মুন গানের তালে তালে নেচে যাচ্ছে ২জন একে অপরের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে

এদিকে
তানিয়া তো জ্বলে পুড়ে শেষ।

মিউজিক অফ হওয়ায় রোদ আর মুনের হুশ ফিরলো

মুন এক ছুটে স্রেজ থেকে নেমে পড়লো।



বেশ কিছুক্ষণ এভাবে চলার পরে
হটাৎ রানী মাইকে বললো মুন গান গাইবে। মুন তো রোদের দিকে বার বার তাকাচ্ছে । রোদ স্বাভাবিক ভাবে দাড়িয়ে আছে

রানী: মুন পাখি প্লিজ গা আমার কথা শুনবি না আমি তো তোর বড়ো বোনের মতো তাই না প্লিজ গা প্লিজ

রানীর এতো বলতে মুন না করতে পারলো না।

রোদের দিকে একবার তাকিয়ে মুন গাইতে শুরু করলো

Jisko main paa naa
Sakoon tu woh haseen
Khwab hai , Mai hoti hu
Ruswa har pal tu se
Bhi zyada paak hai
। । ।
Kya dungi mai pyaar
Tujhe jah yeh lakeedein
Khud hi mohtaj hai
Tere liye tujh se hi hai
Tujh mein basi meri khusi

Tere liye tujh se hi hai
Tujh mein basi meri khusi

পুরোটা গান মুন রোদের দিকে তাকিয়ে গেয়েছে।

গান শেষে মুন নিচে নেমে রানীর কাছে যায়

রানী: বাহ আমার মুন পাখি তো খুব সুন্দর করে গান গাইতে পারে

মুন রানীকে জড়িয়ে ধরলো

অনুষ্ঠান প্রায় শেষের দিকে মুন রোদের কাছে গিয়ে দাড়াল ।

রোদ ওর বন্ধুদের সাথে কথা বলছে

রোদ: তুমি যে এত সুন্দর গান গাইতে পারো আগে তো কখনো বলনি
মুন: সব আপনার থেকে শিক্ষা

রোদ একবার মুনের দিকে তাকিয়ে সামনে তাকালো

রোদ: তার মানে তুমি আমাকে বিয়ের আগে চিনতে
মুন: একটু একটু

রোদ আর কিছু বলল না ।

মুন: আপনি যে গান গাইতেন সেটা আমি জানতাম আপনার গান আমার খুব ভালো লাগতো অনেক আগে থেকে কিন্ত আপনার নাম আর আপনাকে কখনো দেখিনি কাল যখন রানী আপু আপনার গান শুনলো তখন আমার চিনতে একটু ও অসুবিধা হলো না বিয়ের আগে আপনি ভার্সিটিতে থাকতে গান গাইতেন আর আপনার কিছু গান নেটে ছাড়া সেখান থেকে শুনেছিলাম ( মনে মনে)

অনুষ্ঠানের মাঝে মুনের ফোন কল আসে মুন কল দেখে একটু সাইট এ যায়।

মুন: হা বল
রুমা: তুই চাবি নিতে
বাকিটা বলার লাগে

মুন: লাগবে না আমি পাইছি
রুমা: ওহ তাহলে তো ভালো খুলে দেখেছিস
মুন: হুম এক রহস্য বের করতে গিয়ে আরেক রহস্য এর মধ্যে আছি । আচ্ছা আমি তোর সাথে পরে কথা বলছি এখন একটা জায়গায় আছি
রুমা: ওকে।

মুন ফোন রেখে পিছনে তাকিয়ে দেখে রোদ ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে ।

রোদ: কার সাথে কথা বলছিলে?
মুন: রুমা ফোন করেছিলো
রোদ: ওহ আচ্ছা চলো খেয়ে নিবে

মুন রোদের সাথে গিয়ে খেয়ে নিল

সব গেস্ট চলে গেছে রোদ রাজদের সাথে কথা বলছে । মুন রানীর সাথে দাড়িয়ে আছে

সাথে একটু ওয়াশরুমে গেলে তানিয়া মুনের কাছে আসে

তানিয়া: আরে মুন তুমি একা দাড়িয়ে কি করছো?
মুন: এই পেত্নী ভালো হলো কি করে ( মনে মনে) না আপু এমনি দাড়িয়ে আছি
তানিয়া: তুমি খুব সুন্দর গান গাইতে পারো নাও এই সরবত খেয়ে নাও
মুন: আরে আপু আমি খাবো এমনি অনেক কিছু খেঁয়েছি
তানিয়া: আরে খেয়ে নাও আমি ও খাচ্ছি

তানিয় জোর করে মুন কে খাওয়াতে গেলে কেউ একজন তানিয়ার হাত ধরে

তানিয়া তাকিয়ে দেখে রোদ রক্ত লাল চোখ করে তাকিয়ে আছে

তানিয়া: রোদ আমি ত এমনি

আর কিছু বলার আগে

রোদ: ঠাসসসসসস ,ঠাসসসসসস

(লেখিকা: বলেছিলাম না বেশি বাড়াবাড়ি করলে জুন আন্টির মতো চর খাওয়াবো মিললো তো )

তানিয়া গালে হাত দিয়ে রোদের দিকে তাকিয়ে আছে সবাই রোদ আর মুনের ওখানে এসে জড়ো হয়ে আছে।

রাজ: কি হইছে রোদ তুই এত রেগে গেছিস কেনো ?

রোদ কোনো কথা না বলে শুধু রাগে ফুসছে

রাজ: মুন তুমি বলো ( মুনের দিকে তাকিয়ে)
মুন: আসলে টা
রোদ: ওহ কি বলবে আমি বলছি কি হচ্ছে তানিয়া আমার মুনকে ড্রিংক করাতে চাইছিল ওই গ্লাসে দেখ অ্যালকোহল আছে ( গ্লাস টা এগিয়ে দিয়ে চিৎকার করে)

রাজ গ্লাস নিয়ে দেখে সত্যি তাই

রানী: কিন্ত ও কেনো এটা করবে ?
রোদ: সেটা ও ভালো জানে। ভাগ্য ভালো যে আমি দেখে নিয়েছিলাম নাহলে আজ আমার মুনের কি হতো
তানিয়া: আমি কিছু জানিনা আমি ওয়েয়েটার এর কাছ থেকে নিয়ে ছিলাম ( কাদতে কাদতে)

মুন তো শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখছে রানী মুনের কাছে এসে দাড়ায়

রোদ: ওকে তাহলে ওয়েটার এর কাছ থেকে শুনি

রোদ ওয়েটার কে নিয়ে আসে

রোদ: সত্যি টা বলো ( চিৎকার করে )

রোদের চিৎকারে উপস্থিত সবাই ভয় পেয়ে যায় মুন রানীর হাত শক্ত করে ধরে ।

ওয়েটার : আমি কিছু জানিনা উনি আমাকে বললেন এই অ্যালকোহল যুক্ত গ্লাস যেনো উনার সামনে নিয়ে আসি এই টুকু

সবাই তো অবাক

রোদ রেগে দেয়ালে ঘুসি মারে

রোদ: রাজ ও যদি আর এক মুহুর্ত এখানে থাকে আমি কিন্ত এক্ষনি চলে যাবো
রাজ: রোদ শান্ত হো আমি দেখছি
রানী: একে তো পুলিশে দেওয়ার দরকার মুনকে ওসব খাইয়ে অনেক বড়ো ক্ষতি যদি করতো

রোদ রেগে তানিয়ার দিকে আসতে গেলে সবাই রোদকে আটকে রাখে

তানিয়া: মুন i am sorry আমি বুঝতে পারিনি আসলে আমি রোদ কে অনেক আগে থেকে ভালোবাসি কিন্ত তোমাকে ওর সাথে দেখে আমার সহ্য হয়নি তাই

রোদ : আমি আমার জিবনে এক জনকে ভালোবেসেছি আর সে হলো আমার মুন আমার wife ( এক হাতে মুনকে জড়িয়ে ধরে)

মুন রোদের দিকে তাকিয়ে আছে

রাজ: রোদ তুই মুনকে নিয়ে উপরে যা আমি দেখছি

রোদ আর না দাড়িয়ে মুনকে নিয়ে ঘরে গেলো।



রোদ ঘরে এসে সব কিছু ভাংচুর করছে মুন চুপ করে বসে আছে রোদের চোখ দেখে মুনের আর কিছু বলার সাহস নেই

অনেকক্ষণ পর রোদের রাগ কূমছে না দেখে মুন রোদকে জড়িয়ে ধরে ।

মুনকে পেয়ে রোদ একটু শান্ত হয়

মুন: রোদ প্লিজ শান্ত হন আমার জন্য প্লিজ আপনার রাগটা যে আমি খুব ভয় পাই আমি তো ঠিক আছি আপনার সাথে আছি আর আমি জানি আপনি থাকতে আমার কিছু হবে না আপনি আমাকে কিছু হতেই দিবেন না

রোদ মুনকে জড়িয়ে ধরে বলে
রোদ: এতো বিশ্বাস আমার উপর ।
মুন: বিশ্বাস আমার ভালোবাসার উপর খুব বিশ্বাস
ভালোবাসি যে তাই
রোদ: আমি ও ভালোবাসি খুব খুব খুব ভালোবাসি

বেশকিছুক্ষণ পর মুন ওর ঘাড়ে পানি জাতীয় কিছু অনুভব করলো

মুন: রোদ আপনি কি কাদছেন?
রোদ: উহু
মুন: মিথ্যে কেনো বলছেন আমি বুঝতে পারছি আপনি কাদছেন
রোদ: মুন আমার সাথে কেনো এমন হয় বলো তো আমি ও ত অন্যদের মতো সুখী পরিবার চেয়েছিলাম কিন্ত ভাগ্য আমার থেকে সব কিছু কেরে নিল কত অল্প বয়সে আমি সব কিছু হারিয়েছি যেই বয়সে আমার খেলা করার কথা ছিল সেই বয়সে আমি
মুন: বলুন কি

রোদ মুনকে ছেরে একটু দূরে দাড়িয়ে যায়

রোদ: যাও রেডী হয়ে নাও আমরা এখন বের হবো
মুন: এতো রাতে ( অবাক হয়ে)
রোদ: হুম ১০মিনিট এর মধ্যে রেডী হয়ে নিচে নামো

বলে রোদ বেরিয়ে গেলো

মুন আর কি গুছাতে লাগলো



কিছুক্ষণ পর মুন ব্যাগ নিয়ে নিচে নামলো দেখে সবাই দাড়িয়ে আছে ।
মুন জানে রোদের উপর কেউ কথা বলতে পারবে না রোদ যখন একবার ঠিক করেছে যাবে মানে যাবেই

মুনকে দেখে রানী মুনকে জড়িয়ে ধরলো।

রানী: খুব মিস করবো তোকে ।
মুন: আমি ও
রানী: আবার যে কবে দেখা হবে
মুন: তুমি সময় করে আমাদের বাসায় দেখা করে এসো আর আমি মাঝে মাঝে রোদকে বলবো দেখা করতে নিয়ে আসতে
রানী: হুম সাবধানে যাস
মুন: আচ্ছা

রাজ : রোদের মাথা গরম তুমি একটু মানিয়ে নিল ছেলেটা ছোটবেলা থেকে অনেক কষ্ট পাইছে
মুন: যে রহস্য তো আমি বের করেই ছাড়বো আজ না হোক কাল ( মনে মনে) আচ্ছা ভাইয়া আপুকে নিয়ে দেকা করতে এসেন
রাজ: না গেলে উপায় আছে

সবাই হেসে দিল

মুন একবার রানীর দিকে তাকিয়ে রোদের সাথে গাড়িতে উঠলো

রোদ গাড়ি চালাচ্ছে মুন বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে

কারোর মুখে কোনো কথা নেই ।
রোদ মুনের মাথা টা নিজের কাধে রাখে কারণ মুন ঘুমিয়ে পড়েছে

রোদ: চিন্তা করো না আমি তোমাকে কিছু হতে দিবো না একবার সব কিছু হারিয়েছি আর হারাতে চাইনা

মুনের কপালে ভালোবাসার পরশ দিয়ে রোদ গাড়ি চালাতে বেস্ত

( মেয়েরা মোটেও দূর্বল না মুন খুব সাহসী কিন্ত রোদ কে কিছু বলতে পারে না আমরা ত কতো রাগ অভিমান দেখাই কিন্ত আব্বু আম্মু না ভালোবাসার কাছে তো চুপ মুনের ক্ষেত্রে ও তাই হইছে । আর সবাই রোদের শাস্তি চাইছেন রোদের অতীত জানলে বলবেন না আর রোদ সত্যি শাস্তি পাবে অনেক বড়ো তখন হাজার বললে ও রোদের শাস্তি মাপ হবে না । মুনের ক্যারেক্টার একটু শান্ত দিছি মানে আমি শান্ত ভাবলে ভুল real life এ আমি ছেলেদের পাত্তা দি না অনেক বড় চর ও মারছি সেই জন্য আজ সিঙ্গেল যাই হোক গল্প পরতে পরতে সব বুঝতে পারবেন )

রাত ২ টো
রোদ মুনকে বিছানায় শুয়ে দিয়ে মুনের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকে।
রোদ: আমি তোমাকে কষ্ট দি শুধু নিজের কাছে রাখার জন্য তোমাকে কষ্ট দিয়ে তার ২গুন কষ্ট নিজেকে দি তোমার বুকে যেমন আমার নাম লেখা তার থেকে বেশি গভীর করে তোমার নাম আমার বুকে লেখা । খুব ভালোবাসি তোমাকে । এটা কেনো বুঝো না যে ভালোবাসে সে কষ্ট ও দিতে পারে

রোদের চোখ দিয়ে টুপটাপ পানি পড়ছে আপসোস রোদের চোখের পানি কেউ দেখবে না



রোদ কিছুক্ষণ মুনের দিকে তাকিয়ে থেকে মুনের কপালে ভালোবাসার পরশ দিয়ে বেরিয়ে পড়লো
গল্পঃ #Mr_Devil
(A Psycho love story)
লেখিকা: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_১৩

রোদ একটা হকিস্টিক হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে তার সামনে রাহুল রকাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ।

জন: স্যার আপনি বাসায় যান বাকিটা আমরা দেখছি ।

রোদ হকিস্টিক টা ফেলে গাড়ি নিয়ে বাসায় যায় ।

একটু আগে রোদ বাসা থেকে বেরিয়ে ওর বডিগার্ড জন কে ফোন করে । রোদ কথা বলে একটা বাংলো তবড্ডয় যেখানে রাহুল কে বেঁধে রাখা হয়েছে ।

রোদ রাহুল কে ইচ্ছা মত পিটায় । ওর মুনের দিকে বাজে নজরে তাকানোর জন্য ।

রোদ গাড়ি রেখে রুমে গিয়ে দেখে মুন ঘুমাচ্ছে ।

রোদ হাত মুখ ধুয়ে মুনের পাশে বসে মুনকে দেখতে থাকে

রোদ : খুব ভালোবাসি তোমাকে বড্ড ভালোবাসি কিন্ত বুঝাতে পারিনা তোমার সাথে আমি আমার বাকি লাইফ কাটাতে চাই তোমার চুলের গন্ধ তোমার গায়ের সুভাস নিয়ে বেচে থাকতে চাই খুব যত্নে আগলে রাখতে চাই আমি ভুল করলে তুমি শুধরিয়ে নিও

রোদ মুনকে বুকে জড়িয়ে ধরে।মুন পিটপিট করে চোখ খুলে দেখে রোদ

মুন: আপনি ঘুমাননি ? ( ঘুম ঘোরে)
রোদ: এই তো ঘুমাতে যাচ্ছিলাম ( চোখের পানি মুছে )
মুন: আর ঘুমাতে হবে না আমার ঘুম ভেংগে গেছে এখন আপনি ও বসে আমার সাথে গল্প করবেন ( চোখ ডলতে ডলতে)
রোদ: না সরো আমার ঘুম পাচ্ছে

রোদ চুপচাপ শুয়ে পড়ে ।
মুন ওর কম্বল ধরে টানছে

মুন: আরে উঠুন না এভাবে কেউ ঘুমায় আমার ঘুম ভেংগে গেছে তো আমি কি করবো উঠুন উঠুন

রোদ: মুন আমার খুব ঘুম পাচ্ছে আমি ঘুমাবো
মুন: না না আপনি গল্প করবেন প্লিজ আপনি সারাদিন অফিস থাকেন বাড়ি বসে বসে আমি একা কি করবো এখন তো একটু গল্প করেন প্লিজ
রোদ…
মুন: আরে উঠুন না আপনি তো বলেছিলেন আমার সব কিছু আপনার মধ্যে যেনো সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে উঠুন আমার আপনি ছাড়া কে আছে যার যাতে আমি গল্প করবো উঠুন না

রোদ কম্বল থেকে মুখ বের করে মুনকে বলে

রোদ: আচ্ছা যাও ফ্রেশ হয়ে নাও এই ড্রেস পরে কতক্ষন থাকবে ফ্রেশ হয়ে এসো

মুন নিজের দিকে তাকিয়ে দেখে যে পার্টির ড্রেস এখন ও গায়ে

মুন: আপনি চেঞ্জ করিয়ে দেন নাই কেনো ( গাল ফুলিয়ে)

রোদ মুনের গালে হাত দিয়ে
রোদ: একটু কাজ ছিল তাই এখন যাও

মুন আর কিছু না বলে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসে

মুন তাকিয়ে দেখে রোদ উবুর হয়ে শুয়ে আছে ।

মুন রোদের পিঠের উপর বসে পড়ে

মুন: এই আপনি আবার ঘুমাচ্ছেন উঠুন উঠুন না ( রোদ কে ঝাকাতে ঝাকাতে )

রোদ ধরপড়িয়ে উঠে

রোদ : হুন চলো কোথায় যাবে
মুন: ছাদে
রোদ: wait আমি চোখে মুখে পানি দিয়ে আসি

রোদ চোখে মুখে পানি দিয়ে এসে মুনকে কোলে নিয়ে ছাদে যায় ।

মুন রোদের গলা জড়িয়ে ধরে । রোদ ছাদে দোলনায় মুকে বসিয়ে দিয়ে মুনের কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়ে

রোদ: হুম এবার বলো কি গল্প করবে
মুন: এটাই সুযোগ (মনে মনে) আচ্ছা আপনার আর রাজ ভাইয়ার পরিচয় কি করে হয়।
রোদ: কেনো বলো তো ( ভ্রু কুচকে)
মুন: না মানে আপনাদের মধ্যে অনেক ভালো সম্পর্ক তো তাই আর আপনার বেপারে আমার জানার একটু ইচ্ছা থাকতে পারে না
রোদ: হুম পারে শোনো রাজ আর আমি একই কলেজ পড়তাম ওখান থেকে ওর সাথে আমার পরিচয় সত্যি বলতে রাজ শুধু আমার বন্ধু না আমার ভাই ও আর একজন আছে । আমরা এই ৩জন যা করতাম এক সাথে
মুন: ওহ আর একজন কে
রোদ: সে বাইরে থাকে তবে তার থেকে আমার বেপারে রাজ বেশি জানে আমার সব কিছু আমি রাজের সাথে বেশি share করি।
মুন: আচ্ছা আপনার স্কুল কলেজ ভার্সিটির লাইফে কোনো মেয়েকে ভালো লাগেনি( রোদের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে)
রোদ: ওহ তাহলে এই ব্যাপার গল্প করার নাম করে আমার এক্স এর কথা জানতে চাইছেন ম্যাডাম
মুন: তার মানে আপনার এক্স আছে ( অবাক হয়ে)
রোদ: হুম অনেক গুলো

মুন আর কিছু বলল না

রোদ একটু হেসে মুনের নাক টেনে বলে
রোদ: আমার কোনো এক্স নেই আমার প্রথম ভালোবাসা তুমি । ছোটো বেলা থেকে আমার মেয়েদের প্রতি তেমন টান ছিল না তোমাকে দেখার পড়ে সেটা বদলে গেছে তুমি আমার প্রথম অ্যান্ড শেষ ভালোবাসা । খুব ভালোবাসি । যেদিন তোমাকে প্রথম দেখেছিলাম সেদিন মনে হইছিলো তুমি আমার অন্ধকার জীবনের আলো হয়ে আসবে ।
মুন: এতো ভালোবাসেন তাই তো শুধু কষ্ট দেন
রোদ: যে ভালোবাসে সে কষ্ট দিতে পারে । আর যে কষ্ট দেয়না সে ভালোবাসতে জনেই না । তুমি ভুল করো তাই আমি তোমাকে শাস্তি দি আবার ভালো তো বাসি একটু কষ্ট দি বলে আমার সব ভালোবাসার মিথ্যে হয়ে যাবে
মুন: থাক আর বলতে হবে না যেদিন আমি

বলতে গিয়ে মুন জিভে কামোর দিলো।

রোদ: don’t complete this sentence

মুন: রোদ আপনার পাসওয়ার্ড কি
রোদ: কিসের password ?
মুন: কিসের মনে email, WhatsApp, Facebook, Twitter, Instagram আরো কত কিছু
রোদ: আমার সব কিছুতে তুমি
মুন: শুধু মিথ্যে বলেন আমি দেখেছি কিন্ত আমি নেই
রোদ: এই তুমি আমার password কিসে ট্রাই করেছো?
মুন: কিসে আবার মেসেঞ্জার এ আমি ও দেখবো না আপনার কাছে কোন কালনাগিনী মেসেজ দেয়।
রোদ: আমার সব কিছুতে তুমি যেদিন আমায় বুঝতে পারবে সেদিন password আপনাআপনিই জানতে পারবে
মুন: তার মানে আমি আপনার password জানতে পারবো নেহি
রোদ: ড্রামা কুইন ( মুনের নাক টেনে)
যদি মন থেকে কিছু চাও তাহলে ঠিক পারবে
মুন: হুম বুঝছি এবার চলুন সকাল হয়ে গেছে আপনি ত অফিসে যাবেন
রোদ: হুম আজ একটু কাজ আছে ওটা করেই চলে আসব

রোদ মুনকে কোলে নিয়ে নিচে নামছে

মুন: এই আপনি শুধু আমায় কোলে নেন কেনো আমি কি হাটতে পারিনা
রোদ: হাটতে পারবে না কেনো পারো তো কিন্ত আমার তোমাকে কোলে নিয়ে ঘুরতে ভালো লাগে মনে চায় সারাদিন কোলে নিয়ে ঘুরি।
মুন: থাক এবার রেডী হয়ে নিন অফিসে যেতে হবে তো

রোদ বাথরুমে গেলো আর মুন কিচেনে



মুন রান্না করে এসে দেখে রোদ রেডী হচ্ছে

মুন: আপনার নাস্তা দিছি
রোদ: হুম আসছি

মুন নিচে গেলো একটু পর রোদ নামলো

২জন এক সাথে খেয়ে নিল

রোদ: মুন আমি আসছি তাড়াতাড়ি ফিরে আসবো তুমি সাবধানে থেকো
মুন : আচ্ছা

রোদ মুনের কপালে ভালোবাসার পরশ দিয়ে বেরিয়ে গেলো।

মুন ঘরে এসে ডাইরি টা নিয়ে বসলো

মুন: ধুর এটার password কি হবে আমার নাম দিয়ে দেখি তো

মুন দিয়ে দেখলো কিন্ত হলো না অন্য নাম কত কিছু দিলো তাও হলো না

মুন: আচ্ছা রাজ ভাইয়া তো সব জানতে পারে উনার থেকে শুনে দেখি

মুন ডাইরি টা রেখে রানী কে ফোন করলো

মুন: আপু
রানী: হুম বল কেমন আছিস ?
মুন: আমি ভালো আছি তুমি কেমন আছো?
রানী: এই তো তোকে খুব মিস করছি রে
মুন : আমি ও
আপু একটা দরকার ছিল
রানী: হা বল না
মুন: আসলে আপু আমি রোদের সব কিছু জানতে চাই কিন্ত ওর password দরকার তুমি একটু রাজ ভাইয়ার কাছ থেকে নিয়ে নেবে মানে রাজ ভাইয়াকে বলবে তারা কলেজ লাইফে এমন কোনো কিছু কি ব্যাবহার করতো যেগুলো স্ক্রিট
রানী: বুঝতে পেরেছি ওকে আমি দেখছি জানতে পারলে তোকে জানাবো
মুন: আচ্ছা আপু থ্যাঙ্কু

মুন আরো কিছুক্ষন কথা বলে ফোন রেখে দিল

মুন: আরে ভেবে লাভ নেই আমি তো যে করেই হোক জেনে ছাড়বো। এখন একটু গোসল দিয়ে ঘুমাতে হবে

মুন গোসল করে ঘুমিয়ে পরলো



ঘুমের ঘোরে মনে হচ্ছে কেউ ওকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে ।

মুন চোখ ঝুঁকে দেখে পাশে রোদ শুয়ে আছে

মুন: রোদ কখন আসলো

মুন ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে দুপুর ৩টা বাজে। মুন রোদের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে ফ্রেশ হতে যায়

মুন তাড়াতাড়ি করে নিচে যায় রান্না করতে ।

মুন: আচ্ছা রোদ কখন আসলো ?
সর্ভমেনট: ১টাাই এসে ফ্রেশ হয়ে ঘুমাতে গেলো।

মুন সব কিছু করে আবার ঘরে এসে রোদের পাশে শুয়ে পড়ে

মুন: ঘুমিয়ে থাকলে কত কিউট লাগে

না আজ জ্বালাবো না কাল সারারাত ঘুমাতে পারেনি এখন একটু ঘুমাক ।

মুন রোদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে পরলো



সাড়ে চার টায় মুনের ঘুম ভাঙলো রোদ এখন ও ঘুমাচ্ছে ।

কলিং বেলের শব্দে টিকা যাচ্ছে না মুন উঠে নিজেকে ঠিক করে নিচে গিয়ে দরজা খুলে দেয়।

মুন তাকিয়ে দেখে একটা লম্বা মত ছেলে দাড়িয়ে আছে

মুন: জী কাকে চান ?

লোকটা মুনের দিকে কেমন ঘোরলাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ।

মুনের কেমন অসস্তি হচ্ছে।

মুন: ওহ হেলো কিছু বলবেন ?

লোকটা : ভিতরে আসতে বলবে না
মুন: আসুন
লোকটা: রোদ আছে ?
মুন: জী উনি তো ঘুমাচ্ছে আপনি বসুন আমি ডেকে দিচ্ছি

বলে মুন উপরে গেলো।

মুন গিয়ে দেখে রোদ এখন ও আরামে ঘুমাচ্ছে

মুন: রোদ এই রোদ উঠুন দেখুন কে আসছে রোদ ( রোদকে ঝাকাতে ঝাকাতে)
রোদ: মুন প্লিজ এবার একটি ঘুমাতে দাও না জান ( ঘুম কণ্ঠে)
মুন: আরে ঘুমাবেন পরে আগে দেখুন কে আসছে উঠুন না

রোদ উঠে বললো
রোদ: কে আসছে ( চোখ ডলতে ডলতে)
মুন: আপনি গিয়ে দেখুন আমি চিনিনা

রোদ নিচে গিয়ে তো অবাক

চলবে
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here