Mr Devil part 14+15

গল্পঃ #Mr_Devil
(A psycho love story)
লেখিকা : নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_১৪

রোদ ছুটে লোকটাকে জড়িয়ে ধরে

রোদ: কেমন আছিস ? ( জড়িয়ে ধরে)
আরিয়ান : আমি খুব ভালো আছি তুই কেমন আছিস ?
রোদ: এই তো বিন্দাস চলছে টা না জানিয়ে আসলি কেনো?
আরিয়ান : চমকে দেওয়ার জন্য কেমন দিলাম
রোদ : খুব ভালো আমি তো বিশ্বাস করতে পারছি না
আরিয়ান: অনেক দিন পর দেখা তাই না
রোদ: হুম অনেক দিন পর

মুন সিড়িতে দাড়িয়ে ওদের দেখছে
আরিয়ান হটাৎ মুনকে খেয়াল করলো ।

রোদ মুনের কাছে গিয়ে মুনকে এনে আরিয়ান এর সামনে দাড় করিয়ে

রোদ: এ হলো মুন আমার breath ,life heart, my everything ( এক হাতে মুনকে জড়িয়ে )

আরিয়ান মুনের দিকে কেমন করে তাকিয়ে আছে মুন সেটা খুব ভালো করে বুঝতে পারছে । আরিয়ান নিজেকে ঠিক করে

আরিয়ান : কেমন আছেন মুন ভাবি ?
মুন: জী ভালো আপনি কেমন আছেন ?
আরিয়ান: এই তো ভালো ছিলাম না এখন আছি
রোদ: তুই তো অনেক জার্নি করে আসছিস চল তোর রুম দেখিয়ে দি । ফ্রেশ হয়ে তারপর আড্ডা দেবো
আরিয়ান: চল

রোদ আরিয়ানকে নিয়ে রুম দেখাতে গেলো । মুন নিজেকে ঠিক করে খাবার গুছিয়ে রুমে গেলো ।

রোদ একটু পর এসে
রোদ: মুন রাতে রান্নার বেবস্থা করো
মুন: সব হবে আগে আপনি কিছু খাবেন চলুন
রোদ : পরে খাবো এখন
মুন: কোনো কথা না আমি খাইয়ে দিচ্ছি

বলে মুন রোদের সামনে এক লোকমা ধরলো রোদ ও খেতে লাগলো।

রোদ: মুন আজ আমি খুব খুশি আমি আমার কত পড়ানো বন্ধুর সাথে এক হতে পারছি দাড়াও রাজকে ও ফোন করবো কিছু দিন এখানে থাকার জন্য
মুন: সত্যি খুব ভালো হবে রানী আপু আসবে তো
রোদ: রাজ আসলে তো রানী ও আসবে
মুন: অনেক মজা হবে ( রোদের মুখে ভাত দিয়ে)

কিছুক্ষণ খাওয়ার পর
রোদ: এবার তুমি খেয়ে নাও তুমি ও তো কিছু খাওনি
মুন: আপনি খেয়ে নিন আমি একটু পর খাবো
রোদ: আমি আর খাবো না
মুন: একটু খেলেন তো আগে খান বলছি
রোদ: মুন পাখি প্লিজ জোর করো না
মুন: আচ্ছা ঠিক আছে

মুন খাবার গালে দিতে দিতে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো ।

কিছুক্ষণ পর
রুমে ঢুকলো

রোদ: মুন রাজ আর রানি কাল বিকাল আসবে
মুন: সত্যি (খুশি হয়ে)
রোদ:হুম
মুন: আচ্ছা এই টুকু খেয়ে নিন ( গ্লাসটা এগিয়ে দিয়ে)
রোদ: খেতেই হবে
মুন: হুম

রোদ গ্লাসটা নিয়ে হ্যাফ খেয়ে বাকি টুকু মুনকে খেতে বলে।

রোদ : মুন আমি আরিয়ান এর রুমে যাচ্ছি
মুন: হুম

রোদ আরিয়ানের রুমে গিয়ে গল্প করতে থাকে ।

মুন নাস্তা বানিয়ে ওদের দিয়ে আসে।


রাতে

মুন খাবার রেডী করে ওদের ডাকতে যায় ।

মুন: শুনছেন খাবার রেডী
রোদ: তুমি এখানে এসে বসো ( মুনকে কাছে ডেকে)

মুন গিয়ে বসে
আরিয়ান মুনের দিকে এখন ও কেমন করে তাকিয়ে আছে

মুন: বুঝি না এই লোকটা আমার দিকে এমন করে তাকায় কেনো আজব ( মনে মনে)
আরিয়ান : কি ভাবছো মুন
মুন: call me vabi দেবর জী
আরিয়ান: ওকে মুন ভাবি
মুন: এবার ঠিক আছে
আচ্ছা আপনারা কি গল্প করবেন অলরেডী ১০টা বাজে আগে খেতে চলুন পরে সব কথা
আরিয়ান : বুঝলাম না এই মেয়ের মধ্যে কি আছে যা আমাকে বার বার টানছে জিবনে তো এত সুন্দরী দেখেছি কিন্ত এমন ফিলিং তো কখনো হয়নি এই ফিলিং এর নাম কি কেনো এমন হচ্ছে ( মনে মনে)
রোদ: চল দোস্ত খেয়ে আসি

রোদের ডাকে আরিয়ান এর হুশ ফিরে।

আরিয়ান: হা চল

রোদ আরিয়ানকে নিয়ে খেতে গেলো

সবাই খাওয়া দাওয়া করে আরিয়ান আর রোদ গল্প করছে আর মুন ঘরে গিয়ে বিছানা ঠিক করছে

বেশকিছুক্ষণ পর রোদ ঘরে গিয়ে দেখে মুন কি ভাবছে । রোদ মুচকি হেসে ফ্রেশ হয়ে নিল।

মুন বারান্দায় দাড়িয়ে আছে আর পাশের বারান্দা দিয়ে আরিয়ান মুনকে দেখছে । বাতাসে মুনের চুলগুলো খেলা করছে চাদের আলো সোজা মুনের মুখে পড়ছে । আরিয়ান মুগ্ধ হয়ে দেখছে ।

আরিয়ান: জানিনা কি আছে তোমার মধ্যে যা আমাকে টানছে তবে কিছু একটা আছে যা আমি কারোর মধ্যে পাইনি টা তোমার মধ্যে পাইছি।

রোদ দরজায় দাড়িয়ে পকেটে হাত গুজে মুনকে দেখছে । আর মুন সে তো ডাইরি নিয়ে ভাবছে ।

রোদ পিছনে থেকে মুনকে জড়িয়ে ধরলো ।
আরিয়ান দেখে তো সহ্য করতে পারছে না

রোদ: কি ব্যাপার ঘুমাবে না এভাবে জেগে থেকে আমার মতলব খারাপ করছো কেনো

মুনকে জড়িয়ে ধরে । মুন পিছন ফিরে রোদের গলা জড়িয়ে ধরে।

মুন: আচ্ছা আমি নিয়ত খারাপ করছি তাই না
রোদ: তাই না তো কি

রোদ আস্তে আস্তে মুনের ঠোঁটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে মুন ও চোখ জোড়া বন্ধ করে নেয়। রোদ মুনের ঠোঁট জোড়া দখল করে নেয়।

এদিকে আরিয়ান এসব দেখছে আর ফুসছে।

বেশ কিছুক্ষণ পর রোদ মুনকে ছেরে কোলে নিয়ে রুমে যায় ।

আরিয়ানের চোখ জ্বলজ্বল করছে ।

রোদ মুনকে বিছানায় শুয়ে দিয়ে মুনের কপালে ভালোবাসার পরশ একে দিল

রোদ: খুব ভালোবাসি তোমায় খুব
মুন: আমি ও খুব ভালোবাসি আমার #Mr_Devil husband কে
রোদ : তাইনা
মুন : হা তাই

২জন হারিয়ে গেলো কোন জায়গায় টা আমি জানিনা না সবাই বলে তাই আমি ও দিলাম



সকালে
মুনের ঘুম ভেংগে গেল তাকিয়ে দেখে ৬টা বাজে । পাশে রোদ কি মিষ্টি করে ঘুমাচ্ছে

মুন: উফফ এই ছেলেটা এতো কিউট কেনো আমি ত বার বার ক্রাশ খাই

মুন রোদের গালে হাত দিয়ে কপালে চোখে ভালোবাসার পরশ দিয়ে উঠে পড়ে

মুন: যাই রেডী হয়ে নি আজ তো অনেক কাজ

মুন গোসল করে বেরিয়ে দেখে রোদ এখন ও ঘুমাচ্ছে ।
মুন আয়নায় নিজেকে ঠিক করে নাস্তা বানাতে বলে আসে ।

মুন: এই যে শুনছেন উঠুন অফিসে যাবেন না

রোদ মুনকে জড়িয়ে ধরলো

রোদ: যাবো তো ( ঘুম কণ্ঠে )
মুন: যাবেন মানে উঠুন গোসল করে রেডি হতে তো টাইম লাগবে তাই না
রোদ: কত বাজে ?
মুন: ৭টা বাজে এবার উঠুন
রোদ: হা আমি উঠছি তুমি খাবার রেডী করো আমি নিচে আসছি ।

রোদ উঠে গোসল করতে গেলো।
মুন নিচে খাবার দেখতে গেলো।



রোদ রেডী হয়ে রোদ নিচে নামছে আর বলছে

রোদ: মুন অনেক দেরি হইছে তাড়াতাড়ি আরিয়ানকে ডেকে আনো
মুন: আচ্ছা ঠিক আছে আপনি বসুন আমি ডাকছি

মুন আরিয়ানের রুমে গিয়ে নক করলো

আরিয়ান: কে?
মুন: খেতে আসুন রোদ ডাকছে

আরিয়ান দরজা খুলে দেখে মুন দাড়িয়ে আছে ।

আরিয়ান : তুমি যাও আমি আসছি

মুন মাথা নেড়ে টেবিলে গেলো

রোদ: কি হলো আসছে ?
মুন: হুম আপনি খান

রোদ পরোটা খাচ্ছে আর বলছে
রোদ: মুন আমার আসতে দেরি হবে রানী বিকালে চলে আসবে তুমি ওর সাথে থেকো আমি আরিয়ান আর রাজ রাতে আসবো ।
মুন: আচ্ছা ঠিক আছে

আরিয়ান এসে একটা চেয়ার টেনে বসলো

রোদ: কি ঘুম কেমন হলো?
আরিয়ান: খুব ভালো । আজ তো রাজ আর রানি আসবে ?
রোদ: হুম বিকালে আসবে
আরিয়ান : ওহ আচ্ছা

খাওয়া শেষে রোদ আর আরিয়ান বেরিয়ে পড়লো । মুন ঘরে এসে দেখে ওর ফোন বাজছে

লামিয়া ফোন করছে

মুন: হা বল
লামিয়া: কি খবর তোর দেখাই তো পাওয়া যাচ্ছে না
মুন: আরে একটু বেস্ত থাকছি কিছুদিন আগে রোদের ফ্রেন্ড এর বাড়ি অনুষ্ঠান ছিল এখন আবার ওর এক পুরানো বন্ধু আসছে তাই একটু ব্যাস্ত
লামিয়া: বাবা তুমি তো পুরাই গিহিনি হয়ে গেছো
মুন: চুপ থাক তোর কি অবস্থা সেটা বল আমাদের কি গুড নিউজ দিবি না ( দুষ্টুমি করে)
লামিয়া: আগে আপনি দেবেন তারপর আমরা
মুন: আমার তো কিছু দিন আগে বিয়ে হইছে তোদের তো অনেক আগে
লামিয়া: সেইজন্য তো

২বান্ধবী মিলে অনেকক্ষণ কথা বললো ।


বেলা ১১টা মুন ঘর ঠিক করছে তখনই কেউ ওকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে

মুন পিছনে ফিরে তো অবাক+খুশি
মুন: তুমি
গল্পঃ #Mr_Devil
(A psycho love story)
লেখিকা : নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_১৫

মুন তাকিয়ে দেখে সাথী দাড়িয়ে আছে।
মুন: তুমি( খুশি হয়ে)
রানী: হা বাড়িতে একা একা ভালো লাগছিলো না তাই চলে আসলাম আর রাজ তো রাতে আসবে
মুন: খুব ভালো করেছো আমি ও একা একা ভালো লাগছিলো না ।
রানী: আমি জানি তো
মুন: চলো তোমাদের রুম দেখিয়ে দি ফ্রেশ হয়ে গল্প করব
রানী: আচ্ছা চল

মুন রানীকে ওর রুমে দেখিয়ে দিয়ে কফি আর পকোড়া করে বারান্দায় গেলো।

রানী: মুন
মুন: এই নাও কফি খাও ( একটা কাপ এগিয়ে দিয়ে)

২জন কফি খাচ্ছে আর গল্প করছে
রানী: আচ্ছা মুন তুই কিভাবে রোদকে সামলে নিস না মানে রোদ তো খুব রাগী
মুন: হুম খুব রাগী কিন্ত আমি ওর সাথে যাই করি না কেনো ও কখনো আমায় কিছু বলে না কিন্ত অন্য কোনো কিছু করলে তখন উনার #ডেভিল রূপ বেরিয়ে আসে । যানো রোদ বলে আমার সব কিছু যেনো ওর মধ্যে সীমাবদধ থাকে তাই তো আমার সব দুঃখ , খুশি সব ওকে ঘিরে । এই কইদিন ও আমার প্রতি নিশ্বাসে প্রশ্বাসে মিশে গেছে উনাকে ছাড়া আমার কিছুই ভালো লাগে না । উনি যখন অফিস যায় তখন তো আমার নিজেকে খুব একা মনে হয় ( মন খারাপ করে)
রানী: বাবা আমার মুন পাখি তো রোদের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে ।
মুন: উনাকে দেখে তো আমি ক্রাশ কবেই খেয়েছিলাম এখন উনার সাথে থাকতে থাকে উনাকে বুঝতে শিখেছি । উনি আশপাশে থাকলে আমার সব থেকে সুখী মানুষ মনে হয়
রানী: এটাকে বলে স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা । বিবাহ একটা পবিত্র বন্ধন যেই বন্ধনে তোরা পরেছিস । যাই হোক কখনো রোদকে ছেরে যাস না বেচারা মরে যাবে খুব ভালোবাসে তোকে
মুন: জানি সেজন্য তো আমি এখন ও উনার সাথে আছি ( মুচকি হেসে)
রানী: আচ্ছা চল দুপুর হয়ে গেছে রান্না করে ওদের অফিসে পাঠায়
মুন: হা আপু ঠিক বলছো আমাকে ও সব রান্না শিখিয়ে দিতে হবে আমি কিছু কিছু রান্না পারিনা
রানী: আরে চাপ নিস না আমি আছি তো

রানী মুনকে সব রান্না শিখিয়ে দিচ্ছে ।


রান্নার কাজ প্রায় শেষ

রানী: মুন জা তুই গোছল করে নে । রান্না তো শেষ আমি ও যাই তারপর এক সাথে খাবো।
মুন: আচ্ছা

মুন গোসল করতে গেলো আর রানি গ্যাসের চাপ কুমীয়ে দিয়ে চলে গেলো।

মুন গোসল শেষে আয়নায় দাড়িয়ে চুল মুছছে আর রোদের কথা ভাবছে

মুন: আপনি তাড়াতাড়ি আসুন তো আমার আর ভালো লাগছে না খুব মিস করছি আপনাকে খুব তাড়াতাড়ি আসুন

রানী: আসবে আসবে খুব তাড়াতাড়ি আসবে ( দরজায় দাড়িয়ে)
মুন: আপু তুমি
রানী: আমার মুন পাখি তো রোদকে ছাড়া থাকতে পারছে না
মুন: তেমন কিছু না ( লজ্জা পেয়ে) চলো ওদের খাবার টা পাঠিয়ে দিই নাহলে হোটেল থেকে খেয়ে নিবে
রানী: হা ঠিক বলছিস

মুন আর রানি খাবার টিফিনে দিয়ে পাঠিয়ে দেয় ।

রানী: শেষ এবার চল আমরা খেয়ে নি
মুন: চলো



অফিসে
রোদ মিটিং করে বেরিয়েছে

জন: স্যার আপনার জন্য ম্যাম খাবার পাঠিয়েছে
রোদ : রেখে দাও ( মুচকি হেসে)

জন খাবার রেখে দিয়ে চলে গেলো
রোদ: বাবা ম্যাডাম আজ আমার ফেভারিট বিরিয়ানি রান্না করছে ( গন্ধ নিয়ে ) মনে তো হচ্ছে নিজে রান্না করছে ।

রোদ খেতে যাবে
ম্যানেজার : স্যার আসবো
রোদ: হা এসো ( বিরক্তি নিয়ে)
ম্যানেজার: স্যার মিটিং এর লোকেরা আপনার সাথে লাঞ্চ করতে চাচ্ছে
রোদ: উনাদের পাঠিয়ে দাও সাথে খাবার ও
ম্যানেজার: ওকে স্যার

মিটিং এর লোকেরা আসলো
রোদ: হেলো মিস্টার বসুন
আর্থ কার্পাস : thanks

একটু পর খাবার চলে আসলো
রোদ : প্লিজ শুরু করেন
আর্থ কার্পাস: আপনি ও শুরু করেন
রোদ: আসলে আমার wife খাবার পাঠিয়েছে আমি ওটাই খাবো
আর্থ কার্পাস : ওহ তাহলে আমরা ও ওটাই খাই

রোদ ওদের সবাইকে একটু বিরিয়ানি দিলো

( কেউ নজর নিবেন না আমার ও খুব পছন্দের নজর দিলে কিন্ত তাকে ধরে মারবো )

খাওয়া শেষে মিস্টার আর্থ চলে গেলেন ।

( আর্থ কার্পাস নাম দিছি বিদেশি বলে মাথায় কিছু আসছিল না বিজ্ঞানীদের নাম দিতে চাইছিলাম কিন্তু আর সাইন্সে পড়ে তারা ঠিক ধরে পড়ে আমায় মারত তাই যা মনে আয়চে দিছি )

রোদ : মুনকে একবার ফোন দিয়ে দেখি

রোদ ফোন দিতে গেলেই নেহা আসে অনেক গুলো ফাইল নিয়ে

নেহা: স্যার এই গুলোতে আপনার signature লাগবে
রোদ : রেখে দাও আমি দেখে দিচ্ছি ।
নেহা : জী স্যার

রোদ মুনকে ফোন করছে কিন্ত মুন ধরছে না



রানী আর মুন খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে আছে

রানী : মুন মনে হয় তোর ফোন বাজছে ।
মুন: সত্যি (লাফ দিয়ে)
রানী : বাবা

মুন দেরি না করে ফোন হাতে নিয়ে দেখে রোদ ফোন করছে মুন ফোন নিয়ে বেলকনিতে যায়

মুন : হেলো
রোদ : কি ব্যাপার এতক্ষণ লাগে ফোন ধরতে কখন থেকে ফোন দিচ্ছি ( তেজী গলায়)
মুন: আসলে শুয়ে ছিলাম
রোদ: হুম টা খাইছো ?
মুন: হুম আপনি
রোদ : এই মাত্র খেলাম
মুন: ওহ টা বাড়ি আসত কি খুব দেরি হবে ?
রোদ : ৮ টায় চলে আসবো কেনো খুব মিস করছ?
মুন: না এমনি আচ্ছা আপনি কাজ করেন
রোদ : হুম কাজ ও করবো বউএর সাথে কথা ও বলবো

মুন মুচকি হাসলো

২জন প্রায় অনেকক্ষণ কথা বললো এত কি কথা বলে আমি নিজে ও জানিনা নেটে দেখি তাই বললাম । তবে আমি আব্বুর সাথে অনেকক্ষণ কথা বলি আমার সারাদিনের সব কথা আব্বুর সাথে বলি আম্মুর সাথে বলিনা কিন্ত আব্বুর আছে সব বলি

রোদ : আচ্ছা রাতে এসে কথা বলছি
মুন: আচ্ছা ঠিক আছে

মুন ফোন নিয়ে ঘরে এসে দেখে রানী রাজের সাথে কথা বলছে । মুন রানীর পাশে এসে শুয়ে পরলো ।

রানী ফোন থুয়ে
রানী: কীরে তোর কথা শেষ ?
মুন: হুম
রানী: ৪টা বাজে কখন আসবে ?
মুন:৮টায় আসবে বললো তো
রানী: ওহ তোর কি ঘুম পাচ্ছে ?
মুন: হুম।
রানী: তাহলে তুই ঘুমা

মুন বালিশে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে পরলো আর রানি মুনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর ফোন টিপছে ।


মুনের ঘুম ভাঙলো তাকিয়ে দেখে রোদ বসে ল্যাপটপে কাজ করছে ।

মুনকে দেখে একটা মুচকি হাসি বললো ।
রোদ : ঘুম হলো?
মুন: আপনি কখন এলেন ?
রোদ : কিছুক্ষণ আগে তুমি তো ঘুমাচ্ছিলে রানী দরজা খুলে দেয়
মুন: আমি তো রানী আপুর রুমে ছিলাম
রোদ : হুম আমি তোমাকে নিয়ে এসেছি

মুন উঠে রোদের গায়ে হেলান দিয়ে বসলো

রোদ : কি হলো ?
মুন: ঘুম আসছে আজ সারাদিন তো ঘুমাতে পারিনি
রোদ : তুমি সারাদিন ঘুমাবা আর রাতে আমার ঘুম নষ্ট করবে
এই নাও

মুন তাকিয়ে দেখে রোদ এক প্যাকেট চকোলেট দিচ্ছে ।

মুন: আমার জন্য (খুশি হয়ে)
রোদ: হুম

মুন চকোলেট খুলে ২টা নিয়ে দৌড়ে রানীর রুমে যায়

রোদ : আরে সাবধানে পাগলী একটা

মুন রানীর রুমে গিয়ে ঠকঠক করে।

রাজ দরজা খুলে দেয় ।
মুন : ভাইয়া রানী আপু
রাজ : আরে মুন ভিতরে আসো

মুন রানীর কাছে গিয়ে রানীকে চকোলেট দিলো।

রানী: কে দিল
মুন: রোদ আনছে তাই তোমায় দিলাম
রানী: কপাল করে একটা জামাই পাইছিস আমার জামাই তো ( রাজের দিকে তাকিয়ে)
রাজ : এমন করছ যেনো আমি তোমাকে কিছু দি না
রানী: কি দাও শুনি

ওদের ঝগড়ার মধ্যে মুন আস্তে করে বেরিয়ে গেলো

মুন হাসতে হাসতে যাচ্ছে তখনই কারোর সাথে ধাক্কা খায়

মুন: ওরে আমার কোমর ভেঙ্গে দিল কোন হনুমান রে আজ আমি তোরে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুচি কুচি করে শিক কাবাব বানিয়ে খাবো

মুন এসব বলতে বলতে সামনে তাকিয়ে দেখে আরিয়ান ওর দিকে হা করে তাকিয়ে আছে

মুন নিজেকে ঠিক করে উঠে দাড়ায়

আরিয়ান : এটা আবার জন ধরনের গালি
মুন: এটা আমার স্টাইল

মুন ভেংচি কেটে ঘরে গেলো

আর আরিয়ান মুনের যাওয়ার দিকে বাকা হাসলো

মুনকে দেখে রোদ বলে।

রোদ : কি বেপার দিয়েছ ?
মুন : হুম
রোদ : মুড অফ কেনো ?
মুন: কই না তো

রোদ মুনের কাছে এসে মুনকে নিজের সাথে মিশিয়ে বলে
রোদ: আমার থেকে লুকিয়ে লাভ নেই আমি তোমার সব কিছুতে মিশে আছি

মুন কিছু বললো না রোদ মুনকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে

তখনই কারোর আওয়াজ পেয়ে রোদ মুন দূরে সরে যায়

চলবে

(আমি জানি সবাই আমার উপর ক্ষেপে আছে কেনো এতদিন রহস্যের সমাধান করছি না কিন্ত সমাধান করলেই গল্প শেষ আর আমার মঙ্গল বারে কোচিং এ পরীক্ষা তাই এই কয়দিন আমি গল্প লেট দেবো একটু ছোটো হতে পারে প্লিজ কেউ কিছু মনে করবেন না এক্সাম শেষ হলে আমি রহস্যের সমাধান করবো

হ্যাপী রিডিং)
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here