#কুয়াশা মন
পর্ব ৪…
খুশিটা আমি রাখি কই? ক্ষণকাল আগেই আমার সকল আশা-প্রত্যাশার জলাঞ্জলি দিয়েছিলাম। ভাবতেই অবাক লাগছে। মুহূর্তের মধ্যেই সব কল্পনা পরিবর্তিত হয়ে যাবে তাও কল্পনাতীত।
যা হয়েছে হাসব নাকি কাঁদব কিছুই মাথায় আসছে না। তবে বিয়েটা যে হবে না সে কারণে মন খুলে নাচতেই ইচ্ছে করছে।
আমাকে যখন হালকা সাজগোজ করে বসানো হয়েছিল, তখনই দেখলাম আরিফের খালাদের সাথে পাঞ্জাবি পরা একটা ছেলে আসছে। তার এক চোখ ট্যারা। আরিফের খালারা হাসিমুখে এসে দাঁড়ালেন। আমরা সবাই তখন হতভম্ব। সিরিয়াসলি! আমাকে একটা ট্যারা চোখা ছেলের সাথে বিয়ে করতে হবে? বিয়ের পর ছেলেটা কোন চোখ দিয়ে কাকে দেখছে কিছুই তো বুঝব না। পুরোপুরিভাবে ট্যারা হলে একটা কথা ছিল, ভাল চোখ অনুসারে তার চাহনি নির্ধারণ করতে পারতাম। কিন্তু সে সাংঘাতিক ট্যারা। স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য দূরত্ব চোখের মণির। এই সমস্যা, কোনটা ভালো চোখ বুঝাই যাচ্ছে না। ছেলেটা অসম্ভব রোগাও বটে। হবু বরকে দেখে আমার হুঁশ হারানোর উপক্রম হয়েছিল। এমতাবস্থায়, মুক্তা আমার পাশে এসে বসেছিল। সেও আহত ভঙ্গিতে আমার দিকে চেয়ে ছিল। বাবারা মুখ খুললেন, “কী ব্যাপার? ছেলের এই সমস্যাটা আমাদের আগে বলেননি কেন?”
আরিফের খালা হাসতে হাসতে লুটে পড়ে বললেন, “আরে এটাও কোনো সমস্যা? আমাদের ছেলের কোনোদিকে কমতি আছে নাকি? আর একবার বিয়েটা হয়ে যাক, অপারেশন করে ঠিক করে ফেলবে।”
তাঁর অতিরিক্ত আর অপ্রয়োজনীয় হাসিটা আমি ভ্রূ কুঁচকিয়ে দেখলাম।
“কিন্তু আপনি আমাদের কাছে লুকিয়েছেন কেন? আমাদের মেয়ের কোনো কমতি কি আমরা লুকিয়েছি? বা ওর মাঝে কোনো কমতি কি আদৌ আছে?”
“এটা লুকানোর বিষয় নাকি? এটাও কোনো গুরুত্বপূর্ণ কথা নাকি যে বলতে হবে?”
পেছন থেকে ফুফা এসে গলায় জোর দিয়ে বললেন, “তা না হলে আপনারা আপনাদের ছেলেকে আগে কখনও দেখাতে আনেননি কেন? আমরা আপনার মুখে শোনা আরিফের প্রশংসার কারণে রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। আপনি এমনকি ওর ছবিও দেননি। এজন্যই তো দেননি যাতে আমরা বিয়ে ক্যান্সেল না করি। তা নয় কি?”
আরিফের পক্ষের লোকগুলো ফুফার হুঙ্কারে সহসা মুখ তুলে কিছুই বলতে পারল না। ওঁরা হয়তো বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিল, ভেবেছিল আমরা নম্র স্বভাবের লোক। সহজেই ঠকিয়ে দিতে পারবে। ওঁরা বুঝতেও পারেননি ফুফার মতো উঁচু খান্দানের এক ভদ্রলোক আমাদের পরিবারেও আছে। ছেলেপক্ষের সকলের মুখ শুকিয়ে গেল। আমি আর মুক্তা খুশিতে গদগদ করছিলাম। ফুফা যেখানে দাঁড়িয়েছেন, ওখানে কে আছে ফুফার মুখোমুখি হবেন? কে এমন সাহস করবে? খানিকটা আশা ফিরে পেলাম। ফুফা যদি এ বিয়েতে সহমত না হন, তবে ভেবে নিতে পারি এই বিয়ে হবে না।
ফুফা বললেন, “সাবিহা আমাদের বড় আদরের মেয়ে। ওর কোনোদিকে কোনো কমতি আছে কি? ওর রূপের দিকে চেয়ে দেখুন। আপনার ছেলের হাজার গুণও ওর রূপের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না। তাও ঠিক আছে, আপনাদের ছেলের চোখের ট্যারা হওয়াটা দোষের নয়। তবে আমরা সাবিহার বিয়ে যদি আপনাদের পরিবারে দেই, তবে আমরা তার জীবনের কাছে দোষী হয়ে যাব। দরকার হলে কম রোজগার করে এমন এক ছেলে খুঁজব সাবিহার জন্য। কিন্তু কখনও ঠকবাজদের সাথে বিয়ে দেবো না, তা যতই প্রতিপত্তিশালী হোক না কেন।”
“কিন্তু আমরা তো কেবল কথাটা লুকিয়েছি।”
“হ্যাঁ, তাই তো। আপনি এসব করে সাবিহার পরিবারকে কি অন্ধকারে রাখেননি?”
আরিফের খালার অপরাধী মুখখানা রাগে গিজগিজ করে নিচু হয়ে গেল। বাবা বললেন, “ছেলে দেখতে ভালো। যদি না ঠকিয়ে শুরুতেই ওকে আমাদের কাছে নিয়ে আসতেন তবে কিছু একটা ভাবতে পারতাম। কিন্তু যা করেছেন… থাক, অযথা সময় নষ্ট হচ্ছে। আপনারা এখন আসতে পারেন।”
আরিফরা একবার বাবার দিকে তাকিয়েছিল। ছেলেটিও হয়তো ওঁদের মানসিকতার। বাবা একই সিদ্ধান্তে অটল আছেন দেখে তাঁরা যেটুকু বুঝার আছে তা বুঝে সদলবলে চলে গেল।
আমি আর মুক্তা খুশিতে একে অপরকে জড়িয়ে ধরলাম। সাধারণত দেখা যায়, মেয়েদের বিয়ে ভাঙলে তারা মনমরা হয়ে থাকে। কিন্তু সেই লক্ষ্মণে আমি খুশিতে আত্মহারা হয়ে মনে মনে যেন নাচছিলাম। এই এক ঘণ্টার মধ্যে প্রায় অতিথি সদলবলে চলে গেছে। বিয়ের সব আয়োজন মিটমাট করে গুছিয়ে ফেলা হলো। আমি আমার রুমে এসে শাড়ি-গহনা সব ছেড়ে খুশিমনে ডায়েরিতে লিখতে বসি।
সত্যিই অবিশ্বাস্য! আমার বিয়েটাই হচ্ছে না।
কিন্তু আমি যেন অহেতুকই খুশি হচ্ছি। কী সম্ভাবনা আমি ওই কুয়াশা মনের লোকটিকে পাব? তিনি আর তার মা তো আমাকে পছন্দই করেন না। বিয়ে যে একদিন হবেই। সে হিসেবে এই খুশি হয়তো অহেতুক।
আচ্ছা, মিহির ভাইয়ার সাথে সবকিছু মিটমাট করে নিলে কেমন হয়? তবেই কিছু একটা আশা করা যায়। কিন্তু তার সাথে কথা কী করে বলি? কোন মুখ নিয়ে বলি?
সামিরা ডায়েরিতে এটুকু পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়েছে। বুয়া দুপুরের খাবারটা নিয়ে এলো তার রুমে; খাইয়ে দিলো। খাওয়ার পর সে আবার ঘুমিয়ে পড়ে। ছুটির দিনগুলো তার প্রায় এভাবেই কাটে। মিহির বাসায় ফিরেছে। সে এসে পড়লে ডায়েরিটা সামিরার নিতে ইচ্ছে হয় না। পাছে যদি ডায়েরিটা কখনও সে দেখে ফেলে, তবে সামিরা ডায়েরিটা আর ফেরত পাবে না। পড়তে আর পারবে না সাবিহার সম্বন্ধে।
পরদিন স্কুল সেরে এসে সামিরা আবার ডায়েরিটি নিয়ে পড়তে বসল। স্কুলে প্রতিদিন এক বাঙালি বান্ধবীর কাছ থেকে সে বাংলা ভাষার কিছু কিছু শব্দের অর্থ জেনে আসে, যেসব শব্দের অর্থ সে সাবিহার ডায়েরি পড়ার সময় বুঝতে পারে না। বাংলাদেশে থাকলে সম্ভবত তার এরূপ বাংলা শিখতে হতো না। দুবাইয়ে বাংলার চর্চা নেই। মাঝে-মধ্যে দুয়েকটা বাঙালি দেখা যায়। তাদের কাছ থেকেই শেখে কাঙ্ক্ষিত শব্দগুলোর অর্থ। কাল ডায়েরি পড়ার সময় যা বুঝেনি, তা আজ স্কুলে গিয়ে বাঙালি বান্ধবীটির কাছ থেকে জেনে এসেছে। মিহিরও বাঙালি। কিন্তু তার আশেপাশেও যেতে ইচ্ছে হয় না সামিরার।
বিগত সময়ে ডায়েরির যেটুকু পড়েছিল তার পর থেকে কয়েক পাতায় মিহিরকে নিয়ে লেখা সাবিহার অনুভূতিই আছে। আছে কীভাবে সাবিহা শত প্রহর গুনেছে মিহিরকে ভেবে, তার ব্যাখ্যা। এরপর থেকে কিছুটা এমন লেখা আছে।
মাস খানেক আমার বিয়ের কথা আর উঠেনি। ফুফা আগে থেকেই মঈন ভাইয়ার জন্য পাত্রী খোঁজাতে ব্যস্ত ছিলেন। বাবাকে বলে রেখেছিলেন, একবার মঈন ভাইয়ার বিয়ে হয়ে গেলে আমার জন্য তিনিই স্বয়ং পাত্র খুঁজবেন। আমিও ভাগ্যের নিষ্ঠুর পরিহাস দেখার তাড়নায় বসে আছি। জানি, একদিন এমনিতেই অন্যের সাথে বিয়ে হয়ে যাবে।
গতকাল শুনতে পেলাম মঈন ভাইয়ারা দুবাই থেকে ফিরেছেন। মুক্তার কাছে ফোনেই জানলাম, সে আর মায়া আপু শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজ বাসায় এসেছে। মঈন ভাইয়ার জন্য পাত্রী খোঁজা শেষ হয়েছে; পাত্রী নির্ধারিত হয়েছে। দিন কয়েকের মধ্যে বিয়ের আয়োজন শুরু হতে চলেছে। যাওয়ার প্রতীক্ষায় মায়েরা দল বাঁধছে। ফুফা বলে রেখেছেন, বিয়ে ঠিক হওয়ার তিনদিন আগেই তাঁর বাসায় চলে যেতে হবে। বড় ছেলের বিয়ে, বেশ ধুমধাম করে করতে হবে না! মুক্তাও বলছে, গতবার স্বয়ং ওর বিয়ে হওয়ায় মজা তেমন করতে পারেনি। এবার মঈন ভাইয়ার বিয়ে উপলক্ষে জমে মজা করব। আমারও বড় ইচ্ছা, মঈন ভাইয়ার বিয়েতে হাসব-নাচব। আমিও বিয়ের আমেজে মেতে উঠব। কিন্তু বিগত সময়ের কথা মনে পড়লে মনটা শুকিয়ে যায়। মিহির ভাইয়ার সাথে ভুল বোঝাবুঝি। তার ওপর ফুফির অপছন্দের একজন হয়ে উঠায় সব আনন্দ ভেস্তে যাচ্ছে। কোনোভাবে বিয়েতে উপস্থিত হতে পারলে ওই দুজনের অগোচরে না হয় চলতাম। কিন্তু তিনটা দিন কী করে থাকব?
মায়েরা আমাকে সাথে করে নিয়ে এসেছে ফুফার বাসায়। বিয়ে তিনদিন পর। এখন থেকেই জমজমাটভাবে আয়োজন শুরু হচ্ছে। আসার পর থেকে আমার তৃষ্ণাতুর দৃষ্টিগুলো কেবল মিহির ভাইয়াকেই খুঁজে যাচ্ছে কেবল একটিবার তাঁকে দেখার জন্য। এই কয়েক বছরে কেমন হয়েছেন তিনি? এখন তাকে দেখতে কেমন দেখায়? আগের মতই সুদর্শন আছেন নাকি আগের চেয়েও অত্যধিক সুদর্শন পুরুষ হয়ে গিয়েছেন?
কালরাত তার কথা ভাবতে ভাবতেই ডায়েরি কোলে রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এখানে এসেছি কাল। এখন অবধি মিহির ভাইয়াকে সবেই দেখলাম।
একটু আগে মুক্তার সাথে বিয়ে নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছিল। আমি ডিজাইনিং খুব ভালো পারি জেনে মুক্তা বলছিল, আমিই যেন মঈন ভাইয়াকে মেহেদি পরিয়ে দেই। আর যতটুকু জানি, মঈন ভাইয়া সহজেই অন্যের পছন্দসই জিনিস নিজে পছন্দ করেন না। আমার সিলেক্ট করা মেহেদি ডিজাইন যদি ভাইয়ার আবার পছন্দ না হয়? মুক্তা বলল, ডিজাইনগুলো থেকে একবার ভাইয়ার কাছে জিজ্ঞেস করে যাচাই করে আনলে ভালো হয়। আমি তাতে সায় দিলাম। সেই তাগিদে ভাইয়ার রুমের দিকে যাচ্ছিলাম। খেয়ালই ছিল না যে, মিহির ভাইয়ার রুম পাশেই। আমি ডিজাইনের কপিগুলো তাড়াহুড়ো করে নিয়ে যাচ্ছিলাম, অকস্মাৎ কার সাথে যেন জোরেশোরে ধাক্কা খাই। তার মোবাইল পড়ে গিয়েছে। লোকটা মোবাইল টিপতে টিপতে হাঁটলে এরূপ ধাক্কা খাওয়ারই কথা। তার মোবাইলটা নিয়ে উঠতেই আমি আর আমার মাঝে রইলাম না। সেই চির চেনা, অতি পছন্দের ডাগর ডাগর চোখদুটো, সারাক্ষণ নাকের ওপরই সব মেজাজ বহন করে থাকা মুখখানা। মিহির ভাইয়াকে দেখে ক্ষণকাল আমি নীরব রইলাম। অন্য কেউ হলে এই মুহূর্তে চেঁচিয়ে বলতাম, দেখে হাঁটতে পারেন না? চোখদুটো কি হাঁটার সময়ও মোবাইলের ওপর রাখতে হয়?
কিন্তু এমন কিছু তখন মাথায় আসেনি। মিহির ভাইয়ার দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলাম। তার চেহারায় কি উজ্জ্বলতা! আর হাসলে যেন প্রতিটা মেয়ে পুরো পৃথিবীকে ভুলে গিয়ে শুধু তার দিকেই অবিরাম চেয়ে থাকবে। কিন্তু তিনি আদৌ হাসেন কিনা জানা নেই। তখন কচি বয়সের দোষে একটু-আধটু যাও হাসতেন। এখনকার অত্যধিক গম্ভীর মুখ দেখলে মনে হয় না, তিনি হাসতেও জানেন।
সেই এক পলকের জন্য দেখা পেলাম। এরপর তিনি আমার হাত থেকে মোবাইলটা কেড়ে নিয়ে আমার দিকে এক পলকও না তাকিয়ে চলে গেলেন। আমি ওখানেই কিছুক্ষণ ভাবলেশহীন হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম।
সন্ধ্যার দিকে মুক্তা হঠাৎ জিজ্ঞেস করল, “তোর আর ভাইয়ার মাঝে কী চলছে?”
“কী চলবে?” কিঞ্চিত দুষ্টুমি করে হেসে বললাম। অথচ জানতাম সে কী বুঝিয়েছে।
“তুই যখন ডিজাইনের কপি নিয়ে যাচ্ছিলি, তখন আমি তোর পেছন দিয়েই আসছিলাম। দেখেছি, তোরা একে-অপরের সাথে ধাক্কা খাওয়ার পর কেউ কাউকে সরি পর্যন্ত বললি না। অথচ দেখা হয়েছে বছর খানেক পর। ভাইয়াও তোর দিকে একটুও না তাকিয়ে চলে গেল। কী হয়েছে তোদের মাঝে?”
“তা তেমন কিছু না। প্রতিবার যা হয় আর কি! কোনো না কোনো কারণে তার সাথে দ্বন্দ্ব লেগে যাওয়া। বিশেষ কিছু না।”
“ও আচ্ছা, তাহলে ঠিক আছে।”
মুক্তার সাথে আর কিছুক্ষণ থাকলে পেটে লুকানো বাকি যা কিছু আছে সবই সে বুঝে যাবে। কেটে পড়া উচিত ভেবে চলে যাওয়ার জন্য উদ্যত হলাম। তখনই সে আমার হাত টেনে জিজ্ঞেস করল, “সাবু, একটা কথা জিজ্ঞেস করি? যদিও বা আগে ওটা অনেকবার জিজ্ঞেস করেছি। ইদানীং একবারও করিনি। তো বল, কাউকে পছন্দ করিস?”
“মানে?”
“মানে বুঝাতে হবে এখন? আমি কিন্তু অনেকবার অনেক কিছু দেখেছি।”
“কী দেখেছিস?”
“সকালে স্বচক্ষে দেখলাম কীভাবে মিহির ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে থেকেছিলি। ওই চাহনিটা আগে চিনতাম না। তারপর দুপুরে তোর রুমের টেবিলে থাকা ডায়েরির অনেক কিছুই পড়লাম। এখন কি কেনোকিছু লুকানোর আছে?”
আমি কিছুই বললাম না। মুক্তা স্বাভাবিকভাবে হেঁটে চলে গেল। ইচ্ছে করেছিল ডায়েরিটাকেই ছিঁড়ে ফেলি। এটার কারণেই ও সব জেনে ফেলেছে। জানি না, এরপর কী হবে। আমি কোনোভাবে গায়ে হলুদের দিনটুকুও ভাইয়ার অগোচরে রইলাম। তারপর এলো বিয়ের দিন।
(চলবে..)
লেখা: ফারিয়া কাউছার