পূর্ণতা পর্ব ১১+১২

#পূর্ণতা🖤
#part_11
#Writer_Megla (মেঘ)

সাধারণত আমাদের সমাজে ছেলে-মেয়ের বিয়েতে পাত্র কিংবা পাত্রী পক্ষ হিসাবে মায়েদের যাওয়ার রিতি নেই কিন্তু তন্ময়ের মা এসব সেকেলে নিয়মের কোন পরোয়া করেন না। তার খুব ইচ্ছা সে নিজের চোখে তার ছেলের বিয়ে দেখবে। কিন্তু তাতে বাধ সাধলেন তন্ময়ের বাবা আশরাফুল ইসলাম। তার মতে আমরা মানুষ সামাজিক জীব। তাই সমাজের কিছু নিয়ম অবশ্যই আমাদের মানতে হবে। তা না হলে আমরা সমাজে বাস করবো কিভাবে? তন্ময়ের মা তার স্বামীর মুখের উপর আজ কিছু বলতে পারলেন না। কারণ তার যুক্তিটা সম্পূর্ণ সঠিক। তাই এখন তার সব রাগ গিয়ে পরলো পূর্ণতার উপর। সে মা হয়ে নিজের ছেলের বিয়েতে যেতে পারবে না। আর এই পাগলী নাকি তার চোখের সামনে দিয়ে ঢেঙ ঢেঙ চলে যাবে? না এ কিছুতেই হতে পারে না। তাই সে দ্রুত পায়ে গেইটের দিকে রওনা দিল। আরেকটু দেরি হয়ে গেলে হয়তো ওরা চলেই যাবে। তন্ময়ের মা গেইটের কাছে এসে দেখলো ও গাড়ি এখনো ছাড়েনি। তবে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ছেড়ে দেবে পূর্ণতা যাবে তন্ময়ের গাড়িতে। তন্ময়ের পাশের সিটে। এটা দেখে তন্ময়ের মায়ের মাথায় রাগটা যেন আরো চেপে বসলো। এই সময় মাকে এভাবে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসতে দেখে তন্ময় ব্যস্ত হয়ে বললো,

——–“কোন সমস্যা হয়েছে আম্মু?”

——–“কেন? কোন সমস্যা ছাড়া আমি এখানে আসতে পারি না বুঝি? তুই আজ জীবনের একটা নতুন অধ্যায়ে পা দিতে যাচ্ছিস। যাওয়ার আগে আমি তোকে একটু আশীর্বাদ করবো না?”

——–“সেটা তো অবশ্যই করবে। কিন্তু তুমি এমন হন্তদন্ত হয়ে এদিকে আসছিলে দেখে মনে হলো কিছু একটা হয়েছে। তাই বললাম আরকি। কোন কিছু কি হয়েছে? Anything wrong?”

——-“না মানে তোকে একটা বলতে চাইছিলাম আরকি।”

——–“এতো আমতা আমতা করছো কেন? কি বলবে বলে ফেল।”

——–“তুই রাগ করবি না তো? তুই তো আবার আমার সব কথাই রাগ করিস।”

——–” রাগ করার মত কিছু না হলে আমি শুধু শুধু তোমার উপর রাগ করতে যাবো কেন?”

——-“আসলে বলছিলাম কি বিয়ে বাড়ি বলে কথা! বাড়িতে তো এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। আর সবাই তো তোদের সাথেই যাচ্ছে। আমি একা একা এতো কতো দিক সামলাবো বল? তাই বলছিলাম পূর্ণতা যদি তোদের সাথে না যায় আমার একটু উপকার হয় আরকি। আর তাছাড়া কালকে রাতে যে ঘটনা ঘটলো তার পর আমি ওকে তোদের সাথে পাঠিয়ে এক মূহুর্ত ও নিশ্চিত থাকতে পারবোনা। ওখানে গিয়ে তোরা তো সবাই নিজেদেরকে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়বি। ওর খেয়াল রাখার সময় কোথায়?”

তন্ময় বেশ বুঝতে পারছে তার মা ইনিয়ে বিনিয়ে পূর্ণতাকে তাদের সাথে যেতে না দেওয়ার প্লেন করছে। কিন্তু কেন?পূর্ণতার প্রতি তার এতো কিসের রাগ? পূর্ণতাকে কষ্ট পেলে দেখলে তার এতো কিসের আনন্দ? তন্ময় মায়ের দিকে তাকিয়ে শান্ত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
——–“বাড়িতে কাজের লোকের কি অভাব পড়েছে? পড়লে বলো। আমি এখনি ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।”

——–“এভাবে বলছিস কেন?”

——–“তো কিভাবে বলবো?”

———“আজকাল কাজের লোকদের দিয়ে কি আর সব কাজ করানো যায়? কখন কি চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়।”

———“তাই বলে তুমি…..

তন্ময়ের কথা শেষ না হওয়া আগেই পূর্ণতা বলে উঠলো,,, প্রিয় ভাইয়া তুমি বড় আম্মুর সাথে রাগ করো না। বড় আম্মু কষ্ট পায় তো। আর তো ঠিকই বলেছে। আমি যদি আবার হারিয়ে যাই‌। আজকে ও বাসায় অনেক মানুষ আসবে আমি না হয় আজকে নাই গেলাম। অন্যদিন যাবো। আর আমার না খুব বমি পাচ্ছে। বড় আম্মু যদি আমাকে যেতেও বলে তাও আমি আজকে যেতে পারবো না। পূর্ণতার কথাগুলোর প্রতিত্তরে তন্ময় বলার মতো কিছু খুঁজে পেল না। সে শুধু নির্বাক দৃষ্টি নিক্ষেপ করে পূর্ণতার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। মেয়েটা পাগল হলেও ভালোবাসার মর্মটা ঠিক বুঝে। পূর্ণতা জানে এখন যদি সে তন্ময়দের সাথে যেতে চায় তাহলে তন্ময় আর তার মায়ের মধ্যে খুব বড় একটা ঝামেলা বাঁধবে। আর তাতে তন্ময় কষ্ট পাবে। সে চায় না তন্ময় তার জন্য কখনো কষ্ট পাক।
#পূর্ণতা🖤
#part_12
#Writer_Megla (মেঘ)

তন্ময়দের বাড়িতে ফিরে আসতে আসতে রাত আটটার মতো বেজে গেল। বাসায় ফিরে নতুন বউকে ড্রয়িং রুমে বসানো হলো খানিকক্ষণ। এর মধ্যেই চললো পরিচয় পর্ব। তন্ময়দের সব আত্নীয়-স্বজনরাদের সাথে তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো শুধু পূর্ণতা বাদে। কারণ পূর্ণতা এখানে নেই। সে নিজের ঘরে বসে তার মায়ের ছবির সাথে কথা বলছে। সুখ দুঃখের কতো কথা মা মেয়ের! পূর্ণতাকে ড্রয়িং রুমে দেখতে না পেয়ে তন্ময় তার মায়ের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো,

——–“আম্মু? সবাই তো এখানেই আছে কিন্তু পূর্ণতা কোথায়? ওকে দেখতে পাচ্ছি না তো।”

——–“পূর্ণতা তো ওর ঘরে। শুয়ে আছে হয়তো। ডেকে দেব?”

——–“তোমাকে যেতে হবে না। তুমি বরং এখানেই থাকো। আমি গিয়ে ডেকে আনছি।”

——–“ভাইয়া তুমি থাকো আমি পূর্ণতাকে ডেকে নিয়ে আসছি।”তিথি বললো।

পূর্ণতা তিথির সাথে ড্রয়িং রুমের কাছাকাছি আসতেই তন্ময় তার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হেসে বললো,

——–“কি হয়েছে? আমার বনুটাকে এমন লাগছে কেন? আমার বনুটার কি মন খারাপ? ভাইয়া তাকে নিয়ে যাইনি বলে সে ভাইয়ার উপর খুব রাগ করেছে বুঝি?”

পূর্ণতা এতোক্ষণ সত্যিই খুব কষ্ট পাচ্ছিল। তার খুব ইচ্ছে ছিল তন্ময়দের সাথে যাওয়া কিন্তু সেটা তো আর হলো না। তবে তন্ময়ের কথা শুনে এক মূহূর্তের তার সব খারাপ লাগা যেন ভেনিস হয়ে গেল। সে মুচকি হেসে বললো,
———“আমি কি আমার প্রিয় ভাইয়ার উপর কখনো রাগ করতে পারি? আমার ভাইয়া তো বেস্ট ভাইয়া।”

——–“রাগ করেনি বুঝি? তাহলে তো আমি বেঁচে গেলাম। অবশ্য রাগ করলেও কোন সমস্যা ছিল না। কারণ আমি আজকে আমার বনুর জন্য এমন একটা গিফট আনছি যেটা দেখলে তার সব রাগ এক নিমিষেই ভেনিস হয়ে যেত।”

তন্ময়ের কথা শুনে পূর্ণতা উচ্ছ্বাসিত কন্ঠে বললো,
——–“গিফট! কি গিফট প্রিয় ভাইয়া? তাড়াতাড়ি দাও।”

——–“সেটা তো দেওয়া যাবে না বনু। দেখাতে হবে।”

পূর্ণতা বাচ্চাদের মত হতাশ গলায় করে বললো,
———“দেখাতে হবে?”

——–“হুঁ দেখাতে হবে।”

——–“তাহলে তাড়াতাড়ি দেখাও।”

তার পর তন্ময় মালিহার (তন্ময়ের বউ) দিকে ইশারা করে বললো,

———“এই দেখ আমার বনুর জন্য কতো মিষ্টি একটা ভাবি নিয়ে এসেছি। আমার বনুটা এবার খুশি হয়েছে তো?”

পূর্ণতা বাচ্চাদের মত উচ্ছ্বাসিত কন্ঠে বললো,
———“আমি খুব খুশি হয়েছি ভাইয়া। খুব খুব খুব খুশি।”

তার পর পূর্ণতা মালিহার পাশে বসতে বসতে বললো,
——–“তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে ভাবী।”

পূর্ণতার কথার প্রতিত্তরে মালিহা কিছুই বললো না। শুধু একটু লাজুক হাসি হেসে নিচের দিকে তাকিয়ে রইল। এমন সময় হঠাৎ করে পূর্ণতা বলে উঠলো,
——–“আচ্ছা? তুমি এতো সেজেছো কেন? তোমার কি আজকে বিয়ে ছিল? তাহলে তোমার বর কোথায়? তুমি বিয়ে না করে আমাদের বাড়িতে চলে এলে কেন? তোমার আম্মু-আব্বু তো তোমার জন্য টেনশন করবেন।”

পূর্ণতার এসব ছেলেমানুষি কথা শুনে সবাই ফিক করে হেসে দিল। সুভাষ হাসতে হাসতে বললো,,,
——–“আরে গাধা তোর প্রিয় ভাইয়াই তো তোর ভাবির বর।”

——–“প্রিয় ভাইয়া তোমার বর? তাহলে তো খুব ভালো হলো। তুমি এখন থেকে এই বাড়িতেই থাকবে। আমাদের সাথে। খুব মজা করবো আমরা।”

——–“শুধু তোমরাই মজা করবে। আমাকে নেবে না?”

হঠাৎ এমন কথা শুনে পেছন দিকে তাকালো সবাই।দেখলো হৃদয় দাঁড়িয়ে আছে। পূর্ণতা তাকে দেখে বাচ্চাদের মত উচ্ছ্বাসিত কন্ঠে বললো,

——–“তুমি তো ঐ ভালো ভাইয়াটা তাই না? আমাকে আদর করে দিয়েছিল সেদিন। তোমাকে নেবো না কেন? তোমাকে ও নিবো। আসো আসো।”

এভাবেই বেশ কিছুক্ষণ তাদের আলাপ আলোচনা। আলোচনার এক পর্যায়ে তন্ময়ের মা তূর্যর মায়ের দিকে তাকিয়ে বললো,
———“আমার তন্ময়ের বিয়ে তো হলো। এবার তূর্যর পালা। তা ওর বিয়ে কবে দিচ্ছেন আপা? বললে পাত্রী দেখতে পারি। পাত্রী কিন্তু হাতের কাছেই আছে।”

তূর্যর মা মুচকি হেসে বললো,
———“তার আর দরকার হবে না।”

কথাটা শুনে তন্ময়ের মা মনে মনে বেশ খুশি হলো। সে মনে মনে ভাবলো,,,,হয়তো তিথিকেই পছন্দ করেছেন আপা। তাহলে তো ভালোই হতো। আমাকে আর কষ্ট করে কথাটা বলতে হলো না। কিন্তু সে মুখে বললো,
———“কেন আপা? কাউকে পছন্দ করে রেখেছেন নাকি?”

——–“ওহ্ তোমাদের তো একটা সুখবর এখনো জানানোই হয়নি।”

তন্ময়ের মা অবাক হয়ে বললো,
———“কিসের সুখবর আপা?”

——-“তূর্যর বিয়ের ব্যাপারে। আসলে তূর্যর বিয়ে আরো ছয় মাস আগেই ঠিক হয়ে গেছে। ওর বান্ধবীর সাথে। ওদের angaigement ও হয়ে গিয়েছে। দুই মাস পরেই ওদের বিয়ে। angaigement এ তোমারা বলতে পারিনি বলে কিন্তু কিছু মনো করো না। আসলে খুব তাড়াহুড়ার মধ্যে সব হয়েছে তো। কিন্তু বিয়ে তো এখনো বাকি। ভেবেছি সব আত্নীয়-স্বজনরাদের নিয়ে ধুমধাম করে ছেলের বিয়ে দিব। আফটার অল একমাত্র ছেলে বলে কথা।”

তূর্যর মায়ের কথাগুলো শুনে তন্ময়ের মায়ের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। সে মনে মনে ভাবলো,,,,তূর্যর বিয়ে ঠিক হয়ে আছে? সে আরো ভেবেছিল তিথির সাথে তূর্যর বিয়ে হবে। সেই জন্যেই এতো কষ্ট করে ভাঙা সম্পর্কটা আবার জোড়া লাগালো সে কিন্তু হায় পোড়া কপাল! কথায় আছে,,,,,
“কপালে না থাকলে গি…..
টক টকাইলে হবে কি?”

নিজের দু্ঃখ দুর্দশাকে। বুকে চেপে রেখে সে এবার তিথির দিকে তাকালো। তার মেয়েটা নিশ্চয়ই খুব কষ্ট পাচ্ছে। কারণ সে তো মনে মনে তূর্যকে ভালোবেসে ফেলেছে। কিন্তু তিথির দিকে তাকিয়ে সে দেখলো তিথি নির্বিকার। তাকে দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে সে আগে থেকেই সবটা জানে। তার মা মনে মনে ভাবলো,,, তিথি যদি আগে থেকেই সব জানে তাহলে তাকে বললো না কেন?

তার পর সে তিথির দিকে তাকিয়ে বললো,,,,অনেক রাত হয়েছে। এই তিথি যা বৌমাকে এবার ওদের রুমে দিয়ে আয়।

🍁
সারাদিন ধরে জার্নি কারার পর তূর্যর খুব টায়ার্ড লাগছে। মনে হচ্ছে এই মূহুর্তে একটা শাওয়ার নিতে পারলে ভালো হতো। যেই ভাবা সেই কাজ। তূর্য একটা থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট আর তার টাওয়ালটা নিয়ে ওয়াশ রুমে চলে গেল। প্রায় মিনিট দশেক পর সে মুছতে মুছতে ওয়াশ রুম থেকে বেরিয়ে এলো। তাকে এই মুহূর্তে একদম দেবদূতের সুদ্ধ মতো লাগছে। আর তিথি সম্মোহিত হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ দরজা খোলার শব্দে তূর্য সামনের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে বললো,

———“তিথি! তুমি এখন এখানে?”

——–“কেন আস্তে পারি না বুঝি?”

——–“তা বলেছি নাকি? কিন্তু এতো রাতে?”

——–“পূর্ণতা তো প্রায়ই আসে।”

——–“পূর্ণতা আর তুমি এক নও তিথি। কেউ দেখে ফেললে খারাপ ভাববে।”

———“যে যাই ভাবুক তাতে আমার কি? আমি এখন এখানেই থাকবো। ব্যস।”

——–“শুধু শুধু এসব পাগলামী কেন করছো তিথি?”

——–“কারণ আমি আপনাকে ভালোবাসি।”

——–“What?”

——–“Yes….I love you.
আমি আপনাকে ভালোবাসি। এতোটাই বেশি ভালোবাসি যেটা এর আগে কোন প্রেমিকা তার প্রেমিককে বাসেনি।”

——–“আমার angaigement হয়ে গেছে তিথি।”

——–“angaigement হয়ে গেছে তাতে কি? বিয়ে তো আর হয়ে যায়নি। আমরা চাইলেই এখনো একেঅপরের হতে পারি।”

——–“তুমি পাগল হয়ে গেছ তিথি।”

———“হ্যাঁ আমি পাগল হয়ে গেছি‌। আপনার জন্য পাগল হয়ে গেছি। I just need you…
আর কিচ্ছু চাই না আমি। আর কিচ্ছু না।”

———“অনেক রাত হয়েছে তুমি এখন তোমার রুমে যাও তিথি‌। আমি ঘুমাবো।”

——–“না আমি যাবো না।”

——–“তুমি যদি না যাও তাহলে এই মুহূর্তে আমি এখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হবো। তুমি নিশ্চয়ই সেটা চাও না?”

তিথি আর এক মূহুর্ত তূর্যর রুমে না দাঁড়িয়ে সেখান থেকে দৌড়ে চলে গেল। কারণ সেও চায় না তূর্য তার জন্য বাড়ি ছেড়ে চলে যাক। এমনিতেই পরশু দিন ওরা চলে যাবে। তার পর তূর্যর সাথে তার আবার কবে দূখা হবে কে জানে? আদৌও দেখা হবে কিনা তাও জানা নেই। তাই আর দিন যদি তূর্য ওর চোখের সামনে থাকে সেটাই তিথির জন্য অনেক। তিথি চলে যেতেই তূর্য মনে মনে ভাবলো,,,,আজ কি একটা বাজে পরিস্থিতির মুখোমুখিই না পড়তে হলো তাকে। সে তো এই কথাটা তন্ময়কেও বলতে পারবে। তাতে তন্ময় অযথাই তিথিকে বকাঝকা করবে। তার জন্য কেউ কষ্ট পাক এটা তূর্য চায় না। তার থেকে যত দ্রুত সম্ভব এখান থেকে চলে যেতে পারলে ভালো।

#চলবে….

(আগের পর্বটা ছোট হয়েছিল তাই সারা রাত জেগে আরেকটা পর্ব লিখলাম। এবার আপনারা খুশি হয়েছেন তো?)
#চলবে….

(সরি আজকে এইটুকুই লিখতে পারছি)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here