পূর্ণতা পর্ব ১৮+১৯+শেষ

#পূর্ণতা🖤
#Part_18+19
#Writer_Megla(মেঘ)

পূর্ণতা রুম থেকে চলে যেতেই তার চাচীর ঠোঁটে একটা রহস্যময়ী হাসির রেখা ফুটে উঠল। অবশেষে কাজটা হতে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে ভালোবাসা দিয়ে এমন কিছু হয় যা হাজার ধমকাধমকিতেও হয় না। আর ভালোবাসা মানেই তো বিশ্বাস।এই মূহুর্তে পূর্ণতার বিশ্বাস অর্জন করাটা তার খুব দরকার ছিল। আর তার জন্যই ভালো হওয়ার নাটক করতে হলো তাকে। সে মনে মনে ভাবছে, আর মাত্র তো একটা রাত সহ্য করতে হবে এই আপদটাকে‌। তার পর আপদটা চিরতরে বিদেয় হবে এই বাড়ি থেকে।

আজ পূর্ণতা যেটাকে ভালোবাসা ভেবে আনন্দে আহ্লদিত হচ্ছে সেটা শুধুই একটা সাজানো নাটক মাত্র। আর যেই শব্দটাকে ‘মুক্তি’ ভাবছে। সেটা তার জন্য পাতানো ছাদ। তবে কি পূর্ণতা কখনোই সত্যিকারের মুক্তির স্বাদ অনুভব করতে পারবে না? কখনোই প্রাণখুলে হাসতে পারবে না? এভাবে কি একরাশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েই কেটে যাবে তার গোটা জীবন? আর কেই বা তাকে রক্ষা করবে তার চাচীর এই পাতানো ফাঁদ থেকে?

🍁
সকাল মানেই একটা নতুন দিনের সূচনা। একটা নতুন অধ্যায়ের সূচনা। পূর্ণতার জীবনেও হয়তো আজ সূচিত হতে যাচ্ছে নতুন কোন অধ্যায়!
ঘুম ভেঙে পূর্ণতা ধড়ফড়িয়ে বিছানায় উঠে বসে‌। তার জীবনে কিছু একটা পরিবর্তন ঘটতে চলেছে সেটা পূর্ণতা খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে কিন্তু সেই পরিবর্তনটা কি? সেটাই বুঝতে পারছে না সে। পূর্ণতার ভাবনার মাঝেই তিথি বলে উঠলো,
————“এই পূর্ণতা শোন। আজকে ন আমার আটটা থেকে একটা ক্লাস আছে। আমাকে এক্ষুনি বেরুতে হবে। আমি আজকে তোকে সাথে করে নিয়ে যেতে পারবো না। তুই আজকের দিনটা একটু কলেজে একাই চলে যেতে পারবি না?”

তিথির কথা শুনে পূর্ণতা একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো। কারণ তার চাচী আজ তাকে কলেজে যেতে মানা করছে। আর বলছে যেন তন্ময়কে সে এই কথা না বলে। তিথিকে এই কথা বললে তিথি নির্ঘাত তন্ময়কে বলে দিতো। আর এই নিয়ে তন্ময় তার মায়ের সাথে আবার একটা অশান্তি করতো। তাই পূর্ণতা কথাটা এখনো তিথিকে বলেনি। ভালোই হয়েছে তিথি আজকে ক্লাস আছে। পূর্ণতাকে চুপ করে বসে থাকতে দেখে তিথি বললো,
—————-“কি রে পারবি না একা যেতে? নাকি ভাইয়াকে বলবো তোকে একটু পৌঁছে দিতে?”

পূর্ণতা হাসার চেষ্টা করে বললো,
—————“তুমি চিন্তা করো না তিথি আপু আমি একাই যেতে পারবে।”

—————” তাহলে আমি এখন যাই। তুই সাবধানে যাস কিন্তু।”

—————“আচ্ছা।”

তিথি আর দেরি না করে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়লো।আজ তন্ময়ের অফিসে একটা ইম্পর্ট্যান্ট মিটিং ছিল তাই সেও সকাল সকাল অফিসে চলে গেছে। পূর্ণতা মনে মনে ভাবছে, তার বড় আম্মু কেন তাকে আজকে কলজে যেতে মানা করলো? এর কারণ কি হতে পারে?পূর্ণতা দ্রুত বিছানা থেকে নেমে তার রান্নার ঘরের দিকে পা বাড়ালো। হঠাৎ পূর্ণতাকে রান্না ঘরে আসতে দেখে তার বড় আম্মু তাকে জিজ্ঞেস করলো,
—————“কি যে তুই এখানে? আমি তো তোকে ডাকিনি। ক্ষুধা পেয়েছে? দাঁড়া আমি তোকে খাবার বেড়ে দিচ্ছি।”

বলেই পূর্ণতার বড় আম্মু তাকে খাবার বেড়ে দিতে উদ্যত হলো। পূর্ণতা তাকে বাধা দিয়ে বললো,
—————–“আমার ক্ষুধা পায়নি বড় আম্মু। আসলে আমি তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করতে এসেছিলাম।”

——————“কি কথা?”

——————” তুমি আজকে আমাকে কলেজে যেতে মানা করলে কেন? আর ভাইয়াকেই বা সেই কথা বলতে মানা করলে কেন? তুমি কি চাও না আমি আবার লেখাপড়া করি? তাহলে বলো। আমি ভাইয়াকে বলে দিবো আমি আর পড়ালেখা করতে চাই না।”

——————“আমি কখন বললাম যে, আমি চাই না তুই আবার লেখাপড়া কর? আমি তো চাই তুই লেখাপড়া কর। লেখাপড়া করে নিজের পায়ে দাঁড়া। কিন্তু তুই তো পুরোপুরি সুস্থ নোস। তাই তোর সবসময় একজনের সাপোর্ট দরকার। যে সবসময় তোর পাশে থাকবে। সব বিপদ আপদ থেকে তোকে রক্ষা করবে। অনেক তোর খেয়াল রাখবে। আর তোকে অনেক ভালোবাসবে। আর তন্ময় তো তোকে আগের মতো এখন ওতো সময় দিতে পারবে না। ওর বিয়ে-শাদি হয়ে গেছে আর চাকরিও তো আছে। তাই তোর জন্য একটা একজন সাপোর্টারের ব্যবস্থা করছি। ভাবিস না, তোর যাতে মঙ্গল হয় আমি তাই করবো।”

🍁
————–“আম্মুউউউ আম্মুউউউউউ।”

হঠাৎ করে ছেলের এমন চিৎকার শুনে থেকে তাড়াতাড়ি নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে এলো তন্ময়ের মা। এই সময় হঠাৎ তন্ময়কে বাড়ি ফিরে আসতে দেখে সে খুব ভয় পেয়ে গেল। সে মনে মনে ভাবলো,তাহলে কি তন্ময় তার সব প্ল্যান জানতে পেরে গেছে? এখন কি হবে। তন্ময়ের মা নিজেকে যথেষ্ট স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে বললো,
————–“তুই, এই সময় বাড়িতে? তোর চোখ-মুখ এমন দেখাচ্ছে কেন? অফিসে কোন সমস্যা হয়নি তো বাবা? বল না আমি খুব চিন্তা হচ্ছে।”

তন্ময় মায়ের কথাকে পাত্তা না দিয়ে চিৎকার করে বললো,
————–“হাউ ডেয়ার ইউ? তুমি কি মনে করো, তুমি যা চাইবে সবসময় তাই হবে? এতো দিন ধরে পূর্ণতার উপর তোমার অনেক অন্যায় অত্যাচার দেখেও আমি কিছুই বলিনি। আমি চুপ ছিলাম। কেন জানো? কারণ তুমি আমার জন্মদাত্রী মা। আমি ভেবেছিলাম তুমি একদিন ঠিক শুধরে যাবে কিন্তু তুমি তো শুধরোবার মানুষ না। তাই আজকের পর থেকে আমি তোমাকে সেই সুযোগ আর দেব না। আজকের পর থেকে আর কোন দিন আমি যদি তোমাকে পূর্ণতার সাথে আর কোন অন্যায় করতে দেখি, আমি ভুলে যাবো তুমি আমার মা।”

তন্ময়ের কথা শুনে তার মা কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বললো,
————–“এসব কি বলছিস তুই? আমি কি করেছি পূর্ণতার সাথে?”

—————“অযথা মিথ্যা নাটক করবা না। এসব আমার একদম পছন্দ না আম্মু। তুমি জানো না তুমি কি করছো?

————–“না জানি না। তুই বল আমি কি করছি?”

————–“তুমি কোন সাহসে তোমার ওই বখাটে ভাইপোর সাথে আমার বোনের বিয়ে দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছো? কি হলো? চুপ করে আছো কেন? অ্যান্সার মি। শোন আম্মু, আমি বেঁচে থাকতে তোমার এই ইচ্ছাটা আর কখনো পূরণ হবে না। আমি কখনোই তোমার ওই বখাটে ভাইপোর সাথে আমার বোনের বিয়ে হয়ে দেব না। কথাটা ভালো করে মাথায় ঢুকিয়ে নিও ।”

—————–“তোর বোন কি এতোটাই অবলা? যে আমি করতে বলবো সে তাই করবে? এই বিয়েতে পূর্ণতার মত আছে বলেই বিয়েটা হচ্ছে।”

তন্ময় বিদ্রুপের স্বরে বললো,
—————-“হাসালে আম্মু। পূর্ণতার আবার ইচ্ছা অনিচ্ছা। তোমার কাছে ওর মতামতের গুরুত্ব কোন কালে ছিল যে আজ হঠাৎ ওর মতামতকে এতো গুরুত্ব দিচ্ছো? যাই হোক শুধু একটা কথা শুনে রাখ, পূর্ণতা কিছু হলে কিন্তু আমি তোমাকে ছাড়বো না। একদম জানে মেরে ফেলবো।”

কথাটা বলেই তন্ময় গটগট করে পূর্ণতার রুমের দিকে চলে গেল। সেখানে গিয়ে দেখলো পূর্ণতা লাল টুকটুকে শাড়ি বধূ বেশে বসে আছে। দেখেই তন্ময়ের মাথায় আগুন ধরে গেল। সে চিৎকার করে বলে উঠলো,
————–“এসব কি পড়েছিস তুই?”

হঠাৎ এমন চিৎকার শুনে পূর্ণতা ভয় পেয়ে গেল। সে ভয়ে ভয়ে পেছনেই দিকে তাকিয়ে দেখলো তার পেছনে অগ্নিমূর্তি ধারণ করে তন্ময় দাঁড়িয়ে আছে। পূর্ণতা তন্ময়ের দিকে তাকিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,
—————-“ক কি হয়েছে ভাইয়া? তুমি এতো রেগে আছো কেন?”

—————–“তুই এসব কি সেজেছিস? আর কার কথায় সেজেছিস? তাড়াতাড়ি এসব পোশাক খুল”

—————-“না আমি খুলবো না। আমি হৃদয় ভাইয়াকে ভালোবাসি। আমি উনাকে বিয়ে করবো।”

—————–“কে তোকে এসব কথা শিখিয়ে দিয়েছে বলতো? আম্মু তাই?”

—————–“কেউ শিখিয়ে দেয়নি। আমি সত্যিই হৃদয় ভাইয়াকে ভালোবাসি।”

——————“তুই আমার কথা শুনবি না তো? আমি বলছি এসব খোল।”

———————” না আমি খুলবো না।”

কথাটা বলতেই সজোরে একটা থাপ্পড় পড়লো পূর্ণতার গালে। পূর্ণতা অবাক হয়ে তন্ময়ের দিকে তাকিয়ে আছে। জীবনে এই প্রথম তন্ময় পূর্ণতার সাথে এমন আচরন করলো। এই প্রথম পূর্ণতাকে তুই তুকারি করেন কথা বললো। এই প্রথম তন্ময় পূর্ণতার গাঁয়ে হাত তুলল। পূর্ণতা আজ খুব কষ্ট হচ্ছে। জীবনে এর থেকেও বেশি আঘাত সে সহ্য করেছে কিন্তু কোন দিন তার এতো কষ্ট হয় নি। তার যেন বিশ্বাস ই হচ্ছে না যে, তন্ময় ও কোন দিন তার গায়ে হাত তুলতে পারে। পূর্ণতা এবার চোখ নামিয়ে অসহায় দৃষ্টিতে নিচের দিকে তাকিয়ে রইল। পূর্ণতার সেই অসহায় দৃষ্টি দেখে তন্ময়ের খুব কষ্ট হচ্ছে। যে হাত দিয়ে সে পূর্ণতার গাঁয়ে হাত তুলেছে সেই হাতটাই কেটে ফেলতে ইচ্ছে করছে। সে পাশের দেয়ালে একটা পাঞ্জ করে দ্রুত বেগে রুম থেকে বেরিয়ে গেল। সে জানে, পূর্ণতাকে এসব কথা তার মাই শিখিয়ে দিয়েছে। তার মায়ের ভয়েই মুখ খুলছে না। তন্ময় মনে মনে ভাবলো, এবার তোমাকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার সময় এসেছে মা। আজ তোমাকে তোমার জায়গায় পাঠাবো।

তন্ময় রাস্তা দিয়ে হাঁটছে আর ভাবছে কি করা যায়। পূর্ণতা যদি রাজী থাকে তবে বিয়েটা হবেই আমাকে অন্য কিছু ভাবতে হবে। কি করা যায়? কি করা যায়?
তূর্যকে বরং একটা ফোন দেই। এই ভেবে তন্ময় পকেট বোনটার বের করে তূর্যকে একটা কল দিলো। ওপাশ থেকে তূর্য ফোনটা রিসিভ করতেই তন্ময় বলে উঠলো,

——————-“হ্যালো, তূর্য আমার কথা শুনতে পাচ্ছিস?”

——————-“হ্যাঁ শুনতে পাচ্ছি। বল হঠাৎ কি জন্য ফোন করেছিস?”

——————-“আজ পূর্ণতার বিয়ে।”

তূর্য অবাক হয়ে বললো,
——————“মানে?”

——————“আম্মু আব্বু হৃদয়ের সাথে পূর্ণতার বিয়ে দিতে চাইছে।”

—————–“হৃদয়?তোমার মামাতো ভাই? কিন্তু ঐ ছেলেটা তো মোটেও ভালো না। ড্রাগ অ্যাডিক্টেড প্লাস মেয়েদের প্রতি ও ওর নেশা আছে।”

—————-“আমি জানি। প্লীজ তূর্য আমার বোনটাকে তুই হৃদয়ের হাত থেকে বাঁচা। প্লীজ সেইভ হার।”

————–“আমি কি কিভাবে পূর্ণতাকে বাঁচাবো। আমার হাতে কি আদৌও কিছু আছে? আর কিছু দিন পর রিশার সাথে আমার বিয়ে।”

#চলবে…….

#পূর্ণতা🖤
#Part_19(Last part)
#Writer_Megla(মেঘ)

—————-” মামী? এটা কোন ধরনের ষড়যন্ত্র বলতো? এখনো বাসরই করতে পারলাম না তার আগেই তুমি আমার বউটাকে অন্য আরেক জনের সাথে বিয়ে দিয়ে আমাকে অকালে বিধবা থুক্কু বিপত্নীক বানাতে চাইছো। দিস ইজ নট ফেয়ার।”

হঠাৎ এমন কথা শুনে ঘর সুদ্ধ সবাই তাদের দৃষ্টি ফিরিয়ে পেছনের দিকে তাকালো। দেখলো ড্রয়িং রুমের দরজার কাছে হাসি হাসি মুখ নিয়ে তূর্য দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ তূর্যকে দেখে তার মামী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
——————–“তূর্য বাবা তুমি এখানে?”

তূর্য বাচ্চাদের মত ঠোঁট উল্টে দুঃখী দুঃখী গলায় বললো,
—————–“আমার একমাত্র বাউটার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। আর আমি আসবো না? তা কি কখনো হয়?”

——————“এসব কি বলছো তুমি? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।”

——————“আরে এতো চিন্তা করছো কেন? আমি আছি তো। আমি তোমাকে সব বুঝিয়ে দেব। তার আগে তোমাকে একটু সেলাম করে নিতে দাও দেখি। বিয়ের সময় তো তোমাকে সেলাম করে যেতে পারিনি। তুমি কিন্তু আবার বরদোয়া দিও না।”

কথাটা বলেই তূর্য নিচু হয়ে তার মামীর পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলো কিন্তু তার মামীর সেদিকে কোন খেয়ালই নেই। সে হতবুদ্ধি হয়ে শুধু তূর্যর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। মামীর অবস্থা দেখে তূর্যর খুব হাসি পাচ্ছে কিন্তু এই সিরিয়াস মোমেন্টে তার হাসাটা একদম ঠিক হবে। তূর্য তার মামীর দিকে তাকিয়ে আবারো দুঃখী দুঃখী গলায় বললো,
——————–“কি হলো মামী? এভাবে তাকিয়ে আছো কেন? কতো কষ্ট করে সেলাম করলাম। তুমি দোয়া করবা না? নাকি আমাকে জামাই হিসাবে তোমার পছন্দ হয় নাই?”

তূর্যর মামী এখনো কিছু বলছে না। সে আগের মতোই হতবুদ্ধি হয়ে তূর্যর দিকে তাকিয়ে আছে। পেছন থেকে তূর্যর মামা বলে উঠলো,
———————“তূর্য? তুমি এসব কি বলছো আমরা কিন্তু কেউই কিছু বুঝতে পারছি না।”

মামার কথা শুনে তূর্য স্পষ্ট গলায় বললো,
——————–“তোমার এখানে যে মেয়েটার বিয়ে দিচ্ছো। মানে পূর্ণতা। সি ইজ মাই ওয়াইফ।”

তূর্যর মামা অবাক হয়ে বললো,
——————“এসব কি বলছো তুমি ?পূর্ণতা তোমার বউ মানে?”
তূর্য হাসি হাসি মুখ করে বললো,
——————” মানেটা খুবই সিমপল মামা। গত কাল রাতে পূর্ণতার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে। বিশ্বাস না হলে প্রমাণ ও দেখাতে পারি। এই তন্ময় কাবিননামার কাগজটা সবাইকে দেখা তো। নয়তো মামা-মামী বিশ্বাসই করবে না যে, এখন আমি তাদের একমাত্র ভাতিজির একমাত্র জামাই হয়ে গেছি।”

তূর্যর কথায় তন্ময় কাবিননামার কাগজটা তার মায়ের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,
——————“এই নাও আম্মু। সবার আগে তুমিই বরং দেখ। হাজার হলেও তো এতো দিন ধরে পূর্ণতাকে তুমিই লালন পালন করছো। তাই না?”

তন্ময়ের মা তন্ময়ের হাত থেকে কোন রকম কাগজটা নিলো। কাগজটা দেখে তো তার চোখ একদম চড়কগাছ। সত্যি সত্যিই কাল পূর্ণতার সাথে তূর্যর বিয়ে হয়েছে কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব? সে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তন্ময়ের দিকে তাকাতেই তন্ময় মুচকি হেসে বললো,

———————-“আম্মু তুমি হয়তো মনে নাই আমি যে, তোমার ছেলে। তাই জিনগত কারণে তোমার মতো দূরবুদ্ধি খানিকটা আমার মাথায় ও আছে। খানিকটা কেন? বরং তোমার থেকে একটু বেশিই আছে। তুমি চলো ডালে ডালে আর আমি চলি পাতায় পাতায়। তুমি আমাকে লুকিয়ে জোর করে পূর্ণতার বিয়ে দিতে চাইছিলে তাই না? তাই তোমার চালেই আমি তোমাকে বাজিমাত করলাম। একদিকে তোমাকে বললাম আমি এই বিয়েতে রাজি। কিন্তু আমার একদিন সময় লাগবে।
এভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে তো আর আমি আমার বোনের বিয়ে দিতে পারি না। অন্ততঃ কাছের কিছু আত্নীয়-স্বজনকে তো বলতেই হবে। তাই বলছি কালকেই না হয় ওদের বিয়েটা হোক। কথা দিচ্ছি আমি আর কোন বাধা দিবো না। আর তুমি সরল মনে আমার সব কথা বিশ্বাস ও করে নিলে। আর আমি এই সুযোগে নিয়ে তূর্য আর পূর্ণতার বিয়ের বন্দোবস্তটা করে ফেললাম। আর নাটকীয় ভাবে ওদের বিয়েটা ও হয়ে গেল। এখন নিশ্চয়ই ভাবছো, বিয়েটা কখন হলো? সেটাও বলে দিচ্ছি। ওদের বিয়েটা আমাদের বাড়িতেই হয়েছে। আর ওদের বিয়েটা কে পড়িয়েছেন জানো? তোমার হায়ার করা কাজী সাহেবই।”

তন্ময়ের কথা শুনে তন্ময়ের মা উত্তেজিত কন্ঠে বললো,
————————“এসব কি বলছিস তুই?”

———————–” আরে আম্মু এইটুকুতেই তোমার এই অবস্থা? ক্লাইম্যাক্স সিন তো এখনো শুরুই হয়নি।”

————————“মানে?”

তন্ময় তার মায়ের দিকে আরো একটা ফাইল এগিয়ে দিয়ে বললো,
———————-“এই ফাইলটা দেখ সব বুঝতে পারবে।”

———————–“এই ফাইলে কি আছে?”

———————–“তোমাদের এতো বছরের সব কৃর্তী কলাপ এই ফাইলে সুন্দর করে লিপিবদ্ধ আছে। এতো বছর ধরে পূর্ণতার সাথে তোমরা অনেক অন্যায় করছো। ওকে সুস্থ করার বদলে ওকে এমন ঔষধ খায়িছো যাতে ও আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। জোর পাগলা গারদে বন্দি করে রেখেছো। কথায় কথায় ওর গায়ে হাত তুলেছো। তবুও দিনের পর দিন এসব অন্যায় অত্যাচার দেখেও আমি তোমাদেরকে কিছুই বলতে পারিনি। কারণ আমি জানতাম, তুমি যে ধরনের মহিলা তাতে আমি তোমার বিপক্ষে চলে গেলে তুমি পূর্ণতার জীবনটা শেষ করে দিতেও তুমি দুই বার ভাববে না। কিন্তু কিছু দিন জানতে পারলাম তোমরা আর যাই করো পূর্ণতাকে কোন দিন প্রাণে মারতে পারবে না। তাহলে তো এই বিশাল সাম্রাজ্য তোমাদের হাত ছাড়া হয়ে যাবে। সব চলে যাবে এতিমখানার ফান্ডে। সে যাই হোক আমি তোমাদেরকে শুধরবার অনেক সুযোগ দিয়েছিলাম কিন্তু তোমরা তো শুধরবার মানুষ না। তাই এবার তোমাদের উচিত শিক্ষা পাওয়ার সময় হয়েছে।”

তন্ময়ের মা কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,
—————–” মা মানে?”

তন্ময় তার মায়ের কথাকে পাত্তা না দিয়ে গলা উঁচিয়ে ডাকলো,
——————“অফিসার আপনারা এবার ভেতরে আসুন। এদেরকে এখান থেকে নিয়ে যান।”

তন্ময়ের কথা শুনে কয়েক জন পুলিশ ভেতরে ঢুকলো। তন্ময় তাদের দিকে তাকিয়ে তার বাবা-মাকে দেখিয়ে বললো,
——————-“এদেরকে এখান থেকে নিয়ে যান।”

এসব কান্ড দেখে হৃদয় হঠাৎ বলে উঠলো,
——————-“ফুপু এসব কি হচ্ছে এখানে? বাড়িতে ডেকে এনে আমাকে এভাবে অপমান করার মানে কি? আজ যদি পূর্ণতার সঙ্গে আমার বিয়েটা না হয় আমি কিন্তু তোমাদের কাউকে ছাড়বো না।”

——————-“সেদিন রাতে এতো মার খাওয়ার পরও তোর কোন শিক্ষা হয়নি দেখছি। নাচতে নাচতে আবার পূর্ণতাকে বিয়ে করতে চলে এসেছিস। সত্যিই তোর বুকের পাটা আছে বলতে হবে কিন্তু ভাই এসব পাটা দিয়ে তো এখন কিছু হবে না। বেশি কথা বলবি একেবারে জানে মেরে দেব। এক্ষুনি এই বাড়ি থেকে বের হয়ে যা। তা না হলে তোর খবর খারাপ করে ছাড়াবো।”

তন্ময়ের কথা শুনে হৃদয় খুব ভয় পেয়ে গেল। সে মনে মনে ভাবলো,তার মানে তন্ময় ই সেদিন তাকে ওভাবে মেরেছিল? কিন্তু কেন? সামান্য পূর্ণতার দিকে বাজে নজরে তাকিয়েছিল বলেই তার ওই অবস্থা করেছিলে তন্ময়। হৃদয় একবার ভয়ে ভয়ে তন্ময়ের দিকে তাকিয়ে সোজা বাইরের দিকে হাটা দিল। তার পেছনে পেছনে হৃদয়ের বাবা-মাও।

সব আত্নীয়-স্বজন চলে যাওয়ার পর তূর্য বললো,
—————“এবার মনে হয় আমাদের ও যাওয়া উচিত। অনেকটা পথ যেতে হবে। বেশি রাত হয়ে গেলে আবার সমস্যা।”

কথাটা শুনে তন্ময় চোখ ফিরিয়ে তূর্যদের দিকে তাকালো। দেখলো তূর্য আর পূর্ণতা একসাথে দাঁড়িয়ে আছে। ওদেরকে একসাথে খুব মানিয়েছে। আজ তন্ময়ের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন। কারণ শেষ পর্যন্ত তার বোনটা একজন সঠিক জীবন সঙ্গী পেয়েছে। তন্ময় জানে তূর্য পূর্ণতাকে খুব ভালো রাখবে। তন্ময় পূর্ণতার গালে হাত দিয়ে করুন গলায় বললো,
—————“তোমার খুব কষ্ট হয়েছিল তাই না?”

পূর্ণতা কথা বলছে না। মাথা নিচু করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। তন্ময় আবার বললো,
—————-“কি হলো? কথা বলছো না কেন? প্রিয় ভাইয়ার উপর রাগ করেছো বুঝি? এই দেখ আমি কান ধরছি। এবারতো আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমার কিন্তু খুব কষ্ট হচ্ছে।”(কানে হাত দিয়ে)

তন্ময়ের মুখের অবস্থা দেখে পূর্ণতাও খুব কষ্ট হচ্ছে। কারণ তার প্রিয় ভাইয়া কষ্ট পেলে তো সেও কষ্ট পায়। পূর্ণতা বাচ্চাদের মত করে বললো,
————–” তোমাকে আর কষ্ট পেতে হবে না প্রিয় ভাইয়া। আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছি।”

কথাটা শুনে এক নিমিষেই তন্ময়ের মুখটা আগের মতো একদম হাসি হাসি হয়ে গেল। সে এক হাতে পূর্ণতাকে জড়িয়ে ধরে তার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললো,
—————” ভালো থেকো বনু।
তার পর তন্ময় তূর্যর দিকে তাকিয়ে বললো,,,,,
Thank you Turjo. Thank you so much.
আজকে তোমার জন্য পূর্ণতা একটা নতুন জীবন পেল। ওকে একটু দেখে রাখিস।”

তন্ময়ের কথায় তূর্য তন্ময়ের দিকে তাকিয়ে বললো,
—————–” তুই ভাবছিস আমি শুধু মাত্র তোর কথায় পূর্ণতাকে বাঁচাতে এসেছি। কিন্তু না। পূর্ণতার জন্য সবসময় আমার অন্য রকম একটা টান কাজ করে। হয়তো সেই কারণেই মাঝ রাতে পূর্ণতাকে বাঁচাতে ওভাবে ছুটে এসেছিলাম। আমি এখনো জানি না যে, আমি পূর্ণতাকে ভালোবাসি কি না কিন্তু আমি কথা দিচ্ছি আমি ওকে ভালো রাখবো। জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপে ওর পাশে থাকাবো।আজ থেকে পূর্ণতার ঠোঁটের ব্যালকনির ওই মুচকি হাসিটুকু রক্ষা করার দায়িত্ব আমার।আমি বেঁচে থাকতে আর কখনো ওর চোখ দিয়ে একফোঁটা পানিও কোন দিন ঝরতে দেব না।”

🍁
তূর্যদের অ্যাপার্টমেন্টের সামনে দাঁড়িয়ে আছে পূর্ণতা আর তূর্য পূর্ণতাকে দেখে বোঝা যাচ্ছে সে খুব ভয় পাচ্ছে। তূর্য একবার পূর্ণতার দিকে তাকিয়ে তাকে আস্বস্ত করে বললো,
———————-“এতো ভয় পাচ্ছো কেন? আমি আছি তো।”

কথাটা বলেই বাসার কলিং বেলটা টিপলো তূর্য। আর বের টিপার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে দরজাটা খুলে গেল। যেন কেউ দরজা খোলার জন্যই অপেক্ষা করছিলো। তূর্য সামনে তাকিয়ে দেখলো তার মা দরজা খুলেছে। তূর্যর মা হঠাৎ পূর্ণতাকে দেখে অবাক হয়ে গেল। সে তূর্যর দিকে তাকিয়ে বললো,
———————“তুই পূর্ণতাকে কোথা থেকে নিয়ে এলি তূর্য?”

তূর্য ভেতরে আসতে আসতে বললো,
———————“কোথা থেকে আবার? তোমার বাপের বাড়ি থেকে।”

———————“তোর মামী ওকে আনতে দিলো?”

———————“আনতে দেবে না কেন? আমার বিয়ে করা বউকে আমি আনবো না তো কে আনবে?”

——————–“মানে? এসব কি বলছিস তুই?”

——————-“যা সত্য তাই বলছি। পূর্ণতার সাথে আমার বিয়ে হয়ে গেছে। এখন থেকে পূর্ণতা আমার স্ত্রী।”

তূর্যর বাবা ড্রয়িং রুমেই ছিল। সে পাশের সোফায় বসে বসে পত্রিকা পড়ছিল। তূর্যদের কথা শুনে এতোক্ষণে সে তূর্যর মায়ের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। সে তূর্যর দিকে তাকিয়ে বললো,
——————–“এসব কি বলছো তুমি? পূর্ণতা তোমার স্ত্রী মানে? রিশার সাথে তোমার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। আর মাত্র একমাস পর তোমাদের বিয়ে। এই মূহুর্তে তুমি অন্য একটা মেয়েকে বিয়ে করে এনে বলছো সে তোমার স্ত্রী। তুমি রিশার কথাটা একবারও ভাবলে না? এখন রিশার বাবাকে কি জবাব দেব আমি। রিশাকেই বা কি বলল।”

——————“রিশাকে নিয়ে তোমার চিন্তা করতে হবে না বাবা। আমি ওকে খুব ভালো করে চিনি। ওকে ব্যাপারটা বুঝিয়ে বললে ও ঠিক বুঝতে পারবে।”

তূর্যর কথা শুনে ওর বাবা ঝাঁঝালো কন্ঠে বলল,
————–“সে তুমি রিশাকে যাই বলো এই পাগলটাকে আমি আমার ছেলের বউ হিসাবে কোন দিন মেনে নিতে পারবো না।”

—————“বাবা তুমি ভুল করেছো….

তূর্যকে মাঝ পথে থামিয়ে দিয়ে ওর বাবা বললো,
—————“আমি কোন সাফাই শুনতে চাই না তূর্য। আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি তুমি এই মেয়েটাকে তুমি ডিভোর্স না দাও তাহলে আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না।”

এই বলে তূর্যকে আর কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে তার বাবা চলে গেল। পেছন পেছন তার মাও। পূর্ণতা এবার তূর্যর দিকে তাকিয়ে কাঁদো কাঁদো গলায় বললো,
—————-” আমি কি এতোই খারাপ যে আমি যেখানেই যাই সেখানেই শুধু আমাকে অশান্তি হয়?”

তূর্য তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো,
—————“কে বললো তুমি খারাপ? তুমি তো ভালো। মেয়ে মিষ্টি মেয়ে। একদম কান্না করবে না। তুমি যদি কান্না না করো আজকে সারারাত আমি তোমাকে গল্প শোনাবো।”

শেষের কথাটা শুনে পূর্ণতা মন ভালো হয়ে গেল। সে কন্ঠে বললো,
——————“সত্যি বলছো তুমি আমাকে সারারাত গল্প শোনাবে?”

—————–“হ্যাঁ শোনাবো‌। আগে রুমে চলো। ফ্রেশ হবে তার পর।”

পূর্ণতা রুমে গিয়েই গল্প শোনাও গল্প শোনাও বলে বায়না ধরেলো। তূর্য বললো,
——————“কিন্তু পূর্ণতার এক কথা সে আগে গল্প শুনবে তার পর ফ্রেশ হবে।”

পূর্ণতার জেদের কাছে না পেরে তূর্য পূর্ণতাকে গল্প শোনাতে যাবে এমন সময় হঠাৎ করে তূর্যর ফোনটা বেজে উঠলো। রিকশা ফোন করেছে। তূর্য পূর্ণতার দিকে একবার তাকিয়ে বললো,
——————-“তুমি বসো আমি এক্ষুনি কথা বলে আসছি।”

তার পর তূর্য রুম থেকে ব্যালকনিতে চলে গেল। ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে রিকশা বললো,
——————“হ্যালো, তূর্য! কেমন আছো তুমি?

—————–“ভালো। বল কি জন্য ফোন করেছিস?”

—————-“আসলে তোমার সাথে একটা জরুরী কথা বলার ছিল। তুমি কি কাল একবার আমার সাথে দেখা করতে পারবে?”

তূর্য কিছু বলতে যাবে তার আগেই পূর্ণতা ডেকে উঠল, ————–“এখনো আসছো না কেন? কখন গল্প শোনাবে?”

হঠাৎ এমন কন্ঠস্বর শুনে রিশা জিঞ্জেস করলো,
—————“এটা কার কন্ঠ? কে ডাকছে তোমাকে?”

তূর্য অস্ফুট গলায় বললো,
—————-“পূর্ণতা।”

‘পূর্ণতা’নামটা শুনে প্রতিবারের মতো এবারও রিশা খুশিতে লাফিয়ে উঠলো। সে উচ্ছাস্বিত কন্ঠে বললো,

—————“কি বললে পূর্ণতা? পূর্ণতা এসেছে তোমাদের বাড়িতে? তাহলে কালকে তোমার সাথে পূর্ণতাকেও নিয়ে এসো।”

—————-“আচ্ছা।”
বলেই রিশাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই তূর্য ফোনটা রেখে দিল। তার এখন বেশি কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। তূর্য রুমে এসে দেখলো পূর্ণতা ঘুমিয়ে পড়েছে। তূর্য একবার পূর্ণতার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে মনে মনে বললো,পাগলী মেয়ে এভাবেই ঘুমিয়ে পড়েছে। হঠাৎ তূর্যর চোখ গেল পূর্ণতা গোলাপ রাঙা ওই ঠোঁট জোড়ার দিকে। তূর্যর খুব ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করে কিন্তু তূর্য তা করলো না। সে মনে মনে বললো,,,, “আমি এমন কিছু কখনো করবো না যাতে তুমি কখনো কষ্ট পাও কিংবা আফসোস করো।”

তার পর তূর্য পূর্ণতার কপালে হালকা করে ঠোঁট ছুঁইয়ে বললো,
“আমি জানি না কালকের দিনটা তোমার জন্য কেমন হবে। তবে আমি কথা দিচ্ছি আমার শেষ নিঃশ্বাস পড়ার আগ পর্যন্ত আমি তোমাকে রক্ষা করবো। তোমাকে ভালোর সর্বচ্চো চেষ্টা করবো। তোমার ওই ঠোঁটের হাসি আমি কখনোই মিলিয়ে যেতে দেব না।”

__________________সমাপ্ত________________

(জানি না এন্ডিংটা কেমন হয়েছে। তবে আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আর আপনাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এতো দিন ধরে আমার পাশে থাকার জন্য। আর আমাকে এতো এতো ভালোবাসার জন্য।)

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here