#ক্রাসের_সাথে_ডাইরেক্ট_বিয়ে
#লেখক_নীলার_আব্বু
পার্ট-১
নীলিমা আমার দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে😡😡।আমি শুধু চুপচাপ বসে আছি।
-এভাবে রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছো কেনো?আমি কি ইচ্ছে করে বিয়ে করছি নাকি? (আমি)
-চুপ। একদম চুপ….।😡
-আমি তো আসলেই এই সম্পর্কে কিছু জানতাম না।যা হয়েছে তো হয়েছে।মেনে নেও না।
-আমি আর একটা কথাও শুনতে চাই না।
-আচ্ছা,ঠিক আছে।তবে আর কতক্ষন এভাবে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকব।
-সারারাত।
-কি?😲😲
আল্লাহ!আমার কপালটাই কেন এত খারাপ।
ভুলেই তো গেলাম পরিচয় দিতে।আমি সাকিল আহমেদ সম্রাট।আর নীলিমা আমার বউ।আজ বিয়ে হয়েছে।আর বাসর রাতে কাহিনি হচ্ছে এগুলা।কিন্তু নীলিমা এমন কেনো করছে বুঝতে পারছেন না, তাই না।চলুন একটু ফ্ল্যাশব্যাক থেকে ঘুড়ে আসি।
{–দুদিন আগের ঘটনা–}
-এই থামো।থামো।
আমি ছুটছি বাসের পেছনে।
-ভাই,দাড়ান।
অবশেষে বাস থামল।আমি বাসের উপর উঠে পড়লাম।
-কি ভাই কইছিলেন? (কন্ডাক্টর)
-আরে ভাই একটু ধরছিলো।তাই বাথরুমে গিয়েছিলাম।
-আচ্ছা।ঠিক আছে।সিটে যান।
টিকেট দেখে সিট খোজা শুরু করলাম।
-বি-৭ বি-৭,হ্যা এটাই বি-৭।
মাথা তুলে সিটের দিকে তাকাতেই দেখি একটা মেয়ে আমার সিটে বসে আছে যেটা জানালার পাশে।মেয়েটা জানালার দিকে তাকিয়ে ছিল।
আমি তাকে ডাক দিতেই,
-ও হ্যালো।এই যে
মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে তার চুলগুলো কানে গুজিয়ে দিল।
মেয়েটি ছিল অনেক সুন্দর।ডাইরেক্ট ক্রাস।উফফফ সেই।তবে এখন মোমের মত গললে চলবে না।আমাকে আমামার সিট বাচাতে হবে।
-এই যে,এটা আমার সিট।
-ওহ,তা কিভাবে?এখানে কি কোথাও আপনার নাম লেখা আছে?
-নাই তবে দরকার পড়লে সিটে নাম লিখে ফেলবো। ব্যাগে মার্কার আছে।ওসব ফালতু কথা,দেখুন আমার কাছে টিকেট আছে।আর তাতে দেওয়া আছে যে এটা আমার সিট।
-সো ওয়াট।আমি আগে বসে পড়েছি।সো এটা আমার সিট।
-দেখেন এটা কিন্তু ঠিক করছেন না কিন্তু।
-হয়তো।
-নইলে আমি কিন্তু
-নইলে কি করবেন?
-কান্না করবো।
মেয়েটি রাগী চেয়ারা থেকে একটু হেসে দিলো।
-আচ্ছা,এখন বসুন পরে দিচ্ছি।
-আচ্ছা।
আমি সিটে বসে পড়লাম।বাস তার আপন গতিতে ছুটছে।এখন সন্ধ্যা প্রায় এমন অবস্থা।বাতাস অনেক।
-আচ্ছা,আপনার নামটা কি?
-নাম দিয়ে কাজ?
-না এমনি জানার আগ্রহ।
-বলবো না,সমস্যা।
-না,আচ্ছা ঠিক আছে।
মনটা খারাপ করে অন্যদিকে তাকালাম।
-নীলিমা
তার দিকে তাকিয়ে,
-কি?
-নীলিমা,আমার নাম।
-ও সুন্দর নাম তো।কে আপনার বাবা এই নাম রেখেছিল।
এবার আমার দিকে ঘুড়ে বলল,
-এইযে মিস্টার,
-মিস্টার না সম্রাট।
-হ্যা সম্রাট।দেখুন আমি কিন্তু বুঝতে পারছি।আপনি লাইন মারার চেষ্টা করছেন।ভুলেও চেষ্টা করবেন না।
-ঠিক আছে।এই কুল কুল।ঠান্ডা হন।
নীলিমা জানালার দিকে তাকিয়ে থাকলো।
-তবে লাইন মারার চেষ্টা কেনো করব না?
নীলিমা আমার দিকে অন্য এক দৃষ্টিতে তাকালো।
-কারণ আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।
মনটা কিছুটা খারাপ হয়ে গেলো।😞
-তা কবে আপনার বিয়ে?
-জানি না।তবে মা বলছে যেকোনো মতেই আজ আ।আমায় বাসায় আসতেই হবে।
-ও,খুব খারাপ লাগছে।
-হুম,সবেমাত্র ইন্টারমিডিয়েট শেষ করলাম।কোথায় ইচ্ছে ছিল একটা ভার্সিটি তে ভর্তি হবো।সব আশা শেষ করে দিল।
-আমি বুঝতে পারছি আপনার কষ্ট।
-হুম।ওয়েট ওয়েট,এসব আমি আপনাকে কেনো বলছি?
-আপনি জানেন?
সে আবার জানালার দিকে মুক্ত মনে বাতাস খেতে লাগল।
-তবে আপনার সাথে লাইন মেরে এমনেও লাভ হত না।
-কেনো?
-কারণ আমারও বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।
-হুম।😒
আর কিছু বললাম না।সিটে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
——————–
-এই যে।শুনেন।
নীলিমাকে ডাকতে থাকলাম।
-এই যে,উঠুন।
-হুম(ঘুমের মধ্যে একটু সাড়া দিল)
-এইযে বাস থেমেছে।
নীলিমা জেগে উঠল।
-হুল,কি হয়েছে?
-বাস থেমেছে।পেট্রল ভরবে আরর বিরতি।অনেক লং জার্নি। একটু ফ্রেস হয়ে আসতে পারেন।
-নো থ্যাংকস। আপনি যান।😒😒
মনটা খারাপ করে দিল।😞নিজের ব্যাগ কাধে নিয়ে বাস থেজে নেমে গেলাম।দোকান থেকে পানির বোতল কিনে দাড়ালাম তখন পেছন থেকে ডাক,
-তো ওয়াসরুম টা কোথায়?
-কে?
পিছনে ঘুরে দেখি নীলিমা।😃
-আরে আপনি।আপনি না বললেন,আসবেন না।
-কথা কম বলেন।আর বলেন ওয়াসরুম কোথায়?
-ও,আচ্ছা।আমার সাথে আসুন।
নীলিমাকে নিয়ে ওয়াসরুমে গেলাম।
-এই নিন ব্যাগ।আর দাড়ান।
এই বলে নীলিমা চলে গেল ওয়াসরুমে।
—-দীর্ঘ ৫ মিনিট দাঁড়িয়ে রইলাম—
হঠাৎ গাড়ির হর্ন পেলাম।
-এইযে দ্রুত বের হোন।বাস তো ছেড়ে দিল।
-একটু সময় লাগবে (ভেতর থেকে)
আমি সেখান থেকে দ্রুত দৌড়ে বাস কে আটকাতে গেলাম।বাস তখন ছেড়ে দিয়েছে।বাসের পিছনে ছুটছি।
-এই বাস। বাস।থামো।এই থামো।
——————–(৫ মিনিট পর)———–
-উফ।শান্তি (নীলিমা)
ওয়াসরুমে থেকে বেড়িয়ে।
-আমার ব্যাগ দিন (নীলিমা)
-নিন।
-চলেন।
-কোথায়?
-বাসে।
-চলে গেছে?
-চলে গেছে।কি চলে গেছে।
-বাস।
-কি?😱😱😲😲
-তো কি আপনার সাথে ফুটবল খেলার জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে।ওয়াসরুমে কি এতক্ষণ লুডু খেলাতাসিলেন নাকি।
-সাট আপ।আমি এখন বাসায় যাবো কিভাবে😭😭 (কান্না করা শুরু করে)
-আরে কাদে কেনো।আচ্ছা মুসিবতে পড়লাম তো