“অবুঝ_ছাত্রী পর্ব_দুই

0
3180

#অবুঝ_ছাত্রী

#লেখক_IR_Iman_islam

#পর্ব_দুই

ঠাস ঠাস ঠাস খুব রাগ হওয়ার কারনে মেরে দিয়েছি রাফিজার গালে।ঠাস মারার কারনে দেখতেছি কান্না করতেছে।কি করলাম এইটা আমী তার মাকে যদি বলে তাহলে তো আমাকে জেলের ভাত খাওয়াবে।

খুব লেগেছে তাই না দেখি কই লেগেছে।
আপনি আমাকে টার্চ করবেন না।আপনি আমাকে মেরেছেন।আমার বাবাকে বলে দিবো আপনি আমাকে মেরেছেন।আমার বাবা আপনাকে জেলে দিবে আমাকে মারার অপরাধে।মা_বাবা আমাকে একদিনও গায়ে হাত দেয় নাই আর আপনি আমার গালে থাপ্পর মেরেছেন।

প্লিজ রাফিজা তোমার বাবাকে বলো না।আমাকে মেরে তক্তা বানাবে।(আমার ছাত্রির বাবা একজন পুলিশ অফিসার তাই ভয় করতেছি।যদি বলে দেয় আমার খবর করে ছাড়বে )
না,আমি বাবাকে বলে দিবো আজকে বাবা বাসায় আসুক আগে।
(কেমন ছাত্রী ভাই টিচার কে ভয় দেখায় )

শুনো তুমি আজকে যে কথা বলছো সেগুলো যদি তোমার আম্মু শুনে তাহলে আমার কি করবে জানো।মেরে ফেলবে।আরো যদি শুনে তোমার সাথে শরীরিক সম্পর্ক করছি।শুনু কিছু কথা বলী তোমাকে

যেমন তুমি আজকে যে কথা বললা সেটা হচ্ছে তোমার বান্ধুবীরা নাকি তাদের বয়ফেরেন্ট এর সাথে হোটেলে শারীরিক সম্পর্ক করে। তারা এক সময় এমন পস্তাবে সেটা তারা ভাবতে পারবে না।আর এই যুগে তাল মিলে চললে তুমি ভালো হতে পারবে না।তোমার বান্ধুবীরা তারা এখন খারাপ কাজে লিপ্ত আছে।তারা কি করতেছে কিছুই জানে না বা বুঝতেছে না।তাদের ভালোবাসার প্রমান দিতে গিয়ে তাদের বয়ফেরেন্ট এর কাছে সতিত্ব বিলিয়ে দিচ্ছে।তারা এগুলো করতেছে দেখি তুমিও কি করবে।

ডিজিটাল যুগের কিছু কথা বলি যে,,
এখন কার ভালোবাসা মানে শারীরিক ভালো।এটাই কি ভালোবাসা না,আরে ভালোবাসা তো হয় সুন্দর মন একটা থেকে শরীল দেখে নয়। এখন ভালোবাসার প্রমান দিতে গিয়ে কতো আপু তাদের সতীত্ব বিলিয়ে দিচ্ছি বয়ফেরেন্ট নামক জানোয়ারদের কাছে।আপুরা কবে
তোমরা চালাক হবে।কোথায় লেখা আছে যে ভালোবাসার প্রমান দিতে হবে নিজের সতীত্ব দিয়ে।বয়ফেরেন্ট ভালোবাসার প্রমান চাচ্ছে সতিত্ব বাদে অন‍্য কিছু দিয়ে প্রমান দাও।কখনো তোমরা বয়ফেরেন্টকে ভালোবাসার প্রমান দিতে গিয়ে নিজের সতীত্ব হারা ও না।কারন তোমাদের প্রত‍্যেক অঙ্গ প্রতঙ্গ দেখার অধীকার শুধু আপনার স্বামীর অন‍্য কারো না।বেশি কিছু বলবো না মেয়েদের সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে সতীত্ব এটা যদি বিয়ের আগে বয়ফেরেন্ট এর কাছে বিলিয়ে দেন তাহলে আপনার স্বামী কে কি দিবেন।এটা সবসময় ভাববেন আপুরা।বেশি বললে ছরি এবার গল্পে আসা যাক।

তো এবার বলো এই খারাপ কাজ কি তুমি আর করবে।
কে কি করে না করে তুমি সেটা দেখবে না তাহলে জীবনে কিছু হলেও করতে পারবে।ওরা খারাপ কাজ করে করুক কিন্তু তুমি এগুলো শুনবা না।

ওকে স‍্যার আর এগুলো আমি করতে চাবো না।এগুলো করলে আল্লাহ পাপ দিবে।
থাপ্পর টা কি খুব লেগেছে তোমাকে।
হুম আপনি খুব পচা স‍্যার।এতো জোরে কেউ ছাত্রীকে মারে।
আচ্ছা ছরি আমি ভূল করে জোরে মেরে ফেলছি।দেখতেছি রাফিজার গালে আমার পাঁচটা আঙ্গুলের দাগ বসে গেছে।মনে হচ্ছে রক্ত জমাট হয়ে আছে ফরসা গালে।ছরি মাফ করে দাও।

মাফ করতে পারি এক সর্তে যদি মানেন।
(আবার কি যে জালায় ফেলায় ভাবতেছি )আচ্ছা বলো কি সর্ত।
আপনি প্রতিদিন আমাকে পড়াতে আসার সময় আইসক্রিম নিয়ে আসবেন।আর প্রতি শুক্রবার স্কূল বন্ধর দিনে আমাকে ঘুরতে নিয়ে যাইতে হবে।যদি এগুলো মানেন তাহলে মাফ করতে পারি।নাহলে বাবাকে বলে দিবো আপনি আমাকে থাপ্পর মেরেছেন।

(আইসক্রিম এটা আনা যায় কিন্তু ছাত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া কেমন দেখায়।মানুষ দেখলে তো খারাপ ভাবে মনে মনে ভাবতেছি কি করি )

কি হলো স‍্যার এতো ভেবে লাভ না।আমার সর্তে রাজি তো।না হলে বুঝতেই তো পারতেছেন।আপনার কপালে কি আছে?

অনেক ভাবার পরে দেখতেছি রাজি না হলে বিপদ বেশি।যদি বলে দেয় তার বাবাকে তাহলে আমি গেলাম।তাই আর না ভেবে রাজি হলাম।
আচ্ছা আমি রাজি তোমার সর্তে কিন্তু এগুলো কথা বলো না তোমার বাবাকে।

ঠিক আছে বলবো না।আমার সর্তের কথা মনে থাকে যেনো।
তাহলে আজকে আমি যাই।

ওকে জান বাসা দেখে শুনে যাবেন স‍্যার।

ঠিক আছে।আমি বসা থেকে উঠে পিছনে ঘুরে দেখে আমারা দুই জনে অবাক।দেখতেছি রূমের দরজার কাছে আন্টি মানে রাফিজার মা দারিয়ে আছে।আমী তো ভয়ে শেষ।আমাদের কথা গুলো শুনে ফেলছে নাকি।
রাফিজা তোর কি পড়া শেষ।
হুম মা।
পড়া শেষ হলে তোর স‍্যারকে নিয়ে নাস্তা করাতে নিয়ে আয়।
পড়া শেষ মা।আর তুমি যাও মা আমি স‍্যাকে নিয়ে যাচ্ছি।ঈমান,বাবা তুমি নাস্তা করে যেও।

আন্টি এগুলোর দরকার ছিলো না।আর আমাকে একটু তারাতারি বাড়িতে যাইতে হবে।
নাস্তা করে তুমি যাবে ওকে।না হলে তোমার খবর আছে।তোমার আঙ্কেল কে বলে দিবো।
কি জ্বালা মা বেটি কি আমাকে খালি আঙ্কেলের ভয় দেখায়।আঙ্কেলকে বেশি ভয় পাই তো তাই।ঠিক আছে আন্টি খেয়ে যাবো।
ওকে খেয়ে যেও।
কি বেপার স‍্যার আপনি ঘরে এসি ছাড়া আছে তাও কেনো ঘামতেছেন।কোন সমস‍্যা হয়েছি কি শরীর খারাপ করতেছে নাকি।
আরে না আমিতো ভয়ে ঘামতেছি।আমি মনে করছিলাম আমাদের মাঝে যে কথাগুলো হলো সেগুলো তোমার মা

চলবে,,,,,?

(ভূল হলে হ্মমা করবেন।আর কেমন হয়েছে জানাতে ভূলবেন না।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here