#ফেমাস_বর🙈
#পার্ট_২
#লেখিকা_রামিসা_মালিয়াত_তমা
রান্নাঘরে তমা কফি বানাচ্ছে আর ভাবছে আদনান তাকে এগুলো কী বলল!
তমা-আমি উনার বউ হবো?কিন্তু কী করে?কী করে সেটা সম্ভব।উনি তো আমার ভাই হোন,আর আমি উনার বোন!তাহলে এটা কীভাবে সম্ভব?এটা তো কোনোভাবেই সম্ভব নয়।আচ্ছা,আমি বা জিনিসটাকে এতো সিরিয়াসলি নিচ্ছি কেন?উনি নিশ্চয়ই মজা করে বলসে।আর তাছাড়া যে আমাকে চিকনি বলে হেও করতে পারে তার কাছে বিয়ে নিয়েও মজা করাটা তেমন কিছু না।
কফি বানানো শেষ হলে তমা এসে আদনানকে খুঁজতে লাগল।কিন্তু যেখানে আদনান দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে আদনানকে পেলো না।তাই তমা ভাবল হয়তো গার্ডেনে রয়েছে।তাই সে কফি হাতে গার্ডেনে চলে গেল।তমাদের বাসাটার সবচেয়ে আকর্ষনীয় জায়গা হচ্ছে এই গার্ডেন।সবাই মিলে একসাথে হলে এই গার্ডেনে বসেই আড্ডা দেয়।
গার্ডেনে,
দিনা-হেই জান্টুস,কেমন আছো?তুমি তো আমার কথা ভুলেই গেছো।🥺(ঢং করে বলল)
“জান্টুস”শব্দটা শুনে আদনানের মাথায় রক্ত উঠে গেলো।
আদনান-লিসেন দিনা আমি তোমাকে আগেও বলসি এন্ড এখনো বলতেসি যে আমাকে জান্টুস ডাক অফ করো প্লিজ।মাই নেম ইজ আদনান হাসিব।আর তাছাড়া এইজেও আমি তোমার থেকে বড়।সো নরমালি আমাকে ভাইয়া ডাকো।বাট এসব সো কল্ড ওয়ার্ডস ডাকা অফ করো।
দিনা-তুমি আর আগের মতো নেই জান্টুস!আগে আমার সাথে কত সুইটলি কথা বলতে আর এখন?আমি তোমাকে অনেক পছন্দ করি জান্টুস।আমাকে কী তোমার পছন্দ না জান্টুস?
আদনান-হোয়াট দ্যা ফাঁ*।তখন থেকে তুমি এইসব কী ঢং শুরু করলা?একবার বল্লাম না জান্টুস না ডাকতে!তুমি কী কথা বুঝোনা?আর লিসেন এখানে পছন্দ-অপছন্দের কিছু নাই!তুমি আমার কাজিন এন্ড আমিও তোমার কাজিন।সো ট্রাই টু কিপ আওয়ার রিলেশন দ্যাট ওয়ে।মাইন্ড ইট!🤬
এই বলে আদনান যেই না উঠে যেতে নিবে তখনই তমার সাথে ধাক্কা খেল।আর গরম কফি আদনানের টি-শার্টে এবং তমার হাতে পরে গেল।আদনানের টি-শার্টে কফি পরায় দিনা ধমক দিয়ে তমাকে বলে উঠল,
দিনা-হোয়াট দ্যা হেল!এই তমা দেখে কাজ করতে পারিস না?চোখ কোন দিকে থাকে তোর?দিলি তো আমার জান্টুসের টি-শার্টটাকে নষ্ট করে।মানে তোর প্রবলেম কী হ্যাঁ?আনকাল্চার্ড একটা।স্টুপিড!
তমা দিনার কথাগুলো শুনে স্তব্ধ হয়ে গেল।আদনানের টি-শার্টে সামান্য কফি পরাতে দিনা যে ওকে এতোগুলা কথা শোনাবে তমা কল্পনাও করতে পারেনাই।দিনা কোনোদিন তমার সাথে একটু জোরে গলায় কথা বলেনি।আর আজ কিনা একেবারে ধমক?এদিকে তমার হাতেও তো কফি পরেছে।আর তুলনামূলক তমার হাতে বেশি কফি পরেছে আদনানের টি-শার্টের চেয়ে,সেটা কী তারা কেউই দেখেনি?হাতের ব্যাথা চেয়েও দিনার কথাগুলো শুনে তমার মনে বেশি ব্যাথা লাগছে।হাতের ব্যাথা সহ্য করেই অনেক কষ্টে তমা মুখে হাসি ফুটিয়ে বলল,
তমা-সরি,আমি আসলে বুঝতে পারেনাই যে আদনান ভাই উঠে পরছিলেন।আ’ম এক্সট্রেমলি সরি।আমি নিউ টি-শার্ট এনে দিচ্ছি।আর আবার কফি বানিয়ে এনে দিচ্ছি।দিনা তুইও খাবি কফি?
দিনা-হইসে জুতা মেরে আর গরু দান করতে হবেনা।ইচ্ছা করে এগুলা করিস তুই,যেন মানুষের এটেনশান সিক করতে পারিস।আর ওয়েট তুই আমাকে নাম ধরে ডাকলি কেন?আবার তুই করেও বললি?হাউ ডেয়ার ইউ?লিসেন তমা,ছোটবেলায় নাম ধরে তুই করে ডাকসিস তখন কিছু বলিনাই।কিন্তু তাই বলে তুই এখনো ডাকবি?খবরদার আর কোনোদিন আমার নাম ধরে ডাকবিনা!আর তাছাড়া আমি তোর থেকে ৪ বছরের বড়।ইউ শুড কল মি আপু।গট ইট?(রাগী কন্ঠে বলে উঠল)
এতোক্ষন তমা কোনোমতে এইসবকিছু সহ্য করে নিচ্ছিল।কিন্তু এবার তমা অনেক লজ্জ্বা পেয়ে গেল।তমা অনেক সেনসেটিভ,কিন্তু তাও সে হাসিমুখে বলল,
তমা-আচ্ছা দিনা আপু,আমি তোমাকেও কফি দিচ্ছি।কিন্তু তোমরা এখন ঘরে চলে যাও।কেননা,দেখছই তো আকাশের অবস্থা বেশি ভালোনা।যেকোনো সময় বৃষ্টি নামবে।
দিনা-তোর এতো মাতব্বরি না করলেও চলবে।যত্তোসব ডিস্টার্বিং ওয়ানাবি।জান্টুস লেটস গো।এখানে থেকে এসব বাজে কথা শোনার আমাদের কোনো দরকার নেই।
আদনান এতোক্ষন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দিনার কথাগুলো শুনছিল।কিন্তু এবার আদনানের রাগ উঠে গেল।তাই সে বলে উঠল,
আদনান-এক মিনিট দিনা,তমু তো তোমাকে খারাপ কিছু বলেনি যে তুমি ওকে এতগুলা কথা শুনাইলা।আর আমার টি-শার্টে কফি পরেছে,কই আমি তো তমুকে কিছু বল্লাম না!তাহলে তুমি এতো কথা বলছ কেন?ইউ শুড সে হার ‘সরি’!
তমা ব্যাথার চোটে প্রায় কাহিল।কিন্তু তাও বলে উঠল,
তমা-আহা,আদনান ভাই আপনি আমাদের বোনদের মাঝে কথা বলছেন কেন।আপু বড় তাইইইইই
তমাকে থামিয়ে দিয়ে আদনান বলে উঠল,
আদনান-তমু,কাম উইথ মি!
ব্যাথার চোটে তমার অবস্থা প্রায় খারাপ।তাই তমাও আর কথা না বারিয়ে চলে এলো।
আর এদিকে শকুনের দৃষ্টিতে দুটি চোখ তাদের দিকে তাকিয়ে রয়ে বলল,
তমা,তোকে তো আমি ছাড়বোনা।তুই আমার সম্পত্তির উপর চোখ দিসিশ।এর পরিণতি ভালো হবেনা।আদনান শুধু আমার,শুধুই আমার।আর কাউকে আমি আদনানের হইতে দিবোনা।(ডেভিল স্মাইল দিয়ে বলে উঠল)
চলবে,,,,,,,,,