“ফেমাস_বর🙈 পার্ট_২৭

#ফেমাস_বর🙈
#পার্ট_২৭

#লেখিকা_রামিসা_মালিয়াত_তমা

তমা-এই বেডার লাইগ্গা এহন আমারে সবার সামনে হেনস্তা হইতে হইব।শালার বেডা।(মনে মনে)
আপনি খুব খারাপ।এখন আমি সবার সামনে যাবো কীভাবে।লাভ বাইট দেওয়ার আর জায়গা পাইলেন না।(কাঁদতে কাঁদতে বলল)

আদনান হাসতে হাসতে তমার পাশে গিয়ে বসল।

আদনান-আমার বউকে আমি যেখানে খুশি ইচ্ছা সেখানে লাভ বাইট দিবো।আমি আমার বউকে কোথায় লাভ বাইট দিবো সেটা তুমি বলার কে?

তমা তো পারেনা আদনান কে মারা শুরু করে দেয়।রাগে তমা গজগজ করতে লাগল।

এরই মধ্যে দরজার বাইরে থেকে আওয়াজ আসতে লাগল।তমা বুঝল যে সবাই ওদেরকে ডাকার জন্য এই দিকেই আসছে।

তমা-এই রেেেেেেে!এখন কী হবে?(ভয় পেয়ে বলল)

আদনান এখনও হাসছে।তবে এখন মুখ টিপে টিপে হাসছে।কেননা আদনান দেখছে যে তমা এমনিতেই রেগে আছে।আর এরপর যদি আদনান আবার জোরে জোরে হাসা শুরু করে তাহলে আজকে আদনানের কপালে অশেষ দুর্ভোগ আছে।

আদনানের এখনের এই মিটিমিটি হাসি দেখে তমার রাগ যেন আরো কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।

তমা-দাঁড়া,একবার তোরে বাগে পাই।এরপরে তোর অবস্হাও যে কী করমু…..

এহেম,এহেম!!!তা নতুন বর-বউয়ের কী ঘুম ভেঙেছে?নাকি মামি-মা কে বলবো যে ডিরেক্ট লাঞ্চের আয়োজন করতে?

দরজার কড়া নাড়তে নাড়তে বলতে থাকল আদনান ও তমার কাজিনরা!

তমা-এতো হাসাহাসি না করে যান না,গিয়ে দরজাটা খুলুন না।আশ্চর্য!

আদনান কোনমতে নিজের হাসি থামাতে থামাতে দরজা খুলতে গেল।

আদনান-কীরে?তোদের কী কোনো লজ্জ্বা নাই?নিউলি মেরিড কাপলদের রুমে সকাল হতে না হতেই হানা দিচ্ছিস!

অরিত্রি-দেখতে এলাম যে নিউলি ম্যারিড কাপলদের ঘুম ভেঙেছে নাকি ভাঙেনি।যাই হোক,তোমরা তারাতারি নিচে ব্রেকফাস্টের জন্য আসো।সবাই তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।

তমার তো অরিত্রি ও বাকিদের দিকে কোনো নজরই নেই।সে শুধু পরে আছে তার গলার চিন্তা নিয়ে।

তমার কোনো বোধকম্য না দেখে অরিত্রি তমাকে একটু ধাক্কা দিয়ে বলল,

অরিত্রি-কীরে ভাবি-দোস্ত?এত কী ভাবছিস?

তমার অরিত্রির ধাক্কাতে হুস আসলো।কিন্তু তমা বুঝতে পারলনা যে সে কী বলবে!

তমার কান্ড দেখে বাকিরা সবাই মুখ টিপে টিপে হাসতে লাগল।

এদিকে আদনান কিছু না জানার ও না বোঝার ভান করে নিজের মতো করে ফোন নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে লাগল।

অরিত্রি ঠিক বুঝতে পারলনা যে তমার হয়েছেটা কী!আদনান তো নিশ্চয়ই এতোটা ডাম্প না যে সে বিয়ের প্রথম রাতেই…………..

অরিত্রি কোনো হিসাব মেলাতে পারলনা।আর তাই সে পরিস্থিতি পাল্টানোর জন্য বাকিদেরকে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেল।

আর সাথে সাথে গিয়ে আদনান রুমের দরজা বন্ধ করে তমাকে কোলে তুলে নিল।কোলে তুলে তমাকে বেডে বসিয়ে গালে একটা কিসই দিয়ে নিচে চলে গেল।

আর তমা বোকা বনে যাওয়ার মতো করে বেডে বসে রইল।

অন্যদিকে

আচ্ছা কাল রাতে কী আমাদের বউমনির ঘুম হয়নি নাকি?

কথাটা বলে উঠল আদনানের খালাতো বোন কাসাফ।

এই কথা শুনে কাসাফসহ বাকি সবাই হাসতে লাগল।

অরিত্রির এসবকিছু শুনতে ভালো লাগছিলনা।তাই সে ঘর থেকে বের হয়ে গেল।

কাসাফ-তবে যাই বল না কেন,তমা বউমনি আর আদি ভাইয়া কে কিন্তু একসাথে দারুন মানায়।যাকে বলে একদম রাবনে বানাদি জোরি!কী বল?

কাসাব-একদম ঠিক বলেছিস।ওদের দুজনকে পাশাপাশি এতো সুন্দর মানায় না যে কী বলবো।মাশাল্লাহ!

(কাসাফ ও কাসাব এরা দুজনে আপন জমজ দু’বোন,যারা কিনা সম্পর্কে আদনানের খালাতো বোন হয়)

আফসানা হাসিব-কী ব্যাপার?তোমাদেরকে আর কতোবার খাওয়ার জন্য ডাকতে হবে বলতো?এই নিয়ে কতোবার তোমাদেরকে ডেকে পাঠিয়েছি?

একটা কথা বলে রাখা ভালো যে আফসানা হাসিব কে সবাই অনেক মানে ও সম্মানের সাথে ভয় পায়।

কাসাফ-সরি আফসি,আমরা আসলে একটু আড্ডা দিচ্ছিলাম তো তাই আরকি!

আরেহ তোমরা এখনো দাঁড়িয়ে আছো কেন?ভাইয়া ও তমা তো সিঁড়ি দিয়ে নামছে।(আবরার বলল)

আফসানা হাসিব-আবির,তুমি একটু আগে কী বললে তমাকে?

আবরার-আরেহ মম,কী আর বললাম?তমা…ই

আবরারের হঠাৎ খেয়াল হলো যে তমা তো এখন তার দোস্তের পাশাপাশি ভাইয়ের বউ মানে সম্পর্কে তার ভাবি-ও।

আবরার-উপস সরি মম,আমি তোভুলেই গিয়েছিলাম যে তমা এখন আমার ভাবি।সরি সরি!

কাসাব-এই ভাবি কী রে?বল বউমনি!

আবরার-ইশশ,ঐটুকুনি মেয়ে!তাকে আবার বউমনি বলতে হবে নাকি!ইশশশশশশ!

কাসাফ-এই একটা থাপ্পড় মারবো।তোকে বউমনিই ডাকতে হবে,বুঝলি?

আবরার-ইশশশশশশশশশশ!

আবরার মুখটা কেমন করে যেন ভেঙ্চি কেটে রুম থেকে বের হয়ে গেল।

আর আবরারের এক্সপ্রেশন দেখে বাকিরা হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেতে লাগল।

আফসানা হাসিব-এই অনেক হয়েছে।এখন চলো তো সবাই।ওখানে ওরা আমাদের জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে নাকি?

এই বলে আফসানা হাসিব রুম থেকে বের হয়ে গেলেন এবং বাকিরাও তার পিছেনে পিছনে যেতে লাগল।

চলবে,,,,,,,,,যদি আপনাদের রেসপন্স পাই……😊

আমি একজন নতুন লেখিকা।সবাই পড়ে বলবেন কেমন হলো!আপনাদের রেসপন্স পেলে লেখা চালিয়ে চাব।কোনো ভুল-ট্রুটি হয়ে থাকলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।সকলকে অনেক ধন্যবাদ।❤️
#happy_reading❤️❤️ #stay_safe #stay_home

সবাই অনেক রাগ করে আছেন আমির উপর তাইনা?হ্যাঁ জানি সবাই অনেক রাগ করে আছেন।জানিনা আপনাদের এই রাগ কী করে ভাঙাবো।তবে অনুরোধ করব,আমাকে মাফ করার জন্য।
আমার পরিবারের কিছু সদস্য করোনায় আসক্ত হয়েছে।আশা করি,আপনারা বুঝতে পারছেন যে এই মূহুর্তে আমার অবস্হাটা কী!এছাড়াও,আমার পড়াশোনা আমার কাছে সবার আগে।তাই আমি সকল কিছুর উর্ধ্বে আমার পড়াশোনাকেই স্হান দিয়েছি সবসময় আর সর্বদা তাই দিবো।শুধুমাত্র করোনা আর পড়াশোনার জন্যই নয়,এসবকিছুর মাঝে আবার আমার বাড়ি হয়ে উঠেছে বিয়ে বাড়ি।এই সবকিছু মিলিয়ে আমি যে কীসের মধ্যে আছি তা শুধু আমিই জানি।সবকিছু বাদ দিয়ে শুধু কাজের পর কাজ করেই চলেছি।জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোতেই সময় ব্যয় করে সময় কুলতে পারছিনা।গল্পের পিছনে সময় কী করে দিবো বলুন?হ্যাঁ আমি জানি,রেগুলার গল্প দেওয়া আমার দায়িত্ব।ইনশাল্লাহ খুব শীঘ্রই আমি আবার আপনাদের মাঝে আপনাদেরই প্রিয় গল্প”ফেমাস বর”নিয়ে হাজির হবো।ইনশাল্লাহ যদি বেঁচে থাকি।

তবে আবারো সবাইকে অনুরোধ,পারলে আমাকে মাফ করবেন।আর আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন!❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here