part:6+7
গল্প : বেস্টফ্রেন্ড যখন
বউ
লেখক : Md. Anwar
Hussain
পর্ব : ৬
মর্গে অসহায় এর মত
ঠান্ডায় কাপতে কাপতে
আবারো জ্ঞান হারিয়ে
ফেললাম!!
সকালের আগেই জ্ঞান
ফিরে পেলাম!
মর্গের উপরের ছোট
জানালা দিয়ে দিনের
আলো দেখা যাচ্ছে!
আলো দেখে আমার
দেহে যেনো প্রান
ফিরে পেলাম!!
কিছুক্ষন পর মর্গের এক
গার্ড এসে দরজা টা
খুলতেই!
আমি উঠে দাড়িয়ে তার
দিকে ছুটে যাই!!
এটা দেখে সেই গার্ড
টা ভয় পেয়ে,
দরজাটা আবারো
লাগিয়ে দৌড়ে চলে
যায়!
ভয় পাওয়ার ই কথা
কারন মর্গে কখনো
জিবন্ত মানুষ থাকে না!
সো সেই গার্ড টা
হসপিটালের ডাক্তার
সহ,
আরো কিছু মানুষ নিয়ে
এসে দরজা টা খুলতেই!!
আমি আবারো দৌড়ে
তাদের দিকে ছুটে
গেলাম,
সারারাত অনেক
ঠান্ডার মধ্যে ছিলাম।
তাই গলা দিয়ে কোন
শব্দ বের হচ্ছিল না!!
এক ডাক্তার সব কিছু
বুঝতে পেরে,
আমাকে তারাতারি
করে ইমার্জেন্সি তে
নিয়ে গেলো!!
সব ট্রিটমেন্ট শেষ করে
আমাকে হসপিটাল এর
এক রুমে রাখা হলো
কিছুদিন এর জন্য!
ডাক্তার বলেছে এখানে
কিছুদিন থাকলে
পুরোপুরি সুস্থ হয়ে
উঠবে!!
আব্বু ডাক্তার দের
নামে পুলিশ কেস করতে
চাইলে!
আম্মু বললো থাকনা
আমার ছেলেকে ফিরে
পেয়েছি এটাই অনেক
আমি আর কিছু চাই না!!
তখন ডাক্তার এসে
আমাদের কাছে ক্ষমা
চাইতেই আম্মু তাদের
বলল : ক্ষমা চাইতে হবে
না! আমার ছেলের মত
অন্য কারো ছেলের
সাথে এমনটা করবেন না
আর কোন দিন!!
সেদিন যদি হসপিটাল এ
অকেশন না থাকতো।
তাহলে আমার ছেলেকে
পোসমেডম করা হতো,
আর পোসমেডম হলে
আমার ছেলেকে আর
ফিরে পেতাম না!!
এই আম্মু আবারো
কান্নাতে ভেঙে
পড়লো!
আমি আম্মুকে জরিয়ে
ধরে, বললাম : সবকিছু
তো ঠিক হয়ে গেছে
তাহলে এখন কেনো
কান্না করছো!!
হসপিটাল এ সেদিন
আমার আত্বীয় স্বজন
সবাই ছিলো! কিন্ত
আমার চোখ দুটো শুধু
জান্নাত কেই খুজে
বেড়াচ্ছিলো!
কিন্ত সেদিন এক নজর
জান্নাত কে দেখার
জন্য পাগলের মত এদিক
ওদিক তাকাতাকি
করতে থাকি ” কিন্ত
জান্নাত কে কোথাও
দেখতে পেলাম না!!
তখন সবার সামনেই
হেঁসে দিয়েছিলাম,
হাসিটা কষ্টের ছিলো
এটা আর কেও না বুঝতে
পারলেও, আমার পাশে
বসে থাকা আখি বুঝে
নিয়েছিলো!
আখি আমাকে সান্তনা
দিয়ে বললো: সব ঠিক
হয়ে যাবে!!
আমি : হুম সব তো ঠিকই
আছে!!
আখি : না সব ঠিক
নেই!!
আমি : আচ্ছা কি ঠিক
নেই??
আখি : খুব ভালো করেই
বুঝতে পেরেছি,
আপনার চোখ দুটো শুধু
জান্নাত কেই খুজে
চলছে!
আমি : তোমাকে
জান্নাতের ব্যাপারে
কে বলছে?
আখি : আপনার রুম
থেকে জান্নাতের
দেওয়া চিরকুট টা পড়ে
সব বুঝেছি!!আপনাদের
মাঝে কি হয়েছে আমি
যানি না তবে চিন্তা
করবেন না সব ঠিক হয়ে
যাবে!!
আমি : সব ঠিক হলে
তুমি কেমন করবে!
তুমিও তো আমাকে
ভালোবাসো! নাকি
সেদিন মিথ্যা
বলেছিলে!!
আখি : আমার
ভালোবাসা মিথ্যা নয়!
আমি যানি জুড় করে
কারো ভালোবাসা
পাওয়া যায় না! আপনার
মনে আমার জন্য কোন
জায়গা নেই, আপনি
আপনার সবটা দিয়েই
জান্নাতকে
ভালোবেসে ফেলেছেন
সব বুঝি!!
আমি : তুমি এত কিছু
বুঝলে কেমন করে!!
আখি : মেয়েদের অনেক
কিছু বুঝার ক্ষমতা
থাকে সে আপনি বুঝবেন
না!!
আমি : জ্বি না,
মেয়েরা অনেক কিছু
বুঝতে পারে কি না
সেটা যানি না!.তবে
মেয়েদের কোন কিছু
কেও বুঝতে পারে না!!
যেমন আমি,,, জান্নাত
কেনো এমন করছে কিছুই
বুঝতে পারছি!!
আখি : আপনার
ভালোবাসা যদি সত্যি
হয়ে থাকে তাহলে
অবশ্যই জান্নাত আপনার
জিবনে আবার ফিরে
আসবে!!
আমি : তাহলে তোমার
ভালোবাসার কি হবে??
আখি : আমার
ভালোবাসা না হয়
অপূর্ণই থেকে যাবে!!
সব ভালোবাসার যে
পূর্নতা পেতে হবে
এমনটা তো কথা নেই!!
ভালোবাসার মানুষকে
সারাজিবন এর জন্য
পেতে অনেক বড় কপাল
লাগে!! আর সেটা
হয়তো আমার নেই!!!
এইটুকু বলে আখি চোখের
পানি লুকিয়ে মুচকি
হেঁসে রুমের বাহিরে
চলে গেলো!!
আখি, বাহিরে চলে
গেলে আম্মু ভিতরে
এসে বলল, বাবা কিছু
লাগবে??
আমি : হুমম!!
আম্মু : কী লাগবে
বাবা!!
আমি : একটু বাহিরে
যেতে চাই!!
আম্মু : কেনো কি
লাগবে বল আমি এনে
দিচ্ছি!!
আমি : সিগারেট
লাগবে এনে দিতে
পারবে?? ( আম্মু যানেই
আমি অনেক আগে
থেকেই সিগারেট খাই)
আম্মু কিছুক্ষন চুপ থেকে
বলল! তোর এ অবস্থায়
কি ভাবে সিগারেট
দেই!!
আমি : প্লিজ মা আর
পারতেছি না একটা
খেলে কিছু হবে না!!
আম্মু বলল : আচ্ছা
দেখছি কি করা যায় এই
বলে, আম্মু চলে
গেলো!!
কিছুক্ষন পর আখিকে
দিয়ে একটা প্যাক এর
ভিতরে একটা সিগারেট
আর একটা দেশলাই
পাঠিয়ে দিয়েছে!!
এসব দেখে আখি বলে
উঠল : আপনার তুলনা
হয়না!! আপনার আম্মুর
সাথে আপনি এতটা ফ্রি
আগে যানতাম না,!!
আমি : হাহা হুম!!
আমি আসতে আসতে
উঠে ওয়াশরুমে গিয়ে
সিগারেট খেয়ে
আসলাম!!
এভাবে দুদিন চলে
গেলো!!
ডাক্তার এসে বলল :
হুসাইন ঠিক হয়ে
গিয়েছে! তবে কিছু
ঔষুধ লেখে দিচ্ছি
ওগুলা ঠিকমতো কিছুদিন
খেলে পুরোপুরি সুস্থ
হয়ে উঠবে!!
আম্মু : আচ্ছা আমার
ছেলেকে বাসায় নিয়ে
যেতে পারবো কবে??
ডাক্তার : কাল
সকালে,, তবে আজ
বিকেলেও নিয়ে যেতে
পারবেন সমস্যা নেই!!
আম্মু আমাকে বলল :
কখন বাসায় যেতে চাও
বাবা “”
আমি : এখনি যাবো!!
আম্মু : এখন যেতে
পারবে না, আচ্ছা
তাহলে আমরা
বিকেলের দিকে বাসায়
যাবো!!
আমি মাথা নেড়ে হ্যা
বললাম!!
বিকেলের দিকে
আমাকে বাসায় নিয়ে
আসা হলো!!
সন্ধার দিকে
জান্নাতের কথা খুব
মনে পরছিলো!
শরির টাও তেমন ভাবে
ঠিক হয়নি!!
আমি সকল রাগ অভিমান
ভুলে পায়ে হেটেই
জান্নাতদের বাসার
উদ্দেশ্য বেরিয়ে
পড়লাম!!
জান্নাতের বাসার
সামনে যেতেই দেখতে
পেলাম জন্নাতের রুমের
লাইট ওফ!কিন্ত এখন
জান্নাতের রুমের লাইট
ওফ থাকার কথা না!!
আমি দরজাতে নক করার
সাথে সাথে আন্টি
দরজা খুলে দিলো!!
আন্টি : তুমি অসুস্থ, তো
এত কষ্ট করে এখানে
আসার কি দরকার
ছিলো!!
আমি : হসপিটালে
আমাকে সবাই দেখতে
এসেছিলো আপনিও
ছিলেন কিন্ত জান্নাত
আসেনি কেনো ওর কি
কোন সমস্যা হয়েছে!!
আন্টির মুখের দিকে
তাকিয়ে লক্ষ করলাম
আন্টি কোন কিছু আমার
কাছ থেকে লুকাচ্ছে!!
আন্টি বলল : না বাবা
তেমন কিছু না!!
আন্টি আমাকে নিয়ে
জান্নাতের রুমে গেলো!
আন্টি লাইট অন করতেই
দেখতে পেলাম জান্নাত
ঘুমাচ্ছে!!
তবে এটা সেই আগের
জান্নাত না!
অনেক শুকিয়ে গিয়েছে
চোখের নিচে কালো
কালো ছাপ পরে
গিয়েছে!!
আমি জান্নাতের পাশে
বসে জান্নাতের মাথায়
হাত রাখতেই ওর ঘুম
ভেঙে গেলো!!
জান্নাত বিছানায় উঠে
বসে আমাকে বললো :
কেমন আছিস??
আমি : হুম ভালো তবে
তোর এ অবস্থা কেনো??
জান্নাত : এমনি ও কিছু
না বাদ দে!! আচ্ছা
তোকে একটা কথা বলার
ছিলো!!
আমি : হুম বল”
জান্নাত : দুদিন পর
আমার বিয়ে সো আমার
বিয়েতে তোকে কিন্ত
আসতেই হবে!!
আমার মাথায় যেনো
আকাশ ভেঙে পড়ল,
ডাক্তার বলেছিলো
আমি যেনো কোন কিছুর
চাপ না নেই!!
আমি নিজেকে সামলে
নিয়ে : বললাম এটা
কবে ঠিক হলো কিছুই
তো যানলাম না!!
আমাকে না যানিয়েই
বিয়ে ঠিক করে
ফেলেছিস, আজ আমি
না আসলে হয়তো
আমাকে ছাড়াই বিয়েটা
করে ফেলতি!!
জান্নাত : আব্বুর
ফ্রেন্ডের ছেলের
সাথে হুট করেই আমার
বিয়ে ঠিক করে
ফেলেছে আমি বুঝতেও
পারিনি!!
আমি : ওহ্ আচ্ছা সমস্যা
নেই, ওকে আমি অবশ্যই
তোর বিয়েতে আসবো!!
আর কিছু বলতে
পারলাম, কখন যে আমার
চোখের কোনে পানি
জমে গিয়েছে বুঝতেই
পারিনি!!
তাই সেখানে আর
বেশিক্ষন থাকলাম না!!
বাসায় চলে আসলাম,
রাস্তা দিয়ে হেটে
হেটে আসার সময় আমার
চোখ দিয়ে অঝড়ে পারি
ঝরেছে!!
বাসায় এসে নিজেকে
সান্তনা দিয়ে ভাবলাম!
যদি আমার ভালোবাসা
সত্যি হয়ে থাকে তাহলে
অবশ্যই জান্নাত আমার
কাছে ফিরে আসবে!!
কিন্ত বার বার মনে
হচ্ছে আমি জান্নাত কে
হারিয়ে ফেলছি!!
তবে আমার বিশ্বাস
জান্নাত আমার!! আর
আমার কাছেই ফিরে
আসবে!!
দেখতে দেখতে দুদিন
চলে যায়,,, কাল
জান্নাতের বিয়ে!!!
……….. চলবে……
#পর্ব : ৭
তবে আমার বিশ্বাস
জান্নাত আমার!! আর
আমার কাছেই ফিরে
আসবে!!
দেখতে দেখতে দুদিন
চলে যায়, কাল
জান্নাতের বিয়ে!!
দেখতে দেখতে দুদিন
চলে যায়,,, কাল
জান্নাতের বিয়ে!!!
রুমেই সুয়ে আছি,
এমন সময় এক ফ্রেন্ডের
ফোন আসলো!
রিসিভ করতেই ফ্রেন্ড
বলল :- কিরে হুসাইন কই
তুই??
আমি : কেনো কি
হয়ছে??
ফ্রেন্ড: আজ
জান্নাতের বিয়ে
যানিছ না??
আমি : হুম যানি তো কি
হয়ছে??
ফ্রেন্ড : তো কি হয়ছে
মানে, তুই যাকে নিয়ে
সপ্ন দেখতি আর
আমাদের কে তোর আর
জান্নাতের গল্প
শুনাইতি আজ তার বিয়ে
হয়ে যাচ্ছে, অথচ তোর
কোন চিন্তায় নেই!!
আমি : বাদ দে তো ও
আমার জাস্ট ফ্রেন্ড
ছিলো!!
ফ্রেন্ড : বোকা ভাবিস
না, সব যানি তুই বাসা
থেকে বের হ আমি সব
রেডি করে রাখছি!!
আমি :মানে? কি রেডি
করে রাখছস??
ফ্রেন্ড : জান্নাত কে
উঠিয়ে নিয়ে আসবো!!
আমি : হাহা,,না থাক
রে!!আর জান্নাত আমার
সাথে কখনো আসবে
না!!
ফ্রেন্ড : আসবে না
মানে! অজ্ঞান করে
নিয়ে আসবো, ভাব
নেওয়ার জায়গা পায়
না মেয়েটা!!
আমি : আচ্ছা বাদ দে
তো এ সব!! এখন
রাখছি!!
এই বলে আমি ফোন
রেখে দিলাম “এমন সময়
আম্মু রুমে আসলো!!
আম্মু : কি হয়ছে?
আমি : কই কিছু না তো!!
আম্মু : তাহলে তোর
চোখ বেয়ে পানি পড়ছে
কেনো??
আমি : ওহ্ খেয়াল
করেনি! হয়তো চোখে
কিছু ডুকেছে!!
আম্মু : দরজার পাশে
দাড়িয়ে, সব শুনেছি!!
তুই অনেক বড় হয়ে
গেছিস! ছোট বেলায়
তো পিপড়ার কামুড়
খেয়ে আমার কাছে
এসে কান্না করছিস!!
আর এখন এত বড় মাপের
কষ্ট লুকিয়ে আমার
সাথে দিব্বি হেঁসে
হেঁসে কথা বলছিস!!
তখন আর নিজেকে
আটকে রাখতে পারলাম
না!
আম্মু কে জরিয়ে ধরে
কান্নার সুরে বললাম :-
হুম মা জান্নাত কে খুব
ভালোবেসে ফেলেছি
হয়তো বা নিজের
থেকেও বেশী!!
আম্মু : তো চিন্তা
কিসের তোর ফ্রেন্ডের
সাথে গিয়ে উঠিয়ে
নিয়ে আয়!! পরে যা
হবে আমি বুঝবো তবে
তোর কষ্ট দেখতে রাজি
না!!
আমি : জান্নাত যদি
জাস্ট একবার বলতো,
যে আমাকে ও এখনো
ভালোবাসে, তাহলে
জান্নাত কে আমার
কাছ থেকে কেও
আলাদা করতে পারতো
না! বাট ও তো এখন
আমাকে সহ্য’ই করতে
পারেনা!.তাই যা হবার
হবে সব ভাগ্যের উপরে
ছেড়ে দিয়েছি!!
আম্মু : তাহলে এখন কি
করবি??
আমি : কিছু না, ভাগ্যে
যদি থাকে তো জান্নাত
ফিরে আসবে, আর না
থাকলে,,, যাক বাদ
দাও!!
আম্মু : সে তুই যা ভালো
বুঝিছ কর। তবে এভাবে
মন মরা হয়ে বসে
থাকবি না, আমার
খারাপ লাগে!!
আমি : ওকে!
আম্মু চলে গেলে ”
আবার আখি ভিতরে
আসতে চাইলে আমি
বললাম:- বাহিরে আর
কেও আছে??
আখি : না!!
আমি : আচ্ছা এখানে
কি ইন্টারভিও চলছে
নাকি যে একের পর এক
আসছো??
আখি : এভাবে বলছেন
কেনো?? আচ্ছা চলে
যাচ্ছি!!
আমি : না, কি বলবে
বলে যাও!
আখি : আজ আমি
আমাদের বাসায় চলে
যাচ্ছি তাই বলতে
আসছিলাম, এতখন আপনি
আপনার আম্মুর সাথে
কথা বললেন তাই
ভিতরে আসেনি!!
আখির কথা শুনে
কিছুক্ষন চুপচাপ বসে
রইলাম!
তারপর বললাম :
আজকেই কেনো যেতে
হবে!!
আখি : আসছি তো
অনেকদিন হলো, বাসা
থেকে আম্মু ফোন
দিয়েছিলো “বলল
বাসায় চলে আসতে!!
আমি : আজ তো যেতে
পারবে না!
আখি : কেনো পারবো
না!
আমি : আজ জান্নাতের
বিয়ে!
আখি : তাই কী??
আমি : তাই কী মানে!
আমি কান্না করলে
আমাকে সান্তনা কে
দিবে শুনি!!
আখি : হাহাহা!! আপনি
বাচ্চাদের মত কান্না
করবেন??
আমি : হুমম!!
আখি : ওকে তাহলে
আপনার কান্না দেখতে
আজ না হয় থেকে যাই
কি বলেন!!
আমি : হুম থ্যাংকস
আখি : চলে যাচ্ছিলাম
তাই আপনার জন্য একটা
সিগারেট এর প্যাক
কিনে এনেছি “ভাবলাম
এটা দিয়ে চলে যাবো!!
আমি : কই দাও তাহলে!!
আখি : জ্বি না আজ তো
যাওয়া হচ্ছে না তাই,
কাল যাওয়ার সময়
দিবো!!
আমি : নাহ্, এখন এটা
দাও পরে না হয় আরেক
প্যাকেট দিয়ে যাবে!!
আখি : ওকে!
আখি সিগারেট দিয়ে
চলে গেলো!!
দিনটা কষ্টে কোন
ভাবে কাটিয়ে নিলাম!
জান্নাত কে হয়তো রাত
১১ টা ১২ টার দিকে
ওদের বাসা থেকে
নিয়ে যাবে বিয়ের সব
কাজ সম্পর্ন করে!!!
এখন সন্ধা নেমে
গিয়েছে ! কষ্টটা
যেনো ধীরে ধীরে
বেড়েই চলেছে! আজ
সারাদিন আমার রুম
থেকেই বের হয়নি!
জান্নাত কে শেষ একটি
বারের জন্য দেখার
জন্য মনটা পাগলের মত
ছটফট করছে!
তাই দৌড়ে জান্নাতের
বাসার দিকে ছুটে
গেলাম!!
দূর থেকেই বিয়ে বাড়ির
হৈ চৈ শুনতে পেলাম!
বুকের বা পাশটা কষ্টে
যেনো অবশ হয়ে
যাচ্ছে!!
আমি আস্তে আস্তে
জান্নাতদের বাসায়
ডুকলাম!
বাসায় অনেক লোকজন!
পরিচিত কাওকে খুজে
পাচ্ছি না যে
জান্নাতের কথা
জিজ্ঞেসা করবো!!
হঠাৎ জান্নাতের এক
মেয়ে ফ্রেন্ডকে
দেখতে পেলাম ওর নাম
রুপা!
রুপা আমাকে দেখতেই
আমার দিকে ছুটে
আসলো!!
রুপা বলল : হুসাইন
ভাইয়া আপনি এখানে!!
কেনো জান্নাত তো
উপরে!
আমি : জান্নাত উপরে??
রুপা : হুম, আচ্ছা আপনি
নাকি মৃত থেকে জীবিত
হয়েছেন??
আমি : কে বলেছে
এগুলা??
রুপা : এলাকার সবাই
যানে আমি যানবো না!!
আমি : ওহ্ কিন্ত মৃত
মানুষ কখনো জীবিত হয়
না, আমার রেসপন্স
দূর্বল ছিলো তাই ওমনটা
হয়েছিলো!!
রুপা : ওহ্ আচ্ছা এখন
বুঝলাম! বাট এই সমান্য
কাহিনি কে লোকেরা
রচনা করে ফেলছে!
আপনি নাকি কবর থেকে
উঠে এসেছেন! আরো এ
রকম অনেক কিছু বলছে
তারা!!
আমি : ওহ্, বাদ দাও
আচ্ছা আমাকে একটু
জান্নাতের কাছে
নিয়ে যেতে পারবে??
রুপা : আপনি হলেন
জান্নাতের
বেস্টফ্রেন্ড আপনাকে
আমার নিয়ে যেতে হবে
কেনো!. আপনিই তো
যেতে পারেন “!
রুপার কথা শুনে
জান্নাতের আর আমার
সেই আগের মিষ্টি
ফ্রেন্ডশিপের কথা মনে
পরে গিয়েছে! কতই না
সুন্দর ছিলো সেসব দিন
গুলো,এগুলা ভাবতে
ভাবতে চোখের কুনে
অনেকটা পানি জমে
গিয়েছে!!
আমি রুপা কে বললাম
আচ্ছা তুমি যাও
তাহলে!!
রুপা চলে গেলে আমি
উপরে গেলাম!
দরজার বাহির থেকে
জান্নাত কে দেখতে
পেলাম!
জান্নাতেত দিকে
তাকিয়ে চোখ ফেরাতে
পারছি না!
জান্নাত এমনিতে
অনেক সুন্দর, তার মাঝে
আজ আবার বিয়ের
সাজে!
কখনো পরী দেখিনি
তবে পরীদের বিষয়ে
যতটুকু শুনেছি! তার
থেকে জান্নাত কোন
অংশে কম নয়!!
সেখানে আর বেশিখন
থাকতে পারলাম না!
দ্রত বাসায় চলে
আসলাম!!
নিজের উপর এত রাগ
হচ্ছিল বলে বুঝাতে
পারবো না!
কেনো যে সেদিন
জান্নাতের ভালোবাসা
অবহেলা করেছি,
সেদিন জান্নাতকে
ফিরিয়ে না দিলে আজ
হয়তো আমার এমন দিন
দেখতে হতো না!!
রাগে আমার রুমের
জিনিস পত্র ভাঙতে শুরু
করে দিই,
জিনিস পত্র ভাঙার শব্দ
পেয়ে নিচ থেকে
আম্মু,আপু চলে আসে!
আমাকে সান্তনা দিয়ে
তারা চলে যায়!!
আমাকে বলে ঘুম
আসতে! তবে ঘুম আসছিল
না বলে!
৩,৪ টা ঘুমের ঔষুধ এক
বারে খেয়ে ফেলি!
এখন আর বিছানায়
উঠতে পারিনি বিছনার
নিচে ফ্লোলে ঘুমিয়ে
পড়লাম!!
সকালে ঘুম থেকে উঠে
অনুভব করলাম আমি
বিছানাতে সুয়ে
আছি!!.আমার কপালে
কে যেনো চুমু খাচ্ছে!
চোখ খুলতেই দেখতে
পেলাম,,
জান্নাত আমার পাশে
বসে কপালে চুমু
দিচ্ছে!!
নিজের চোখকে যেনো
বিশ্বাস করতে পারছি
নাহ্!!
তাই হালকা করে আমার
শরিরে চিমটি
কাটলাম,,
এটা ভেবে যে,,আমি
সপ্ন দেখছি না
তো!!!!??
!!
!!
…………. চলবে