#তোলপাড়💓
#পর্বঃ২২
#শান্তনা_আক্তার(Writer)
দুপুরের হলুদ আভা কমে বিকেলের দিকে ঢলে পড়েছে।রিমি এখনো ঘুমিয়ে আছে।আহসান সেই সকাল থেকে রিমিকে পাহারা দিচ্ছে যাতে রিমির ঘুমে কোনো প্রকার বাধা না পড়ে।আহসান নতুন ফোন অর্ডার করেছিলো।কিছুক্ষণ আগে ডিলেভারিম্যান এসে দিয়ে যায়।আহসান এখন ওর নতুন ফোনে পুরনো সিম লাগাতে ব্যস্ত।এমন সময় রিমির ঘুম ভেঙে যায়।ভালো করে চোখ কোচলে উঠে পড়ে রিমি।আহসান রিমিকে উঠে যেতে দেখে বলল,কি করছো?আরেকটু রেস্ট নেও ভালো লাগবে শরীর।
রিমি দেয়ালে টাঙানো ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলে,আপনার মাথা ঠিক আছে তো?বেলা ৫টা বাজে আর আপনি কিনা এখনো ঘুমিয়ে থাকতে বলছেন!আগে ডাকেননি কেন আমায়?
-তুমি সারারাত না ঘুমিয়ে খুব বেশি সিক হয়ে পড়েছো তাই ডাকিনি। এখনো পুরোপুরি ক্লান্তি কাটেনি তোমার।তাই কিপ রেস্ট।
-একদম ই না।আমি এখন খুব ভালো আছি।একটুও ক্লান্ত নই।দেখুন ভালো করে।(মুখটা এগিয়ে দিয়ে)
-আমি ডক্টর নাকি তুমি হুম?
-কেন, আপনি।
-তাহলে আমি যা বলবো তাই শুনতে হবে।
-এমন করছেন কেন?আমার আর ভালো লাগছে না শুয়ে থাকতে।প্লিজ আমাকে আর ঘুমানোর শাস্তি দেবেন না।
-আচ্ছা ঠিক আছে।তুমি তাহলে শাওয়ার নিয়ে নাও।সকাল থেকে ঘুমিয়েছো।তাই শাওয়ার নেওয়ার সুযোগ পাওনি।
-হুম ঠিক বলেছেন।
রিমি সদ্য গোসল করে বাহিরে বেরিয়েছে।মাথায় টাওয়াল পেচানো।টাওয়ালটা খুলে সেটাকে পাক দিয়ে চুলে বারি দিল।আর সাথে সাথে আহসান চিল্লিয়ে বলে,এই তুমি কি করলে এটা?ভিজিয়ে দিলে তো আমাকে!
-আমি কতটা দূরে দেখেছেন?এতো দূর থেকে আপনি ভিজবেন কি করে?যেভাবে বললেন মনে হচ্ছে আমার চুলের মধ্যে এক বালতি পানি আছে।যেই পানি আপনাকে কাঠ ভেজা ভিজিয়ে দিয়েছে।
-আমি ভিজিনি?দেখো আমার মুখ ভিজেছি কি ভিজেনি এই বলে রিমির কাছে তেড়ে গেল আহসান।
রিমি ভয় ভয় চোখে বলল,ক কি করবেন আপনি হুম?আ আমি মুছে দিচ্ছি আপনার মুখ।রিমি ওর ওড়না দিয়ে আহসানের মুখ মুছে দিতে লাগলো।রিমির এমন কাজে আহসানের রাগ উবে গেল।আহসান নেশাক্ত চোখে রিমির কপালে লেপ্টে থাকা ভেজা চুলগুলো হাত দিয়ে সরিয়ে দিল।রিমি আহসানের ভাব বুঝতে পেরে কিছুটা দূরে সরে এসে বলল,আমি আপনার জন্য কফি নিয়ে আসছি এই বলে দিল এক দৌঁড়।রিমির এরুপ কান্ড দেখে আহসান বাকা হেসে বললো,বড্ড বেশি পাগলী তুমি।ওপ্স অনেক কাজ জমে আছে আমার।হারি আপ আহসান এই বলে পুনরায় কাজে মন দিল।
(সবাই আমার গল্পের পেজ Shantona’s Own Stories এ লাইক দিয়ে রাখুন)
বাহিরে বেরিয়ে রিমি আহসানকে আচ্ছা মতো ধোলাই করে যাচ্ছে।
-হুহ,ব্যাটা খচ্চর,খাট্টাশ, লুচু কোথাকার।উনি বদরাগী,দাম্ভিক সাথে লো ক্যারেক্টারের ও।পুরো ক্যারেক্টারলেস।কিছু বলিনা বলে মাথায় চড়ে বসেছে একদম।কথা নেই বাত্রা নেই এসব কি শুরু করে দেন উনি!ওনার মতলব মতিগতি সত্যি ভালো নেই।এখন থেকে দূরুত্ব বজায় রেখে চলতে হবে ওই ভ্যাম্পায়ারটার থেকে।
-কে ভ্যাম্পায়ার?
রিমি সামনে তাকিয়ে দেখলো আম্বিয়া দাঁড়িয়ে আছে।
-কোথায় ভ্যাম্পায়ার?(রিমি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিল)
-তুইতো বলছিলি ভ্যাম্পায়ার নিয়ে কিছু একটা।
-ওওওও আচ্ছা।ধুর বাদ দাও তো কি ভ্যাম্পায়ার ভ্যাম্পায়ার লাগিয়ে রেখেছো সেই থেকে।তুমি বলো খেয়েছিলে তো?
-হুম খেয়েছি।
-আর আব্বু?
-সে তেমন খেতে পারেনি রে।গ্রামে গিয়েছে সেই সকালেই।
-কিহ!গ্রামে কেন গিয়েছে?বলে যায়নি তো!
আম্বিয়া হতাশা নিয়ে বললেন,তোর চাচা খুব অসুস্থ রে।তোর বাবাকে দেখতে চাইলো তাই তাড়াহুড়ো করে চলে গেলেন।তোদের না জানিয়ে গিয়েছে।বলেছে তোদের বিরক্ত করার দরকার নেই।তাই বলে যায়নি।জামাই বাসায় এই জন্য যাওয়ার জন্য তার মন সায় দিচ্ছিলো না।কিন্তু কি করবে? ভাইকেও তো দেখতে হবে।
-ওও,চাচা কদিন পর পরই অসুস্থ হয়ে যান।কতো বলেছি মাঠে ঘাটে না দৌঁড়ে একটু আরাম করতে।যোয়ান মদ্দ তিনটা ছেলে তার তাও সারাদিন খেটেই যায়।যাই হোক তুমি বলো বাজারের ব্যাগ নিয়ে কি করছো?
-ওমা!বাজারের ব্যাগ নিয়ে কি করে তা তুই জানিস না নাকি?
-জানি তবে তোমার হাতে কেন?
-একটু বাজারে যাওয়ার কাজ ছিলো।তোর বাবা থাকলে তো সেই এনে দিত।
-হুম।কিন্তু তুমি এই হাটুর ব্যাথা নিয়ে সারা বাজার কিভাবে ঘুরবে?
-কিছু করার নেই রে মা।আজ যদি একটা ছেলে থাকতো তাহলে এতো কষ্ট করতে হতো না।(কথাটা বলতে গিয়ে আম্বিয়ার চোখ ছলছল করে এলো)
-কতবার বলেছি এই কথাটা বলবে না কখনো!ছেলে নেই তাতে কি?আমি তো আছি।আমি থাকতে তোমাকে কোনো চিন্তা করতে হবে না।
-তুই আর কি করবি?আমি গেলাম আসতে আসতে সন্ধ্যা নেমে যেতে পারে বা রাত।
-তুমি এই ব্যাগটা আমাকে দাও বলে আম্বিয়ার হাত থেকে বাজারের ব্যাগটা নিয়ে নেয়।
-দেখ আমার কাছে কিন্তু সময় নেই।ব্যাগটা দিয়ে দে।
-না তুমি গিয়ে শুয়ে থাকো আমি বাজার করে আনছি।
-কি যা তা বলছিস!জামাই শুনলে বলবে কি?
-কিছুই বলবে না,আমি ওনাকে নিয়েই যাচ্ছি।
-ছিহ,লোকে কি বলবে?জামাই মেয়েকে বাজারে পাঠিয়ে দিলাম ছি ছি।
-এতে ছি ছি করার কিছুই নেই।তুমি তোমার রুমে যাও।নইলে ব্যাগ দেবনা বলে দিলাম।
-এমন করিস না মা!
-উফফ চুপ করো তো।রিমি আম্বিয়াকে রাজি করিয়েই ছাড়লো।তারপর নিজের রুমে এসে বোরকা পড়ে নিল।আহসান রিমিকে বোরখা পড়তে দেখে জিজ্ঞেস করে,তুমি এই সময়ে বোরকা পড়ে কোথায় যাচ্ছো?
-আমি একা যাচ্ছি না আপনি ও যাচ্ছেন।(হিজাব পড়তে পড়তে)
-মানে?আমি কোথায় যাচ্ছি?
-বাজারে।
-What nonsense!আমি কিনা বাজারে যাব?
-হুম তো?
-আমি বাজারে গিয়ে কি করবো?
-বাজারে গিয়ে মানুষ বাজারই তো করে।কখনো শুনেছেন বাজারে মানুষ লেখাপড়া করতে যায়?
আহসান অনামিকা আঙুল রিমির দিকে তাক করে বলে,Don’t talk rubbish..একদম উল্টো পালটা আন্সার্স দিবে না বলে দিলাম।
-উনি নাকি ভালো মানুষ হবেন হাহ!দু মিনিট রাগ সহ্য করতে পারে না আর উনি নাকি ভালো মানুষ হবেন।আমি ঠিক জানতাম উনি ভালো কেন ভালোর ভ ও হতে পারবে না।
-বাজারে গেলেই তো কেউ ভালো হয়ে যায়না।কিসের সাথে কি মেলাচ্ছো হুম?
-আমাকে আপনি কি বলেছিলেন?(আহসানের দিকে তেড়ে গিয়ে)
আহসান ভ্রু উঁচিয়ে জিজ্ঞেস করে, কি বলেছিলাম?
-বাহ সুন্দর তো!এখন ভুলেই গেছেন কি বলেছিলেন।সব জানতাম আপনাদের মতো বড়লোকরা কথা দিয়ে কথা রাখেন না।আপনাদের কথার কোনো ভেলুই নেই।আজ যদি আপনার জায়গায় একজন সাধারণ মানুষ থাকতো তাহলে সে ঠিকই বাজারে যেত।
-What! are you crazy?দেখ আমি ছুটিতে আছি তাতে কি?আমাকে হসপিটালের অনেক কাজ করতে হয় বুঝেছো?
-থাক হয়েছে।আর বাহানা বানাতে হবে না।আমি বেশ বুঝতে পারছি আপনাকে গরু ছাগল বানানো যাবে তবে ভালো মানুষ না।এটা আমার দ্বারা সম্ভব না।রিমি দেখলো আহসান চোখ গরম করে তাকিয়ে আছে ওর দিকে।
-এ এ এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?আপনার ইচ্ছে না হলে যেয়েন না।আর আমাকে মাফ করবেন আমি আপনার মতো অবাধ্য ছাত্রকে ভালো বানাতে পারলাম না।সরি আমি একাই যাচ্ছি বাজারে এই বলে বেরিয়ে আসছিলো কি আহসানের কথায় থেমে যায়।
-দাঁড়াও,আমি যাচ্ছি তোমার সাথে।(বিরক্তি নিয়ে)
রিমি মিটিমিটি হেসে ঘুরে দাঁড়ালো।
-এইতো লাইনে এসেছেন।এবার চলুন।
আহসান ও রিমি নিচে নামলো।নিচে নেমেই আহসান ওর গাড়ির ভেতর ঢুকে গেল।রিমির জন্য দরজা খুলে দিল কিন্তু রিমি উঠলো না সেভাবেই দাঁড়িয়ে রইলো রাগী ফেস করে।
#তোলপাড়💓
#পর্বঃ২৩
#শান্তনা_আক্তার(Writer)
আহসান গাড়ি থেমে নেমে বলল,গাড়িতে উঠছো না কেন?কি প্রবলেম?
রিমি অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে জবাব দিল,আমি আপনার গাড়িতে চড়ে যাবনা বাজারে।
-দেখ আমার কিন্তু আর সহ্য হচ্ছে না।একে বাজারে যাওয়ার জন্য কনভিন্স হয়েছি তার উপর তোমার এই আরেক ঝামেলা।
-আমি কোনো ঝামেলা করছি না।আমি জাস্ট বলেছি আপনার গাড়িতে আমি যাবনা।
-গাড়িতে যাবে না তো কি আমার কোলে বসে যাবে(দাঁত কিরমির করে)
-আমি কি তাই বলেছি একবারও!আমি আপনার গাড়িতে যাবনা কারণ আমি চাই আমরা আব্বুর সাইকেলে চড়ে বাজারে যাব।
-হোয়াট!ফান ছাড়ো আর গাড়িতে গিয়ে বোসো।
-আমি মোটেও ফান করছি না।করার ইচ্ছেও নেই।আমি সিরিয়াস।
-সাইকেল কি তুমি চালাবে?আমি এই গরমে সাইকেল চালাতে পারবো না।আমার দ্বারা এই সিলি কাজ সম্ভব না।জাস্ট ইম্পসিবল।
রিমি ওর দুই হাত বুকের সাথে বেধে বলল,তা কেন পারবেন?বড়লোক বাপের ব্যাটা যে আপনি।সাইকেল চালালে প্রেস্টিজ প্লাস্টিক হয়ে যাবে তো।লোক সমাজে মুখ দেখাতে পারবেন না।শরীরে দাগ কেটে যাবে।লাটসাহেব একটা হুমহ।
-তুমি যা খুশি বলো আই ডোন্ট কেয়ার।আমি বাজারে যেতে পারলাম না সরি।এই বলে গেটের ভেতর ঢুকে গেল আহসান।
রিমি ভেঙিয়ে বলল,যান যান।আপনি আবার এসেন বলতে আমাকে ভালো মানুষ হতে সাহায্য করবে তো রিমি!তখন দেখেন আমি কি বলি।ভালো মানুষ হতে চাইলে বিলাসিতা ত্যাগ করতে হয়।সেটা আপনি কখনোই পারবেন না।একদমই অসম্ভব কাজ এটা আপনার জন্য।আহসান বেশি দূর আর যেতে পারলো না,পুনরায় পিছিয়ে এলো।তারপর বললো,আমি যাচ্ছি চলো।আহসান কথাটা এক প্রকার বাধ্য হয়ে বললো।ও না পারছে রিমিকে না করতে,আর না পারছে নিজের মর্জি মতো চলতে।রিমি ওর বাবার সাইকেলটা এনে বলল,নিন সাইকেল।আহসান একবার সাইকেলের দিকে তাকাচ্ছে,আরেকবার রিমির দিকে তাকাচ্ছে।বেচারার অবস্থা পাউরুটির জ্যামের মতো হয়ে গেছে।দুকুলেই সংকট।চাপা ওকে পড়তেই হবে।
রিমি দুষ্টু হাসি দিয়ে বলল,তাড়াতাড়ি করুন সময় তো আর বসে থাকবে না আমাদের জন্য।আহসান অসহায়ের মতো সাইকেলে চড়ে রিমিকে বেশ রেগেমেগে বলে,ওঠো।রিমি সাইকেলের পিছনে বসতেই আহসান সাইকেল চালাতে শুরু করে।রিমি ডান বাম বলে বাজারের রাস্তা দেখিয়ে দেয়।বাজারে পৌঁছে ওরা প্রথমে সবজির দোকানে গেল।গিয়েই রিমি একটা টমেটো হাতে নিয়ে বলল,চাচা টমেটোর কেজি কত?
দোকানদার উত্তর দিল,২৫ টেকা কিলো।
রিমি চোখ বড় বড় তাকিয়ে বলল,বললেই হলো ২৫ টাকা কিলো!২০টাকার এক টাকাও কম দেব না।২০ টাকা কিলো হলে ৩ কিলো নেব।দোকানদার বলল,আইচ্চা নেন তাইলে।এরপর রিমি আলুর কেজি কত জিজ্ঞেস করল।দোকানদার বলল ২০ টা কেজি।রিমি বলল ১৮ টাকার এক টাকাও কম দেবে না।এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে গেল।আহসান এসব দেখে বিরক্তি নিয়ে বলল,ডিসগাস্টিং তুমি ২-৫ টাকার জন্য ঝামেলা কেন করছো?আমি দাম দিয়ে দিচ্ছে তুমি যা লাগবে নিয়ে নাও তবে বার্গেনিং ছাড়া।
-আপনি কি বলছেন হুম?২-৫ টাকা কি টাকা না?যেটা সঠিক দাম আমি সেটাই বলেছি।শুধু শুধু ২টাকা বেশি কেন দেব?আর আপনাকে দাম দিতে হবেনা।আম্মু যত টাকা দিয়েছে ওই দিয়েই সব সদাই কিনে আরও টাকা বেঁচে যাবে।আপনি চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকেন তো।আহসান আর কিছু বললো না।চুপচাপ দাঁড়িয়ে রিমির কান্ডকারখানা দেখে গেল।রিমি একটার পর একটা সবজি নিচ্ছে।তবে দরকষাকষি করে।সবজি নিতেই বেশ খানিক সময় ব্যয় হয়ে গেল।তারপর ওরা মাছের দোকানে গেল।সেখানে গিয়ে আহসান ওর পকেট থেকে রুমাল বের করে মুখে চেপে ধরল।রিমি মাছ দেখছিল এমন সময় আহসান রিমির এক হাত টেনে কিছুটা দূরে নিয়ে গিয়ে বলল,এই তুমি আমাকে এখানে কেন এনেছো?কি বিচ্ছিরী স্মেল এখানে।আমি আর এক মুহুর্তও দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না।
-আচ্ছা আপনি এখানেই দাঁড়ান তাহলে।আমি মাছটা নিয়ে নেই তারপর আর থাকতে হবে না এখানে।আমরা চলে যাব।আর কিছুসময় ম্যানেজ করে নিন প্লিজ।
-ওকে ডু ফাস্ট।রিমি মাছ কিনে আহসানের দিকে আসছিল কি একটা ছেলে ইচ্ছে করে রিমির সাথে ধাক্কা খেল।রিমি ছেলেটির দিকে তাকাতেই ছেলেটা হাসি দিয়ে বলল,একা একা বাজার করতে এসেছো বাবু!কথাটা বলার সাথে সাথে রিমি ছেলেটার গালে কষে এক চড় বসিয়ে দিল।সাথে সাথে আশেপাশের সব মানুষ এসে ভিড় জমিয়ে দিল।আহসান ভিড় দেখতে পেয়ে এগিয়ে আসলো।রিমি ছেলেটিকে যা নয় তাই বলে যাচ্ছে।ছেলেটিও যা নয় তাই বলছে।
আহসান ভির এড়িয়ে রিমির কাছে গিয়ে বলল,এসব কি করছো তুমি? সামান্য দামের জন্য লোকটার সাথে ঝগড়া করছো কেন?
-আমি ঝগড়া করছি না এই ছেলেটা আমার সাথে ইচ্ছে করে ধাক্কা খেয়েছে।তার উপর বাবুও বলেছে আমাকে।রিমি কথাটা শেষ করার পর পরই ছেলেটা বলে ওঠে,আপনি তো নাইকা পরীমণি তাই আপনাকে দেখে লোকে ইচ্ছে করে ধাক্কা খাবে তাইনা?
-একে মেয়েদের হ্যারাস করা তারপর উচ্চগলায় কথা বলা তাইনা এই বলে আহসান ছেলেটাকে লাথি চড় মারতে শুরু করলো।কিছু লোজ আহসানকে ঠেকিয়ে ফেলায় ছেলেটা এক দৌঁড়ে পালিয়ে গেল।আহসান রিমিকে ঝাড়ি দিয়ে বলল,হয়েছে বাজার?রিমি মাথা ওপর নিচ ঝাকিয়ে হ্যাঁসূচক উত্তর দিল।তারপর বাজারের ব্যাগগুলো সাইকেলের হ্যান্ডেলে ঝুলিয়ে আহসান রিমিকে নিয়ে সাইকেল চালাতে শুরু করে।বাসার বেশ কাছে চলে এসেছে এমন সময় আহসানকে সাইকেল থামাতে বললো রিমি।
-একটু সাইকেলটা থামাবেন প্লিজ?
আহসান সাইকেল থামিয়ে বলল,আবার কি হয়েছে?
-ওইযে ছোলাবুটওয়ালা।আমি যখনই এই রাস্তা দিয়ে যাই ছোলাবুট খাই ই খাই।
আহসান সাইকেল থেকে নামতে নামতে বলল,তুমি যে আর কি কি দেখাবে আমায়।রিমি ডোন্ট কেয়ার ভাব করে ছোলাবুটওয়ালাকে ছোলাবুট বানিয়ে দিতে বলল।আহসান সাইকেল স্ট্যান্ডে লাগিয়ে রিমির পাশে এসে দাঁড়ালো।রিমি স্পষ্ট বুঝতে পারছে আহসানের মেজাজ খারাপ হয়ে আছে।রিমি ছোলাবুট খেতে খেতে আহসানকে জিজ্ঞেস করলো,আপনি খাবেন?আহসান সোজাসাপ্টা বলল না,আমি এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার খাইনা।তবে রিমি যে নাছোড়বান্দা।সহসে ছাড়বার পাত্রী নয়।
-খেয়ে দেখুন ভালো লাগবে।ওপ্স আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম।আপনি তো লাটসাহেব এসব কি আর আপনাদের মতো মানুষের পেটে হজম হবে!রিমির কথাটা যেন আহসানের একদমই পছন্দ হলো না। আহসান বেশ রাগিসুরে বলল,আমাকেও একটা বানিয়ে দিন এই ছোলা না কি যেন।রিমি আহসানের চোখ লুকিয়ে ঠোঁট কামড়ে হাসছে।আহসান ছোলাবুট মুখে দিতেই ওর সব রাগ নিমিষেই উবে গেল।গপগপ করে সবটা খেয়ে ফেলল।যতক্ষণ ওর পেটে জায়গা ছিলো ততক্ষণ খেয়েই গেল।রিমি শুধু আহসানের খাওয়া দেখে গেল এক ধ্যানে।রিমির কাছে আজ আহসানকে এখন একটা সাধারণ মানুষই মনে হচ্ছে।ওর একটুও মনে হচ্ছে না যে আহসান অহংকারী দাম্ভিক একটা লোক।আহসান খাওয়া শেষ করলে রিমি এক বোতল পানি এনে আহসানের দিকে এগিয়ে দিল।আহসান পানিটার দিকে তাকিয়ে আছে।তা দেখে রিমি বলে ওঠে,এটা বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছিলাম আমি।বাহিরের কাঁচা পানি আপনাকে দেব এতটা খারাপ আমি নই বুঝলেন?আহসান কিছু না বলে পানিটা খেয়ে নিল এক নিশ্বাসে।আহসান বিল মিটিয়ে আবারও রিমিকে নিয়ে সাইকেল চালাতে লাগলো।ওদিকে দুটো চোখ এখনো ওদের দিকে চেয়ে আছে।পকেট থেকে ফোন বের করে কাউকে কল দিয়ে বলতে শুরু করলো,স্যার ওরা মাত্র ছোলাবুট খেয়ে বাড়ির দিকে গেল।ওপাশের লোকটি ফোন কেটে দিয়ে হুংকার দিয়ে বলে ওঠে,কিহহহহ!তুমি এতটা নিচে নেমে গেছ আহসান?প্রথমে ওই আনহাইজেনিক পরিবেশে বাজারে গেলে আর তারপর সেই পরিবেশের খাবারও খেলে?নাহ এভাবে চললে তুমি পুরোপুরি বিগড়ে যাবে।আমাকে ইমিডিয়েটলি কিছু একটা করতে হবে নইলে তুমি তোমার স্ট্যাটাস ভুলে যাবে।ওই মেয়েটার ভাইরাস তোমার শরীরে সংক্রমণের আগেই আমি ওকে তোমার জীবন থেকে সরিয়ে দেব।আর এটা এই রঞ্জিত তালুকদারের প্রমিজ রইলো নিজের কাছে।কথাটা বলে টেবিলে থাকা কাগজপত্র এক থাবায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলল।
#তোলপাড়💓
#পর্বঃ২৩
#শান্তনা_আক্তার(Writer)
আহসান গাড়ি থেমে নেমে বলল,গাড়িতে উঠছো না কেন?কি প্রবলেম?
রিমি অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে জবাব দিল,আমি আপনার গাড়িতে চড়ে যাবনা বাজারে।
-দেখ আমার কিন্তু আর সহ্য হচ্ছে না।একে বাজারে যাওয়ার জন্য কনভিন্স হয়েছি তার উপর তোমার এই আরেক ঝামেলা।
-আমি কোনো ঝামেলা করছি না।আমি জাস্ট বলেছি আপনার গাড়িতে আমি যাবনা।
-গাড়িতে যাবে না তো কি আমার কোলে বসে যাবে(দাঁত কিরমির করে)
-আমি কি তাই বলেছি একবারও!আমি আপনার গাড়িতে যাবনা কারণ আমি চাই আমরা আব্বুর সাইকেলে চড়ে বাজারে যাব।
-হোয়াট!ফান ছাড়ো আর গাড়িতে গিয়ে বোসো।
-আমি মোটেও ফান করছি না।করার ইচ্ছেও নেই।আমি সিরিয়াস।
-সাইকেল কি তুমি চালাবে?আমি এই গরমে সাইকেল চালাতে পারবো না।আমার দ্বারা এই সিলি কাজ সম্ভব না।জাস্ট ইম্পসিবল।
রিমি ওর দুই হাত বুকের সাথে বেধে বলল,তা কেন পারবেন?বড়লোক বাপের ব্যাটা যে আপনি।সাইকেল চালালে প্রেস্টিজ প্লাস্টিক হয়ে যাবে তো।লোক সমাজে মুখ দেখাতে পারবেন না।শরীরে দাগ কেটে যাবে।লাটসাহেব একটা হুমহ।
-তুমি যা খুশি বলো আই ডোন্ট কেয়ার।আমি বাজারে যেতে পারলাম না সরি।এই বলে গেটের ভেতর ঢুকে গেল আহসান।
রিমি ভেঙিয়ে বলল,যান যান।আপনি আবার এসেন বলতে আমাকে ভালো মানুষ হতে সাহায্য করবে তো রিমি!তখন দেখেন আমি কি বলি।ভালো মানুষ হতে চাইলে বিলাসিতা ত্যাগ করতে হয়।সেটা আপনি কখনোই পারবেন না।একদমই অসম্ভব কাজ এটা আপনার জন্য।আহসান বেশি দূর আর যেতে পারলো না,পুনরায় পিছিয়ে এলো।তারপর বললো,আমি যাচ্ছি চলো।আহসান কথাটা এক প্রকার বাধ্য হয়ে বললো।ও না পারছে রিমিকে না করতে,আর না পারছে নিজের মর্জি মতো চলতে।রিমি ওর বাবার সাইকেলটা এনে বলল,নিন সাইকেল।আহসান একবার সাইকেলের দিকে তাকাচ্ছে,আরেকবার রিমির দিকে তাকাচ্ছে।বেচারার অবস্থা পাউরুটির জ্যামের মতো হয়ে গেছে।দুকুলেই সংকট।চাপা ওকে পড়তেই হবে।
রিমি দুষ্টু হাসি দিয়ে বলল,তাড়াতাড়ি করুন সময় তো আর বসে থাকবে না আমাদের জন্য।আহসান অসহায়ের মতো সাইকেলে চড়ে রিমিকে বেশ রেগেমেগে বলে,ওঠো।রিমি সাইকেলের পিছনে বসতেই আহসান সাইকেল চালাতে শুরু করে।রিমি ডান বাম বলে বাজারের রাস্তা দেখিয়ে দেয়।বাজারে পৌঁছে ওরা প্রথমে সবজির দোকানে গেল।গিয়েই রিমি একটা টমেটো হাতে নিয়ে বলল,চাচা টমেটোর কেজি কত?
দোকানদার উত্তর দিল,২৫ টেকা কিলো।
রিমি চোখ বড় বড় তাকিয়ে বলল,বললেই হলো ২৫ টাকা কিলো!২০টাকার এক টাকাও কম দেব না।২০ টাকা কিলো হলে ৩ কিলো নেব।দোকানদার বলল,আইচ্চা নেন তাইলে।এরপর রিমি আলুর কেজি কত জিজ্ঞেস করল।দোকানদার বলল ২০ টা কেজি।রিমি বলল ১৮ টাকার এক টাকাও কম দেবে না।এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে গেল।আহসান এসব দেখে বিরক্তি নিয়ে বলল,ডিসগাস্টিং তুমি ২-৫ টাকার জন্য ঝামেলা কেন করছো?আমি দাম দিয়ে দিচ্ছে তুমি যা লাগবে নিয়ে নাও তবে বার্গেনিং ছাড়া।
-আপনি কি বলছেন হুম?২-৫ টাকা কি টাকা না?যেটা সঠিক দাম আমি সেটাই বলেছি।শুধু শুধু ২টাকা বেশি কেন দেব?আর আপনাকে দাম দিতে হবেনা।আম্মু যত টাকা দিয়েছে ওই দিয়েই সব সদাই কিনে আরও টাকা বেঁচে যাবে।আপনি চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকেন তো।আহসান আর কিছু বললো না।চুপচাপ দাঁড়িয়ে রিমির কান্ডকারখানা দেখে গেল।রিমি একটার পর একটা সবজি নিচ্ছে।তবে দরকষাকষি করে।সবজি নিতেই বেশ খানিক সময় ব্যয় হয়ে গেল।তারপর ওরা মাছের দোকানে গেল।সেখানে গিয়ে আহসান ওর পকেট থেকে রুমাল বের করে মুখে চেপে ধরল।রিমি মাছ দেখছিল এমন সময় আহসান রিমির এক হাত টেনে কিছুটা দূরে নিয়ে গিয়ে বলল,এই তুমি আমাকে এখানে কেন এনেছো?কি বিচ্ছিরী স্মেল এখানে।আমি আর এক মুহুর্তও দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না।
-আচ্ছা আপনি এখানেই দাঁড়ান তাহলে।আমি মাছটা নিয়ে নেই তারপর আর থাকতে হবে না এখানে।আমরা চলে যাব।আর কিছুসময় ম্যানেজ করে নিন প্লিজ।
-ওকে ডু ফাস্ট।রিমি মাছ কিনে আহসানের দিকে আসছিল কি একটা ছেলে ইচ্ছে করে রিমির সাথে ধাক্কা খেল।রিমি ছেলেটির দিকে তাকাতেই ছেলেটা হাসি দিয়ে বলল,একা একা বাজার করতে এসেছো বাবু!কথাটা বলার সাথে সাথে রিমি ছেলেটার গালে কষে এক চড় বসিয়ে দিল।সাথে সাথে আশেপাশের সব মানুষ এসে ভিড় জমিয়ে দিল।আহসান ভিড় দেখতে পেয়ে এগিয়ে আসলো।রিমি ছেলেটিকে যা নয় তাই বলে যাচ্ছে।ছেলেটিও যা নয় তাই বলছে।
আহসান ভির এড়িয়ে রিমির কাছে গিয়ে বলল,এসব কি করছো তুমি? সামান্য দামের জন্য লোকটার সাথে ঝগড়া করছো কেন?
-আমি ঝগড়া করছি না এই ছেলেটা আমার সাথে ইচ্ছে করে ধাক্কা খেয়েছে।তার উপর বাবুও বলেছে আমাকে।রিমি কথাটা শেষ করার পর পরই ছেলেটা বলে ওঠে,আপনি তো নাইকা পরীমণি তাই আপনাকে দেখে লোকে ইচ্ছে করে ধাক্কা খাবে তাইনা?
-একে মেয়েদের হ্যারাস করা তারপর উচ্চগলায় কথা বলা তাইনা এই বলে আহসান ছেলেটাকে লাথি চড় মারতে শুরু করলো।কিছু লোজ আহসানকে ঠেকিয়ে ফেলায় ছেলেটা এক দৌঁড়ে পালিয়ে গেল।আহসান রিমিকে ঝাড়ি দিয়ে বলল,হয়েছে বাজার?রিমি মাথা ওপর নিচ ঝাকিয়ে হ্যাঁসূচক উত্তর দিল।তারপর বাজারের ব্যাগগুলো সাইকেলের হ্যান্ডেলে ঝুলিয়ে আহসান রিমিকে নিয়ে সাইকেল চালাতে শুরু করে।বাসার বেশ কাছে চলে এসেছে এমন সময় আহসানকে সাইকেল থামাতে বললো রিমি।
-একটু সাইকেলটা থামাবেন প্লিজ?
আহসান সাইকেল থামিয়ে বলল,আবার কি হয়েছে?
-ওইযে ছোলাবুটওয়ালা।আমি যখনই এই রাস্তা দিয়ে যাই ছোলাবুট খাই ই খাই।
আহসান সাইকেল থেকে নামতে নামতে বলল,তুমি যে আর কি কি দেখাবে আমায়।রিমি ডোন্ট কেয়ার ভাব করে ছোলাবুটওয়ালাকে ছোলাবুট বানিয়ে দিতে বলল।আহসান সাইকেল স্ট্যান্ডে লাগিয়ে রিমির পাশে এসে দাঁড়ালো।রিমি স্পষ্ট বুঝতে পারছে আহসানের মেজাজ খারাপ হয়ে আছে।রিমি ছোলাবুট খেতে খেতে আহসানকে জিজ্ঞেস করলো,আপনি খাবেন?আহসান সোজাসাপ্টা বলল না,আমি এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার খাইনা।তবে রিমি যে নাছোড়বান্দা।সহসে ছাড়বার পাত্রী নয়।
-খেয়ে দেখুন ভালো লাগবে।ওপ্স আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম।আপনি তো লাটসাহেব এসব কি আর আপনাদের মতো মানুষের পেটে হজম হবে!রিমির কথাটা যেন আহসানের একদমই পছন্দ হলো না। আহসান বেশ রাগিসুরে বলল,আমাকেও একটা বানিয়ে দিন এই ছোলা না কি যেন।রিমি আহসানের চোখ লুকিয়ে ঠোঁট কামড়ে হাসছে।আহসান ছোলাবুট মুখে দিতেই ওর সব রাগ নিমিষেই উবে গেল।গপগপ করে সবটা খেয়ে ফেলল।যতক্ষণ ওর পেটে জায়গা ছিলো ততক্ষণ খেয়েই গেল।রিমি শুধু আহসানের খাওয়া দেখে গেল এক ধ্যানে।রিমির কাছে আজ আহসানকে এখন একটা সাধারণ মানুষই মনে হচ্ছে।ওর একটুও মনে হচ্ছে না যে আহসান অহংকারী দাম্ভিক একটা লোক।আহসান খাওয়া শেষ করলে রিমি এক বোতল পানি এনে আহসানের দিকে এগিয়ে দিল।আহসান পানিটার দিকে তাকিয়ে আছে।তা দেখে রিমি বলে ওঠে,এটা বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছিলাম আমি।বাহিরের কাঁচা পানি আপনাকে দেব এতটা খারাপ আমি নই বুঝলেন?আহসান কিছু না বলে পানিটা খেয়ে নিল এক নিশ্বাসে।আহসান বিল মিটিয়ে আবারও রিমিকে নিয়ে সাইকেল চালাতে লাগলো।ওদিকে দুটো চোখ এখনো ওদের দিকে চেয়ে আছে।পকেট থেকে ফোন বের করে কাউকে কল দিয়ে বলতে শুরু করলো,স্যার ওরা মাত্র ছোলাবুট খেয়ে বাড়ির দিকে গেল।ওপাশের লোকটি ফোন কেটে দিয়ে হুংকার দিয়ে বলে ওঠে,কিহহহহ!তুমি এতটা নিচে নেমে গেছ আহসান?প্রথমে ওই আনহাইজেনিক পরিবেশে বাজারে গেলে আর তারপর সেই পরিবেশের খাবারও খেলে?নাহ এভাবে চললে তুমি পুরোপুরি বিগড়ে যাবে।আমাকে ইমিডিয়েটলি কিছু একটা করতে হবে নইলে তুমি তোমার স্ট্যাটাস ভুলে যাবে।ওই মেয়েটার ভাইরাস তোমার শরীরে সংক্রমণের আগেই আমি ওকে তোমার জীবন থেকে সরিয়ে দেব।আর এটা এই রঞ্জিত তালুকদারের প্রমিজ রইলো নিজের কাছে।কথাটা বলে টেবিলে থাকা কাগজপত্র এক থাবায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলল।
#চলবে,,,!
(ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।আর সবাই নেক্সট না লিখে গঠনমুলক সমালোচনা করুন।এতে লেখার আগ্রহ বাড়বে)
#চলবে,,,!
(ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।আর সবাই নেক্সট না লিখে গঠনমুলক সমালোচনা করুন।এতে লেখার আগ্রহ বাড়বে)
#চলবে,,,!
(ভুল ত্রুটির ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)