King_in_the_city_of_Mafia পর্ব ৪

#King_in_the_city_of_Mafia
#Yanur_Akter_Eanya
#Part-4
“নিচে যাওয়ার আগে পাশের রুমটায় চোখ পড়লো শীতলের।ওয়াশরুম থেকে পানির শব্দ আসছে তারমানে আরাভ ফ্রেশ হচ্ছে।টি টেবিলের ওপর বন্দুকটা রয়েছে।শীতল রুমে কাউকে না দেখে নিজের হাতে বন্দুকটা তুলে নিলো।বন্দুকটা নিয়ে নিজের ঘরে চুপে চুপে পালিয়ে এলো।এখন এটায় হবে শীতলে হাতিয়ার আরাভ কে শেষ করার জন্য।আরাভ ফ্রেশ হয়ে ব্লাক শার্ট গায়ে জড়াতে জড়াতে নিচে চলে গেলো আরাভ।সিক্সপ্যাক বডি ফিটনেস, হেয়ারস্টাইল, খোঁচা খোঁচা দাড়ি,বুকের হালকা লোম গুলো মেয়েদের আকর্ষণ করার জন্য যতেষ্ট।”

“আরাভ প্যাপারে চোখ বুলাচ্ছিলো তখনই শীতল সুন্দর পরিপাটিভাবে নেমে আসলো।আরাভ শীতল কে দেখে প্যাপারটা রেখে কিছু বলতে যাবে তখনই বন্দুক সামনে তাক করে শুট করে দিলো।
সাথে সাথেই এক বিকট আওয়াজে পুরো রুমের এই কোন ওই কোন কেপে উঠল।আরাভ ফ্লোরে পড়ে আছে।শীতল চেক করার জন্য হাটু গেড়ে বসে হাত বাড়াতেই আরাভ শীতল কে জড়িয়ে ধরে উল্টো গড়িয়ে আরেক কোনা এসে পড়লো।শীতল এক হাতের বন্ধুক ছিটকে দূরে পড়ে গেছে।”

“আরাভ এর চোখ মুখ রাগে ফেটে যাচ্ছে। এতটা সাহস দেখানোর ইচ্ছা হয়েছে শীতলের। এত বড় সাহস যে আরাভ এর বাসায় আরাভ কে আক্রমন করে।আরাভ শীতল কে ফ্লোলোর থেকে টান দিয়ে উঠিয়ে সোজা দাড় করিয়ে সজোরে একটা থাপ্পর লাগিয়ে দিল গালে।”

“থাপ্পরের শব্দে শীতল হতভম্ব হয়ে গেল। এক হাতে গাল ধরে রেখে তাকিয়ে রইল।গাল বেয়ে চোখের পানি বড় আকার ধারন করে টপ টপ করে পড়ে যাচ্ছে।আরাভ শীতলের চুলের মুঠিতে শক্ত করে চেপে ধরল। বড় বড় শ্বাস নিতে নিতে আরাভ রাগের মাত্রা বুঝাতে চাইছে।শীতল ব্যথায় চোখ টা বন্ধ করে নিয়েছে, তবুও এই লোকের কাছে নিচু হবে না। শীতল এটিটিউড আরাভ রাগ কে বাড়াচ্ছে।”

আরাভঃ”চুপ করে আছি বলে মাথায় উঠে নাচবে।তোমার সাহস দেখে আমি অবাক হচ্ছি।আমার বাড়িতে আমাকে খুন করার চেষ্টা। অনেক হয়েছে আর নয় এনাফ ইজ এনাফ।শুরু তুমি করেছো এবার শেষটা আমি করবো।”

“শীতল চোখ মেলে আরাভ এর দিকে চাইল। চোখে প্রশ্ন,কি করতে চায় আরাভ?”

“আরাভ শীতল কে কোলে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। বাহিরে পাহারারত সবগুলো লোক হা করে দেখছে।ইশারা করলো গার্ডদের সরে যেতে। আরাভ এতটা ভয়ংকর রূপের কথা কেউ ভাবতে পারবে না।শীতল চিতকার করে বাড়ি কাপিয়ে দিচ্ছে, কিন্তু সে আওয়াজ যেন ইট পাথরের মত জড় পদার্থ হয়ে গেছে।”

“শীতল চিতকার দিয়ে বারবার নিয়ে যেতে না করছে। কিন্তু আরাভ এসব শুনছেই না।শীতল কে টানতে টানতে সুইমিং পুলে নিয়ে আসল। সুইমিংপুল এর কাছে আসতেই শীতল কিছু বলার আগেই ছুড়ে মারলো পানিতে।”

“পানির বিকট শব্দ যেন আশেপাশের নীরবতা কে কিছু সময়ের মধ্যেই চঞ্চল করে দিল। ঠান্ডা পানিতে পড়েই ছটফট শুরু করে দিল শীতল। এখানে পানি অনেক বেশি, দাড়ানোর মত ঠাই পাচ্ছে না, তার উপর পানি প্রচন্ড হিম শীতল ঠাণ্ডা।”

“আরাভ একটা চেয়ার নিয়ে পুলের সাইডে পায়ের ওপর পা তুলে দিয়ে বসে এসব দেখছে আর মুচকি মুচকি হাসছে।”

শীতলঃ”প্লিজ এখান থেকে উঠান, আমি আর পারছি না।”

আরাভঃ”নো, এত তাড়াহুড়ো কেন। একটু সহ্য করো।দেখো জানো আরাভ কি পাড়ে।”

“শীতল বুঝতে পারল কাকুতি মিনতি এর কানে যাবে না। কিন্তু সাইডে আসার সুযোগ টাই পাচ্ছে না।এত পানিতে হাত পা ছুড়তে পারছে না। তার উপর সাতার,যে জানে তাও না। দাতে দাত লাগিয়ে কাপছে, তবে বুঝতে পারছে পানি বাড়ছে। যেটা কোমরের কিছুটা উপরে ছিল সেটা বুকের উপর উঠে যাচ্ছে।”

“শীতল চিতকার করে যাচ্ছে। আরাভ নিশ্চিতভাবে বসে আছে যেনো কিছুই হয়নি।”

শীতলঃ”প্লিজ হেল্প মী?আমাকে প্লিজ বাচান!”

আরাভঃ”কেনো সিংহীনি।কি হল সাপ টাপ পায়ে লেগেছে নাকি?”

শীতলঃ”সাপ মানে? সাপ আছে না..কি এ..খানে।
কাপতে কাপতে দাতে দাত লাগিয়ে কথা টা বলল।”

আরাভঃ”হ্যা এটায় গোসল করে নাকি কেউ। সাপ,বিষাক্ত পোকা মাকড় সব আছে এখানে।আমার এনাকন্ডা বসবসা এখানে।”

শীতলঃ”এ..না.কন্ডা…। নাহহহ, আমাকে বাচান প্লিজ প্লিজ।”

আরাভঃ”এবার বলো আমার সাথে আর লাগতে আসবে।আমার সাথে লাগতে আসলে এমনই পরিনতি হবে।ভাগ্যিস গুলিটা লাগার আগে সরে গেছিলাম না হলে তো এতখনে পটল তুলতে হতো আমায়।এখন ঝটপট বলে ফেলো।”

শীতলঃ”কি বলবো?”

আরাভঃবোকা মেয়ে কিছুই বুঝে না আমাকে সবটা বলে দিতে হবে।ওই যে তিনটা মধুর শব্দ আই..লাভ..ইউ।

“শীতল শক্ত দৃষ্টিতে চেয়ে আছে,আরাভ কথা শুনে মাথায় রক্ত উঠে যাচ্ছে।আরাভ কে চিবিয়ে খেতে পারলে শান্তি পেতো শীতল।কিন্তু পরক্ষণেই পানির মাত্রা এত বেড়ে গেল সাথে সাথে ডুবে গেল শীতল।”

“আরাভ এখনো শান্তিতে বসে আছে। কি হচ্ছে যেন দেখতে চাইছে।ডুবে ডুবে পানি খাবে।তারপর ও আই..লাভ..ইউ বলবে না।ইডিয়েট গার্ল(বিড়বিড় করে আরাভ কথাগুলো বলো।)”

“শীতল আবার মাথা উঠাল, এতক্ষন পর ডুব দেওয়ার কারনে চোখে পড়ল, তলা দিয়ে পানি ছাড়ছে ফোয়ারার মত। হাপিয়ে যাচ্ছে শীতল বারবার।শীতলের চোখ লাল টকটকে হয়ে গেছে।নাক,মুখ দিয়ে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।”

“আবার পানিতে তলিয়ে গেল।আবার কিছু সময় পর উঠে গেল, কোন ভাবেই সাইডে পৌছাতে পারছে না উঠার জন্য।”

“আচমকা ধপাস করে কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ হল। শীতল মনে হল কেউ হাত ধরে উপরে টান দিল। শীতল জোরে জোরে শ্বাস নিতে নিতে আরাভ এর দিকে চেয়ে রইল। ভেজা শার্ট টা বুকের সাথে আটসাট হয়ে লেগে আছে, চুল বেয়ে টুপটুপ পানি পড়ছে।আরাভ জোরে শ্বাস নিচ্ছে,আরাভ নিশ্বাস শীতল মুখের ওপর পরছে।শীতল আরাভ কে না ধরা কারনে আবার তলিয়ে যাচ্ছিল, দাড়ানোর উপায় পাচ্ছিল না।আরাভ শক্ত করে কোমরে হাত দিয়ে নিজের কাছে টেনে নিল। শীতল উপায় না পেয়ে কিছুক্ষণ আগের দেখা পাষাণ অত্যাচারী পুরুষ টাকেই জড়িয়ে ধরল।”

আরাভঃ’সাতার জানেন না?’

শীতলঃ ‘না। গোলাপি ঠোট দুটো অসম্ভব রকম থরথরিয়ে কাপছে।’

“আরাভ একটা ঢোক গিলল। আর কিছু জিজ্ঞেস করতে পারছে না।চোখে কেমন ঘোর লাগছে মায়াবিনী কে কাছে পাওয়ার।শীতল কে একবার শক্ত করে ধরছে, আবার হাত আলগা হয়েও যাচ্ছে। চেষ্টা করছে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে, কিন্তু পারছে না।”

‘আরাভ পুলের সাইডে দাড়াল, পানি থেকে উঠল না।শীতল দিকে চেয়ে জিগ্যেস করল,’

-; ‘কি বাচার ইচ্ছে আছে।’

শীতলঃ’হু বাচতে চাইছি। প্লিজ পানি থেকে উঠান আমায়’!

আরাভঃ’এবার বলো!যেটা বলার কথা ছিল।তিনটা মিষ্টি ওয়ার্ডস।আই..লাভ..ইউ..।’

“শীতল আরাভ দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকালো।
-;আমার ইচ্ছে করছে আপনাকে কাচা চিবিয়ে খেতে।অসভ্য লোক,লুচু কোথাকার।”

-;”লে, এই মেয়ে আবার পাল্টি খাচ্ছে। তুমি বলবে নাকি আমি অন্য কিছু করে বসবো মাই কিংডমে রানী।”

-;”কি কর..বেন আ..প..নি’

-;”মুখে বলার থেকে কাজে করিয়ে দেখালে বেটার হয় জানেমান!শীতল দিকে তাকিয়ে বাকা হেসে চোখ টিপ দিলো।”

“শীতল কিছু বলার আগেই আরাভ শীতল কে পানিতে ছেড়ে দিলো।শীতল আবার তলিয়ে যাচ্ছে পানির মধ্যে নিশ্বাস মনে হয় বন্ধ হয়ে যাবে।আরাভ আবার পানি থেকে তুলো।”

‘এবার বলবে নাকি আবার একই কাজ দ্বিতীয় বার করবো।’

-;’বলছি আমি বলছি তার আগে পানিটা কমাও প্লিজ।’

-;’নো আগে বলো ধ্যান আমি সুইমিংপুলের পানি কমানো ব্যাবস্থা করছি।’

-;”ওকে বলছি আমি।দাত কটমট করে কথাটা বলো শীতল।আরাভ এর খুব কাছে গিয়ে মিষ্টি করে হেসে দুই হাতে আরাভ গলায় জড়িয়ে ধরে।আই..লাভ..ইউ।”

-;”ওয়াউ,আই এম সারপ্রাইজ। আরমান মির্জা কন্যা আমাকে আই লাভ ইউ বলছে আমি স্বপ্ন দেখছি না তো।প্লিজ,প্লিজ আর একবার বলবে জানেমান মুচকি হেসে বলো আরাভ।এবার একটু মিষ্টি হেসে বলো না প্লিজ।”

-;”নিশ্চয়, কেনো নয়।আই লাভ ইউ আরাভ।এবার প্লিজ পানিটা কমাও জানেমান।”

-;”আরাভ অবাক।শীতল আই লাভ ইউ বলছে তা ওহ আবার জানেমান সাথে।একটা সাথে আরপকটা ফ্রি।এতো মেঘনা না চাইতে বৃষ্টি। আরাভ কাউকে চিতকার করে বলো পানিটা কোমড় পর্যন্ত করতে।পানিটা কমোড় পর্যন্ত নেমে আসতেই শীতল বাকা হাসি দিলো।”
-;”আরাভ এর আরেকটু কাছে গিয়ে বলো, সো জানেমান আর ইউ রেডি।আরাভ কিছু বলার বা বুঝার আগেই শীতল আরাভ মাথা পানির মধ্যে চুবিয়ে ধরলো।এবার দেখ কেমন লাগে।আমাকে পানিতে নামিয়ে চুবিয়ে কষ্ট দিয়েছি। তুই কি ভেবেছিস আমি তোকে ছেড়ে দিবো ইউ লুচুম্যান।”

*******

“বিছানায় আরাভ,শীতল সুয়ে আছে।ডক্টর এসে চেকআপ করছে।শীতলের জ্বর চলে এসেছে।আরাভ জ্বর না আসলে ও হাচি দিতে দিতে জান শেষ।শীতল আরাভ কে শিক্ষা দেওয়ার জন্য নিজেই জ্বর বাধিয়ে বসেছে।মেয়েটা আর পাচঁটা মেয়ের মতো মুখ বুঝে বসে থাকার নয়,একদম ধানিলঙ্কা ত্যাজ প্রচুর।”

“আরাভ শীতল কে কোনো রকম হালকা খাবার খাইয়ে ওষুধ খাওয়ালো।শীতল কোনো হুস নেই।জ্বরটা অনেক বেশি।আরাভ শীতলে যত্ন নিচ্ছে, কি অদ্ভুত তাই না।হ্যা অদ্ভুত তো বটে শীতল একে তো শএু মেয়ে তার ওপর একটা খুনীর মেয়ে।হুম খুন করেছে আরাভ গোটা পরিবার কে।আরাভ শৈশব কেড়ে নিয়েছে আরমান মির্জা এবং জগৎ রায়।আজ মা ছেলেরা এত দূর দূরান্ত পথ শুধ মাএ আরমান মির্জা,জগৎ রায় জন্য।আরেক জন আছে রাঘববোয়াল সে কে এটাই খুজে বের করার পালা।”

“রাতের আকাশে তারা মেলা খেলা করছে।দিনের কাজ শেষে সকলে আরাম নিদ্রাহিত যার যার বাসস্থানে।আরাভ চোখে ঘুম নেই। ঘুমাবে কি করে মনে যার হাজার কথা বুলবুলি।কিছু পাওয়া না পাওয়া হিসাব মিলাতে মিলাতে আজ ৩০ বছরে পা দিলো আরাভ।আজ আরাভ এর ৩০ তম জম্মদিন।হঠ্যাৎ কল আসা বাস্তব ফিরলো।”

-;’হ্যালো’
-;’স্যার আমি মামুন বলছি।’
-;’হ্যা মামুন বলো!’
-; ‘স্যার একটা খারাপ খবর আছে।জগৎ রায় ইজ ব্যাক।জগৎ রায় তিন দিন পর বাংলাদেশ পা রাখছে।’
-;’ওকে আসতে দেওয়।দেখি এবার ও কি করতে যায় বাংলাদেশের মাটিতে।’এবার লড়াই সমানে সমানে হওয়া উচিত পালিয়ে নয়।কতবার আমি বাংলাদেশ ছিলাম না এবার আমি বাংলাদেশে আছি।’

“কান থেকে ফোন সরালো আরাভ।জগৎ রায় যখনিই বাংলাদেশ পা রেখেছে তখনি কিছু না কিছু খারাপ করে গেছে।গতবার যখন ঢাকায় পা রাখলো তখন এমপি মেয়ের দিকে নজর যায়।যেইদিন দেখেছে সেইদিন নাকি পুরো রাস্তা সামনে গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে। মেয়েটা প্রতিবাদ জানায়।সন্ধ্যা কোচিং সেন্টার থেকে ফিরার পথে গায়েব হয়ে যায়।”

“বাবা আর চার ভাই মিলে একমাএ বোনকে হাজার খুজে ও পাইনি।দুইদিন পর মেয়েটা লাশ পাওয়া গিয়েছিল।হাসপাতালে পোস্ট মর্ডাম করলে জানায় যায় মেয়েটা মুখে আর গোপন অঙ্গে ব্যাটারি ঢুকানো হয়েছিলো।বুকটা কেটে দিয়ে সেখানে নাম লিখে দিয়েছিলো Dangerous killer boy।যেই মেয়েটাকে দেখতে গেছে সে অজ্ঞান হয়ে গেছে মেয়েটা পুরো শরিরের কুকুরেদাঁত মতো কামড়ে দাগ নীল আর সিগেরেট দাগ হয়েছিলো।”

“নরক জন্তানা দিয়ে কুৎসিত জঘন্যভাবে মেরে দিয়ে ছিলো।মেয়েটা পোস্ট মর্ডামের সময় নার্স ডক্টরের চোখে পানি দেখা গিয়েছিল।বাবা স্টোক করে, ভাইয়ারা পাগল মতো কেঁদে ছিলো।মা মরা একমাএ মেয়ে ‘তূয়া’ছিলো সবার আদরে তাকে এভাবে নির্মমভাবে খুন করায় কেউ মেনে নিতে পারেনি।এই ঘটনা করে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যায় জগৎ রায়”

“দেশে আইন কেনো বিশ্ব কোন জায়াগায় আটকে রাখা যাবে না।বড় বড় ইন্টারন্যাসনাল মাফিয়াদের সাথে হাত আছে।যখনই বাংলাদেশ আসে কিছু না কিছু খারাপ কাজ করে।জগৎ রায়ের প্রতি রাতে দুটো করে মেয়ে লাগে।জগৎ রায় একটা মেয়েবাজ।মেয়ে ছাড়া ওর দিন রাত কাটেনা।মদের নেশার থেকে ওহ মেয়েদের প্রতি লোভ আকর্ষণ বেশি।এভার কি হয় সেটাই দেখার পালা।”

“সব চিন্তা বাদ দিয়ে শীতল কে দেখতে রুমে গেলো।শীতল জ্বরে কাপছে।আরাভ এসে বসলো শীতল কাছে। শীতল চোখ পিটপিট করে কোনো রকম খুলে আরাভ দেখেই মুচকি হেসে বলো,হ্যালো মিষ্টার লুচুম্যান।”

-;’হোয়াট!অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো আরাভ।’

-;”ইয়াহ বেবি। ইউ আর সো মাচ লুচুম্যান।শীতল আরাভ গলা জড়িয়ে কোলে বসে পড়লো।সো মাচ কিউট অলসো বলে আরাভ ঠোঁটে ঠোঁট রাখলো। খুব শব্দ করে চুমু খেলো শীতল।”

‘আরাভ চোখ বড় করে ফেলল।’

“শীতল মুচকি হেসে কাঁধে ঢলে পড়লো।আরাভ শীতল দিকে পলকহীনভাবে তাকিয়ে আছে।শীতল আরাভ কোলের মাঝে বাচ্চাদের মতো ঘুমিয়ে আছে।”

চলবে……

আজকে অনেকটা টাইম নিয়ে গুছিয়ে লিখেছি।তাই আজকে অন্ত্যত কিছু ভালো কমেন্ট আশা করছি সবার থেকে।
আর হ্যা কয়েকজন বলছেন শীতল নামটা পাল্টে দিতে।এটা নাকি আরাভ সাথে যায় না।আমি যতগুলো গল্প লিখলাম আপনাদের নায়ক নায়িকা নাম পছন্দমত হয় না।তাই এখন থেকে আপনার নাম ঠিক করে দিবেন।আমি নায়ক নায়িকা নাম আর ঠিক করবো না।শীতল নাম বদলে কি নাম রাখব সেটা কমেন্ট জানিয়ে দিবেন।

ধন্যবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here