King_in_the_city_of_Mafia পর্ব ৩

#King_in_the_city_of_Mafia
#Yanur_Akter_Eanya
#Part-3
মির্জা মন্জিল আরমান মির্জা পাগলা কুকুর মতো করছে। শএু বাড়িতে মেয়ে আছে সেটা ফোন দিয়ে আরাভ খান নিজে বলেছে।তখন থেকে মির্জা মন্জিল এসে ভাঙচুর চিৎকার চেঁচামেচি করছে। আর মিসেস কনিকার মির্জা গায়ে হাত তুলেছেন। রক্তাক্ত করেছে নিজের স্ত্রী কে।একের পর এক সব প্লান ভেস্তে দিচ্ছে এই আরাভ খান।আবার এখন নাকি মেয়ে সেই আরাভ খানের কাছে।রাগে শরীর জ্বলছে আরমান মির্জা।

———–
সকালের স্নিগ্ধ আলোয় সাদা রঙের জানালার পর্দাটা সরে এক রাশি সূর্যকিরণ ঝিকমিক করতে করতে করতে জানান দিলো সকালে হয়ে গেছে। সকালের সূর্য স্বাগত জানাচ্ছে আরাভ এর মায়াবিনী কে। শীতল ঘুম ভেঙ্গে গেলো।বিছানায় উঠে বসে। মাথা কেমন যেনো ছিমছিম করছে।। সাদা টাইলসের মেঝেতে সূর্যরশ্মি খেলা করছে নতুন অতিথী আগমনে। বিল্ডিংগুলোর গায়ে রোদ ঝিকমিক করছে। এখনো শহরে কোলাহল নামেনি। কর্মব্যস্ত মানুষেরা কেউ কেউ বেরিয়েছে কাজে।আরাভ বেলকনিতে দাড়িয়ে হাজার কথা ভাবছে।
রুমের মধ্যে থেকে আওয়াজ পাওয়া বেলকনিতে থেকে রুমে আসলো আরাভ। আরাভ এসে দেখলো শীতল জেগে গেছে।

কি ম্যাডাম ঘুম ভেঙেছে তাহলে আমি তো ভাবলাম আজকে আর ঘুম থেকে উঠবেন না। তাই তো এক বালতি পানি ওয়াশরুমে ভরে রেখে এসেছি।এখন না উঠলে আপনার মাথা পানি ঢেলে দিতাম।আমার আবার কারো শান্তির ঘুম দেখলে সয্য হয় না।

—আপনি!আপনিএখানে কেনো?কখন আসলেন আমার রুমে?সিকিউরিটি আপনাকে কিভাবে আমার রুমে ঢুকার পারমিশন দিলো।

-;ওহ হ্যালো ম্যাডাম, কল্পনার জগতে থেকে বাস্তবে আসুন।আমি আপনার রুমে নয়, বরং আপনি এখন আমার বাড়িতে আছেন। কাল একটা ঘোটা রাত আমার বাড়িতে কাটিয়েছেন।তা ওহ আবার আমার সাথে।(লাস্ট কথাটা শীতল কানের সামনে গিয়ে ধীরেধীরে বলো।)

-;শীতল পুরো মশম দাড়িয়ে গেছে।কালকে কথাগুলো মনে পড়ে গেলো।কাপাকাপা গলায় বলো, আপনি কি করেছেন আমার সাথে অসভ্য লোক।

-;অনেক কিছু করেছি।বিশ্বাস করুন কালকে মতো এত সুন্দর আরামে ঘুম আমার জীবন হয়নি। কালকে রাতটা আমার জন্য মধুময় ছিলো।কালকে রাতটা আমার জীবনে বেস্ট মোমেন্ট সৃতি হিসেবে থাকবে।আপনাকে এত এত কাছে পেয়েছি আমি যা মুখে বলার মতো নয় সবটা বুঝে নিতে হয়। খুব গভীরতমভাবে পেয়েছি সেসব ভাবলে একটা শিহরন বয়ে যায়। প্রশান্তি আসে মনে।আহা কি সুখ ছিলো।কোমরে লাল তিলটা বড্ড মন কেড়ে ছিলো।তাইতো সারারাত তোমাতে বিভোর ছিলাম।আমাদের সব কিছু যখন হয়ে গেছে তখন আপনি আপনি করে পর করার মানেই হয় না।এখন আপনি জায়গায় শুধু তুমি হবে,শুধু তুমি।

শীতল কোমড়ে একটা হাত রেখে খুব কাছে টেনে নিয়ে কানে কানে কথাগুলো বলো আরাভ।আরাভ কথাগুলো বলার সময় শীতলে কানের লতিতে চুমু খেয়ে বসলো।শীতল একটা ঢোক গিলে বিছানায় ওপর লাফ দিয়ে বসে পড়লো।

শীতলের মুখের ভাব ভংগী বুঝে হাসতে লাগল।” কি মিস চিন্তায় পড়ে গেলে তো?

-; ইউ লুচু ছেলে, অসভ্য তুমি আমার সুযোগ নিয়েছো তোমাকে আজ আমি মেরেই ফেলবো।শীতল কথাগুলো বলেই আরাভ এর গায়ে বালিশ ছুড়ে মারলো।আরাভ বালিশটা কেছ করে নিলো।শীতল বিছানা হাত,পা ছুড়ে বাচ্চাদের মতো কাঁদছে। আরাভ শীতল এই অবস্থা দেখে মিটিমিটি হাসছে।

-;যা বাবা আমি কি করলাম যা করার তো তুমি করলে আমি তো অবুঝ ছিলাম।

শীতল রাগের মাথায় বলে বসল – আমি সব সহ্য করতে পারি মিষ্টার আরাভ আমি এতটাও দুর্বল না।আজকে আমি আপনাকে খুন করে ফেলবো।আপনি অবুঝ না বড্ড অসভ্য, লুচুম্যান।

আরাভঃ আচ্ছা তাই নাকি?সেজন্য অর্ধেক পথে অজ্ঞান হয়ে ঢলে তো পড়েছো আমার কোলে চড়ার জন্য। কালকে উঠতে পারলে না বলেই তো আমাকে এক প্রকার বাধ্য হয়েই তোমাকে এখানে বিছানায় শুয়াতে হলো।কাল রাতে আমার সাহায্যের প্রয়োজন হয়েছিলো।কাজের দুটো মহিলার মাধ্যমে তোমার ড্রেস পাল্টে দেওয়া হয়েছে। ওদের একটা নতুন জামা দিয়েছে তোমাকে পড়তে।আমার এখানে আমি ছাড়া আর কাজের লোক ছাড়া মহিলা থাকে না যে তোমাকে তার ড্রেস দিবো।এত কিছু করলাম সেজন্য কোথায় একটু নরম হবে। তা না করে আমাকে বালিশ মেরে লুচু, আর অস্যভ উপাধি দিয়ে দিলে।

শীতল অবাক হয়ে আরাভ মুখের দিকে তাকাল।আরাভ সাহায্য মানে?তারমানে আপনি আমাকে অজ্ঞান অবস্থায় শুয়ে রেখে গেছিলেন।শুধু এইটুকু কাজ ছিলো আমি তো….

-;আমি তো কি বলো?কি মনে করে ছিলে তোমার সাথে ভুলভাল কাজ করবো।আরাভ নজর এতটা নিচু মাইন্ডের নয়।

শীতল ঢোক গিলে বলল – সেটা আমার অবচেতন অবস্থায়, এখন আমি পূর্ণ সুস্থ মস্তিষ্কে এবং জ্ঞানে আছি। আপনার সাহায্যের আমার প্রয়োজন নেই।

আরাভঃমানবতার খাতিরে কাল সাহায্য করেছি আমি।তোমাকে সাহায্য করার জন্য আমার বয়ে যাচ্ছে না।

শীতলঃহা হা হা মানবতা? সেটা কি আপনি জানেন?

আরাভঃএকটা মেয়ে একটা ছেলে সাথে একই বাড়িতে ছিলো সারারাত। অন্য কেউ হলে কি করতো জানি না বাট আমি কারো ঘুমের সুযোগ নেই না।আমি যা করার তার সজ্ঞানে করি বুঝলে মাই কিংডমে মায়াবিনী।এটাকে বলে মানবতা ঘুমের ঘরে সুযোগ না নিয়ে সরাসরি সুযোগ নেওয়া।(লাস্ট কথাটা বলে চোখ টিপলো আরাভ।)

-;you for the night.বলেই শীতল কাছে এগিয়ে এলো আরাভ।
-;শীতল ঢোক গিলে বিছানায় একটু পিছালো।সরে দাঁড়ান। জোরে বলে উঠলো শীতল।

-;আমি চাই তোমাকে শুধু একরাতে জন্য নয়।সারাদিন সারারাত সয়নে স্বপ্নে সারাটা জীবনের জন্য।যদি তুমি চাও প্রত্যেক রাতই তোমার সাথে কাঁটাবো।বলেই বাঁকা হাসলো আরাভ।

-;আরাভ কথা মুখটা কাছুমাছু করে ফেলো বুকের ভিতর কেমন যেন করছে।তবু ও সামলে নিলো নিজেকে। পতিতা পল্লি যান।ভদ্র ঘরের মেয়েরা আপনার জন্য নয় বলেই সরে যাচ্ছিলো শীতল ।

আরাভ শীতলের কে টান দিয়ে বিছানা থেকে নামিয়ে সোজা করে দাড় করিয়ে নিজে ও সামনে এসে দাঁড়ালো। দরকার পড়লে যেতাম।তবে তোমাকেই চাই।আর যেটা চাই সেটা কিভাবে আদায় করে নিতে হয় তা আরাভ খানের জানা আছে বলেই শীতলের ঠোঁট এগিয়ে এলো আরাভ।আরাভ কাজে ভয় পেয়ে চোখ বন্ধ করে নিলো শীতল।

আরাভ শীতল চোখ বন্ধ করতে দেখে বাকা হাসলো।যাক তাহলে ডোসটা কাজে দিয়েছে।কাল বাঘিনী কে কোনো দিক দিয়ে কাবু বা জব্দ করতে পারচ্ছিলো না কিন্তু আজকে কাবু করতে পেরেছে।

-;একবার যদি ছুটতে পারিনা শেষ করে ফেলবো আপনাকে।দাঁতে দাঁত চেপে বলল শীতল।শীতল অনেকটা কাছে চলে এলো আরাভ তোমার মাঝেই তো শেষ হতে চাই বলে শীতল হাত জোড়া এক হাতে ধরে গলার মাঝে কিস করে বসলো আরাভ।শীতল হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে গেলো।বুকের ভিতর তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে।বুক ধুকপুক করছে ওর।আরাভ নিশ্বাস শীতলে মুখে এসে পড়ছে।শীতল নড়তেই পারছেনা।আরাভ আরেক বার চুমো দিতে গেলেই শীতল নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করলো এক প্রকার লাফালাফি করছে।।লাফালাফি দেখে আরাভ ভীষন রাগ লাগলো।শীতল কানের কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বলল Iআমার রোমান্সের সময় ডিস্টার্ব পছন্দ নয়।

শীতল থেমে গেলো।আরাভ কথা গুলো শুনে হতভম্ব?হাত আলগা হতেই শীতল কে সামনে ফিরিয়ে ওকে দেয়ালে চেপে ধরলো।

মায়াবিনী মাঝে হারিয়ে ফেলছে নিজেকে আরাভ।শীতলের মুখের দিকে একটু তাকালো আরাভ। শীতল মুখের ওপর ফুঁ দিয়ে চুল গুলো সরালো গোলাপি ঠোঁট, চোখা নাক, বড় চোখের ঘন পাপড়ি।সব মিলিয়েই অনিন্দ্য সৌন্দর্য অধিকারী আরাভ এর মায়াবিনী।

এখন কথা বেশি না বলে ফ্রেশ হয়ে নিচে নামো লক্ষ্মী মেয়ের মতো একসাথে ব্রেকফাস্ট করবো।আরাভ কথাটা বলেই চলে গেলো শীতল কে কোনো কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে।

ওয়াশরুমে রাশীতল পানি দুহাতে ভরে মুখে ছিটিয়ে দিতেই শীতলের মনটা সতেজতায় ভরে উঠলো।ফ্রেশ হয়ে নিজেকে আয়না ভালোমতো চেক করে দেখে নিলো।নাহ সব তো ঠিক আছে।কালকে লেহেঙ্গা জায়গায় একটা নতুন ড্রেস গায়ে জড়ানো।

নিচে যাওয়ার আগে পাশের রুমটায় চোখ পড়লো শীতলের।ওয়াশরুম থেকে পানির শব্দ আসছে তারমানে আরাভ ফ্রেশ হচ্ছে।টি টেবিলের ওপর বন্দুকটা রয়েছে।শীতল রুমে কাউকে না দেখে নিজের হাতে বন্দুকটা তুলে নিলো।বন্দুকটা নিয়ে নিজের ঘরে চুপে চুপে পালিয়ে এলো।এখন এটায় হবে শীতলে হাতিয়ার আরাভ কে শেষ করার জন্য।আরাভ ফ্রেশ হয়ে ব্লাক শার্ট গায়ে জড়াতে জড়াতে নিচে চলে গেলো আরাভ।সিক্সপ্যাক বডি ফিটনেস, হেয়ারস্টাইল, খোঁচা খোঁচা দাড়ি,বুকের হালকা লোম গুলো মেয়েদের আকর্ষণ করার জন্য যতেষ্ট।

আরাভ প্যাপারে চোখ বুলাচ্ছিলো তখনই শীতল সুন্দর পরিপাটিভাবে নেমে আসলো।আরাভ শীতল কে দেখে প্যাপারটা রেখে কিছু বলতে যাবে তখনই বন্দুক সামনে তাক করে শুট করে দিলো।

চলবে…..

😭😭গল্পটা ডিলিট হয়ে গেছিলো।তার জন্য আবার লিখতে হয়েছে।কি লিখেছি জানি না ভুল হলে কষ্ট করে পরে নিবেন প্লিজ।আমার হাত ব্যাথা হয়ে গেছে এডিট করে ঠিক করার এর্নাজি নেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here