King_in_the_city_of_Mafia পর্ব ১৫

#King_in_the_city_of_Mafia
#Yanur_Akter_Eanya
#Part-15
যখন আরহাম কে আপন করে পাওয়া হলো না। তখন নিজেকে বাঁচিয়ে রেখে কি লাভ? তার থেকে নিজেকেই শেষ করে দিবো আমি।তুমি সুখে থেকো আরহাম ভালো থেকো।তোমাকে আর কেউ বিরক্ত করবে না।নীলিমা তোমার জীবন থেকে চলে যাচ্ছে সারাজীবন জন্য গুড বায়।

নীলিমা ঘুমের ওষুধ একসাথে অনেকগুলো মুখে পুড়ে নিলো।বিয়ে কনেকে বরে পাশে বসানো হয়েছে।নীলিমা আঁখি ভরা দুই নয়ন নিয়ে মেইন গেইটে দিকে তাকিয়ে আছে। আরহাম অপেক্ষা হয়তো আর কোনোদিন দেখা হবে না।তাই শেষ দেখা হয়ে গেলে খুব কি ক্ষতি হবে।

নীলিমা চোখ দুটোতে কেমন যেনো ছাপসা হয়ে আসছে।হাজার চেষ্টা করে ও চোখ মেলে রাখতে পারছে না।মাথা ঘুরাচ্ছে অস্থিরতা শরীরে ভিতর শুরু হয়ে গেছে নিজেকে কন্ট্রোল রাখতে না ফেরে ঢলে পড়লো মৃত্যু কোলে।

আরাভ ফিরে এসেছে বাসায়। রুমের চারদিকে তাকিয়ে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছে এই মেয়েটা কই গেলো?আমি বাড়িতে এসেছি কোথা একটু স্বামী সেবা যন্ত করবে তা না করে কোথায় ঘুরছে কে জানে?দেখি ম্যাডাম কই?

*****

আরাভ শীতলের সামনে বসে চোখ রাঙ্গিয়ে তাকিয়ে আছে।

-;এ..এভাবে তা তাকিয়ে আছেন কে কেন?তোঁতলিয়ে কাপা গলায় বলে উঠলো শীতল।

-;”আমার তাকানোয় কোন সমস্যা হচ্ছে?সারাদিন না খেয়ে বসে ছিলে কেনো?আর কোনো কথা না বলে চুপচাপ খেতে থাকো”।(একটু রাগী গলায় বলে উঠলো আরাভ।)

-;ঢোক গিলে নিলো শীতল।আ আসলে ভা ভালো লাগছেনা তাই খাইনি।

-;কেনো ভালো লাগছে না সেটা পড়ে শুনবো আগে খাবারটা মুখে তুলোও।

-;শীতল কাপাকাপা হাতে খাবারটা নিতে গিয়ে হাত থেকেই পড়ে গেলো।আরাভ নিজের রাগ চোখ বুঝে কন্ট্রোল করে নিলো।

শীতল কেনো খায়নি তার কারণটা খুব ভালোভাবে জানে।একটা অমানুষ জন্য না খেয়ে বসে আছে সেটা ভাবতেই রাগ লাগছে আরাভ।আরমান মির্জা জন্য মেয়ে না খেয়ে এমন সহানুভূতি অসয্য লাগছে।তার ওপর নাকি মির্জা বাড়িতে কল করেছিলো শীতল।ইচ্ছে তো করছে মেয়েটাকে থাপ্পড় মারতে।কিন্তু এখন সেসব করতে গেলে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে।তাই আরাভ চুপ করে হাত ধুয়ে শীতল সামনে খাবার ধরলো।শীতল আরাভ হাতে চুপচাপ খেতে লাগলো।এখন কিছু বলা মানে সাপের লেজে কামড়ঁ দেওয়ার সমান হবে।লেখনীতে ইয়ানুর আক্তার ইনায়া।

এখন একটু রুমের মধ্যে হাটাহাটি করো খাবার খেয়ে সাথে সাথে ঘুমাতে নেই।শীতল মাথা নাড়িয়ে রুমে পায়চারী করছে আর আরাভ গুষ্ঠি ষষ্ঠী পূজো করছে।বজ্জাত পোলা কথায় কথায় ধমক মারস। একদিন এমন মার মারবো না জীবনে ভুলতে পারবি না। শীতল কে চোখ রাঙাস বেটা খবিস কোথাকার।

আরাভ নিজে নেমে খাবার এটো প্লেটগুলো রেখে রুমে পথে চললো।
রুমে এসে দেখে শীতল মুখ নাড়িয়ে কথা তো বলছে না এক প্রকার যুদ্ধ করছে।কারণ কথা তালে তালে নিজের শাড়ি আচলঁ সাত ঘিটু দিয়ে ফেলছে। সে দিকে শীতল কোনো খবর নেই।সে নিজের মতো ব্যাস্ত। দেখে তো মনে হচ্ছে কারো ওপর রাগ বেচারা কাপড় ওপর ছাড়ছে।রাগ কার ওপর সেটা বুঝতে পেরে আরাভ ঠোঁটে কোনায় হাসি ফুটে উঠে।শীতল আরাভ সাথে না পেরে রাগটা নিজের ওপর দিয়ে ছেড়ে নিচ্ছে।

-;হুহহ!কি হচ্ছেটা কি? এমন বাদর মতো দৌড়াচ্ছে কেনো? এটা মাঠ নয় এটা রুম মিসেস আরাভ খান।

-;পিছন থেকে আরাভ কন্ঠ শুনতে পেয়ে একদম চুপ হয়ে গেলো।দেখলে মনে হবে ভাজা মাছটা উল্টে খেতে পারে না।

-;কিছু না ওহি একটু জগিং করছিলাম।

-;রুমের মধ্যে জগিং করছো নাকি রেন্সিং করছো?
তোমাকে দূর থেকে যে কোন লোক দেখে বলে দিতে পারবে যে তুমি দৌড় প্রতিযোগিতা নেমেছো।আর এটা কি করছো তুমি?শাড়ি আচঁল ওপর রাগ ছেড়ে শাড়ি আচঁলটাকে তুমি হত্যা করে ফেলে।কি সাংঘাতিক ঘটনা?শীতল ভ্রু কুচকে আরাভ দিকে তাকালো কি বলতে চাইছে এই পাজি লোকটা?

-;শাড়ির আচঁল হত্যা হলো কি করে?বোকার মতো প্রশ্ন করলো শীতল।

-;দেখোও শাড়ি আচঁলটার যদি প্রান থাকতো না তাহলে কেঁদে বলতো।ছেড়ে দে শয়তান তুই আমার দেহ পাবি মন পাবি না।বাট বেচারি প্রান নেই বলে আজ তুমি তার সাথে এমনটা করতে পারলে। এটা কিন্তু ঠিক নয়।

-;শাড়ির আচঁল বেচারি মানে ওহ কি মেয়ে নাকি যে বেচারি হবে?

-;হুম বেচারি তো! ওহ শাড়ি মানে মেয়েদের গায়ে থাকে তাই হলো বেচারি।আর ছেলেদের গায়ে পোশাক এমন অত্যাচার হয়ে থাকলে বেচারা হতো।তোমার গায়ে আছে এখন তাই বেচারি হলো।
আমার গায়েটা বেচারা।তোমার মতো ডায়নি নয়।এই যা আরাভ এটা তুই কি বলি আজ তু তো গায়া কাম ছে।আব তেরা কেয়া ওহ গা।

-;শীতল কে ডায়নি বলা শীতল রেগে বোম। শাড়ি আচঁল কোমড়ে গুঁজে নিয়ে কিছু একটা খুজতে লাগলো রুমে না পেয়ে নিচে নেমে আসলো।কি হচ্ছে আরাভ বুঝে উঠার আগেই দেখে শীতল হাতে ঘর ঝাড়ু ঝাঁটা।

-;এই! এটা কেনো এনেছো?এটা দিয়ে কি আজ সারারাত খাটে তলায় পরিষ্কার করবে। ওহ আগে বলবে তো তাহলে আমি হ্যাল্প করে দিতাম।

-;হেল্প! তোর হেল্প গুষ্টি মারি আমি!আমাকে তুই ডায়নি বলেছিস!এবার দেখ তোকে দিয়ে আমি টি- টুয়েন্টি খেলবো।

-;এটা কিন্তু অন্যায়।তুমি একজন নারী হয়ে আজ পুরুষ নির্যাতন করবে।দেখো জানেমান আমি ওটা ইচ্ছে করে বলতে চাইনি।ওটা মুখ ফসকে বের হয়ে গেছে।

-;মুখ ফোসকে বের কেনো হবে?শীতল রাগে ফোস ফোস করছে।

-;এই রে রণচণ্ডী রেগে গেছে এখন কি করি?আরাভ কিছু একটা ভেবে বাকা হেসে শীতল দিকে এক পা এক পা করে এগিয়ে আসলো।
আরাভ হঠ্যাৎ করে কাছে আসা থেমে গেলো শীতল।দুইজনে নিশ্বাসপ্রশ্বাস একে ওপরে সাথে বাড়ি খাচ্ছে।শীতলে চিবুকের নিচে হাত রেখে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো আরাভ।শীতল থমকে গেলো কি হচ্ছে ভাবতেই পুরো শরীর কাঁপতে শুরু করে।আরাভ ঠোঁট দুটো খুব সফটলি ওর ঠোঁটে প্রবেশ করছে।আরাভ দিকে তাকিয়ে থাকতে পারলো না চোখ বুজে নিলো শীতল।চোখের কোনা বেয়ে একফোঁটা অশ্রুকনা গড়িয়ে পড়লো শীতলের।আরাভ ঠোঁটে পানি পড়তেই চোখ খুলে সরে এলো।

আরাভ ফোন বেজে উঠতেই ফোন হাতে নিলো।নম্বরটাকে চিনে না ও আন নং নাম্বার?ফোন রিসিভ করে কানে ধরলো আরাভ।কথা বলতে বলতে নিচে ড্রয়িংরুমে আসলো।

শীতল নিচে তাকিয়ে চোখ মুছে বিছানা চাদর কামচে ধরে বসে রইল।কি ছিলো এটা আরাভ ওর এত কাছে ছিলো তবু কেনো একবার বাধা দিলো না।তবে কি শীতল এই সম্পর্কে মায়াজালে জড়িয়ে পড়তে চলেছে?না তা হয় না এটা সম্মভ নয় আরাভ সাথে সারাজীবন একই ছাদে নিচে সংসার করতে পারবে না শীতল।কারণ আরাভ ওর বাবার শএু। নিজের চোখের সামনে যেগুলো হতে দেখেছে সেগুলো ভুলে যাওয়া সম্মভ নয়।


-;নাআআআ আরাভ গগনবিদারীত চিতকার আর নিচে সব কিছু ভাঙ্গতে দেখে সবাই ভয় পেয়ে গেলো।

শীতল উপরে থেকে আরাভ এমন শব্দ পেয়ে চমকে উঠলো!কি হলো উনার?এমন করছে কেনো?শীতল দৌড়ে নিচে নামতে নামতে দেখলো ফ্লোরে ঝোপ ঝোপ রক্তের দাগ।মোবাইল ভেঙে পড়ে আছে নিচে কাচের টেবিলটা ও ভাঙ্গা।
গাড়ি শব্দ পাওয়া গেলো আরাভ রেগে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে গেছে।শীতল বুঝতে পারছে না কি হলো এটা?সাভেন্টরা ড্রয়িংরুম পরিষ্কার করা কাজে নেমে গেছে।লেখনীতে ইয়ানুর আক্তার ইনায়া।

Tumhe Apna Banane Ka Junoon
Sar Pe Hai, Kab Se Hai
Mujhe Aadat Bana Lo Ik Buri
Kehna Ye Tumse Hai

Tumhe Apna Banane Ka Junoon
Sar Pe Hai, Kab Se Hai
Sar Pe Hai, Kab Se Hai

Jism Ke Samandar Mein
Ik Lehar Jo Thehari Hai
Usme Thodi Harqat Hone Do
Shayari Sunaati Inn Do Nasheeli Aankhon Ko
Mujhko Paas Aake Padhne Do
Ishq Ki Khwahishon Mein
Bheeg Lo Baarishon Mein
Aao Na…

-;বিবস্ত্র অবস্থা পড়ে আছে এলিজা গ্লোবাল। ঘরের সব কিছু লণ্ডভণ্ড। দেখলে মনে হবে এখানে ছোট খাটো ঘূনিঝড় বয়ে গেছে।

দুধে আলতা গায়ে রং চুল গুলো লাল।চোখের মনি বাদামি খয়েরি।বাঙালি নয় সে বিদেশিনী।

আই নিড ইউ।আই লাভ ইউ আরাভ। আই এম রেয়েলি লাভ ইউ।আই লাভ ইউ সো মাচ।
সাউন্ড বক্রে গানটা বাজছে ফুল ভলিউমে।মদ খেয়ে মাতলামি করছে এলিজা গ্লোবাল। যখন থেকে জানতে পেরেছে আরাভ বিয়ে করেছে তখন থেকেই এসব পাগলামি।

চলবে…

ভুলত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

আমি কি লিখছি আমি নিজেই জানি না। গল্পটা যেভাবে সাজাতে চেয়েছিলাম সেভাবে সাজাতে পারিনি।গল্পটা কেমন খাপ ছাড়া হয়ে গেছে।

ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here