King_in_the_city_of_Mafia পর্ব ১৩+১৪

#King_in_the_city_of_Mafia
#Yanur_Akter_Eanya
#Part-13+14(Special part)
আরাভ নিজের আস্তানায় এসেছে বাদশা দেলোয়ার হোসেন কে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

-;খুব শখ না তোদের মেয়েদের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলা। এবার তোদের নিয়ে আমি খেলা করবো দেখি তোদের কোন বাপ বাচায়।আরাভ আয়েস করে পিঠিয়ে যাচ্ছে বাদশা দেলোয়ার হোসেন কে।হাত আর পায়ে নক টেনে টেনে তুলেছে। শরীরে আঘাতের জায়গায় লবণ আর মরিচের গুড় মিক্স করে মাখিয়ে দিয়েছে। পুরুষত্ব অঙ্গটা কেটে ফেলেছে আরাভ।বডিটা কে একটা একটা করে ঢুকর করে প্যাকেট করে আরাভ পালিত সরীসৃপ কে খেতে দেওয়া হলো।আরাভ বাদশা দেলোয়ার হোসেন পুরো বডিটা পানিতে ফেলে পকেটে হাত ঢুকিয়ে দাড়িয়ে আছে।পানির নিচে থাকা বিশাল আকারে দুটো সরীসৃপ তৃপ্তিসহকারে খেতে লাগলো।

আরাভের পুরো শরীররে রক্তে মাখামাখি বাসায় এসে হট শাওয়ার নিলো।শীতল চোখের পাতা নড়ছে আস্তে আস্তে চোখ খোলার চেষ্টা করে ও পারছে না চোখ দুটো বিষণ জ্বালা পোড়া করছে।তবু অনেক চেষ্টা পড় চোখ মেলে তাকালো নিজেকে অন্য কোথাও দেখে চমকে উঠল।এটা তো আরাভ রাজ্য
শীতল এখানে কি কর আসলো? কে আনলো মনে করতে পারছে না?শীতল কিছু ঠিকমতো মনে পড়ছে না ও তো শপিং করতে বের হয়েছিলো।নীল সাথে শপিং করতে বের হয়। সেখানে নীল একটা কল আসলে সরে যায়।শীতল আগে একটু এগিয়ে ড্রেস চয়েজ করছিলো।আর তখনি ওর সামনে কয়েকটা লোক কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে শীতলকে গাড়িতে তোলে নেয়। এবং ইনজেকশন পুশ করে।কিসের ইনজেকশন শীতল জানে না। আর এখন হুস ফিরতে আরাভ রাজ্যে। তারমানে কি আরাভ তাকে আবার আগের মতো তুলে এনেছে! এই ছেলে চায় কি?আস্ত লুচুম্যান,অসভ্য।

-;কি ম্যাম ঘুম ভাঙ্গলো তাহলে…আমি তো ভাবলাম আজকে আর আপনার ঘুম ভাঙ্গবে না।

-;আপনি!আপনি আবার আমাকে তুলে এনেছেন? আপনার কি একটু শরম নেই নাকি?এত বেহায়াপনা করেন কি করে?

-;শরম!শরম কি?সেটা খায় না মাথায় দেয়?লজ্জা শরম তো নারী ভূষণ। পুরুষদের সেসব থাকতে নেই।আর বেহায়াপনা কি দেখলে জানেমান।তবে হ্যা এবার তুমি আরাভ কে নতুন রুপে পাবে।সে আরাভ হবে একজন প্রেমিক পাগল। দেওয়ানা, রোমান্টিক হ্যান্ডসাম কিউট বয়।সে তার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য কি কি করতে পারে এবার আমি তোমাকে দেখাবো।সো আর ইউ রেডি মাই জানেমান।

শীতল গোল গোল চোখে তাকিয়ে আছে। কেসটা কি বুঝতে পারছে না?আরাভ এই রূপ মানতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে ঢলে বিছানায় পড়লো।আরাভ মিটিমিটি হেসে শীতল কে বিছানায় ঠিক করে শুয়ে দিলো।এতে বেহুস ম্যাডাম কালকে কি করবেন? এখন সকাল হওয়ার পালা নতুন সকালে নতুন রুপে আসবো আমি পূর্ন অধিকারের সাথে তোমার জীবনে।লেখনীতে ইয়ানুর আক্তার ইনায়া।

********

বধূ সাজে দুই হাতের বিয়ের বেনারসি পড়ে দৌড়াচ্ছে শীতল। তাকে পালাতে হবে আরো জোড়ে পা চালিয়ে দৌড়াচ্ছে।শীতল দৌড়ে কমলাপুর রেলস্টেশন এসে পৌছালো।কোনো রকম টিকেট কেটে নিজের সিটে বসে দম ছাড়লো।এখন নিজেকে মুক্ত খোলার আকাশে পাখি মনে হচ্ছে। শীতল আরাভ রাজ্য থেকে আবার পালিয়েছে।আজ আরাভ আর শীতল বিয়ে ছিলো।শীতল পরে জানতে পারে আজ বিয়ে তার তা ওহ আবার #King_in_the_city_of_Mafia সাথে।বধূ সাজে পালার মেয়েরা সাজিয়ে রেখে গেলে।নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে প্লান মাফিক বেলকনি দিয়ে নেমে গার্ডদের চোখ ফাকি দিয়ে পালিয়ে এসেছে।

একটু পর ট্রেন চলতে শুরু করলো আপন গতিতে শীতল এখন বিপদ মুক্ত ভেবে চোখ বুজে বসে রইল। কিছুটা পথ ট্রেন চলার পর আবার ঝকঝকা শব্দ করে বন্ধ হয়ে গেলো।শীতল বুঝতে পারলো না চলতি ট্রেন বন্ধ কেনো হলো?

আশেপাশে কাউকে জিজ্ঞাস করবে এমন কেউ নেই।সব চেয়ে অদ্ভুত লাগলো এখানে সব সিট খালি পড়ে আছে।কোনো যাএী নেই শুধু শীতল রয়েছে।শীতল এত ভাবনার মাঝে একটা মানুষ তার মুখ বরাবর অপর সিটে এক পায়ের ওপর আরেক পা দিয়ে বসলো।

কে বসলো সামনে তাকিয়ে দেখতে গিয়ে শীতল চমকে গেলো কারণ বর সাজে শয়ন আরাভ খান বসে আছে।শীতল আরাভ কে দেখে কপাল বেয়ে ঘাম ঝড়ছে শীতল একটা ঢোক গিলো।

আরাভ নিজের ঠোটঁ কামড়ে ধরে শান্ত চোখে শীতল দিকে ঘার বাকা করে তাকালো। আরাভ শান্ত চাহনি শীতল প্রান পাখিটা উড়াল দেওয়া জন্য যতেষ্ট ছিলো।

-;কি জানেমান পালাতে চেয়ে ছিলে?তুমি ভাবলে কি করে আমার রাজ্য থেকে তোমাকে এত সহজ পালাতে দিবো?আজকে আমি তোমার সব কাহিনী আমার ঘরে বসে ল্যাপটপে দেখছিলাম। তুমি হয়তো ভুলে গেছো আরাভ খানের পুরো বাড়ি সিসিটিভির মাধ্যমে কনট্রোল হয়।আমার বাড়িতে কোথায় কি হচ্ছে না হচ্ছে সবটা আমি ঘরে বসে দেখতেই পাই।

-;তোমার সব কুৎকৃতি আমি জাস্ট দেখছিলাম তুমি আর কি কি করতে পারো?তোমার ট্রেন এই সাইটটা ফাকা কেনো জানো! তোমার এই গুনধর প্রেমিক জন্য।আমি সবটা করেছি। ট্রেন থামানো আগ থেকে সবটা।তবে এটা আমায় মানতে হবে আরাভ খানের সাথে টক্কর দিয়েছ তুমি।তার ফল তোমায় ভোগ করতে সারা জীবন আমার অধাঙ্গীনি হিসেবে।

-;সো কাম…চল আমার সাথে…আজ আমাদের বিয়ে জানেমান সেটা ভুলে গেলে চলবে।চলো।

-;আপনি কি ভেবেছেন জোড় করে বিয়ে পিরিতে বসাবেন আর আমি নাচতে নাচতে বিয়ে পিরিতে বসবো।নো নেভার….কখনো না।আমি আপনাকে কিছুতেই বিয়ে করবো না।মরে গেলো না।

-;বিয়ে তো তুমি করবে আর সেটা আমাকেই করবে।এবং আজ এই মূহুতে করবে।চলো আমার সাথে.. আরাভ শীতল কে ট্রেন থেকে টানতে টানতে নিয়ে গেলো কাজি অফিসে।শীতল কিছুতেই কাগজে সই আর কবুল বলবে না।আরাভ বুঝে গেছে এই মেয়ে ওর কোনো কথা শুনবে না।কিভাবে কথা শুনাতে হয় তা আরাভ খুব ভালো করেই জানা আছে।আরাভ গার্ডকে ইশারা কিছু বলতেই গার্ড একজন আরাভ সামনে ল্যাপটপ রাখে।আরাভ বাকাঁ হেসে ল্যাপটপটা অন করে শীতল সামনে ধরে।শীতল ল্যাপটপ তাকিয়ে চমকে উঠে নিজের বাবার মাথা বন্ধুক ধরে দাড়িয়ে আছে এক লোক।আরমান মির্জা অবস্থায় খুব খারাপ করে ফেলেছে আরাভ সেটা শীতল বুঝতে বাকি নেই।

-;কি করছেন আপনি?আমার বাবার মাথা থেকে বন্ধুক সরান লেগে যাবে গুলিটা?আপনি আমার সাথে এমনটা করতে পারেন না মিষ্টার আরাভ খান।

-;আমি কি করতে পারি না পারি সেটা তোমার সামনে প্রমান রয়েছে।এখন তুমি ভাবো… তুমি এখন কি করবে? বাবা কে বাচাতে আমায় বিয়ে করবে নাকি এক নিশানা তোমার বাবার মাথার খুলিটা উড়িয়ে দিবো।

-;আমি.. আমি..আমি রাজি আপনি প্লিজ আমার বাবা কে ছেড়ে দিন!

-;গুড! আগে কাগজে সাইন করবে কবুল বলবে তারপরে তোমার বাবাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।এখন কথা কম কাজ বেশি করলে খুশী হবো।

অবশেষে শীতল কাঁদতে কাঁদতে মুখে কবুল আর কাগজে সাইন করলো।শীতল পরই আরাভ কবুল আর সাইন করে দেয়।স্বাক্ষী হিসেবে চারজন যোগার করা ছিলো।
শীতল আর আরাভ দুইজনই এখন স্বামী, স্ত্রী পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হলো।সূচনা হলো নতুনভাবে পথ চলার। এই পথ চলা সুখে হবে নাকি দুঃখের হবে এখন সেটা দেখার পালা।

৷৷

শীতল কাদতেঁ কাদতেঁ বধূ সাজে ঘুমিয়ে আছে।আরাভ ঠোঁটের কোনে হাসি ফুঁটে উঠে।জামা কাপড় নিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে আরাভ।শীতল পাশে বসে একে একে শরীর সব গহনা খুলে সাইটে রেখে দিলো।এগুলো পড়ে ঠিক মতো ঘুমাতে পারবে না। কপালে আসা ছোট ছোট চুল গুলো সরিয়ে দিলো।আরাভ শুয়ে শীতলকে বুকে টেনে নিলো।শীতলকে বুকে টেনে নিতেই অদ্ভুত প্রশান্তিতে মন ভরে উঠলো।আজ অনেক দিন পর আরাভ খালি বুকটা সুখ খুজে নিলো পূরন করে দিলো অপূর্নতার ছায়াকে।আরাভ আজ অনেক দিন পর একটা শান্তি ঘুম দিবে।

-;পরদিন সকালে ঘুম ভেঙ্গে যায় আরাভ পাশে শীতল নেই গেলো কই এই মেয়ে আবার পালা না তো। কাল আরাভ যা করেছিলো সেটার জন্য রাগ করেনি তো মেয়েটা?রাগ করাটা স্বাভাবিক বাবা জগন্য রুপটা তো এখন সামনে আসেনি। শীতল কাছে তার বাবা শ্রেষ্ঠ বাবা।তাই আরাভ এখন যত বলুক না কেনো আরমান মির্জা খারাপ রুপটা কথা শীতল মানতে চাইবে না কিছুতেই।তাই সময় হলে নিজে থেকেই বলবে আরাভ এটা এখন সময় নয় বলার।উঠে ফ্রেশ হতে চলে যায় আরাভ।

ফ্রেশ হয়ে নিচে আসতে নিলে দেখে পাশের রুম খোলা।আরাভ রুমে এসে খাটের দিকে তাকায় বিছানায় কালকে বিয়ে মাথার ওড়না পড়ে আছে।তারমানে শীতল এখানে ফ্রেশ হচ্ছে।বাথরুমে পানি পড়ার শব্দ হচ্ছে।খাটে এসে বসে পড়লো আরাভ।

ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসে শীতল। চুল মুছতে মুছতে ড্রেসিংটেবিলের দিকে তাকাতেই খাটে বসে থাকা আরাভ দিকে চোখ পড়ে শীতলের।আরাভ ওর দিকে এক পা এক পা করে এগিয়ে আসছে। শীতল সামনে ফিরতেই আয়নার সাথে জাপটে ধরে আরাভ।

আহ.চোখ বন্ধ করে নেয় শীতল।আস্তে করে চোখ খুলে তাকায় শীতল। আরাভ কেমন নেশাময়ী চোখে তাকিয়ে আছে।

আরাভ কিছু না বলে শীতল মুখে বিন্দু বিন্দু পানিগুলো কে শুষে নিতে থাকে।আরাভ স্পর্শে শীতল কেঁপে উঠে।শীতল কিছু বলার আগে আরাভ শীতল গলায় মুখ ডুবিয়ে ছোট ছোট কিস করতে তাকে জানান দেয় প্রেয়সী কে কাছে পাওয়ার আকুলতা।

-;শীতল কপাকাপা গলায় বলে উঠে আমার বাবাকে ছেড়ে দিয়েছেন আপনি?

-;শীতল কথা ঘোর কাটে আরাভ। শীতল থেকে সরে এসে মাথা নাড়িয়ে জানান দেয় আরামান মির্জা কে কাল রাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।শীতল মুখে হাসি ফুটে উঠে।আরাভ শীতলে মুখে এক চিলতে হাসি ফুটতে দেখে প্রেয়সী মুখ প্রানে তাকিয়ে উপভোগ করে সেই মিষ্টি হাসিটা।

আরাভ শীতল কাঁধের কাপড় সরিয়ে কাঁধে ঠোঁট বসিয়ে চলে যেতে যেতে বলে যায় নিচে নেমে ব্রেকফাস্ট করে নাও।

শীতল চোখ জোড়া বুজে আসে।চোখের কোনা বেয়ে দুফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে।শীতল মাথা নিচু করে বলে আসছি।সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসে শীতল আরাভ পাশের চেহারাটায় বসতে ইশারা করে।আরাভ কথা মতো শীতল পাশে চেহারটা বসে।আরাভ নিজের হাতে শীতলে কে ব্রেকফাস্ট করায়।

নিজেকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে শীতল।কি করবে মাথা কিছু আসছে না।পরিবার কারো সাথে কোনো যোগাযোগ নেই।বাবা কে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে কিন্তু আরাভ বাড়ির বাহিরে যাওয়ার পারমিশন দেয়নি।শীতল কে বাসায় পড়াশোনা কম্পিলিট করতে বলেছে খুব প্রয়োজন পড়লে আরাভ নিজে নিয়ে যাবে। কিন্তু শীতল একা চলা বা বের হওয়া টোটালি বন্ধ। শীতল জানেনা আরাভ এসব কেনো করছে? কি কারণে করছে?

আরাভ যা করছে শীতল ভালো জন্য করছে এতে শীতলের খারাপ লাগলে কিছু করার নেই।

।।

আরাভ পায়ের ওপর পা তুলে বসে আছে।
আরাভ সামনে রয়েছে বিশাল বড় একটা ফাইল।সেই ফাইল থেকে এমন কিছু তথ্য পেয়েছে। যা
আরাভ মাথা চলছে হাজার চিন্তা ভাবনা নেক্সট মিশনের জন্য।

আর আরমান মির্জা কে ওহি দিন রাতেই বের করে শাস্তি ব্যবস্থা করে ফেলেছিলো। বাট জগৎ রায় কে পায়নি।হঠ্যাৎ করে গায়েব হয়ে আছে।এখন জগৎ রায় মাথা কি চলছে বুঝতে পারছে না।জগৎ রায় কি করতে চলেছে সেটাই দেখার পালা?জগৎ রায় চুপ করে থাকার মানুষ না এটা নিশ্চিত। লেখনীতে ইয়ানুর আক্তার ইনায়া।

আরাভ লোকদের সাথে কিছু কথা বলে বাসার পথে গাড়িতে উঠে ড্রাইভ করে রওনা দিলে চট্টগ্রাম থেকে ফোন আসে।মিস্টার আরাভ খান আপনি যেখানে থাকুন না কেনো ইমিডিয়েটলি আমাকে কল করুন ইতি আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী।
আরাভ মেসেজ টা পড়ে রহস্যময় একটা হাসি দিলো।

।।

শীতল ফোন নিয়ে বসে আছে বাবা সাথে কথা বলতে চাইছে বাট সাহস করতে পারছে না। আরাভ জানতে পারলে কি করবে কে জানে?কিছুটা সাহস নিয়ে কল করে বসলো।

অপরপাশ ফোনটা রিসিভ হতেই,

-;হ্যালো বাবা তুমি কেমন আছোও? তোমার শরীর কি অবস্থা? ডক্টর দেখিছো তো?মেডিসিন নিয়েছো তো?

-;আমি তোমার বাবা নই।মা বলছি।তোমার বাবা ডক্টর দেখিয়ে মেডিসিন নিয়ে নিশ্চিতে ঘুমাচ্ছে।

শীতল মিসেস কনিকা মির্জা গলায় কথা শুনে ফোনটা কেটে ঠোঁট ফুলিয়ে বাবা বলে কেঁদে উঠলো।

কল কেটে যাওয়া কান থেকে ফোন সরালো কনিকা মির্জা। শীতল আজ ও তাকে এড়িয়ে গেলো।এতগুলো বছর পার হয়ে গেলো।তবু মেয়েটার মনে একটু জাগায় করে নিতে পারেনি।মেয়েটা আমাকে মা বলে কখনো ডাকেনি।আ তো কোনো দিন মা বলে ডেকে বুকে জড়িয়ে নিবে তো নাকি এভাবেই মুখ ফিরিয়ে নিবে।দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে চল কনিকা মির্জা ছাঁদে। এই বাড়িতে বউ এসেছিলো যখন তখন কার কথা মনে পড়লো।ছোট একটা মিষ্টি মেয়ে এক হাতে পুতুল দুই পাশে দুটো ঝুটি করা মুখটা গোমড়া করে থাকতো।কনিকা হাত বাড়িয়ে যত ঢেকে বুকে নেওয়ার চেষ্টা করতো।ততই শীতল আরো তাকে দূরে টেলে দিতো কেমন অস্বাভাবিক আচরণ করতো।একদিন তো মেলামাইন প্লেট ছুঁড়ে কপাল কেটে দেয়।শীতল তারিন মৃত্যু জন্য কনিকাকে দায় করে।অবশ্য করার কারণ রয়েছে এর পিছনে।

।।

বঁধু সাজে বসে আছে নীলিমা তার চোখে পানি টলমল করছে। আজ তার আর জেন বিয়ে হতে চলেছে কিন্তু আরহাম একটি বার তাকে দেখতে আসেনি
বিয়ে কার্ড তার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

হয়তো আর আসবে না কারণ আরহাম নীলিমা কে কখনো ভালোবাসেনি।নীলিমা ভালোবাসা আজ মিথ্যে হয়ে গেলো ।নীলিমা আরহাম কোনো দিন তার কাছে পাবে না।

যখন আরহাম কে আপন করে পাওয়া হলো না। তখন নিজেকে বাঁচিয়ে রেখে কি লাভ তার থেকে নিজেকেই শেষ করে দিবো আমি।তুমি সুখে থেকো আরহাম ভালো থেকো।তোমাকে আর কেউ বিরক্ত করবে না।নীলিমা তোমার জীবন থেকে চলে যাচ্ছে সারাজীবন জন্য গুড বায়।

নীলিমা ঘুমের ওষুধ একসাথে অনেকগুলো মুখে পুড়ে নিলো।বিয়ে কনেকে বরে পাশে বসানো হয়েছে।নীলিমা আঁখি ভরা দুই নয়ন নিয়ে মেইন গেইটে দিকে তাকিয়ে আছে আরহাম অপেক্ষা হয়তো আর কোনোদিন দেখা হবে না।তাই শেষ দেখা হয়ে গেলে খুব কি ক্ষতি হবে।

চলবে……

ভুলক্রটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে পর্বটা লিখেছি। কি লিখেছি আমি নিজেই জানি না।আরো একটু বড় করতে চেয়ে ছিলাম। কিন্তু ঘুমের জন্য চোখ মেলে রাখতে পারছি না। সরি।

ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here