King_in_the_city_of_Mafia পর্ব ১২

#King_in_the_city_of_Mafia
#Yanur_Akter_Eanya
#Part-12
-;স্যার এগুলো কি বল! স্যার মাথা চলছে কি?আমি যতটুকু চিনি স্যার এমন আচরন করার মানুষ না তাহলে নীল রওশান কথা বল কেনো?নীল রওশান কি স্যার জানে না এটা তো আরেক কালপিট।আল্লাহ জানে কি হবে সামনে”।

-;ভালোবেসে আজ রিদয় আমার যত ক্ষত হোক না কেনো তোমার গায়ে একটা আচর আমি লাগতে দিবো না।তোমাকে দূরে সরিয়ে রাখতে চেয়েছিলাম তোমাকে ভালো রাখতে।কিন্তু আমি একটু চোখের আড়াল হতেই বিপদ তোমায় আগলে নিলো।এবার সময় হয়েছে তোমার ব্যাবস্থা করা।আর জগৎ রায়, আরমান মির্জা কে উচিত শিক্ষা দেওয়া”।

I’m coming to know you. To welcome you to be the queen of my kingdom.

জগৎ রায় শীতল কে দেখে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছে না যে কোনো মূহুতে শীতল কে চাই তার।বিজনেস ডিল জন্য জগৎ রায় সাথে বিগ বড় ডিল হতে চলেছে ২৯ তারিখ ।আবুধাবির নামকরা বাদশা জনাব দেলোয়ার হোসেন এর সাথে সেখানে শীতল নিলামি হবে।

নীল কে নিয়ে বিজি শীতল আরাভ নামের কেউ ছিলো সেটাই মনে নেই। নীল সাথে ঘুরছে ফিরছে বেশ আনন্দেই আছে।

-;নীল দেখোও মাই ফেভারিট জায়গায় চলো আমার সাথে।জানো আমি এখানে কতবার এসেছি। এখানে আমি প্রায় আসি।এই জায়গায় চটপটি, ফুচকা নাম করা একবার খেলেই বার খেতে মন চাইবে।এসব দেখলেই জিহ্বাতে পানি এসে যায়।।চলো আমি আজ তোমার সাথে আমার ফেভারিট খাবার খাবো।লেখনীতে ইয়ানুর আক্তার ইনায়া।

-;ছি, এসব কেউ আন হেলধি খাবার খায়। চলো আমার সাথে আমরা আজ পাঠিসার্টি করি।নীল শীতল কে নিয়ে নাইট ক্লাবে আসলো।নীলের বন্ধুরা হুইসকি,বিয়ার,বোটকা আর চিকেন দান্দুরী তে কামড়ে সাথে পার্টি বেশ জমছে ইনজয় করছে।নীলের সাথে শীতল এখানে আসলও তেমন পছন্দ হয়নি তবু চুপ করে আছে।ওকে সোফায় বসিয়ে রেখে নীল ডান্স ফ্লোরে ডান্স করছে বন্ধুদের সাথে।কিছুখণ পর শীতল কে ডান্স ফ্লোরে নিয়ে গেলো।
শীতল গা ঘেসে অনেক ছেলেরা ডান্স করতে করতে ওকে টার্চ করছে বিভিন্নভাবে।শীতল এসব সয্য করতে না পেরে চোখ দিয়ে অটোমেটিক পানি চলে আসে।নীল কে ডাক দিলে ও শীতল দিকে ফিরেও তাকায় না তার মেয়ে বন্ধুদের সাথে সে ব্যাস্ত।শীতল আর সয্য করতে না পেরে নেমে আসতে নিলে দুটো হাত সব ছেলেদের টার্চ থেকে আলাদা করে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয় সেফলিভাবে।

শীতল মুখ ফুটে কিছু বলতে গিয়ে থেমে যায়।লোকটি শীতলে কে নিজের সাথে মিশিয়ে মিউজিকের তালে তালে নাচছে।শীতলে নাকে ভেসে আসছে সেই পরিচিত পারফিউম ঘ্রাণ। শীতলে কে মনে করিয়ে দিচ্ছে পারফিউম ঘ্রাণ ওর খুব কাছে কারো আপনজনের।এর আগে এটা সুভাস নিজের নাকে পেয়েছে অনেকবার।শীতল পুরুষটি মুখ দেখতে পারছে না। কারণ তার মুখে মার্কস লাগানো শুধু চোখ দুটো দেখতে পারছে।চোখের ভাষায় বলছে, না পাওয়া একদরফার ভালোবাসায় কথা।কিন্তু শীতল কি বুঝবে এই পুরুষটার না পাওয়া ভালোবাসায় কষ্টটা।।

গান শেষ মূহুতে শীতলকে ঘুরিয়ে দিয়ে চুল ব্যান্ডটা হাতে নিয়ে সবার ভিরে মাঝে হারিয়ে গেলো সেই না দেখা পুরুষটা।
শীতল হাজার চেষ্টা করে ও আর দেখতে পায়নি কে ছিলো সেই ব্যাক্তি।নীল কে নিয়ে পার্টি শেষ হলে চলে আসে শীতল।

রাতের জোস্নায় আলোয় বেলকনিতে দাড়িয়ে সিগ্ধ চোখে দূরে দৃষ্টি দিকে তাকিয়ে হাজার ভাবনা ভাবছিলো শীতল।নাইট ক্লাবে কে ছিলো?সেটা কোনোভাবে আরাভ ছিলো না তো।আরাভ নাম নিতেই কেমন যেনো লাগলো শীতলের কাছে ।এটা ভালো লাগা নাকি খারাপ লাগা বুঝতে পারছে না কেমন অদ্ভুত ফিলিংস ছিলো।আচ্ছা আরাভ কে এখন আর দেখা যায় না কেনো?নাকি ওহি ঘটনার জন্য শীতলের মুখোমুখি আর হতে চায় না আরাভ?তবে কি সত্যি
আরাভ মনে শীতল একটু হলে বিষাক্তময় গড়ে তুলতে পেরেছিলো?যার জন্য শীতল আর আরাভ দুইজনই দুই নৌকার মাঝি এখন।

*******

শীতল নিখোঁজ খবরটা আরাভ কানে পৌঁছে গেছে।এবং এর পিছনে কে বা কারা জড়িত তা সবটা ধারনা আরাভ করতে পারছে।আর আজ আগষ্ট মাসের ২৯তারিখ।তারমানে আজ রাতেই খারাপ কিছু হতে চলেছে।আরাভ দেহে যতখন প্রাণ আছে ততখন শীতলে কোনো ক্ষতি কেউ করতে পারবে না।আরাভ পিছনে বন্ধুক রেখে গায়ে কালো লম্বা কোড জড়িয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলো।

আরাভ গাড়িতে বসার সাথে সাথে আরো সাতটা গাড়ি আরাভ নির্দেশে আরাভ গাড়ি ফোলো করে চলো টার্গেট মিশনে।

Royal Perb Hotel 💙

যেখানে আজ নিলামে বলি হবে শত শত মায়ের কলিজা টুকুরোরা।শত শত মেয়েদের চিতকার দেয়াল ওপাড় থেকে এপাড়ে শোনা যাচ্ছে।তবু কারো মনের দয়া মায়া জাগে নিই।মেয়েরা সত্যি কি ভোগ আর লালসার পূন্য?আজ যারা মেয়েদের দরদাম কষাকষি করছে তারা কি ভুলে গেছে তারা কোনো না কোনো মায়ের সন্তান।নয়মাস গর্ভধারণ করে যে তোমাকে পৃথিবীর আলো দেখালো সে তোমার মাতা ছিলো তোমার মা জননী।পৃথিবীতে নারী আগমন হয় একজন মেয়ে হিসেবে,কারো স্ত্রী হিসেবে,কারো মমতাময়ী মা হিসেবে,সে মা জাতিকে কল্কের একটা দাগ লাগানোর আগে ভাবো না সে তো কারো না কারো ঘরে মেয়ে,বউ,স্ত্রী, মা।

আহ্‌মদের ইবনু ইউনুস (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যুলম কিয়ামতের দিন অনেক অন্ধকারের রূপ ধারন করবে।

((হাদিস ২২৮৫))

চারদিকে আজ নিস্তব্ধতা যেমন বিপদ আশার আগের পূর্বআভাস শোক মূহুতে পালন করে। কোনো আওয়াজ নেই কোনো শোরগোল নেই।যেটা হচ্ছে সেটা মৃত্যুপুরী হতে চলেছে।এই মৃতু্পুরী থেকে আদো কেউ বেচে ফিরে যাবে তো তাদের মায়ের কোলে।নাকি এখানে শেষ হতে চলেছে সব কিছুর ইতি।

নিলাম এক এক করে মেয়েদের জোর করে তুলছে।মেয়েরা কথা না শুনলে দুই চারটে থাপ্পর পড়ছে, ভারী হাতের থাপ্পড় গাল লাল করছে।মেয়েগুলো আহাকার কারো কানে পৌছাছে না।নিলাম সব মেয়েগুলো একে একে সেল হয়ে যাচ্ছে।

অবশেষ এলো শীতল পালা। শীতল এখন বেহুস সোজা হয়ে দাড়াতে পারছে না,পারবে কি করে শীতল কে নেশা জাতীয় ড্রাগস খাওয়ানো হয়েছে।
শীতল কে টেনে সোজা দাড়নোর চেষ্টা করালে ঢলে পড়ে যাচ্ছে।আস্তে আস্তে চোখ খোলার চেষ্টা করছে শীতল কিন্তু পারছে না মাথা ভারী লাগছে, চোখে পাতা বুজে আসছে।হঠ্যাৎ কেউ থাপ্পড় মেরে বসলো শীতলের গালে পাচঁ আঙুলের ছাপ বসে গেছে।শীতল থাপ্পড় খেয়ে কেনো হেলদোল নেই মাতাল মতো করছে শুধু।অবশেষে ৫০ লাখ টাকায় শীতল কে কিনে নিলো কুয়েত বড় বিজনেসম্যান জনাব শেখ মুফাজ্জেল। শীতল কে টেনে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছে কিন্তু তুলতে পারছে না।যখন ধাক্কা দিয়ে শীতল কে ঢুকানোর চেষ্টা করছিলো তখনই একটা বুলেট এসে শেখ মুফাজ্জেল বুক জাজরা করে ফেলো।রাস্তায় পড়ে কাতরাতে কাতরাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শেখ মুফাজ্জেল।আরাভ লোকেরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে গুলি বর্ষণ করছে।লেখনীতে ইয়ানুর আক্তার ইনায়া।

আরাভ শীতলের কপালে ওষ্ঠদ্বয় ছুঁয়ে দিয়ে নিজের বুকে জড়িয়ে নিলো।অনেক উড়েছ মায়াবিনী এবার তোমাকে পাকাপোক্তভাবে আমার রাজ্যের রানী করে নিয়ে যাবো।আরাভ নিজের গাড়িতে শীতল কে শুয়ে দিয়ে লক করে বের হলো আরমান মির্জা, আর জগৎ রায়,বাদশা জনাব দেলোয়ার হোসেন কে খুঁজতে। প্রত্যেকটা রুমে চেক করে খুজে বের করতে পারলো।দরজার জোড়ে লাদি মেরে খুলে ফেলো বাদশা জনাব দেলোয়ার হোসেন কে যে অবস্থা দেখলো আরাভ চোখ সরিয়ে নিলো!কারণ একটা মেয়ের সাথে অন্তরক্ষ অবস্থায় ব্যাস্ত ছিলো। গায়ে কোনো পোশাক নেই সব চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।আরাভ পায়ের সামনে বাদশা দেলোয়ার হোসেন শর্ট প্যান্ট ছুড়ে মেরে বলো,ওটা পড়ে বাহিরে আসতে।আরমান মির্জা আর জগৎ রায় পালি গেছে।

*****

সব মেয়েদের উদ্ধার করে সেফলিভাবে তাদের বাড়িতে পৌছে দেওয়ার ব্যাবস্থা করা হয়েছে।
শীতল কে নিয়ে বাড়িতে পৌঁছে ডক্টর ডেকে এনে চেকআপ করানো হয়।

আরাভ নিজের আস্তানায় এসেছে বাদশা দেলোয়ার হোসেন কে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

-;খুব শখ না তোদের মেয়েদের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলা। এবার তোদের নিয়ে আমি খেলা করবো দেখি তোদের কোন বাপ বাচায়।আরাভ আয়েস করে পিঠিয়ে যাচ্ছে বাদশা দেলোয়ার হোসেন কে।হাত আর পায়ে নক টেনে টেনে তুলেছে। শরীরে আঘাতের জায়াগায় লবণ আর মরিচের গুড় মিক্স করে মাখিয়ে দিয়েছে। পুরুষত্ব অঙ্গটা কেটে ফেলেছে আরাভ।বডিটা কে একটা একটা করে ঢুকর করে প্যাকেট করে আরাভ পালিত সরীসৃপ কে খেতে দেওয়া হলো।আরাভ বাদশা দেলোয়ার হোসেন পুরো বডিটা পানিতে ফেলে পকেটে হাত ঢুকিয়ে দাড়িয়ে আছে।পানির নিচে থাকা বিশাল আকারে দুটো সরীসৃপ তৃপ্তিসহকারে খেতে লাগলো।

চলবে……

ভুলত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

দুটো পাঠ একসাথে দিতে চেয়ে ছিলাম বাট পারলাম না একটা পর্ব হলো।

ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here