#নীল হতে নীলান্তে
#লেখিকাঃ তামান্না
চতুর্থ পর্ব
জাহিদ আফসারী- রাত অনেক হয়েছে, ঘুমিয়ে পর।
এরপর মিশন নিয়ে ভেবো।
পুর্বের স্মৃতি নিয়ে ভেঙ্গে পরোনা।
তোমার জীবন এখনো শুরু হয়নি। আরো পথ বাকি আছে পারি দেওয়ার!! একটা জিনিস মনে রেখো –
“পূর্বের স্মৃতি যে শুধু ব্যাথাতুর তা নয়, পূর্বের স্মৃতি ঘুরে দাড়ানোর স্মৃতি!”
“প্রত্যেকটা সময় তোমাকে মনে করিয়ে দিবে সামনে এগিয়ে যাবার কথা ” তাই সব সময় পুরোনো স্মৃতি নিয়ে কাদবে না!”
অর্নিতা বাবার কথা মন দিয়ে শুনছে, সত্যিই তো! ও যদি ওর পুরোনো বিষাদময় স্মৃতি নিয়ে ভেঙ্গে পরে তাহলে সামনে এগুবে কি করে? অর্নিতা কিছুক্ষন গভীর ভাবে ভেবে বাবাকে বলে উঠল- বাবা, কাল কি করতে হবে?
জাহিদ আফসারী- তেমন কিছুই না! এই কয়েকদিন তোমার তেমন কোন কাজ নেই,
আমি তোমার বদলির ব্যাবস্থা করে দিয়েছি, তাই তুমি ঢাকায় এসে এইকাজে যোগদান করেছো, এতদিন ছদ্মবেশে ছিলে তাই অফিসে তোমায় যেতে হয়নি।
তবে কাল থেকে অফিসে জয়েন দিবে।
অর্নিতা মাথা নাড়িয়ে সায় দিল।
_____________________________________
অরুপের বাবা-দুটো বছর! দুটো বছর গেলো তোমার ছেলে এই পেশায় যোগ দিয়েছে!
আমার কি নাই?
কি নাই আমার? বলতে পারো? হ্যা!! এতকিছু ফেলে তিনি যোগ দিবেন আর্মিতে,দেশের জন্য নিয়োজিত হবেন নিষেধ করেছি? আর্মিতে ডুকতে চেয়েছে আমি খুশিমনে ওকে ক্যাডেট এ ভর্তি করিয়েছি!
ইচ্ছে যখন ভর্তি হোক আর্মিতে খারাপ কি?
আমি নাহয় নিজের ব্যাবসা নিজে সামাল দিলাম।
কিন্ত কি করল উনি? গোয়েন্দা গিরি করবেন।
এখন বুঝ ঠেলা উনিশ থেকে বিশ হলেই জ্বালা!
ওর জুনিয়র! মেয়ে ওকে ফেলে সিনিয়র হয়ে যায়!
অরুপ – হয়নি এখনো!
অরুপের বাবা- হতে কতক্ষণ!
অরুপ – আমি কি জানতাম এমন হবে?
অরুপের বাবা- “চাপকে সিধে করে দেবো! ”
তোমাকে আমি বলেছি ব্যাবসা সামলা ও! একা আছো ভাই নেই বোন নেই! নিজের মত বাচো! তুমি কিনা বারবার আমার কথার অমান্য করো! কি হতো ওই সবে না জড়ালে?
অরূপের মা – আহ! কি শুরু করেছো? ছেলেটা এসে ঘরে বসতে ও পারেনা তুমি ওর সাথে শুরু করে দেও যাচ্ছে তাই! অরুপ তুই তোর রুমে যাতো!
অরুপ নিজের রুমে চলেগেল। লজ্জায় তার মাথা কাটা যাচ্ছে! নিজের জুনিয়র তার থেকে সিনিয়র হয়ে যাবে।
এইতো আর কয়েকমাস পরেই প্রমোশন বোর্ড বসবে।
এই লজ্জা কোথায় রাখবে। ভাবতেই তার মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো।
________________________________________
অর্নিতা আজ অফিসে যাচ্ছে, আজ তিনমাস চৌদ্দদিন পর সে এই অফিসে জয়েন দিতে আসলো।
গাড়ি থেকেই সে দেখতে পারছে অফিসের বহুতল বিল্ডিং এ লেখা অফিসের নাম । এসেই সে পুরো অফিস দেখতে লাগলো। অফিসের লোকজন তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জানাতে লাগল।
এখানে অনেকগুলো সেক্টর আছে, আছে অনেক তথ্য।
অর্নিতা মূলত ক্রাইম কন্ট্রোল ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট এ তার প্রধান কাজ।
অর্নিতা অফিসের সব কাজ সম্পর্কে ধারনা নিয়েই গেলো।
অর্নিতার প্রথম জয়েনিং ছিল খুলনা। খুলনায় একবছর থাকার পর সে ঢাকায় চলে আসে।
ছোটবেলা থেকে এই পেশাকে সে খুব ভালোবাসতো।
এখনো তার খুব ভালো লাগে।
অফিসে আজ তাকে সম্মাননা দিয়েই শুরু হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সম্মাননা পাওয়ার পর পরিচিতি পর্ব।
সবার সঙ্গে পরিচয় পর্ব খুব ভালোভাবে হলেও অরুপের সাথে তার তেমন একটা জমলো না।
কারন অরুপের মুখ দেখে সে যা বুঝলো অরুপ তাকে কল্পনাই করতে পারেনি এখানে।
অর্নিতা অরুপের আইডিকার্ডের দিকে খেয়াল করে দেখল অরুপের আইডি নাম্বার 12345 আআর অর্নিতার 12352 অরুপ তার থেকে সিনিয়র। র্যাঙ্কে দুজন এক হলেও চাকরিতে সে জুনিয়র।
অর্নিতা ভেবেনিল এটাই হবে। তার উপর হয়তো এমনো হতে পারে কালকের ঝটনায় লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছেনা।
অর্নিতা ভাবনার মাঝেই অরুপ সামনে এসে দাড়ালো তার।
অর্নিতা স্যালুট দিলো তাকে,
এবং সৌজন্যতার খাতিরে বলে উঠলো তাকে –
স্যার!কালকের রুড বিহেভের জন্য দুঃখিত।
অরুপ- ঠিক আছে, যেকোন মানুষের ভুল হওয়ার কথা।
ঠিক হয়ে যাবে।
তবে আরেকটু সাবধান হবেন আপনি।
অর্নিতা অরুপের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত ভালোভাবে পরখ করছে। তাকে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলছে।
নিজেই এদিক দিয়ে পুরোপুরি ভাবে ভঙ্কুর।
অর্নিতা তার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে চলে এলো।
_______________________________________
অফিসার- অর্নিতা আজ আপনার কাজ আছে।
অর্নিতা – জ্বি,স্যার বলুন।
অফিসার- আজ আপনাকে কমলাপুর রেইলস্টেশন যেতে হবে একটা চক্রের খোঁজ করতে।
আমাদের কাছে কয়েকজন নোটিশ পাঠিয়েছেন এ ব্যাপারে। তাদের আনাগোনা রাতেই নাকি বারে। তাই আমি চাই আপনি নিজে গিয়ে সে স্থান পরিদর্শন করুন।
আর শুনুন আপনার সঙ্গে যাবে অরুপ রহমান, জামিল, ফরহাদ!
অর্নিতা- জ্বি স্যার আমি প্রস্তুত!
অফিসার- ঠিক আছে, আপনারা সবাই তাহলে আজ যাবেন সেখানে।
_____________________________________
একটু আগেই এসেছে ওরা।
অরুপ একটা জ্বালমুড়ি ওয়ালা সেজেছে গায়ে পুরোনো ফতুয়া, লুঙ্গি বেশ দেখে চেনার উপায় নেই,
সঙ্গে জালমুড়ি ওয়ালার মত ঝুড়ি ও জালমুড়ি বানানোর জন্য মুড়ি ও মশলা নিয়ে সে হাজির। বোঝার উপায় নেই একটু আগে উনিফর্ম পরা একজন সুদর্শন যুবক ছিল সে।
অর্নিতা আছে পাগলীর ভেসে, খানিকটা পা বাকিয়ে, পেন্সিলে আকা জোড়া ভ্রু গুলো কুচকে জ্বীব বেড় করে হাসছে সে তো কখনো জোরে জোরে বলছে-
সব কটারে মাইরা ফেলমু!
গাইরা ফেলমু কবরে!
হাতে নিয়ে রেখেছে বিশাল লাঠি আর সঙ্গে তাবিজ কবজ! ছেড়া কাপড়ের অভাব নেই!
জামিল বুড়ো বেশে এক যায়গায় বসে আছে। পান খাচ্ছে আর বসে বসে সবাইকে দেখছে।
ফরহাদ ট্রেনের অপেক্ষায় বসে আছে ঘুরছে তো ঘুরছে
অপেক্ষা কখন সেই চক্র আসবে।
অর্নিতার দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর একটা লোক অরুপকে এসে জিগ্যেস করল-
– ভাই এই মহিলা কি পাগল?
অরুপ- পাগলই তো মনে হয়,
লোকটি- আহারে কি সুন্দর!
এমন সুন্দর মহিলা পাগল ভেসে ঘুরে।
অর্নিতা তখন হাতের লাঠি দিয়ে ঠাস করে দুটো বারি দিল মাটিতে, সেই লোক সহ অরুপরা সবাই ভয় পেয়েগেল।
অরুপ- ভাই যান তো কাজের মধ্যে ডিস্টাব কইরেন না!
চ্যাতাইলে মাথায় বারি দিবো!!
লোকটি – উঠে চলে গেলো,
ফরহাদ অন্যদিকে উঠে হেসেদিলো ওদর কান্ড দেখে।
ফরহাদ এর চাকরি হয়েছে তিন সপ্তাহ হবে। একদম নতুন তাই ওদের মত এত প্রফেশনাল না।
অর্নিতা কিছুক্ষণ বসে রয়েছিল, তার নজরে পরল অনেকক্ষণ ধরে কিছু লোক একটা মেয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। মেয়েটি উঠে যাওয়ার পর লোকগুলো ও তার পিছু নিয়েছে। তারপর কি ভেবে সে উঠে পরল, এবং বলতে লাগলো – পাইয়া গেছি তোরে আমি পাইয়া গেছি তোরে!
তোর লগে আইজ আমি যামু তোর ঘরে!
অদ্ভুত কথাটি বলেই হাসতে হাসতে চলেগেলো সে।
অরুপ খেয়াল করলো অর্নিতা সত্যি সত্যি চলে যাচ্ছে।
এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই অর্নিতা কোথায় যেন চলেগেল।
অরুপ কিছু বুঝে উঠার আগেই, বাসা থেকে ফোন এলো অনেকক্ষণ কথা বলার পর সে একটু নির্জন যায়গায় এসে ফোন হাতে নিলো অর্নিতাকে ফোন দেওয়ার জন্য। একসঙ্গে আসার সময় ফোন নাম্বার নিয়েছিল সে।
অর্নিতার ফোনে কল করার আগেই।
ঠিক তখনই ওয়াকি- টকিতে বেজে উঠলো অর্নিতার কন্ঠস্বর- স্টেশন থেকে একটু ভিতরে আসুন আপনারা! এই এরিয়ার জঙ্গল অনেক বেশি! জঙ্গলি ঘাস দিয়ে ভর্তি।
আমি এখানে কিছু দেখেছি!
প্লিজ আসুন তারতারি নাহলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।
অরুপ সঙ্গে সঙ্গে ফরহাদ আর জামিলকে ফোন করে জানিয়ে দিল।
তারাও তার সাথে চলে এলো।
অরুপ অর্নিতার ফোন এর জিপিএস ট্রেকার দিয়ে চলছে পিছু পিছু।
কিছুদূর যেতেই অর্নিতা কানে এলো একটি মেয়ের আর্তচিৎকার-
ছাইড়া দেন আমারে! ভাইজান পায়ে পরি আমনেগো ছাইড়া দেন! আমার পোলাপান ঘরে! আমার সর্বনাশ কইরেন না! আমনেরা ভাই হোন!
অর্নিতার চোখ বেয়ে জল ধারা বয়ে চলেছে।
অর্নিতার মনে হচ্ছে এতদিনের জমে রাখা ক্ষোভ সে আজ এই দিনে মিটাবে!
মেয়েটি গগন বিদারী চিৎকার করে উঠলো- আল্লাহ্ গো!
কেউ আমারে বাচান!
#নীল হতে নীলান্তে
#লেখিকাঃ তামান্না
পঞ্চম পর্ব
অর্নিতার চোখ বেয়ে জল ধারা বয়ে চলেছে।
অর্নিতার মনে হচ্ছে এতদিনের জমে রাখা ক্ষোভ সে আজ এই দিনে মিটাবে!
মেয়েটি গগণ বিদারী চিৎকার করে উঠলো- আল্লাহ্ গো!
কেউ আমারে বাচান!
এরপর মেয়েটি একটা লোকের পা জড়িয়ে ধরে বলল-
ভাই আমারে ছাইড়া দেন, আমার দুইটা পোলা ঘরে,
কাজ কইরা খাই ভাই! আমার সর্বনাশ কইরেন না!
কারোর কাছে মুখ দেখাইতে পারুম না আমি!
লোকটি মেয়েটিকে লাথি দিয়ে ফেলেদিল,
তা দেখেই সেই দলের কিছু লোক
হাসাহাসি করতে লাগল।
অর্নিতার যেন সহ্যের সীমা পার হয়ে যাচ্ছে।
অর্নিতা তার লুকানো পিস্তল টা বেড় করে গুলি করবে তার আগেই অরুপ তাকে ধরে ফেলেছে।
অর্নিতা তার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো –
ছাড়ুন!
ওদের এভাবে ছাড়া যাবে না!
অরুপ অর্নিতার হাত থেকে পিস্তল নিয়েনিল।ঞ
অরুপ- শান্ত হোন অর্নিতা! এমন করবেন না!
অর্নিতা- পিস্তলটা দিন আমাকে,
অরুপ- পিছনে ফেরে দেখুন!
অর্নিতা অরুপ কে ধাক্কা দিয়ে পিছনে তাকালো।
দেখল পুলিশের লোকজন! পুলিশ দেখে অর্নিতা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল।পুলিশের লোকজন সেই লোকগুলোকে ধরে ফেলেছে।
অর্নিতা মেয়েটির দিকে ভালো করে দেখছে, মেয়েটি কোথায়? মেয়েটিকে দেখতে চাইছে সে।
নারী কনস্টেবল এর সঙ্গে দাড়িয়ে আছে মেয়েটি!
অর্নিতা মেয়েটির কাছে যেতে চাইলো! কিন্তু যেতে পারলো না তার হাত বাধা! সে যখন তখন আবেগী হয়ে যেতে পারবে না। তাকে শক্ত হতে হবে।
অর্নিতার মনে হলো থাক দূর থেকেই দেখি।
আজ এই সময়ে সে মেয়েটিকে বাচাতে পারল।
অর্নিতার মনে হলো সে সফল হয়েছে! বাচাতে পেরেছে একটি মায়ের সম্মান!
অর্নিতার মনেহলো আজ এই সময় হয়তো এই মায়ের সম্মান বাচানোর জন্যই বিধাতা তাকে পাঠিয়েছে।
একজন পুলিশ অফিসার এগিয়ে এলেন।
সেই পুলিশ অফিসার- স্যার, আপনাদের আরো ফোর্স প্রয়োজন ছিল। এভাবে আসা উচিৎ হয়নি।
অরুপ- তা অবশ্য ঠিক! কিন্তু আমাদের এত লোকের প্রয়োজন ছিল না আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করতে পারি।
কিন্তু হঠাৎ আমাদের সামনে এমন কিছু গটবে তা আমরা ভাবতে পারিনি।
পুলিশ অফিসার – জ্বী সেটাই তবে এ এলাকায় এসব ঘটনা বেশিই ঘটে।
অরুপ- আপনারা ঠিক সময়ে না আসলে অনেক বড় গঠনাই গটে যেতো। ধন্যবাদ আপনাকে সঠিক সময় আসার জন্য।
পুলিশ- আপনাদের ও ধন্যবাদ,
অর্নিতা- একটা কাজ করুন মেয়েটির পরিচয় নিয়ে আসুন। আমি মেয়েটির সাথে কথা বলতে চাই।
পুলিশ অফিসার – এখন? নিয়ে আসবো উনাকে?
অর্নিতা – না! নিয়ে আসার দরকার নেই মেয়েটার পরিচয় নিয়ে রাখুন। আর ওকে ওর বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যাবস্থা করুন। দেখে বিধ্বস্ত মনে হচ্ছে।
পুলিশ অফিসার মাথা নাড়িয়ে চলেগেল।
_______________________________________
অরুপ অর্নিতাকে নিয়ে বসিয়ে দিল গাড়িতে,
অর্নিতা বসে আছে, ফরহাদ, জামিল ও আছে।
অরুপ- অর্নিতা আজ আপনি যা করতে যাচ্ছিলেন তা ঠিক নয়, আমরা তো আসছিলাম, আমরা সবাই মিলে তাদের ধরতাম নাকি?
অর্নিতা- আপনারা আসতে আসতে ওই মেয়েটির সাথে যা হয়ে যাওয়ার তা হয়েযেতো
অরূপ- তবুও, ভেবে দেখুন আপনি একটা ছদ্মবেশে আছেন! গোপনীয়তা আপনার কাজ সেখান থেকে বেরিয়ে আপনি কিনা পিস্তল বের করে গুলি করতে যাচ্ছিলেন? এই কাজটার জন্য আপনাকে কত সমস্যায় ভুগতে হতো আপনি বুঝতে পারছেন?
অর্নিতা- তার জন্য আমি হাত গুটিয়ে বসে থাকতাম!
আর ঐ নরপিশাচ রা মেয়েটাকে ছিড়ে খুবলে খেতো?
এই আপনার মন মানসিকতা?
অরুপ- আমি সেটা বলিনি! বুঝতে চেষ্টা করুন!
অর্নিতা- আপনারা কি বুঝবেন? একটা মেয়েকে তার সন্তানের সামনে ধর্ষণ করা?
কি বুঝবেন নির্যাতিত হওয়া?
সমাজের সামনে মুখ দেখাবে কিভাবে সেই চিন্তায় একজন নারী গলায় ফাসির দড়ি সেচ্ছায় বাধে!
শুধুমাত্র নিজের জীবন দিয়ে সবার থেকে আড়াল হয়ে বাচতে।
বুঝবেন না! মেয়েটির যদি আজ কিছু হতো তার সঙ্গে শেষ হতো দুটো অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ!
কে দেখতো ছোট্ট দুটি শিশুকে? কে হতো দেবদূত?
কেউ না! সবাই পর হতো সবাই!
অরুপ অর্নিতাকে বুঝানোর ব্যার্থ চেষ্টা করলো কিছুক্ষণ।
তারপর গাড়ি স্টার্ট দিয়ে অর্নিতাকে পৌছে দিল তার বাড়িতে।
_________________________________________
অর্নিতাকে বাড়িতে পৌছে দেবার পর অর্নিতা বাড়িতে ডুকলো।
জাহিদ আফসারী ড্রয়িং রুমে কফি খাচ্ছিলেন।
মেয়েকে দেখে ডেকে উঠলেন-
জাহিদ আফসারী- আজ তো তেমন কাজ থাকার কথা না, এত দেরী যে?
অর্নিতা- বাবা আমার ভালো লাগছে না,পরে বলবো।
জাহিদ আফসারী বুঝতে পেরেছেন মেয়ে হয়তো ক্লান্ত!
তাই তিনি তার মেয়েকে এ নিয়ে আর বেশি জেরা করলেন না।
কাজ যখন তখনই পরে যায়।
চলবে।