প্রাপ্তি পর্ব ৬ ও শেষ

#প্রাপ্তি
#পর্ব–৬(অন্তিম পর্ব)
#সেলিনা_আক্তার_শাহারা।
________________________

“- আয়াত তার বাড়ি চলে এসেছে। বেশ বড় হয়ে গেছে মেয়েটা।আজ কাল তো বিয়ের জন্যে প্রস্তাবও আসা শুরু করেছে।
নামি দামি বংশ।আর মেয়ের চেহারা লেখাপড়ায় মাসআল্লাহ।

-আর কত ফুপির কাছে থাকবে।তাই হিয়া তাকে কাছে ঢেকে নিয়েছিলো ssc পরিক্ষার পরেই। তখন থেকে এখানেই আয়াত। এখানেই পরাশুনা করছে।
” অভি কলেজে এত ফাজলামু করে বাপ রে প্রায়ই হিয়াকে কলেজে জেতে হয় ছেলের সয়তানির কান্ড শুনতে।আজ একে মারল কার ওর বাইক ভাংঙলো। কখনো নিজের হাত পা গুরিয়ে এলো।

হিয়া একদম অসস্তি অভিকে নিয়ে।হিয়ার শাশুরি অভির মাঝে ছেলের ঝলক দেখে।দিলও ঠিক এমনই ছিলো।

-আর এদিকে মা কে একটু শান্তি দিতে চায় আয়াত। কত খাটুনি করে আম্মু। সারা দিন অফিসে গাধার মত খেটে মরে। আবার বাড়িতে এসে অভির জন্যে অসস্তি তা।
আয়াত মাঝে মাঝে অভিকে বুঝিয়ে বলে।
“দেখ অভি মায়ের বড্ড কষ্ট রে, তুই আর তা বারাস না। তোকেই তো মার দেখাশুনা করতে হবে।আর না করে উল্টা তাকে দিয়ে তর দেখাশুনা করাস।
-এক কানে ঢুকলো আর বের হল।অভির কোন কিছুতেই খেয়ল নেই।হেয়ালি পনা ছেলে।তাই বলে মায়ের জন্য দরদ নেই!!
না বড্ড দরদ।একবার জ্বরের মধ্যে হিয়াকে ডক্টর ইন্জেকশন দিয়েছিলো।
বাস!!!!!
ডাক্তার কে গুনে গুনে চারটা সুই ফুটিয়েছে অভি।কারন তার মায়ের চোখে যে পানি আনাবে তাকে ছারবে না।
-এ নিয়ে বহু ঘটনাও ঘটেছিলো।
আসলে এই বয়সের ছেলেদের মধ্যে চান্চলতা থাকেই।তাই বলে বাঝে অভ্যাস নেই। মায়ের প্রতি আছে অগাত ভালো বাসা। হিয়া খাবার বেরে না দিলে অভির গলা দিয়ে আজ অবদি খাবার নামেনি।মাকে তার চাই। তার পাশে দাড়িয়ে তাকে বেরে বেরে খাওয়াতে হবেই।ঠিক দিলের মত। দিলের পাশে না বলসেও দিল খেতে চাইতো না।

-আয়াত তার ব্যাবসায় মন দিতে নিজেকে প্রস্তুত্য করছে। আর ব্যাবসা সামলানোর জন্য যত টা শিক্ষা দরকার তা আয়াতের আছে।
আম্মুর শরিল ভালো না।যে কোন সময় কিছু একটা হতে পারে।চিন্তায় তার ভিতরের সব কুরে কুরে খেয়ে নিয়েছে।তার ভিতরে বেধেছে কঠিন ব্যামু।যা থেকে অভি এখনও অজানা। আর আয়াত জানে তা আম্মুকে জানতে দেয়নি।

-হিয়ার শাশুরির ও বয়স হয়েছে।আর কত দিন বাঁচে কারো জানা নেই।তা আল্লাহই ভালো জানেন।

তৃপ্তির কল আসে মাঝে মাঝে।হিয়া কল করতেও বারন করে দিয়েছে তৃপ্তিকে।আমার ছেলের উপরে কারো হক নেই।তাই সব যোগাজোগ বন্ধ করেছে হিয়া।

ঐ বাড়িটা ছেরে দিয়েছে তারা।সেখানেই যত অলুক্ষে কান্ড ঘটেছে।
শহরের আরেক কুনায় বাসা বেধেছে হিয়া তার পরিবার কে নিয়ে।

-কি জানতে চান না দিল কোথায়? ছাদ থেকে পরে তার কি হয়েছিলো?
——-

– সারা দিন ঘাটুনি সেরে এবার বাড়িতে পা রেখেছে হিয়া।
অভির পরিক্ষার রিপোর্ড কার্ড টা নিয়ে দিল আর হিয়ার বেড রুমে পা দিয়েছে হিয়া।
“এই যে দেখতে পারছো? এটা তোমার ছেলের নাম্বার গুলো? এগুলো নাম্বার নাকি মুখে চুনকালি আমার জানা নেই।
– এদিকে মেয়ে বড় হয়েছে বিয়ে দিতে তো হবে আজ বা কাল।
তোমার তো সেই বিষয়ে খেয়াল নেই।
আমায় তো সবই ভাবতে হয়।
” আয়াত চলে গেলে অভিকেই সব সামলাতে হবে।এই কি সমলানোর নমুনা।??
আজ কাল রাস্তায় মারপিট ও করে।একবার ধমক তো দিতে পারো?
কি হল চুপ কেন? কথা বলবে না??
আর তোমার মেয়ে যে বিয়ে করবেনা বলে প্রতিজ্ঞা করে বসেছে।সে ভাবে চলে গেলে আমি একা কি করে থাকব।
ভাইয়ের তো যা গুন তাকে এক ফুটা বিশ্বাস করে না আয়াত।
“-তুমি একটু আয়াতকে বলে দাও। আমার জন্যে না ভাবতে।আমি তো তোমার কাছেই চলে আসছি খুব শিগ্রহই।

—দিলের ছবিটার সামনে দাড়িয়ে অস্রু মাখা চোখ নিয়ে হিয়া একা একা বর বর করছে।
এই ছবির সামনে দাড়িয়ে একা একা বক বক করা আজ থেকে নয়।
বহু বছর ধরেই চলছে।
-” দিল ঐ দিন ছাদ থেকে লাফিয়ে ওর জীবন টা বিপন্ন করেছে।সাথে হিয়ারও।
দিলের মূত্যুর জন্যে হিয়া নিজেকে দুষারুপ করে বেরায়।রোজ রাত তো চোখ খুলাই থাকে। আর দিলের রুমে কয়েকবার উকি ঝুকি ও দিতো।
ঐ দিন কেন ঘুমিয়ে গেলাম??

মায়ের চিৎকার শুনে দৌরে এসে দেখি সবাই বাহিরে ছুটছে। মা তার সাদ্ধ্য অনুজায়ি সিরি দিয়ে নামছে।
চোখে এখনও ঘুম ঘুম ভাব।মায়ের হাত টা ধরেই মা হিয়ার হাত টা আরো চেপে ধরেছে।

-” কি হয়েছে মা!!!এমন করছেন কেন?
“হিয়ার হাত টা ধরে টানতে টানতে বাহিরে এনেছে।বাড়ির পিছন দিকটায় এনে হাউ মাউ করে কেঁদে উঠেছে দিলের মা।
-হিয়ার ঘুম এবার উধাও হয়ে গেছে। তার দিল কে দেখে।

দিল দিল একি হল দিল।
হিয়া নিজেকে হারিয়ে ফেলছে দিল কি হল তোমার??

“-চোখ নিভু নিভু শরিল অসার হয়ে আসছে দিলের।তাও মুখে হাসি টেনে নিয়েছে দিল।
—-হিয়া!!
আমি বড্ড খারাপ মানুষ ছিলাম।বেঁচে থেকে তোমায় আর কষ্ট দিতে চাই না।মাহ মা আমায় মারতে চেয়েছিলো পারেনি। কোন দিন একটা ইচ্ছাও তো পূরন করতে পারিনি।তবে মায়ের এই ইচ্ছা টা পূরন হক।
“চুপ চুপ।
হিয়া একটা কথা বলি।
–না না চুপ করো জলদি তোলে ওকে হাসপাতালে নিতে হবে যে।
হিয়া /নার্স/ আর কাজের ছেলেটা দিলকে তুলেছে। গাড়ি অবদি নিতে হবে।

” হিয়া দিল দিল করে কাঁন্নাই করে চলছে।
তুমি বড্ড পাষান দিল বড্ড। এত বড় ব্যাথা আমায় দিও না আমি সইতে পারব না দিল।
কেন এমন করলে..

একটি বার নিজের সন্তানের কথা ভাবলে না??
ওদের কি অপরাধ কেন তাদের মাথার উপর থেকে পিতার হাত সরাতে চাইছো???

দিলকে নিয়ে হাটছে আর কাঁদতে কাঁদতে কথা বলছে হিয়া।
গাড়িতে দিলকে তুলে সে দিলের মাথাটা তার কোলে তুলেছে।

দিলের মা ঠায় দাড়িয়ে।
সে যাবেনা হাসপাতালে।
হিয়া ওকে নিয়ে লাভ নেই ছেলে টা আমার বাঁচবে না। ওর বড্ড জেদ যা ভাবে তাই করে।

“-কোন কথা শুনেনি হিয়া।দিল কে কিছু হতে দিবে না।ঠিক হতেই হবে।এই আশা নিয়ে ছুটছে।
দিলের হাত পা ঠান্ডা রক্ত গুলো জমাট বাধা শুরু করেছে।মাথায় কপালের রক্তে আটকে রয়েছে ঘাস মাটি.. নিজের আচল দিয়ে সব পরিষ্কার করছে হিয়া।

–হিয়া হিয়া উতলা হইয়ো না।
আয়াতকে সামলে নিও। ভালো বাবা তো হতেই পারলাম না।
আর ঐ অভি অভিকেও দেখো। কেমন দেখতে তাও তো দেখালে না এক বার।
ভা ভালোই করেছো।ওকে সামনে আনো নি।ওকে দেখলে আমার বড্ড ঘিন্না হয় নিজের প্রতি.

আস্তে আস্তে দিলের গলার শব্দও ধিরো হয়ে আসছে।
” প্লিজ দিল আল্লার রস্তে চুপ হও।কথা বলোনা।
আর একটু সময় দিল আমরা পৌছে গেছি।

– না নাহহহ হিয়া বলতে দাও। বাধা দিও না।
বড্ড ভালো লাগছে।বহু দিন পর তোমার কোলে মাথা রেখেছি।
তোমার শরিলের সুভাশ নাকে আসছে। এমন করে কেন আগে আচঁলে বাধলে না।
আমি পাপি হিয়া অনেক পাপ করেছি।তবে শত পাপের মাঝেও একটা ভালো জিনিস করেছিলাম।
তা তোমাকে বৌ করে আনা।
তোমায় বড্ড ভালোবাসি হিয়া বড্ড।
আগে যেমন ঠিক এখনও তেমন।
আমি নদীর শ্রোতে ভাসলেও তোমায় ভাসতে দিইনি।
অনেক দেনা পরেছে তাই না হিয়া!!
কবে এসব সুধ করবে।তোমার বড্ড কষ্ট হয় জানি।
এখন আর চিন্তা নেই।আমার মূত্যুর পর ইনন্সোরেন্সের টাকা দিয়ে সব শুধ হবে। আর ব্যাবসাটাও আগাতে পারবে।
দূঃখ একটাই।এই সব তোমায় একটা সামলাতে হবে।
আর মাকে দেখে রেখো।মায়ের জেনো কষ্ট না হয়।এটা তোমার পাপী স্বামীর আদেশ।

“চুপ করো দিল কিচ্ছু হবে না তোমার।
আমরা দুজনে সব ঠিক করে দিবো।তুমি একটি বার ভালো হয়ে ঘরে ফিরো তার পর।

–হ্যা হিয়া ফিরব ঘরে ফিরব।
হিয়া!!
আমায় কোন দিন ক্ষমা করতে পারবে???
হিয়া!!
” দিল প্লিজ চুপ হও তুমি কেন কথা বলে যাচ্ছো এতে রক্ত বেশ ঝরছে মুখ দিয়ে।দাতঁ মুখ থেলতেছে অনেকটা।

হিয়া আমি তোমায় কেমন ঝাপসা দেখছি হিয়া।
হিয়া আমার কেমন লাগছে একটি বার জরিয়ে ধরে নাও না। হিয়া।
বার বার দিলের আকুল কন্ঠে হিয়া বেকুল।
দিলকে জরিয়ে রেখে দিলকে শান্ত করছে।
কিচ্ছু হতে দিব না তোমার কিচ্ছু না।আমরা আবার সুখের ঘর পাতবো দিল। সুন্দর করে ঘরটা সাজাবো। ছেলে মেয়েদের মানুষ করব।
তোমায় আমার চাই দিল চাই।আমায় একা ছেরে যেও না।তোমায় শাস্তি দিতে চেয়েছিলাম উল্টো আমায় শাস্তি দিও না..

দিল!!!
দিল!!
এই দিল……

দিললললললললললললললল
দিলের হাত টা হিয়াকে আকরে ধরে ছিলো।তা এখনও আর নেই।ছেরে দিয়েছে।

হিয়ার চিৎকার শুনে ড্রাইভার গাড়ি থামিয়ে দিয়েছে।নার্স চেক করে দিলের চোখ টা বন্ধ করে দিয়েছে।সরি ম্যাম।
________

—দিলকে গোসল করানো শেষ। একটু পরেই তাকে জানাজার জন্যে নেয়া হবে।তার পর কবরে শুয়ানো।
হিয়াকে শেষ বার দেখতে দিয়েছে। দিলের মা ছেলের লাশ দেখতে চাইছে না পাথর হয়ে রয়েছে।
–সাদা কাপরে মুরানো থেকে দিলের মুখটা বের করেছে হিয়া।কপালে একটা দির্ঘ চুমু একে দিলের মুখটায় শেষ বারের মতই হাত বুলিয়েছে। কতটা কেটেছে মুখ।
রক্তের বর্ন টা এখনও রয়েছে।
তোমায় ছেরে থাকবো কি করে দিল?? আমায় একা না করলেও পারতে।
ইচ্ছা করছে দুজনে একসাথে ঐ পারে পারি জমাই।তবে পারলাম না।তুমি স্বামী হয়ে যে আদেশ দিয়েছো তা পালন করব। তোমার সন্তান আর তোমার মা কে দেখে রাখাই আমার কর্তব্য।

তবে সবার চিন্তা করলে আমায় কে দেখে রাখবে তা ভাবলে না।তুমি ছারা আমি কিছুই না দিল।
এই হিয়া একজন কেই ভালোবেসেছে বাসছে আর ভালোবেসে যাবে।সে হল তুমি দিল তুমি।।

ঠান্ডা মতই দিলের লাশ টা কে বিদায় দিয়েছিলো হিয়া।

তবে রুমে ঢুকে চিৎকার করে দিলকে ডেকে কাঁন্নায় জুরেছিলো।নিজের চুল নিজে ছিরেছে।নাকের নাক ফুল হাতের চুরি সব খুলে সাদা কাপরে নিজেকে জরিয়ে নিয়েছিলো হিয়া.

————–

দিল বিহিন হয়ে হিয়া এত বছর পাড়ি দিলেই কি হবে ভিতরে ভিতরে দিল দিল করে মূত্যুর জন্য অপেক্ষা করছে।
মরার আগে অভিটা সব সামলে নিক আর আয়াতের বিয়েটা যদি দিয়ে যেতে পারতাম।আল্লাহ যদি ঐ টুকু হায়াত আমায় দান করত….
ভিতরে যে রুগ বাসা বেধেছে তার জন্য কখন ডাক পরে কে জানে।
–দিলের মা হিয়ার সাথে কথাই বলেনা।
নিজের সামনে ছেলে মরতে দেখেছে।তাও তার জন্যে।
“দিলের মা লোকিয়ে চোখের পানি ফেলে ছেলে হারালো।ফুলের মত মেয়েটা স্বামী হারা হল।সাদা শারিতে বড্ড বেমানান লাগে হিয়াকে।লাল শাড়িতে করে ঐ বাড়িতে তুলেছিলাম।
আমার জন্যে দুইটা সন্তান পিতা হীন এতিম জীবন যাপন। বাবার ভালোবাসা আদর থেকে বন্চিত।
হিয়া তার স্বামীর সোহাগ থেকে।

” শত চিন্তায় দিলেরর মা অস্থির।তার উপরে হিয়া যদি আমার আগে চলে যায়।আমি কি করে আয়াত অভিকে সামলাবো??
আর আমিও না থাকলে ওদের কি হবে??
আমার সোনার সংসার টা এভাবে নছ নছ হয়ে গেলো।
কেন এমন হল।
——

“তুই আমার উপর অনেক রাগ তাই না হিয়া!!!!
-হিয়া মাএ ওয়াস রুম থেকে বেরিয়েছে। মুখ দিয়ে অনেক রক্ত বমি করেছে আজ।
শাশুরিকে দেখে নিজেকে সামলে নিয়েছে হিয়া।

-মা!!!
রাগ কেন হব মা।মায়ের উপর রাগ থাকা যায়??
কথাটার উওর দিলের মা খেয়াল করল না।কারন হিয়ার পরনে রঙিন শাড়ি!!

হিয়া এই শাড়ি!!

“-হালকা হাসি দিয়ে হিয়া তার শাশুরির পাশে বসেছে।
এটা আমাদের ফাস্ট ম্যারেজ ডে তে দিল দিয়েছিলো।
আজ বড্ড ইচ্ছা করছে এই শাড়িটা পরে ওকে দেখাবো তাই।
দিলের মার চোখে নিরবতার জল।

–মা অভি আর আয়াতকে আপনায় দেখতে হবে।
” কি সব বলছিস হিয়া…
-মা কথা দিন আমার কিছু হলে ওদের সামলে নেবেন।আপনি ছারাতো তাদের কেও নেই।

“-কি অভাগা নাড়ি আমি দেখ মা।স্বামী হারালাম।সন্তান হারালাম।এবার তুই..জানিনা কোন পাপের ফলে আমি বেঁচে থেকে সব দেখছি।

-মা বাদ দিন তো।
অায়াতকে যদি একটা ভালো হাতে তুলে দিতে পারতাম তাহলে। যদি অভিটাও সব বুঝতে শুরু করত!!!

“-তুই তর ছেলে মেয়ের বল তর অসুখের কথা।

— না না মা একদম না।মরে গেলে তো কাঁদবেই।তাই আগে থেকে কাঁদিয়ে কি লাভ…
অভিটা তো নিজের বাবাকেই দেখতে পেলো না।আর আয়াতকে দিল দেখতে পেলো না।এখন আমি আর তাদের আগে থেকে কষ্ট দিতে চাই না মা।

—হিয়ার একটা আশা পূরন হয়েছে।আয়াতের জন্য ভালো পাএ পেয়েছে।পাএ চেনাই ওর ফুপির ওখানে থাকা কালিন তাদের পরিচয় হয়েছিলো।
কোন দেরি নয় আয়াতকে বুঝিয়ে রাজি করিয়ে সোজা কোর্ট ম্যারেজ। আয়াত ও মেনে নিয়েছে মায়ের শেষ ইচ্ছা ভেবে মা কে চিন্তা মুক্ত করার জন্য।
রইলো অভি!! ও এবার ওর দায়িত্ব্য বুঝে নাবার পালা।.

—— ★★★★
মধ্য রাতে বিয়ের বেনারসিটা পরেছে হিয়া- দিলের ছবিটা বুকে নিয়ে হিয়া বির বির করছে।
দিল কি করছো??
মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে।ছেলে বড্ড ভালো।কয় দিন পর তাকে ধুমধাম করে তুলে দেব তার হাতে।

দিল কেন জানি আমার মনে হচ্ছে আমি ঐ দিন টা দেখতে পাবো না।
জানো আজ অভি অফিসে গিয়ে ছিলো।এটাই বা কম কি??

” যাই চেয়েছিলাম তোমার মূত্যু টা চাইনি।
দুষ তোমার যেমন, আমারও তেমন।নতুন করে সব না সাজিয়ে নষ্ট আমিও করেছিলাম।
—দিলের ছবিটায় হাত বুলিয়ে হিয়া হাসছে।
ঘুম পাচ্ছে দিল বড্ড ঘুম পাচ্ছে।
তোমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে ইচ্ছা করছে। হিয়া দিলের ছবিটা বালিশে রেখে নিজের মাথাটা পাশে রেখে ঘুমের রাজ্যে পা দিয়েছে।ঘুম এ এক অন্য রকম ঘুম। দিলের বুকে শুয়েছে বলে কথা। এই ঘুম থেকে হিয়া জাগবে????????? ……
(প্রতিদিন নিত্যনতুন গল্প পড়তে গল্পের ঠিকানা ইন্সট্রাগ্রাম একাউন্টে ফলো দিয়ে রাখুন
একাউন্ট https://www.instagram.com/p/CWQQ7v4PH6g/?utm_medium=copy_linkলিংক—-)
প্লিজ ফলো দিয়ে রাখুন যাতে এখানে নতুন গল্প শেয়ার দিলে সরাসরি আপনাদের কাছে পৌঁছাতে পারে)
(সমাপ্তি)
কি অবাক হলেন তো??
গল্পটা শেষ করে দিলাম..
কেমন হল জানাবেন।লেখায় কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন…… আমার সাদ্ধ মতই চেষ্টা করেছিলাম।
ভালো থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here