তোলপাড় পর্ব ৩৯

তোলপাড়
ইসরাত জাহান তানজিলা
পর্ব-৩৯
_________________
মুকুল আকন’কে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হয়েছে। রুদ্র বিমর্ষ মুখে বসে আছে। কিরণ পাশে। রুদ্র ব্যাকুল হয়ে বলল, “অরূণীর সাথে কোনো ভাবেই যোগাযোগ করতে পারছি না।কী করবো বল?আব্বা অসুস্থ,কানাডার স্কলারশিপ। ওইদিকে অরূণীর পরিবার কি মূর্খের মত একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।অরূণী’কে বিয়ে দিতে চাচ্ছে।”
রুদ্রর দিশেহারা অবস্থা।বিপদ যখন আসে চারদিক থেকেই আসে। রুদ্রর সাথেও হয়েছে তাই। কিরণের মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। পরিস্থিতি এতটা খারাপ যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার মত রাস্তা খোলা নেই।কিরণ বলল, “অরূণী’কে নিয়ে পালিয়ে যাবি?”
– “পালিয়ে গিয়ে কি করবো?আমার ফ্যামিলি থেকে তো অরূণী’কে মানবে না।মানা-না মানার ব্যাপার তো পরে।আব্বা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তানভীর ভাই তো এখন পরিবারের কারো সাথে ঠিক ভাবে যোগাযোগ করছে না।আমার কী চাকরি-বাকরি আছে?লেখাপড়া ই তো কমপ্লিট হয় নি আমার।অরূণী তো সবেমাত্র অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে।দুই জনের লেখাপড়া, সংসার।কত খরচ।আমি না হয় কানাডার স্কলারশিপ’টা ক্যান্সেল করে ও’কে নিয়ে পালিয়ে যাবো। ওঁর ফ্যামিলি কি এত সহজে ছেড়ে দিবে? পালিয়ে বেড়াতে হবে অরূণীকে নিয়ে। পালিয়ে টিউশনি কিংবা চাকরি করা সম্ভব?আব্বার অবস্থাও তো ভালো না।আমি অরূণী’কে নিয়ে পালিয়ে গেলে আব্বা-আম্মার কী হবে? বাস্তবতা অনেক কঠিন দোস্ত। এখন পালিয়ে যাওয়া মানে দুইজনের জীবন নষ্ট।”
কথা গুলো বলতে বলতে উদাস হয়ে গেল রুদ্র। চোখের কোণে পানি চিকচিক করছে। বেদনায় গলা ছলছল। কয়েক’টা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলল। কিরণও অস্থির ভঙ্গিতে বসে আছে।কিরণ জিজ্ঞেস করলো, “তো কী করবি এখন?”
রুদ্র ক্ষীণ স্বরে বলল, “জানি না। কিন্তু অরূণী’কে ছাড়া বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।”
রুদ্র ওঠে চলল। গন্তব্য হসপিটাল।পা কিছু’টা ধীর গতিতে চলছে।অরূণী কেমন আছে?অরূণীর সাথে একটু কথা বলার জন্য রুদ্র ক্রমে ক্রমে তৃষ্ণার্ত হয়ে ওঠছে। আরেকটা ভয় রুদ্রর আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে।অরূণী যদি আত্মহত্যা করে ফেলে?অরূণী অপরিপক্ক মস্তিষ্কের মানুষ! আবেগের বশে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত ও যে কোনো সময় নিয়ে নিতে পারে। রুদ্রর বুকের ভিতর মোচড় দিতে ওঠছে।
___________
অরূণী এলোমেলো ভাবে বিছানায় শুয়ে আছে।চুল গুলো উস্কখুস্ক।মুখ’টা ফ্যাকাশে হয়ে আছে। চোখ দুটো কান্নার ফলে লাল হয়ে আছে। সেলিনা আহমেদ অরূণীর পাশে বসে আছে।অরূণী দুর্বল গলায় বলল, “আম্মা তোমরা কী চাও আমি আত্মহত্যা করি?কাল সকালে ঘুম থেকে ওঠে যদি দেখো আমি ফ্যানের সাথে ঝুলে আছি তাহলে তোমাদের ভালো হবে?”
সেলিনা আহমেদ আতঙ্কিত হয়ে তাকায় অরূণীর দিকে।মেয়ের মুখে এমত কথা শুনে সেলিনা আহমেদের বুকের ভিতর ধ্বক করে ওঠলো।অরূণী আবার বলল, “মোবাইল দেও আমার।”
– “অরূণী শুধু শুধু পাগলামি করিস না।রুদ্রর জন্য পাগলামি করে কোনো লাভ হবে না সেটা তুই ভালো করেই জানিস।”
সেলিনা আহমেদ স্বাভাবিক গলায় কথা বললেও, ভিতরে ভিতরে তীব্র ভয় তাঁকে জেঁকে ধরেছে।অরূণীর মুখ থেকে আত্মহত্যার কথা শুনে সেলিনা আহমেদ অরূণীর পাশ থেকে এক মুহূর্তের জন্যও নড়ছে না।অরূণী বালিশে মুখ গুঁজে কাঁদছে। কাঁদতে কাঁদতে হেচকি ওঠে যাচ্ছে।বুকের ভিতর কষ্টের তোলপাড় চলছে। অসহ্য যন্ত্রনায় অরূণী প্রতিনিয়ত দগ্ধ হচ্ছে। অরূণীর ইচ্ছে হচ্ছে ছাদ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়তে নয়ত ফ্যানের সাথে ঝুলে থাকতে।
বিকাল বেলা। সেলিনা আহমেদ ঘুমোচ্ছে অরূণীর পাশে।অরূণী আস্তে আস্তে বিছানা ছেড়ে ওঠে।সতর্ক পায়ে রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে যায়। শামীমা অনেকদিন পর এসেছে আজ।অরূণী শামীমার কাছে গিয়ে চাপা গলায় বলল, “আপা তোমার ফোনটা আমায় একটু দেও।আর তুমি প্রতিদিন এসো দয়া করে।তোমার ফোনটা দরকার আমার কথা বলতে।বাসার কাউকে বলো না যে আমি তোমার ফোন নিয়ে কথা বলি।”
শামীমার কাছ থেকে ফোন নিয়ে রুদ্রর নম্বরে ডায়েল করলো অরূণী।অরূণী জানে শামীমা কাউকে বলবে না।শামীমা রান্না ঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে দেখছে কেউ আসছে কি-না।অরূণী ফোন হাতে অস্থির ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে।ফোন রিসিভ করতে এত দেরি করছে কেন রুদ্র? রুদ্র ফোন রিসিভ করার সাথে সাথে অরূণীর ভিতরে দলা পাকিয়ে থাকা কান্না গুলো বেরিয়ে আসলো। রুদ্র ব্যাকুল হয়ে ওঠে বলল, “অরূণী,অরূণী।কথা বলো।প্লীজ কথা বলো। কেঁদো না।”
অরূণী কান্না থামানোর চেষ্টা করে বলল, “আমায় নিয়ে পালিয়ে চলেন না।আমি শেষ হয়ে যাচ্ছি।”
রুদ্র নির্বাক হয়ে রইল।কী বলবে? পালিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। রুদ্র একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে জিজ্ঞেস করল, “অরূণী তুমি বাসায় বলো যে আমাদের মাঝে এখন আর সম্পর্ক নেই। বিয়েটা যেভাবে হোক ভেঙে দেও।অরূণী একটু শক্ত হও প্লিজ।”
অরূণী তীক্ষ্ণ আর্তনাদ করে বলল, “কেউ আমার কথা বিশ্বাস করবে না।কেউ না। বাসার সবার ধারণা আমি আপনার সাথে পালিয়ে যাবো।”
অরূণী কেঁদেই চলল। রুদ্র চুপ হয়ে আসে।অরূণীর কান্না রুদ্রর বুকের ভিতর তীব্র যন্ত্রনার সৃষ্টি করছে। রুদ্র চোখ দুটো বন্ধ করলো।যন্ত্রনাপূর্ণ গলায় বলল, “অরূণী এই মুহূর্তে পালিয়ে যাওয়ার মত ভুল সিদ্ধান্ত আমি নিতে পারছি না।দুই জনের জীবন নষ্ট হবে। পালিয়ে গিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে আমি তোমায় ঠেলে দিতে পারবো না।”
অরূণী স্তম্ভিত হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।গলা অস্বাভাবিক ভাবে কাঁপছে।অরূণী আতঙ্কিত হয়ে বলল, “তো কী হবে এখন?”
শামীমা দরজার কাছ থেকে হাত ইশারা দিলো।অরূণী সাথে সাথে ফোন কেটে দিলো। শামীমা দ্রুত রুমে ঢুকে ফোন’টা নিজের কাছে নিলো। সূর্য এগিয়ে আসছে রান্না ঘরের দিকে।অরূণীর চেহেরায় অপ্রস্তুত ভাব। সূর্য রান্না ঘরের দরজার সামনে এসে জিজ্ঞেস করলো, “অরূণী এখানে কি করছো?”
সূর্যর প্রতি রাগে অরূণীর মনে দাবানল ছড়াচ্ছে।অরূণীর কাছে এখন পৃথিবীর সব থেকে বিরক্তকর মানুষ হলো সূর্য।অরূণী দাঁতে দাঁত চেপে উত্তর দিলো, “এখন কী রান্না ঘরেও আসা যাবে না? রান্না ঘরে আসলেও কী তোমাদের পারমিশন নিয়ে আসতে হবে?আমার জীবন,আমি যা ইচ্ছে তাই করবো।এত জবাবদিহি তোমাকে কেন করবো?”
কথা শেষ হতে না হতেই সজোরে একটা চড় পড়লো অরূণীর গালে।অরূণী গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে রইল। সূর্যর প্রতি দীর্ঘ দিনের রাগ, জিদে এই মুহূর্তে অরূণীর একদম হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ক্রোধপূর্ণ গলায় বলল, “আমি রুদ্রর সাথে পালিয়ে যাবো।পারলে তুই কিছু করিস।আমার জীবন,আমি যা ইচ্ছে তাই করবো।তোর এত সমস্যা কীসের?”
উগ্র রোষে অরূণীর চোখের কোটর থেকে চোখ দুটো বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে। সূর্য দ্বিগুণ ক্রোধ নিয়ে তাকিয়ে রইল।কি বলছে এসব অরূণী? সূর্য রাগে কাঁপতে কাঁপতে সেলিনা আহমেদ আর সাহেদ আহমেদের দিকে তাকিয়ে বলল, “আপনাদের মেয়ের কথা শুনেন।ও আমায় তুই-তুকারি বলা শুরু করেছে।ও না-কি রুদ্রর সাথে পালিয়ে যাবে।”
সূর্য অরূণীর দিকে এগিয়ে গিয়ে আবার বলল, “রুদ্র’কে মেরে ডোবায় ফেলে দিবো। তুই আমায় চিনিস?”
অরূণী অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। চিরচেনা মানুষ গুলো এতটা স্বার্থপরের মত কেন করছে? রুদ্র কে মেরে ফেলবে এই কথা’টা যতবার অরূণীর মনে পড়ছে ততবার ই অরূণীর বুকের ভিতর অস্বাভাবিক রকমের কষ্ট হচ্ছে।অন্যদিকে রুদ্রর বলা কথা গুলো অরূণীর অসহায়ত্ব আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। রুদ্রর মতে পালিয়ে যাওয়া ভুল সিদ্ধান্ত।তাহলে কী করবে?অরূণী বারান্দায় বসে বসে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। অসহ্য যন্ত্রণায় অরূণীর বুকের ভিতরটা ক্ষত বিক্ষত হয়ে যাচ্ছে। মৃত্যু ছাড়া যেন এই যন্ত্রণা থেকে বাঁচার উপায় নেই।
_________________
রুদ্র বসে আছে শাহানাজ বেগমের সামনে।অরূণীর ব্যাপারটা যেভাবে হোক আজ বলবেই। মুকুল আকনের মুমূর্ষু অবস্থা।এই অবস্থায় অরূণীর ব্যাপারে কথা বলার মানসিকতা রুদ্ররও নেই। কিন্তু কি করার? রুদ্র একটা ক্ষীণ নিঃশ্বাস ফেলে বললো, “মা তোমায় একটা কথা বলা দরকার। কথা’টা বলার মানসিকতা আমার একদম নেই।তবুও বলতে বাধ্য হচ্ছি।”
শাহানাজ বেগম জিজ্ঞাসা সূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, “কী কথা বল?”
শাহানাজ বেগমের ক্ষীণ স্বর।বোঝা গেল কথা শোনার তেমন আগ্রহ তাঁর নেই। রুদ্র কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল, “আমি অরূণী নামক একটা মেয়েকে ভালোবাসি।তুমি চিনো অরূণী’কে।নিম্মির ফুফাতো বোন। তানভীর ভাইয়ের বিয়ের সময় আমাদের বাসায় গিয়েছিলো।তোমার মনে আছে মা?ওই যে একটা মেয়ে পায়ে ব্যথা পেয়েছিলো। সেই মেয়েটা।আমি জানি এসব কথা শুনতে তোমার ভালো লাগছে না।শোনার মানসিকতা নেই।”
রুদ্র একটু থেমে তাকালো শাহানাজ বেগমের দিকে।শাহানাজ বেগমের প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য। কিন্তু তাঁর মুখাবয়ব আগের ন্যায়ই।শাহানাজ বেগম খুব অনাগ্রহী ভাবে প্রশ্ন করলো, “তারপর?”
রুদ্র ভরসা পাচ্ছে না শাহানাজ বেগম কে এসব বলতে।তবুও বলছে, “অরূণীর বাসা থেকে ও’কে বিয়ে দিতে চাচ্ছে। আব্বা অসুস্থ,কানাডার স্কলারশিপ এত বাজে পরিস্থিতি!আমি কি করবো বলো তো?মা আমি অরূণীকে ভালোবাসি।আমি জানি না আমার ভালোবাসার মূল্য তোমাদের কাছে কতটুকু।অরূণী’কে এখন বিয়ে করে,আব্বা সুস্থ হওয়ার পর যদি অরূণী’কে তোমাদের কাছে রেখে আমি কানাডায় যাই তাহলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।তোমরা যদি মেনে না নেও তাহলে কোনো উপায় নেই।”
রুদ্রর কথা শেষ হতেই শাহানাজ বেগম কর্কশ গলায় বলল, “আর কিছু বলার আছে তোর? বাপের মুমূর্ষু অবস্থার কথা জেনেও বড় ছেলে দেখতে আসছে না।আর তুই এখন বিয়ে করতে চাচ্ছিস।তোদের মত কুলাঙ্গার সন্তান দরকার নেই আমার।আমার চোখের সামনে থেকে যা তুই।”
শাহানাজ বেগম ওঠে চলে গেল। রুদ্র স্তম্ভিত হয়ে বসে রইলো।শাহানাজ বেগম কি রুদ্রর কথা বুঝতে পারে নি? রুদ্র তো স্বার্থপরের মত কিছু বলেনি। রুদ্র তো নিজের আবেগ, ভালোবাসার কথা বলেছে।এই পরিস্থিতি এসব কথা বড্ড বেমানান রুদ্র জানে। কিন্তু বাস্তবতার মুখোমুখি রুদ্র বাধ্য হয়ে বলেছে এসব।শাহানাজ বেগম যদি একজন নিখুঁত চিন্তা-ভাবনার মানুষ হতো তাহলে বিষয়টা বুঝতো।অরূণী’কে হারাতে চায় না বলে এই মুহূর্তে বিয়ের কথাটা বলেছে।
কিছুক্ষণ পর রুদ্র’কে ডেকে পাঠালো মুকুল আকন। রুদ্র গেল মুকুল আকনের কাছে। রুদ্র’কে ইশারায় বসতে বসলো। রুদ্র বসলো।মুকুল আকন ছলছল চোখে রুদ্রর দিকে তাকিয়ে বলল, “বিয়ে করতে চাচ্ছিস না-কি?করে ফেল বিয়ে। আমাদের তো দরকার নেই তোদের দুই ভাইয়ের।তোরা তোদের মত থাক।আমি মরে গেলেও তোরা দুই ভাই আমার লাশ স্পর্শ করবি না।”
মুকুল আকনের দুই চোখের কোটর বেয়ে পানি পড়ছে।রুদ্র মূর্তির ন্যায় বসে রইলো। মুকুল আকনের হাত ধরে বলল, “না আব্বা আমি এই মুহূর্তে বিয়ে করতে চাচ্ছি না।আমি অন্য ভাবে বলেছি কথা গুলো।তোমরা ভুল বুঝেছো।”
রুদ্র হসপিটাল থেকে বের হয়ে মেসের উদ্দেশ্যে গাড়ি নিলো। জীবনের এক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে রুদ্র’কে। নিজেকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত করছে রুদ্র।অরূণীকে ছাড়তে হবে। রুদ্রর শুধু একটাই ভয়,অরূণী যদি আত্মহত্যা করে?অরূণী’কে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া মানে স্ব-ইচ্ছায় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি হওয়া। রুদ্রর প্রতিষ্ঠিত হতে আরো কয়েক বছর লাগবে।এত সব সমস্যার সহজ সমাধান হলো অরূণীর সাথে সম্পর্কের ইতি টানার।এই বিষয়টা স্বচ্ছ কাঁচের ন্যায় স্পষ্ট। তবুও অদৃশ্য এক বাঁধা।অরূণীকে হারাতে ইচ্ছে করছে না রুদ্রর, কিছুতেই না।আবার অরূণীকে নিজের করে পাওয়ার কোনো উপায় নেই।কি এক অসহ্য যন্ত্রণা!
(চলবে)
রুদ্রর কি করা উচিত বলে আপনি মনে করেন? কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন।ছেলে পাঠকরা রুদ্রর জায়গায় থাকলে কি করতেন?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here