চরিত্রহীনা ২ পর্ব ৩

‘চরিত্রহীনা২’ পর্ব-৩
.
লেখক : Mahian Khan
.
প্রায় ৩ বছর! অন্তত হাজারখানিক দিনের কাছাকাছি তো হবেই। কিন্তু হঠাৎ একদিন সকালে, সবকিছু এভাবে পরিবর্তন হয়ে যাওয়া কিভাবে সম্ভব? রনি কোনোভাবে নিজেকে স্থির রাখতে পারে না,উঠে দাড়ায়। উঠিয়ে দাড়িয়ে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সেই অদ্ভুত মায়াবিনীর দিকে। মনে শুধু প্রশ্ন জাগে,
.
– তবে কি স্রষ্টা বাস্তবে আছেন?
.
হয়ত এ কারণে প্রশ্নটা জাগে কেননা রনি স্রষ্টার উপর থেকে বিশ্বাস আরো বহুদিন আগেই হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু এমন অলৌকিক ঘটনা কি স্রষ্টার ইচ্ছে ছাড়া হতে পারে? বেশ মৃদু তবে স্পষ্ট স্বরে রনির মুখ থেকে তার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে দামী শব্দটা বেরিয়ে আসে,
.
– তিন্নি!
.
সে খুব একটা জোরে তিন্নিকে ডাক দেয়নি তবে এই মৃদু, পাতলা স্বরটাও যখন তিন্নির কানের সাথে সংঘর্ষ হয় তখন তিন্নি সম্পুর্ন স্থির হয়ে যায়,স্থির হয়ে যায় তিন্নির মস্তিষ্ক, মুহূর্তের জন্য কেঁপে ওঠে তিন্নির সমগ্র দেহ, প্রতিটি নি:শ্বাস সাধারন নি:শ্বাস থেকে শতগুণ বৃদ্ধি পায়। এই কন্ঠ কোনো সুপরিচিত কন্ঠশিল্পির না তবুও এই কন্ঠ তিন্নির কাছে সবচেয়ে পরিচিত, এই কন্ঠ যতটা পরিবর্তিত হোক, যতটা কর্কশ হোক, হোক যত মৃদু তবুও এই কন্ঠ তিন্নি মৃত্যুর দিন পর্যন্ত ভুলবে না। মুহূর্তেই কন্ঠটার সন্ধানে চোখ চলে যায় কন্ঠটি যে দিক অনুসরণ করে এসেছে সেদিকে। দুটো চর্ম চোখ দিয়ে স্পষ্টভাবে তিন্নি দেখতে পায় সেই কন্ঠের মালিককে, স্পষ্টভাবে দেখতে পায় তার চিরচেনা রনিকে। দুজন সম্পুর্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এই জগত থেকে, একে অপরের চোখের এতটা গভীরে চলে যায় যে, আশেপাশের সবকিছু অন্ধকার হয়ে যায়। এই গভীর অন্ধকারে শুধু দুটি উজ্জ্বল দেহ!
.
তিন্নি হঠাৎ নিজের হাতে একটা হালকা ছোঁয়া অনুভব করে। মুহূর্তে ভেঙে যায় গভীর অন্যমনস্কতা। তিন্নি হুশ ফিরে পায়, চেয়ে দেখে তার বান্ধবী যার সাথে দেখা করতে এখানে এসেছে সে তিন্নির হাতে হালকা একটা টোকা দেয়। মেয়েটার দিকে তাকিয়ে একটা কৃত্রিম হাসি দেয় তিন্নি।
.
– ঐ লোকটা কে, তিন্নি?
.
– কেউ না। তুই বাহিরে আয় আমার সাথে, অন্যকোনো জায়গা চল। অন্যকোনো জায়গা নাস্তা করব।
.
– মানে? প্রায় আধাঘন্টার মত বসে আছি, এরকম অদ্ভুত আচরণ করতেছো কেন? আরে বাবা! বস তো।
.
তিন্নির চোখ এখনো রনির দিকেই। একদৃষ্টিতে রনিকে দেখছে।
.
– না, অন্যকোনো জায়গা চল। প্লিজ!
.
– তোর হইছে কি? হঠাৎ এরকম বিহেভ করতেছো কেন?
.
– চল না, প্লিজ।
.
রনি খুব দ্রুত না বরং বেশ ধীরেই হেটেহেটে তিন্নির কাছে এসে দাড়ায়।
.
– কেমন আছো?
.
– এখান থেকে যাও, তোমার সাথে কোনো কথা বলার ন্যূনতম ইচ্ছে নেই।
.
– আমি জানি, কিন্তু ১৫ টা মিনিট ঘড়ি ধরা একটু আমার সাথে কথা বলতে পারবা?
.
– না, ১৫ মিনিট দূরে থাক, ১৫ সেকেন্ডও না।
.
– প্লিজ একবার আর কিছু না।
.
– একবারও না।
আমি আসি, পরে দুপুরের তোর বাসায় আসব,আরিশা।
.
– প্লিজ তিন্নি একবার। শুধু ১৫ মিনিট আর কিছু না।
.
– কানে কম শোনো? ১৫ সেকেন্ডও না।
.
– তিন্নি, আজকে প্রায় ৩ বছর , ৩ বছরের বিনিময় কি ১৫ মিনিট অনেক বেশী?
.
– অনেক বেশী, তোমাকে আমার জীবনের ১ সেকেন্ড দেওয়াটাও অপরাধ।
.
– জানি, অপরাধ। তবুও একটাবার অপরাধ কর। শুধু একবার, শুধু একবার!
.
– আমার কোনো ইচ্ছে নেই, দু:খিত! আমাকে শান্তিতে থাকতে দাও।
.
– প্লিজ, সবার সামনে যদি দুপা ধরে মাফ চেতে বল, তাতেও রাজি আছি! শুধু একবার, শুধু ১৫ মিনিট!
.
রনির চোখ থেকে পানিগুলো যেন, রনির ইচ্ছের বিরুদ্ধেই বেরিয়ে গিয়েছে। পানিগুলো বেশ উজ্জ্বল, রনির চোখের উজ্জ্বল পানিগুলো যখন তিন্নির চোখে প্রতিফলিত হয় তিন্নির কঠোরতা ক্রমেই বাষ্প হতে থাকে।
.
– না, আমার কাজ আছে, আমাকে যেতে হবে।
.
– শুধু ১৫ মিনিট একেবারে ঘড়ি ধরা, প্লিজ!
.
– কি বলবা, বলো।
.
– এভাবে দাড়িয়ে বলব কিভাবে? প্লিজ একটু ঐ টেবিলে চলো.
.
– এখানে, আমার ফ্রেন্ড বসে আছে। যা বলার, এখানে বসে বল।
.
– তিন্নি, প্লিজ শুধু ১৫ মিনিট। অল্পকিছু কথা বলব এই যা।
.
– আচ্ছা, আরিশা একটু বস, আমি আসতেছি।
.
আরিশা শুধু হ্যাসূচক ইঙ্গিতে মাথা নাড়ায়। আরিশা একদৃষ্টিতে তিন্নি আর রনির দিকে তাকিয়ে আছে। বিষয়টা তার কাছে সার্কাসের মত অনেকটা মনেহচ্ছে।
.
তিন্নি রনির টেবিলে গিয়ে বসে। ওয়েটার রনির খাবার নিয়ে এসেছে।
.
– আচ্ছা, তিন্নি তুমি কিছু খাবা না?
.
– না।
.
– একটু কিছু খাও। প্লিজ!
.
– কিছু না। আমি এখানে তোমার সাথে ব্রেকফাস্ট করতে আসিনি, কি বলবা সেটা বল।
.
– কফি?
.
– বুঝলাম না, তোমার মাথায় ডিস্টার্ব?
.
তিন্নির এভাবে ঝাঁঝালো উত্তর শুনে রনি অযথা আর তিন্নিকে বিরক্ত করে না। তিন্নির ঝাঁঝালো গলায় ওয়েটার পর্যন্ত দূরে সরে যায়।
.
– আচ্ছা, কেমন আছো?
.
– সেটা দিয়ে তোমার কি দরকার? এই ফাও কথা বলতে কি এখানে বসেছি?
.
– ভাবতে অবাক লাগে, সবকিছু কত পরিবর্তিত! তাই না? কোনো একসময় আমরা একসাথে থাকতাম, একে অপরকে ছাড়া কখনো শ্বাস নিতে পারব সেটাও কল্পনার বাহিরে ছিল আর আজকে জিজ্ঞেস করতে হচ্ছে, কেমন আছো! কথাটা কিন্তু আসলে অনেক গভীর! তুমি আমার কাছে কতটা অপরিচিতা হয়ে গিয়েছো যে, আজকে তুমি কেমন আছো সেটাই আমার অজানা।
.
– মনেহয় কি তোমার? এরকম কথা বললে গলে যাব? বিশ্বাস কর, তোমার সাথে কথা বলার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই, মনেহচ্ছে কোনো ইতরের সাথে কথা বলছি।
.
– আমি তো ইতর থেকেও নোংরা। গঙ্গায় স্নান করলেও যাবে না আমার দেহ থেকে ময়লা। যেদিন তোমাকে ডেকেছি চরিত্রহীনা সেদিন থেকেই হয়ে গিয়েছি পৃথিবীর সবচেয়ে নোংরা প্রাণী।
.
– যত চেষ্টা কর সব বৃথা, আমি তোমাকে খুব ভালোভাবে চিনেছি।
.
– কিন্তু আমি তোমাকে চিনতে পারিনি।
.
– তাতে আমার কি? তোমার কাছে পরিচিত হয়ে থাকাটা আমি বাধ্যতামূলক মনেকরি না।
.
– জানি, আমি এখন যথেষ্ট মূল্যহীন তোমার জীবনে কিন্তু আমার জীবন তো তুমি! তুমি কখনো মূল্যহীন হতে পারবে না আমার কাছে, কখনো না।
.
– হাহ! সেই গল্প আমাকে শুনিয়ে কি লাভ? তোমার চেহারা কি দেখিনি?
.
– দেখেছো, অস্বীকার করি না। কিন্তু জানো মানুষ তার জিবনের মূল্য দিতে জানে না। জীবনের জন্য ক্ষতিকারক কাজগুলো সে সবসময় করে কিন্তু যেদিন জীবন ধ্বংস হওয়া শুরু করে সেদিন সে জীবনের মূল্য বুঝতে পারে, তার আগে না। আমি তো মরেই আছি প্রায় ৩ বছর! একটা জীবন্ত লাশ হয়ে আছি, সারাদিন খালি সিগারেট আর গিটার এই তো! জানো, সিগারেটের ধোয়াগুলোর সাথে মনের কষ্ট উড়িয়ে দিতে চাই। এই সপ্তাহে ১০৭ টা সিগারেট খেয়েছি তবু এত ব্যাথা ৩ বছর বসেও তা দেহ থেকে বের করতে পারি না। হয়ত মৃত এইকারণেই সিগারেটও আমার ব্যাথা শুষে নিতে পারে না।
.
– এসব কাহীনি আমাকে বলে ২ পয়সা লাভ আছে? তোমার জীবন নিয়ে তুমি থাকো,আমার জীবন নিয়ে আমি থাকি, ব্যাস। অতীত নিয়ে পড়ে থেকে কি লাভ?
.
– অতীত! এগুলো কি তোমার মনের কথা? তোমার জীবনে অন্যকেউ জায়গা করেছে নাকি তা আমার জানা নেই কিন্তু তবুও, আমার মনেহয় না এগুলো তোমার মনের কথা। হয়ত, আমাদের প্রেম কিশোর অবস্থায় হয়েছিল কিন্তু সেটার গভীরতে ছিল অনেক বেশী, অনেক অনেক বেশী! ভুলে গিয়েছো সেই সকল সুন্দর মুহূর্ত? চাঁদ সাক্ষী, কিভাবে প্রতিটি রাত সে তার আলো দিয়ে আমাদের দুজনের ঘনিষ্ঠতা প্রত্যক্ষ করত। সত্যি! ভুলে গিয়েছো, বাইরে থেকে আসতে একটু দেরি হলে কিভাবে জড়িয়ে ধরে কান্না করে আমার শার্ট ভিজিয়ে দিতে? সত্যি বল তো, আজ প্রায় ৩ বছর তোমার-আমার কোনো দেখা হয়নি আর এগুলো সব তোমার কাছে স্বাভাবিক? সামান্য কষ্ট অনুভব হয়নি? আজকে এত বছর দেখার পরও কিছু অনুভব হচ্ছে না? কিন্তু এই ৩ বছর আমি নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে পারিনি। সবাই পাগল ডাকে, মা সারাদিন কাঁদে, বাবা সন্তান হিশেবেই আর পরিচয় দিতে চায় না। লেখাপড়াও ছেড়েছি প্রায় ৩ বছর। সত্যি করে বল, তুমি কি সব ভুলে গিয়েছো?
.
রনির চোখের দিকে তিন্নি এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে। যেন কিছু একটা বলবে তবে মুখে সেই কথাগুলো উচ্চারণের শক্তি খুঁজে পাচ্ছে না। একেবারে নিশ্চুপভাবে চোখের মধ্যে কিছু রহস্য লুকিয়ে তিন্নি উঠে যায়। আশেপাশে কোথাও ফিরে তাকায় না। রনি তাকে ডাক দেয়, আরিশাও তাকে ডাক দেয় তবে তিন্নি সবকিছু থেকেই পালাতে চায়। কারো কথা সহ্য করার মত ক্ষমতা হয়ত আপাতত তিন্নির মধ্যে নেই। হয়ত শুধু পালানোর ক্ষমতা আছে, তাই পালিয়ে যাচ্ছে। সোজা হোটেলের বাইরে আর হোটেল থেকে বেরিয়ে এক মুহূর্তও বাইরে অপেক্ষা করেনি, শুধু পালিয়েছে।
.
রনি বেশ জোরে একটা নি:শ্বাস ছেড়ে ঘড়ির তাকায়।
.
– মাত্র ১১ মিনিট হয়েছে, আরো ৪ মিনিট বাকি ছিল। আমি তো জানতেও পারলাম না, ইরা কেমন আছে!
.
(৪)
.
আজকে সারাদিনের বিষয়গুলো তিন্নির মাথা থেকে এখনো নামেনি। ইরাকে একটানা ঘন্টাখানিক ধরে জড়িয়ে আছে। ইরাও বেশ ভিন্ন প্রকৃতির বাচ্চা। তার মা তাকে সারাদিন জড়িয়ে রাখলেও সে সামান্য বিরক্তবোধ করে না। হয়ত মায়ের দেহে লুকিয়ে থাকা সকল দু:খ তার শরীরের উত্তাপে পুড়ে যায় সেটা হয়ত ইরা বোঝে। তিন্নি প্রতিবার হেরে পুনরায় বিজয়ী হয় শুধু ইরার জন্য। জাভেদের ম্যাসেজগুলো যতবার মস্তিষ্কে ভেসে ওঠে ততবার যেন তিন্নির সমগ্র দেহ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, হয়ত জাভেদের কথাগুলোর উত্তর দেওয়ার প্রবল আকাঙ্খায় দেহ কেঁপে ওঠে যেই জাভেদ টানা ৪ বছর তার কথা বলার সঙ্গি ছিল। সারাদিন কত বকবক করত জাভেদের সাথে, সেই জাভেদের সাথে কথা না বলতে পারার শোক হয়ত সাধারন চিন্তাশক্তি দ্বারা বুঝে ওঠা সম্ভব না। রনিকে ঘৃনা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছে তিন্নি এই ৩ বছর। কিন্তু তবুও বুকের অনেক ভিতরে কোনো রহস্যময়ী স্থানে আজও ‘রনি’ শব্দটা ভাসছে। এসকল চিন্তা যখন তিন্নির মাথায় আসে তখন সে ইরার দেহকে একমাত্র আশ্রয় স্থল হিশেবে খুঁজে পায়। ইরার দেহের উষ্ণতায় পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে সকল ব্যাথা,সকল অতীত। ইরা মায়ের বুক থেকে মাথাটা হালকা উঠিয়ে একেবারে বিড়ালের মত মুখের ভঙ্গি করে তিন্নিকে জিজ্ঞেস করে,
.
– আচ্ছা আম্মু, আমাদের ক্লাসে সবার বাবা আছে, আমার নেই কেন? আমার বাবা কোথায়?
.
– তোমাকে বলেছি না আম্মু, তোমার বাবা-মা দুটোই আছে। আমি তো তোমার আব্বু আর আমি আম্মু!
.
– কিন্তু অন্যদের আব্বুরা তো বড় বড় ছেলেদের মত।
.
– সেটাইতো! আল্লাহ তোমাকে বেশী ভালোবাসে তাই তোমাকে একটু আলাদাভাবে সুযোগ দিয়েছে। সবাইকে দিয়েছে ২ টা আলাদা আলাদা আব্বু, আম্মু আর তোমাকে দিয়েছে আব্বু,আম্মু দুটো একসাথে কারণ আল্লাহ তোমাকে বেশী ভালোবাসে। তাই তোমাকে স্পেশাল সুযোগ দিয়েছে!
.
ইরা আদৌ ব্যাখার কতটুকু বুঝেছে সেটা অজানা কিন্তু মায়ের মুখের হাসি দেখে সে এতটুকু বুঝেছে মা অবশ্যই ভালো কিছু বলেছে তাই মায়ের সাথে পাল্লা দিয়ে একটা অদ্ভুত হাসি দেয়। তিন্নি ইরাকে জোরে জড়িয়ে ধরে ইরার মুখটা নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে। তিন্নির চোখের পানিগুলো ইরার চুলগুলোকে ছুয়ে যায়।
.
– আম্মু! তুমি কান্না কর?
.
– না, আম্মু ! কান্না করি না, চোখে একটু ময়লা গিয়েছে।
.
– তুমি কাঁদলে কিন্তু তোমাকে পচা বলব।
.
এই বলে ইরা মাকে আরো জোরে জড়িয়ে ধরে। তিন্নি তার চোখের পানিগুলোকে চেপে রাখে। নাহ! কোনোভাবে নিজের মেয়ের কাছে সে পচা হতে পারবে না। তিন্নির মাথার চিন্তাগুলো ক্রমেই কমতে থাকে। আরো জোরে চেপে ধরে ইরাকে। সামান্য বিরক্তির ছাপ নেই ইরার নাকমুখে। ইরাকে চেপে ধরে সোফায় শুয়ে পড়ে। তিন্নির সকল দু:খ,কষ্ট ক্রমেই ইরার দেহের উষ্ণতায় ধ্বংস হতে থাকে। মুহূর্তেই ঘুমিয়ে পড়ে দুই মা-বেটি। কি অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য! মা আর মেয়ের অসংজ্ঞায়িত ভালোবাসায় অদ্ভুত ভঙ্গিমায় দুই মা-মেয়ে ঘুমিয়ে আছে। কোনো চিন্তা নেই, কোনো ভয় নেই তাদের। কারণ ইরার কাছে আছে তার আম্মু আর আম্মুর কাছে আছে তার ইরা।
.
(চলবে…)
.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here