#গোধুলীর_শেষ_প্রহরে
#পর্বঃ১২
#রাউফুন (ছদ্মনাম)
‘কি গো কুহুর মা তোমার মেয়েরা কি ফিরনি? ওঁদের কে দেখছি না যে?’
প্রিতি চা হাতে নিয়ে এগিয়ে এলেন। সালমান হোসেন বসলেন সোফায়। অফিস থেকে ফিরেছেন খানিকক্ষণ আগেই। ফ্রেশ হয়ে এসে মেয়েদের কথা জিজ্ঞেস করাই প্রিতি বললেন,
‘তানহা মেয়েটার জ্বর করেছে। সে জন্য মুহু আজ ওর কাছে গেছে। আর তোমার বড় মেয়ে ভার্সিটিতে। তা আজ এখনি ফিরলে যে?’
‘হ্যাঁ শরীর টা ভালো লাগছিলো না তাই ফিরলাম। হ্যাগো তুমি তো একবার বলতে পারতে তৌহিদ আর তানহাকে আমাদের বাড়িতেই এসে থাকতে?’
‘আমি বলেছিলাম কিন্তু তৌহিদ রাজি হয়নি।আমিও আর ঘাটাইনি। ওর তো আত্মসম্মান বোধ আছে নাকি! ছেলেটা বড্ড ভালো, আঁচার ব্যবহারে অতুলনীয়!’
‘তা যা বলেছো সত্যিই খুব ভালো ছেলেটা।তোমার ছোট মেয়ের তো পড়াশোনা লাটে উঠেছে। শুনলাম ভার্সিটি ঠিক করে যাচ্ছে না?’
”থাক না ওঁকে আমরা চাপ দিতে চাই না।যতদিন কুহু আছে মুহুর জন্য আমাদের চিন্তা নেই। কুহুই সামলাবে মুহুকে।’
সালমান হোসেন চোখ টিপে হেসে বললেন, ‘আজকে তো কেউই বাড়িতে নেই। আমরা কি একটু চান্স নিতে পারি নাকি এই সময় টাই?’
প্রিতি চোখ রাঙিয়ে বললেন, ‘ কি যে করো তুমি। বুড়ো হচ্ছো সে খেয়াল কি আছে? মেয়ের বিয়ের বয়স হয়ে অভার হয়ে যাচ্ছে আর এখন তিনি এসেছেন রোমান্স করতে!’
সালমান হোসেন প্রিতি আরও কাছ ঘেসে বলেন,
‘রোমান্স টাই তো অক্সিজেন গো আমাদের জন্য! এটা যতদিন আছে আমরাও সজীব থাকবো বুঝলে?’
প্রিতি হেসে একেবারে কুটোপাটি।হাসতে হাসতে বলেন,
‘তুমি থামবে। বুড়ো বয়সে ঢং! শুনো না একটা কথা বলার ছিলো। তুমি আমার কলিগ শাম্মী কে চেনো তো? ওর একমাত্র ছেলে!খুব ভালো ছেলেটা। দেখতে শুনতেও ভালো।আবার ইঞ্জিনিয়ার!
‘হ্যাঁ তাতে কি? পরিষ্কার করে বলো?’
‘শাম্মীর কুহুকে খুব পছন্দ! আজকে আমাকে বলছিলো, ‘তোর মেয়েটাকে দিবি আমার ছেলের জন্য? খুব যত্ন করে মেয়ে করে রাখবো আমার কাছে!’ ওঁদের মা ছেলের সংসার!আমার কুহু ওখানে গেলে ভালোই থাকবে।কি বলো?’
‘কিন্তু এসব তো আগে কুহুকে জানাতে হবে।ওর সম্মতি পেলে তবেই আমাদের এগোনো উচিত বলে আমার মনে হয়।’
‘কালকে বিকেলে শাম্মী আমাদের সবাইকে ওর বাড়িতে নেমন্তন্ন করেছে। সুপ্রিয় মানে শাম্মীর ছেলের কালকে ছুটি আছে। কুহু আমাদের সাথে গেলে কালকে ওঁদের দেখা হয়ে যাবে।’
‘ওঁকে তুমি যা ভালো বুঝো। মেয়ে যেনো রাগ না করে দেখিও।’
‘রাগ করবে না! মুহুকেও সঙ্গে নেবো।’
•
সবাই যার যার ক্যাবিনে বসেছে। কুহুও বসে আছে নিজের ক্যাবিনে। রেখা মেম আজ সবার জন্য নিজের হাতে রান্না করে এনেছেন। কিন্তু কিছুতেই কুহুকে দেওয়ার জন্য সাহস পাচ্ছেন না। কুহু যা গম্ভীর মেয়ে হঠাৎ করে রেগে গেলে কি হবে?
সবাইকে খাবার দিয়ে এসে সজল স্যার এর সামনে দাঁড়ালো রেখা। কাঁপা কাঁপা হাতে খাবারের বাটিটা এগিয়ে দিলো রেখা। এদিকে সজল স্যার এর যেনো চক্ষুচরক গাছ। রেখা ওঁকে খাবার দিচ্ছে সেটাও নিজের হাতে রান্না করে আনা। উনার চোখ চকচক করছে সোনার মতো। তিনি রেখার হাত থেকে খাবার টা নিলেন। রেখা ফিচেল হাসার চেষ্টা করলো। সজল স্যার খাবার নিয়ে টিফিন বক্স খুলেই খাবারের গন্ধ নিলেন, ‘খাবারের গন্ধেই বুঝা যাচ্ছে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়েছে। অবশ্য বিস্বাদ হলেও আমার সমস্যা নেই। আপনার হাতের রান্না বিস্বাদ হলেও তৃপ্তির সহিত খাবো আমি।’
রেখা মেমে হেসে উঠলেন।, ‘আচ্ছা তাই নাকি?খেয়ে বলুন না কেমন হয়েছে?’
রেখার কথায় সজল স্যার ওর সামনেই চামচ দিয়ে কয়েক চামচ গোগ্রাসে মুখে পুরে নিলেন। কিন্তু সেই খাবার গলা অব্দিই আটকে রইলো। গলা দিয়ে আর নামছে না। খাবার মুখে নিয়েই সজল স্যার হাসার চেষ্টা চালালো। রেখা ঠোঁট চেপে হাসি আটকে রাখাল চেষ্টা করছে। এদিকে সজল স্যার খাবার টা না পারছে ফেলতে না পারছে গিলতে। কারণ খাবারের নুনের পরিমাণ টা অনেক বেশি। এতো নোনতা খাবার কি আর গলা দিয়ে নামে?
রেখা মেম এগিয়ে এসে সজল স্যার এর ডেস্কের উপর হাত রেখে বলেন, ‘কি হলো গিলতে কষ্ট হচ্ছে বুঝি। একটু আগে কে যেনো বললো, ‘আপনার হাতের বিস্বাদ রান্নাও খেয়ে নিতে পারবো!’ তা খাবার মজা হয়নি বুঝি?’
সজল স্যার কোনো রকমে খাবার গুলো গিলে ফেললেন।মুখ বিকৃত হয়ে আছে তবুও হাসার চেষ্টা করে কোনো রকমে বলেন, ‘অপুর্ব হয়েছে!’
‘ তবে পুরো টাই খাবেন কিন্তু। আমি টিফিন বক্স টা ফেরত নিবো যাওয়ার আগে!’
রেখা মেম হেসে কুটিকুটি হচ্ছেন। তিনি ইচ্ছে করেই সজল স্যার এর খাবারে নুনের পরিমাণ বেশি দিয়েছেন। এটা তাকে রোজ লুকিয়ে দেখার শাস্তি! রেখা চলে এলেন সেখান থেকে। সজল স্যার চোখ বড় বড় করে বলেন,’অসম্ভব! কিভাবে খাবো এই খাবার?’
রেখা মেম আসলেন কুহুর ক্যাবিনে। কুহু রেখা কে দেখে বললেন, ‘আরে রেখা মেম? আসুন আসুন ভেতরে আসুন। কোনো প্রয়োজন?’
রেখা মেম একটু হালকা হলেন কুহুর হেসে হেসে কথা বলায়। যাক আজ হইতো মুড ভালো আছে। কথা বলা যাবে। রেখা বলেন, ‘না কোনো প্রয়োজন নেই।আমি সবার জন্য নিজে হাতে রান্না করে এনেছি আজকে।’
‘ওহো সেতো ভালো কথা!’
‘আসলে সবার জন্যই রান্না করলাম তাই ভাবলাম আপনার জন্যও করি!’
কুহু হেসে বলে, ‘এতো হ্যাজিটেট কেন করছেন মেম। খাবার টা রাখুন আমি খাবো অবশ্যই।’
রেখার চোখ ঝলমল করে উঠলো।তিনি হেসে বললেন, ‘ যাক আপনাকে আজ কম গম্ভীর লাগছে। আপনি সব সময় এমনি থাকবেন কিন্তু!’
কুহু হাসলো আরেকদফা!সেই হাসির শব্দ হলো না কিন্তু সেই হাসিতে রয়েছে মাদকতা! রেখা মেম অপলক নয়নে তাকিয়ে রইলো কুহুর দিকে। আনমনে বললেন,
‘কুহুলতা মেম আপনার কন্ঠের স্বরের মতোই আপনার হাসিটাও ভীষণ মন কাড়ার মতো!’
কুহু আবার নিজের মধ্যে গম্ভীর্য ভাব ফুটিয়ে তুললো রেখার কথায়। সে চাহনী উপেক্ষা করে রেখা মেম চলে এলেন। কুহু ঠোঁট চেপে হেসে কাজে মন দিলো।
শৈবাল কুহুর সামনে যায় না ঠিকই কিন্তু রোজ তার একবারের জন্য হলেও কুহুলতাকে দেখা চাই ই চাই। সে দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে কুহুকে অবলোকন করে। আজও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। এই মুহুর্তে কুহুলতার হাসিতে সে ঘায়েল হয়ে গেছে। কি সেই নিদারুণ হাসি! ওর মুখেও তৃপ্তির হাসি। কুহুলতা ওঁকে যত যায় বলুক না কেন তার কুহুলতাকেই চাই। ওর জন্য সব করতে পারবে শৈবাল। সে আবারও অন্য ডিপার্টমেন্টের ছাদ থেকে কুহুকে দেখাই মন দিলো। ওঁকে দেখতে দেখতে বলে,
‘আমাকে দিন দিন পা’গ’ল না করে দেখি তুমি ছাড়বে না কুহুলতা মেম! আরও আগে কেন এলে না আমার জীবনে? খুব শীঘ্রই তুমি আমার সামনে থাকবে কুহুলতা মেম। তখন আমিও দেখবো তুমি আমার মুখ না দেখে কোথায় যাও!’
•
হাসি মুখে সারাফ গাড়ির চাবি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘরে ঢুকলো। ফ্রেশ হয়ে বিছানায় বসতেই সাহিরা দরজার কাছে দাঁড়ালেন হাতে ব্লাক কফি নিয়ে। সারাফ কোথাও থেকে ফিরলেই তিনি আগে আগে কফি নিয়ে হাজির হোন। তিনি আজকে ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করলেন সারাফকে। আজ অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি হ্যাপি লাগছে ওঁকে উনার কাছে। কিছু নিয়ে হইতো খুব খুশি আছে সারাফ। তিনি দরজার কাছে দাঁড়িয়ে বলেন,
‘আসবো সারাফ?’
সারাফ অন্য ভাবনায় মগ্ন ছিলো বিধায় সাহিরার কথায় একটু চমকে উঠে। সে নির্নিশেষে বলে, ‘আরে মা আসুন!দাঁড়িয়ে আছেন কেন? আমার ঘরে আসার জন্য কি আপনার পার্মিশন লাগবে?’
সাহিরা হেসে বললেন, ‘না বাবা তা নয়। তুমি এখন বড় হয়েছো। তাছাড়া কয়েকদিন পর যখন তুমি বিয়ে করবে তখন তো আর আমি এভাবে আসতে পারবো না। তাই আগে থেকেই অভ্যাস করছিলাম।’
‘কি যে বলেন মা!’
সারাফের লজ্জা মাখা মুখ দেখে হেসে ফেললেন সাহিরা।বললেন,
‘তা বাবা মেয়েটাকে?’
সারাফ তোতলানো গলায় বলে, ‘কোন মেয়ের কথা বলছেন মা?’
‘এই যে একটু আগে যে মেয়ের কথা ভেবে মুচকি মুচকি হাসছিলে?’
‘কই আমি তো মুহুর কথা ভাবিনি।’
সাহিরা হেসে ফেললেন এবারেও।তিনি হাসি আটকে বলেন, ‘ মুহু? কোন মুহু? আমাদের মুহু নাকি? আমি কখন বললাম তুমি মুহুর কথা ভাবছো? আমি তো ওর নাম ই নেইনি?’
সাহিরার এবারের কথা শুনে সারাফ যেনো মাটির সাথে মিশে যাবে। কিছু টা ঘাবড়ে গেছে বেচারা। সাহিরার এক সাথে এতো গুলো প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে ঘুনাক্ষরেও ভাবে নি সে। এখন বুঝতে পারছে আসলে সে ঠিক কি বলে ফেলেছে। ইশ রে মুখ ফসকে বোধহয় মুহুর নাম বলে ফেলেছে। কি জানি এখন মা কি ভাবছেন। নিজেই নিজেকে হাজার টা গা’লি দিলো, ‘সারাফ তুই বড্ড বোকা। কে বলবে তুই স্কলারশিপ পেয়ে জার্মানিতে গিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করেছিস। ভালো একটা জব ও করিস সেখানে। আস্তো একটা বোকার বস্তা তুই! এখনি ওর নাম টা নিতে হলো তোকে?’
সাহিরা বেগম বুঝে গেছেন সারাফের মুখ দেখেই। যাক অবশেষে কাউকে তো ভালো লাগলো। যদিও সে খুব ভালো করেই জানেন এর জন্য অনেক কাঠ খড় পুরাতে হবে। তবুও তিনি চেষ্টা করবেন প্রানপনে। সাহিরা বেগম হাসি আটকে গম্ভীর মুখে বলেন, ‘ঠিক আছে আমি খুব শীঘ্রই এর ব্যবস্থা করছি!’
সারাফ একটু ভয় পেলো।নিজের ভাগনির নাম শুনে এখন যদি মা বেকে বসে তখন।হঠাৎ করে এমন গম্ভীর দেখাচ্ছে কেন সাহিরা মাকে।
‘কফি টা খেও।’ সাহিরা কফির মগ টি টেবিলের উপর রাখতে রাখতে বললেন। যদিও এখন উনার খুব হাসি পাচ্ছে সারাফের ইনোসেন্ট ফেস টা দেখে। তিনি বেরিয়ে এলেন ঘর থেকে।
সারাফের চিন্তা বাড়লো। সাথে এক আকাশ লজ্জা এসে ঘিরে ধরলো। সে বিরবির করে বলে, ‘সব তোমার দোষ মুহু। কে বলেছিলো আমায় চু’মু দিতে!’
•
তানহার জ্বর একটু কমেছে। তবে এখনো শরীরের উত্তাপ কমেনি। তানহা বিছানা থেকে উঠতে উঠতে খেয়াল করে মুহু হাসছে মিটিমিটি। সে অসুস্থ আর এই মেয়েটা হাসছে।মুহুর্তেই রাগ হলো ওর। সে ভাঙ্গা গলায় বলে,
‘তুই হাসছিস কেন। আমি অসুস্থ আর তুই হাসিস! সাহস তো কম না?’
মুহুর তানহার কথায় সম্বিত ফিরে এলো। সে শুকনো মুখে ঢুক গিলে। চোখ সরু করে বলে, ‘কই হাসছি না তো। তুই জ্বরের ঘোরে ভুলভাল দেখোস যদি আমি কি করবো?’
‘আমি মোটেও ভুলভাল দেখিনি। তুই হাসছিলি আমি ঠিক দেখেছি। মেয়েরা একমাত্র প্রেমে পরলেই একা একা হাসে! এবার বল তুই কার প্রেমে পরেছিস?’
তানহার সন্দিহান চাহনি। মুহু অকপটে বলে, ‘হ্যাঁ প্রেমে তো পরছি তোরে কমু ক্যান?’
‘ওহো হ্যাঁ আমারে কইবি ক্যান। আমি কে? তুই তোর ফুলবাবুর প্রেমে পরিস নি তো বাই দ্যা ওয়ে?’
মুহু সুন্দর করে হেসে তানহার গাল টেনে স্বীকারোক্তি দেয়, ‘শুধু প্রেমেই পরিনি জানু আজকে চু’মুও দিয়েছি ফুলবাবুকে!’
তানহার জ্বরের ঘরে কাশি উঠে যায়।কোনো মতে কাশি থামিয়ে বলে, ‘কিহ একেবারে চু’মু? সব কিছু তেই স্লোলি স্লোলি প্রেমের বেলাতে এতো ফার্স্ট ফার্স্ট!’
•
ফোনে কোনো একটা মেয়ে একজনের সাথে কথা বলছে,
‘স্যার আমরা দুই তিন জন মেয়ে শৈবালের আশেপাশে ঘুর ঘুর করি। দুই মাসেও একবার তাকিয়েও দেখেনি শৈবাল। আপনি তো বলেছিলেন খুব সহজেই পটিয়ে বা’গে আনতে পারবো ওঁকে?’
ফোনের ওপাশ থেকে আগুন্তক উত্তর দেই, ‘কি বলছো কি তুমি। এই দুই মাসেও ওঁকে প’টা’তে পারলে না? অকর্ম্মার ঢেকি একেকজন!’
‘কি করে পারবো স্যার শৈবাল তাকিয়েই দেখে না আমাদের!’
‘দেখবে দেখবে। একটু হ’ট ড্রেসে ওর চোখের সামনে নিজেকে সো অফ করো। ওঁকে তো আমি খুব ভালো ভাবেই জানি কেমন ক্যারেক্টার ওর!’
‘ঠিক আছে স্যার আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাবো।’
কথা শেষ হতেই আগুন্তক আক্রোশে ফেটে পরলো। সে হিসহিসিয়ে বলে,
‘আমি বুঝতে পারছি কেন তুমি এমন করছো। ঐ মেডামের জন্য তো। যদি ওঁকেই পথ থেকে সরিয়ে দিই তবে?’
আগুন্তক ক্রর হাসিতে ফেটে পরলো। সেই হাসিতে ঘরের দেয়াল ও যেনো কেঁপে উঠলো।
#চলবে