গোধুলীর শেষ প্রহরে পর্ব -১১

#গোধুলীর_শেষ_প্রহরে
#পর্বঃ১১
#রাউফুন (ছদ্মনাম)

পরের দিন ভার্সিটিতে হলো এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।যা কোনো দিন হয়নি,বা হওয়ার কথা ছিলো না সেটা হচ্ছে।সে এক অভাবনীয়, অসম্ভাব্য ঘটনা ভার্সিটির সকলের কাছে। আর তা সবাই উচ্ছ্বাস, উৎসুক হয়ে দেখতে ব্যস্ত। কেউই যে কোনো দিন ভাবেনি এটাও হতে পারে। শৈবাল খুব নির্মম ভাবে মা’র’ছে নিজের বন্ধুদেরকে। কি কারণে মা’র’ছে তা সকলেরই অজানা। এখনো স্যার মেম রা আসেনি। মাত্র শ খানেক স্টুডেন্ট এসেছে আগেই। যাদের অনেকেই লাইব্রেরী থেকে বই নিয়ে নোটস কালেক্ট করছিলো। শৈবাল ভার্সিটির মাঠের বড় বট গাছের সঙ্গে বেধে রেখেছে শিশির, মোর্শেদ আর আশিক কে।শৈবাল অত্যন্ত ক্রোধানল দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,

‘তোদের সাহস কি করে হলো আমার ভাইয়ের গা’য়ে হাত তোলার। কে সবার আগে আমার ভাইয়ের গায়ে হাত দিয়েছিস বল?’

মোর্শেদ অনুনয় করে বলে উঠলো,
‘আমরা তখন ছিলাম না।শিশির কে জিজ্ঞেস কর!বিশ্বাস কর আমরা জানতামই না ওটা তোর ভাই।’

‘আমি আর আশিক তখন ছিলাম না। মা’রি নি তোর ভাইকে আমি বা মোর্শেদ। আমরা তো মুখ ধুতে গেছিলাম সে সময়। কারণ আমাদের চোখে, মুখে লংকা গুড়ো ছিলো।’

আশিকের কথা শেষ হতেই ঠা’টি’য়ে থা’প্প’ড় বসালো ওর গালে শৈবাল! শিশির কেঁপে উঠলো এতে। শৈবালের এরুপ ভয়ংকর রুপ এখন তাকে ভাবাচ্ছে। কারণ শিশির খুব ভালো ভাবেই জানে শৈবাল নিজের ভাইয়ের জন্য ঠিক কি কি করতে পারে। যদিও সত্যিই ওরা কেউই জানতো না কালকের ওই ছেলেটা শৈবালের ভাই। কিন্তু এমন টা হবে ওরা ভাবেও নি। শৈবাল যে সবার সামনে ওই ভাবে ওঁদের কে মা’র’বে সেটা কল্পনাত্বিত ছিলো।

‘আমার ভাই মিথ্যা বলেনি আমি জানি।তোদের তিন জনের মধ্যেই মেরেছিস কেউ।’

কালকের সব ঘটনা সারাফ না চাইতেও বলেছিলো শৈবালকে। শৈবাল সারাফের বিদ্ধস্ত অবস্থা দেখে কিছু টা আন্দাজ করে কিছু তো হয়েছে। রাতে না বললেও সকালে শৈবাল জানতে পারে সব টা। পরবর্তীতে অবশ্য সারাফ নিজেই সব টা বলে।সারাফ তানহা, মুহুর নাম নিতেই বুঝতে পারে শিশির বা ওর বন্ধুদের গ্যাং এর ই কেউই এই কাজ করেছে। মুহু আর তানহাকে কি করে ভুলবে শৈবাল। কুহুলতার বোন মুহু এটা সে জানে।সেদিন কুহুলতার আইডি আছে অস্বীকার করাই সে আবার ওই আইডিতে ঢুকে। আইডির ডিপিতে ছবিটি কুহুলতার কিন্তু ক্যাপশনে দেওয়া ‘মাই লাইফলাইন মাই সিস্টার!’ ওর ছবির ক্যাপশন টা শৈবাল পরে লক্ষ্য করে। কুহুলতার ছবিটি দেখতে এতোটাই মগ্ন ছিলো সে যে বাকি কোনো কিছুই দেখে নি। যদিও মুহুর কোনো ছবিই নেই ডিপি তে। সে খোঁজ নিয়ে জেনেছে যে মেয়েটা ওঁকে কালি মাখিয়েছে প্রথম দিন সেই মেয়েটিই মুহু। কুহুলতার ছোট বোন। তাই তো সে আর মুহুকে কিছুই বলে নি। তা না হলে শৈবাল প্রতিশোধ নিতে ভুলে না। শুধু মাত্র একজন মানুষের জন্য সে সর্ব প্রথম নিজের লাইফ রুলস ডিসমিস করেছে। সেটা হলো কুহুলতা। কুহুলতা ওর জীবনে আসার পর থেকেই ও বদলে গেছে কেমন যেনো। নিজেকে আর প্রতিশোধ পরায়ণ মনে হয় না। শৈবাল একে একে সবার ছবি দেখাই সারাফ কে ওর বন্ধুদের । ছবি দেখে সারাফ আশিক, মোর্শেদ আর আর শিশির কে দেখিয়ে দিয়ে বলে এরাই ছিলো কালকে। শৈবাল তখন সারাফের বাকি কথা না শুনেই বন্ধুদের সকালেই আসতে বলে ভার্সিটিতে।

শিশির ভয়ে ভয়ে বলে, ‘আমি জানতাম না ওই টা তোর সারাফ ভাই। জানলে কোনো দিন ও এমন ভুল আমি করতাম না।’

শিশিরের স্বীকার করতে দেরি কিন্তু ওঁকে লা’ঠি’র আঘাত করতে দেরি হয়নি শৈবালের।
শিশির মা’রে’র চোটে জোরে আর্তনাদ করে উঠলো। একেই কাল কত গুলো ঘা’ পরেছে সারাফের হাতের। এরপর আবার শৈবালের এরকম লা’ঠির আ’ঘা’ত। সবাই যেনো কত দিন এমন দৃশ্য দেখেনি।সিনেমার চেয়ে কম কিসে এই দৃশ্য। খুশিই হয়েছে বোধ হয় সবাই। সবার চকচক করা দৃষ্টির মানে বুঝতেই ওঁদের দিকে আগুন চোখে তাকালো শৈবাল। হিসহিসিয়ে বলে,

‘হেই বা’ডি এখানে কি সিনেমা হচ্ছে হ্যাঁহ? যাও এখান থেকে।’

শৈবালের ভয়াবহ কন্ঠে সবাই লেজ গুটিয়ে চলে এলো সেখান থেকে। শৈবালের রাগ সম্বন্ধে অবগত সবাই। তাই এ মুখোও আর কেউই আসে নি।

শিশির আকুতি মিনতি করে বলে, ‘আর মা’রি’স না।এবারের মতো ছেড়ে দে ভাই।উফফ! আমি জানতাম না ওটা তোর ভাই।ওঁকে কি আমরা কেউই কোনো দিন দেখেছি নাকি।তুই ও তো দেখাস নি।তাহলে বুঝবো কিভাবে ওটা তোর ভাই।সা**লা এসে এমন বে’গ’ড়া দিলো যে রাগ উঠে যায়।তাই তো**!’

শিশিরের কথা শেষ না হতেই শৈবাল ইচ্ছে মতো আরও কয়েক ঘা দিলো ওঁকে। শৈবাল চেচিয়ে বলে,

‘ এই তোর এতো বড় সাহস আমার ভাইকে সা**লা বলিস তুই? তোর এতো বড় স্পর্ধা হয় কিভাবে আমার ভাইকে আ’ঘা’ত করিস।কোন হাত দিয়ে মেরেছিস দেখা।আমি সেই হাত ভে’ঙে দিবো।তুই জানিস ও না কি ভুল করেছিস তুই।’

শৈবাল শিশিরের হাতে আ’ঘা’ত করতে যাবে তখনই রিমন কোত্থেকে যেনো দৌড়ে এলো।শৈবালের হাত থেকে লা’ঠি টি কেড়ে নিয়ে ফেলে দিলো।

‘দোস্ত আর মা’রি’স না ওঁদের। এমনিতেই তোর বডি বিল্ডার ভাই মেরে শরীরের দুইশো ছয়টি হাড় নরাই দিছে ওঁদের। এরপর তোর মা’র।এবার ক্ষান্ত হো ভাই।’

শৈবাল ক্রুর আওয়াজে বলে, ‘ ওদের বলে দিবি রিমন ওরা যেনো আমার সামনে না আসে! নইলে কিন্তু আমি ওঁদের কে শে’ষ করে দিবো।’

শৈবাল বুঝতে পারছে না তার এতো রাগ কেন হচ্ছে। তার ভাই কে মেরেছে বলেই নাকি মুহুর সাথে অসভ্যতামো করেছে বলেই। মুহু কুহুলতার বোন বলেই কি ওর রাগ টা বেশি হচ্ছে। সাপের মতো হিসহিস করে সেই জায়গা প্রস্থান করলো সে। রিমন গিয়ে ওঁদের বাধন খুলে দিলো। শিশির জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থা। টুলছে ও। স্বপন আর শাহেদ ও এর মধ্যে চলে এসেছে। বন্ধুদের অবস্থা এমন দেখে দৌড়ে এগিয়ে এসে ধরে নিয়ে চলে গেলো। মা’রা’র বাকি গল্প রিমন খুলে বলে সবটা স্বপন আর শাহেদ কে।

তানহা অসুস্থ এই কথা বলে মুহু ভার্সিটিতে যায় নি আজও । মেয়েটি একটা ছুচো পেলে হয় আর ভার্সিটিতে আসবে না। নিজের লাইফ নিয়ে কোনো চিন্তা নেই তার। বেখায়ালিপনা সব সময়।বুবুর থেকে পার্মিশন নিয়েছে আজ আসবে না ভার্সিটিতে।কালকের বিষয় টার জের ধরেই হইতো জ্বর হয়েছে তানহার। মুহু ওষুধ নিতে এসেছে সামনের একটা ফার্মিসিতে। যতই হোক পরানের সই অসুস্থ।ওর খেয়াল রাখা টা আবশ্যক মনে হয়েছে মুহুর। হঠাৎ করেই একটা গাড়ি এসে থামে ওর সামনে।কিছু টা অবাক হয়েই তাকিয়ে আছে সে গাড়ির দিকে। এক পলকেই সে চিনে ফেলে গাড়িটি কার। তার ফুলবাবুর।মনের এক অন্য রকম অনুভূতি হলো তার। এই অনুভূতি টা নাম না জানা মুহুর কাছে। সারাফ গাড়ির কাচ টা তুলে দিয়ে ডাকলো মুহুকে,

‘এই এদিকে আসো।’

মুহু ভাবলেশহীন ভাবে এগিয়ে এলো, ‘আরে ফুলবাবু যে, এখানে কি করছো?’

সারাফ উত্তর দিলো না এখানে কি করছে।সরাসরি বললো, ‘তোমার সাথেই দেখা করতে এসেছি?’

মুহু অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘আমি যে এখানে তুমি জানলে কি করে?’

‘সেটা তোমার জানা লাগবে না।উঠে এসে গাড়িতে!’

মুহু অবাক হলেও কিছু বলে না।গাড়িতে উঠে বসে।সারাফের গাড়িতে উঠতে বলাই কেমন যেনো অধিকার বোধ খুঁজে পেলো সে।কালকের সারাফের শেষ কথা টা বার বার মনে পরেছে তার।ঘুমাতে পারেনি রাতে।মুহু ওর পাশেই বসেছে।ড্রাইভ করছে সারাফ।ঠোঁটে এক মারাত্মক হাসি ফুটে আছে লোকটার। সারাফ ড্রাইভ করছে আর বার বার ফিরে ফিরে দেখছে মুহুকে।মুহু মুচকি হেসে বলে,

‘ ফুলবাবু তোমার পাশে বসেও তো দেখছি মুশকিল হয়ে গেলো। সোজা বসে গাড়ি চালাও। নইলে কিছু একটা কান্ড ঘটিয়ে ফেলবে দেখছি!’

‘কি করবো মেম আপনি এতো সুন্দর।চোখের আর কি দোষ বলুন।’

মুহু কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না।লজ্জায় চোখ নামিয়ে নিলো সে। গাল গুলো যেনো লজ্জায় টগবগ করে ফুটছে।লোকটা এমন বেফাঁস কথা বলছে কেনো।কি হয়েছে টা কি তার। সে মনে মনে ভাবে, ‘কি যে করি যত সময় যাচ্ছে ফুলবাবু আমাকে এতো দুর্বল করে দিচ্ছে।’ এখন আর বাড়ি ফিরতেও ইচ্ছে করছে না যে আমার।’ মনে হচ্ছে এখানেই থেমে যাক সময়। অনন্ত কালের জন্য। কিন্তু মানুষ টা যা অমনোযোগী হয়ে গাড়ি চালাচ্ছে ভয় হচ্ছে।অনেক ভেবে মুহু ওর ডান হাত টা সারাফের বাম হাত টা ধরে বসলো।সারাফ কিছু টা বেসামাল হলো। পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিয়ে চমৎকার করে হাসলো সে। স্বগতোক্তি করে বলে,

‘আরে এতো মেঘ না চাইতেই জল। এরকম ভাবেই ধরে রেখো না হলে কিন্তু আমি হারিয়ে যাবো।’

‘আমি হারিয়ে যেতে দেবোই না।তুমি সামনের দিকে তাকিয়ে গাড়ি চালাও তো ফুলবাবু!’

সারাফ হেসে উঠলো।মেয়েটা ওঁকে যত বার ফুলবাবু ডাকে ততবারই ওর মনে আলাদা একটা প্রশান্তি কাজ করে। কেমন শান্তি শান্তি লাগে বক্ষস্থলে।সে মিটিমিটি হেসে বলে,

‘আচ্ছাহ!আমার হাত টা তাহলে মেডাম প্ল্যান করেই ধরেছেন।যাতে আমি এক্সিডেন্ট করে না বসি।’

মুহুর গালে রক্তিম আভা ফুটে উঠলো এবারেও।লোকটা তাকে বার বার এভাবে লজ্জায় ফেলছে যে কি করবে ভেবে পাচ্ছে না মুহু।আনমনে হেসে বলে,

‘জানি না।চুপচাপ ড্রাইভ করবে তুমি?এতো চঞ্চল মন কেন তোমার।’

‘এতো দিন এই মন টাকে বেধে রাখার মতো কেউ ছিলো না তো।তাই চঞ্চল হয়ে গেছে।’

মুহু মনে মনে ভাবলো, ‘আমি আছি তো ফুলবাবু তোমার মন টাকে বেধে রাখার জন্য।’

গাড়ি এগিয়ে যেতে থাকলো আর তার সাথেও ওদের মন দুটোও এগিয়ে যেতে থাকলো একে অপরের দিকে। গাড়িতে তখন গান বাজছে,

‘দো দীল মিল রা হী হেএএ,
মাগার চুপকে চুপকে!’

তানহার বাড়ির সামনে গাড়ি আসতেই মুহু থামতে বলে। সারাফ গাড়ি থামিয়ে বলে,

‘এটা তো তোমার বান্ধুবীর বাড়ি মনে হচ্ছে?’

‘হ্যাঁ ওর জন্যই ওষুধ আনতে গেছিলাম আমি।ওর জ্বর হয়েছে খুব।’

‘সেকি! ডক্টর দেখিয়েছো?’

‘হ্যাঁ ডক্টর প্রেসক্রিপশন লিখে দিয়েছে সে অনুযায়ী ওষুধ কিনে আনলাম।’

সারাফ ঠোঁট গোল করে বলে ‘ওওওও!আর কেউ নেই বাড়িতে?’

‘আছে তো।ওর ভাই তৌহিদ।ভাইয়ার অফিসে জরুরি কাজ পরাই সে ব্যস্ত হয়ে ছুটলো।যদিও যেতে চাইছিলো না বোন কে রেখে।আমিই জোর করে পাঠালাম তাকে।’

‘ঠিক করেছো।ওও হ্যাঁ মুহু তোমার সাইকেল টা দিতে এসেছিলাম আমি।’

বলেই সে গাড়ি থেকে নামলো।মুহুও নামলো।সারাফ গাড়ির ডিকি থেকে সাইকেল টা বের করে রাখলো ওর সামনে।প্রথমে সে মুহুর ভার্সিটিতে গেছিলো। খোঁজ নিয়ে জানতে পারে আজ মুহু আসেনি ভার্সিটিতে।পরে ও ভাবলো বাড়ি গিয়েই দিয়ে আসবে ওর সাইকেল টা। তাছাড়া মন টা আকুপাকু করছিলো তার মেয়েটাকে দেখার জন্য।ওর মুখ থেকে ফুলবাবু ডাক টা শুনতে বড্ড ইচ্ছে হচ্ছিলো। মনে হচ্ছিলো এই ফুলবাবু ডাক টা না শুনতে পেলে তার শ্বাস আটকে যাবে। মুলত সেই কারণেই ওঁকে খোঁজা।সাইকেল দিতে আসাটা নিতান্তই বাহানা।

মুহুর মন চাইলো না সারাফ কে ছেড়ে যেতে।কিন্তু যেতে তো হবেই। ও সারাফের দিকে বেহায়া হয়ে তাকিয়ে রইলো। আজ যেনো চোখ গুলোও কেমন বেহায়া হয়ে যাচ্ছে।সে মনে মনে শুধাই নিজেকে, আচ্ছা শুধুই কি সাইকেল দিতেই এসেছিলো ফুলবাবু নাকি অন্য কিছু!’

মুহুর আরও একবার তাকালো সারাফের দিকে। সে একভাবে তাকিয়ে আছে তার দিকে। গাড়িতে হেলান দিয়ে পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছে সারাফ। সেই দৃষ্টির হাত থেকেও বাচতে চাইলো মুহু। অগত্যা যেতেই হলো তাকে। সারাফ তখনও দাড়িয়ে আছে। বাড়ির ভেতরে ঢুকেও হঠাৎ ঝড়ের গতিতে মুহু দৌড়ে এসে অত্যন্ত লজ্জাজনক একটা কাজ করে আবার দৌড়ে পালালো। সারাফ গালে হাত দিয়ে হা করে তাকিয়ে রইলো।বাকরুদ্ধ সে।নিজেকে বাকহীন মনে হচ্ছে। হৃদস্পন্দন বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে বুকের ভেতর কেউ হাতুড়ি পিটাচ্ছে। সে আনমনে ঘোরের মধ্যেই বলে,

‘মুহু কি তাকে চু’মু খেলো! অবিশ্বাস্য!’

#চলবে

গোধুলীর শেষ প্রহরে পর্ব -১০

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here