গোধুলীর শেষ প্রহরে পর্ব -১০

#গোধুলীর_শেষ_প্রহরে
#পর্বঃ১০
#রাউফুন (ছদ্মনাম)

‘তুমি কি সব সময়ই নিজের কাছে এসব লংকা গুড়ো, কালি রেখে দাও নাকি?বাপরে আমায় চোখ টা জ্ব’লে যাচ্ছে।’

সারাফের কথায় রম্যতা খুঁজে পেলেও এই কথায় নিজের অপরাধ বোধ বাড়লো মুহুর।ইশ অন্য কে দিতে গিয়ে প্রিয় মানুষ টির চোখেও গেছে।শিশির কে লাগাতে গিয়ে ওর হাতের একটা আঙ্গুল তখন সারাফের চোখে ঢুকে গেছিলো।সে থেকে সারাফের চোখ জ্বলছে।সারাফ এতো কিছুর মধ্যেও হাসলো।তানহা হা করে তাকিয়ে আছে।চোখ থেকে পানি পরছে তার ঠোঁটে কি না হাসি।মুহু হাত টা ধুয়ে নিয়েছিলো প্রথমেই।তারপর ভালো ভাবে সারাফের কাধে হাত দিয়ে ওর চোখে পানি ছিটিয়ে দিয়েছে।

এখন আপাতত সারাফের চোখ জ্বলছে না।তবে এখনো লাল হয়ে আছে।সারাফ লক্ষ্য করলো মুহু তার অনেক টাই নিকটে।এতোটাই নিকটে যে ওর নিঃশ্বাসের শব্দ ওর কানে লাগছে।ওর চোখে ফু দেওয়ার সময় ওর মুখ থেকে নির্গত হওয়া গরম বাতাসে শিহরিত হচ্ছিলো সারাফ।নিজেকে সামলে দাঁড়িয়ে পরলো সে।এই মেয়ের কাছে আসলেই তার অন্য রকম অনুভূতি হয়।সে ভেবে পাই না এভাবে কেন বার বার এই মেয়েটার সঙ্গে দেখা হয়ে যায় তার।গতকাল মুহুদের বাড়িতে তারা সন্ধ্যা অব্দি থেকেই আবার ফিরে এসেছে।সাহিরা (মা) অপেক্ষা করছিলো নিজের বড় ভাগনিকে দেখবে বলে।কিন্তু না তা আর হলো না।তার সন্ধ্যার পর বাড়ির বাইরে থাকা নিষিদ্ধ।চাইলেও তিনি মিষ্টার শাহরিয়ার সাইফের কথা অমান্য করতে পারে না।

‘ফুলবাবু তোমার কি এখনো জ্বালা করছে?’

সারাফ সম্বিত ফিরে পেয়ে মুহুর দিকে তাকালো।ওর পাশেই দাঁড়িয়ে আছে আরেকটা মেয়ে।মেয়েটা এখনো কাচুমাচু করছে।হইতো ওর ভয় এখনো কাটেনি।অথচ দেখো এই মেয়েটার মধ্যে এখন ভয়ের ছাপ নেই।সে বিগলিত হাসলো!ফিচেল গলায় বলে,

‘না এখন আর জ্বলছে না।তবে ধানি লংকার ঝাঁঝ কি আর এতো সহজে যায়?’

‘স্যরি গো ফুলবাবু!তুমি আমাকে ক্ষমা করো আমি ভাবিনি যে ওই হট্টগোলের মধ্যে তোমারও লংকা গুড়ো লেগে যাবে!’

বলেই মুহু মাথা নত করলো।আরও এক ফালি হাসলো সারাফ।কি অমায়িক হাসি তার।সে তানহাকে উদ্যেশ্য করে মুহুকে বলে,

‘মুহু ও তোমার বান্ধবী ?’

‘হ্যাঁ ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড তানহা!’

‘ওই ছেলে গুলো তোমাদের কে ওইভাবে বিরক্ত করছিলো কেন?’

‘জানি না গো ফুলবাবু!তবে তানহাকে ওই ছেলেটা রেগে বলছিলো যে ‘সেদিন তোর ভাই না হয় তোকে বাচিঁয়ে ছিলো আজকে কে বাচাবে।’মনে হচ্ছিলো আগে থেকেই চেনে ওঁরা তানহাকে।’

সারাফ ভ্রুকুটি করে তাকালো তানহার দিকে।তার মানে এর আগেও মেয়েটিকে ডিস্টার্ব করেছে ছেলেটা।ওর ঘাবড়ানো মুখ দেখেই যা বুঝার বুঝে নিলো সারাফ।মুহুও তাকিয়ে আছে তানহার দিকে।কিছু তো একটা আড়াল করছেই তানহা।ওঁকে জানতেই হবে আসল ঘটনাটা ঠিক কি।

তানহার দৃষ্টি অগোছালো।সে এখন কি করবে।যদি কিছু জিজ্ঞেস করে কি বলবে ও।আজকে এই অবস্থার জন্য ও তো ওই দায়ী কিছু টা হলেও।এই জন্য,ঠিক এই কারনেই ও ভার্সিটিতে আসতে চাইনি।আজ যদি এই লোকটা না থাকতো কি হতো তাহলে।সে গম্ভীর মুখে বলে,

‘মুহু চল এখান থেকে।অনেক দেরি হয়ে গেছে এবার চল!’

মুহু এখন এই বিষয় টা নিয়ে আর কথা বাড়াতে চাইলো না।আজকে বুবুকে কথা গুলো বলতেই হবে।

‘ঠিক আছে চল এখান থেকে।ফুলবাবু তুমি সাবধানে যেও আমরা আসি।’

‘ওয়েট মুহু। তোমরা বললে না কিন্তু যে ওই ছেলে গুলোকে চেনো কি না?’

‘ফুলবাবু আমি তো চিনি না কিন্তু ওর কথা বলতে পারবো না।’

সারাফ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, ‘ওকে কিছু বলা লাগবে না।চলো তোমাদের এগিয়ে দিই!আমি এরপর তোমাদের একা ছাড়তে পারবো না।’

‘না আমরা যেতে পারবো।’

তানহা নিশ্চুপ।কোনো কথা নেই মুখে।চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে।তার এখন শুধু একটাই ধ্যান মুহু জিজ্ঞেস করলে কি করে বলবে সবটা।কিন্তু আজকের ঘটনার পর ও ঠিকই এই বিষয় টা নিয়ে ঘাটাবে।ও যা মেয়ে।

সারাফের জোরাজোরি তে আর নাকোচ করলো না মুহু।সারাফ সাইকেল টা গাড়ির ডিকি তে তুলে নিয়েছে ততক্ষণে।মুহু চাইলেও আর না করতে পারলো না।মন টা তার খারাপ লাগছে খুব।গাড়িতে কেউই কোনো কথা বলেনি।তবে সারাফের দৃষ্টি একটু পর পরই মুহুর দিকে চলে যাচ্ছিলো।সব সময় ই মুহুকেই দেখে যাচ্ছিলো।ছোট ছোট ঘাড় অব্দি চুল গুলো ঘামে লেপ্টে ছিলো তখন।কি যে মনোময়ী লাগছিলো মেয়েটিকে।তার একবার মনে হয়েছিলো মুহুকে বড় চুলে হইতো আরও বেশি সুন্দর দেখাবে।তানহাকে ওর বাড়িতে নামিয়ে দিলো ওর বাড়ির কাছে এসে।তানহা যাওয়ার আগে কোনো কথা বলেনি।ভেতরে চলে গেলো নির্বিঘ্নে।মুহু ওর যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইলো।এরপরে সারাফ মুহুকে জিজ্ঞেস করলো,

‘তোমার বান্ধবীর কাছে থেকে জেনে নিও সত্যিটা।ওঁকে দেখে আমার যা মনে হলো ও স্বাভাবিক নয়।’

‘তুমি চিন্তা করো না ফুলবাবু আমি ঠিক বুঝে নেবো ব্যাপার টা।’

‘দ্যাটস গুড।এরপর থেকে সাবধানে চলাফেরা করবে কেমন?’

‘ভাগ্যিস তুমি এসেছিলে না হলে কি হতো বলো তো!’

কথা বলতে বলতেই গাড়ি থামলো মুহুদের বাড়ির সামনে।মুহু গাড়ি থেকে নামতে নামতে বলে,

‘আজকের জন্য আসি।আবার দেখা হবে ফুলবাবু।’

‘অবশ্যই দেখা হবে।আমি চাই দেখা হোক।’

‘আর আমি সত্যিই স্যরি।আমি ইচ্ছে করে লংকা গুড়ো দেইনি তোমাকে।’

লংকা গুড়ো দাওনি তো যেনো একটা প্রান দিয়েছো।তোমার আমার ওতোটা কাছে আসা উচিত হয়নি।একদম উচিত হয়নি।তোমার নিঃশ্বাস নেওয়া।আমার কাধে হাত রাখা সবটা আমাকে ঘোরে ফেলে দিয়েছিলো কেমন যেনো।আমি ভুলবো না কোনো দিন এই দিন টাকে।তোমার দেওয়া এই ঝাঁঝে আমাকে আজ যেনো অন্য দিক থেকে মেরে দিয়েছো।মনে মনে কথা গুলো আওড়ালেও কথা গুলো জিবের ডগায় অব্দিই ঝুলে রইলো।সে সরস গলায় বলে,

‘তোমার এরকম ঝাঁঝে আমি মরতে চাই বার বার!এই ঝাঁঝেও যে এতো মিষ্টতা তা জানতাম না যে!’

সারাফ এই কথাটা কেন বললো জানা নেই।সে একটা চমৎকার হাসি উপহার দিয়ে চলে গেলো গাড়ির শাঁ শাঁ শব্দ তুলে।মুহু হতবুদ্ধির মতো রইলো।ওর চাহনীর মানে ছিলো অন্য।কি মানে এই চাহনীর।সে বিরবির করে বলে,

‘ফুলবাবু কি বোঝাতে চাইলো আমাকে?’

কুহু বাড়িতে এসেই গুমরে গুমরে মরে যাচ্ছিলো যেনো।ক্লান্ত শ্রান্ত মুখে বসে ছিলো।শাওয়ার নেওয়ার সময় ইচ্ছে মতো হাত টা সাবান পানিতে ডলে ধুয়েছে।ডলতে ডলতে হাতের বেহাল অবস্থা।শৈবালের স্পর্শ টা ওর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো অসহ্য যন্ত্রণা দিচ্ছে।তাকে ছোঁয়ার অধিকার একমাত্র তৌহিদের। তার ভালোবাসার।তাকে অন্য কেউ কেনো ছু্ঁবে।সে প্রথম স্পর্শ টা একমাত্র তৌহিদের থেকেই পেতে চাই।যে স্পর্শে থাকবে একরাশ ভালোবাসা আর ভালো লাগা।ভালোবাসায় মুড়ানো থাকবে, থাকবে পবিত্রতা!ঘন্টা খানেক শাওয়ার নেওয়ার পর বের হয় সে।দেখে মুহু চিতপাত হয়ে শুয়ে আছে।ক্লান্ত বিদ্ধস্ত চোখ মুখ।অন্য রকম লাগছে ওঁকে।চোখ বন্ধ দেখে কুহু ভাবলো হইতো মুহু ঘুমাচ্ছে।আস্তে করে বারান্দায় গিয়ে টাওয়াল টা মেলে দিলো।ঘরে এসেই দেখে মুহু উঠে বসেছে।কুহু ভ্রু সংকুচিত করে বলে,

‘কি হয়েছে মুহু?আজ তোকে এমন দেখাচ্ছে কেন?’

সে ছুটে গেলো বোনের কাছে।কোমড় জাপটে ধরে মুখ লুকালো ওর বুকে।একটু ঘাবড়ে গেলো কুহু এতে।সচরাচর বোন টা তার সঙ্গে ভালো ভাবে কথা বলে না।কেন বলে না সেটা ওর অজানা নয়।ওঁকে কড়াকড়ি ভাবে শাসন করে।সেদিন তো সে খুব শাস্তি দিয়েছে ভার্সিটি যায়নি বলে।আজ হঠাৎ এভাবে ওঁকে জাপটে ধরাই ভাবলো হইতো দুদিন কথা বলেনি তাই অভিমান গুলো কে কান্নার রুপ দিয়ে ঝড়াচ্ছে।মুহুর যখন খুব বেশি কষ্ট বা মন খারাপ থাকে তখন সে তাকে এইভাবে জড়িয়ে ধরে।কোনো কথা বলে না।কুহু পরম আদরে বোনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো।মুহু ফুপাচ্ছে আস্তে আস্তে।কান্নার স্বর অস্পষ্ট ভাবে কানে এলো কুহুর।আস্তে করে নরম গলায় শুধালো,

‘কি হয়েছে বোন?এমন করছিস কেন?’

সে ফুপিয়ে কেঁদে উঠে।হিচকি হিচকি তুলতে তুলতে বলে,

‘আজকে খুব বাজে ভাবে বিরক্ত করছিলো কয়েকটি ছেলে!আমি খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম সেসময়।আমাকে তো কম কিন্তু তানহাকে অনেক বেশি করেছে!’

বোনের কথায় কুহুর চোয়াল শক্ত হলো।রাগে হাত পা কাঁপছে।সে বোনের মুখ উঁচু করে ধরে দুই গালে হাত রেখে দাঁতে দাঁত চিপে বলে,

‘কে করেছে তুই চিনিস ওঁদের?’

‘না বুবু আমি ওঁদের কে চিনি না।মনে হলো আমাদের ভার্সিটির কোনো ব’খে যাওয়া ছেলে।তবে–‘

‘তবে কি মুহু?’

‘ওঁদের তানহা চেনে এটা আমি সিউর।’

এরপর আজকের সব ঘটনা সে খুলে বললো কুহুকে।কুহু শান্ত হয়ে শুনলেও ভেতর টা ছারখার হয়ে যাচ্ছে তার।সে বোনকে ফ্রেশ হতে বললো।আর বললো,

‘ওদের কে দেখলে চিনবি তুই?’

‘হ্যাঁ বুবু ওঁদের কে আমি চিনবো।ওই জঘন্য ছেলেদের কে আমি কি করে ভুলবো।ওরা শুধু আমাকে না আমার বেস্টুর গায়ে দিয়েছে।ওঁদের আমি শাস্তি পাইয়েই ছাড়বো।’

‘কিছুই করতে হবে না তোকে।তুই শুধু দেখিয়ে দিস আমাকে।’

‘ওকে বুবু।’

এদিকে তানহা এসেই ঘরের দরজা বন্ধ করে শুয়ে পরেছে।অনবরত কাঁপছে ওর শরীর।আর কত সহ্য করবে ও।নিজের শরীরের উপর ঘেন্না লাগছে।মাথার চুল টেনে ধরে কান্না করছে সে।থেকে থেকে ডুকরে উঠছে মেয়েটি।তার এই পবিত্র শরীরে কিছু জানুয়ারের স্পর্শ সে মানতে পারছে না।শেষ করে দিতে ইচ্ছে করছে নিজেকে।সিলিং ফ্যানের ক্যাচ ক্যাচ আওয়াজে বিরক্ত আরও বাড়ছে।ঘেমে একাকার।দম বন্ধ লাগছে।হৃদপিণ্ড উপরে বেরিয়ে আসার মতো কষ্ট হচ্ছে তার।সে উপরের দিকে তাকিয়ে কান্না জড়িত গলায় বলে,

‘আমাকে কেন রেখে গেলে একা করে বাবা-মা।এই, এই টুকু জীবনেই এতো বিতৃষ্ণা কেন?কেন জীবনের সাধ আমি নিতে পারছি না।জীবন নাকি খুব সুন্দর! কই আমার জীবন টাই তো বিষাদে বিষাদ ছেয়ে গেছে।আর যে আমি পারছি না।মনে হচ্ছে যেনো আজকেই এই জীবনের ইতি টেনে দিই।’

‘সব টা এতো সোজা নয় তানহা।জীবন টা সত্যিই সুন্দর।কিন্তু তোমার সুন্দর, তোমার সুখ, তোমার ভালো থাকা, অনেকের সহ্য হবে না।ছিনিয়ে নিতে চাইবে তোমার থেকে।কিন্তু মানুষ সবচেয়ে ধৈর্যশীল প্রানী তাই না।ধৈর্য ধরো একদিন এই সব টুকু বিষাদ মুছে যাবে।মানুষের সুখ দুঃখ মিলেই জীবন।এসবে মানিয়ে নিয়ে চলতে পারলেই তুমি এই পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারবে।’

তানহা চোখ তুলে তাকালো।দরজার কাছে কুহুকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেই অবাক হলো।

‘কুহু বুবু তুমি।’

‘হ্যাঁ আমি।তুমি কি জানো নরম মাটিতে মানুষ খা’ম’চি বেশি দেই?তোমায় প্রতিবাদ করতে শিখতে হবে।দেখবে তুমি সব জায়গায় নিজের অস্তিত্ব খুজে পাবে। চলতে পারবে মাথা উঁচু করে।নিজের পায়ের তলার মাটি যে তোমার নিজের সেটা ভুলে যাও কেন!এবার বলো তো ওই ছেলে গুলো কে চেনো কিভাবে।’

তানহা আর নিজেকে আটকাতে পারলো না।ভরসার জায়গা পেতেই ঝাঁপিয়ে পরলো সেখানে।কুহু ওঁকে আগলে নিলো।কাঁদতে কাঁদতে শুরু থেকে শেষ অব্দি বললো তানহা।কুহু শুনে কোনো রকম প্রতিক্রিয়া করে নি।শুধুই তানহা কে নিজের বুকে আগলে শান্তনা দিচ্ছে।কাঁদতে দিচ্ছে ওঁকে।

তৌহিদ ফিরেছে সব মাত্র।এরকম দৃশ্য দেখে সে থ মেরে দাঁড়িয়ে আছে।বোনের বিদ্ধস্ত চেহেরাটা ওর নজর এড়াইনি।কুহুকে দেখেই ওর রেস্টুরেন্টের ওই ঘটনার কথা মনে পরলো।সাথে সাথেই একরাশ ক্ষোভ বাসা বাধলো মনে।সে উচ্চ কন্ঠে বলে,

‘তানহা যাকে তাকে বাড়ির ভেতরে কেন ঢুকতে দিস হাহ্।’

পুরুষালি কন্ঠে থমকে গেলো দুজনেই।তানহা চোখের পানি মুছে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো।কিন্তু কুহুর মুখে হাসি ঝুলছে।তৌহিদ ওঁকে যা কিছুই বলুক না কেন সে এতে কিছুই মনে করবে না।আসবেই সে এখানে।সে প্রগাঢ় অভিলাষ গলায় বলে,

‘কিছুদিন পর আমি এই বাড়িতে পার্মানেন্ট ই থাকবো।তখন আমিও দেখবো কে আমাকে ‘যাকে তাকে’ বলে উপাখ্যান করে।’

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here