#গল্প – #এলি_ম্যান (১০ম/শেষ #পর্ব)
মিকি একবার সালাহউদ্দিন-এর দিকে তাকাল। আরেকবার তাকাল এলি-ম্যান এর দিকে। কিন্তু অদ্ভুত ভাবেই মিকি তাদের দু’জনকে অবাক করে দিয়ে দু’হাতে দুই পিস্তল তাক করে ধরল এলি-ম্যান এর দিকে। এলি-ম্যান-এর চোখ দু’টো বড় হয়ে গেল।
রোবটের এই কাজটা তার একদমই পছন্দ হলো না। সালাহউদ্দিন-এর দিকে তাকিয়ে চোখে ইশারা করে বুঝাল, ‘কী ব্যাপার? ‘
সালাহউদ্দিন হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে কথা বলতে লাগল মিকির সাথে।
‘ মিকি, প্লিজ ড্রপ ইউর গান। উনি আমার সাথে এসেছেন গুলি নামিয়ে ফেল। ‘
কিন্তু মিকি কিছুতেই পিস্তল নামিয়ে নিল না। বরং উল্টো বলতে লাগল,
‘ নো নো, ইট’স এন ওর্ডার ফ্রম মাই মাস্টার্স। ইট’স এন অর্ডার। ‘
সালাহউদ্দিন বুঝে গেল মিকির মধ্যে যেই কমান্ড দেওয়া আছে। সে ঐ কথার কোন লড়চড় করবে না। সে কিছুতেই পিস্তল নামাবে না। বরং নড়াচড়া করতে গেলে উল্টো গুলি করে দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই সে এলি-ম্যানকে দাঁড় করিয়ে রেখেই চলে গেল স্টিফেন সাহেবের কাছে। ওনাকে নিয়ে আসার সময়ে রাস্তাতেই বুঝিয়ে বলল যেন কোন উল্টা পাল্টা চিল্লাচিল্লি না করে।
স্টিফেন সাহেব বাইরে এসে এলি-ম্যান দিকে তাকিয়েই হটকিয়ে গেলেন। একদম থমকে গেলেন তিনি। হয়তো এমন কিছু দেখার জন্য উনি একদমই প্রস্তুত ছিল না। সালাহউদ্দিন আবারও স্টিফেন সাহেবকে তাগাদা দিতেই উনি মিকিকে পিস্তল নামিয়ে নিতে বলল। মিকি পিস্তল নামিয়ে সাইডে চলে গেল। সালাহউদ্দিন তাড়াতাড়ি নিজের রুমে নিয়ে চলল তাদের। স্টিফেন সাহেবকে তাদের পুরোপুরি প্ল্যানিংয়ের কথা বলল সে। স্টিফেন সাহেব সব কিছু শুনে বলল।
‘ ওহ্ এই ব্যাপার তবে, কোন সমস্যা নেই। আমিতো এটা কোন ভাবেই চাইব না যে কোন এক এলিয়েন সভ্যতা এসে আমাদের পৃথিবীর মানব বসতি। মানব সভ্যতা সংস্কৃতি ধংস করে দিক। আমি তোমাদের কোন বাঁধা দিব না। তোমরা তোমাদের কাজ করে যাও। আমি তোমার পরিচয় কারো কাছে দিব না। কখনও এই বিষয় নিয়ে আলোচনাও করব না। ‘
এলি-ম্যান যেন অনেক বড় ভরসা পেলো। উঠে স্টিফেন সাহেবের সামনে দাঁড়িয়ে মাথা নিচু করে সম্মান প্রদর্শন করল।
রাতে খাওয়ার সময় হয়ে এসেছে। খাওয়া শেষ করেই মিশনে রওনা হবে তারা। সালাহউদ্দিন এলি-ম্যান কে জিজ্ঞেস করল সে কি খেতে চায়। এলি-ম্যান আমতাআমতা করে বলল, ‘মাংশ আমাদের প্রধান খাবার তবে চকলেট অথবা আইসক্রিম খেতেও পছন্দ করি। এছাড়া অন্য কিছু খাই না। ‘
সালাহউদ্দিন মুচকি হাসি দিল। স্টিফেন সাহেব রুম ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন মিকিকে অর্ডার করলেন আইসক্রিম আর চকলেট এনে দেওয়ার জন্য। মিকি বাড়ির বাইরের দোকান থেকে সব নিয়ে এসে সালাহউদ্দিন এর কাছে দিল। সালাহউদ্দিন সে গুলো হতে নিয়ে বলল তার জন্যই খাবারের ব্যবস্থা করতে।
.
.
.
দু’জন দ্রুত খাওয়া শেষ করে ভিতরের রুমে গেল। রুম জুড়ে সালাহউদ্দিন-এর অস্ত্র আর বিভিন্ন যন্ত্রপাতি পরে আছে। সেগুলো একটু গুছিয়ে নিয়ে অস্ত্র গুলো নিজের কাছে নিয়ে নিল। তীরের বক্সটাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া ছিল সেটা খুলে নিল। তীরের বক্সটা পিঠে ভালো ভাবে বেঁধে পিস্তলেও বুলেট লোড করে নিল। তারপর একসাথে রওনা হলো দু’জন। রুম থেকে বের হওয়ার সময়ে সালাহউদ্দিন তার লাল আলোর টার্গেট লাইটটা সাথে নিল। সিসি টিভির নজর ফাঁকি দিতে লেজার লাইটের ভূমিকা অনেক। বাড়ি থেকে বের হতেই মেইন রোডের বাম পাশে সিসি টিভি। সালাহউদ্দিন আগেই নিজের লেজার লাইট অন করে রাখল। ক্যামেরার সীমানার ভেতরে ঢুকার আগেই সালাহউদ্দিন লাইট টা একদম ক্যামেরার মাঝখানে ধরে রাখল। তারপর দ্রুত ক্যামেরার নির্দিষ্ট এলাকা থেকে বের হয়ে গেল।
.
.
.
রাস্তার প্রতিটি ক্যামেরাকে এভাবে ফাঁকি দিয়ে গেল তারা দু’জন। এলি-ম্যান এসব দেখে মুচকি হাসে আর ভাবতে থাকে, ‘এজন্যই বুঝি মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব, এদের বুদ্ধির তুলনা হয় না।’
প্রায় বিশ মিনিট হাঁটার পরে তারা রাস্তা ছেড়ে একটা জঙ্গলে প্রবেশ করল। রাস্তার আশে পাশে ঘন জঙ্গলের জন্য প্রসিদ্ধ আমেরিকা। তাদের রাস্তা যেমন অনেক জায়গা নিয়ে বিস্তৃত। ঠিক তেমনই অনেক জায়গায় রাস্তার পাশেই বিশাল জঙ্গল। এলি-ম্যান তার সবুজ চোখে সব স্পষ্ট দেখতে পায়। সব সময় সালাহউদ্দিন তাকে অনুসরণ করে এগিয়ে যায়। কিন্তু আজকে সে আর সেটা করে না। বরং চোখে একটা কালো চশমা লাগিয়ে নেয়। বিশেষ ধরনের পদার্থের সাথে কাঁচের মিশ্রণে তৈরি এই নাইট ভিসন চশমা। যদিও এই নাইট ভিসনের ব্যবহার আরো আগে থেকেই মোবাইলের ক্যামেরায় হয়ে আসছে। তবে চশমা হিসেবে মাত্র কয়েক বছর হলো। সাধারণত এগুলো ব্যবহার করে আর্মিরা।
এই চশমা পরতেই সালাহউদ্দিন অনেকটা পরিষ্কার দেখতে পায়। অন্ধকারে মধ্যেও সে এখন দিনের মতো হাঁটতে থাকে। প্রায় আধাঘন্টার পথ পাড়ি দেওয়ার পরে এলি-ম্যান সালাহউদ্দিনকে থামতে বলে। সামান্য একটু দুরে থাকা ভাঙা দেয়াল দেখিয়ে বলে,
‘ এই দেয়ালেও ওপারেই পরিত্যক্ত একটা বাড়ি আছে। এই বাড়িকেই এখন তারা নিজেদের আবকাশ যাপনের জন্য ব্যবহার করছে। তাদেরকে ধরতে হলে আমাদের এই দেয়াল টপকে পিছন দিক থেকে আক্রমণ করতে হবে। ‘
সালাহউদ্দিন মাথা ঝাঁকিয়ে বলল, ‘ ইয়েস, বুঝতে পেরেছি আমি। এরকম বহু মিশনে যাওয়ার রেকর্ড আছে আমার। আমাকে সিস্টেম শিখাতে হবে না। শুধু বলুন তাদের আক্রমণের স্বভাব কি! ‘
‘ আক্রমণের স্বভাব বলতে?
‘ মানুষ হঠাৎ শত্রু দেখলে সবাইকে ডেকে একসাথে আক্রমণ করে। রোবট শত্রু দেখলে কাউকে কিছু বলে না সরাসরি নিজে এসে আক্রমণ করে বসে। আর কুকুর শত্রু দেখলে শব্দ করে মালিককে জানায়। এখন ব্যাপার হলো আপনার স্বজাতির আক্রমণের স্বভাব কি এই ধরনের কিছু?’
‘ না না, তারা সবাই নিজেদের স্বয়ং সম্পূর্ণ মনে করে। শত্রুদের একাই আক্রমণ করে বসে। কিন্তু পরাজিত হতে থাকলে তখন সহযোগীদের জানায়। আমাদের চিৎকারের আওয়াজ অনেক দুর পর্যন্ত যায়। ‘
‘ হয়েছে এতেই চলবে। আর কিছু জানার প্রয়োজন নেই। আমি প্রথমত পিছন থেকে গুলি করব। আজকের গুলিতে থাকা সুঁইয়ের ভিতরে ড্রপিন আছে। এতে অজ্ঞান হয়ে গেলে তো ভালো। আর যদি না হয় তবে তীরের ব্যবহার। ‘
এলি-ম্যান সম্মতি জানাল।
আগে ড্রপিন এর ব্যাপারে কিছু বলে নিই। সাধারণত বন্য প্রাণীকে অবশ করে চিকিৎসা করার জন্য এটা ব্যবহার করা হয়। বড় বড় সব জন্তুর জন্য এটা ব্যবহার করা হয়। তাই এই কেমিক্যাল ব্যবহারের কথা সব সময়ই মাথায় থাকে সালাহউদ্দিন-এর।
.
লেখকের iD- #সালাহউদ্দিন_তারিক (salahuddin.tarik)
.
সালাহউদ্দিনকে কাঁধে তুলে নিয়ে এক লাফে দেয়াল পেরিয়ে গেল এলি-ম্যান। মিনিট খানেক হেঁটে বিল্ডিংয়ের কাছে পৌঁছাল তারা। ভাঙা বাড়ি। কোন দিকে দেয়াল আছে কোনদিকে নেই। সালাহউদ্দিন-এর ধনুক পিঠে ঝুলানো আছে। হাতে ছোট পিস্তল শক্ত হাতে পিস্তল ধরে বিল্ডিংয়ে প্রবেশ করল সে। অন্ধকার বিল্ডিংয়ে ঝাপসা ঝাপসা দেখছে সে। আর এলি-ম্যান সব স্পষ্ট ভাবে দেখে দ্রুত এগিয়ে চলেছে। কিছুদূর যেতেই একটা ছায়া দেখা গেল। সালাহউদ্দিন পিস্তল তাক করে সোজা সেদিকে যেতে লাগল।
এলি-ম্যানকে ইশারা দিয়ে অন্য দিকে সরিয়ে দিল। দু’জন দুই দিন দিয়ে এগিয়ে চলতে লাগল সামনের দিকে। অবশেষে সালাহউদ্দিন শত্রু পক্ষের একজনই দেখতে পেল। পিলারের আড়ালে লুকিয়ে খুব দ্রুত পরপর দুটা গুলি করল সে। শত্রু পক্ষের এলি-ম্যান এর গায়ে লাগতেই সে দাঁড়িয়ে গেল। তারপর ক্ষত স্থানের দিকে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ। তারপরেই অবশ হয়ে গেল তার সারা শরীর ধপাস করে একদিকে কাত হয়ে পরে গেল সে।
পাশের একটা কাঠের বক্স টাইপের কিছু একটা উপরে পরতেই করমর করে একটা শব্দ হল। শব্দ শুনে অপরিচিত চারজন শত্রু এসে হাজির হয় সেখানে। চার পাশে খুঁজতে থাকে কেন এমনটা হল। অবশেষে তাদের প্রখর দৃষ্টি পর সালাহউদ্দিন এর উপরে। একজন আস্তে আস্তে এগিয়ে আসতে লাগল তার দিকে। সালাহউদ্দিনও আর দেরি না করে পরপর দুইটা গুলি করল। মুহুর্তের মধ্যেই অবশ হয়ে ফ্লোরে পরে গেল সে।
সহযোগীর এই অবস্থা দেখে অন্য একজন দৌড়ে আসতে লাগল সালাহউদ্দিন-এর দিকে। সালাহউদ্দিন পিস্তল তোলার আগেই সে সামনে চলে এল। কিন্তু সালাহউদ্দিনকে টাচ করার আগেই এলি-ম্যান তাকে লাথি মেরে দুরে ফেলে দিল। নিজেই সালাহউদ্দিন এর সামনে এসে দেয়ালের মতো দাঁড়িয়ে গেল। আর রাগে গরগর করতে করতে বলল,
‘ তোদের অনেক কিছু সহ্য করেছি। আজ পর্যন্ত কোন প্রতিবাদ করিনি। কিন্তু আমি আগে আগেই বলে দিচ্ছি আজ। ইভানাকে কে মেরেছিস? সাহস থাকে তো বল ইভানাকে কে মেরেছিস…..’
এলি-ম্যানের কথা শেষ হওয়ার আগেই লাথি খেয়ে দুরে ছিটকে যাওয়া লোকটি উঠে এস আক্রমণ করে এলি-ম্যান এর উপরে। শুরু হয়ে যায় দু’জনের ধস্তাধস্তি। সালাহউদ্দিন সুযোগে শত্রু পক্ষের শরীরে আরো দুইটা বুলেট মেরে দেয়। অবশ হয়ে যেতে থাকে সে। বাকি দু’জন এবার দৌড়ে আসতে থাকে সালাহউদ্দিন এর দিকে। সালাহউদ্দিন ও উল্টো দিকে দৌড়ে যায়। পিস্তলের বুলেট শেষ হয়ে গেছে। তাই পিস্তল ফেলে ধনুকটা খুলে নেয় পিঠ থেকে। তীর লাগিয়ে তাক করে দুই জনের দিকে। দুইজন দুইপাশ আলাদা হয়ে যায়। সালাহউদ্দিন থেমে তীর ছুঁড়ে দেয় এক জনের বুকে। ঘন্টায় ৭০ কিলোমিটার গতিতে তীর লাগে তার বুকে। ২৪০ ভোল্ট বিদ্যুৎয়ের ধাক্কায় ছিটকে একপাশে পরে যায় সে। আর অন্য জন এক লাফে এসে সালাহউদ্দিনকে ধরে ফেলে। মাথা কাত করে নিজের লম্বা জিভ বের করে সালাহউদ্দিন-এর গাল আর কপাল চাটতে থাকে। আস্তে আস্তে জিভটা বড় করে সালাহউদ্দিন-এর মুখটা পেঁচিয়ে ধরে মুখের ভিতরে টানতে থাকে। সালাহউদ্দিন নিজের সর্বশক্তিতে মাথা পিছনের দিকে ঠেলে রাখে, কিছুতেই এই অদ্ভুত প্রাণীর মুখের ভেতরে মাথা নিতে দিবে না সে।
অপর দিকে বিদ্যুৎয়ের শক খেয়ে ছিটকে পরে থাকা লোকটাকে গলা টিপে ধরে উঠায় এলি-ম্যান শেষ বারের মতো জিজ্ঞেস করে ইভানাকে কে খুন করেছে।
লোকটা কোন রকমে ইশারা করে দেখায় সালাহউদ্দিনকে জিভ দিয়ে পেঁচিয়ে রাখা লোকটিকে। আর সাথে সাথেই এলি-ম্যান তার ঘাড় মটকে দিল । তারপর লাথি মেরে ফেলে দিয়ে দ্রুত দৌড়ে আসে ইভানার খুনির দিকে।
অদ্ভুত লোকটি তখনও সালাহউদ্দিন-এর মুখ পেঁচিয়ে রেখেছে তার ধারালো সূচালো জিভ দিয়ে। এলি-ম্যান পিছন থেকে এসে টেনে ধরে তার জিভ। হো হো করে হাসতে হাসতে বলে।
‘ তুই আমার ইভানাকে মেরেছিস। আবার আমারই পরিচয়ে? এই ইভানা মরার আগে আমার কথা বলেছিল না? কি বলছিলরে?’
এলি-ম্যান এর কথার কোন জবাব দেয় না তার প্রতিপক্ষ। এলি-ম্যানও আর কোন কথা বাড়ায় না। তার জিভ টেনে বের করে নিয়ে আসে ভিতর থেকে। গলা কাঁটা মুরগীর মতো কাতরাতে থাকে সে। মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে আঠালো সবুজ পদার্থ। এলি-ম্যান মুখ বাঁকা করে হাসতে থাকে সেদিকে তাকিয়ে। প্রেয়সীর খুনিকে শাস্তি দিয়ে হয়তো পরিতৃপ্ত হয়েছে সে।
এলি-ম্যান এর চোখ বেয়ে জল পড়তে থাকে। এই জল বিষন্নতার না খুশির। তা সালাহউদ্দিন বুঝতে পারে না। এলি-ম্যান ক্লান্ত পায়ে হাসতে থাকে সামনের দিলে। অবশ হয়ে পরে থাকা বাকি ৩ জনকেও একই ভাবে খুন করে সে। টেনে ছিঁড়ে ফেলে তাদের জিভ।
অতঃপর হাঁটতে হাঁটতে দোতলায় উঠে যায়। সালাহউদ্দিনও পিছন পিছন সেখানে উঠে দেখতে পায় ছোট একটা ঘর। ভিতরে একটা মানুষ খুব দ্রুত কিছু কাগজ গোছাচ্ছিল। এলি-ম্যানকে দেখেই সে ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে যায়। দ্রুত একটা বড় বক্স খোলে সে। বক্সের ভিতর থেকে কালো, গোলাপি, আর বেগুনি আলো আসছে। আর ভিতরে যেন ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাচ্ছে। এলি-ম্যান দ্রুত ঘরে ঢুকার চেষ্টা করতেই লোকটি লাফ দিয়ে বক্সে ঢুকে যায়। আর সাথে সাথে সেই আলোর ঘূর্ণিঝড়ের ভিতরে হারিয়ে যায় সে। এলি-ম্যানও তাড়াতাড়ি তাকে ধরার জন্য লাফ দেয়। কিন্তু আর নাগাল পায় না সে। আলোর ঘূর্ণির মাঝে হারিয়ে যায় সেও।
সালাহউদ্দিন তাদের খুঁজে না পেয়ে সেখানে যায়। কাছে গিয়ে ভালো করে খোঁজ করার আগেই উধাও হয়ে যায় আলো। হারিয়ে যায় সেই বিশাল বক্স। যেন মুহুর্তের মাঝেই উধাও হয়ে যায় সেটা। সালাহউদ্দিন বিষয়টি তেমন ভালো করে বুঝে না। তবে এটা যে অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি সেটা সে ভালোই বুঝতে পারে।
পুরো ঘর সার্চ করে কিছু কাগজ পায় সে। যেগুলোতে বেশ কিছু মেয়ের পরিচয় লেখা আছে। যেই মেয়ে গুলো অনেকদিন আগেই হারিয়েছে। তবে কি এরাই নিঁখোজ করেছে তাদের? হতেই পারে। হয়তো কোন একদিন এসবের পিছনের রহস্যও সবার সামনে আসবে।
.
.
.
সালাহউদ্দিন এর পকেটে মোবাইল ফোন বেজে উঠে। সে স্ক্রিনে নাম দেখে দ্রুত কল রিসিভ করে। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, ‘সরি পাগলিটা। সারাদিন খুব ঝামেলায় ছিলাম তাই কল দিতে পারিনি। তবে সুখবর হলো ঝামেলা শেষ হয়েছে। খুব শিগগিরই তোমার সাথে দেখা হচ্ছে। ‘
ফোনের ওপাশে অপরিচিতার মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠে। কতদিন পর আবার প্রিয় মানুষটার দেখা পাবে সে।
— সমাপ্ত —
© #লেখক – সালাহউদ্দিন তারিক ( জুনিয়র মুগলি )
.
#