Love With Dragon part -10

#Love_With_Dragon
#Episode_10
[✖️গল্পটি কাল্পনিক দয়া করে কেউ বাস্তব এর সাথে তুলনা করবেন না✖️]

দুজন ড্রাগন রাজ্য আসলো।ড্রাগন রাজ্য থেকে প্রায় একশো হাত দূরে তারা দুজন দাঁড়িয়ে আছে। কাছাকাছি গেলে সমস্যা হবে তাই নীল রাজ্য থেকে দূরে থাকলো।
রিদিয়ার মুখ হা হয়ে গেল এত সুন্দর রাজ্য দেখে।

— আমার স্বপ্নের থেকেও রাজ্যটা আরো সুন্দর নীল।আমি তো চোখ সরাতেই পারছি না।আর চারপাশে কত সুন্দর সুন্দর ড্রাগন। আমি যে কি বলে প্রসংশা করবো বুঝতে পারছি না। (নীল)

— তুই যে কাজে এসেছিস ওই কাজে মন দে। এইসবের সৌন্দর্যে পরে থাকলে তোর কার্য সম্পন্ন হবে না।(নীল)

রিদিয়াকে ড্রাগন রাজ্যে রেখে নীল চলে গেল।

রিদিয়া দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবছে কিভাবে গেইট পেরিয়ে ভিতরে যাবে।
দুজন ড্রাগন গেইটে দাঁড়িয়ে আছে।

— কি করে সামনে এগোই এখন এমনভাবে গেইট পাহারা দিচ্ছে ভিতরে যাওয়ার কোনো রাস্তা পাচ্ছি না।(রিদিয়া)

রিদিয়া মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে।
হঠাৎ করে রিদিয়ার হাতের আংটিটা জ্বলজ্বল করতে শুরু করলো। রিদিয়া আংটিটার দিকে তাকিয়ে অবাক হলো।
রিদিয়া আংটিটার দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,,

— হঠাৎ তোর আবার কি হলো…. (রিদিয়া)
রিদিয়া কথা শেষ করতেই আংটিটার থেকে কন্ঠ ভেসে আসলো,,,,,

— তুই সামনে এগিয়ে চল তোকে কেউ দেখবে না আমি তোকে অদৃশ্য করে রেখেছি। (ম্যাজিকেল আংটি)

রিদিয়া অবাক হয়ে আংটির দিকে তাকিয়ে আছে।

— এ…..এইসব কি হচ্ছে। আংটির ভিতর থেকে কে কথা বলছে।(রিদিয়া)

— কেউ কথা বলছে না আমি কথা বলছি। আমি সাধারণ আংটি না আমি ম্যাজিকেল আংটি।তোকে পরে সব বলবো এখন রাজ্যে প্রবেশ করতে হবে।(ম্যাজিকেল আংটি)

রিদিয়া ধীর পায়ে সামনে এগোচ্ছে। গেইটের সামনে আসতেই রিদিয়া দাঁড়িয়ে গেল।

— কিরে পুচকি দাঁড়িয়ে গেলি কেন।ড্রাগন কিং আর মাস্টারের সামনে পরলে ধরা পরে যাবি।এই দু’জন তোকে দেখতে পাবে না।(ম্যাজিকেল আংটি)

রিদিয়ার কেন জানি বিশ্বাস হচ্ছে না সে অদৃশ্য হয়ে আছে। রিদিয়া যে অদৃশ্য সেটা পরীক্ষা করার জন্য গেইটে দাঁড়িয়ে থাকা একজন ড্রাগনের সামনে দাঁড়ালো।

— এই পুচকি এইসব কি করছিস তুই।(ম্যাজিকেল আংটি)

— চুপচাপ দেখে যাও মিট্টু…….. (রিদিয়া)

— মিট্টুটা আবার কে……(ম্যাজিকেল আংটি)

— কে আবার তুমি।আমি তোমার নাম দিয়েছি।(রিদিয়া)

— এই কিছুসময়ের মধ্যে আমার নামকরণ করে ফেললি।(ম্যাজিকেল আংটি)

রিদিয়া মিট্টুকে(আংটিকে) কিছু না বলে ড্রাগনটার হাতে থাকা জাদু দন্ডটা ধরলো।জাদু দন্ডটা ধরতেই রিদিয়া আহ্ বলে উঠলো।

— গিল্টু তুই কি কোনো মেয়ের কন্ঠ শুনতে পেলি।

— কই না তো বিন্টু আমি তো কারো গলার আওয়াজ শুনতে পাইনি।(গিল্টু)

— আমার কেন জানি মনে হলো কেউ কথা বললো।আর আমার দন্ডটা কেমন নড়েচড়ে উঠলো। (বিন্টু)

— কিছুই হয়নি চুপচাপ দাঁড়িয়ে পাহারা দে মাস্টার দেখলে বা জানতে পারলে অনেক সমস্যা হবে।কাজ থেকে ও বাদ দিয়ে দিতে পারে।(গিল্টু)

গিল্টুর কথায় বিন্টু আর কিছু না বলে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকলো।

— হাতের কি হাল করেছিস পুচকি আমি তোকে মানা করেছিলাম উল্টাপাল্টা কিছু না করতে।(ম্যাজিকেল আংটি)

— আমি কি জানি নাকি এমন কিছু হবে।অনেক জ্বলছে হাত😕….(রিদিয়া)

আংটিটার ভিতর থেকে হলুদ রশ্মি বের হয়ে রিদিয়ার হাতে এসে পরলো।সাথে সাথে রিদিয়ার হাতের ক্ষত ভালো হয়ে গেল।

— বাহ্ মিট্টু দারুণ তোহ্। কিহ্ তাড়াতাড়ি আমার হাতের ক্ষত ভালো হয়ে গেল।ধন্যবাদ মিট্টু…..(রিদিয়া)

— এবার ভিতর প্রবেশ কর পুচকি আর কোনো ঝামেলা বাঁধাবি না।(ম্যাজিকেল আংটি)

— ঠিক আছে ☹️….।(রিদিয়া)

রিদিয়া প্রাসাদের ভিতরে পা রাখতেই মনে কেমন ভয় লাগা শুরু করলো। রিদিয়া দু’হাত সামনে এসেই দাঁড়িয়ে পরলো।

— কি হলো আবার তোর আবার কি কান্ড করতে চাইছিস।তোর মা-বোনের কথা মনে আছে তো আদোও….. (ম্যাজিকেল আংটি)

মা- বোনের কথা কানে আসতেই রিদিয়া দ্রুত পা চালিয়ে প্রাসাদে ঢুকে গেল।

প্রাসাদে ডুকতেই রিদিয়ার চোখ পড়ল বাম পাশের দেয়ালে টাঙানো বড় একটা ছবির ওপর।ছবিটি দেখেই রিদিয়া যেন আকাশ থেকে পরলো।

— এ….এই মিট্টু দ…..দেখ..(রিদিয়া)

— কি হলো পুচকি কি দেখবো..(ম্যাজিকেল আংটি)

— আমার মায়ের মতো দেখতে হুবহু একটা ছবি দেয়ালে টাঙানো… (রিদিয়া)

— তুই এইসব দেখা বাদ দে।একরকম দেখতে কি একজনই হয়…. (ম্যাজিকেল আংটি)

মিট্টু কথার মাঝে রিদিয়া বলে,,,

— হ্যাঁ এইটা ঠিক বলেছ।কিন্তু আমার কেমন জানি সবকিছু রহস্য লাগছে।ওইদিন তো……(রিদিয়া)

— চল আমাদের ম্যাজিকেল হোয়াইট রোজ খুঁজে বের করতে হবে এখানে সময় নষ্ট করলে হবে না। পাঁচ দিন সময় আমাদের হাতে এর আগে হোয়াইট রোজ নিয়ে যেতে হবে। (ম্যাজিকেল আংটি)

— ঠিক আছে চলো।(রিদিয়া)

রিদিয়া সামনে এগোচ্ছে যেতে যেতে অদৃশ্য অবস্থায় আচমকা কারো সাথে ধাক্কা খেলো।

— আ….হ্ কোন জানোয়াররে দেখে চলতে পারিস না আমার কোমরটা গেল রে…(রিদিয়া)

রিদিয়া ভুলবশত রাহুলের সাথে ধাক্কা খেলো।

— এইটা কি করলি তুই পুচকি কথা কেন বললি। এখন কি করি আমি।ড্রাগন রাজার ছোট ভাই নে ভালো ভাবে ফেঁসে গেলি তুই।(ম্যাজিকেল আংটি)

মিট্টুর কথায় রিদিয়া হুঁশে এলো।

— আয় হায় এখন কি হবে।ছোট রাজা কি আমায় মেরে
ফেলবে….🤕…। (রাহুল)

— কে এইখানে সামনে আসো লুকিয়ে কতক্ষণ থাকবে আমি ঠিক বাহির করে ফেলব।(রাহুল)

রাহুলের কথা শুনে রিদিয়া চোখ বড় বড় করে রাহুলের দিকে তাকিয়ে আছে।

রাহুল মনে মনে একটা স্পেল পড়লো।সাথে সাথে তার হাতে তলোয়ার চলে আসল।
রিদিয়া রাহুলের হাতে হঠাৎ তলোয়ার দেখতে পেয়ে ভয় পেয়ে গেল।

— এই পুচকি দৌঁড়া বসে আছিস কেন…(ম্যাজিকেল আংটি)

— আমার কোমর ভেঙে গেছে কিভাবে কি করবো☹️….(রিদিয়া)

— তুই ভুল জায়গায় সব অঘটন করে বসিস তোকে দিয়ে যে কি হবে……(ম্যাজিকেল আংটি)

মিট্টু কিছু করার আগেই রাহুল তার ম্যাজিকেল তলোয়ারের সাহায্যে রিদিয়াকে পেয়ে গেল।অদৃশ্য বন্ধন থেকে সামনে চলে আসলো রিদিয়া।
রিদিয়াকে দেখে রাহুলের মাথায় বাজ পরলো।

— তুমি…. তুমি এইখানে কি করছো রিদিয়া। কিভাবে আসলে আর কে নিয়ে আসলো তোমায় এখানে।তোমার জন্য ক্ষতিকর এই পরিবেশটা।চল আমার সাথে এখনই তোমায় বাড়ি দিয়ে আসব।(রাহুল)

রাহুল কিছুটা রেগে রিদিয়ার হাত ধরে গেইটের কাছে নিয়ে যেতে লাগলো।

চলবে………
#লেখনীতে__ফিহা
[❌কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ❌]
_______________________

[বানানে ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here