#ঝিলের_ওপারে_পদ্মফুল
তন্বী ইসলাম -০৪
“পদ্মফুল…
ডাকটা যেনো পদ্ম’র কলিজায় স্পর্শ করলো। খানিক সময়ের জন্য সবকিছু ভুলে গেলো পদ্ম। শ্রাবণের বাহুডোরেই সে দাঁড়িয়ে রইলো একইভাবে। হঠাৎ সে বাস্তবে ফিরে এলো। তারাহুরো করে শ্রাবণের হাতের বাধন থেকে মুক্ত হয়ে কয়কে পা পিছনে গেলো। শ্রাবণের দিকে ফিরে তাকাতেই শ্রাবণ সেই ভুবন ভুলানো হাসিটা দিলো, পদ্ম আবারও সে হাসিতে ঘায়েল হতে থাকলো। কিছুটা সময় নিরবে কাটিয়ে পদ্ম নরম গলায় বললো
“শ্রাবণ ভাই।
“ভয় পেয়েছিলি?
পদ্ম মৃদু হেসে বললো
“হুম।
শ্রাবণ আবারও মুচকি হাসলো। পদ্ম বললো
“তুমি আমারে এইভাবে ধরলা কেন শ্রাবণ ভাই?
“তোর ভালো লাগেনি পদ্ম?
পদ্ম এবার কিছুটা লজ্জাবোধ করলো। সত্যি বলতে তার ভালোই লেগেছে শ্রাবণের বাহুডোরে থাকতে। কিন্তু এটা বলবে কি করে সে!
শ্রাবণ আবারও বললো
“কি’রে পদ্মফুল, কিছু বলিস না কেন?
পদ্ম চোখ তুলে তাকালো শ্রাবণের দিকে। চাঁদের আবছা আলোয় শ্রাবণ ভাইয়ের মুখটা এতটাই মায়াময় দেখাচ্ছে যে পদ্ম’র ইচ্ছে করছে এক নজরে তাকিয়েই থাকুক সেই মুখশ্রীর পানে।
শ্রাবণও পদ্ম’কে দেখছে। দুজন যেনো দুজনের মধ্যে নেই। ভালোবাসি না বলেও যেনো দুজন দুজনার ভালোবাসার মধ্যেই ডুবছে। হঠাৎ আলেয়ার ডাকে ঘোর ভাংলো পদ্ম’র। চমকে উঠলো শ্রাবণও। এই বুঝি চাচী সবটা দেখে নিয়েছে। ভেতর ঘর থেকে আলেয়া বলছে
“কি রে পদ্ম, তোর কি হাটাহাটি শেষ হয় নাই? পড়বি কি রাইত শেষ হইলে?
পদ্ম শ্রাবণ ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে মৃদুস্বরে বললো
“আম্মা ডাকে শ্রাবণ ভাই, আমি গেলাম।
শ্রাবণ কিছু বলবে তার সুযোগ টাও পেলো না। পদ্ম এক দৌড়ে চলে গেলো ঘরে।
শাপলা মনোযোগ দিয়ে তার পড়া কমপ্লিট করছে। পদ্ম সেদিকে নজর না দিয়ে বিছানায় গিয়ে উপুর হয়ে শুয়ে পরলো ঠিক শাপলার সামনেই। ঘন ঘন নিশ্বাস নিচ্ছে সে। শাপলা আঁড়চোখে তাকালো বোনের দিকে। বোনের বিহেভিয়ার অদ্ভুত লাগছে তার কাছে। ওদিকে আলেয়া এখনো সমানে পদ্ম’কে উদ্দেশ্য করে কথা বলেই যাচ্ছে৷ পদ্ম’র কোনো হুশ নেই সেদিকে। বোনের এমন অবস্থা আর মায়ের বেগতিক মেজাজ দেখে শাপলা মুখ খুললো।
মাকে উদ্দেশ্য করে বললো
“আম্মা, পদ্ম তো ঘরেই আছে সেই কখন থেকে৷
“ঘরে আছে তয় পড়ার শব্দ কই?
“অংক করতেছে পদ্ম।
“ওহ। তয় তোর বোইনের মুখে কথা নাই কেন? একবার কইলেই তো হইতো।
শাপলা মৃদু হাসলো। ওপাশ থেকে আলেয়া আর কিছু বললো না।
পদ্ম এখনো স্বপ্নের জগতে বিচরন করছে। শাপলা বোনের মাথায় একটা চাপড় দিলো। বেশ ঘাবড়ে গেলো পদ্ম, চটজলদি করে উঠে বসে ভুত দেখার মতো বোনের দিকে তাকালো। আমতা-আমতা করে বললো
“আমার মাথায় টুকা কে দিলো আপা?
“আমি দিছি।
শাপলার কথা শুনে খানিক রেগে গেলো পদ্ম। কপালে ভাজ এনে চোখমুখ ফুলিয়ে বেশ রাগী গলায় ফিসফিস করে বললো
”কেন? কি করছি আমি?
“কি করিস নাই সেটা বল।
পদ্ম আবারও রাগী গলায় বললো
“তুই আমারে মারলি তো, দাঁড়া আমি আম্মারে ডাক দিতাছি।
শাপলা হেসে বললো
“আম্মা যখন শুনবে তুই পড়া বাদ দিয়া এতক্ষন বাইরে ছিলি আর বাইরে থেকে এসেও পড়া রেখে শুয়ে শুয়ে স্বপ্ন দেখছিলি, তখন মাইর টা কার পিঠে পরবে সেটার হিসেব করে তারপর ডাকিস।
শাপলার কথা শোনে পদ্ম’র মুখটা চুপসে গেলো এবার। বাধ্য মেয়ের মতো বইটা হাতে নিয়ে বইয়ের পাতা খুলতে লাগলো সে। শাপলা কিছুটা সময় এক নাগারে বোনের পা থেকে মাথা পর্যন্ত পরখ করলো। এরপর পদ্ম’র হাত থেকে বইটা খপ করে নিয়ে গেলো। আবারও রাগীচোখে বোনের দিকে তাকালো পদ্ম। এবার খানিক চেচিয়ে বললো
“আমার বই নিলি কেন?
পদ্ম’র এমন চিৎকারে শাপলা নিজেই আঁতকে উঠল। ধীর গলায় বোনকে মিনতি করে বললো
“আস্তে কথা বল পদ্ম, আম্মা জাগলে দুইজনেরই খবর আছে।
পদ্ম গলা নামিয়ে ফিসফিস করে বললো
“তুই আমার বই নিলি কেন?
“তুই কারে নিয়া স্বপ্ন দেখছিলি এতক্ষণ?
পদ্ম’র মনে পরে গেলো শ্রাবণ সাথে কাটানো সেই সময়টার কথা। মনে হতেই আবারও লজ্জা পেয়ে গেলো পদ্ম। ঠোঁটের কোনে লাজুক হাসির রেশ ফুটে উঠলো। শাপলা বুঝতে পারলো তার সন্দেহটাই ঠিক। বোন তার প্রেমে পরেছে, তবে কার প্রেমে পরেছে এখন সেটাই জানার বিষয়। শাপলা বোনের মাথায় আবারও চাপড় দিয়ে বললো
“কারে নিয়া স্বপ্ন দেখিস পদ্ম?
বার বার মাথায় চর খাওয়ায় এবারে বেশ রেগে গেলো পদ্ম। বোনের দিকে তেড়ে এসো অত্যন্ত চাপাস্বরে বললো
“আমি কারো প্রেমে টেমে পরি নাই, আরেকবার যদি আমার মাথায় চর দেস তাইলে কিন্তু তোর জামাই রেই আমি নিয়া যামু, আর তার সাথেই প্রেম করমু।
শাপলা হাসলো, বললো
“যে আমার জামাই হবে, সে তোর দিকে চাইয়াও দেখবে না।
পদ্ম দুষ্টুমি করে খানিক মন খারাপের ভান ধরলো। বললো
“হ, তা তো কইবিই। তুই বিশ্বসুন্দরী কিনা।
বোনের কথায় আবারও হাসলো শাপলা। এরপর সমস্ত দুষ্টুমি বাদ দিয়ে পড়ায় মন দিলো।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে দু’বোন। আলেয়া বেগম আরো আগেও উঠে গেছে। মেয়েরা স্কুল কলেজে যাবে যে কারণে উনি চুলায় রান্না চাপিয়েছে। শাপলা তার ক্লাসের পড়াগুলোতে আরেকবার চোখ বুলাচ্ছে। ইংরেজি ম্যাম অনেক কড়া, পড়া না পাড়লে ক্লাসভর্তি ছাত্রছাত্রীদের সামনে যা তা বলে অপমান করেন উনি। গতকাল তানির কাছ থেকে বিশেষ করে ইংরেজি ম্যামের পড়াটা সে জেনে এসেছিলো।
সকালের খাওয়া সেড়ে কলেজে যাবার পথে তানিকে ডেকে নিয়ে যায় শাপলা। এটা রোজকারের অভ্যাস তার। দুই বান্ধবী একসাথে মিলে কলেজে যাওয়া আসা করে। মাঝে মধ্যে তারা রিক্সা কিংবা অটোতে করেও যায়, তবে বেশির ভাগই দু বান্ধবী একসাথে গল্প করতে করতে হেঁটে হেঁটে চলে যায়। আজো ব্যাতিক্রম নয়, হেঁটেই যাচ্ছে তারা। ওরা যখন মাটির রাস্তা ছেড়ে ঢালাই করা রাস্তায় উঠছিলো তখন মোড়ে কয়েকটা ছেলেপেলে বসে আড্ডা দিচ্ছিলো। ছেলেগুলো তানি আর শাপলাদের দেখে যা তা উল্টাপাল্টা কথা বলছিলো আর শিষ দিচ্ছিলো। মুলত তানি নয়, শাপলাই ছিলো তাদের টার্গেট। ওকে ইশারা করেই ছেলেরা টিটকারি করছিল। টার্গেট শাপলা হওনার কারণ ওর চোখ ধাধানো সৌন্দর্য। শাপলার চুল যে শুধু লম্বা আর ঘন তা নয়, রুপেও সে অন্যান্য রুপসীদের চাইতে এক ধাপ এগিয়ে। দেহের গড়ন, লম্বা, চওড়া, গায়ের রঙ সবদিক থেকেই সে পার্ফেক্ট। এতকিছুর মাঝে চুলের সৌন্দর্য টা যেনো আল্লাহর তরফ থেকে আলাদা করে পাওয়া বোনাস। ওর সৌন্দর্যের কথা বলতে গেলে ওর ছোট বোন পদ্ম’ও এতটা সৌন্দর্য পায় নি। না পেয়েছে ওর মতো গায়ের রঙ, আর না পেয়েছে চোখ ধাধানো সৌন্দর্য। তবে পদ্ম’র চেহারাতেও বিশেষ একটা মায়া আছে, যেটা সবার চেহারায় থাকে না।
শাপলা মাথা নিচু করে চুপটি করে এগিয়ে যাচ্ছিলো সামনে। ছেলেগুলোর চোখের আড়াল হতে পারলেই যেনো সে বাঁচে। তবে এতো এতো ছেলের মাঝে সবাই যে তাকে নিয়ে বাজে ইঙ্গিতই করছিলো তা নয়, তাদের সকলের মাঝে একজন ছিলো, যে শাপলাকে মুগ্ধ নয়নে দেখছিলো, শাপলার অপরুপ মায়াবী সৌন্দর্যে সে হারিয়ে যাচ্ছিলো। যদিও সেটা সম্পুর্ণই শাপলার দৃষ্টির আড়ালে।
টেবিলের উপর থেকে গুণে গুনে সাত’টা বই নিলো পদ্ম। সেগুলোকে ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে পরক্ষণে খাতা কলমও ঢুকিয়ে নিলো। সপ্তাহের ছ’দিন সাতটা করে ক্লাস হয়। টিফিনের আগে চারটা, আর টিফিনের পরে তিনটা। গুনে গুনে সবগুলো বই-ই সে ক্লাসে নিয়ে যায়। যদিও ব্যাগ ভারী হয়ে যাওয়ায় এটা বইতে কষ্ট হয়, তবে অন্যের আশায় বই না নিয়ে চলে যাওয়াটা পদ্ম’র যেনো ধাতে নেই। গায়ে স্কুলের ইউনিফর্ম পরে ব্যাগটা কাধের একপাশে ঝুলিয়ে হেলতে দুলতে বেরিয়ে পরে পদ্ম। যেতে যেতে মাকে উদ্দেশ্য করে বলে
“আম্মা আমি গেলাম।
রান্নাঘরের এক পাশে কিছু শিমের বিচি বুনেছিলেন আলেয়া বেগম। শিম বিচি থেকে চারাও গজিয়েছে। চারা গুলো দ্রুতই উপরের দিকে উঠছে, এখন যদি উপরে মাচা দিয়ে দেওয়া না হয় তবে গাছগুলো সুন্দর ভাবে উপরে উঠবেও না, তাতে ফলনও ভালো হবে না। আলেয়া বেগম শিমের গাছগুলোর জন্য মাচা তৈরি করছিলেন। মেয়েকে স্কুলে যেতে দেখে তিনি বললেন
“সাবধানে যাইস মা।
তিনি আবারও মাচাতে মন দিতে গিয়েও কি যেনো মনে করে থেমে গেলেন। পদ্ম’কে ডেকে বললেন
“দাঁড়া পদ্ম।
পদ্ম থামলো। মায়ের দিকে ফিরে বললো
“কি?
আলেয়া বেগম মেয়ের দিকে এগিয়ে আসলেন। আচলের মাথা দিয়ে নিজের ঘামে ভেজা মুখটা মুছতে মুছতে বললেন
“তোর বাপ নাই পদ্ম, অনেক কষ্টে লেখাপড়া করাইতাছি। আমার কষ্টের মান রাখিস মা। রাস্তাঘাটে চলবি, চলার পথে পেছন থেকে অনেক কুত্তাই ঘেউ ঘেউ করবো, তোরে সামনে আগাইতে বাধা দিবো। সেদিকে মন দিবি না, সোজা সামনে হাঁটবি। যদি কুত্তার ঘেউ ঘেউ শুইনা থাইমা যাস, মনে করবি জীবন তোর এইখানেই শেষ।
পদ্ম অবাক হলো মায়ের কথায়। বিশেষত মায়ের বলা কথাগুলো তার বোধগম্য হলো না। সে মাকে বিস্ময় নিয়ে বললো
“কি কও মা?
“যা কইছি মাথায় রাখবি।
পদ্ম মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জানান দিলো, যদিও সে কথার আগামাথা কিছুই বুঝে নি।
একা একাই স্কুলের দিকে যাচ্ছে পদ্ম। হেঁটে যেতে প্রায় পনেরো থেকে বিশ মিনিটের মতো সময় লাগে। বাড়ি থেকে কিছুটা দুরে যেতেই পেছন থেকে একটা ডাক কানে এলো পদ্ম’র
“পদ্মফুল..
ডাকটা কানে আসতেই দাঁড়িয়ে গেলো পদ্ম। পেছনের ঘুরে তাকাতেই দেখতে পেলো তার থেকে কয়েক গজ দূরে শ্রাবণ ভাই দাঁড়িয়ে আছে। পদ্ম’র মুখে হাসি ফুটলো। সে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে লাগলো শ্রাবণ ভাইয়ের আসা পর্যন্ত। একমত দৌড়ানোর মতো করে এগিয়ে এলো শ্রাবণ। পদ্ম’র কাছাকাছি এসে হাসিমুখে বললো
“স্কুলে যাচ্ছিস?
“আর কই যামু। স্কুলের তো যাই।
শ্রাবণ হাসলো। পদ্ম’ হাঁটা ধরলো এবার। পদ্ম’র সাথে সাথে শ্রাবণও হাটছে। কিছুটা রাস্তা এগিয়ে যেতেই শ্রাবণ খেয়াল করলো পদ্ম’র ভারী ব্যাগটা। সে আশ্চর্য হয়ে পদ্মকে বললো
“পদ্মফুল, তুই এতো ভারী ব্যাগ নিয়েছিস কেন?
পদ্ম হেসে বললো
“ব্যাগটা ভারী না শ্রাবণ ভাই, বইগুলার কারণেই ভারী হইছে।
“সে’তো বুঝতেই পারছি। দে ব্যাগটা আমার হাতে দে।
পদ্ম দাঁড়িয়ে পরলো নিজ যায়গায়। বললো
“কেন?
“তোর কষ্ট হচ্ছে তো পদ্মফুল। আজ নাহয় আমিই তোকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে আসি।
পদ্ম কিছুক্ষণ কি যেনো ভাবলো। ঠোঁটের কোনো হাসি ফুটলো তার। তবে হাসিটাকে আড়াল করে সে বললো
“হোক কষ্ট, এ কষ্ট তেমন কিছু না। আমি প্রতিদিনই এ কষ্ট করি। একদিন তুমি নিয়া গেলে এমন কি আর হইবো।
শ্রাবণ কোনো উত্তর না দিয়ে পদ্ম’র হাত থেকে একমত ছিনিয়ে নিলো ব্যাগটা। পদ্মের দিকে গভীর চাহনিতে তাকিয়ে ভারী গলায় বললো
“অন্যদিন তো আমি থাকিনা রে পদ্মফুল । আজ আছি, চোখের সামনে তোকে কষ্ট পেতে দেখি কি করে। তোর হয়ে সামান্য কষ্ট নাহয় আজ আমিই করি।
দুজনে আবারও হাঁটা ধরলো। পদ্ম’র ঠোটে দুষ্ট হাসি। চাহনিতেও দুষ্টুমির ভাব। সে শ্রাবণের দিকে তাকালো। শ্রাবণ বললো
“কি দেখিস এমন করে?
“তোমারে দেখি শ্রাবণ ভাই৷
শ্রাবণ আবারও দাড়ালো। পদ্মের মুখোমুখি হয়ে মৃদু গলায় বললো
“আমাকে দেখিস! তা কি দেখিস আমার মাঝে?
“দেখতেছি তুমি কত বুড়ো হইয়ে যাইতাছো শ্রাবণ ভাই।
শ্রাবণ কপাল কুচকালো, কথাটা তেমন ভালো লাগলো না তার কাছে। ভ্রু বাকিয়ে বললো
“আমি বুড়ো হয়ে যাচ্ছি?
পদ্ম আবারও দুষ্টু হেসে বললো
“তা নয়তো কি! মায়ের মুখে শুনছি, আমি হওয়ার পর নাকি তুমি আমারে কোলে নিছো। কোলে কইরা এ বাড়ি ও বাড়ি, এ পাড়া ও পাড়া ঘুরছো। সেই আমিই এখন বড় হইয়া গেছি। মা কয়, আমারে বিয়া দিলে নাকি এতদিনে সাতটার মা হইতাম, আমি যদি এই বয়সে সাতটার মা হইতাম, তাইলে সময়মত বিয়া করলে তুমিও তো কয়েক হালি ছেলেপুলের বাপ হইতা।
চলবে…..
গ্রুপ লিংক : “তন্বী’র উপন্যাসমহল”- Tanni Islam✍️