#এক_মুঠো_কাঁচের_চুরি
#পর্ব_২৬
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu
ফজরের আজান কানে আসতে-ই প্রতিদিনের মতো আজকে-ও তানহার ঘুম ভেঙে গেল।শীতের সকাল,কম্বলের আয়েশ থেকে উঠতেই ইচ্ছে করে না।ইফাদের সাথে গল্প করতে করতে কখন যে,ঘুমিয়ে পড়েছে।তা’ জানা নেই তানহার।ইফাদ কপালে হাত রেখে নরম কণ্ঠে বলল।
–আজান দিয়েছে।উঠুন,উঠে অজু করে চাচার সাথে মসজিদে যাবেন।ইফাদ তানহার এক হাত জড়িয়ে ধরে শুইয়ে রইল।
–তারমানে আপনি জেগে আছেন।তবুও উঠছেন না।
–আগে উঠে গেলে,বউয়ের এত ভালোবাসা পেতাম।তুমি করে না বললে উঠবো না।
–ইফাদ সোনা পাখি আমার উঠো।লক্ষি ছেলের মতো নামাজ পড়ে আসো।আর আমার জন্য আল্লাহর রহমত নিয়ে আসো।
তানহার কথা শুনে ইফাদ উঠে বসলো।তানহার দিকে তাকিয়ে মুখ এক হাতে দিয়ে বলল।
–এভাবে কেউ বলে,আমার বুঝি শরম লাগে না।
–আপনি তো’ না মানে তুমি তো বললে,তোমাকে তুমি করে বলতে।
–তুমি করে বলতে বলেছি।শরম দিতে বলি নাই।
–শরম আলা বর আমার,এবার উঠুন অজু করে চাচার সাথে মসজিদে যাবেন।
–কোথায় গিয়ে অজু করবো।দেখিয়ে দিবে না।
–আমার সাথে চলুন।আমি দেখিয়ে দিচ্ছি।
–এটা কিন্তু ঠিক না তুমি বলার পরে আপনি করে বলছো।
–এতদিনের অভ্যাস একদিনে যাবে।আস্তে আস্তে আপনি থেকে তুমি হয়ে যাবে।আমি চেষ্টা করবো।তোমাকে তুমি করে বলার।এবার খুশি।
–হুম বউজান অনেক খুশি।আমার মতো এত লক্ষি বউ যেনো,আল্লাহ প্রতিটি ঘরে ঘরে দেয়।তাহলে সংসার আল্লাহর রহমত ঢেলে ঢেলে পড়বে।
তানহা কলপাড়ে গিয়ে দেখলো মাহতাব সাহেব অজু করছেন।অজু শেষ করে।তানহাদের দেখে ইফাদকে বলল।
–বাবা মসজিদে যাবে না।
–জ্বী চাচা যাব।আপনার সাথে যাব জন্য অজু করতে এসেছি।
–আমি আবার বাসা থেকে অজু করে যাই।
–আমি’ও বাসা থেকেই অজু করে যাই চাচা।
–তুমি অজু করে নাও।
ইফাদ কোনো কথা না বলে,অজু করে মাহতাব সাহেবের সাথে বেড়িয়ে গেল।তানহা অজু করে এসে রুমে নামাজ পড়ে নিল।নামাজ শেষ করে,কিছুক্ষণ কোরআন তেলওয়াত করল।কোরআন পড়া শেষ হলে,তা যত্ন সহকারে তুলে রাখলো।এত সকালে কেউ উঠে নাই।পুরো বাড়ি একদম নিস্তব্ধ হয়ে আছে।তানহা আবার শুইয়ে পড়ল।
ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে চারিদিকে,মাহতাব সাহেব আর ইফাদ গল্প করতে করতে রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসছে।চারদিকে কুয়াশায় সাদা হয়ে আছে।অন্য দিনের তুলনায় আজকে একটু বেশি কুয়াশা পড়েছে।বাসার কাছে আসতে-ই কয়টা শিউলি ফুল ইফাদের চোখে পড়ল।ইফাদ ফুল অনুসরণ করে গাছ পর্যন্ত পৌঁছে গেল।
–শিউলি ফুল আমার তানহা খুব পছন্দ করে।গাছটা নিজ হাতে কিনে নিয়ে এসেছিল।চাচির থেকে অনুমতি নিয়ে ফুলের বাগান করেছিল।আরো বাহারি রকমের ফুলের গাছ ছিল।সব বাচ্চারা নষ্ট করে ফেলছে।তানহা নেই,কে যত্ন করবে বাগানের,এই শিউলি ফুলের গাছটাই অবশিষ্ট আছে।তা-ও তোমার চাচি বলেছিল।কেটে দেওয়ার জন্য,আমি রেখে দিয়েছি।তানহা দেখলে মন খারাপ করবে।
মাহতাব সাহেবের কথা শুনতে শুনতে বেশ কয়েকটি ফুল কুড়িয়ে নিল ইফাদ।
–তুমি ফুল কি করবে বাবা।একটু পরে দেখবে পারার বাচ্চারা এসে কাড়াকাড়ি করে ফুল গুলো কুড়িয়ে নিয়ে যাবে।
–অনেক সুন্দর লাগছে চাচা।তাই কয়টা হাতে তুলে নিলাম।বলেই দু’জন বাসার মধ্যে প্রবেশ করল।তানহা শুইয়ে ছিল।কখন যে,দু-চোখের পাতা এক হয়ে গিয়েছে।তা’ জানা নেই।ইফাদ রুমে এসে,মাথা থেকে টুপি খুলে ব্যাগের মধ্যে রাখলো।
–মহারাণী ঠান্ডার মধ্যে আমাকে তুলে দিয়ে,নিজে আরামে ঘুমোচ্ছে।দাঁড়াও তোমার ঘুৃম বের করছি।বলেই তানহার পায়ের কাছে গিয়ে সুড়সুড়ি দিতে লাগলো।তানহার পায়ে এমনিতেই অনেক সুড়সুড়ি,ইফাদ পায়ে সুড়সুড়ি দেওয়াতে ধড়ফড়িয়ে উঠে বসলো তানহা।জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে,ঘুমের মধ্যে আচমকা সুড়সুড়ি দেওয়াতে বেশ ভয় পেয়েছে।তা’ তানহার মুখ দেখেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
–ভয় পেয়েছো।
–আপনি যেদিন ঘুমাবেন।সেদিন গায়ে পানি ঢেলে দিয়ে বলবো।আপনি রাগ করেছেন।
–হ্যাঁ করেছি।আবার আপনি করে বললে।তানহা ইফাদের কথার কোনো উওর দিল না।অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে।তানহাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ইফাদ বলল।
–প্লিজ আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে থেকো না।আমার শরম লাগে।ইফাদের কথা শুনে হেসে দিল।মানুষটার মুখে সব সময় শরম লেগেই থাকে।
–কখন আসলে মসজিদ থেকে।
–এখনই এসেছি।দাঁড়াও তোমার জন্য একটা জিনিস এনেছি।বলেই ফুলগুলো এনে,তানহার হাতে দিল।
–শিউলি ফুল আপনি কোথায় পেলেন।জানেন শিউলি ফুল আমার অনেক পছন্দের,আমার শিউলি ফুলের গাছ-ও আছে।
–শিউলি ফুল পেয়ে এত খুশি।চলো তাহলে তোমার আরেকটা ইচ্ছে পূর্ণ করে দেই।
–কি ইচ্ছে?
–বিছানা থেকে নেমে আসো।ইফাদের কথা মতো তানহা নিচে নেমে আসলো।কালো রংয়ের চাদরটা বের করে তানহার শরীর মুড়িয়ে দিল ইফাদ।তারপরে তানহার হাত ধরে বাসার বাহিরে নিয়ে আসলো।
–আপনার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।এই কুয়াশার মধ্যে একটা কাকা পাখিও বের হয় না।আপনি বাহিরে কি করতে এসেছেন।
–বউয়ের ইচ্ছে পূর্ণ করতে এসেছি।তুমি তো বলেছিলে,আমার সাথে কুয়াশার মধ্যে হাত হাত রেখে হাটার খুব ইচ্ছা।আজ দিগুণ কুয়াশা পড়ায় কেউ কম্বলের আরাম রেখে উঠবে না।আজকে আমরা দু’জন পুরো কুয়াশার সকালটা অনুভব করবো।
–আপনার মনেই আছে।
–আমি কি দশটা বউ যে,মনে থাকবে না।
–কি বললেন।
–তুমি কথায় কথায় খালি আমার ওপরে রেগে যাও কেনো?
–আমার কি দশটা স্বামী।যে,আমি তাদের ওপরে রাগ করবো।
–কি বললে,
–তুমি রাগ করছো কেনো?
–কপি বাই ইফাদ।
–জ্বী না তুমি আমাকে বললে,আমি কেনো রাগ করি।তাই তোমাকে আমার রাগ করার অনুভূতিটা’কে অনুভব করালাম।
বলেই দু’জন হাঁটতে শুরু করলো।পাশাপাশি দু’জন হাত ধরে হাঁটছে।চারিদিকে কুয়াশা আর কুয়াশা।দূরের কিছু দেখা যাচ্ছে না।ইফাদ আর তানহা দু’জন দুজনের দিকে তাকিয়ে হেসে দিল।
–জানো ছোট বেলায় কয়টা অপরাধ করেছি।আমার পাঁচজন সই ছিল।ওদের বাসায় ছাগল পালন করতো।বিকালে সবাই মিলে বিলের মধ্যে ঘাস কাটতে যেত।আমার সাথে খেলার মতো কেউ ছিল না।তাই আমি ওদের সাথে গিয়ে বসে থাকতাম।বিলের শেষ মাথায় বড়োই গাছ ছিল।সেখানে শত শত খেজুরের গাছ ছিল।শীত কাল আসলে,খেজুরের গাছ থেকে রস হয়।রস থেকে গুর হয়।এসব আমরা নিজ চোখে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছি।একদিন সবাই মিলে বড়োই পেরে নিয়ে বিলের মধ্যে দিয়ে কি যে,দৌড়ে দিয়েছি।ভাবছি এই বুঝি মালিক এসে ধরে নিয়ে যাবে।একদিন সবাই মিলে ঠিক করলাম খেজুরের রস চুরি করে খাব।যেই ভাবা সেই কাজ।পরের দিন সবাই মিলে চলে গেলাম বিলে,আছরের আজান দিয়েছে।সবাই নামাজ পড়তে চলে গেল।দু-একজন ছিল।তারা দূরে ছিল।সবাই চলে যেতেই পাঁচজন মিলে,খেজুর বাগানের ওপরে হামলা দিলাম।পাঁচজন পাঁচটা গাছে উঠে রসে হাঁড়ি থেকে হাত দিয়ে রস বের করে খাচ্ছিলাম।হাত দিয়ে খেতে পারছিলাম না জন্য।হাড়ি গাছের নিচে নামিয়ে নিয়ে খেতে লাগছি।আর গাছ আলা এসে বলছে।
–ঐ কিডা রে রস চুরি করে খাচ্ছে ধর।
ওরে ভাই আমরা কি দৌড় টাই না দিয়ে ছিলাম।যে,যেদিকে পারছে ঘাস ফেলাই দিয়ে দৌড় দিয়েছে।পাঁচজন পাঁচ দিকে চলে গিয়ে ছিলাম।ভয়ে বিলের শেষ মাথায় কখনো আর যায় নাই।মনে ভয় ছিল,গেলেই আমাদের আঁটকে রাখবে।আর বাসায় আসতে দিবে না।
তানহার কথা শুনে ইফাদ হাসতে হাসতে নিচে বসে পড়েছে।শেষে কি না রস চুন্নিকে বিয়ে করলাম।
–আপনি হাসছেন।অনেক ছোট ছিলাম।জান হাতে নিয়ে সেদিন দৌড়ে পালিয়ে ছিলাম।বেশিদূরে না।সামনেই বাগান।যাবেন আজকেও রস চুরি করে খাব।
ইফাদ হাসি থামিয়ে গম্ভীর কণ্ঠে বলল।
–একদম না।চুরি করা মহাপাপ।তুমি নামাজ পড়।কতকিছু জানো।এমন অন্যায় আবদার করো কিভাবে।
–চুরি করবো না।আমরা গিয়ে খাব।তারপরে মামাকে টাকা দিয়ে দিব।তাহলে হবে।
–হ্যাঁ হবে চলো।
দু’জন মিলে খেজুর বাগানের মধ্যে আসলো।চারিদিকে বিশাল বিশাল গাছ।প্রতিটি গাছে হাড়ি লাগানো।তানহা একটা ছোট গাছে দেখিয়ে বলল।
–তুমি এই গাছে উঠো।
–আগে মালিককে ডেকে নিয়ে আসো।
–তুমি না পারলে আমাকে বলো।আমি উঠছি গাছে।বলেই গাছের দিকে এগিয়ে গেল তানহা।
–পড়ে যাবে।আমি উঠছি।তুমি মালিকে ডেকে নিয়ে আসো।বলতে বলতে ইফাত গাছে উঠলো।পায়ে একটু ব্যথা পেল।তানহাকে বুঝতে দিল না।রসের হাঁড়ি পেরে নিয়ে এসে,তানহার হাতে দিয়ে বলল।
–তোমার মামা কই।
–ঐ কিডারে রস চুরি করতে আইছে।আজকে হাত-পা বাইন্ধা রাখমু।মেলা অত্যাচার সহ্য করছি।আজকা মালিক যদও বাগান ঘিরা না দেয়।তাইলে এই বাগান আমি রাখমু না।
–ইফাদ পালাও রাম দা নিয়ে আসছে মামা।বলেই তানহা দৌড়ে দিল।ইফাদও বোকার মতো তানহা পেছনে ছুটলো।অর্ধেক রাস্তায় এসে ধপাস করে পরে গেল ইফাদ।কিছু পড়ার শব্দ পেয়ে তানহা পেছনে তাকালো।ঘুরে এসে ইফাদকে টেনে তুলল।ব্যথা পায়ে আবার-ও ব্যথা পেয়েছে ইফাদ।ঠিকমতো হাঁটতেই পারছে না।তানহা অসহায় দৃষ্টিতে ইফাদের দিকে তাকিয়ে।ইফাদ রাগী দৃষ্টিতে তানহার দিকে তাকিয়ে আছে।লোকটি কাছে এসে বলল।
–কি রে তুই তানহা না।এইডা কেডা।তোর জামাই।তুই জামাই নিয়ে আমার বাগানে চুরি করতে আইছু।
–না না মামা আপনি ভুল বুঝছেন।এই দেখুন টাকা।আমরা কিনে খেতে এসে ছিলাম।আপনার হাতে দা দেখে ভয়ে দৌড়ে দিয়েছি।
–আমাক না কইয়া তুই গাছে হাত দিলু কোন সাহসে।আমার কাছে গেলেই তো পাইরি দিলামনি।না কইয়া পারছু এখন দুইশো টেকা না দিলে যেতে দিব না।তোকে আর তোর জামাইকে বাইন্ধা রাখমু।
–তাহলে বিশ গ্লাস রস দাও।
–যে,রসের হাঁড়ি পারছু ওটা নিয়ে আর টেকা দিয়ে ভালোই ভালোই বাড়িত চলে যা।
–এক হাঁড়ি রসের দাম এত টাকা হয় নাকি।
–টেকা না দিলে আমি’ও যাইতে দিমু না।
–এই নিন মামা আপনার টাকা।লোকটি টাকা পেয়ে খুশি হয়ে চলে গেল।
–আপনি ওনাকে এত টাকা দিলেন কেনো?এক হাঁড়ি রসের দাম কোনোদিন এত টাকা হয়।
ইফাদ রাগী দৃষ্টিতে তানহার দিকে তাকালো।তানহা বাংলার পাঁচের মতো মুখ করে,রসের হাঁড়ি দিকে একবার তাকাচ্ছে।আরেকবার ইফাদের দিকে তাকাচ্ছে।ইফাদ ঠিকমতো হাঁটতেও পারছে না।খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটছে।তানহা দু’হাতে রসের হাঁড়ি ধরে আছে।ইফাদ তানহার ঘাড়ে হাত রেখে আস্তে আস্তে হাঁটছে।কেউ কোনো কথা বলছে না।ইফাদ যে,রেগে গিয়েছে।তানহা ভালো করেই বুঝতে পারছে।অনেক সময় নিয়ে বাসায় আসলো দু’জন।বাকি রাস্তায় কেউ কোনো কথা বলে নাই।তানহা বাসায় এসে,ইফাদের জন্য তেল গরম করে নিয়ে আসলো।ইফাদের পা কোলের মধ্যে তুলে নিল।তেল নিয়ে পায়ে দিয়ে দিতে লাগলো।
–কি করছো টা কি।
–আমার জন্য আপনি ব্যথা পেয়েছেন।তাই একটু সেবা করছি।
–এসব লাগবে না।তুমি নিয়ে যাও।
–আমার ওপরে রাগ করেছেন।এই তেলটা অনেক ভালো।পায়ে দিয়ে দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে আরাম পাবেন।
–আমাকে মিথ্যা বলে নিয়ে গেলে কেনো?
–এবারের মতো মাফ করে দেন।আর কখনো এমন করবো না প্রমিস।ইফাদ কিছু বলল না।তানহার দেওয়া তেলটা সত্যি অনেক ভালো।কিছুক্ষণের মধ্যে অর্ধেক ব্যথা কমে গিয়েছে।
সারাদিন পেরিয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেছে।ইফাদ সকালে খেয়ে মাহতাব সাহেবের সাথে বেড়িয়েছে।এখনো ফিরে নাই।দুপুরে খেয়েছে কি না।ভেবেই চিন্তা হচ্ছে।তানহা ব্যাগ থেকে ফোন বের করতে গিয়ে,একটা কাগজ সামনে আসলো।কাগজটা দেখে অধরের কোণে হাসির রেখা ফুটে উঠলো।কাগজটি হাতে নিয়ে কিছু একটা ভাবছিল।তখনই আবির তানহার রুমে আসে।
–কি রে তানহু পাখি আসবো।
–আমার স্বামী আমার রুমে নেই।তাই এখন আমার রুমে না আসাই ভালো।
–ভয় নেই।ইফাদ তোকে ভুল বুঝে এমন কোনো কাজ আমি করবো না।আমি কি জন্য এসেছি।সেটা তুইও ভালো করেই জানিস।কথা কম বলে কাগজটা আমার হাতে দিয়ে দে।
–কিসের কাগজ ভাইয়া।
–তানহা একদম নাটক করবি না।আমি চৈতালিকে ফোন দিয়ে ছিলাম।চৈতালি বলেছে কাজগটা তুই নিয়েছিস।
তানহা মুখ দিয়ে চুকচুক শব্দ করে বলল।
–মানুষের জিনিসের প্রতি তোমার এত লোভ কেনো?তোমার মনের আশা কখনো পূর্ণ হবে না।
–তানহা ভালোই ভালোই আমার কথা শোন বলছি।তা-না হলে ফলাফল ভালো হবে না।বলে দিলাম।
–তুমি যা ইচ্ছে খুশি করে নাও।সাইন আমি কিছুতেই করবো না।আর কাগজটাও তুমি আমার থেকে পাবে না।তুমি বেড়িয়ে যাবে।নাকি আমি চাচিকে ডাকবো।
আবির রাগ দেখিয়ে চলে গেল।তানহা দীর্ঘশ্বাস ফেলে শাশুড়ীকে কল দিল।শাশুড়ীর সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে রেখে দিল।ইফাদের জন্য অপেক্ষা করছে।কিন্তু ইফাদের আসার নামে কোনো নাম নেই।পরক্ষনে মনে হলো আবির চৈতালির সাথে আবার যোগাযোগ করেছে।তানহা রেগে রুম থেকে বেড়িয়ে,আবিরের রুমের দিকে গেল।
চলবে…..