#আমার_অভিমান_তোমাকে_নিয়ে(11)
এতো এতো চিন্তায় মাঝে নিজের চুল নিজেরই ছিঁ*ড়তে ইচ্ছে করছে অরুনিকার। এই ছেলেটা কি একটুও শান্তি দেবেনা তাকে? আর কীভাবে অস্বাভাবিক করতে চায় সে?
বিকালে কলেজ থেকে বেরিয়ে সামনেই আদাভানকে বাইকে দেখতে পায়। তবে সে যে কারোর জন্য অপেক্ষায় ছিলোনা এটা স্পষ্ট করার জন্য দূর থেকে অরুনিকাকে আসতে দেখেই বাইক স্টার্ট দিয়ে বেরিয়ে পড়ে। আদাভানের কর্মকাণ্ডে আপনাআপনি মুখটা হা হয়ে যায় অরুনিকার। তাও ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে একটা রিক্সা করে বাড়ী ফিরে আসে।
“কিরে অরু মা তুই একা একা এলি যে আদাভান কোথায়? কোনো কাজে আটকে গেছে নাকি?”
আদাভানের আম্মুর কথা শুনে শূন্য চোখে তাকালো তার দিকে অরুনিকা। কি বলবে তাকে কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেনা সে। সে যে যাওয়ার সময় আদাভানের সাথে যায়নি আর আসার সময় তাকে নেওয়া হয়নি, এসব তো তাদের ব্যাক্তিগত কথা। এগুলো কি ওনাকে বলা ঠিক হবে? উনি যদি কিছু মনে করেন এসবে তখন! এমনিতেই বাবা মার কথা প্রতি মুহুর্তেই মনে পড়ে তার। কিন্তু যেভাবে হোক আগে তাদেরকে সবটা বোঝাতে হবে। তার আগে এই বাড়ির কারোর মনে কোনোরকম কষ্ট দিতে চায়না সে। এই বাড়ী ছাড়া আর তো কোথাও যাওয়ার নেই এখন তার। এসব ভাবতে ভাবতেই হাতে টান অনুভব করে অরুনিকা। চোখটাও ভীষণ জ্ব*লছে তার।
“অ্যান্টি আসলে ওনার কোনো দরকারি কাজ পড়ে গেছে তাই আমাকে চলে আসতে বললো।”
“ছেলেটাও যে কি করে বুঝিনা আমি বাবা। কালকে বিয়ে করে নতুন বউ ঘরে আনলো আর আজকেই বেরিয়ে যেতে হলো ওকে কেলেজে! কয়েকদিন ছুটি করলে কি এমন হতো শুনি? আর সাথে করে মেয়েটাকেও নিয়ে গেলো। সবার সাথে যে একটু পরিচিত হবে ঠিকঠাক ভাবে সেই সময়টাই দিলোনা। সাথে করে হুকুম দিয়ে গেলো বিয়ে নিয়ে কোনোরকম বাড়াবাড়ি বা অনুষ্ঠান যেনো না করে। এই বয়সে আমার আর এসব ভালো লাগেনা। যা ইচ্ছে করুক সে।”
আনিকা আহসান নিজের কথা শেষ করে চলে গেলেন কিচেনের দিকে। অরুনিকাও এগিয়ে চললো তার জ্বা*লাপো*ড়া নিয়েই। এই মুহূর্তে মাথা থেকে সবকিছু ঝেড়ে ফেলে শাওয়ার নিয়ে ফ্রেশ হওয়াটা অনেক জরুরি।
হুমায়ূন আহমেদের “নবনী” উপন্যাস হাতে ব্যালকনির ডিভানের উপর গা এলিয়ে বসে আছে অরুনিকা। বিকেল গড়িয়ে সময় সন্ধার শেষপ্রান্তে পৌঁছে গেছে অথচ আদাভান এখনও ফেরেনি। মাথায় হাজারো চিন্তার সাথে যোগ হয়েছে উপন্যাসে নবনীর জীবন নিয়ে আশ*ঙ্কা। রহস্য জিনিসটা বরাবরই অপছন্দ করা অরুনিকা কেমন যেনো রহস্যের মায়াজালে জড়িয়ে পড়ছে।
সন্ধ্যার ঝ*ঞ্ঝাট পেরিয়ে নেমেছে নিস্তব্ধ রাত্রি। আশেপাশের যানবাহনের আওয়াজও অনেকটা কমে এসেছে। সবাই ফিরে চলেছে আপন নীড়ে। কেউ বা পরিশ্রান্ত দেহখানি হেলিয়ে দুলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তো কেউ বড়ো বড়ো এসি গাড়ির মাঝে বসে সো সো করে বেরিয়ে যাচ্ছে। আশেপাশের কয়েকটা কুকুরের বিচরণের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে অরুনিকা বিভোর হয়ে আছে আদাভানের চিন্তায়। সেই যে সকালে বেরিয়েছিলো এখনও ফেরার নাম নেই তার। কোথায় আছে কেউ জানেনা।
“ইস্ কেনো যে ওনার নাম্বারটা নিয়ে রাখিনি! আন্টি কতোবার কল করলো একবারও ধরলোনা। রাগে নিজের মাথা নিজের ফাটাতে ইচ্ছে করছে।”
নিজের উপর বিরক্তবোধটা ক্রমে বেড়েই যাচ্ছে অরুনিকার। জীবনের কোনো সুতো খুঁজে পাচ্ছেনা। কোথায় যেনো তালগোল পাকিয়ে গেছে সব। এসব ভাবতে ভাবতেই আনমনে আলমারির কাপড় নাড়াচাড়া করতে থাকে অরুনিকা। আদাভানের শার্টগুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখছে সে। ছেলেদের শার্ট তার খুবই পছন্দের জিনিসের মধ্যে একটা। আলমারীর একদম মাঝের দিক থেকে আদাভানের সাদা রঙের একটা শার্ট টেনে বের করে নাকের কাছে ধরে। আয়রন করা সাদা শার্টের থেকে ভেসে আসছে একটা মনমাতানো স্মেল। এই স্মেলটা কয়েকবার পেয়েছে অরুনিকা। যখনি দুজনে খুব কাছাকাছি এসেছে এই মনমাতানো স্মেলটা বারবার মনে করিয়ে দিয়েছে তাদের মাঝের দূরত্বের সংকীর্ণতা। নাক ডুবিয়ে নিজের মাঝে টেনে নেয় সেই স্মেলটা। ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে তুলে বেশ কিছুক্ষন নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে রাখে আদাভানের শার্টটা। যেনো এটা আদাভানের শার্ট না বরং সে নিজেই। আনমনেই চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ে কয়েকফোটা অশ্রুকণা। মনের মাঝে একটাই প্রশ্ন উঁকি দিয়ে ওঠে,
“কি এমন হতো যদি তুমি আমার হতে? কেনো আমার হয়েও তুমি আমারই হলেনা? তোমার প্রতি রাগের থেকে বেশী অভিমান জমা হয়েছে যে প্রিয়।”
“তোমার ভালোবাসার সংজ্ঞা আমি কিভাবে দেবো!
বেইমানীর গল্প লিখে, নাকি নিজেকে বুঝিয়ে নেবো?
বুঝিনা আমি আজ তোমাকে কোন জায়গায় বসাবো!
হজম করবো সব ব্যা*থা, নাকি অনুভূতি কে খসাবো?
মাঝে মাঝেই নিজের মনে আয়নাটাকে বলি,
হাটের মাঝে মুখোশটা তোমার ছিঁ*ড়ে যদি ফেলি!
পারবে নাকি সেই অপমান সইতে নিজে একা,
এই সাজটাই ধার্য্য করুক প্রেমিকা সম বোকা।
যদি নির্ল*জ্জ বলি তোমাকে সেটা নিজের অপমান।
আমিতো ভালো বেসেছিলাম দিয়েছিলাম সম্মান।”
অভিমানে সাজানো একগুচ্ছ কথাকে মনে মনেই আওরালো কবিতা আকারে। এই কি মায়াজালে তুমি জড়ালে আমাকে!
চোখ ভর্তি জল অথচ মুখে হাসি অরুনিকার, এ যেনো কোনো হেরে যাওয়া এক গল্পের সমাপ্তি। আসলেই কি গল্পের সমাপ্তি? উহু সবে তো গল্পের শুরু মাত্র। শুরুই যদি হয় বিষাদে ভরা, ছি*ন্নভিন্ন অনুভূতি তবে শেষটা কি বেদনার হা*হাকার?
রুমের দরজা খোলার আওয়াজে তারাহুরো করে অরুণিকা লুকিয়ে ফেলে শার্টটা। কোনোভাবে নিজের দুর্বলতা সে বাইরের কারোর সামনে প্রকাশ করতে চায়না। সেই মানুষটা যদি আদাভান হয় তাহলে তো আরো নয়। আদাভান জানে দূর্বলের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ছি*নিমি*নি খেলতে শুধু। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই রূমে এসে সবসময়ের গুছালো মানুষটাকে এভাবে অগোছালো ছ*ন্নছাড়া দেখে ভীষণ অবাক হলো। চুলগুলো এলোমেলো, পরনের ধূসর রঙের শার্টটার অর্ধেক অংশ বেরিয়ে আছে ইন থেকে, চোখে মুখে কেমন যেনো এক বেদনা সাথে ক্লান্তির ছাপ। অরুনিকা একভাবেই তাকিয়ে আছে আদাভানের দিকে অথচ সেই ব্যাক্তির কোনো হেলদোল নেই। দেখে মনে হচ্ছে সে বুঝেও না বোঝার ভান করছে। অরুনিকার চোখ দুটোও যেনো একইসাথে পন ধরে বসে যে যতক্ষণ না এই চার চোঁখের মেলবন্ধন ঘটবে ঠিক ততক্ষনই এভাবেই তাকিয়ে থাকবে তারা একদৃষ্টিতে। তাতে যদি ব্যা*থা হয় তবে হোক।
অবশেষে পরা*স্ত স্বীকার করেই ফেললো আদাভান এই গভীর দৃষ্টির নারীর কাছে। ঘটে গেলো দুইজোড়া চোঁখের মেলবন্ধন। বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করলো দুজনের না বলা কথাগুলো। কিন্তু হায়! সবই ব্যার্থ। দুজনই প্রেমে সিক্ত তবুও কোনো এক অদৃশ্য দেওয়াল দুজনের মাঝে কয়েক গজ পরিমাণ দূরত্ব সৃষ্টি করে ফেলেছে।
“প্রেম যার মনে গভীর, অভিমান তার মনেই বেশি বাঁধা মানে।”
এই উক্তিটি হয়তো সঠিক। তাইতো এক প্রেমিক পুরুষের গোছালো জীবনটা কেমন অগোছালো করে চলে গেলো এই অভিমান।
আদাভানের হটাত করা কাজে একেবারে ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেছে অরুনিকা। কিছুক্ষনের মধ্যেই লোকটা কেমণ পাগলের মতো দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরলো। শুধু জড়িয়ে ধরেছে বললে ভুল হবে জাপটে ধরেছে। জেনো ছেড়ে দিলেই চলে যাবে সহস্র দূর। অরুনিকাও পরম শান্তিতে বুকে মাথা রেখে দুই হাতে জড়িয়ে ধরে তার প্রেমিক পুরুষকে। শান্তি! হুঁ শান্তিই তো পাচ্ছে অরুনিকা। সারাদিনের মন কেমনের অবসান হয়েছে তার। জ্ব*লতে থাকা বুকটা জেনো শীতলতার ছোঁয়া পেয়েছে। আদাভানও বেশ কিছুটা সময় ধরে জড়িয়ে ধরে নিজের ক্লান্তি, অভিমান, রাগ, অভিযোগ সবটা মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ক্লান্তি আর রাগটা কমলেও বাকিদের কোনো পরিবর্তন দেখা গেলনা। তাইতো দুইহাতের মাঝে অরুনিকার কোমল মুখখানি ধরে কপালে আলতো এক পরশ এঁকে দেয়। সাথে এতক্ষনের জমিয়ে রাখা দীর্ঘশ্বাসটাকে মু*ক্তি দেয়। তারপর কপালে কপাল ঠেকিয়ে বলে ওঠে,
“কাঁ*চ কতটা অভিমানী আয়না না ভা*ঙলে বোঝা যায়না।”
কথাটা বলে আর এক মুহূর্তও সেখানে দাড়ায়না আদভান। কিছু একটা লুকানোর তাগিদে খুব দ্রুত ওয়াশরুমে ঢুকে পড়ে। এতটাই দ্রুত যে অরুনিকার বন্ধ চোখ এখনও ঝা*পটে ওঠেনি নিজের ডানা।
বেশকিছুক্ষণ হয়ে গেলেও কিছু একটা অনুভব করে চোখ মেলে তাকায় অরুনিকা। মাথার প্রতিটা নিউ*রোনে নিউ*রোনে একই কথা খেলছে “কাঁ*চ”, “আয়না”, “ভা*ঙ্গা”, “অভিমান”।
“এসব কী বলে গেলেন উনি? উনি কি কোনোভাবে আমার কারণে রেগে আছেন? নাহ নাহ রাগ নাহ এটা অভিমান। কিন্তু কেনো? আমি ঠিক কী করলাম? এই বিয়েটা না মেনে নেওয়ার জন্যই কি ওনার মনে এত কষ্ট! তাহলে উনি আমাকে সত্যি ভালোবাসেন? কিন্তু আমি তো কিছুই মেলাতে পারছিনা। একই নাম একই মানুষ অথচ চরিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। আচ্ছা, আমার কোথাও ভুল হচ্ছেনা তো? আমি অযথাই অনেক ভুল বুঝছিনা তো! ওনার চোখে সেই প্রথম থেকেই আমার জন্য মুগ্ধতা দেখেছি। আর আজ যেটা দেখলাম সেখানে ছিলো এক আকাশ সমান ভালোবাসা।”
রাত বেশ গভীর। ঘড়ির কাঁ*টাটা ঠিক এগারোটা বেজে ত্রিশ মিনিটের ঘর ছেড়েছে। আদাভান ব্যাস্ত নিজের মতোই ল্যাপটপ নিয়ে। আর অরুনিকা এপাশ ওপাশ করেও কিছুতেই ঘুমকে নিজের আয়ত্বে আনতে না পেরে আধসোয়া হয়ে ফোন চালাচ্ছে। ফেসবুক স্ক্রলিং করতে করতে অরুনিকার চোঁখ আঁটকে যায় একটা লেখার উপর। লেখাটা সেই লেখকের “নীল চিরকুট” আইডিটা থেকে।
” যতবার ভেবেছি আরও একবার ফিরে দেখি তোমাকে
ততবারই তোমার দেওয়া অবহেলা ঘিরে ফেলেছে আমাকে।”
চার ঘণ্টা আগে করা এই পোষ্টে রিয়েক্ট পড়েছে প্রায় পাঁচ হাজার আর কমেন্টও চার হাজার মতো। অরুনিকারও খুব ইচ্ছে করলো একটা সুন্দর কমেন্ট করতে তার প্রিয় লেখককে। তাই ঝটপট টাইপ করেই ফেললো,
তুমি ব্যাস্ত উপেক্ষাতে
আমি মাখছি অবহেলা।
অভিমানে ডু*বি মধ্যরাতে
সবকিছুই কি ছেলেখেলা?
ইচ্ছের বশেই কমেন্টটা করে বসে অরুনিকা। যদিও এভাবে ছন্দ সে কখনই লেখেনি তাই তেমন আহামরি কিছু লিখতে পারবেনা এটাই স্বাভাবিক। আর এতো এতো কমেন্টের ভিড়ে উনি কেনোই বা এই কমেন্টটা পড়তে যাবেন। আনমনে এসব ভাবতে ভাবতেই একবার আড়চোখে তাকালো আদাভানের দিকে। অন্ধকার রুমে ল্যাপটপের আলোতে একমনে কাজ করে যাচ্ছে আদাভান। এই আলোটুকুই আদাভানের সৌন্দর্য যেনো আরোও কয়েক গুন বাড়িয়ে দিয়েছে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে এই মানুষটার স্ত্রী সে, ভ লেই কেমন যেনো সুখ সুখ অনুভব হচ্ছে। মনে মনে ঠিক করলো বিয়েটা যেভাবে হোক যখন হয়েই গেছে তাহলে মেনে নিলে ক্ষ*তি কি! এরকম সুন্দর একটা পরিবার তাকে উপহার দেওয়ার জন্য হলেও আদাভানকে মেনে নেবে সে। তবে সত্যের শেষ পর্যন্তও পৌঁছাবে, আপুর সাথে হওয়া সবকিছুতে যদি সত্যি আদাভান দায়ী হয় তবে তার শেষও শেষ দেখে ছাড়বো। সেদিন কোনোভাবেই ছাড় পাবেন না আমার কাছ থেকে। আই প্রমিস ইউ।
একধ্যানে আদাভানকে দেখে চলেছে অরুনিকা। দেখে মনে হচ্ছে কিছু একটা টাইপ করছে। নাকি কারোর সাথে চ্যাটিং করছে? ওনার মতো বেরসিক মা মানুষের আবার ফেসবুক থাকবে নাকি? আর থাকলেও হয়তো কেউ মেসেজ করলে বলবে, “হাউ ডেয়ার ইউ? এর জন্য তোমাকে শাস্তি পেতে হবে। যাও কান ধরে একশ বার উঠবোস করে আসো।”
আর কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে যে আপনি কি সিঙ্গেল? তখন উনি কি বলবেন? বেশ কিছুক্ষন চিন্তা করে, হ্যাঁ পেয়েছি।
“এই মেয়ে তোমার সাহস কি করে হয় বড়োদের সাথে এভাবে কথা বলার? তুমি জানো এর জন্য আমি তোমাকে কি শাস্তি দিতে পারি? তোমার গার্ডিয়ানের নাম্বার দাও আমাকে ওনাদেরকে জানাই আমি তোমার কান্ড” আর তারপর হয়তো মেয়েটা ভয়েই ব্ল*ক করে দেবে ওনাকে।
এসব ভাবতে ভাবতেই পেট ফে*টে হাঁসি আসে অরুনিকার। অনেক চেষ্টা করেও চেপে রাখতে না পেরে বেশ জোরেই হেসে দেয় সে। কাজ করার মাঝে হটাত করে এত রাতে হাঁসির আওয়াজ পেয়ে কিছুটা ভড়কে যায় আদাভান। লাইটটা অন করে দেখে অরুনিকা সারা বিছানায় গড়াগড়ি খেয়ে হাসছে আর কিছু একটা বিড়বিড় করছে। অনেকদিন পর অরুনিকাকে এভাবে মন খুলে হাসতে দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে আদাভান। এতক্ষনে পেটে হাত চেপে ধরে হাসছে অরুনিকা, চোঁখের কোণে পানিও চিকচিক করছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে হাসতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে তাও নিজের হাসিটা কিছুতেই কন্ট্রোলে আনতে না পারায় এভাবে হেসেই যাচ্ছে এখনও।
দুই পা এগিয়ে গিয়ে বেডে বসে আদাভান। আসতে আসতে এগিয়ে যায় অরুনিকার দিকে। এক হাতে বেডে ভর দিয়ে একদম কাছাকছি চলে যায় অরুনিকার। তারপর ডানহাত এগিয়ে দিয়ে ছুঁয়ে দেয় কামিজের ভেতরের উ*ন্মুক্ত পেট। শুধু যে ছুঁয়েই থেমে গেছে তা নয়, হাতটা কামিজের ভেতরেই আরও প্রসারিত করে একহাতে আ*কড়ে ধরে কোমর। আকড়েও যে খান্ত হয়নি প্রেমীক পুরুষ, সাথে বেশ খা*মচেই ধরেছে।
শিহরণে হাঁসি থামিয়ে দুই চোখ মুহুর্তেই বন্ধ করে ফেলে অরুনিকা। শিরদাঁড়া বেয়ে বয়ে যায় এক হিমশীতল স্রোত। ঠকঠক করে কাঁপতে থাকে সর্বাঙ্গ। চোখের কোণে এখনো বেশ কিছুটা পানি দৃশ্যমান। আদাভান বাম হাতটা এগিয়ে দেয় সেদিকে।
চলবে?
#Fiza Siddique
সরি বলবোনা আর আজ। আসলে আমি অনেক সমস্যার মুখোমুখি পড়েছিলাম কয়েকদিন। ব্যাক্তিগত জিবনে কোনো এক রহস্যে জড়িয়ে গেছিলাম। আর আমার ভীষন অপছন্দের এই রহস্য জিনিসটা। আমার খাওয়া, ঘুম, নিত্যদিনের কাজ সবটাই বিগড়ে দেয় এটা। তবে আলহামদুলিল্লাহ এখন সব রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছি। তবে লেখাটা আজ সকালে দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু ডক্টরের কাছে গেছিলাম। একটু আগেই ফিরে বাকিটুকু শেষ করলাম অনেক কষ্টে। কেউ রাগ করে থাকবেন না প্লিজ। আজকে অনেক বড় করে দিয়েছি। প্রায় দুই পর্ব সমতুল্য।তো নিজেদের মূল্যবান মন্তব্য অবশ্যই জানাবেন। রীচেক দেওয়া হয়নি, ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন প্লিজ।