#প্রণয়ের_সূচনা
#লেখিকা_Nazia_Shifa
#পর্ব_৩৬
_____________________________
–‘কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে তার সাথে প্রথম দেখা হয়েছিল তাও ভুল ক্রমে।সেকেন্ড ইয়ারের এক ছেলে আমার ফ্রেন্ড অর্থী কে বা/জে কথা বলেছিল ভুল বোঝাবুঝি হয়, আমি ভেবেছিলাম সেই ছেলেটা উনি যে মিস বিহেইভ করেছে অর্থীর সাথে।না জেনে অনেক কথা শুনিয়ে দিয়েছিলাম তাকে।সে চুপ ছিল।যখন জানতে পারলাম আমার ভুল তখন ও উনি কিছু বলেননি, ছোট্ট করে হাসি দিয়েছিলেন শুধু।অর্থীর সাথে যে ছেলেটা মি/সবিহেইভ করেছিল তাকেও শা/স্তি দিয়েছে৷ আশ্চর্যের বিষয় ছিল যাকে আমি কথা শুনিয়েছিলাম সে অর্থীর পরিচিত এক ভাই।পাশাপাশি বিল্ডিংয়ে থাকে।বড্ড অস্ব/স্তি আর লজ্জাজনক পরিস্থিতি ছিল।কিন্তু সে হাসিমুখে চলে যায়।এদিকে ভেতরে ভেতরে আমার খা/রাপ লাগছিল।অর্থীকে বলার পর সে বললো দেখা করে সরি বলে নেয়, অস্বস্তি ও হচ্ছিল কিন্তু কলেজেই তার সাথে দেখা হয় আবার।সেই সুযোগে সরি বলি আমি আর ঔ দিনের মতোই স্বল্প পরিসরে হেসেছিল সে।এরপর থেকে তার সাথে প্রায়শই দেখা হত।সে আমাদের কলেজে আসত,কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার বাবা জড়িত ছিল, তার সুবাদে আসত কলেজে।কিন্তু কথা হত না যে তেমন না।প্রায়ই কথা হত,কিন্তু বেশিরভাগ হত ঠাট্টার ছলে।সে বড্ড চঞ্চল প্রকৃতির, যে কারো মন জয় করে নিতে পারে।তাকে তার চাল চলন,স্ট্রং পার্সোনালিটির কারণে ভালো লাগত।কিন্তু অত সিরিয়াসলি নেই নি। অর্থী প্রায়ই বলতো তার কথা।সে মেয়েদের সম্মান করে অনেক,স্বচক্ষে দেখেছি ও।ততদিনে দুজনের মাঝে সম্পর্ক অনেকটাই এগিয়েছে,নাম ছাড়া এক সম্পর্ক যাকে বলে।বিশ্বাস অনেকটাই তৈরী হয়েছিল দুজনের মধ্যে।কিন্তু সবকিছুর মধ্যে অনুভূতির শুরুটা তার দিক থেকে হয়েছিল নাকি আমার সেটা জানিনা,কিন্তু দুজনের দুজনের জন্য কিছু অনুভূতি আছে সেটা সম্পর্কে অবগত ছিলাম দুজনই।আমার তরফ থেকে ঠিকই আছে, কিন্তু তার তরফ থেকে অনূভুতি রা ছিল মিছে।আমাদের ক্লাসমেট অন্ন্যেশা পছন্দ করতো তাকে আগে থেকেই এটা জানতাম আমরা।এমনকি ক্লাসের অনেকেও জানতো।কিন্তু শুধু যে অন্ন্যেশার পছন্দ তেই সব সীমাবদ্ধ ছিলনা তা জানতাম না।উনি নিজেও অন্ন্যেশাকে পছন্দ করতেন আর তারা রিলেশনেও আছেন।যেদিন জানতে পারলাম সেদিন সামনাসামনি যেয়ে জিজ্ঞেস করলাম সত্যি কি না ডে উত্তর দিলনা, মৌন ব্রত পালন করলো যেন।তার মৌনতাকে সম্মতি হিসেবে মেনে নিলাম।চলে আসলাম সে পিছু ডাকলো না।দুইদিন পর ফোন দিল, জিজ্ঞেস করলো অমন মনে হওয়ার কারণ?তাকে হা/রানোর ক/ষ্টে দুইদিন কত কে’দেছি, সে একবারও খোজ নেয়নি।সেই রা/গে ক্ষো/ভে আর কথা বলিনি।সে আর কল দেয়নি।সপ্তাহ খানেক পরেই ছিল এইচএসসি পরীক্ষা, সবকিছু ভুলে পড়ালেখায় মনোনিবেশ করলাম।পরীক্ষা শুরু হলো, শেষ ও হলো।পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর একদিন আবার কল দিল সে।সেদিন বলে দিয়েছি তাকে কারণ।তাকে ভুলে গিয়েছি তাও বলেছি।সে বলেছে ফিরবে আমার কাছে, আমিও আশা নিয়ে বসলাম সে ফিরবে আমার অভিমান ভা/ঙাতে।কিন্তু জানো দিনাপুর বিয়েতে সে অন্ন্যেশাকে নিয়ে এসেছিল সাথে করে।সেদিন অন্ন্যেশার সাথে কথা হয়েছে আমার।সে তাচ্ছিল্য করে বলছিল আমাকে –
–‘তুমি ওকে কে/ড়ে নিতে চেয়েছিলে, কিন্তু পারোনি আর পারবে ও না।খুব শীঘ্রই আমরা বিয়ে করছি।
থম/কে গিয়েছিলাম একদম।বিশ্বাস হয়নি নিজের কানকে।সেদিনও সে কী কান্না, তারপর থেকে,যত সময় সম্ভব নিজেকে রুমে বন্দী করলাম।কিন্তু এখন আর না,এবার সব ভুলে যাব।
একটানা কথাগুলো বলে যাচ্ছিল ইরা।সূচনা নির্বাক হয়ে শুনছিল৷ তারও কান্না পাচ্ছে। মেয়েটা কত ক/ষ্ট পেয়েছে। সে তো পরিচিত এমন অনুভূতির সাথে।চ/ট করে ক’টা কথা মাথায় আসলো তার।সাথে ইরাকে জিজ্ঞেস করলো-
–‘তার নাম কী ইরা?
ইরা হালকা হেসে তৎক্ষনাৎ জবাব দিল-
–‘মুগ্ধ..ইরাবতীর অপ্রাপ্য মুগ্ধ সাহেব।
–‘সে বুঝি ইরাবতী বলে সম্বোধন করতো?
–‘হুম করতো।
–‘দিনাপুর বিয়েতে সে কিভাবে আসলো?ইনভাইট করলো কে?
এবার ইরারও যেন মাথায় আসলো প্রশ্ন টা।সত্যি ই তো মুগ্ধ কে দিনার বিয়েতে কে দাওয়াত করলো?তাদের পক্ষ থেকে তার জানামতে শুধু সে জানে মুগ্ধ আর অন্ন্যেশাকে।অর্থীকেও তো দাওয়াত করেনি সে।তাহলে মুগ্ধ কে আর কে চিনে বা জানে তার পরিবারে যে দিনার বিয়েতে দাওয়াত করলো।তার ভাবনায় ব্যাঘা/ত ঘটিয়ে সূচনা বললো-
–‘হতে পারে সে ছেলে পক্ষ থেকে এসেছিল।
ইরা কিছু পল ভাবল,বেখেয়ালি স্বরে ছোট্ট করে বললো-
–‘হয়তো।
–‘ইরা তুমি কিভাবে জেনেছিলে যে মুগ্ধ অন্ন্যেশার সাথে সম্পর্কে আছে?
কিছুটা ইতস্তত ভাব নিয়ে জিজ্ঞেস করলো সূচনা।
–‘অন্ন্যেশা ই জানিয়েছে,তাদের কাপল পিক দেখিয়েছিল। দিনাপুর বিয়েতে যখন বললো তাদের বিয়ের কথা সেদিন ও একটা ছবি দেখিয়েছিল।দুটো হাতের ছবি।দএটো হাতের অনামিকা আঙুলেই জ্বল/জ্বল করছিল রিং,সদ্য এন্গেজমেইন্ট হওয়া একজোড়া কপোত-কপোতির হাতের ন্যায়।
সূচনার রা/গ হলো কেন যেন।সামান্য ক’টা ছবি দিয়ে ইরা মুগ্ধকে যাচাই করছে।অন্ন্যেশা মিথ্যাও তো বলতে পারে।মনের কথা মুখে এসেই গেল তার।ইরাকে জিজ্ঞেস বলেই ফেলল-
–‘ক’টা ছবি দিয়ে যাচাই করছ তাকে?হতেও তো পারে সেই ছবিগুলো ফে/ক ছিল।অন্ন্যেশা মিথ্যেও তো বলতে পারে।সামনা সামনি দুজনকে রেখে সবটা ক্লিয়ার করে নিতে পারতে।এমন ও তো হতে পারে যে মুগ্ধ কিছুই জানেন না এই ব্যাপারে, সবটা অন্ন্যেশা নিজে সাজিয়েছে।
–‘হতেও পারে,হয়নি ভাবি।এই যে হতেও পারে কথাটা দ্বারাই অনিশ্চয়তা বোঝায়।সে মিথ্যা বলবে কেন?আর মুগ্ধ, সে তো যথেষ্ট বুদ্ধিমান, কেউ তার নামে এমন গু/জব র/টাবে আর সে এতদিনেও জানবে না?হতেই পারে না।
–‘বেশি ভাবছো ইরা।আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমি বলব ‘তোমার সামনাসামনি ওনার সাথে কথা বলা উচিত।
–‘তোমার তো আমাকে ব/কা দেয়ার কথা এই বয়সে মেয়ে প্রেম করছে তা না তুমি আর ও প্রেম জমিয়ে একেবারে ক্ষীর বানাতে লেগেছো।
–‘ব/কা তো অবশ্যই দিতাম যদি কোনো খা/রাপ ছেলের প্রেমে পড়তে কিন্তু পড়েছো তো,, যাকগে বলবে না তো তুমি।যা করার করো কিন্তু আমি যা বলেছি দেখবে তাই হবে।
–‘মানে?
–‘কিছু না।
–‘বলো
–‘সময় হলে সবটা পরিষ্কার হবে আর খুব শীঘ্রই।
–‘ রহস্য তৈরী করছো।
–‘একটু রহস্য থাকুক না হয়। চলো ঘুমাবে এখন।
–‘ঠিক আছে।
_______________________________
–‘নিস্তব্ধ রজনী।বিছানায় এপাশ ওপাশ করে কা/টছে প্রণয়ের।ঘুম চোখে ধরাই দিচ্ছে না।কারণ সকাল হলেই বড় সড় এক কাজ করতে হবে তাকে।সাথে অতীতের তি/ক্ত এক স্মৃতি ক/ড়া নাড়ছে মাথায়, এই তো মাস এক বাকি তারপর..তারপর পুরো হবে আরেকটা বছর।ঔ দিনটা মোটেও অন্য সবদিনের মতো স্বাভাবিক না তার কাছে।অপরদিকে,মাথার ওপর স্থির হয়ে থাকা সিলিং ফ্যানের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ সূচনার।তার চোখ জোড়ায় ও ঘুম নেই।তার কারণ অবশ্য ভিন্ন।আজকে সকাল হতে যত ঘটনা ঘটেছে তার আর প্রণয়ের মাঝে, সেগুলো মাথা থেকে যাচ্ছে ই না,চেখ থেকেও সরছে না।চেখ বন্ধ করলেই ভেসে উঠে সেই মুহুর্ত গুলো।কানে বা/জতে থাকে তার গাঢ় কণ্ঠে করা বাক্যগুলো।বিশেষ করে সেই কথাটা বড্ড ভয়ং/কর -‘সত্যি বলছি।বৃষ্টি তে তুমি আমি একা, যদি কোনো ভুল হয়ে যায়, তাহলে কি ক্রো/ধ দেখাবে নাকি সাদরে গ্রহণ করবে?হায়,,কী সুন্দর আবেদন।আচ্ছা সত্যি যদি কোনো ভুল হয়ে যেত?হায়….লজ্জা..লজ্জা।ভাবতেই গা কা/পছে যেন।প্রণয় ও কী জেগে আছে? নাকি আরা/ম করে ঘুমাচ্ছে? কে জানে?
সূচনার দিকে পিঠ করে শুয়েছে ইরা।মাঝে শুয়েছে তিথি। তন্দ্রাচ্ছন্ন সে।সূচনার বলা কথাগুলোই ভাবছে সে।সত্যি ই কী অমন হতে পারে? মুগ্ধ সত্যি ই তাকে ভালোবাসে?নাকি সবটাই তার অতিরিক্ত চাওয়া,অতিরিক্ত ভাবনা।
ফোনের স্ক্রিনের দিকে অনিমেষ তাকিয়ে আছে মুগ্ধ। নীল রঙা জামদানী শাড়ী পরিহিতা একটা মেয়ে, হিজাব মাথায়,বাম হাতে নীল কাচের চুড়ি,ডান হাতে বেলি ফুলের গাজরা প্যা/চানো।তীক্ষ্ণ চোখে সবকিছু পরখ করছে মুগ্ধ। ছবিটা কত শত বার যে দেখেছে সে নিজেও জানে না।সর্বাঙ্গে অস্থিরতা কাজ করছে তার।কখন হবে সকাল,রাত শেষ হচ্ছে না কেন?মনে হচ্ছে কত প্রহর কে/টে গেছে কিন্তু রাত শেষ হওয়ার নাম গন্ধ নেই।এদিকে চিন্তা ও লাগছে, কী হবে?কীভাবে করবে?মানাবে কীভাবে? ভাবতে ভাবতে।ছেলে মানুষ হয়ে এত এত টেনশন,, হায়।ভাবা যায়?কত শত ভাবনা কার,অনুভূতির সূচনা আর অপেক্ষার প্রহর গুন’তে গু’নতে ঘুম নেই চার জোড়া চোখে।প্রেম যখন তীব্র হতে তীব্র হয়,অনুভূতিরা যখন মনের অ/তল হতে উপচে পড়ে তখন দুজন মানুষ দু প্রান্তে থেকেও শুধু মাত্র মনের দশা থেকে তারা একই দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করে।হয়তো।
___________________________
ফজরের নামাজ পড়ে তিথির রুমে যায়নি সূচনা।তিথির জ্বর কমে গেছে পুরোটাই।তিথির রুম থেকে নিজের রুমে এসেছে সোজা।রুমের দরজা ভেড়া/নো ছিল বিধায় রুমে আসতে সমস্যা হয়নি।রুমে এসেই অবাক হলো সূচনা।প্রণয় বিছানায় নেই,ওয়াশরুমেও নেই।তাহলে কোথায়?গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে গেল ব্যালকনির দিকে।যা ভেবেছে তাই, প্রণয় ব্যালকনিতেই।ব্যালকনিতে প্রবেশ করতেই শীতল হাওয়ায় সমস্ত সূচনার শরীর জ/মে গেল যেন।পেছনে যেয়ে দাড়ালো প্রণয়ের। প্রণয় বোধহয় সাথে সাথে ই টের পেল তার উপস্থিতি।ঘুরে দাড়ালো তার দিকে।এই ঠান্ডার মধ্যে ও হাত কা/টা টি-শার্ট পড়ে বসে আছে। সূচনা ভ্রু- কু/টি করে তাকালো।তার দৃষ্টি উপেক্ষা করলো প্রণয়।তার পাশাপাশি যেয়ে দাড়ালো।তাকে সম্পূর্ণ অবাক করে দিয়ে প্রণয় হাসিমুখে জিজ্ঞেস করলো-
–‘শুভ সকাল বউজান।
সূচনা থমকালো,দু কদম পিছিয়ে ও গেল।গোল গোল চোখে তাকিয়ে রইলো প্রণয়ের দিকে যেন পলক ফে/লতেও ভুলে গেল।প্রণয় এগো দু কদম। সূচনার গা/য়ে থাকা শালের এক কোণা ধরে টে/নে আনলো নিজের দিকে।তারপর মুখ বা’কিয়ে বললো-
–‘ আমি শীতে জমে যাচ্ছি আর তুমি শাল নিয়ে ঘুরছো।এটা কোন জায়গার নিয়ম?দাও।
এবার হুশ ফিরল সূচনার। ভ্রু কুটি আবারও কুচকে এলো, বললো-
–‘ আপনার ঠান্ডা লাগছে তো আপনি টি-শার্ট পড়ে ঘুরছেন কেন?গরম কাপড় পড়ুন কে না করেছে।
প্রণয় এক পল চুপ রইলো তারপর থুতনিতে হাত রেখে বললো-
–‘ঠিকই বলেছো টি-শার্ট পড়ে কেন ঘুরছি আমি?
–‘হু।
সূচনা প্রণয়ের থেকে দৃষ্টি অন্য দিলে তাক করতেই আ/কস্মিক ঘটনা ঘটলো।এক টা/নে সূচনার গা থেকে শাল সরিয়ে নিল।বেখেয়ালি ছিল সূচনা তাই বুঝতে পারেনি সে।নিজের গায়ে শাল জড়িয়ে ডান হাত এগিয়ে শাল সহ কাছে টে/নে নিল সূচনাকে।এবার সত্যি জমে গেল সূচনা।তাতে নতুন মাত্রা দিল প্রণয়ের নিম্নোক্তি-
–‘শাল লাগবে না,আই জাস্ট নিড ইউর আর্মস।
সূচনার কপোলে(গালে) হালকা করে নিজের কপোল(গাল) ঘষা দিল্ ব্যস…অতটুকু ই যথেষ্ট কেমন অস্থির লাগছে নিজেকে।প্রণয়ের সংস্পর্শে এসে যেন নিজেকে বদ্ধ উ/ন্মাদ লাগছে সূচনার। আখি যুগল আপনাআপনি বন্ধ হয়ে গেছে তার।চোখ বদ্ধ অবস্থায়
সূচনার মুখটা পরখ করতে ভুললো না প্রণয়।চোখের পাতাগুলো তি/রতির করে কা/পছে তার।নিচের ঠোঁ’ট টাও কিঞ্চিৎ কে/পে কে/পে উঠছে।প্রণয়ের খুব করে ইচ্ছে হলো তার ক/ম্পন রত পল্লবে ঠোঁ/ট ছুইয়ে দিতে,ঠোঁ/ট জোড়ায় আঙুলের স্পর্শ দিতে।কিন্তু সব ইচ্ছে কী আর পূরণ হয়?আপাদত থাক,এমনিতেই গতদিন অনেক ভুল হয়েছে তার দ্বারা।নিজেকে সংযত করতে চোখ সরিয়ে নিল প্রণয়।হাতের বাধন ও ঢিল করল।কিন্তু সূচনা সরলোনা।ছেড়ে দিতে যেন আরও লেপ্টে গেল।
____________________________
–‘দেখুন মিসেস শেখ আমি ঔ বাড়ি যাওয়ার জন্য আজ পর্যন্ত আপনার কাছ থেকে পার মিশন নেই নি কোনোদিন আর না নিব কখনো তাই অযথা আপনার মতামত জানাতে আসবেন না।
রু/দ্ধ কণ্ঠে নিজের মা/কে কথাটা বললো মিহু।মিসেস আফসানা চিৎ/কার করে বললেন-
–‘মিহুউউ।
–‘চে/চাচ্ছেন কেন মিসেস শেখ?
–‘মিহু ভুলে যেও না আমি তোমার মা।
–‘ভুলিনি বিধায় এখনও এতটুকু সম্মান পাচ্ছেন।আশা করি এমন কিছু করবেন না যে সেই সম্মানটুকু ও না দেই।
–‘আমিও যাব আপু।
মিসেস আফসানার পেছন থেকে বলে উঠল পিহু।তার দিকে তাকিয়ে কোমল স্বরে মিহু বললো-
–‘আজ না পাখি আরেকদিন নিয়ে যাব।তুমি স্কুলে যাও এখন।তোমাকে শুক্রবারে নিয়ে যাব একদিন।
–‘ঠিক আছে।
পিহুর মন খারা/প হয়েছে সেটা বুঝতে পেরেছে মিহু।কিন্তু ভাবল না আর।দ্রুত পায়ে বেড়িয়ে গেল মিহু।মিসেস আফসানা তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ফু/সতে লাগলেন।
________________________
প্রণয়দের বাড়িতে এসেছে মিহু প্রায় ঘন্টাখানেক। মিসেস আফসানার সাথে কথা কা/টাকা/টি হওয়ায় মেজাজ ও কিছুটা খা/রাপ।ইরা,তিথিমিহু কথা বলছে ইরার রুমে।সূচনা রান্নাঘরে মিসেস আফিয়ার সাথে।সকালে দশটার দিকেই ফিরেছেন তারা।আজকে বাসায় কারো আসার কথা।সূচনা যতটুকু জানে খুব সম্ভবত সে প্রণয়ের বন্ধু। ইসহাক সাহেব ডে/কেছেন তাকে দেখা করবেন বলে।তার জন্য ই ভালোমন্দ রান্না হচ্ছে।তাই মিসেস আফিয়ার সাথে হাতে হাতে কাজ করছে সূচনা।
_________________________
দুপুর সাড়ে বারোটা প্রায়।কলিংবেল বে/জে উঠতেই সোফা থেকে উঠে দরজা খুলে দিল প্রণয়।ইসহাক সাহেব ও বসে ছিলেন সোফায়।ডাইনিং রুমে ইরা,তিথি,মিহু৷ আর সূচনা চারজনই ছিল।টেবিলে খাবার সার্ভ করছিল তারা।আগন্তুক ব্যাক্তির সাথে হ্যান্ডশেক করে জড়িয়ে ধরলো তাকে প্রণয়।ড্রয়িং রুম আর ডাইনিং রুমের দূরত্ব খুব বেশি না।তাদের কথার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।কেউ খেয়াল না করলেও ইরার কানে এসেছে একটা কথা।ইসহাক সাহেবের কণ্ঠ –
–‘কেমন আছো মুগ্ধ?
ইরা তব্দ খে/য়ে গেছে যেন।হাত থেমে গেছে তার, কানে শুধু মুগ্ধ নামটাই বাজ/ছে তার।বু/কের ধুকপু/কানিও তীব্র জ্বা/লা করছে।
#চলবে