#বর্ষণের সেই রাতে ❤
#লেখিকা: অনিমা কোতয়াল
#পর্ব- ১৭
.
অনিমাকে চুপ থাকতে দেখে আদ্রিয়ান আবার জিজ্ঞেস করল
— “বিলটা দেবো ম্যাডাম?”
অনিমা অসহায়ভাবে আদ্রিয়ানের দিকে তাকালো তারপর মাথা নেড়ে হ্যা বলল। অনিমা হ্যা বলার সাথে সাথেই আদ্রিয়ান বিলটা পে করে দিলো। আদিব বলল
— ” অনেক্ষণ তো হলো এবার আমাদের যাওয়া উচিত।”
তীব্র ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলল
— ” ইয়াহ যেতে হবে এখন। অরু তুই আমার সাথে যাবিতো?”
অরুমিতা তীব্রর দিকে তাকিয়ে বলল
— ” হ্যা বাড়িতেই যাবো ড্রপ করে দিস।”
আদিব আদ্রিয়ানকে উদ্দেশ্য করে বলল
— ” তুই তো অনিমাকে ড্রপ করে তারপর বাড়ি যাবি তাইনা?”
আদ্রিয়ান ফোন দেখছিলো আদিবের কথা শুনে মাথা তুলে অনিমার দিকে তাকিয়ে বলল
— “ম্যাডাম আপনি যাবেন আমার সাথে?”
অনিমা মুখ ফুলিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে হাত কচলে যাচ্ছে। খুব রাগ হচ্ছে এখন ওর, এরকম করার কী আছে? ও তো মজা করে বলেছে ওসব। অনিমাকে চুপ থাকতে দেখে আদ্রিয়ান আদিবকে বলল
— “ম্যাডাম আমার সাথে যাবেনা বোধ হয়, দেখছিস না চুপ করে আছে। তীব্র তুমিই ওনাকে ড্রপ করে দাও। শত হলেও ওনার অনুমতি ছাড়াতো আমি কিছুই করতে পারবোনা তাইনা?”
ওরা সবাই একবার আদ্রিয়ানকে দেখছে একবার অনিমাকে। অনিমা মুখ কাচুমাচু করে বলল
— ” আমি কখন বললাম যে আপনার সাথে যাবোনা?”
আদ্রিয়ান কিছু না বলে উঠে দাড়িয়ে হনহনিয়ে হেটে বাইরে চলে গেলো। অনিমা বোকার মতো তাকিয়ে রইলো ওর যাওয়ার। অরুমিতা ইশারা করতেই অনিমাও ব্যাগ কাধে নিয়ে দৌড় লাগালো আদ্রিয়ানের পেছনে। পার্কিং এরিয়ায় গিয়ে দেখে আদ্রিয়ান সবে গাড়িতে উঠছে, ও তাড়াতাড়ি দৌড়ে গাড়ির ফ্রন্ট সিটে বসে পরল। আদ্রিয়ান অনিমার দিকে একবার ভ্রু কুচকে তাকিয়ে তারপর সামনে তাকিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিলো। সারারাস্তা একটাও কথা বলেনি আদ্রিয়ান আর অনিমা শুধু আড় চোখে দেখেছে ওকে। অনিমার ফ্লাটের বিল্ডিং এর সামনে গাড়ি থামতেই অনিমা নামতে গিয়ে আদ্রিয়ানের দিকে তাকালো। প্রতিদিন কতো কিউট করে করে বাই বলে আর আজ কেমন গোমরা মুখ করে বসে আছে, অনিমা এবার আদ্রিয়ানের দিকে তাকিয়ে নিচু কন্ঠে বলল
— ” আই এম সরি, দুষ্টুমি করে হলেও আমার ওসব বলা উচিত হয়নি।”
আদ্রিয়ান চুপ করে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে, মুখে একরাশ গাম্ভীর্যতা। সেটা দেখে অনিমা কাদোকাদো মুখ করে বলল
— ” সরি তো, ভূল হয়ে গেছে আর করবোনা প্রমিস।”
আদ্রিয়ান এবার অনিমার দিকে তাকালো তারপর গম্ভীর কন্ঠে বলল
— “তাহলে মানছো যে ভূল করেছো?”
অনিমা মাথা নিচু করে বলল
— ” হুম।”
আদ্রিয়ান হালকা হাসলো কিন্তু সেটা অনিমার দৃষ্টির আড়ালে। হাসি থামিয়ে গম্ভীর মুখেই বলল
— ” সো ইউ ডিসার্ব আ পানিশমেন্ট রাইট?”
অনিমা অসহায় ভাবে আদ্রিয়ানের দিকে তাকালো তারপর আবারো মাথা নিচু করে ফেলল। আদ্রিয়ানের এখন হাসি চেপে রাখাটা কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে, তবুও মুখটা যথেষ্ট সিরিয়াস রেখে বলল
— ” আন্সার মি।”
অনিমা নিচু কন্ঠে জবাব দিলো
— ” হুম। বাট সরি বলেছি তো”
— ” আমি সরি শব্দটায় বিশ্বাসী নই। ইউ নো যেকোনো ভূলকে শুধরানোর বেস্ট স্টার্টিং হচ্ছে পানিশমেন্ট। ভুলের জন্যে যদি উপযুক্ত পানিশমেন্ট দেওয়া হয় তাহলে এইট্টি পার্সেন্ট লোক সেই ভুল আর করেনা। সো ইউ শুড বি পানিশড।”
অনিমা ভাবছে লোকটা এমন অদ্ভুত কেনো? এমন একটা সিচিউশনেও কী চমৎকার একটা জ্ঞানের কথা বলে দিলো। আদ্রিয়ান গম্ভীর মুখে বলল
— ” শুডেন্ট ইউ?”
অনিমা করুন চোখে আদ্রিয়ানের দিকে তাকিয়ে আবারো চোখ নামিয়ে নিয়ে বলল
— ” হুম।”
আদ্রিয়ান এবার অনিমার দিকে ঝুকে স্লো ভয়েজে বলল
— ” আর ইউ রেডি ফর ইউর পানিসমেন্ট?”
অনিমা কাদোকাদো মুখ করে নিচের দিকে তাকিয়ে আর ভাবছে যে কী পানিসমেন্ট দেবে? মারবে না তো? অনিমার এই ভীতু মুখ দেখে আদ্রিয়ানের এবার একটা ঘোরের মধ্যে চলে যাচ্ছে, এক অদ্ভুত নেশা যেই নেশা থেকে বেড়োনো সম্ভব না। ও আলতো করে অনিমার কোমর ধরে কাছে টেনে নিলো। অনিমা চমকে তাকালো আদ্রিয়ানের দিকে, হঠাৎ এইরকম কিছুর জন্যে প্রস্তুত ছিলোনা ও, ওর মনে হচ্ছে পুরো শরীর যেনো জমে গেছে, কিছু বলার শক্তি নেই, শুধু চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে আদ্রিয়ানের দিকে, ওর হাত দুটো আদ্রিয়ানের বুকের ওপর। আদ্রিয়ান এক হাত দিয়ে অনিমার কোমর জরিয়ে ধরে আছে, ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে অনিমার দিকে, আর অনিমা নিজেও সেই দৃষ্টিতে নিজেকে হারিয়ে ফেলছে নিজেকে। আদ্রিয়ান আরেক হাত দিয়ে আলতো হাতে অনিমার বাম গালে পরে থাকা চুলগুলো সরিয়ে দিলো। অনিমা সাথে সাথেই চোখ বন্ধ করে ফেলল, ও নিজেও জানেনা ও এটা কেনো করলো কিন্তু চোখ খোলা রাখার মতো শক্তি ওর ছিলোনা, ওর মনে হচ্ছে ওর সব শক্তি কেউ শুষে নিয়ে গেছে। অনিমাকে এভাবে চোখ বন্ধ রাখতে দেখে আদ্রিয়ান যেনো আরো ঘোরের মধ্যে চলে যাচ্ছে, নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছে, ও অনিমার দিকে ঝুকে ওর বাম গালে বেশ সময় নিয়ে খুবই সফ্টলি একটা কিস করল। অনিমার অবস্হা পুরো ‘জোর কা ঝাটকা ধীরেসে লাগা’ এর মতো হয়েছে, মুহূর্তেই কয়েকটা হার্ডবিট মিস করলো ও, ঠিক তার পরেই তীব্র গতীতে বিট করতে লাগল। আদ্রিয়ানের নিশ্বাস ওর মুখের ওপর পরতেই ও পিটপিট করে চোখ খুললো, একদৃষ্টিতে আছে আদ্রিয়ানের দিকে ওর মানে একটা কথাই চলছে ‘ এটা কী ছিলো?’ আদ্রিয়ান হয়তো অনিমার মনের কথা পড়তে জানে তাই মুচকি হেসে অনিমার কপালে কপাল ঠেকিয়ে বলল
— ” এটা তোমার পানিশমেন্ট ছিলো।”
অনিমা আর কী বলবে? ওর তো জান যায় যায় অবস্হা, এই অনুভূতির সাথে পরিচিত নয় ও, আদ্রিয়ান অনিমা ছাড়তেই অনিমা গাড়ির দরজা খুলে বেড়িয়ে ছুটে ভেতরে চলে গেলো একবারো পেছন ফিরে তাকায়নি। আদ্রিয়ান অনিমার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগল। ও নিজেও জানেনা ও কী করেছে আর কেনো করেছে, ও তো শুধু ভয় দেখাতে চেয়েছিলো অনিমাকে কিন্তু পরে কী হলো নিজেই বুঝতে পারলোনা, অনিমাকে এতো কাছে টেনে আর কিছু মাথায় ছিলোনা ওর। তবে অনিমার ওই লজ্জামাখা মুখটা দেখতে বেশ লাগছিলো ওর, নিজেকে সামলাতেই পারছিলোনা এসব ভেবে মুচকি হেসে নিজের মাথা চুলকে গাড়ি স্টার্ট করে চলে গেলো
আর ওদিকে ফ্লাটে ঢুকেই দরজা বন্ধ করে দরজার সাথে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে অনিমা। ওর কাছে সবটা এখোনো কেমন সপ্ন মনে হচ্ছে, কিছুক্ষণ জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে আয়নার সামনে গিয়ে দাড়ালো। ওর হাত অটোমেটিক্যালি ওর গালে চলে গেলো? আয়নায় নিজের প্রতিবিম্বের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বলল
— “হি কিসড মি? সিরিয়াসলি? বাট হাউ এন্ড হোয়াই?”
এসব বলে নিজেই চমকে গেলো আচ্ছা ওর তো এখন রাগ হওয়ার কথা কিন্তু ওর তো একটুও রাগ লাগছেনা, বরং অন্যরকম এক অনুভূতি হচ্ছে, বুকের ভেতরের ধুকপুকানী থামার নামই নিচ্ছে না, সারা শরীর কাপছে, এই অনুভূতির নাম কী?
_____________
— “ভালোবাসা।”
— “হোয়াট?”
আশিসের কথা শুনে অবাকের শেষ পর্যায়ে পৌছে গেছে অরুমিতা, এই ছেলে কী সত্যিই পাগল? কী সব বলছে? আশিস মুচকি হেসে বলল
— ” ঠিকি তো বললাম। দেখো তোমার সাথে রোজ ফোনে কথা না বললে আমার ভালোলাগেনা, জানি একটু বিরক্ত হও আমার সেটাই ভালোলাগে, কিছু কিছু মানুষকে জ্বালিয়েও শান্তি পাওয়া যায়, এরওপর মনে হয় তোমার ঐ সুইট কন্ঠের কথা শুনে আজীবণ কাটিয়ে দেওয়া যাবে। এই সব অনুভূতির নাম কী ভালোবাসা না?”
আশিসের কথা শুনে মুচকি হাসলো অরুমিতা পরোক্ষণেই মুখটা সিরিয়াস করে বলল
— ” যা খুশি হোক সেটা আপনার ব্যাপার। আই জাস্ট ডোন্ট কেয়ার।”
আশিস হেসে দিয়ে বলল
— ” তুমি নিজেও খুব ভালো করে জানো ইউ ডু।”
অরুমিতা ভ্রু কুচকে বলল
— ” আপনি কী এসব আউল ফাউল কথা বলতে ফোন করেছেন?”
— ” আউল ফাউল না কিউটি। আচ্ছা তুমিই বলো আমাকে অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলতে দেখলে, আমি সাথে কোনো মেয়ে নিয়ে আসলে তুমি ভ্রু কুচকে তাকিয়ে থাকো। দ্যাট নট মিনস তুমি জেলাস ফিল করো?”
অরুমিতা হকচকিয়ে গিয়ে বলল
— ক্ কই নাতো? আমি কেনো জেলাস ফিল করবো?”
আশিস মুচকি হেসে বলল
— ” তাহলে ওভাবে তাকিয়ে থাকো কেনো?”
— ” ভাবি যে একটা ছেলে কতোটা মেয়েবাজ হতে পারে।”
— ” আমি যাই হই তাতে তোমার কী? ইউ ডোন্ট কেয়ার রাইট?”
অরুমিতা বিরক্ত হয়ে বলল
— ” উফফ আপনার সাথে কথা বলাই বেকার। রাখছি আমি।”
— ” আরে শোনোতো…”
আর কিছু বলার আগেই ফোন কেটে দিলো অরুমিতা, আশিস হেসে দিলো, কেনো এই মেয়েটাকে ওর বাকি গার্লফ্রেন্ডদের নজরে দেখতে পারেনা ও? ওর প্রতি এখোনো খুব একটা সিরিয়াস না হলেও মেয়েটা ওর কাছে একটু বেশিই স্পেশাল। নাহ এখন একটু টাইমপাস করা দরকার এরপর কললিস্টে সবার আগে যেই গার্লফ্রেন্ডের নাম এলো তাকেই ফোন করে সে তার রিগুলার কাজে ব্যাস্ত হয়ে গেলো।
আর ওদিকে অরুমিতা মুচকি হাসলো ফোনের দিকে তাকিয়ে, ধীরে ধীরে কেমন যেনো উইক হয়ে পরছে এই আশিসের প্রতি, ফোন করলে বিরক্ত হয় আবার ফোন না করলেও ভালোলাগেনা। কিছু কিছু অনুভূতি অদ্ভুত একটু বেশিই অদ্ভুত।
___________
প্লেনে বসে আছে রিক। একটু পরেই প্লেন টেক অফ করবে। মেজাজ অত্যন্ত খারাপ হয়ে আছে ওর, এই সময়ই কাজ পরতে হলো? আজ যদি কলকাতা যেতে না হতো তাহলে অনিমা এখন ওর কাছে থাকতো। কিন্তু এই কাজের চক্করে আরো কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে ওকে অসহ্য। কেনো যে ওর বাবা ওকে ওনার পলিটিকস এর সব জায়গায় জরায় কে জানে? উনি কেনো বোঝেন না তে ওর ভালোলাগেনা এসব। একটু পরেই প্লেন টেক অফ করলো আর রিক চলে গেলো কলকাতার উদ্দেশ্যে।
____________
অনিমা তীব্রকে সেই কখন থেকে ফোন করে যাচ্ছে কিন্তু ধরছেনা। এবার বিরক্ত হয়ে ও অরুমিতাকে ফোন করল। অরুমিতা ফোন রিসিভ করতেই অনিমা বলল
— ” তীব্রর কী হয়েছে বলতো ফোন ধরছে না?”
অরুমিতা নখ দেখতে দেখতে বলল
— ” ওর লাইলি এসছে আজ দেশে। ”
— ” হোয়াট? স্নেহা এসে গেছে।”
— ” হুমম এইজন্যেই তো মিস্টার মজনু থম মেরে আছে?”
অনিমা মুচকি হেসে বলল
— ” এখোনো রেগে আছে মেয়েটার ওপর?”
— “হ্যা ইয়ার, বেচারি গেছিলো তীব্রর কাছে কথাই বলেনি।”
অনিমা বিরক্ত হয়ে বলল
— ” ওই ডাফারকে ইচ্ছে করে এমাজনে ছেড়ে দিয়ে আসি এতো রাগের কী আছে।”
— “হুম এবার তুইই ভরসা।”
— ” হ্যা দেখছি।”
ফোন রেখে খাটে হেলান দিয়ে গালে হাত দিয়ে বসে আছে অনিমা, কালকের কথাটা মাথা থেকে ঝারতেই পারছেনা ও, বারবার আদ্রিয়ানের ওকে কিস করার দৃশ্যটা চোখের সামনে ভেসে উঠছে। আর ততোবারি লজ্জায় কুকড়ে যাচ্ছে ও, ভাগ্যিস আদ্রিয়ান কালকে আর ফোন করেনি তাহলে ও কথাই বলতে পারতোনা লজ্জায়, হয়তো আদ্রিয়ান ও ওর অবস্হাটা বুঝতে পেরেছে তাই কাল ফোন করেনি, হঠাৎ করেই অনিমার ফোনটা বেজে উঠলো স্ক্রিণে আদ্রিয়ানের নাম দেখেই ওর কেমন জেনো লাগতে শুরু করলো তবুও নিজেকে সামলে রিসিভ করে বলল
— ” হ্যালো।”
— ” কালকে থেকে একটা ফোনও করলেনা, কেনো?
অনিমা বিছানার চাদরে নখ ঘসতে ঘসতে বলল
— ” না আসলে..”
আদ্রিয়ান বুঝতে পারলো কালকের ব্যাপারটা ও এখোনো নরমালি নিতে পারেনি, পারার কথাও না ও তো আর জানেনা আদ্রিয়ানের মনের কথা, তাই ওকে নরমাল করতে আদ্রিয়ান হেসে বলল
— ” আচ্ছা এসব বাদ দাও আজ বিকেলে আদিব আমাদের সবাইকে ট্রিট দিচ্ছে, সো আসছো তো?”
অনিমা একটু অবাক হয়ে বলল
— ” ট্রিট? কিন্তু কেনো?”
— ” আদিবা বাবা হতে চলেছে।”
অনিমা যেনো আকাশ থেকে পরলো, ও অবাক হয়ে বলল
— ” কীহ? রাইমা আপু প্রেগনেন্ট?”
— ” ইয়াহ।”
অনিমা দাত দিয়ে নখ কাটতে কাটতে বলল
— ” এতো তাড়তাড়ি ওনাদের বিয়ের তো তিন মাস হলো তাইনা?
এটুকু বলেই জিবে কামড় দিলো অনিমা, ও সত্যিই একটা ডাফার। কার কাছে কী বললো ও? মিনিমাম কমনসেন্স নেই? দূর, লজ্জায় চুপ করে রইলো ও। অনিমার কথা শুনে আদ্রিয়ানও কিছুক্ষণ প্রথমে থ হয়ে রইলো, এই মেয়েযে কতোটা বাচ্চা তার প্রমাণ মিনিটে মিনিটে দিয়ে দেয়, এই মেয়েকে সামলাতে ওকে যে অনেক কাঠখর পোড়াতে হবে সেটা বেশ বুঝতে পারছে ও, পরক্ষণেই অনিমাকে অসস্তিতে ফেলতে দুষ্টু হেসে বলল
— ” তো ম্যাডাম আপনি বিয়ের কতোদিন পর বেবি চান?”
এটা শোনার সাথে সাথে অনিমার কাশি উঠে গেলো, সে কী কাশি, কাশতে কাশতে যেনো এক্ষুনি যক্ষা রোগীর সার্টিফিকেট হাতিয়ে নেবে। আর আদ্রিয়ান অনিমার এই অবস্হাতে আর নিজের হাসি আটকে রাখতে পারলো শব্দ করে হেসে দিলো।
.
#চলবে…