#Dangerous_Lover
#Angle_Moon_Angle_Moon
#Part_18,19
আগুন এমন কান্ড করবে সেটা আনুশকা জাস্ট ভাবতে পারেনি ।
।
আগুন পাঁচ মিনিট পর ছাড়লো আনুশকাকে ।
ছাড়া পেয়ে আনুশকা কিছু বললোনা,, এক দৌড়ে সিড়ি দিয়ে রুমে চলে গেলো
।
আরমান সাহেব চোখ খুলে রেচে বললো,,,
।
আরমান সাহেব : How dare you nonsense,, তোর সাহস কি করে হলো আমার মেয়েকে টাচ করার ।
।
তোর হাত আমি কেটে ফেলবো ।
।কমিশনার : ইশশশসসস,,,,কোন সেন্স নেই আজকাল কার ছেলেদের,,,,
বউকে ভালোবাসেন বুঝলাম বাট এভাবে সবার সামনে,,,
।
আরমান সাহেব চোখ রাঙিয়ে কমিশনারের দিকে তাকাতেই কমিশনার চুপ করলো ।
।
আরমান সাহেব : তোকে আমি দেখে নিবো ক্রিমিনাল,,
ফিউচারে আমার মেয়ের থেকে দূরে থাকবি ।
।
আগৃন মুচকি হাসলো,,, নিজের ঠোঁট মুছতে মুছতে বললো শুধু টাচ নয় আপনাকে নানু বানানোর প্ল্যান অলরেডি করে ফেলেছি ।
।
এবার আরমান সাহেব আগুনের শার্টের কলার ধরে ফেলললো,,,
।
আরমান সাহেব : শয়তান কি বলছিস তুই,, তোর এতো বড় সাহস কি করে হলো আমার মেয়ের মেয়ের সাথে এমন করার ॥
।
আজকে আমার হাত থেকে কেউ তোকে বাচাতে পারবেনা ।
।
ঠিক তখনি আইজি সাহেব বাংলোতৈ প্রবেশ করলো ।
।
আইজি সাহেব : কি করছেন আরমান সাহেব ।
ছাড়ুন উনাকে,,,
কমিশনার দেখেই স্যালুট জানালো,,
।
আরমান সাহেব ছেড়ে দিয়ে বললো,,
আইজি সাহেব আপনি এখানৈ এসেছেন ভালো হয়েছে ॥
এই ক্রিমিনালটা আমার মেয়েকে কিডনাপ করেছে ।
এখনি একে গ্রেফতার করুন ।
।
আগুন নিজৈর কলার ঠিক করতে করতে বললো।
।আগুন : কিছু মনৈ করিনি শশুর মশাই,, আপনি আমার ডিয়ারের জন্ম দাতা পিতা ।
তাই এতটুকু সহ্য করতেই পারি ।
বাট সব সময় না ।নেক্সস্ট টাইম এমন আচরণ করলে
এর খেসারত আপনাকে দিতে হবে ।
।
আইজি : মিঃ আরমান আপনি যে অভিযোগ করেছেন তা ভিত্তিহীন,
আপনার মেয়ে নিজে ইচ্ছে এখানে আছে তাছাড়া উনি এখন মিঃ আগুনৈর ওয়াইফ ।
।
আরমান সাহেব : সব বুঝতে পেরেছি আমি ।আপনারা সবাই এই ক্রিমিনালটার দলে
।আপনাদৈর মোটা টাকা দিয়েছে এই ক্রিমিনালটা ।
।
আমি এখন চলে যাচ্ছি বাট আবার আসবো আমার মেয়েকে নিয়ে যেতৈ
এর শেষ দেখে ছাড়বো ।
।
আরমান সাহেব চলে গেলো কমিশনারকে নিয়ে ।
।
আগুন : এই নিন আপনার পারিশ্রমিক ।
আর ঠিক মতো কাজটা করেছেন ।ধন্যবাদ ।
।
আইজি : ডোন্ট অরি মিঃ আগুন ।সবটা সামলে নিবো ।
এখন আসছি ।
।
আইজি চলে গেলো
।
আগুন মনে মনৈ বলছে,
আগুন : অনেক হিসাব বাকি আছে চাচাজান প্লাস শশুর মশাই ।
সব হিসাব নিবো শুদৈ আসলে
।
বলেই একা একা শয়তানি হাস দিলো
।
এদিকে আনুশকা কান্না করছে আর ভাবছে ।
কিছ ক্ষণ আগে আগৃন তাকে একটা ভিডিও দেখিয়ে ছিলো
।
ভিডিও তে আকাশ ছিলো
একটা অচেনা লোক চকলেট দিচ্ছে তাকে ।
।
আনুশকা : আমার ভাইকে কিছু করবেননা ।ও ছোট, ও আপনার কি ক্ষতি করেছে ।
।
আগুন : তোমার ভাই আমারো ভাই ।ওর কোনো ক্ষতি করবোনা বাট আমার কথা না
শুনলে ওর ক্ষতি করতে বাধ্য হবো
এটার জন্য তুমি দ্বায়ি থাকবে
।
আনুশকা : আমি আপনার সব কথা শুনবো।
আপনি বলুন কি করতে হবে
দয়া করে আকাশের ক্ষতি করবেননা ।
যা করার আমার সাথে করবেন ।
।
আগুন : Good girl dear.
তোমাকে সব বুঝিয়ে দিচ্ছি ।
।
( কি বুঝালো তারপর কি করলো আনুশকা সেটাতো দেখলেন আপনারা।
।
আনুশকা কান্না করছে আর ভাবছে ,,
অনেক হয়েছে ,এবার এর প্রতিশোধ নিবো ।
#Dangerous_lover এবার তোকে আমার #Dangerous_love দেখাবো ,Just wait and watch .
।
আনুশকা প্ল্যান করলো তারপর নিচে গেলো ।
।
রান্না ঘরে গেলো রান্না করতে
।
সার্ভেন্টরা মানা করলো বাট আনুশকা শুনলোনা ।
।
আগুনকে সার্ভেন্টরা জানালো আনুশকার রান্না ঘরে রান্না করার কথা ।
।
আগুন অবাক হলো, ,
সে আনুশকার প্ল্যান বুঝতে পারলো কিছুটা ।
।
সে কিচেনে গেলো ,,গিয়ে দেখলো আনুশকা আচল কোমরে গুজে রান্না করছে ।
।
আনুশকাকে অন্য রকম সুন্দর লাগছে ।
আগুন লোভ সামলাতে না পেরে আনুশকার কোমরে জড়িয়ে ধরলো হাত দিয়ে ।
।
আনুশকা আচমকা কোমর ধরাতে চমকে গেলো ।
।
আগুন কোমরে হাত বুলাতে বুলাতৈ আনুশকার কানৈ কান বললো, ,
।
আগুন : ডিয়ার আমাকে মেরে ফেলার প্ল্যান করছো।
।
খাবারে বিষ মিশিয়ে দিবে বুঝি ।
।।
আনুশকা চমকে
কথা শুনে তাকাতেই আগুন আনুশকার মুখের ঘাম নিজের নাক দিয়ে ঘষে মুছতে লাগলো
।
আগুন : অনেক সৃুইট তোমার গায়ের ঘাম,,একদম পারফিউম ।
।
আনুশকা মনে মনে ভাবছে নিজের চোখ বন্ধ করে ,,
।
আনুশকা : বিষ দিলেতো তুই মরবি,,আর আমি জেলে যাবো ।
বিষ না ঝাল দিয়েছি ,,,তুই অর্ধেক মরবি । ঝালের জন্য তো আমাকে জেলে যেতে হবেনা
_চলবে ,,,
.
#Dangerous_Lover
#Angle_Moon_Angle_Moon
#Part_19
আনুশকা খাবার তৈরি করে ফেললো আর ডাইনিংয়ে সাজালো ।
_সবগুলো আগুনের পছন্দের খাবার।
_সার্ভেন্টের কাছ থেকে জেনে নিয়েছে সে আগুন কি কি লাইক করে ।
।
আনুশকা নিজের পছন্দের একটা খাবারো বানিয়েছে
।
আগুন খাবারের মেনু দেখে খুশি হয়েছে ।
সৈ ভাবছে আনুশকা তার ভালোবাসা বুঝতে পেরেছে সেজন্য তার পছন্দের
খাবার বানিয়েছে ।
।
আনুশকা নিজের হাতে সার্ভ করে দিয়েছে ।
।
আনুশকা : নিন শুরু করুন ।
খেয়ে বলুন কেমন হয়েছে ।
আর শুনুন পুরো খাবার একবারে খাবেন,, একটু খেয়ে থামবেননা,, না বুঝবো আপনি আমাকে ভালোবাসৈননা ।
।
আগুন : কি আমি তোমাকে ভালোবাসিনা ।
ঠিক আছে কথা দিলাম খাবার যেমনটিই হোক পুরোটাই খাবো আমি,, থামবোনা আমি পুরো খাবার শেষ করা পর্যন্ত ।
।
আমার ভালোবাসার প্রমাণ দিবো আজকে ।
।
আনুশকা : তাহলে কথা দিলেন পুরো খাবার খাবেনতো ।
ঠিক আছে খাওয়া শুরু করুন ।
।
আগুন : দাও,, আচ্ছা সবতো আমার পছন্দের তাহলে নিজের জন্য কি বানিয়েছো???
তুমিও আমার সাথে খাও ।
।
আনুশকা : এইরে কাজ হয়েছে,, আমি খেলেতো,,,,
।
আগুন : মনে মনে কি ভাবছো,,, খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছো বুঝি???
বলেই শয়তানি হাসি দিলো ।
।
আনুশকা ঘাবড়ে গেলো,,,
আনুশকা : আমি পরে খাবো প্লিজজজজ,,আপনি আগে খান,, আপনার জন্য স্পেশালি খাবার তৈরি করেছি,,,
আর আমার জন্য ঢেড়স ফ্রাই বানিয়েছি,,,
_
_আগুন : কি বানিয়েছো??
ঢেড়স ফ্রাই,, এটি কোনো পছন্দের খাবার হলো??? আজব ।
।
আনুশকা রেগে গেলো সে রেগে বললো,,
আমার লাইক ঢেড়স, আপনার তাতে কি??
।
_আপনার খাবার খান আপনি।
_
আগুন :: রেগে গেলে ডিয়ার ।এমনিই মজা করছিলাম ।
।
আনুশকা : আচ্ছা এবার খান ।
।
আগুন : okay okay খাচ্ছি ।
।
আনুশকা : খা খা ভালো করে খা,, বোম্বে মরিচ দিয়েছি খাবারে,, নিউজ পেপারে পড়েছিলাম এই মরিচ খেয়ে একজন ক্লিনিকে দুইমাস ছিলো ।
_এবার তুইও থাকবি ক্লিনিকে ।
আর আমি পালাবো ।
।
আগুন খাবার মুখে দিলো,,
মুখে দিয়েই আনুশকার দিকে
তাকালো ।
।
আনুশকা : আমাকে ভালোবাসেননা তাইনা,??
বলেই হাসি দিলো
।
আগুন আনুশকার দিকে তাকিয়ে একের পর এক খাবার খেতে লাগলো ।
।
আনুশকাতো অবাক,,
আগুনৈর ফেস বডি লাল হয়ে গেছে তারপরও সে খাচ্ছে ।
।
আগুন পুরো খাবার খেলো ।
।
খাওয়ার পর ইশারায় আনুশকাকে খেতে বললো,,,
।
আনুশকাতো ভয়ে শেষ,,,
আগুন কথা বলতে পারছেনা ।
।তাই উঠে গিয়ে কিছুটা ঢেড়স ফ্রাই আনুশকাকে খেতৈ বললো ।
।
আনুশকা ভুল করে নিজের খাবারেও মরিচ মিশিয়ে দিয়েছিলো,,
সে এই খাবার খেতৈ
পারবেনা ।
_
সে ছোট থেকেই ঝাল কম খায় আর এতো ঝাল তাহলে খাবে কি করে ।
।
আনুশকা : আমি খাবোনা,,
আমার ক্ষিদে নেই,,
আমাকে যেতে দিন রুমে,, ভয়ে কাদতে বললো ।
।
এবার আগুন নিজের ভয়ঙকর রুপ ধারণ করলো
সে নিজের শার্টের বোতাম খুলতৈ লাগলো ।
।
আনুশকা এটা দেখে আরো ভয় পেয়ে গেলো ।
_
আনুশকা : আপনি বোতাম গুলো খুলছেন কেনো???
আপনি কি করবেন??
।
প্লিজজজজজ এখানৈ কিছু করবেননা, সব সার্ভেন্টরা আছে ।
।
আগুন তাকে ইশারায় বোঝালো খেতৈ তা না হলে এখানেই,,, বোতাম এখনো খুলছে সে ।
।
আনুশকা : এই লোকের কোনো ভরসা নেই,,
তার চেয়ে বরং খাবার খেয়ে আমি মরে যায় ।
।
আনুশকা একবার একটু ফ্রাই মুখে দিয়েই একটা চিৎকার দিলো ।
ঝালে সে জোরে জোরে চিৎকার শুরু করলো ।
।
তখনি আগুন আনুশকাকে নিয়ে ওয়াস রুমে গেলো ।
।
চিল্লাতে চিল্লাতে আনুশকা হাপিয়ে গিয়েছিলো ।
।
আগুন ঝর্নার নিচে আনুশকাকে নিয়ে দাড়ালো
।
আনুশকা এখনো চিল্লাচ্ছে।
আগুন দুই হাত দিয়ে আনুশকাকে চেপে ধরে নিজের ঠোঁট আনুশকার ঠোটেঁ
দিলো ।
।
আনুশকা শান্ত হলো ।
প্রায় অনেক ক্ষণ হলো তাও আগুন ছাড়ছেনা ।
এবার আনুশকা আগুনকে ধাক্কা দিলো
।
আগুন ধাক্কা খেয়ে হায়েনা হয়ে গেলো ।
আনুশকা ওয়াস রুম থেকে
বের হওয়ার জন্য পা বাড়াতেই আগুন হাত ধরে টেনে ফ্লোরে ফেলে দিলো
।
নিজের শার্ট খুলে ফেললো ।
আগুনের বডি ঝালে লাল হয়েগেছে ,চোখগুলো রক্ত বর্ণ ধারণ করেছে ,ঠিক হিংস্র হায়েনা লাগছে তাকে ।
।
আনুশকা ভয়ে চোখ বন্ধ করে আছে ।
।
আগৃুন আনুশকার উপর ঝাপিয়ে পড়লো ।
।
আনুশকা চিৎকার করতে লাগলো
।
তবুও সে থামছেনা ।
।
আগুনের কিছুই খেয়াল থাকেনা রেগে গেলে ।
।
আগুনের মাথা কাজ করছেনা ঝালে ।
।
যতক্ষণ ঝাল না কমবে ততক্ষণ সে ।
।
প্রায় তিন ঘণ্টা পর আনৃশকাকে ছাড়লো আগৃন
।
আনুশকা চিৎকার করতে করতে জ্ঞান হারিয়েছে অনেক আগেই ।
।
আগুন বের হয়ে রুমে গেলো
।রুমে গিয়ে সব ভেঙে চুরমার করছে আগৃন ।
।
আগুনের রাগ চরম পর্যায়ে ।
হাত দিয়ে দেয়ালে ঘুষি মেরে চিৎকার করলো ।
।
তারপর ওয়াস রুমে গিয়ে আনুশকাকে দেখলো
গায়ের অনেক জায়গায় খামছি আর কামড়ের দাগ ।
।
আগুন আনুশকাকে জড়িয়ে ধরলো ।
।
তারপর ভিজে কাপড় চেন্জ করিয়ে রুমে নিয়ে বেডে শুইয়ে দিলো
।
।তারপর চেন্জ করে নাইট ড্রেস পড়লো
।
ওয়েট করতে থাকলো আনুশকার জ্ঞান ফিরার জন্য ।
এদিকে আগুনের হাতৈ ধোলায় খাওয়া লোকট অলরেডি প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে আগুনের কাছ থেকে আনুশকাকে কিডনাপ করার ।
লোকটি শহড়ের নাম করা সন্ত্রাসী ।মাডারের আসামি ।