Love Treatment পর্ব -১৪+১৫

#Love_Treatment
Part-14
Writer- Tanzin Islam Ishika

এইভাবেই তান্নাজ আর নিশমের দিন কাটতে থাকে,,, বেশির ভাগ তারা ঝগড়ায় মেতে থাকে,,, কিন্তু কেন জানি দুইজনের এই একে অপরের সাথে ঝগড়া করতে ভাল লাগে,,,
এইত সেই দিনের কথা,,,

তান্নাজঃ কিহ আমি বদমেজাজী,,, আরেহ আমার মত শান্ত শিষ্ট মেয়ে কথাও দেখেসেন,,, কখন ও দেখসেন কাউরো সাথে ঝগড়া করি,,,

নিশমঃ আল্লাহ যাতে না করুক তোমার মত শান্ত শিষ্ট মেয়ে আর এই দুনিয়াতে আসুক,,, আর কি জানি বললা তুমি কাউরো সাথে ঝগড়া করো না তহ এখন আমার সাথে কি কিরতাসো,,,

তান্নাজঃ আমি তহ এখন শুধু কথা বলতাসি😁

নিশমঃ আস্তা একটা মিথ্যুক বাজ,,,

তান্নাজঃ ওই মিয়া কি কইলেন আমি মিথ্যুক বাজ,,,, তা আপনি কি,,, হাতি এনাকন্ডা,,, লুংগি চোর,,, দেইখেন আপনার ভাগ্যে বউ জুটবো না,,,

নিশমঃ এই মাইয়া তোমারে না কইসি আমারে লুংগি চোর বলবা না,,,আর কি জানি বললা আমার ভাগ্যে বউ জুটবো না,, আমি এখন চাইলেই মেয়েদের লাইন লাগাতে পারি জানো,,,

তান্নাজঃ এহহহ বললেই হলো,,, এই বুইড়া বেটার জন্য নাকি মেয়েরা লাইন দিব,,, আমারে তহ চকলেট দিলেও লাইনে লাগুম না,,,

নিশমঃ হোয়াট ডু ইউ মিন বাই বুইড়া বেটা,,, এই মেয়ে আমি কোন দিক দিয়া বুইড়া হে,,, আমাকে দেখসো তুমি,,, ভারসিটির সব চেয়ে হেন্ডসাম বয় আমি,,, এটিটিউড নিয়ে,,,

তান্নাজঃ এহহহ আসছে মোর হেন্ডসাম,,, হেন্ডসামের হ ও নাই,,, দেখতে সাদা বিলাইর মত,, আইফেল টাওয়ারের মত হাইট,,, নাক ডাইনি বুড়ার মত,,, চোখ ফুটবলের মত,,, আর বডি জলহস্তির মত,,,

তান্নাজের বিবরণ শুনে নিশম যেন আকাশ থেকে পরলো,,, নিজের এমন বিবরণ শুনে ওই কাদবো না হাসবো বুঝতাসে না,,, নিশমের পাশেই রুহান ছিল,, রুহান তান্নাজের কথা শুনে হাসতে হাসতে নাই,,, কারন নিশম সত্যি ওদের সবার থেকে দেখতে অনেক বেশি হেন্ডসাম,,, কিন্তু কেউ যে ওর এমন প্রশংসা করবে তা কল্পনাও ভাবতে পারেনি,,, রুহান নিজের হাসি থামিয়ে তান্নাজকে জিজ্ঞাসা করে,,

রুহানঃ আচ্ছা সব এই বুঝলাম,,, কিন্তু ডাইনি বুড়া আবার কি,,,

তান্নাজঃ আরেহ বুঝেন নাই,,,

রুহান মাথা নাড়ায়,,, যার মানে সে বুঝে নি,,,

তান্নাজঃ মেয়েরা যখন ডাইনি বুড়ি হতে পারে তাহলে ছেলেরা অবশ্যই ডাইনি বুড়া,,,, ঠিক না,,😁

রুহান তহ তান্নাজের কথা শুনে হাসতে হাসতে শেষ,,,এমন ও কেউ ভাবতে পারে তা তার জানা ছিল না,,,সে কোন মতে হাসি থামিয়ে বলে,,

রুহানঃ হা হা একদম ঠিক,,,

নিশম রুহানের দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকায়,, যার ফলে রুহান একদম চুপসে যায়,,, কারন সে জানে এখন হাসলে ওর খবর আছে,,,

নিশমঃ আর তুমি কি হা গোল ইন্দুর,,, আমারে আসছে বলতে,,,

তান্নাজঃ কিহ আমি গোল ইন্দুর,,, তা আপনি কি হা,,, জিরাফের চাচা,,, হাতির মামা,,, বিলাইর শ্বশুর,,, লুংগি চোরের জামাই,,,

নিশমঃ তোমার সাহস তহ কম না তুমি আমারে এত কিছু বলো,,,

তান্নাজঃ আরও অনেক কিছু বলতা কিন্তু মনে পরতাসে না,,, পরের বারের জন্য বাচাইয়া রাখলাম,,,

নিশমঃ তোমারে তহ আমি,,,, ঝগড়াইটা মাইয়া একটা,,

তান্নাজঃ কি আমি ঝগড়াইটা,,, হুহ আজ ঝগড়া করতে পারি না বলে,,, নাইলে আমিও পালটা জবাব দিতে পারতাম,,, আমি কি কাউরো সাথে ঝগড়া করতে পারি,,, এই মিতু তুই বল আমি কি আজ পর্যন্ত কাউরো সাথে ঝগড়া করসি,,,

মিতু এতখুন চুপ চাপ তাদের ঝগড়া দেখছিল,,,

মিতুঃ না তুই কি আর ঝগড়া করতে পারস,, তুই তহ কত ভাল মেয়ে তাই না,,, ঝগড়া তহ আর তুই করস না,,, শুধু মনে হয় তুই ঝগড়া করস,,, ( বদজাতের হাড্ডি একটা,, সব সময় ঝগড়া করে আর কই কি আমি কি ঝগড়া করতে পারি,,, তুই ঝগড়া না করলে কি আমার বাপ ঝগড়া করে,,, হুহ,,, মনে মনে)

তান্নাজঃ দেখসেন,,, প্রমান হয়ে গেল আমি ঝগড়া করি না,,,

নিশমঃ হুহ,,, তোমারে তহ,,, আর কিছু বলার আগেই নিশমের ফোন বেজে উঠে,,, তারপর সে কিছু কথা বলে রুহানকে নিয়ে চলে যায়,,, যাওয়ার আগে তান্নাজকে বলে,

নিশমঃ আমার একটু কাজ আছে তাই আমাকে বাইরে যেতে হবে তুমি কিন্তু মিতুর সাথেই থাকবা,,,

তান্নাজঃ আমি আমার জামাইরে নিতে ঘুরতে যামু,,, মিতুর সাথে থাকুম কেন হুম,,,

নিশমঃ এই মাথা মোটারে বুঝাইয়া লাভ নাই,, মিতু তুমি কিন্তু ওর সাথেই থেক,,,

মিতুঃ হুম,,

তান্নাজঃ ওই মিয়া কি কইলেন আমি মাথা মোটা,,,

নিশম তান্নাজের কথা উপেক্ষা করে চলে যায়,,,

মিতুঃ বাদ দে না,,, চল তহ,,,

তান্নাজঃ হুহ,,, দেইখা নিমু ওরে,,,

মিতুঃ আচ্ছা যত ইচ্ছা তোত দেখিস এখন চল বইন,,,

তান্নাজঃ হুম চল,,, অনেক ক্ষুদা পাইসে,,,

মিতুঃ চল,,

তারপর তারা কেন্টিনে গিয়ে কিছু খেয়ে নেয়,,, বিকালে নিশম আর রুহান বাসায় ফিরছিল,,, নিশম ড্রাইভ করছে আর রুহান পাশের সিটে বসে আছে,,, হঠাৎ রুহান বলে উঠে,,,

রুহানঃ এই দেখ দেখ এইটা তান্নাজ না,,,

নিশম তারাতারি গাড়ি ব্রেক করে বলে,,,

নিশমঃ কই,,,

রুহানঃ ওইজে ওই রিকশায়,,

নিশমঃ ওয়েট,,,

নিশম গাড়ি ঘুরিয়ে তান্নাজের পিছু নেয়,,, প্রায় বিশ মিনিট পর রিকশাটা একটা জায়গায় এসে থামে,,, নিশমও কিছু দূরত্ব বজায় রেখে গাড়ি পার্ক করে,,,
নিশম ভাল করে খেয়াল করে দেখে এইটা একটা অরফোনেজ,,, নিশম এইটা বুঝতে পারে না তান্নাজ এইখানে কেন আসছে,,, তারা দেখে তান্নাজ রিকশা থেকে মেনে ভিতরে যায়,,, নিশম আর রুহান ও পিছে পিছে যায়,,, তারা গিয়ে দেখে সব বাচ্চারা তান্নাজকে ঘিরে দারিয়ে আছ্র আর তান্নাজ তাদের চকলেট দিচ্ছে,,, আর ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খেলছে,,, সবাইকে চকলেট দিয়ে সবার সাথে কানামাছি খেলতে থাকে,,, সব বাচ্চাদের মাঝে তান্নাজও যেন ছোট বাচ্চা হয়ে গেছে,,, সে খিল খিল করে হাসছে,,, দৌড়া দৌড়ি করছে,,, যেন সেও তাদের মত বাচ্চা,,, নিশম তান্নাজকে আগে কখনও এইভাবে ওকে হাসতে দেখে নি,,, তান্নাজের সব কাজ কর্ম নিশম মুগ্ধ নয়নে দেখছে,,, তান্নাজের প্রতি এক ভাললাগা কাজ করছে,,, তান্নাজ প্রায় অনেক খুন তাদের সাথে খেলে চলে যায়,,, তান্নাজকে আসতে দেখে নিশম আর রুহান সরে যায়,,, তানবাজ চলে যাওয়ার পর রুহান বলে,,,

রুহানঃ এইটা কি ঠিক হচ্ছে,,,

নিশমঃ কোনটা,,,

রুহানঃ এইজে যেটা আমরা তান্নাজের সাথে করছি,,, হা মানি ওই একটি ঝগড়াইটা টাইপ আর একটু বেপরোয়া,, কিন্তু ওর মনে কিন্তু অনেক পিউর,,, দেখেই বুঝা যাচ্ছে ওর মন কত পরিষ্কার,,, একদম নিশ্বপাপ,,, যে এই অনাথ ছেলেমেয়েদের আপন করে নিতে পারে,,, সে অবশ্যই কোন খারাপ মানুষ হতে পারে না,,,ওর সাথে এমন করাটা ঠিক হবে না,, তোর আরেকবার ভাবা উচিৎ

নিশম রুহানের কথা শুনে কিছু বলতে পারলো না,, সে কেন জানি রুহানের সাথে এক মত,,, কিন্তু তার ভিতর যে তান্নাজের প্রতি এক আলাদা অনুভূতি সৃষ্টি হচ্ছে,, সে জানে না এই অনুভুতির নাম কি,,, কিন্তু সে এতটুকু জানে সে এখন তান্নাজের সাথে থাকতে চায়,,, হয়তো এইটাই প্রথম ধাপ ভালবাসার,,,#Love_Treatment
Part-15
Writer- Tanzin Islam Ishika

নিশম রুহানের কথা শুনে কিছু বলতে পারলো না,, সে কেন জানি রুহানের সাথে এক মত,,, কিন্তু তার ভিতর যে তান্নাজের প্রতি এক আলাদা অনুভূতি সৃষ্টি হচ্ছে,, সে জানে না এই অনুভুতির নাম কি,,, কিন্তু সে এতটুকু জানে সে এখন তান্নাজের সাথে থাকতে চায়,,, হয়তো এইটাই প্রথম ধাপ ভালবাসার,,,



এইভাবেই কিছুদিন কেটে যায়,,, তান্নাজ আগের মতই আছে,,, কিন্তু নিশমের মধ্যে কিছু চেঞ্জ আসে,,, যেমন তান্নাজের জন্য বেশি কেয়ারনেস,, তান্নাজের প্রতি বেশি খেয়াল রাখা,, তান্নাজের সব ইনফরমেশন নেয়া,,, আর সে এই ইনফরমেশনটা নেয় মিতুর কাছ থেকে,,, তান্নাজ কথায় যায় না যায় সব সে মিতু থেকে জেনে নেয়,,, কিন্তু যত যাই হক তাদের ঝগড়া অফ হয় না,,, হঠাৎ টিচার্সরা পিকনিক অর্গোনাইজ করে,,, সবাইকে টাংগাইলের যমুনা রির্সোটে নিয়ে যাওয়া হবে,,সেখানে সব ইয়ারের ছেলে মেয়েরা যেতে পারবে,,, সবাই শুনে তহ মহা খুশি,,, সবাই সবার মত প্লেন করতে থাকে,,,
তখন মিতু এসে তান্নাজের পাশে বসে আর বলে,,,


মিতুঃ কিরে পিকনিকে যাবি না,,,

তান্নাজঃ আমি আবার না যাব,,,তুই যাবি না,,

মিতুঃ তুই যাবি আর আমি যাব না এমন কি হয়,,,

তান্নাজঃ এই না হলো আমার ফ্রেন্ড,,, আচ্ছা কবে যাচ্ছে তারা,,

মিতুঃ নেক্সট উয়িক,,,

তান্নাজঃ ওকে ডান,,,

এইদিকে,,

রুহানঃ কিরে নিশম তুই পিকনিকে যাবি না,,,

নিশমঃ মুড নেই,,, এইসব আউল ফাউল জায়গা যাওয়ার মত টাইম নেই আমার,,,

নিয়ানঃ এইটা কিন্তু ঠিক না,,, সবাই মিলে যাব ফান করবো,,,

রায়ানঃ হা দোস্ত চল না প্লিজ,,,

নিশমঃ নো ইয়ার,,, অন্য এক সময়,,,
এই বলে নিশম চলে যায়,,, যাওয়ার সময় মিতুর সাথে দেখা হয় আর সে সেখান থেকে জানতে পারে তান্নাজও যাবে,,, তাই নিশম তার প্লেন চেঞ্জ করে,,, এন্ড সে যাবে বলে ডিসাইড করে,,, কিন্তু তা সম্পর্কে কাউকে বলে না,,, এই দিকে তান্নাজ অনেক হ্যপি জেনে যে নিশম যাবে না,,, তাই সে মনের আনন্দে পিকনিকে যাওয়ার জন্য পিপারেশন নিতে থাকে,,,
On picnic day,,,


তান্নাজ আগেই ভারসিটি এসে পরেছে,,, তান্নাজের আবার ঘুরার প্রতি ইন্টেরেস্ট বেশি,, ( আপনাদের লেখিকার মত😁)
তান্নাজ সবার জন্য ওয়েট করতে থাকে,,, আস্তে আস্তে সবাই আসে,,, কিন্তু মিতু আসতে পারি নি কারন মিতুর নাকি ফুপির শ্বশুর মারা গেছে তাই তার ফেমিলিকে গ্রামের বাড়ি যেতে হয়েছে,,, তাতে তান্নাজের মন একটু খারাপ হয়ে যায় কেননা মিতু বাদে তার তেমন কোন ক্লোস ফ্রেন্ড নেই,,, বাট তাতেও সমস্যা নেই কেন না সবার সাথেই তার মোটামোটি ভাল সম্পর্ক,, সবাই এসে গেছে,,, তাই টিচার্সরা সবাইকে বাসে উঠতে বলছে,,, তান্নাজও বাসে গিয়ে উন্ডো সিটে বসে পরলো,,, সবাই বাসে উঠে গেসে,,, কিন্তু তান্নাজের পাশেই কেউ বসেনি,,, তান্নাজ সে সব পারওয়া না করে কানে ইয়ারফোন দিয়ে গান শুনতে থাকে,,, বাস ছেড়ে দিবে এই সময় একজন এসে বাসে উঠে,,, তারপর গিয়ে তান্নাজের পাশে বসে,,, তান্নাজ তখন চোখ বন্ধ করে গান শুনছিল,,, তাই সে বুঝতে পারেনি কেউ তার পাশে বসছে,,, বাস ছেড়ে দেয়,,, সবাই হৈ চৈ করতে থাকে,,, হঠাৎ তান্নাজে ফিল করলো কেউ তার কোমর জরিয়ে ধরেছে,,, সে তারা তারি চোখ খুলে পাশে তাকিয়ে যা দেখলো তাতে যেন তার মাথায় আকাশ ভেংগে পরলো,,,

তার পাশে আর কেউ না নিশম বসে আছে,, আর এক হাত দিয়ে ওর কোমর জরিয়ে ধরে আছে,, তান্নাজ রাগে ফুসতে ফুসতে বলে,,

তান্নাজঃ এই আপনি এইখানে কি করছেন,,, আপনি না পিকনিকে যাবেন না,,,

নিশমঃ হুম বলসি,,এক্স আর এখন বলতাসি যাব,, এনি প্রবলেম,,,

তান্নাজঃ তা যাবেন ভাল কথা আমাদের বাসে কি করছেন,,, নিজের বাসে যান,,,

নিশমঃ আমি আসতে লেট করছি তাই ওই বাস ফুল হয়ে গিয়েছিল,,, তাই সার রা আমাকে এই বাসে পাঠায়,,, অসহায় একটা লুক নিয়ে,,

তান্নাজঃ তা সার রা কি আমার কোমর ও জরাইয়া ধরতে বলসে,,, রাগে ফুসতে ফুসতে,,

নিশমঃ তা কেন বলবে,,

তান্নাজঃ তাহলে আমাকে টাচ করার সাহস হয় কিভাবে আপনার,,

নিশম তান্নাজের কোমর আর শক্ত করে ধরে নিজের দিকে টান দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে বলে,,,

নিশমঃ এমনে,,

তান্নাজঃ ছাড়েন বলতাসি,, নাইলে কিন্তু খারাপ হয়ে যাবে,,

নিশমঃ কি খারাপ হবে শুনি,,, দুষ্টু হাসি দিয়ে,,,

তান্নাজঃ ছাড়েন নাইলে চিৎকার করবো,,

নিশমঃ করো না,,, কে মানা করসে,, কিন্তু চিৎকার করলে তোমার এই ক্ষতি,,

তান্নাজঃ মানে,,

নিশমঃ এইখানে সবাই তোমার ক্লাসমেট,, তুমি যদি এখন চিৎকার করো তাহলে এখন তোমার পক্ষ নিলেও পরবর্তীতে সবাই তোমাকেই কথা শুনাবে,,, আর যদি সবাই এই নিউজ জানে তাহলে সবার মাঝে ছড়িয়ে যাবে,, আর যদি এই কথা তোমার বাবা মার কানে যায় তাহলে তোমার বের হয়াই বন্ধ করে দিবে,,,তার উপর এইখানে টিচার্সরাও আছে,,, তুমি যদি এখন সিনক্রিয়েট করো তাহলে টিচাররা আমাদের দুইজনকে এখানেই নামিয়ে দিবে,,, তারপর কিন্তু তোমাকে আমার সাথে থাকতে হবে,,, তুমি যদি আমার সাথে থাকতে চাও আমার কোন প্রবলেম নেই,,,

তান্নাজ ভেবে দেখলো ঠিক এই তহ,, এখন কোন জামেলা করলে ওর এই সমস্যা হবে,,, কিন্তু এভাবেও থাকা যাবে না,, তাই তান্নাজ চুপ করে থাকে,, পরে তান্নাজ বলে,,

তান্নাজঃ আচ্ছা আমি বলছিলাম কি ভাইয়া,,, আমি কিছু বলবো না,,, কিন্তু কাইন্ডলি যদি আমার থেকে একটু দুরে বসতেন,, আমার আনইজি লাগতাসে,,,

নিশমঃ ওই মাইয়া,, আমি তোমার কোন জন্মের ভাই,, সবাই আমাকে তার সপ্নের রাজকুমার বানাতে চায় আর তুমি কি না আমকে ভাই বলছো,,, আর কেন সরবো,,, সরবো না আমি,, তোমাকে এইভাবেই থাকতে হবে বুঝলা,,

তান্নাজঃ যারা আপনাকে সপ্নের রাজকুমার বানাতে চায় তাদের মেবি চোখে সমস্যা আছে,,, কেন না একটা সাদা ভাল্লুককে রাজকুমার তহ দুরের কথা রাজকুমারের সেনাপতি ও বানামু না,,

নিশমঃ কি আমি ভাল্লুক,, এখন দেখ এই ভাল্লুক কি করতে পারে,,,

তারপর নিশম তান্নাজের ঠোঁটের দিকে এগুতে লাগলে তান্নাজ দুই হাত দিয়ে নিজের ঠোঁট চেপে ধরে,,, তা দেখে নিশম ভ্র কুচকিয়ে তাকায়,,,

তান্নাজঃ আমি কি বলসি আপনি ভাল্লুক,,, আপনি তহ কত সুন্দর ভাল্লুক থুক্কু মানুষ,,, আপনাকে কি আমি ভাল্লুক বলতে পারি,,,

নিশমঃ হুম,, মনে থাকে যেন,,,

তান্নাজঃ এখন তহ ছাড়েন,,

নিশমঃ জি না যেমনে আছো ওমনেই থাকো,,, তা না হলে যেতে করতে যাচ্ছিলাম তা কিন্তু এইবার ইনকোম্পিট রাখবো না,,,

তান্নাজ আর কিছু না বলে চুপ হয়ে যায়,,, আর চুপচাপ বসে থাকে,,,,



চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here