Mr devil part 21+22+23

গল্পঃ #Mr_Devil
(A Psycho love story)
লেখিকা: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_২১

মুন : না মানে কোন কথা ?
রোদ : ভুলে গেছো
মুন : একটু মনে করিয়ে দিন

(ওরে হারামী তুই কি একটা কথা বলিস যে মনে থাকবে সারাদিন তো বক বক করে যাস বুঝবে কেমনে কোন কথা আজব)

রোদ : তোমাকে বলেছিলাম যে তোর সব কিছু জুড়ে শুধু আমি থাকবো আর কেউ না
মুন : হুম আমার সব কিছু জুড়ে তো আপনি আছে আর কেউ নেই সত্যি বলছি উনি শুধু আমার মামাতো ভাই আমি
রোদ : আমি জানি বিয়েতে আমি উনাকে দেখেছিলাম সেই জন্য আমি তোমাকে কিছু বললাম না । তোমার সব কিছু জুড়ে আমি আছি অন্য কাউকে আসতে দিলে তো আসবে কিন্ত যেদিন তুমি আমাকে ঠকানোর কথা চিন্তা করবে সেদিন আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না (শান্ত গলায়)
মুন : শান্ত গলায় ও হুমকি (মনে মনে)
রোদ : আমি আজ তোমায় কিছু বলিনি কারণ তোমার চোখে আজ আমি সেই ভয় দেখতে পেয়েছি যেটা আমি দেখতে চাই । তোমাকে এভাবে ভয়ে ভয়ে যাতে আমাকে কখন ছেরে যেতে না পারো (মনে মনে)



কিছুক্ষণ পর
রাজ রানী আসলো

রানী : মুন এদিকে আয় দেখ তোর জন্য কি এনেছি

রানীর ডাকে মুন রোদের দিকে তাকায়

মুন : আপু ডাকছে ( ভয়ে ভয়ে )

রোদ কিছুক্ষণ মুনের দিকে তাকিয়ে থেকে বললো।
রোদ : যাও

মুন নিচে চলে গেলো আর রোদ মুচকি হেসে ল্যাপটপ নিয়ে বসলো

মুন : আপু ডাকছ
রানী : এই নে ice cream তখন তো খেতে পারলি না
মুন : ice cream নিয়ে খেতে শুরু করে

রানী : মুন আমি ফ্রেশ হয়ে আসি তারপর আড্ডা দেবো
মুন : আচ্ছা

মুন ice cream খেতে খেতে রুমে যায়

রোদ ল্যাপটপে চোখ রেখে বললো

রোদ : ice cream কোথায় পেলে?
মুন : আপু দিচ্ছে
রোদ : ঠান্ডা লাগল তোমার হবে(দাতে দাত চেপে)
মুন : সালা হুমকি ছাড়া আর কিছু দিতে পারে না (মনে মনে)

(হো রে বইন ঠিক কয়ছিস তোর সালা হয় ।ভাবছি তোরে ছেলে বানিয়ে রোদকে তোর সালা বানিয়ে দেব কেমন হবে?)

মুন রোদের পাশে বসলো।

মুন : খাবেন ?
রোদ : না তুমি খাও।
মুন : আমি তো খাচ্ছি আপনি ও খান(মুচকি হেসে)
রোদ : না (কাজ করতে করতে)
মুন : এতো কিসের কাজ করছেন বলেন রো একটু খেলে কি হয় (গাল ফুলিয়ে)
রোদ : আমি খেলে তুমি খুশি ?
মুন : তেমন কিছু না কিন্ত আপনি যদি খান আপনার ঠান্ডা লাগল পরে আমাকে আর বকতে পারবেন না

রোদ কিছুক্ষণ মুনের দিকে তাকিয়ে থেকে মুনের হাত থেকে ice cream খেয়ে নেয়।

রোদ কাজ করছে আর মুন খাচ্ছে একটু পর পর রোদের মুখে দিচ্ছে রোদ ও মুচকি হেসে খাচ্ছে

রানী : মুন চল ছাদে যাই
মুন : চলো

মুন রোদের দিকে তাকিয়ে রানীর হাত ধরে ছাদে গেলো।



মুন : আপু তোমাদের বিয়ের পর কোথাও ঘুরতে গিয়েছিলে?
রানী: অনেক বার গিয়েছি
মুন : ইসস আমি কোথাও যেতে পারলাম না । ভাইয়া কত ভালো
রানী : হুম রে রাজের মত স্বামী পেয়ে সত্যি আমি খুব খুশি আল্লাহ কাছে অনেক শুকরিয়া যে রাজের মত স্বামী দিয়েছে । জানিস আমার চাওয়ার আগেই ও সব এনে দেয় খুব ভালোবাসে আমায় । তবে রোদ ও খুব ভালো ছেলে ।
মুন : হুম আমার জামাই এর সাথে কারোর তুলনা হয়না he is my #devil_husband

২ জনে হাসতে লাগে

রানী : মুন তুই তো রোদের সব কিছু জানিস এখন আর রোদকে কষ্ট পেতে দিস না
মুন : আমি বেচে থাকতে রোদকে কোনো কষ্ট পেতে দেবো না সব সময় ছায়া হয়ে থাকবো
রানী : এই নাহলে আমার বোন
আচ্ছা চল আজ কিছু স্পেশাল খাবার বানাই
মুন : হুম চলো

২জন কিচেনে গিয়ে রান্না শুরু করে



রাজ : কীরে কি করিস ?
রোদ : অফিসের কাজ করছি
রাজ : বাসায় আবার কিসের কাজ ?
রোদ : ২,৩দিন পর মুনকে নিয়ে ঘুরতে যাব তাই আগের থেকে কাজ করে রাখছি ।
রাজ : ওহ ভালো তো মুনকে বলেছিস ?
রোদ : না ওকে surprise দেবো
রাজ : ভালোই হবে
রোদ : তোরা ও যাচ্ছিস আমার সাথে
রাজ : আমরা কিসের জন্য
রোদ : মুন ওখানে গেলে ওর মন পড়ে থাকবে রানীর কাছে । আর রানী গেলে তো ও খুব খুশি হবে । আমি মুনের ভিসা বানাতে দিছি
রাজ : কোথায় যাবি ?
রোদ : সুইজলান্ড মুন ওটাকে dream land বলে।
রাজ : বাহ খুব ভালোই হবে

২বন্ধু মিলে যাওয়ার আরো অনেক প্ল্যানিং করছে

রাতে রানী আর মুনের রান্না প্রায় শেষ
মুন : আপু তুমি যাও ফ্রেশ হয়ে নাও তুমি আসার পর আমি যাবো
রানী : sure?
মুন: হুম

রানী উপরে চলে গেলো
মুন রান্না টেস্ট করে দেখছে
মুন : বাহ সেই সুন্দর হয়েছে। রোদের পছন্দ হলেই হলো যা খাটাস



In London

একটা হ্যান্ডসাম ছেলে নিজের চুল সেট করতে করতে খান বাড়িতে ঢুকছে

ছেলেটি : মম মম (চিৎকার করে)
সার্ভমেনট: ম্যাডাম তো বাইরে গেছেন । আপনি আসবেন টা ম্যাডাম জানতো না

ছেলেটি রেগে উপরে চলে গেলো।

একটু পর রেডী হয়ে নিচে নামলো।

ছেলেটি : আমি কিছুক্ষণের জন্য বাইরে যাচ্ছি মম আসলে বলবে উনার সাথে আমার ইম্পর্ট্যান্ট কথা আছে।

বলে বেরিয়ে গেলো



In BD

মুন খাবার বেড়ে রুমে যায়

মুন : খাবার রেডী হয়ে গেছে ।
রোদ : হুম আর একটু আছে
মুন : কোন মেয়ের পাল্লায় পরলো আল্লাহ জানে

মুন ফ্রেশ হতে গেলো। বেরিয়ে দেখে রোদ এখন ও ল্যাপটপ নিয়ে বসে আছে

মুন রোদের পাশে গিয়ে ল্যাপটপ নিয়ে নিল

রোদ : কি হলো এটা?
মুন : আপনি বলেছিলেন আমার সব কিছু জুড়ে আপনি থাকবেন তাহলে আমার ও তো ইচ্ছা করে আপনার সব কিছু জুড়ে আমি থাকতে (কাদো কাদো মুখ করে)

রোদ মুনের হাত থেকে ল্যাপটপ নিয়ে মুনের ২ গালে হাত দিয়ে বলে

রোদ : আমার সব কিছু জুড়ে তুমি আছো ?
মুন : মিথ্যে কথা আপনি সারাদিন শুধু কাজ আর কাজ নিয়ে থাকেন আমি আপনার সামনে থাকলে ও পাত্তা দেন না (কাদতে কাদতে)

রোদ মুনকে বুকের জড়িয়ে ধরে

রোদ : কে বলেছে আমি যা করি সব তোমার জন্য করি । তুমি ছাড়া আমার লাইফে আর কে আছে তুমি তো আমার সব
মুন : হ্ন এখন কাছে আছি তাই বুঝছেন না যখন দূরে চলে যাবো তখন আমার মূল্য বুঝবেন (নাক টানতে টানতে)
রোদ : এবার কিন্ত রাগ হচ্ছে

মুন কিছু না বলে কেদেই যাচ্ছে । রোদ কিছুক্ষণ চুপ থেকে মুনকে কোলে নিয়ে হাত ধরে ।

সারা ঘরে পাইচাড়ি করছে আর মুন রোদের গলা জড়িয়ে কেদেই যাচ্ছে ।

অনেকক্ষণ পর
রোদ : তুমি যদি আর কান্না করো তাহলে তোমার জন্য আমি আর চকোলেট আনবো না আমি তো ভাবছি কাল আসার সময় অনেক রকমের চকোলেট আনবো
মুন : আমি বাচ্চা না যে চকলেট দেখিয়ে মন গলাবেন (নাক ডলতে ডলতে)
রোদ : ওহ আচ্ছা তাহলে কি করলে ম্যাডাম এর মন গলবে ?
মুন : promise
রোদ: প্রমিজ?
মুন: হুম আপনি প্রমিজ করুন আমাকে সব সময় এমন ভালোবাসবেন
রোদ : সে তো বাসবই তোমাকে ছাড়া কাকে ভালোবাসবো ( কপালে চুমু দিয়ে)
মুন : প্রমিজ করুন আমাকে বেশি করে সময় দিবেন ?
রোদ : ওকে বাবা প্রমিজ
মুন : এবার কোলে নিয়ে নিচে চলুন খুদা লাগছে
রোদ : জো হুকুম মহারানী

রোদ মুনকে নিয়ে নিচে গিয়ে বসলো

রানী : কীরে মুন তোর চোখ মুখ ফুলা কেনো?
রোদ : কান্না করছে ?
রানী : কেনো?
রোদ : আমি নাকি ওকে টাইম দি না অন্য কারোর সাথে আছি এসব নিয়ে । এখন ও চোখ মুখ ফুলে রেখেছে এখন ওর চেহেরা নষ্ট হয়ে গেলে তো আমায় আবার বিয়ে করতে হবে তাই না ( মুচকি হেসে)

মুন এবার জোরে জোরে কান্না করলো

রানী : রোদ অনেক হলো আবার থাম
রোদ : না আমি ও দেখতে চাই ও কত কাদতে পারে
মুন : আমি যখন অনেক দূরে চলে যাব তখন আপনি আমার থেকে ও বেশি কাদবেন হ্ন

রোদের তো মন চাচ্ছে মুনকে তুলে আছার মারতে

রানী : আচ্ছা অনেক হলো এবার খাওয়া শুরু করো আরেক জনের তো খোজ নেই

রাজ : এই তো আমি এখানে

রানী : এতক্ষণ লাগে আসতে ?
রাজ : সরি
কি ব্যাপার মুনের চোখে পানি কেনো

মুন : আমি খাবো না

বলে উঠে যাচ্ছিলো রোদ হাত ধরে টেনে বসিয়ে দেয়

রোদ: কোথায় যাচ্ছ খুব সাহস বেরেছে তাই না এখন উঠলে ঠাং ভেঙ্গে বসিয়ে রাখবো (রেগে)

মুন…
রোদ : এভাবে বসে থাকলে কিন্ত সত্যি সত্যি বিয়ে করবো (দুষ্টুমি করে)

মুন এবার কাদতে কাদতে রোদের বুকে কিল মারতে থাকে

রাজ আর রানি হাসতে হাসতে শেষ।

রোদ : অনেক মেরেছ এবার খাবার খাও
মুন : উহু

রোদ জোর করে মুনের মুখে খাবার পুড়ে দেয়।

রোদ মুনকে খাওয়াচ্ছে আর রাজ রানী ওদের দেখে মুচকি হাসছে।


খাওয়া শেষে
রোদ রুমে গিয়ে অবাক
গল্পঃ #Mr_Devil
(A Psycho love story)
লেখিকা :নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_23
রোদ রুমে গিয়ে দেখে ঘরে সব কিছু এলোমেলো আর মুন ফ্লোরে হাঁটুতে মুখ গুজে কাদছে ।

রোদ কিছুক্ষণ মুনের দিকে তাকিয়ে থেকে মুনের কাছে যায় । মুনের মুখ তুলে দেখে চোখ মুখ ফুলে লালা হয়ে আছে

রোদ : কি হলো এভাবে কাদছো কেনো ?

মুন কোনো কথা বলে না
রোদ : কি হলো আমাকে বলবে না কি হয়েছে?

মুন এবার রোদের বুকে জোরে জোরে কান্না করে ।

মুন : আআআআআআআআআআআআআআআআহ

রোদ : কি হলো আমার কলিজার ?
মুন : আপনি খুব খারাপ আপনি আমাকে একটু ও ভালবাসেন না (কাদতে কাদতে)
রোদ : কে বলেছে আমি তোমাকে ভালোবাসি না
মুন : আমি বলছি
রোদ : তুমি বললে তো সত্যি টা পাল্টে যাবে না আমি তোমাকে ভালোবাসি কি সেটা আল্লাহ খুব ভালো করে জানে
মুন : আল্লাহ জানলে ত হবে না আল্লাহ বান্দা কে তো জানতে হবে (কান্না অফ করে)
রোদ : সে যদি বুঝে ও না বুঝার ভান করে তাহলে আমার কিছু করার নেই
মুন : হ্ন (নিরবে কাদতে কাদতে )

রোদ : অনেক হয়েছে কান্নাকাটি এবার চুপ করো তোমার চোখে আমি আর একটু ও পানি দেখতে চাইনা (ধমক দিয়ে)
মুন : আস্ত খাটাস কথায় কথায় শুধু ধমক দেয় ।

রোদ মুনকে কোলে তুলে ঘরে পাইচাড়ী করছে ।

রোদ : প্লিজ কান্না থামাও
মুন : না আর কান্না থামবো না আপনি শুধু আমাকে কষ্ট দিন ।
রোদ : ওকে আর কষ্ট দেবো না কিন্ত তুমি আমাকে রাগিয়ে দিবা না
মুন : যা রাগ তো শুধু আপনার হয় আমাদের তো কারোর রাগ নেই
রোদ : কি করবো আমার রাগ বেশি তুমি কি পারবে তোমার ভালোবাসা দিয়ে আমার রাগ কূমাতে
মুন : পারবো আমি সব পারবো আপনার জন্য সব কিছু করতে রাজি । আপনার মনে যে ভুল ধারণা আছে সেটা আমি দুর করেই ছাড়বো (মনে মনে)
রোদ : কিহলো
মুন : কিছু না আমার ঘুম পাচ্ছে চলুন ঘুমাবেন

রোদ মুনকে বিছানায় শুয়ে দিয়ে পাশে শুয়ে পড়ে।

মুন বালিশের নিচ থেকে চকোলেট বের করে খেতে থাকে।
রোদ : এখন খাচ্ছ কেনো ?(ভ্রু কুচকে)
মুন : বারে কতক্ষন ধরে কাদলাম একটু এনার্জি দরকার আছে না

রোদ হু হা করে হেসে দিল

রোদ : পাগলী একটা

বলে মুনকে জড়িয়ে ধরলো ।

মুন : চকোলেট খাবেন ?
রোদ : না তুমি খাও আর আমি তোমাকে দেখি

মুন আর কিছু বলল না ।


In London

ছেলেটা বাড়ি ফিরে ওর মম কে দেখে জড়িয়ে ধরে

নীলিমা খান : এসে গেছো আমার বেটা
জয় : জী মম (ছেলেটার নাম )
নীলিমা খান : তো কেমন কাটলো?
জয়: খুব ভালো তোমাকে একটা কথা জানানোর বাকি ছিল ।
নীলিমা: হা বলো
জয়: মম i love someone
নীলিমা: কে সেই মেয়ে নাম কি তার কোথায় থাকে?
জয়: নাম পরি এই হলো তার ছবি । আর কিছুদিন পর এখানে আসবে তোমার সাথে দেখা করতে ।
নীলিমা: so pretty
জয় : দেখতে হবে না কার ভালোবাসা । এখন আমি গেলাম যেদিন আসবে আমি তোমাকে জানিয়ে দিবো।

জয় চলে গেলো।
নীলিমা : ছেলেটা একদম ওর বাবার মতো হয়েছে কখনো কি করে নিজে ও জানে না । অ্যাকসিডেন্ট এ যদি ওর আব্বু মারা না যেতো

বলে চলে গেলেন ।

জয় রুমে ঢুকে কাউকে একটা ফোন করলো।

জয়: সব রেডী তো ?
…..
জয় : আমার জান কিন্ত খুব তাড়াতাড়ি আসবে । তার স্বাগতম যেনো খুব ভালো করে হয় ।
….

জয় ফোনটা কেটে দিয়ে তার পরীর কথা ভাবতে থাকে।



In BD
সকালে মুন উঠে ফ্রেশ হয়ে কিচেনে চলে যায় ।

মুন : কি ব্যাপার আজ আপু উঠলো না কেনো ? থাক আমি বরং নাস্তা বানাই । আপু ঘুমাচ্ছে

মুন নাস্তা বানাতে শুরু করলো ।

কিছুক্ষণ পর রানী আসলো।

রানী : সরি রে আজ একটু দেরি হয়ে গেল।
মুন : আরে আপু কোনো ব্যাপার না তোমার ঘুম না হলে যাও ঘুমাও । এখানে সব কাজ শেষ ।
রানী : দে সবজি আমি বানাচ্ছি ।
মুন : থাক না আপু
রানী : আরে দে ত

রানী সবজি কেটে বানাতে লাগলো।

মুন : আপু আজ এতো দেরি হলো কেনো ?
রানী : কাল রাতে মাথা যন্ত্রণা করছিলো তাই ওষুধ খেয়ে ঘুম
মুন : ওহ আমি ভাবলাম অন্য কিছু (দুষ্টু হেসে)
রানী : খুব পাকনা হয়েছিস তাই না
মুন : হয়েছে এবার কফি দাও ভাইয়া আর রোদকে দিয়ে আসি।

রানী : তোর ভাইয়া আজ নরমাল কফি খাবে আর রোদের জন্য ব্ল্যাক কফি।

মুন কফি নিয়ে রাজের রুমে যায়।

মুন : ভাইয়া আসবো?
রাজ : আরে মুন আসো তোমার আবার পারমিশন লাগে নাকি
মুন : আপনার কফি
রাজ : থ্যাঙ্কু (কফিতে চুমুক দিয়ে) রোদ কে একটু তাড়াতাড়ি ডেকে দাও
মুন : আচ্ছা

মুন কফি নিয়ে নিজেদের রুমে গেলো। রোদ এখন ও ঘুমাচ্ছে ।

মুন রোদের কাছে গিয়ে কফিটা টেবিলে রেখে রোদের দিকে তাকিয়ে থাকে।

মুন : উফফ এই ছেলেটাকে ঘুমের মধ্যে যে কি কিউট লাগে মন চাই সারাজীবন দেখতে থাকি।

(হো কাজ কাম না থাকলে যা হয় । তুই দেখতে থাক ওদিকে তোর সতিনরা রোদকে নিয়ে হাওয়া )

মুন রোদের দিকে একটু ঝুঁকে ওর গালে একটা ভালোবাসা দেয়। রোদ মুচকি হাসে ।

মুন : এই যে উঠুন অনেক বেলা হইছে অফিসে যাবেন না প্রতিদিন আমাকে ডাকতে হবে নিজে থেকে একটু উঠলে কি হয় ।

রোদ : আমাকে ছাড়া তোমার আর কি কাজ

এক টানে মুনকে বুকের উপর ফেলে দেয়।

মুন : উফফ উঠুন তো অফিসে যান । নাস্তা রেডি।
রোদ : যাবো তো সারাদিন অফিসে থাকবো এখন একটু কাছে আছি সহ্য হচ্ছে না ।
মুন : রাজ ভাইয়া তাড়াতাড়ি উঠতে বলছে
রোদ: ওহ শিট আজ তো একটা মিটিং আছে রাজদের সাথে

রোদ তাড়াতাড়ি বিছনা থেকে উঠে ওয়াসরুম যায়।

মুন হেসে রোদের জামা কাপড় গুছিয়ে রাখে।

রাজ : রোদ
মুন : ভাইয়া রোদ তো বাথরুমে ।
রাজ : আচ্ছা ঠিক আছে আমি wait করছি তুমি খাবার দাও
মুন : আচ্ছা

মুন নিচে গিয়ে
মুন : আপি তাড়াতাড়ি খাবার দাও আজ ওদের তাড়াতাড়ি বের হতে হবে
রানী : দারা দিচ্ছি

মুন আর রানি গুছিয়ে টেবিলে রাখলো।

একটু পর ওরা নামলো।



খাওয়া শেষে রোদ মুনের কপালে চুমু খেয়ে বেরিয়ে যায়।

মুন বসে বসে রানীর সাথে লুডু খেলছে ।



In London

জয়ের মাথা গরম হয়ে আছে । সব কিছু ভাংচুর করছে ।

নীলিমা খান ভিতরে ঢুকলেন ।

নীলিমা: what happened my son ?
জয়: nothing

বলে জয় বেরিয়ে গেলো।
গল্পঃ #Mr_Devil
(A Psycho love story)
লেখিকা : নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_২৩

জয় ফুল স্প্রিড গাড়ি চালাচ্ছে ।

অনেকক্ষণ চালানোর পর একটা ফাঁকা জায়গায় গাড়ি থামায়।

জয় গাড়ি থেকে উস্কির বোতল বের করে।

জয়: আমি কিছুতেই হারতে পারি না কিছুতেই না সবাই কে শেষ করে দেবো সব কিছু জ্বালিয়ে দেবো সব ।(বোতলে চুমুক দিতে দিতে) পরি আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি খুব i need u plz তাড়াতাড়ি এসো । তোমাকে ছাড়া থাকতে পারছি না

জয় এসব বলছে আর বোতলে চুমুক দিচ্ছে।

বেশকিছুক্ষণ পর একটা কল আসলো। জয় একবার তাকিয়ে কলটা ধরে ।

জয়: হুম
…..
জয়: কবে?
…..
জয় : ওকে সব দিকে খেয়াল রেখো

জয় ফোনটা কেটে দিয়ে একটা ভিলেন স্মাইল ।


রোদ অফিসের কাজ করছে ।

নেহা: স্যার একটু পর মিটিং শুরু হবে আমি কি সব বেবস্থা করে রাখবো ?
রোদ : হুম

নেহা চলে গেলো।

কিছুক্ষণ পর রোদ মিটিং এ গেলো

মিটিং শেষ করে বেরিয়ে আসে

ম্যানেজার : স্যার আপনার জন্য একটা পার্সেল আছে ?
রোদ : কিসের ?
ম্যানেজার: জানিনা স্যার একটা লোক এসে দিয়ে গেলো

রোদ পেকেট খুলে দেখে মুনের ভিসা ।

রোদ : এতো তাড়াতাড়ি আসবে ভাবতে পারিনি তাহলে টিকিট কাটতে হবে।

রাজ : কি করবি ?
রোদ : মুনের ভিসা আসছে
রাজ : ওহ তাহলে কি আজ কালের মধ্যে যাবি ?
রোদ : না অফিসের কিছু ইম্পর্ট্যান্ট কাজ আছে সেগুলো শেষ করে তারপর ২দিন টাইম লাগবে ।
রাজ : আমাকে ও অফিসের সব কাজ শেষ করতে হবে । চল লান্স করে আসি
রোদ : হুম চল

রোদ ভিসা ফাইলে রেখে রাজের সাথে গেলো।




রানী : এই মুন চল খেয়ে আসি
মুন : এখন তো বলবা হেরে যাসছো তো তাই
রানী : কোয়টা বাজে দেখেছিস ?
মুন : হুম অনেক বেলা হলো চলো খাওয়া শেষে গল্প করবো

মুন আর রানি ডাইনিং টেবিল গেলো।

রানী : আচ্ছা মুন তুই কোন পযন্ত পড়েছিস ?
মুন : ইন্টার পরীক্ষা দিয়ে ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলাম কিন্ত পরে আর পড়া হলো না (মন খারাপ করে)
রানী : এতো ছোট । আমি জানতাম তুই ছোটো কিন্ত এতো ছোট। রোদকে একবার বলে দেখে ভার্সিটিতে ভর্তি করায় কি না
মুন : এখন ভর্তি হয়ে কি করবো সার্টিফিকেট সব তো আব্বু আম্মুর কাছে ।
রানী : ওহ
মুন : আচ্ছা আপু তোমাদের কি লাভ ম্যারেজ না ফ্যামিলি
রানী : both (মুচকি হেসে)
মুন : মানে
রানী : মানে খাওয়া শেষ করে নাহলে নাকে মুখে ঢুকে যাবে

খাওয়া শেষে রানী আর মুন শুয়ে আছে।

মুন : জিবন কিভাবে পাল্টে যায় তাই না আগে যাদের ছাড়া থাকতে পারতাম না এখন তাদের কথা খুব মন পড়ে না
রানী : সব সময়ের ব্যবধান
মুন : হুম আব্বু আম্মু কেমন আছে কে জানে ?
রানী : কথা হয়না?
মুন : না বিয়ে হওয়ার পর ওদের কারোর সাথে কোনো যোগাযোগ নেই
রানী : চিন্তা করিস না কাল তোকে নিয়ে যাবো
মুন : সত্যি ?
রানী : হুম
তুই just রোদের কাছ থেকে শুনবি কোথায় থাকে ।
মুন : ওকে

রানী : এখন ঘুমা । বিকালে নাস্তা বানাবো ।
মুন : ওকে

কিছুক্ষণের মধ্যে মুন ঘুমের দেশে



মুন ঘুম থেকে উঠে দেখে পাশে রানী ফোন চালাচ্ছে।

রানী : ঘুম হলো?
মুন : হুম
রানী : ফ্রেশ হয়ে নিচে আয় আজ দেখ কি বানাবো

মুন ফ্রেশ হতে গেলো।

কিছুক্ষণের মধ্যে ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলো।

মুন : বলো আজ কি বানাবে?
রানী : ফুসকা
মুন : সত্যি ?
রানী : হুম তুই আমাকে হেল্প কর
মুন : সে ঠিক আছে কিন্ত আগে রাতের রান্না করে নি পড়ে ফুসকা বানাবো ।
রানী : ঠিক বলেছিস সবজি কেটে দে।

রান্না শেষে।
মুন : এবার ফুসকা বানাও আমায় বলো কি করতে হবে আমি করছি

২জন মিলে ফুসকা আর কফি বানিয়ে ছাদে গেলো।

দোলনার উপর বসে আরামে খাচ্ছে

রানী : মুন প্রতিযোগিতা হোক কে কয়টা খেতে পারে
মুন : কিন্ত আমার তো বেশি খেলে বেট ব্যাথা করে
রানী : আরে কিছু হবে না খা তো

২জনে খাওয়া শুরু করলো।

মুন : আপু আমি আর খাবো না অনেক খেয়ছি
রানী : হার মেনে নে (খেতে খেতে) আমার সাথে পারলি না

(ছি তুই ত আমার মানসম্মান সব শেষ করে দিলি । ফুসকা খাওয়াতে আমি কখনো হারিনী । সেই জন্য তোকে বাদ দেবো)

মুন আবার খাওয়া শুরু করলো

শেষে আর নেই সব শেষ।

মুন : আপু আমরা কি খেতে পারি এতো ফুসকা সব আমরা খেলাম (অবক হয়ে)

(না তুই কেনো খেতে জাবি আমি আর আমার বান্ধবীরা খেয়ে গেছি)

রানী : হুম
মুন : আমি আর নড়াচড়া করতে পারবো না
রানী : আমি তো রাতে আর কিছু খেতে পারবো না

বেশ কিছুক্ষণ গল্প করে নিচে নেমে আসলো।

রাতে রাজ চলে আসলো কিন্ত রোদ এখন ও আসেনি

মুন : ভাইয়া উনি
রাজ : রোদের অফিসে কাজ অনেক আসতে দেরি হবে তুমি খেয়ে নাও।

মুন নিজের ঘরে চলে আসলো
মুন : হ্ন দেরি হবে টা একটা ফোন করে দিতে পারতো ।

ঘড়িতে তাকিয়ে দেখে ৯টা বাজে ।

মুন ঘরে পাইচারি করে বেড়াচ্ছে । কিন্ত রোদের আসার নাম নেই

রাত ১০টা মুনের পেতে ব্যাথা শুরু হচ্ছে

মুন : উফফ পেটে ব্যাথা শুরু হলো এখন কি করবো দেখি কোনো ওষুধ আছে কি না

মুন আস্তে আস্তে ওষুধ খুঁজে কিন্ত পায়না ।

মুন বিছানায় পেটে হাত দিয়ে শুয়ে পড়ে ।

মুন : উফফ আর সহ্য হচ্ছে না

১০:৩০ রোদ বাড়ির কলিং বেল বাজাচে

একটু পর খুলে দিল

রোদ : কি হলো এতক্ষণ লাগে

রোদ বলতে গিয়ে সামনে তাকিয়ে দেখে সার্ভমেনট ।

রোদ কিছু না বলে উপরে যায়

রোদ : কি ব্যাপার মুন আসলো না মনে হয় ঘুমিয়ে পড়েছে ।

রোদ রুমে গিয়ে দেখে মুন বিছানায় ছোটফট করছে ।

রোদ দৌড়ে মুনের কাছে যায়

রোদ : মুন এই মুন কি হলো তোমার আমায় বলো?

মুন কথা বলতে পারছে না ফূফিয়ে ফুপিয়ে কান্না করছে হাত দিয়ে পেটের দিকে ইশারা করলো।

রোদ : কি হলো আমায় বলো পেতে ব্যাথা করছে (অস্থির হয়ে)

মুন মাথা নাড়ায়
মুন : আম মা র খ ব কষ্ট হচ্ছে (কাপা কাপা গলায়)

রোদ রানী রাজ কে চিৎকার করে ডাক দেয়

রোদের ডাকে রাজ রানী দৌড়ে চলে আসে । মুন কান্না করছে পেতে হাত দিয়ে

রানী : কি হলো রোদ মুন কান্না করছে কেনো।
রোদ : ওর পেটে ব্যাথা করছে রাজ তুই ডক্টর কে ফোন দে
রাজ : হা আমি দিচ্ছি

রোদ মুনকে বুকের সাথে চেপে রাখছে

রোদ : কিছু হবে না তোমার আমি কিছু হতে দেবো না

মুন কান্না করে যাচ্ছে

রানী : রোদ ওর পেটে ঠান্ডা কিছু দাও এই নাও বরফ

রোদ রানীর হাত থেকে বরফ নিয়ে মুনের পেটে দেয় । তাতে ও যেনো ব্যাথা কুমছে না।

রাজ : ডক্টর কে ফোন করছি একটু পর আসবে ।
রোদ : তাড়াতাড়ি আসতে বল মুন খুব কষ্ট পাচ্ছে ।

রাজ : আসছে

রানী মুনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে

মুন গড় গড় করে রোদের গায়ে বমি করে দিল ।

রোদ : রানী তুমি ওর একটা ড্রেস বের করে দাও ওকে চেঞ্জ করাতে হবে

রানী : আমি করছি তুমি নিজে চেঞ্জ করে এসো
রোদ : মুনকে ছেরে আমি যাবো না তুমি ড্রেস আনো
রাজ : রোদ তুই ড্রেস চেঞ্জ কর । রানী ওকে চেঞ্জ করিয়ে দেবে আমি বাইরে যাচ্ছি

রোদ change করতে গেলো ।

বেরিয়ে এসে দেখে মুন খুব জোড়ে জোড়ে কান্না করছে

রোদ : কি ব্যাপার এখন ও ডক্টর আসছে না কেনো (চিৎকার করে) আর ও এভাবে কান্না করছে কেনো ওর কি ব্যাথা বেড়েছে

চলবে
চলবে
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here