Mr Devil part 18+19+20

গল্পঃ #Mr_Devil
(A psycho love story)
লেখিকা : নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_১৮

মুন তাকিয়ে দেখে রোদ না আরিয়ান দাড়িয়ে আছে মুখে বাকা হাসি

মুন : আপনি এখানে কি করছেন ?
আরিয়ান : এমনি

আর কিছু বলতে পারলো না রোদ মিটিং শেষ করে রুমে এসে দেখে আরিয়ান আর মুন দাড়িয়ে আছে ।

রোদ : তুমি এখানে ?

মুন কিছু বলতে যাবে তার আগে আরিয়ান বলে

আরিয়ান : ভাবি তোর সাথে দেখা করতে এসেছিল পিছন থেকে মনে করছে আমি রোদ তাই দেখে অবাক হয়ে গেছে (বাকা হাসি দিয়ে)
রোদ : আচ্ছা তুই যা আমি একটু পরে ডেকে নিবেন

আরিয়ান মুনের দিকে কেমন করে তাকিয়ে চলে গেলো ।
রোদ মুনের কাছে আসে ।

রোদ : কি ব্যাপার হটাৎ তুমি অফিসে তোমাকে না বাড়ি থেকে বের হতে বারন করেছিলাম ( চোখ লাল করে )
মুন : আপনি তো কাল রানী আপুকে বললেন আমাকে যেনো ঘুরতে নিয়ে যায় আর আপু শপিং করছিলো তাই ভাবলাম আপনার সাথে দেখা করে যাই ( মাথা নিচু করে )

রোদ কিছুক্ষণ ভেবে বললো
রোদ : আচ্ছা ঠিক আছে এবার বলো কি খাবে দুপুর নিশ্চয় কিছু খাওনি ?
মুন: আপনি কি করে জানলেন ? ( অবাক হয়ে)

রোদ মুনের কোমর জড়িয়ে ধরে
রোদ : তোমার কথা আমি ছাড়া কে জানবে হুম
মুন : ওহ আচ্ছা এবার ছাড়ুন কেউ এসে যাবে তো
রোদ : আমার রুমে কেউ আসবে না তুমি বলো আমায় মিস করছিলে ?
মুন : করলে ও বা কি ? আপনি আমাদের সাথে শপিং এ যাবেন রাজ ভাইয়া ও আসছে রোদ : সরি জান আমার একটু কাজ আছে একটু টাইম লাগবে
মুন : ওহ আচ্ছা ( মন খারাপ করে ) আচ্ছা তাহলে আমি যাই

রোদ কিছুক্ষণ মুনের দিকে তাকিয়ে থেকে ফোন বের করে কাউকে ফোন করলো

রোদ : আজ যা যা কাজ আছে আমায় ইমেল করে দাও আমি বাড়ি বসে করে নেবো (মুনের দিকে তাকিয়ে )
মুন: সত্যি
রোদ : আমার সব কিছু তো তোমাকে ঘিরে এসব করছি শুধু তোমাকে খুশি রাখার জন্য আর তোমার খুশি তোমাকে একটু টাইম দেওয়াতে সেটা যদি আমি স্বামী হয়ে না করতে পারি তাহলে আমি কেমন স্বামী । তো ম্যাডাম বলেন কোথায় যাবেন?
মুন : সিটি শপিং মলে
রোদ : যাবো তার আগে তোমাকে কিছু খেয়ে নিতে হবে এখানে খাবে নাকি বাইরে ।
মুন : পরে খাবো আগে আপনি চলুন

রোদ মুনের হাত ধরে অফিস থেকে বের হয়।



রোদ গাড়ি চালাচ্ছে আর এক হাত ধরে মুনকে জড়িয়ে ধরে আছে ।

কিছুক্ষণ পর ওরা শপিং মলে এসে গেলো।
রোদ আর মুন গাড়ি থেকে নামলো ।

রানী আর রাজ বাইরে দাড়িয়ে ছিলো রোদ আর মুনকে দেখে ২জন এগিয়ে যায়

রানী : চল আজ অনেক শপিং করবো
মুন: তোমার শপিং শেষ হয়নি (অবাক হয়ে)
রাজ : সব আমায় ফকির বানানোর ধান্দা
রোদ আর মুন হেসে দেয়।

ওরা শপিং মলে ঢুকলো রানী এটা কিনছে তো ওটা কিনছে ।

মুন দাড়িয়ে আছে

রোদ : তুমি কিছু কিনবে না ?
মুন : না আমি কি কিনবো সব তো আমি সেদিন কিনলেন
রোদ : তাও দেখো কিছু পছন্দ হলে নাও।

রানী : এই মুন এদিকে আয় দেখ ত এটা কেমন ?
মুন : জী আপু

রোদ মুনের জন্য কিছু ড্রেস পছন্দ করছে । রাজ বেচারা তো দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছে ।

হটাৎ মুনের একটা ঘড়ির দিকে নজর গেলো

মুন : আপু আমি একটু আসছি
রানী : কোথাও যাসনা রোদ কিন্ত রাগ করবে
মুন : যাবো আর আসবো

মুন অন্য দুকানে ঢুকে ঘড়িটা হাতে নিল।

মুন : ভাইয়া এটা প্যাক করে দিন

দুকানদার প্যাক করে দিল মুন সেটা নিয়ে রোদের কাছে গেলো ।

রোদ : কোথায় ছিলে ?
মুন : এই তো একটু সামনে
রোদ : আমাকে না জানিয়ে কেনো গেছো
মুন : রোদ আপনার জন্য এই ঘড়িটা নিচ্ছি দেখেন ত কেমন লাগে

রোদের হাতে ঘড়ি পরিয়ে

মুন : কি পছন্দ হলো

রোদ অবাক হয়ে মুনকে দেখছে আজ প্রথম মুন রোদকে নিজের পছন্দে কিছু দিলো ।
মুন : পছন্দ হয়নি (মুখটা ছোট করে )
রোদ : সুন্দর কিন্ত আমাকে ছাড়া কোথায় যাবে না

মুনের হাত শক্ত করে ধরে

মুন : আস্ত একটা খাটাস একটা সুন্দর ঘড়ি দিলাম আর উনি ( মনে মনে )

শপিং করা শেষে ওরা একটু ঘুরে বাড়ি চলে আসলো

মুন ফ্রেশ হয়ে আসার পর রোদ গেলো ।

রানী তাড়াতাড়ি রোদের রুমে আসলো

রানী : মুন তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে
মুন : হা আপু বলো
রানী : রোদ বেশির ভাগ সময় password revenge=raima দিত
মুন : মানে রাইমা কে ?
রানী : জানিনা রে রাজের কাছ থেকে এই টুকু বের করতে পারলাম
মুন : আচ্ছা ঠিক আছে তুমি যাও আমি দেখছি

রানী চলে গেলো
মুন : রাইমা কে রোদের কি কারোর সাথে কিন্ত উনি তো বলতেন আমি উনার প্রথম ভালোবাসা তাহলে । আর revenge কেনো দিচ্ছে আজ রাতেই দেখতে হবে

মুন এসব আকাশ পাতাল ভাবছিল তখনই রোদ মুনকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে

মুন ভয় পেয়ে যায়
রোদ : কি হলো আমি থাকতে তোমার ভয় কিসের ?
মুন : না কিছু না সরেন রান্না করতে হবে ?
রোদ : রান্না করতে হবে না আজ আমরা একটা পার্টিতে যাবো
মুন : আমি যাবো না রোদ রানী আপুর শরীর ভালো না আর আমি আজ অনেক কান্ত আপনারা যান প্লিজ
রোদ : তুমি না গেলে আমার ভালো লাগবে না আমি ও যাবো না
মুন : দেখুন আপনি আপনার বন্ধু দের সাথে যাবেন আর রাজ ভাইয়া ত যাবেই আপনি যান নাহলে সবাই মন খারাপ করবে
রোদ : না কি যাবো না

মুনকে ছেরে ল্যাপটপ নিয়ে বসে
রানী : কে যাবে না শুনি
মুন : দেখো না আপু উনি যেতে চাইছে না
রানী : কেনো রোদ তুমি যাও মুনকে নিয়ে টেনশন করতে হবে না ওর সাথে আমি আছি তুমি নিশ্চিন্তে যাও
রোদ : কিন্ত
রানী : কোনো কিন্ত না তুমি গেলে আমি একটু ভরসা পাবো আর মুন আজ রাতে তুই আমার সাথে ঘুমাবি যতক্ষণ না রোদ আসছে আমি খাবার অর্ডার করে দিছি একটু পরে চলে আসবে
মুন : এবার তো হলো যান রেডী হয়ে নিন

রোদ রেডী হতে লাগলো
রানী চলে গেলো ।

মুন কাবার্ড থেকে কোর্ট বের করে রোদের সামনে গিয়ে শার্ট এর বুতাম লাগিয়ে দিল তারপর কোর্ট পরিয়ে দিলো হাতে রোদের রোজকার ঘড়ি পরাতে গেলে রোদ না করে

রোদ মুনের দেওয়া ঘড়িটা পরে ।
মুনের কপালে ভালোবাসার পরশ দিয় বলে।

রোদ : সাবধানে থেকো আমি তাড়াতাড়ি আসার চেষ্টা করবো
মুন : আপনি ও সাবধানে যাবেন

রোদ আর রাজ বেরিয়ে গেলো রানী দরজা আটকে মুন কে বললো


রানী : যা করার কর আমি পাশেই আছি

মুন ডাইরিটা বের করলো

রানী বসে বসে গেম খেলছে ।

মুন ডাইরিটা তে revenge=raima দিলো কিন্ত হলো না

মুন : আপু এটা ত হচ্ছে না
রানী : কিন্ত রাজ আমায় বলল এটা রোদ সবসময় দিত (মুনের পাশে বসে)
মুন : এক মিনিট রোদ তো বলে ওর সব কিছুতে আমি আছি দেখি তো আমার নাম দিয়ে
রানী: কিন্ত তোর নাম revenge কেনো হবে
মুন : উল্টো দিয়ে দেখি

মুন love=moon দিলো কিন্তু হলো না

মুন : ধেত
রানী : মুন তুই মুন পাখি বা মুনের সাথে আর কিছু দে দেখবি খুলতে পারে
মুন: ঠিক বলছো

মুন অনেক কিছু দিলো কিন্ত লাভ হলো না শেষে মুন কি একটা ভেবে

Love=roder moon দিলো
সাথে সাথে খুলে গেলো

মুন কিছু পৃষ্টা উল্টে দেখে লেখা আছে

আমার জিবন এমন কেনো আর বাকি মানুষ দের মত আমার জিবন না কেনো । সবাই তার পরিবার নিয়ে কত সুখী কিন্ত আমি সুখী হতে পারি না কেনো ? আল্লাহ কি সব কষ্ট আমাকে দিয়ে রাখছে সবার মত আমি ও পরিবার নিয়ে থাকতে চাই কিন্ত আমার একমাত্র সঙ্গী একাকীত্ব


।গল্পঃ #Mr_Devil
(A Psycho love story)
লেখিকা : নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_১৯

ডাইরি যানো আমার আব্বু আম্মু প্রতিদিন ঝগড়া করে আমার ভালো লাগে না । আমার বন্ধুদের আব্বু আম্মুর মত কেনো তারা এক সাথে মিলেমিশে থাকে না । আমি চাই আমার আব্বু আম্মু এক সাথে সবার মত সুখে থাকে কিন্ত আমার চাওয়া মনে হয় খুব বড়ো তাই পূরণ হয় না।

পরের পৃষ্ঠা

আমার আম্মু আমাকে একটু ও ভালোবাসে না সব সময় আমার উপর রাগ করে আচ্ছা আম্মু আমাকে আর আব্বুকে কেনো সহ্য করতে পারে না । আব্বু আমাকে খুব ভালোবাসে আমার আড়ালে আব্বু চোখের পানি ফেলে শুধু আমার জন্য আব্বু আম্মুকে কিছু বলতে পারে না । আমার আম্মু খুব খারাপ । আমি ওমন মা চাইনা

আজ আমার ১২ তম বার্থডে। ভেবেছিলাম আজ হয়টো আব্বু আম্মুর মধ্যে সব ঠিক হবে কিন্ত না আজকে আরো বেশি ঝামেলা হচ্ছে । আমার আর ভালো লাগছে না আমি কেনো বেচে আছি কার জন্য । আমার আব্বু শুধু আমার দিকে তাকিয়ে সব সহ্য করে যাচ্ছে । আমি জানি আব্বু খুব কষ্ট হয় আব্বু আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে চোখের জল ফেলে কিন্ত আম্মুকে আমি কখনো অনুতপ্ত হতে দেখিনি আম্মু সব সময় আব্বুকে অপমান করে মেয়েরা কি এমন হয়।

কিছু পৃষ্ঠা উল্টানোর পর

যানো ডাইরি আমার আব্বু মারা গেছে । আমার আম্মু আব্বুকে মেরে ফেলছে । আমাকে ও বিষ দিতে চাইছিল কিন্ত আব্বু আমাকে পালাতে সাহায্য করে । যখন আব্বুকে ছেরে আসছিলাম আব্বুর খুব কষ্ট হচ্ছিল মুখ দিয়ে গেজা বের হচ্ছিল বার বার বলছিল আমি যেনো এখানে থেকে অনেক দূরে পালিয়ে যাই আর কখনই যেনো আম্মুর সামনে না পরি নাহলে আম্মু আমাকে মেরে ফেলবে । আর last একটা কথা বলেছিল জিবনে যেনো আব্বুর মত কোনো মেয়েকে পাগলের মত ভালো না বাসি ।

সত্যি মেয়েরা খুব খারাপ আমি কখনই কোনো মেয়ের কাছে যাবো না ।

প্রায় অনেক পৃষ্ঠা ওর আব্বুকে নিয়ে লেখা ।

কিছু পৃষ্ট উল্টানোর পর

যানো ডাইরি আজ আমি একটা গোলাপী পরিকে দেখেছি কি মিষ্টি তার হাসি মায়াবী চেহেরা মনে হয় ওই চেহারার দিকে তাকিয়ে আমি অনেক বছর পার করতে পারবো । কিন্ত না সব মেয়েরা খারাপ ।আমি ভুলে ও আব্বুর মত ভুল করবো না ।ওকে ভুলতে হবে আমাকে যে করেই হোক তাই দুর দেশে চলে যাচ্ছি মাইন্ড ফ্রেশ করার জন্য

আজও আমার গোলাপী পরীর সাথে দেখা এতো চেষ্টা করে ও আমি কেনো ওকে ভুলতে পারছি না । সত্যি ওর নামের সাথে মিল আছে মুন আমার মুন । রোদের মুন । ওকে আমার প্রয়োজন খুব । কিন্ত আমি আমার আব্বুর মত ভুল করবো না যদি আব্বু আম্মুকে শাসন করত তাহলে আব্বুকে এভাবে আম্মুর হাতে মরতে হতো না । শুনলাম আমি চলে যাওয়ার পর আব্বুর মিথ্যে কান্না করে আম্মু সব কিছু নিয়ে এই দেশ থেকে চলে যায় । চাইলে আমি প্রতিশোধ নিতে পারতাম কিন্ত আমার আব্বু সেই শিক্ষা দেয়নী । এখন আমার সব কিছু শুধু মুনকে ঘিরে । ওকে আমি ভালোবাসবো কিন্ত সেটা ওর পিছনে সামনে ও আমাকে দেখে ভয় পাবে ।

মুনকে আমি বার বার কষ্ট দি কিন্ত আমার কিছু করার নেই ওকে কষ্ট পেতে হবে আমি আমার আব্বুর মত মরতে পারবো না কিছুতেই না । মুন ছাড়া আমার এই দুনিয়ায় কেউ নেই ও আমার বেচে থাকার কারণ। খুব ভয় করে মুন আমার আম্মুর মত আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না তো আমি তো বাঁচতে পারব না । এই কয়দিন আমার অভ্যাস পরিনিত হয়ে গেছে চাইলে ও ছাড়তে পারিনা । যানো ডাইরি আমার মুন একদম বাচ্চাদের মত করে রাতে ঘুম না আসলে আমার ঘুমের বারোটা বাজাবে । কিছু বললে কিউট ফেস করে আমার সব রাগ ভাঙ্গিয়ে দেবে । একটা পাগলী আর এই পাগলী আমার বেচে থাকার কারণ

শেষ নিশ্বাস পযন্ত ওকে আমি নিজের কাছে ধরে রাখবো । আমার আম্মুর মত আমি যেতে দিবো না কিছুতেই না


মুন ডাইরিটা রেখে দিয়ে চোখের পানি মুছে নিল ।

রানী: মুন কাদিস না রোদের ধারণা ভুল না একটা বাচ্চা ছেলে যখন নিজের চোখের সামনে এসব দেখবে তখন তার মনে কি ধারণা হবে । আর রোদকে এই ধারণা ভুল প্রমাণিত করতে হবে তোকে
মুন : আপু আমার রোদ এতো কষ্ট পেয়েছে আর আমি ওকে কখনই বুঝার চেষ্টা করিনি সব সময় ভাবছি রোদ রাগী বেশি কিন্ত ওর রাগের পিছনে এতো বড় একটা কারণ আছে সেটা কে জানত । আমার রোদ খুব কষ্ট পায় (কাদতে কাদতে)
রানী : মুন নিজেকে সামলা তুই নিজেকে ঠিক না করলে রোদকে কে সামলাবে রোদের যে তুই ছাড়া কেউ নেই একটু বুঝ
মুন : হা ঠিক বলেছ আমাকে রোদের জন্য নিজেকে ঠিক করতে হবে আমি আর কখনও রোদকে কোনো কষ্ট পেতে দিবো না এটা আমার প্রমিজ ।

রানী মুনকে জড়িয়ে ধরলো

কিছুক্ষণ পর

মুন শুয়ে আছে আর রানি মুনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে ।

রানী : মুন খাবার আসছে আমি নিয়ে আসি
মুন : হুম

একটু পর রানী খাবার আনে। রানী মুনকে খাইয়ে দেয়।

খাওয়া শেষে
রানী : আচ্ছা মুন রোদ কি বিয়ের পর থেকে তোর সাথে খারাপ ব্যাবহার করত
মুন : না আপু কখনো না উনি খুব ভালোবাসতো কিন্ত আমাকে ঘর থেকে বের হতে দিত না আর বাইরে একবার আমার একটা বন্ধুর সাথে দেখা হয় সেখানে ওর সাথে একটু কথা বলি সেদিন থেকে খারাপ ব্যাবহার করত। তবে রোদ খুব ধর্যশীল নাহলে এতো কিছুর পর ও একটি বার কাউকে বুঝতে দেইনি
রানী : রোদ কখনো কোনো মেয়ে কে অসম্মান করেনি কিন্ত কোনো মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকায়নি । রোদ নিজে এতো কিছুর শিখার
মুন : হুম আচ্ছা অনেক তো রাত হলো এখন ও আসছে না কেনো ?(চিন্তিত হয়ে)
রানী : ওরা আরো পরে আসবে প্রায় ১ টার দিকে ।
মুন : এতক্ষণ বসে কি করবো । একটা ফোন দি
রানী : আরে ফোন দিতে হবে না চলে আসবে আজ প্রথম মনে হয় রোদ তোকে ছাড়া যাচ্ছে তাই এমন মনে হচ্ছে
মুন : আমার তো উনাকে ছাড়া ভালো লাগে না (আনমনে)
রানী : বাবা

মুন লজ্জা পেয়ে শুয়ে পরে
রানী বসে বসে ফোন টিপছে। আর মুন এপাশ ওপাশ করছে ।

কিছুক্ষণ পর কলিংবেল বেজে উঠে । মুন ছুটে যায়

রানী : আরে আস্তে পরে যাবি তো

মুন এক দৌড়ে দরজা খুলে দেয়। আরিয়ান আসলো রাজ আসলো কিন্ত রোদকে দেখা যাচ্ছে না ।

মুন তাকিয়ে আছে

রাজ : মুন রোদ গাড়ি পার্ক করে আসছে ( হাসতে হাসতে)
আরিয়ান : এভাবে দরজায় দাড়িয়ে না থেকে ভিতরে আসো রোদকে কেউ খেয়ে ফেলবে না ( বিরক্তি নিয়ে)

মুন একবার আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে সামনে তাকিয়ে দেখে রোদ আসছে। মুন রোদকে গিয়ে জড়িয়ে ধরে

মুন : আর কখনো আমাকে একা রেখে যাবেন না
রোদ : তুমি তো যেতে চাইলে না
মুন : ভুল হয়ে গেছে আর কখনই আমাকে একা রেখে যাবেন না আপনি জানেন না আপনাকে ছাড়া আমার থাকতে কেমন কষ্ট হয়
রোদ : মিস করছিলে বুঝি ( মুচকি হাসি দিয়ে)
মুন : খুব

রোদ কিছু বলতে যাবে
আরিয়ান : কীরে ভাই বাইরে দাড়িয়ে থাকবি ভিতরে আসলে তো হয়
রোদ : তুই যা আমরা আসছি

আরিয়ান কেমন করে তাকিয়ে চলে গেলো।
রোদ : কি হলো ঘরে যাবে নাকি এখানেই দাড়িয়ে থাকবে
মুন : হুম চলুন

রোদের হাত ধরে রুমে নিয়ে আসে
মুন : আপনি ফ্রেশ হয়ে নিন আমি আপনার জন্য কফি নিয়ে আসছি শরীরটা ভালো লাগবে
রোদ : হুম

রোদ ফ্রেশ হতে গেলো আর মুন কফি বানাতে গেলো

আরিয়ান : মুন

মুন ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে
মুন : আল্লাহ জানে এখন কি বলবে আর আমার গা জ্বলবে ( মনে মনে)
আরিয়ান : আমাকে এক কাফ কফি বানিয়ে দিবে
মুন : আনছি

মুন আর কথা বলতে না দিয়ে কফি বানিয়ে আরিয়ান কে দিতে নিলে আরিয়ান কাফ নেওয়ার বাহানায় ওর হাত ধরে ফেলে। মুন এক ঝটকায় হাত সরিয়ে নেয়।

আরিয়ান দুষ্ট হাসি দিয়ে বলে
আরিয়ান : আর কিছু দিন পর আমি চলে যাবো
মুন : এখনই যা না (মনে মনে) রোদ খুঁজবে আমি যাচ্ছি
আরিয়ান : মুন আমায় মিস করবে না চলে গেলে ?
মুন : আমি যাকে তাকে মিস করি না আর আমার মিস করার লোক একজন আমার জামাই

বলে মুন ভেংচি কেটে চলে গেলো।
আরিয়ান একটা বাকা হাসি দিল

মুন ঘরে এসে দেখে রোদ চুল মুছছে

মুন : আপনি এখন গোসল করলেন কেনো ?
রোদ : tried লাগছিলো তাই
মুন : এই নিন কফি ( কফির কাপ টা এগিয়ে দিয়ে )

রোদ কফির কাপ নিয়ে চুমুক দিলো
মুন কিছু একটা ভেবে রোদকে বললো

মুন : আচ্ছা রোদ আপনার ফ্রেন্ড এর বিয়ে হবে না ?
রোদ : কার কথা বলছো ( ভ্রু কুচকে)
মুন : কার আবার আরিয়ানের
রোদ : জানি ওর তো তেমন ভাব দেখছি না । ওর আবার গার্লফ্রেন্ড এর অভাব নেই
মুন : তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেন আর কত দিন এভাবে থাকবে
রোদ : তুমি হটাৎ ওর বিয়ে নিয়ে পরলে কেনো ?
মুন : এমনি মনে হলো
আমি শুয়ে পরলাম আমার ঘুম পাচ্ছে
রোদ : হুম তুমি শুয়ে পড়ে

মুন বিছানায় শুয়ে রোদকে দেখছে
মুন : এতো কষ্ট কিভাবে নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখে কিভাবে ( মনে মনে)

রোদ ল্যাপটপে বসে কাজ করছে। মুন বিছানা থেকে উঠে রোদের কাছে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো

রোদ : কি হলো যাও ঘুমাও

মুন কিছু না বলে রোদের গালে একটা ভালোবাসার পরশ দেয়
মুন : আপনি না খুব খুব খুব ভালো
রোদ : না আমি খুব খারাপ সেটা আমি জানি
মুন : মোটেও না আমার জামাই কখনই খারাপ হতে পারে না
রোদ : তাই না
মুন : হা তাই এবার চলুন ঘুমাবেন
রোদ : তুমি যাও আমার একটু কাজ আছে
মুন : কিসের কাজ বাড়ি এসে কোনো কাজ নেই । বাড়ি এসে শুধু একটা কাজ বউকে ভালবাস ( বাকিটা বলতে গিয়ে মুন জিভ কামোর দিলো)
রোদ : তারপর ( দুষ্ট হাসি দিয়ে)
মুন : কিছু না

বলে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল।

রোদ ল্যাপটপ রেখে মুনের পাশে শুয়ে পড়লো।

মুন রোদের বুকে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে আর রোদ মুনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে ।

মুন : রোদ আপনি অনেক কষ্ট পেয়েছেন তাই না ?
রোদ : মানে ?(সন্দেহের দৃষ্টিতে)
মুন : মানে বলছি যে এত দূর আসতে তো অনেক কষ্ট করতে হয়েছে তাই না (মেকি হাসি দিয়ে)
রোদ : হুম অনেক কস্ট করতে হয়ছে আমি চাই আমার মত কষ্ট যেনো কেউ না করুন
মুন : চিন্তা করবেন না আমার ভালোবাসা দিয়ে আপনার সব কষ্ট দূর করে দেবো।

রোদ মুনের কপালে একটা চুমু খায়।

রোদ : আচ্ছা মুন তুমি কখনো আমাকে ছেড়ে যাবে না তো (করুন কণ্ঠে)
মুন : কখনোই না আপনি ছাড়া আমি থাকতে পারবো না কিছুতেই না

রোদ মুনকে টাইট জড়িয়ে ধরে।



সকালে

মুন চোখ ডলতে ডলতে উঠে দেখে রোদ কাজ করছে ।

মুন : আপনি কখন উঠলেন ?
রোদ : কিছুক্ষণ আগে
মুন : আচ্ছা আমি আপনার জন্য কফি নিয়ে আসছি

মুন ফ্রেশ হয়ে কফি বানাতে যায় গিয়ে দেখে রানী রান্না করছে

মুন : আপু তুমি এত সকালে রান্না করতে কেনো আসো?
রানী: আমার ভালো লাগে । কফি নিবি তো ?
মুন : হা ব্ল্যাক কফি
রানী : ওপাশে বানিয়ে নে

মুন বানাচ্ছে একটু পর আরিয়ান বলে

আরিয়ান : মুন আমার একটু কফি দাও

মুনের তো আরিয়ান কে চুলার মধ্যে দিতে ইচ্ছা করছে ।

(সমস্যা নেই তুই না দিলে ও আমি ওকে বেলেন্ডারে দিয়ে জুস পানিতে তোদের খাওয়াবো । বেটা মেলা বজ্জাত আমায় তো চেনো না গল্প শেষ হতে হতে তোমার বেবস্থা করবো )

রানী : আমি দিয়ে আসবেন তুমি যাও।

আরিয়ান চলে গেলো।

মুন : আপু এই ছেলেটা এমন কেনো আমার একটু ও ভালো লাগে (বিরক্তি নিয়ে)
রানী : কেনো তোর আবার কি করলো?
মুন : আমার দিকে কেমন করে যেনো তাকায
রানী : ওটা তোর মনের ভুল আরিয়ান ওমন না
মুন : জানিনা কিন্ত উনাকে আমার একটু ও ভালো লাগে না
রানী : তোকে আর ভালো লাগাতে হবে না কফি দিয়ে আয়

মুন কফি নিয়ে উপরে যায়

রানী : সত্যি কি মুনের মনের ভুল নাকি মুন সত্যি বলছে



মুন কফি নিয়ে আরিয়ান কে দিয়ে চলে আসতে গেলে

আরিয়ান যা বলে তাতে মুনের লুঙ্গি পরে ড্যান্স করতে ইচ্ছা করছে
গল্পঃ #Mr_Devil
(A Psycho love story)
লেখিকা : নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_২০

আরিয়ান : মুন আমি জানি তুমি আমাকে সহ্য করতে পারো না সত্যি বলতে আমার গার্লফ্রেন্ড এর সাথে তোমার মিল আছে তাই আমি তোমাকে ওভাবে দেখি আমার অন্য কোনো মতলব নেই । আজ বিকেলে আমি চলে যাবো আর কিছু দিন পর তোমাকে ও আসতে হবে মানে তোমাদের
মুন: কেনো ?
আরিয়ান : বারে আমার বিয়েতে তোমরা আসবে না
মুন : ওহ আচ্ছা ঠিক আছে (স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লো)
আরিয়ান : হুম রোদ কি উঠছে
মুন : হা কাজ করছে আপনি কফি খান আমি ডেকে দিচ্ছি

মুন কফি দিয়ে চলে গেলো আর আরিয়ান মুনের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো

মুন তো মহা খুশি
মুন : যাক বাবা উনি তাহলে চলে যাবে ভালোই হবে কিন্ত আমি একটু বেশি করছি না তো উনি তো মাপ চাইলেন থাক ওসব নিয়ে ভেবে লাভ নেই দেখি আমার জামাই কি করে।

মুন ঘরে গিয়ে দেখে রোদ কাজ করছে

মুন : এই নিন আপনার কফি (কাপটা এগিয়ে দিয়ে)
রোদ : হুমম
মুন : রোদ আরিয়ান ভাইয়া আজ চলে যাবে
রোদ : হুম শুনলাম ওর ইম্পর্ট্যান্ট কাজ পড়ে গেছে কাল রাতে বলছিল
মুন : ওহ আচ্ছা

রোদ কাজ করেই যাচ্ছে আর মুন রোদকে দেখে যাচ্ছে
মুন : ইসস কত কষ্ট পেয়েছে আর আমিও উনাকে কষ্ট দি আর না এবার থেকে উনি যা বলবে তাই করবো (মনে মনে)
রোদ : কিছু বলবে (ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে)
মুন : উহু
রোদ : তাহলে অভাবে তাকিয়ে আছো কেনো ?
মুন : রোদ আপনি এত কাজ কিসের জন্য করছেন ? (বিরক্তি নিয়ে)
রোদ : কাজ না করলে কি হবে
মুন : ওতো কাজ কাজ করে কি হবে আমাদের যা আছে তাতে আমাদের চলে যাবে ওতো কাজ কাজ না করে একটু বউ বউ করেন নাহলে বউ চলে যা (বাকি কথা বলার আগে মুন নিজের মুখে হাত দিল)

রোদ মুনের দিকে কঠিন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে

মুন : হায় আল্লাহ জেনে বুঝে রোদকে আবার রাগিয়ে দিলাম সব কিছু জেনে ও এমন ভুল কি করে করলাম এখন কি হবে (মনে মনে)
রোদ : কি বললে (মুনের গাল চেপে )
মুন : বলছি যে আমাকে আপনার সাথে রাখলে ভালো হতো একা একা ভালো লাগে না ( বাঁচতে )

রোদ এক দৃষ্টিতে মুনের দিকে তাকিয়ে আছে রোদ: যা বলেছ বলেছ next টাইম তোমার মাথায় যদি আমাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা আসে তাহলে ফল ভালো হবে না আমি তোমার সাথে ভালো ব্যবহার করছি তার মানে এই না যে তুমি যা খুশি করবে আর আমি মেনে নেবো আমাকে আব্বুর মত ভেবো না (মুনের গাল ছেরে দিয়ে)
এখন যাও (চিৎকার করে)

মুন রোদের চিৎকারে কেপে উঠলো ।
মুন ওভাবেই বসে আছে আর রোদ নিচের দিকে তাকিয়ে চোখ দিয়ে মনে হচ্ছে আগুন বের হচ্ছে

কিছুক্ষণ পর মুন অনেক সাহস নিয়ে রোদকে জড়িয়ে ধরে
রোদ : তোমাকে কিন্ত যেতে বলেছি
মুন : না আমি কোথাও যাব না আপনি বললে ও না
রোদ…..
মুন : আমি অভাবে বলতে চাইনি আর আমি আপনাকে ছেরে কোথায় যাবো বলেন ত ৩কবুল সাক্ষী করে আপনি আমাকে নিজের করেছেন এতো সহজে কি ছেরে যাওয়ার জন্য আর তাছাড়া এখন ও ত আসল কাজ বাকি
রোদ : আসল কাজ মানে ( ভ্রু কুচকে)
মুন চলে যেতে গেলে রোদ মুনের হাত ধরে বলে
রোদ : বলো কি কাজ
মুন : সবে তো ৪মাস হলো বিয়ের। এখন ও তো বেবি হবে (লজ্জায় রোদের হাত ছাড়িয়ে দৌর)

মুন কিচেনে এসে মুচকি মুচকি হাসছে। রানী দেখে ভ্রু কুচকে তাকায়

রানী: কি হলো এভাবে হাসছিস কেনো ?
মুন : আপু তুমি বেবি নিবে কখন ?
রানী : কিসের মধ্যে কি
মুন : কিসের মধ্যে কি না আগে বলো
রানী : তোর ভাইয়া ও আজ বললো কিন্ত এখন ওসব নিয়ে ভাবা যাবে না আগে তোর ভাই নিজের মত কুছিয়ে নিক
মুন : ওহ আচ্ছা
রানী : খাবার রেডী সবাইকে ডাক দে
মুন : তুমি ডাক দাও আমি দেখছি

রানী সবাইকে ডাক দিল। সবাই এসে খাওয়া শুরু করলো । রোদ তো মুনের দিকে তাকাচ্ছে আর মুন লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে ।

খাওয়া শেষে রোদ মুনের হয় ধরে উপরে নিয়ে যায়।

মুন : কিহলো এভাবে নিয়ে আসলেন কেনো ?
রোদ : সেই সময় কি বললে?
মুন : কই কিছু নাতো ( মাথা নিচু করে)
রোদ : তোমার বেবি চাই ?( দুষ্টু হাসি দিয়ে)
মুন : জানিনা
বলে রোদের বুকে মুখ লুকালো

মুন : আচ্ছা রোদ আজ আপনি অফিসে যাবেন না
রোদ : না আজ আরিয়ান চলে যাবে তাই যাবো না সকাল থেকে তো সেইজন্য কাজ করছিলাম
মুন : ওহ আচ্ছা তাহলে যান বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেন
রোদ : ঠিক বলেছ

রোদ চলে যায় । মুন বিছানায় শুয়ে পড়ে কিছুক্ষণের মধ্যে ঘুম।



অনেকক্ষণ ঘুমানোর পর কারোর ডাকে মুন উঠে

মুন চোখ ডলতে ডলতে দেখে রোদ
মুন : কিহলো ডাকছেন কেনো ?
রোদ: উঠ দেখো কতো বাজে
মুন : এই জন্য আপনি আমাকে ডাকছেন ঘড়ি কি দেখতে পারেন না
রোদ : shut up তাড়াতাড়ি রেডী হয়ে নাও আমাদের বের হতে হবে
মুন : আমি কোথাও যাবো না আমি ঘুমাবো

বলে আবার শুয়ে পরলো

রোদ মুনকে কোলে করে বাথরুমে রেখে শাওয়ার অন করে চলে আসলো
রোদ : ৫মিনিট এর মধ্যে রেডী হয়ে আসবে

মুন আর কি রেডী হয়ে বের হলো
মুনকে দেখে রোদ একটা মিষ্টি হাসি দেয়।

মুনের তো রাগ হচ্ছে
মুন : আমার ঘুমের বারোটা বাজিয়ে শান্তি ।
রোদ : উফফ তুমি এত ঘুমাও কেনো

(ওই ব্যাটা লেংটি ইদুর তোরে কয়তে হইবো আমার ইচ্ছা তাই ঘুমাই ঘুম ছাড়া জিবনে আছে কি )

মুন : আপনার তাতে কি (বিরক্তি নিয়ে)
রোদ : আমার সব এখন রেডী হয়ে নিচে আসো

রোদ নিচে গেলো।
মুন রেডী হয়ে নিচে গেলো।

সবাই গাড়িতে দাড়িয়ে আছে ।
রানী : কীরে তোর এত সময় লাগে ?
রোদ : ম্যাডাম ঘুম
রানী : আচ্ছা ঠিক আছে তোমরা গাড়িতে উঠ

রোদ আর মুন আর আরিয়ান এক গাড়িতে , রাজ রানী এক গাড়িতে ।

গাড়ি চলছে আপন গতিতে । মুন তো ঝিমুচ্ছে ।

রোদ : তোমার ঘুম এখন ও কাটেনি ?
মুন ….

রোদ একটা কফি শপের সামনে গাড়ি থামিয়ে কফি নিয়ে আসে

রোদ : এটা খাও ভালো লাগবে
মুন কফি নিয়ে খেতে লাগলো

আরিয়ান : তোর জন্য আনলি না ।
রোদ : না তোরা খা

মুন একটু খেয়ে রোদের দিকে ধরলো
রোদ : না তুমি খাও তোমার দরকার
মুন : আমার ঘুম কেটে গেছে আপনি খান

রোদ আর কিছু না বলে খেতে লাগলো।



কিছুক্ষণ পর

মুন : আর কত দূর ?
রোদ : আছে আর একটু
মুন : ভালো লাগছে না ফোনটা দিন তো

রোদ ফোন বের করে দিল মুন ইয়ারফোন লাগিয়ে গান শুনছে

মুন রোদের কাধে মাথা রাখলো আর রোদ এক হাত দিয়ে মুনকে জড়িয়ে অন্য হাত দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে ।

পিছনে আরিয়ান বসে বসে দেখছে আর মুচকি হাসছে ।

বেশ কিছুক্ষণ পর ওরা চলে আসে ।

রোদ : তোর ফ্লাইট কয়টায়?
আরিয়ান: ৫টায়
রোদ: এখন ৩টা বাজে চল কিছু খেয়ে আসি দুপুর তো কারোর খাওয়া হয়নী
রাজ : ঠিক বলেছিস

সবাই রেস্টুরেন্ট গিয়ে খাবার অর্ডার দিলো
মুন : রোদ আমি কফি খাবো
রোদ : ঘুম আসছে ?
মুন : হুম

রোদ কফি অর্ডার দিল ।

কিছুক্ষণের মধ্যে খাবার চলে আসলো
রোদ মুনকে খাইয়ে দিচ্ছে মুন ও খাচ্ছে

মুন : আমি আর খাবো না আপনি খান
রোদ : কিছুই তো খেলে না
মুন : আমার আর খেতে ইচ্ছা করছে না আমি এই কফিটা খাবো

খাওয়া দাওয়া শেষে
সবাই এয়ারপোর্টে আরিয়ানকে বিদায় জানিয়ে দিল।

আরিয়ান চলে গেলো । রানী আর মুন ফুসকা খাচ্ছে ।

রোদ মুনের জন্য চকোলেট নিতে গেছে ।

রাজ দূরে ফোন কথা বলছে মুন আর রানি তো খেয়ে যাচ্ছে

হটাৎ একটা ছেলে এসে মুনের হাত ধরলো

ছেলেটা : হাই মুন কেমন আছো ?

মুন তো ছেলেটাকে দেখে অবাক

নিলয়: কি হলো অবাক হইছো তাইনা আমি ও তোমাকে এভাবে এখানে দেখবো ভাবতে পারিনি
মুন : তুই এখানে
নিলয়: হুম এই পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম তোমাকে দেখে দাড়িয়ে গেলাম

মুন শুধু আশপাশে তাকাচ্ছে রোদ যদি দেখে ফেলে ।

মুন নিজের হাত্টা ছাড়িয়ে বলে
মুন : দেখ নিলয় তুই এখন যা

নিলয় আবার মুনের হাত ধরতে গেলে রোদ সামনে এসে দাঁড়ায়

রোদ : কি ব্যাপার ভাই এদিকে কোথায় যাচ্ছেন ও আমার বউ
নিলয় : ও আমার মামাতো বোন

রোদ একবার মুনের দিকে তাকালো

মুন : ভাইয়া আমি এখন বেস্ত আছি তুই বাসায় যা

নিলয় চলে গেলো
মুন রোদের দিকে তাকিয়ে আছে ।

রোদ : খাওয়া শেষ নাকি আরো খাবে ?
মুন মাথা নাড়িয়ে না বললো

রোদ মুনের হাত ধরে বাইরে গাড়িতে বসিয়ে দেয়।

তারপর ফুল স্প্রিড গাড়ি চালাতে থাকে । কিছুক্ষণের মধ্যে বাসায় চলে আসে

বাসায় রোদ মুনের হাত ধরে ঘরে বসিয়ে দেয়

রোদ : ছেলেটা কে?
মুন : মামাতো ভাই সত্যি বলছি আমি কথা বলতে চাইনি

রোদ কিছু না বলে মুনের হাত ধরে ওয়াশরুমে নিয়ে হাত সাবান দিয়ে ধুতে থাকে যেই হাত নিলয় ধরেছিল

অনেকক্ষণ ধোয়ার পর মুনকে ফ্রেশ করিয়ে দিয়ে বিছানায় বসিয়ে দেয়

মুন তো ভয়ে আছে এই বুঝি রোদ ওকে শাস্তি দেয়।

রোদ মুনকে অবাক করে দিয়ে

রোদ মুনের হাত চকোলেট ধরিয়ে দিয়ে মুনের কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়ে

রোদ : মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দিবে

রোদের কথা মত মুন হাত বুলিয়ে দিচ্ছে

রোদ : তোমাকে আমি কি বলেছিলাম তোমার মনে আছে ?

চলবে
চলবে
চলবে

(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here