My First Crush পর্ব -১৯

#My_First_Crush
#পর্ব-১৯
Writer: ইশরাত জাহান সুপ্তি

(রাইয়ান)
আকাশে একটি পূর্ণ চাঁদ। অন্ধকারের গা জুড়ে জ্বল জ্বল করছে আরো কিছু তারারাজিও। বাতাসে এক অন্যরকম আমেজ। চাঁদের আলো ঠিকরে পড়েছে অথৈ সমুদ্রের ঢেউয়ে ঢেউয়ে। চিক চিক করা সেই ঢেউ পৌঁছে যাচ্ছে বীচে থাকা মানুষের কাছে। যার মধ্যে আছি আমি আর হৃদিও। সাগড় পাড়ে জোৎস্নায় চিকচিক করা বালুর মধ্যে পাশাপাশি বসে আছি আমরা। বীচ এর পাড় ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে পপলার, মেপল, উইপিং উইলো আর ট্রাভেলার্স পাম সহ আরও অসংখ্য গাছ। অদূরেই কিছু বাচ্চারা বালুতে খেলাধুলা করছে। তাদের বাবা মা হাতে হাত রেখে হাঁটছে সমুদ্রের পানিতে পা ভিজিয়ে। দূরে কিছু লোক বসে বসে ফিশিং করছে। জোৎস্না নিয়ে তেমন আগ্রহ আমার কোন কালেই ছিল না। খুবই যান্ত্রিক গোছের মানুষ আমি। প্রকৃতির সাথে আমার সম্পর্ক অনেক দূরের। কিন্তু আজ কেন যেন চোখ আটকে গেলো। পারতপক্ষে এভাবে কখনো জোৎস্না বিলাসও তো করিনি! প্রকৃতির সৌন্দর্য মানুষের মধ্যে একধরনের বিষন্নতার সৃষ্টি করে। মন হয়ে উঠে অন্যরকম। সেই ভাবটা বুঝি আমাকেও ছুঁয়ে গেলো। ঠিক সেই সময় এক ঝাঁক সি গাল পাখি উড়ে গেলো আমাদের মাথার উপর দিয়ে। নিরবতা ভেঙে হৃদি হঠাৎ ডেকে উঠলো,
‘রাইয়ান, রাইয়ান দেখো, কত সুন্দর সি গাল!’
হৃদি ক্যামেরা বের করে ছবি তোলার চেষ্টা করলো। কিন্তু ব্যাগ থেকে ক্যামেরা খুঁজে বের করে দাঁড়াতে দাঁড়াতেই পাখিগুলো অনেকটা দূরে চলে গেলো। হৃদি ফুস করে চুপসে যাবার মতো মুখে একটা শব্দ করলো। পেছনে ঘুরে বলল, ‘যাহ! তুলতে পারলাম না।’
ক্যামেরা হাতে আবার বসে পড়লো আমার পাশে। আমি বললাম, ‘তোমার ক্যামেরার মেমোরি এখনো ফুল হয়নি? যেই ছবি তুলেছো আজ সারাদিন!’
হৃদি তৃপ্তি মুখে হাসলো। প্রফুল্লিত হয়ে বলল,
‘আচ্ছা, তোমার আজকে সবথেকে কোন সময়টায় বেশি ভালো লেগেছে? আচ্ছা আমিই বলি, আমার আজকে সবথেকে বেশি আনন্দ লেগেছে সমুদ্রের উপর প্যারাসেইলিং এর সময়। কি একটা মুহুর্ত! এই ভয় ভয় লাগে আবার এই আনন্দ লাগে। একদম গুজবাম্প দেওয়ার মতো একটা মুহুর্ত। মনে হলো অনেকদিন পর ছোটবেলায় অ্যামিউজমেন্ট পার্কে রোলার কোস্টারে চড়ার মতো অনুভূতি পেলাম। তাই না?’
আমি স্মিত হাসলাম। বললাম, ‘ভালো তো আমারও লেগেছে কিন্তু রোলার কোস্টারে চড়ার মতো অনুভূতি কিনা সেটা আমি বলতে পারি না।’
‘কেন? তুমি কখনো ছোটবেলায় রোলার কোস্টারে রাইড নাওনি? ভয় পেতে? ছোটরা অনেকেই প্রথমে দেখে ভয় পেয়ে যায় তারপর আর চড়তে চায় না।’
মৃদু হেসে আমি বললাম,
‘আমি কখনো সম্মুখ চোখে রোলার কোস্টার রাইড দেখেইনি।’
হৃদি অবাক হয়ে বলল, ‘তুমি কখনো অ্যামিউজমেন্ট পার্কে যাওনি?’
আমি মাথা নাড়ালাম। খানিক সময় নিয়ে বললাম, ‘তোমার মনে আছে তুমি একবার আমার বাবাকে নিয়ে প্রশ্ন করেছিলে? আমার বাবা আর মার লাভ ম্যারেজ ছিল। মা বাংলাদেশ থেকে পড়তে আসা একজন স্টুডেন্ট ছিলেন। সেখান থেকেই আমার বাবার সাথে মার পরিচয়। আমার বাবা আমার মাকে অসম্ভব ভালোবাসতো। আমার জন্মের কিছুকাল পরই মার মৃত্যুটা বাবা মেনে নিতে পারেনি। ডিপ্রেসড হয়ে পড়ে। জীবন, সংসার কোনকিছুতেই আর তার কোন মন থাকে না। তখন থেকেই সে ঘর ছাড়ে। কখনো এই পাহাড়ে কখনো ঐ পর্বতে এভাবেই কাটিয়ে আসছে তার জীবন। বাবার স্মৃতিগুলো আমার মনে অনেক ছোটবেলার। খুব ঝাপসা ঝাপসা চোখে ভাসে। বোধ হবার পর থেকে বাবাকে আমি কখনো আর নিজের চোখের সামনে দেখিনি। শুধু ফোনে কয়েকবার কথা বলেছি। স্কুলে যাবার পর দেখতাম সবার বাবা তাদেরকে স্কুলে ড্রপ করে যায়। যারা ভালো রেজাল্ট করতো তাদেরকে সেদিন অনেক অনেক আদর করতো তাদের বাবা মা। সেটা দেখেই আমি সবসময় শুধু পড়াশোনা করতাম। সবথেকে ভালো রেজাল্ট করার চেষ্টা করতাম। যাতে আমার বাবাও আমার কাছে চলে আসে, আমাকে আদর করে। কখনো কোন দুষ্টমি করতাম না, জেদ, আবদার করে কাউকে বিরক্ত করতাম না। যদি আমার বাবা এগুলো দেখে আমাকে দুষ্ট ছেলে ভেবে আর কখনো না আসে এই ভয়ে! নিজেকে একদম বেস্ট বানাতে চাইতাম। একদম শান্ত, ভদ্র বাচ্চাটির মতো। তাই পড়াশোনা ছাড়া বাইরের পৃথিবীর আনন্দ উল্লাসের সাথে আমার কখনো সংযোগ ঘটেনি। আমি তো ঠিকমতো খেলাধুলা করতেও বের হতাম না। বাকি বাচ্চারা যখন খেলার মাঠে আমি তখন থাকতাম পড়ার টেবিলে। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আমার জীবনে শৈশবের স্তরটা স্কিপ হয়ে গেছে।’

কথাটা বলতে বলতে আমি ফিচেল হেসে ফেললাম। হৃদি আমার দিকে মলিন মুখে তাকিয়ে রইলো৷ আমি কখনো কারো কাছে আমার ভেতরকার লুকায়িত অনুভূতিগুলো গুলো শব্দে প্রকাশ করি না। আজ যখন
সেদিনের সেই সময়টায় ঝাপ দেই তখন বুঝতে পারি, আমার অজান্তেই আমার মন হৃদিকে কতোটা কাছের ভেবে নিয়েছিল। যতোটা কাছের হলে নিজের ভেতরটা নির্দ্বিধায় উন্মুক্ত করে দেয়া যায়। যতোটা কাছের হলে নিজের একান্ত অনুভূতিগুলো নিঃসংকোচে ভাগাভাগি করা যায়। সেদিন সেই রাতেই প্রথম হৃদির সামনে নিজেকে প্রকাশ করি আমি। আর হৃদি হয় আমার ভরসার মনোযোগী শ্রোতা।
___________________________________________________

(হৃদি)
আজ বিকেলের দিকেই আমাদের হোটেল ছেড়ে দেওয়ার কথা। শুনেছি ‘দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি’ বইয়ের বিখ্যাত লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ের বাড়ি নাকি এই কি ওয়েস্টেই। আমার একজন প্রিয় লেখক তিনি। তাই খুব ইচ্ছে হলো সেই বাড়িটা ঘুরে দেখে আসার। সকালে ব্রেকফাস্টের পর তাই সেই উদ্দেশ্যেই বের হলাম আমরা। আর্নেস্ট হেমিংওয়ের বাড়িটাকে এখন হেমিংওয়ে মিউজিয়ামও বলা হয়। সুন্দর সাজানো দেখতে একটা বাড়ি। বাড়ির পাশে একটা পুলও আছে। ভাবতেই অবাক লাগে এই বাড়িটাতে তিনি এককালে সময় কাটিয়েছেন। লেখালেখি করেছেন। একজন ভক্ত হিসেবে এই অনুভূতিটা অন্যরকম। তার অনেক বিখ্যাত গল্প তিনি এই বাড়িতে থাকতে লিখেছিলেন। ‘দ্যা স্নো’স অফ কিলিমাঞ্জারো’ তার মধ্যে একটি। আর্নেস্ট হেমিংওয়ের বাড়ি ঘুরে দেখে আমরা বাইরে বের হয়ে এলাম। কাছেই একটা লাইটহাউজ ছিল। সেটাও ঘুরে এলাম একটু। খানিক বিশ্রামের জন্য রাস্তার পাশে একটা কাঠের বেঞ্চ দেখে সেখানেই বসে পড়লাম আমি। রাইয়ানের ফোনে একটা কল আসায় সে একটু সাইডে গিয়ে কথা বলতে লাগলো। বেঞ্চে বসে আমি একটা কাপ আইসক্রিম খাচ্ছিলাম। খেতে দেরি হওয়ায় অনেকটাই মেল্ট হয়ে গেছে আইসক্রিম। আমি পাশে ঘুরে রাইয়ানকে দেখলাম একবার। এরপর দৃষ্টি ঘুরিয়ে সামনে চোখ পড়তেই দেখলাম রাস্তার অপর পাশে একটা অ্যাশ কালারের একটা স্ট্রেট ক্যাট। বিড়াল তো আমার বরাবরই পছন্দ। আমার দিকেই বিড়ালটি তাকিয়ে থাকায় আমি আমার হাতের আইসক্রিমটা ওঁকে দেখিয়ে ইশারা করলাম। বিড়ালটা আসলো না। আমারও দৃষ্টি ঘুরে গেলো অন্য দিকে। রাইয়ান ফোন রেখে আমার দিকে এগিয়ে এলো। তার সাথে কথা বলার জন্য মুখ খুলতেই হঠাৎ একটা ধাক্কার শব্দ শুনতে পেলাম৷ দ্রুত আমার দৃষ্টি চলে গেলো সামনে। দেখলাম সেই বিড়ালটি রাস্তার মাঝখানে একটা গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আমি তাড়াতাড়ি দৌড়ে গেলাম সেখানে। রাইয়ানও এলো আমার সাথে। ততক্ষণে গাড়ি থেকেও লোকটা বের হয়ে এসেছে। লোকটাকে এখানকার স্থানীয়ই মনে হলো। আমি তাকে রিকুয়েষ্ট করলাম আশেপাশে কোন পশু হাসপাতাল থাকলে আমাদের সেখানে নিয়ে যেতে।

হাসপাতালে বিড়ালটিকে নিয়ে যাবার পর ডক্টর বিড়ালটিকে চিকিৎসার জন্য ভেতরে নিয়ে গেলো। আমাদেরও এরপর চলে আসতে হলো হোটেলে। কিন্তু হোটেলে ফিরে আসার পরও আমি কেন যেন আমার মনকে শান্তই করতে পারছিলাম না। আমার শুধু মনে হচ্ছিল বিড়ালটির এক্সিডেন্ট হবার জন্য আমিই দায়ী। আমি যদি বিড়ালটিকে রাস্তার ওপাশ থেকে খাবার দেখিয়ে ইশারা না করতাম তাহলে বিড়ালটা এভাবে রাস্তা পার হতে আসতোও না আর গাড়ির সাথে ধাক্কাও খেতো না। খুব অনুতপ্ত বোধ হতে লাগলো আমার। একসময় আমি আর নিজেকে আটকে রাখতে পারলাম না। রাইয়ান বারান্দায় বসে ছিল। সেখানে গিয়ে আমি হন্তদন্ত হয়ে বললাম,
‘রাইয়ান, আমি আবারো পশু হাসপাতালটিতে যেতে চাই।’
রাইয়ান অবাক হয়ে বলল, ‘কেন?’
‘বিড়ালটার এক্সিডেন্ট আমার জন্যই হয়েছে। আমারই ওর জন্য রেস্পন্সিবল হওয়া উচিত।’
‘হৃদি, তুমি বেশি বেশি ভাবছো। এমন কিছুই না। শুধু শুধু নিজেকে দোষ দিচ্ছো কেন?’
‘না রাইয়ান, তুমি বুঝতে পারছো না। দোষটা আমারই ছিল। এই অনুতপ্ত বোধ নিয়ে আমি এভাবে বসে থাকতে পারবো না। আমি হাসপাতালে যেতে চাই।’
‘এখান থেকে ঐ হাসপাতাল কত দূর সেটা কি তোমার মাথায় আছে? তুমি আবার এইসময় ওখানে যাবার কথা বলছো!’
‘রাইয়ান, আমি জানি অনেক দূর। তবুও আরেকবার কি যাওয়া যায় না?’
রাইয়ান কাঠখোট্টা গলায় বলল, ‘আর গিয়ে এমন কি হয়ে যাবে? তোমার যাওয়াতে কি বিড়ালটা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে?’
আমি মিনমিনিয়ে আমতা আমতা করে বললাম, ‘আমরা কি বিড়ালটাকে আমাদের সাথে নিয়ে যেতে পারি না?’
রাইয়ান জোর দিয়ে বলল, ‘একদমই না।’
‘প্লিজ রাইয়ান! আমি বলছি বেশিদিন ওকে রাখতে হবে না। আমি শীঘ্রই কিছু একটা ব্যবস্থা করবো। আপাতত বিড়ালটা আমাদের কাছে থাকুক।’
‘না।’
আমার চোখে পানি চলে এলো। আমি বললাম,
‘কেন রাইয়ান? তুমি আমাকে একটু বুঝতে চাইছো না কেন?’
‘কারণ তুমি বেশিই ইমোশনাল হয়ে ভাবছো। এমন হাজার হাজার স্ট্রেট ক্যাট এই পৃথিবীতে আছে। তুমি কি সবার দায়িত্ব নিতে পারবে? এমন অহরহ রাস্তায় ওদের এক্সিডেন্ট হয় তুমি কি এমন সব বিড়ালকেই বাসায় নিয়ে যেতে পারবে? তোমার দ্বারা যতটুকু সম্ভব তুমি করেছো। বিড়ালটাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছো, ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা করে দিয়েছো৷ দ্যাটস ইট। এতটুকুই ঠিক আছে। এখন বিড়ালটা মরে গেলেও তোমার কিছু করার নেই।’
আমি ব্যথিত স্বরে বললাম, ‘তুমি এতো স্বার্থপরের মতো এমন নিষ্ঠুর কথা কিভাবে বলতে পারো রাইয়ান?’
‘কারণ আমি স্বার্থপরই। আর এটা আমি স্বীকার করি। মানুষকে বাঁচতে হলে স্বার্থপরই হতে হয়। এতো আবেগ দিয়ে জীবন চলে না। আমি যা বলছি প্রাকটিক্যালি ভেবেই বলছি। আর এটা নিয়ে আমার কোন দ্বিধা নেই।’
কথাটা বলে রাইয়ান আমাকে এড়িয়ে চলে যেতে লাগলো। আমি পেছনে ঘুরে তার উদ্দেশ্য অশ্রুসিক্ত গলায় বললাম,
‘আর আমার চাওয়া পাওয়া নিয়েও কি তোমার কোন যায় আসে না?’
রাইয়ান থমকে দাঁড়ালো। কিন্তু কিছুই বললো না। আমি আশাহত হয়ে দৃষ্টি সামনে নিয়ে এলাম। হঠাৎ আমার মনে হলো রাইয়ান বুঝি আমার দিকে ফিরে তাকালো। আশা নিয়ে পেছনে ঘুরে তাকালাম আমি। কিন্তু দেখলাম সে দৃষ্টি সরিয়ে গটগটিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে চলে গেলো। আমার প্রশ্নের উত্তর ‘না’ বুঝিয়ে দিয়ে।
আমি মাথা নাড়িয়ে ঝরঝর করে কেঁদে ফেললাম।

কি ওয়েস্ট থেকে ফেরার পথে আমি চুপচাপ গাড়িতে বসে রইলাম। মায়ামি পৌঁছাতে পৌঁছাতে অনেকটাই গড়িয়ে গেলো বিকেল। আমাদের অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের সামনে গাড়ি থামলে রাইয়ান কোন কথা না বলেই গাড়ি থেকে নেমে পড়লো। চলে গেলো বিল্ডিংয়ের ভেতর। আমি কিঞ্চিৎ অবাক হয়ে তার যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইলাম। অগত্যা নিজেই ব্যাগপত্র নেওয়ার জন্য গাড়ি থেকে ভোঁতা মুখে নামলাম। গাড়ির ব্যাকসাইড খুলে দেখতেই চমকে উঠলাম আমি। আমাদের লাগেজের পাশেই একটা ছোট্ট আরামদায়ক ঝুড়িতে ব্যান্ডেজ পায়ে সেই বিড়ালটা রাখা। বিড়ালটা আমাকে দেখেই মিঁয়াও বলে ডেকে উঠলো। খুশি হয়ে বিড়ালটিকে কোলে নিয়েই এক ছুটে সিঁড়ি বেয়ে আমাদের বাসায় ঢুকে পড়লাম আমি। রাইয়ান স্টাডি রুমে বসা ছিল। দরজার বাইরে থেকেই আমি আপ্লুত হয়ে বলে উঠলাম,

‘থ্যাংক ইউ রাইয়ান!’

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here