My vampire lover comes again part 16

#My vampire lover comes again

#এসেছি ফিরে তোমারই ডার্ক প্রিন্স

#লেখিকা_তামান্না
#পার্ট_16

সিরাত পানিটা খেয়ে গ্লাসটা রাখলো। মানুষটা সোফায় গিয়ে বসে সিরাতকে ডাক দেই। সে তার দিকে তাকিয়ে দেখে মানুষটার প্রতিচ্ছবি চারটার মতো দেখা যাচ্ছে। সে নিজের মাথা ঝাকুনি দিয়ে তার পাশে গিয়ে বসলো।

—“দোস্ত জানিস আমি না একটা মেয়ে কে খুবববব পছন্দ করি। দুলতে দুলতে নেশাখোর এর মতো বলতে লাগলো।

মানুষটা সিরাত এর হঠাৎ এরকম কান্ড দেখে বলে—“দোস্ত ঠিক আছিস?

—“আরে হ্যাঁ আমি কি ঠিক নেই? গালে এক হাত দিয়ে বাচ্চাদের মতো ফেস করে বলে।

—“এ্যাঁ…….হঠাৎ সিরাত এর কি হলো যার কারণে দুলতে লাগে।

সিরাত বসা থেকে উঠে টেবিলের উপর এসে বসে বলে—“আইম ইন লাভ দোস্ত লাভ লাভ লাভ…..বাচ্চাদের মতো চিৎকার দেই।

মানুষটা উঠে তার কাছে এসে মুখ চেপে ধরে বলে—“ওও মেরে ভাই চুপ কর। কেউ আসলে গন্ডগোল লেগে যাবে। চিন্তিত হয়ে একবার দরজার দিকে তাকায় আরেকবার সিরাত এর দিকে তাকায়।

সে মানুষটার হাত সরিয়ে উল্টা নিজের হাত দিয়ে মানুষটার গলা জড়িয়ে জোরে জোরে বলে—“আইম ইন লাভভভভ……

ইরিন সিরাত এর কেবিনের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো হঠাৎ সিরাত এর কেবিন থেকে চেচাঁমেচি শুনতে পেয়ে সেদিকে হাঁটতে লাগে।

সে কেবিনের দিকে আসছে সাথে মনের মধ্যে বলে—“স্যার এর কেবিনে ত কখনো চেচাঁমেচির সাউন্ড হয় না। তাহলে আজ হঠাৎ…? কেবিনে গেলে বুঝবো।

(ইরিন এর কাজ প্রায় শেষ হওয়ায় সে ফাইলগুলো রেখে ক্যান্টিনের দিকে যাচ্ছিলো। সে সময়ই সিরাত এর কেবিন থেকে শব্দ হয়।)

মানুষটার কানে কারো পায়ের সাউন্ড ভেসে আসতে লাগে। সে দরজার দিকে তাকিয়ে দেখলো ইরিন আসতেছে। সে ইরিনকে দেখে সিরাত এর দিকে এক নজর তাকালো।

ইরিন এসে দরজা খুলতেই যা দেখলো। তা দেখে সে দৌড়ে এসে সিরাতকে ধরে ফেললো। সাথে সাথে তাকে সোফায় বসিয়ে বলতে লাগে।

—“স্যার আপনার কি হলো সুইসাইড করার চেষ্টা কেন করছিলেন?

—“হুমম ওহ সুই….সুই দিয়ে বোতাম লাগিয়ে দাও। দাঁত কেলিয়ে হেসে বললো।

ইরিন সিরাত এর এইরকম বাচ্চামো দেখে অবাক সাথে এক মুহুর্ত এর জন্যে ভয়ের চরম সীমায় পৌঁছে ছিলো।

সে সিরাতকে বসিয়ে বেলকণির দরজা বন্ধ করতে আসলো। সেখানে এসে আশে পাশে তাকিয়ে নে। ভেতরে প্রবেশ করতে গিয়ে তার নজর পড়ে রেলিং এ। তখনই তার চোখে ভেসে উঠলো। দরজা খুলতেই দেখে সিরাত বেলকণির মধ্যে রেলিং এর উপর দাঁড়িয়ে বাতাসের সাথে তাল মিলাচ্ছে। এ দৃশ্য দেখে ইরিন এর ত কলিজা কেঁপে উঠে। হঠাৎ তার এক পা পিছলে যেতে লাগে এই সময় ইরিন এসেই সিরাত এর হাত ধরে টান দে। সিরাত দুলে দুলে নিচে এসে তার কাধঁ জড়িয়ে ধরলো।

—“ইরিন ও ইরিন তুমি কোথায়?…..সিরাত গানের সুরে ইরিনকে ডাক দিতে লাগলো।

ইরিন এর ধ্যান ফিরে সিরাত এর ডাকে। সে রুমে এসে দেখে সিরাত সোফায় শুয়ে আছে আর তার মুখে নিজের নাম শুনতে পেয়ে ইরিন চোখজোড়া গোল গোল করে ফেলে।

সে ধীর পায়ে তার কাছে এসে মাথায় হাত বুলানোর জন্যে নিজের হাত সিরাত এর মাথার কাছে আনতেই। সে হুট করে ইরিন এর হাত ধরে ফেলে। সে হঠাৎ কেঁপে উঠে তাকে এভাবে ধরার কারণে।

সিরাত জট করে ইরিনকে টান দে। সে তাল সামলাতে না পেরে সিরাত এর বুকের উপর গিয়ে পড়ে। সেও সুযোগটা কাজে লাগিয়ে তার কোমর চেপে ধরে নিজের মুখের কাছে নিয়ে আসে। ইরিন তার দুইহাত সিরাত এর ঘাড়ে শক্ত করে চেপে ধরে মুখ উঠানোর চেষ্টা করে।

কিন্তু সিরাত সময় টা উপভোগ করছে যখন ইরিন তার বুকে নিজের মাথা রেখে ছিলো। তার বুক হালকা হতেই মানে ইরিন নিজের মাথা সরিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। তার চেপে ধরার কাছে নিজের চেষ্টা করা ব্যর্থ মনে হতে লাগলো ইরিন এর কাছে।

তাও সে আস্তে আস্তে নিজের মাথা সরিয়ে মুখ সিরাত এর মুখের কাছাকাছি উঠিয়ে নে। সে দেখলো তার চুলগুলো সিরাত এর মুখের উপর এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে অাছে।

সিরাত ধীরে ধীরে নিজের হাত দিয়ে ইরিনের চুলগুলো মুখের উপর থেকে সরিয়ে কানের কাছে গুজে দিলো।
খেয়াল করলো ইরিন এর চোখজোড়া বন্ধ তার ঠোঁটজোড়া কাঁপছে যা দেখে সিরাত এর ঠোঁটজোড়া কাঁপতে শুরু করে। তার ঠোঁটজোড়া যেনো সিরাতকে নেশায় পরিণত করছে।

ইরিন নিজের হাত সরাতে গেলেই সিরাত এক জটে তাকে টেনে নিজের ঠোঁটের সাথে তার ঠোঁট মিলিয়ে দেই। খুব গভীরভাবে ইরিন এর ঠোঁটে স্বাদ নিতে থাকে সে।

কেবিনের বাইরে বিষপাতা এ দৃশ্য দেখে শয়তানি হাসি দিয়ে বলে—“বাহ শ্রেয় শাবাশ আমার শিকারি কেও দেখি তুই নিজের মতো করে শিকার করে ফেললি। যাক আমার থেকে আর নিজের হাত নোংরা করতে হলো না। আমার পানির স্বাদ তোর ঠোঁটে লেগে আছে। সেই দিক থেকে তোদের রোমাঞ্চ দৃশ্য হলো। ধীরে ধীরে দুইজন এক সাথে আবারো পাড়ি দিবে মৃত্যুর দিকে হাহাহা।

বিষপাতা হাসতে হাসতে নিজের আসল রুপে এসে হাতজোড়া একএ করে বলে—“আমি আসছি আমার বিষময় পাতার জগতে।

তখনই সেখান থেকে চলে যায় সে।
তার যাওয়ার সাথে সাথেই সিরাত এর হুশ ফিরে। সে চোখজোড়া খুলে দেখলো তার আর ইরিন এর লিপ কিস এর সিন চলছে। সাথে ইরিন তার বুকের উপর আরামছে শুয়ে আছে।

সিরাত নিজের মুখ সরিয়ে নিয়ে ইরিনকে দাঁড়িয়ে করায়। নিজেও দাঁড়িয়ে যায়। ইরিন ত লজ্জায় মাথা নিচু করে থাকে।

সিরাত ত ব্যবলাকান্তের মতো হয়ে ইরিন এর লজ্জামাখা মুখখানি দেখে ভাবতে লাগে—” এতোক্ষণ আমার সাথে কি হলো? কিছুই জানি না আর এই মেয়ে লজ্জার ফেস করে তো আমাকে কন্ট্রোললেস করার প্লেন করতেছে।

_________________

মায়াবিনী নিকেল এর হাতে ইনজেকশন পুশ করে ব্যান্ডেজ করে দে। অনর্ব দুই হাত বুকের উপর গুজে দেওয়ালে পিঠ ঠেসে দাঁড়িয়ে নিকেল এর দিকে তাকিয়ে থাকে।

নিকেল তাদের দুইজনের নিশ্চুপতা দেখে বলে—“তোমরা এভাবে আমার দিকে কেন তাকিয়ে আছো? জানি আমি দেখতে খুব সুন্দর তাই বলে এতো নজর দেওয়াও কিন্তু ভালো না বলে দিলাম। ভাব নিয়ে এক হাত দিয়ে নিজের শার্টের কলার ঠিক করতে লাগে। মুখে দুষ্টুমির হাসি এসে ভিড় করে।

অনর্ব এসে নিকেল এর মুখ ধরে নিজের দিকে ফিরিয়ে রাগী চোখজোড়া নিয়ে কঠোর গলায় বলে—“তোরে কে কারবারি করতে বলছে। কিছুই হতো কারণ পিশাচমাতার রক্ষাকবচ রকেট আছে তার গলায়।। সে পানি খেলেও তার কিছু হতো না।

নিকেল মুচকি হেসে বলে—“জানি কিছু হতো না কিন্তু আজ মন চেয়ে ছিলো নিজের জিগরি দোস্ত এর সাথে কিছুক্ষণ ফাজলামি মজা করি। তাই ছুটে গেলাম তার কাছে। কিন্তু…….বাকিটুকু বলতে গিয়ে তার মুখের হাসি ফুরিয়ে যায়।

মায়াবিনী নিকেল এর কাঁধে হাত রেখে বলে—“সময় আসলে শ্রেয় ঠিকিই তোরে ক্ষমা করে দেবে সাথে নিজের জিগরি দোস্ত কে এতোগুলো জাপ্পি পাপ্পি দিবে।

অনর্ব নিকেল মুচকি হেসে দে।

মায়াবিনী ফাস্ট এইড বক্সে ইনজেকশন রেখে চেয়ার টেনে অনর্ব এর পাশে বসলো।

—“আচ্ছা তুই পারলে আরো লেইট করে আসতে পারতি। তাহলে এতো তাড়াতাড়ি চলে আসছিস কেন?

নিকেল পুরো ঘটনাটা বললো।। মায়াবিনী অনর্ব অবাক হয়ে বলে—” ইরিন তোকে দেখছে ?

নিকেল—“নাহ। আমি তার আগেই চলে আসি। বলি শুন……

নিকেল ইরিন এর আসা দেখে মনে মনে বলে—“এখানে আসছিলাম বিষপাতা কে খুঁজতে কিন্তু সিরাত এর অবস্থা দেখে না পারছি খুঁজতে,,না পারছি সরতে। এখন কি করবো? ইরিন ও এদিকেই আসতেছে। সে আমাকে দেখলেই চিনে যাবে। অতীতের সব কথা তার মনে পড়ে যাবে। কিন্তু এখনো সঠিক সময় হয় নি। আমার যেতে হবে।

নিকেল সিরাত এর হাত নিজের গলা থেকে ছাড়িয়ে তার গাল ধরে বলে—“তোর ইয়ার আমি। তোকে কখনো কিছুই হতে দেবো না। চিন্তা করিস না বিষপাতার বিষ তোর শরীরে যায় নি। তুই যা পান করেছিস সেটা এক ধরনের নেশামিশ্রিত তরল পর্দাথ। এখন যেতে হচ্ছে দোস্ত আবারো ফিলে আসবো।

নিকেল তার হাত ছেড়ে জানালার ধারে এসে দাঁড়াতেই সিরাত দুলতে দুলতে তাকে ডাক দে—“নায়েমমমমমমম…..

নায়েম মুচকি হেসে মুখের উপর মন্ত্র পড়লো—“মায়াবিনী করে দাও আমায় অদৃশ্য ফিরিয়ে নাও তোমার আঙ্গিনায়।

নায়েম মুহুর্তেই অদৃশ্য হয়ে যায়।

অনর্ব শুনে বলে—“আহারে নায়েম কি সুন্দর নাম ! ঢং রে বাবা। আমি ত ঢং এর জ্বালায় বাঁচি নাহ।
#My vampire lover comes again

#এসেছি ফিরে তোমারই ডার্ক প্রিন্স

#লেখিকা_তামান্না

#বোনাস_পার্ট

অনর্ব এর কথা শুনে নিকেল মুখ বাঁকিয়ে নেই। মায়াবিনী ঠোঁট উল্টিয়ে বলে।

—“যদি তোরা আবারো…..বাকিটুকু বলার আগেই নিকেল অনর্ব একসাথে বলল।

—“ঝগড়া শুরু করছিস তাহলে আমাদের কে ইদুঁর
বানিয়ে দিবি।

দুইজন এক সাথে হু হা করে হাসতে লেগে পড়ে। মায়াবিনী রাগে কোমরে হাত রেখে বলে।

—“আমাকে নিয়ে মজা চলছে? চোখজোড়া সরু করে দুইজনের দিকে তাকিয়ে রাগী দৃষ্টি বর্ষণ করলো।

নিকেল আমতা আমতা করে বলে—“তোর জামাই করে আমি না সামলা তোর জামাই কে আমি গেলাম।
সে বানিয়ে পুষিয়ে রুম থেকে বাহিরে বের হয়ে যায়।

অনর্ব নিকেল এর যাওয়ার দিকে অসহায় মুখ করে তাকায়। কিন্তু লাভ হলো না নিকেল বের হয়ে যায় ততোক্ষণে।

অনর্ব নিকেলকে মনে মনে হাজারটা গালি দে।
নিকেল বেচারা নিজের রুমের দিকে যতো যাচ্ছে তার জিহ্বে কামড় খাচ্ছে। সে মিন মিন করে বলে।

—“শালা কতো গালি দিচ্ছে ! আমার জিহ্বা আছে কিনাও সন্দেহ কতো যে কামড় খেলাম। ও আল্লাহ……মেয়েদের জামেলায় পড়লে যা হয় দোস্তদের মাঝে পড়লেও তা হয়। আজ ভদ্র বলে গালি দি না। নইতো গালির চৌদ্দ গৌষ্ঠি উজার করে দিতাম।

নিকেল মুখটা বাংলা পাঁচের মতো করে নিজের রুমে চলে এসে ঘুম দেই।

মায়াবিনী রাগে জট করে বলে—“তোর মতো পিশাচকে আমি জীবনেও বিয়ে করবো না। যাহ মর গা।
অন্যদিকে মুখ করে মুচকি মুচকি হাসি দে।

অনর্ব দুই হাত গালে দিয়ে বলে—“ও বউ এরকম বলে হৃদয় ভেঙ্গে দিও না মরে যাবো কিন্তু।

মায়াবিনী ডোন্ট কেয়ার ভাব করে বলে—“ত যাহ মর গে বারণ করেছি কি? বাঁকা হাসি দিয়ে।

অনর্ব বুঝতে পারলো মায়াবিনী মজা করছে সেও মজার বাপ দেখানোর জন্যে ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলে—“আচ্ছা যাক তুমি ছাড়লে এবার আমি আনন্দ ফুঁতি করতে পারবো ঐ যে পিশাচিনী প্রিয়ার সাথে যে কিনা সুন্দর নাচ জানে।

মায়াবিনী শুনে চোখজোড়া গোল গোল করে তার দিকে তাকায়। অনর্ব ভণীতার সুরে বলে—“ইয়ে মানে না তুমি যদি বারণ করো তাহলে যাবো না।

মায়াবিনী চোখজোড়া ভিজিয়ে কান্নামিশ্রিত সুরে বলে–“দরকার নেই তোকে যাহ মর গা তোর প্রিয়া নাকি গিয়ার কাছে গিয়ে। আমি দূরে চলে যাবো।

সে বলতে বলতে এক সময় কান্না করে দেই। অনর্ব ভাবেও নি মায়াবিনী কথাটা এতো জটিলভাবে নিবে।
সে মায়াবিনীর হাত ধরে এক হাত দিয়ে তার চোখের পানি মুছে বলতে লাগে।

—“আমি এমনেই মজা করছিলাম। কিসের প্রিয়া কিসের গিয়া কারো কাছে যাবো না। আমার প্রিয়সী ত তুমিই। তোমাকে ছাড়া অন্যের কাছে যাওয়া মানে নিজের গলায় নিজে ফাঁসি দেওয়া।

অনর্ব বাচ্চাদের মতো মুখখানি করে মায়াবিনীর দিকে তাকায়। মায়াবিনী তার প্রিয়জনের এরকম মুখখানি দেখে আর কথাগুলো শুনে হাসি থামিয়ে রাখতে পারলো না। হিহি করে হাসতে লাগে। অনর্বও তার প্রিয়সীর হাসি দেখে হাসতে লাগে।

_________________

এলেজ কেনেল এর কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সে ভয়ে কাঁপাকাঁপি করছে। কি বলবে কেনেল কে বুঝতে পারছে না।

তখনই সম্রাট কেনেল নিজের হাতের ইশারা করে দরজা খুলে দে। এলেজকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সে হাতের তুড়ি বাজিয়ে ভেতরে আসতে বলে।

এলেজ কেনেল এর পাশে এসে দাঁড়ালো। কেনেল পায়ের উপর পা রেখে হেলান দিয়ে বসে। সে আড়চোখে এলেজ এর দিকে তাকিয়ে বলে।

—“কোনো সন্ধান? শান্ত সুরে জিগ্গেস করলো।

—“আসলে মহাশয় আ……জট করে এসে কেনেল এলেজ এর গলা চেপে ধরে ভয়ানক চোখজোড়া লালবর্ণ করে ঠোঁট এর দুই কোণা দিয়ে বড় দুই দাঁত বের করে হিংস্র নয়নে বলে।

—“না শব্দটা আমি শুনতে রাজি নয়। আমার যা লাগবে তা লাগবেই যেকোনো মূল্যে আমার সেটা চাই। তোদের এভাবে শক্তি দিয়ে বড় করলাম। তোরা যদি কাজ ঠিকভাবে না করিস তাহলে তোদের কে নিজের খাদ্য বানাতেও এক বিন্দু পরিমাণ ভাববো না।

কেনেল এলেজকে দূরে ছুঁরে মেরে নিজে গিয়ে নিজের রকিং চেয়ারে গা হেলিয়ে বসে। সে চোখ বন্ধ করে অরিন এর মুখখানি নিয়ে ভাবতে থাকে।
সাথে মিন মিন করে বলল।

—“উফফ কি অসহ্য মায়াবর্তী ছিলে তুমি। এখনো কি সেই রকমের মায়াবর্তী হয়ে আসবে আবারো। কিন্তু সমস্যা নেই তোমাকে নিজের বানাতে যা লাগে করবো। কিন্তু তোমাকে তখন ত নিজের ভালোবাসার জালে ফেলতে পারিনি। কিন্তু এবার তোমাকে হাতে কাছে পাই তারপর দেখো ভালোবাসার জালে তোমাকে পড়তে হবেই। একবার নিয়মনীতি মেনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলে আমাদের মিলন রাত শেষ হলেই বাচ্চা জন্মের পর তোমার বুলি দিবো। বুলি দিতেই দিতেই আমি মুনস্টোন এর একমাএ রাজা মালিক হবো। এই পুরো বিশ্বজগতে রাজ্যত্ব করে বেড়াবো। হাহাহাহাহাহাহা।

কেনেল রকিং চেয়ার থেকে উঠতে যাবে তার আগেই হঠাৎ এক পিশাচিনী তার কোলে বসে পড়লো। সে আচমকা এমন হওয়ায় মেয়েটার দিকে তাকায়।

মেয়েটা পুরো কাপড় পরিহিত করে নি শুধু ঘুমের সুট পড়ে আছে। সে কেনেল এর গলা জড়িয়ে তার গালের মধ্যে চুমু দিতে লাগে। কেনেলও কিছু বলছে না সে মেয়েটার কোমর চেপে আরো নিজের কাছে টেনে আনে। সে মেয়েটার শরীরের সুবাস নিচ্ছে সাথে তার চুম্বন এর স্বাদ গ্রহণ করছে।

মেয়েটা কেনেল এর ঠোঁটজোড়া নিজের ঠোঁটজোড়ায় আবদ্ধ করে চুষতে থাকে।

হঠাৎ দরজায় নক পড়ায় মেয়েটা সরে আসে। কেনেল চোখ ঘুরিয়ে রাগী কণ্ঠে পিশাচ গোলামকে ভেতরে আসতে বলে।

পিশাচ গোলাম ভেতরে এসে মাথা নিচু রেখেই বলে—“মহাশয় মানুষের জগতে আপনার আগমন এর ঘোষণা কি চূড়ান্ত করবো?

কেনেল গালে হাত দিয়ে ভাবতে লাগে। মেয়েটা কেনেলকে ভাবতে দেখে তার কোলে বসে বলে—“মহাশয় আপনার থেকে সেই জগতে যাওয়া দরকার। কারণ আপনার অরিন কে পেতে আর আর পিশাচরাজকে পেতে তো সে জগতের মানুষদের সাথে কথাবার্তা মেলামেশা সব করতে হবে।

কেনেল বাঁকা হেসে বলে—“মুনস্টোন এর জন্যে যা করার তাই করবোই। ব্যবস্থা ত সব করেই রেখেছো তুমি তাই না আমার ডান হাত। উফফ ক্ষমা করবে আমার ড্রেনিক।

ড্রেনিক মুচকি হেসে বলে—“অবশ্যই মহাশয় শুধু দুইদিন এর অপেক্ষা। দুইদিন পরই হোসেন ইন্ড্রাসট্রিতে পার্টি সেখানেই তোমার শিকারের শক্তি দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। তখন তুমি তোমার শিকারি কেও পেয়ে যাবে। এতো বছরের খুঁজতে থাকা সেই মেয়েটিকেও পেয়ে যাবে।

কেনেল ড্রেনিক কথা শুনতেছে সাথে তার গলা থেকে বুক পর্যন্ত নেশার মতো করে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে।

সে শয়তানি হেসে বলে —“এসব ত কালকে বা পরের দিন হবেই। কিন্তু এই মুহূর্তে……..সে হাত দিয়ে ড্রেনিক এর পরিহিত শার্টতের বোতাম খুলতে লাগে।

ড্রেনিক নিজের ঠোঁট দিয়ে কেনেল এর ঠোঁটজোড়া আকঁড়ে ধরে। সে তার ঘাড় শক্ত করে চাপ দিয়ে নিজের হাতের মুঠোতে নিয়ে আসে।

দুইজন মিলে রাতটাকে নিজেদের মতো করে অলগ্ন করে কাটিয়ে দেই।

_________________________

রেনা রুমের ফোন হাতে নিয়ে পায়চারি করছে একটা মেসেজ এর জন্যে। সে রাগে ফুলছে সাথে মনের মধ্যে গতকাল এর সেই মানুষটার উপর চৌদ্দ গৌষ্ঠি উজার করার জন্যে ভাবতেছে। কিন্তু সে খেয়াল করলো মেসেজ ত কি একটা কলও আসে নি।

রেনা স্বচ্ছরাস্বর কোনো দিনও এভাবে কারো ব্যাপারে ভাবে নি। সেখানে পায়চারি ত দূরের কথা।

রেনা হাঁটতে হাঁটতে শেষমেষ ধপ করে বেডে বসে বলে—“শালা হারামখোর নিজেকে কি মনে করে ভাইয়ার পিশাচরুপী রহস্য জানে বলে এভাবে আমাকে ব্লেকমেইল করবে? হাহ আমি ও রেনা। আমিও চাল চালাতে জানি। একবার ফাঁদে আসলে কাদে ফেলবো।

বাঁকা হেসে সে ফোনের দিকে নজর দিলো।

নিকেল ঘুমাচ্ছে। সেই ঘুমের মাঝেও কে যেনো তার চৌদ্দ গৌষ্ঠি উজার করছে যা স্বপ্নের মধ্যে ও তাকে কুতা দিচ্ছে।

নিকেল ধরফরিয়ে উঠে চোখ কুঁচলাতে কুঁচলাতে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে রাত শেষ হয়ে যাচ্ছে সকাল হবে।

সে এক বড় হামি দিয়ে ফোন হাতে নিতেই মনে পড়ে যায় তার ফ্লাট করার ফর্মুলা ।
নিকেল গলা ঠিক করে ফোন হাতে নিয়ে রেনাকে মেসেজ দেই।

রেনা মেসেজ আসছে দেখেই বাঁকা হাসি দিয়ে বলে—“বাবু আমি তোমার সাথে দেখা করবো। আসবে কি? দুষ্টুমি ফেস করে নিজেকে আয়নার মধ্যে দেখে বললো।

নিকেল রেনার মেসেজটা পড়ে চোখজোড়া গোল করে বলে—“ম্যাডাম এতো সহজে তো মানার কথা না ! তাহলে হঠাৎ কি হলো যে আমাকে বাবু সাবু ডাকতে লাগলো। অবশ্যই ম্যাডামের মাথায় কোনো কাহিনি চলছে। চলুক আমিও এক না দুই পয়সার বাঁশি। বিন বাজাতে আমিও পাকা মিস রেনা ওরপে আমার ফিউচার বউ।

সে রেনার মেসেজ দেখে লাভ ইমুজি দিয়ে লেখে—“বেবি দেখা সেখানেই হবে যেখানে তুমি স্টাডি করো। লাস্টে একটা চুমা দিয়ে নেট অফ করে দিলো।

রেনা মেসেজটা পড়ে সাথে চুমার ইমুজি দেখে রেগে ফোনটা বেডে ছুঁড়ে মারে। নিজেকে আয়নার মধ্যে দেখে বলে—“আমি আমার আসল রুপে আসি না কারণ আসলেই সুনামি হয়ে যাবে। কিন্তু তুই আমাকে আসতে বাধ্য করেছিস। এবার রেডি থাক তোরে নিজের খাদ্য বানাবো। এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে সে শয়তানি হাসি দে।

নিকেল ফোনটা রেখে ফিসফিসিয়ে বলে—“তুমিও কি মনে রাখবে জান আমি ত সেই ব্লেকমেইলার। তোমার সাথে প্রেম করবো,বউ বানাবো আফটার অল আমার জিগরি দোস্ত এর একমাএ বোনকে আমি না পটালে আর কেই বা পটাবে। সে নিজেই ব্লাশিং হয়ে আবারো লেপ গায়ে জড়িয়ে শুয়ে পড়ে।

রেনাও নিজের ফোন চার্জে দিয়ে শুয়ে পড়ে।

ইরিন বাসায় বক্সটার দিকে তাকিয়ে আছে। সে বক্সটাকে নিজের প্রথম ধাপ শুরু করার জন্যে ক্লু চাইলো। বক্সটা নিজের উপর নিজেই মন্ত্র পড়তে থাকে।

হুট করে সে ইরিন এর সামনে মানচিএ -র এক কাগজ নিয়ে আসলো। সে কাগজের মধ্যে নিজের মন্ত্র বলে নকশা তৈরি করে বলে—“নাও তোমার ক্লু তোমার মেপ। এই মেপ এর সাহায্য এ তুমি তলোয়ার আর সেই ভীর রাজপুএকে খুঁজে পাবে।

ইরিন মেপ টা হাতে নিয়ে পুরো মেপ দেখে চোখজোড়া সরু করে এক ঢোক গিলে বক্সটাকে উদ্দেশ্য করে বলল।

—“আমাকে কি পুলিশে দেওয়ার জন্যে প্লেনিং করছিস?

বক্সটা ভ্রু কুঁচকে ইরিন এর দিকে তাকিয়ে বলে—“মানে?

ইরিন—“তুই যে মেপটা দিলি সেটা স্বাভাবিক কোনো বড় জায়গার মেপ নয়। এই মেপটা আমার অফিসের।

বক্সটা শুনে আকাশে বাতাসের বেগে উড়ান দিয়ে চিৎকার দিয়ে উঠলো খুশিতে। ইরিন তার কান্ড দেখে অবাক হওয়া ছাড়া তার কাছে কোনো উপায় নেই। সে বলে—“আসল কথা বলবি? ঠোঁট উল্টিয়ে চোখজোড়া সরু করে তাকালো।

বক্সটা মুচকি হেসে বলে—“এর মানে হচ্ছে তোর রহস্য বের হতে দেরি নেই। তুই রহস্যের খুব কাছেই আছিস।

কাল সকালে তোর প্রথম ধাপ………

…………চলবে……….
………………চলবে………………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here